নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।
১৯৭১ এ প্রায় ২ লক্ষ নারী ধর্ষিত হয়েছেন। তাদের কেউ কেউ বিরঙ্গনা উপাধি পেয়েছেন। যারা পায়নি তার ব্যর্থতা সরকারের। কিন্তু বর্তমানে যে পরিমান ধর্ষণ ঘটছে তার অবস্থা ভয়াবহ।
দৈনিক পত্রিকায় / মিডিয়ায় গড়ে ১১ টা ধর্ষণের খবর প্রকাশিত হয়। খবরে সেটাই আসে যেটা সাংবাদিকরা জানতে পারেন। তাও সব সময় না। কারন:
১. ধর্ষিত নারী বা তার পরিবার মান সন্মানের ভয়ে বিচারের মুখোপেক্ষী হন না
২. ধর্ষকের পক্ষে ভয় দেখানো হয়
৩. আইনের রক্ষকরা বিচারের বিরুদ্ধে থাকেন বা নিরুৎসাহিত করেন
৪. টাকা পয়সা দিয়ে ভেতরে ভেতরে মিটমাট করা
৫. ব্যক্তিগত লোভ লালসায় পড়ে
৬. দৈহিক সুখ ও নৈতিকতার বিসর্জন
৭. কোন না কোন সুবিধা আদায় বা অনন্যোপায় হয়ে নিজেকে সপে দেয়া এবং চুপ থাকা
৮. স্বামীর দ্বারা অন্য ব্যক্তিকে দিয়ে ধর্ষণ। সংসার টিকিয়ে রাখতে চুপ থাকা। (পরিবারের চাপাচাপিতে মনের বিরুদ্ধে বিয়ে করা। এটাও কিন্তু একপ্রকার ধর্ষণ। কিন্তু এটা পুরুষ সমাজ মানতে নারাজ। তাই এই প্রকারটাকে বাদ দিলাম।)
৯. কর্মস্থলে ধর্ষণ। চাকরি চলে যাবার ভয়ে চুপ থাকা।
১০. ধর্ষণের লজ্জায় অনেক ক্ষেত্রে সুইসাইড করে। তখন খবর হয় সুইসাইডের, ধর্ষনের নয়।
১১. অনাকাঙ্খিত ধর্ষণ ঘটনা, যার কোনই প্রমান থাকে না। প্রমান ছাড়া আইন কাঠের পুতুল। ভবিষ্যৎ ভেবেই ধর্ষিতা যান না থানায়, জানান না কাউকেই।
ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি... আরও কারন থাকতে পারে। এখন মাথায় নেই...
মিডিয়ায় যা আসে তা যদি দশ ভাগের এক ভাগ হয়, তাহলে একটা সাধারণ হিসাব করি:
দৈনিক ২০টা ঘটনা X ৩৬৫ দিন X ১৫ বছর=১,০৯,৫০০ প্রায়। এটার ১০ গুন হলে প্রায় ১১ লক্ষ একক ঘটনা।
কেউ কেউ একাধিক বার ভিন্ন ভিন্ন সময় ধর্ষিত হয়ে থাকেন। এছাড়া বালক বা ছেলে শিশুরাও ধর্ষিত হয়। তারা এই সমীকরণে নাই। এটা শুধু নারী জেন্ডার নিয়ে।
আমার হিসেবে কিছু উদ্দ্যোগ নেয়া যেতে পারে:
১. ধর্ষিতাদের সরকারী ভাতা আজীবন দেয়া। কারন তারা কোন সম্মানিত কর্মস্থল কখনও পায় না। তারা আজীবন একটা ট্রমার ভেতর দিয়ে যায়।
২. ধর্ষকদের NID তে বিশেষ দৃশ্যমান ট্যাগ লাগানো দরকার। তাদের ডান হাতের কজ্বির উপরে বিশেষ স্থায়ী ট্যাটু বা দাগ লাগনো দরকার। যাতে মানুষ সহজেই চেনে অপরাধীকে।
৩. আইনের ফাকফোকর বন্ধ করতে আইন নবায়ন করা দরকার।
৪. ইয়াবা বা যৌন উত্তেজক মাদক বন্ধে সাড়াসী অভিযান চালানো দরকার
৫. ফার্মসীতে প্রেসক্রিপশান ছাড়া যৌন উত্তেজক ঔষধ বা স্প্রে বিক্রয় বন্ধ করা।
৬. উপযুক্ত কর্ম পরিবেশ তৈরী করা
৭. আইনের আশ্রয় পেতে সরকারী প্রচার প্রচারনা বাড়ানো দরকার
৮. ধর্ষিতা হওয়া অপরাধ নয় বরং ধর্ষণ করা অপরাধ, এই মনোভাব সামাজিক ভাবে গড়ে তোলা। যাতে ধর্ষিত মেয়ে সহজে বিবাহিত হতে পারে, কর্মস্থান খুজে পায়, ক্রিটিছিজম থেকে দূরে থাকতে পারে।
৯. Anti-androgen ও Naltrexone ধরনের ঔষধ নিয়মিত দেয়া দরকার সেই সাথে psychotherapy, যারা চিন্হিত অবরাধী। কারন জেলখানাতেও তারা সমান তালে বিকৃত যৌনচার করতে থাকে।
১০. ব্রিটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশে বিভিন্ন জায়গায় বেশ্যাপল্লি তৈরি করেছিল। রাস্ট্রীয় ভাবে দেশেও সরকার এমন পল্লী তৈরি করতে পারে। যেখান থেকে সরকার ট্যাক্স পাবে, সেইসাথে নিরীহ মা-বোনেরা জানোয়ারের হাত থেকে বাচবে।
আপনারা হয়ত জানেন, ঢাকার অসংখ্য হোটেল/বাসা এখন একটা একটা ব্রোথেল বা ডোমেন এর মত এই খারাপ কাজ করছে। সারা শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে না রেখে সরকার শহরের এককোনায় রেখে দিলে আমাদেরই ভাল। কারন কুত্তার লেজ কখনও সোজা হয়না। বিকৃত যৌনাচারীরাও এসব অবকর্ম কখনও ছাড়বে না।
২০ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:০৫
অপলক বলেছেন: চায়নাতে নাকি একটা ইনজেকশন আছে, একবার গ্রহন করলে ৫ বছর পুরুসাঙ্গ দাড়ায় না। ধরে ধরে সেগুলা প্রয়োগ করতে হবে। নয়ত ইসলামিক নিয়মে ইট/পাথর ছুরে ধর্ষককে মারতে হবে জনগনের দ্বারা। যেটা হবে শেষ চিকিৎসা।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:২৩
বিটপি বলেছেন: ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি হচ্ছে পুরুষাঙ্গ কর্তন। আর কোন শাস্তিই এই অপরাধ কমাতে পারবেনা। উত্তর কোরিয়ায় পুরুষাঙ্গ কর্তনের আইন চালু আছে বলেই সেই দেশে ধর্ষন হয়না বললেই চলে।