নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।
সরকারের আর দেরি করা ঠিক হবে না। ঘন বসতিপূর্ণ আমাদের বাংলাদেশ। সাধারন মানুষের জন্যে অনেক কিছুই করা হয়েছে স্বাধীনতার পর থেকে। অনন্ত এবার আর একটু বেশি করলে ক্ষতি কি।
সারাদেশ একযোগে ১৫ দিনের লক ডাউন করা হোক। সেনা মোতায়েন করা হোক।
কেন বলছি শুনুন:
১. প্রাকৃতিক কারনে বা অভ্যাস বসত বাঙ্গালিরা যেখানে সেখানে থুতু স্বর্দি, পানের পিক, কফ বা কুলি করা পানি এবং ব্যবহৃত টিস্যু রাস্তা ঘাটে ফেলে।
২. নদী মাতৃক দেশ। যা কিনা স্হলভাগে করা হয় ১ নং এর, একই কাজ নদী পথে যাত্রাতেও করা হয়। কাজেই দ্রুত রোগ ছড়াবে।
৩. মুসলিম দেশ, তাই দাফন করার আগে মুর্দার গোসল দেয়া হবে। সেই পানি এবং আনুসঙ্গিক জিনিস আরও দ্রুত ভাইরাস ছড়াতে সাহায্য করবে। আজকে এক - দুই জন করে মরছে। যখন ইতালি-ইরাকের মতো ৫০০-১০০০ বাঙ্গালি মারা যাবে , তখন কয় জন কে জীবনু নাশক দিয়ে পলেথিন প্যাক করে কবর দিবে? তাড়াহুড়ার জন্যে ১০০% প্রসিডিউর ফলো করা যাবে না।
৪. আমাদের দেশের গ্রাম / পাহাড়ী এলাকায় এখনও কুকুর শেয়াল লাশ কবরস্থান থেকে টেনে তুলে খায়। একবার একটি লাশ এর জীবানু একটি কুকুর - শেয়ালের শরীরের যাওয়াই যথেষ্ট পুরো গ্রাম উজার করে দেবার জন্যে।
৫. একটি গ্রাম বা স্কুল মার্দাসা বা এতিম খানা ইনফেকটেড হওয়া মানে চেইন রিএকসানে এটি আরও অসংখ্য ঘটনা ঘটাবে।
৬. একটা শিক্ষিত মানুষ বা দক্ষ শ্রমিক, ডাক্তার নার্স বা ইঞ্জিনিয়ার গড়া এক দু দিনের ব্যাপার নয়। আর বাংলাদেশে জনগনই শক্তি। একক ভাবে কৃষি বা শিল্প নয়। এখানে ৯০% কাজ ম্যানুয়্যাল। দেশের এই সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ন সম্পদ হেলায় হারালে দেশ কম পক্ষে ২০টি বছর পিছিয়ে যাবে।
৭. গার্মেন্টস বা বিসিক শিল্প হয়ত ১৫ দিনে কয়েক লক্ষ কোটি ডলার আর্থিক ক্ষতি দৃর্শ্যত দেখাবে। কিন্তু মাহমারী আকারে করোনা ছড়িয়ে পড়লে ২০ বছর লাগবে ঘুরে দাড়াতে। ১৫ দিন নিশ্চয় ২০ বছরের তুলনায় খুবই কম সময়।
৮. পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটিই যদি রোগাক্রান্ত হয়, তবে সে পরিবারে মন্বন্তর শুরু হবে। একটি পরিবার দেশের এক একটি একক। পরিবারে অর্থ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরা মানে, বৃহৎ পরিসরে দেশের অর্থনীতিতেও আঘাত হওয়া।
৯. কাগজের টাকা রোগ ছড়াবে। বাংলাদেশ সরকার নিশ্চয় চাইবেনা চীনের মত সব কাগুজে নোট পুড়িয়ে ফেলতে। লক ডাউন করলে টাকা লেনদেন কম হবে।রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা কমে যাবে।
১০. স্বজন হারানোর বেদনা কখনও সহ্য করা যায় না। আজীবন কুড়ে কুড়ে খায় ভেতর টাকে। এক শেখ মুজিব হারিয়ে গেছে আমার জন্মেরও আগে। কিন্তু আজও সেই মহাপুরুষের হারানোর বেদনা জাতি ভুলতে পারেনি। আজও তার যোগ্য কন্যা চোখের পানি ফেলে। দেশের মানুষ কাঁদে। চিন্তা করুন, প্রতিটি পরিবারের কেউ যদি বিয়োগ হয়, তার বেদনার পরিসর কত টুকু হবে।
১১. যদি করোনা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে, এই একটি ইস্যুই যথেষ্ট হবে সরকার হটানোর আন্দোলন জোরদার করতে। আর্ন্তজাতিক অঙ্গনেও দুর্নাম কুরাবে।
কাজেই সময় থাকতে যদি সরকার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগে এই মহামারী সূচনা লগ্ননেই থামিয়ে দিতে পারে, অন্তত সেটিই হবে বর্তমান সরকারের অনেক সাফল্যের মধ্যে গোল্ড পয়েন্ট।
বিনীত অনুরোধ করছি, দেশের নীতি নির্ধারক, বুদ্ধিজীবি, সাংসদ ও রাষ্ট্রপতি মহোদয় কে, ১৫ দিনের জন্যে লক ডাউন করে দিন।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৫
অপলক বলেছেন: বাঙ্গালিরা বয়লার মুরগি না। এই শীতেও মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ৬০% মানুষ উপার্যন করছে। বাকি যারা রাতের ভেতর বড়লোক হচ্ছো, ঘরের ভিতরে স্বেচ্ছা নির্বাষণে আছো, তারা এক বার না শত বার দেয়ালে মাথা ঠোকাও। বুস্টার ভ্যাক্সিন নিয়ে ফুডপান্ডার খাবার খাও।
কভিডে যত মানুষ মারা গেছে, তার চেয়ে বেশি রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়, অথবা ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ায় মারা যায় সোনার বাংলায়। আমজনতার চিন্তা না করে, টাকা পাচারের চিন্তা করো। সুবিধাবাদীদের কাজে আসবে। সাথে তোমারও...