নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

opolok-polok

অপলক

তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।

অপলক › বিস্তারিত পোস্টঃ

যানজট যখন নগর পিতা ও পরিকল্পনা পর্ষদের ভুল সিদ্ধান্তে

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০৯

আমি মনে করি:
১. যতক্ষণ রাস্তায় যানবাহন থাকবে, ততক্ষণ জ্যাম থাকবে। তাই যত দ্রুত যানবাহন সরিয়ে দেয়া যাবে, ততই জ্যাম কমবে।
২. যতক্ষণ এলোমেলো পার্কিং থাকবে, ততক্ষণ গতির ধীরতা থাকবে। তাই পার্কিং স্পট তৈরী করতে হবে।
৩. যতক্ষণ বিভিন্ন গতির / ক্ষমতার বাহন থাকবে একই রাস্তায়, কম গতির বাহন, বেশি গতির বাহনের গতি কমিয়ে দেবে। ফলে গড় গতি কমে যাবে।
৪. চৌ রাস্তা বা ক্রস লেন গুলোতে সড়ক বাতি দিতে হবে। যে যার মত সোজাসুজি ক্রস করতে গেলে গিট্টু লেগে যায়।
৫. U ট্রান ঘন গন দিতে হবে।
৬. বামের লেনে যাবার জন্যে কোন ট্রাফিক বাধা রাখা যাবে না। বামের যাবার রাস্তার মোড়ে কেউই গাড়ি থামাতে পারবে না।
৭. সড়কে কোন ব্যবসা চলবে না। কেউ ভাড় রাখবে, কেউ বেলুন নিয়ে হাটবে, কেউ টেবিল মার্কেট বানাবে, সেটা চলবে না।
৮. সমস্ত সড়কে গতি প্রতিরোধক তুলে নিতে হবে...

উদাহরন হিসেবে আমি দুটি শহরের কথা বলব: সিলেট আর বগুড়া

১. সিলেটে ৩১ টি লিঙ্ক রোডের ঢোকার মুখে পাইপের বেরিকেট দেয়া হয়েছে। ওসমানী মেডিকেলে যেখানে ১০ মিনিটে ঢোকা যেত, এখন ৩০-৪৫ মিনিট লাগে, বিভিন্ন রোড দিয়ে ঘুরে ঘুরে যেতে, কারন লিঙ্ক রোডে ঢোকার মেইন রোডের মুখ বন্ধ। আবার যে কার/মা্ইক্রবাস ৫মিনিটে বাসায় গ্যারেজ করতে পারত লিঙ্ক রোড খোলা থাকলে, কিন্তু বর্তমানে তাকে ১ ঘন্টা জ্যামের ভেতর থেকে ঘুরে ঘুরে যেতে হয়। কখনও অন্য গাড়ি চিপা দিয়ে যাবার সময় চ্যাকা দিয়ে, আবার কখনও ঘোসা দিয়ে চলে যায়...

২. বগুড়াতে ৬টি লিঙ্ক রোডে Walton, Minister ইত্যাদির এ্যাডভিত্তিক বেরিকেট দেয়া হয়েছে। যেখান থেকে এ্যাডের বিপরীতে টাকা পায়। বিনিময়ে আমজনতাকে হাফ কিমি কখনও ১ কিমি দূরে গিয়ে U ট্রান নিয়ে ২০ হাত দূরের জায়গায় নামতে হয়। কারন হাটার রাস্তাও বন্ধ করা হয়েছে এই বেরিকেট দিয়ে। আর অসহনীয় জ্যাম তো আছেই।

৩. ট্রাফিক পুলিশ (৩-৬ জন) শুধু সেখানেই দাঁড়ায় যেখানে বাস ট্রাক পাস করে। তাদের সাথে হ্যান্ড সেক করে, পুরোনো বন্ধুর মত। এদিকে যেখান টায় দরকার একজন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রকের , সেখানে হাওয়া... সেখানে হ্যান্ড সেকের বন্ধুদের পাওয়া যায় না।

৪. শহরে নেই কোন স্কুল বাস (একটি স্কুল ছাড়া)। একটা বাচ্চাকে স্কুলে রাখতে ১ টা কার/সিএনজি/রিক্সা শহরে ঢোকে। কিন্তু কেন এটা প্রয়োজন? এক স্কুল শিক্ষক আমাকে বলেছেন, সিকিউরিটি ইস্যু আর সোসাল স্ট্যাটাস। একজন নির্বাহী / সরকারী কর্মকর্তার টাকার অভাব নাই। বিজনেজ ম্যান/ প্রাইভেট জব যারা করে তারা তো আছেই, সে কেন বাচ্চার রিস্ক নিবে? আবার ফ্রি তে সরকারী গাড়ি / অফিসের গাড়ি ব্যবহার করা যায়, সে কেন স্কুল বাসে বাচ্চাকে দেবে? বুজতেই পাচ্ছেন ব্যাপারটা...

৫. এদিকে টেবিল মার্কেট বলেন আর হকার মার্কেট বলেন, সবার কাছ থেকেই চা নাস্তার টাকা পায়। যদি এক মাস বন্ধ থাকে, তাহলে সাড়ে সর্বনাশ হয়ে যাবে। একটা ব্যাটারি রিক্সা বলুন আর টমটম, বা সিএনজি, সবার কিন্তু একটা টোকেন থাকে। দিনের টা দিনের, টাকার বিনিময়ে শহরে চলাচলের বৈধতা। কখনও প্রতিদিনের , কখনও বা মাসিক..। ওত ডিটেলস এ যাব না।

সে যাই হোক, নগর পিতা কিন্তু ইচ্ছে করলেই ব্যবস্থা নিতে পারেন... অবশ্য উনি তো জ্যাম কি জিনিস বোঝেন না। কারন সবসময় প্রোটোকল থাকে, ১৫মিনিট আগে থেকেই সব রোড ক্লিয়ার করা থাকে... আফসোস...

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০২

শেরজা তপন বলেছেন: ভালৈ পরামর্শ!
তবে কি আর হবে বলে-কে শুনবে???

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৮

অপলক বলেছেন: অরণ্যেরোদন...

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপলক,




বহু চর্চিত পর্য্যবেক্ষন হলে্ও আপনার মনে করা সব কথাই একদম ঠিক।
কিন্তু যাদের মনে করার কথা, তারা কেন যে মনে করবেন না তাতো আপনিই বলে দিয়েছেন। সুতরাং ...........

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০০

অপলক বলেছেন: সুতরাং ... হজম করাই শ্রেয়...

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


মেট্রোরেল দিয়ে যানযট কমবে কতটা?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৪

অপলক বলেছেন: ক্যামনে কমবে ? কতটা কমবে সে প্রশ্ন তো পরের পরের প্রশ্ন...

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঢাকা শহরের যানবাহনের গড় গতি ঘন্টায় পাঁচ কিলোমিটারও কম! এজন্যই হয়তো ঢাকা শহরে সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ অনেকটাই কম। :) আপনার পরামর্শ গুলো ভালো ছিল কিন্তু এগুলো বাস্তবায়ন করার মত দক্ষ লোকজন আমাদের প্রশাসনে নেই।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৭

অপলক বলেছেন: একটা কৌতুক মনে পড়ল। ওপেন হার্ট সার্জারির পেশেন্ট ওটি তে ডক্টর কে বলল, বাবা বাঁচি মরি আল্লাহর ইচ্ছা। আমার ইচ্ছা যে আমার অপারেশন করবে, তাকে একবার দেখা।
ডক্টর বলল, স্যার চিন্তা করবেন না, আমি আপনার ছাত্র। মনে নেই? সেবার আপনি আমাকে নকল সাপলাই না দিলে আজ আমি ডক্টর হতে পারতাম না।

ঐ ছাত্রকে চেনা মাত্রই রুগি পটল তুলল।

যে দেশে সুপারিশ আর টাকায় নিয়োগ হয়, বিসিএস ভাইভাতেও লেনদেন চলে, সে দেশে পড়ে পাশ করা নগর পরিকল্পনাবিদ থাকবে বা থাকলেও প্রতিভার প্রকাশ ঘটাতে পারবে, স্বপ্নেও ভাবা ঠিক না।

৩৬ বছরের পুরনো বাস ঢাকায় চলে, ১৮৬৯ সালের রিক্সাও সেই রাজধানীতে চলে... চলুক কি আর করা...

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১২

অপু তানভীর বলেছেন: আসলে ঢাকা শহরের জন্য কোন পরামর্শই জ্যামের জন্য কার্যকরী নয় ! চার কোটি লোক বাস এখানে । এতো এতো মানুষ আর তাদের এতো এতো যানবাহনের জন্য আপন যতই পরামর্শ দেন না কেন তাতে কোন কাজ হবে না ! এই জ্যাম থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে এই শহর থেকে মানুষজন কমিয়ে আনা !

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২৮

অপলক বলেছেন: এটাই তো পরিকল্পনা পর্ষদের সমস্যা। ৩০০০ ছোট বড় গার্মেন্টস ঢাকায়। সারা দেশ থেকে কর্মী ঢাকায় টেনে আনা হয়েছে। তাদের খাবার যোগান দিতে আনেক ব্যবসায়ী ঢুকছে। তাদের আনা নেয়ার জন্য পরিবহন শ্রমিক যোগ হয়েছে। বাচ্চারা স্কুলে যাওয়ায় স্কুল হয়েছে, নামাজীর জন্যে মসজিদ, রুগির জন্যে হাসপাতাল, ফুটপাত মার্কেট থেকে শুরু করে অনেক কিছু। একটা চেইন এখানে আছে।

পরিকল্পনা বিদরা তো সারাদেশের ৯ টা বিদ্যমান এয়ারপোর্ট এলাকায় গারমেন্টস গড়তে পারত। কার্গো বিমান বা বাই রোডে নিয়ে আসতে পারত ফাইনাল প্রোডাক্ট। তারা করেনি। আবার গারমেন্টস মালিকরাও ভাবে, আমার দুটা গারমেন্টস ঢাকায়, নতুন গারমেন্টসটা জায়গা না পেলে বড় জোড় গাজীপুর / নারায়নগন্জ পর্যন্ত যাব, না হলে একদিনে সব অফিস সামাল দিতে পারব না।

আপনি হয়ত বলবেন, হবিগঞ্জে তো নিয়ে যাচ্ছে কিছু গারমেন্টস। এইটা আর একটা বড় ভুল। বিশাল সমতল আবাদী জমি সরকার নষ্ট করছে। এটা করতে পারত জকিগঞ্জ বা মৌলভিবাজার। যেখানে প্রচুর জমি পড়ে আছে। হবিগঞ্জ করছে কারন সেগুলা আদিবাসীদের জমি। এরা গরিব, ক্ষমতাশালী নয়, লন্ডনী নয়, স্বল্পশিক্ষিত,,, ব্যাস ! দখল করা সহজ। তারপরেও কয়েকজন ব্যবসায়ীর কথায় এত মহাপরিকল্পনা করা ঠিক হয়নি।

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০৮

বিটপি বলেছেন: যানজট দূর করায় কারো কোন আগ্রহ নেই। আগ্রহ আছে উন্নয়নে।
- মেট্রোরেল করলে যানজট কমবে। সবাই মেট্রো রেলে যাতায়াত করবে। রাস্তার উপর চাপ কমবে।
কিরে ভাই? যানজট তো কমেনা!
- এলিভেটেড এক্সপ্রেস বানানো হইছে। যানজট এইবার জাদুঘরে যাবে।
এলিভাএটেড এক্সপ্রেসের উপরে যানজট নাই, কিন্তু যেখান দিয়ে নামে, সেখানে তো গাড়ি নড়েনা!
- বিআরটি লাগানো হইছে। এইবার আর যানজট হবেনা।
কিরে ভাই? এই জিনিস তো রাস্তা সরু কইরা ফেলছে। যানজট তো আরো বাড়ল!

আসলেই তো ভাই, চিন্তা কইরেন না। এই দেশেই আর থাকুম না। তিন প্রজেক্ট মিলায়া কোটিখানেক টাকা পকেটে ঢুকছে। চলেন আমারিকা যাইগা।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৫

অপলক বলেছেন: আমিও ভাবছি... তবে আমি কোন রেমিট্যান্স পাঠাবো না... এ্ইটা নিশ্চিত... দেশের সাথে লেনদেন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে.,,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.