নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

opolok-polok

অপলক

তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।

অপলক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাদ কৃষি: অর্থের অপচয় / সামাজিক অবক্ষয়

১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৭

টাইটেল পড়ে তেলে বেগুনে জলে ওঠার দরকার নাই। যদি নিচের পয়েন্টগুলোর সাথে সহমত না হন, তাইলে রাগটা ঝাড়তে পারেন।


১. মাটি: উর্বর মাটি কিনে আনছেন যারা শহরে থাকেন। যে টাকায় মাটি কিনছেন, তা কি ফসল/শশ্য হয়ে ফিরে আসছে?
২. পানি: যে পরিমান বিদ্যুৎ খরচ করে ছাদে গাছগুলোতে পানি দিচ্ছেন, সেই ইনভেস্টমেন্ট কি রিটার্ন পাচ্ছেন? খুব কমই আছে যারা চাল ধোয়ার পানি বা একবার ব্যবহৃত পানি সেচে ব্যবহার করেন।
৩. সার: বেশির ভাগ ছাদ কৃষিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করছেন। কারন জৈব্য সার তৈরীতে দুর্গন্ধ হয়, পোকা হয়, ব্যবহার ঝামেলা যুক্ত। রাসায়নিক সার ক্রয়ে বা উৎপাদনে সরকার কোটি কোটি টাকা নয় ছয় করে, আপনিও সেই নয় ছয় কে বাড়িয়ে দেন, তাই না?
৪. টব/পাত্র/ওয়াটাপ্রুফ ছাদ: এই যে হাজার হাজার টাকা খরচ করে মাটির/প্লাস্টিকের/ম্যাটেলিক পাত্র কেনেন বা বিশেষ ভাবে ছাদ তৈরী করে নেন, ৫-১০ বছরেও কি তা সেই খরচকে লাভে পরিনত করে?
৫. শ্রম: যে পরিমান শ্রম ঘন্টা অপচয় করেন বা কেউ কেউ মালি রাখেন, সেই পারিশ্রমিক বা খরচ কি ছাদ বাগান থেকে রিটার্ন পাচ্ছেন?
৬. মাটি দূষণ: যেহেতু বেশির ভাগ উৎসাহী ব্যক্তি রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন কোন সাধারন জ্ঞান ছাড়াই, তাই মাটি দূষিত হয়ে যায়, অথবা সেটা ফেলে দিয়ে নতুন মাটি সংগ্রহ করেন, তাতে কৃষি জমির টপ লেয়ার নষ্ট হয়। ১ ফুট উর্বর টপ লেয়ার তৈরী হতে কম পক্ষে ১৫ বছর সময় লাগে। কাজেই আপনি পরোক্ষ ভাবে মাটি দূষণ বা ক্ষয়ের সাথে জড়িত।
৭. পরিবেশ দূষণ:
- মাটির পাত্র তৈরী হতে পলি মাটি সংগ্রহ করে, আকার দিয়ে, রোদে শুকিয়ে আগুনে পোড়াতে হয়। কুমাররা পোড়ায়, গাছের কাঠ। ইট ভাটায় যে ক্ষতি হয়, আপনার মাটির টপ তৈরীতেও একই ক্ষতি হয়।
- যদি পাত্র প্লাস্টিকের হয়, তাহলে তো কথাই নেই। বাতাস পাস হতে পারে না বলে সেই টবে লাগানো গাছও ভাল হয় না, আবার ফেলে দিলে তা ১৫-২০ বছর সময় লাগে মাটির সাথে মিশতে। দূষণ আর দূষণ।
- টবে জমা পানিতে ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ার মশা জন্মায়। আজকের রিপোর্ট অনুযায়ী শুধু ঢাকাতেই ২৪৫ জন গত ৩ মাসে মারা গেছে।
- বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গ্যাস, তেল, কয়লা পোড়াতে হয়। মটর দিয়ে যে, আপনি ছাদে পানি তুলছেন, খেয়াল আছে আপনি বিদ্যুৎ খরচ করে তা করছেন? মানে পরিবেশ দূষণের অংশীদার। উপরন্তুু যেখানে ডলার সঙ্কট সেখানে আপনি তা প্রভাভিত করছেন, তাই না?
-আপনি যে কিটনাশক বা সার ব্যবহার করছেন, তার একটা অংশ বৃষ্টির পানিতে বা ওভার ফ্লো হয়ে ড্রেন হয়ে নদীতে মিশছে। মাছের প্রজনন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
- আপনি ডিপ টিউবয়েল দিয়ে ৩-১০ টলা ছাদের উপরে পানি তুলছেন, যথেচ্ছা ভাবে গাছে পানি দিচ্ছেন, পানির লেয়ার নীচে চলে যাচ্ছে। পানি কিন্তু আনলিমিটেড নয়। গ্যাসের মত পানিও ফুরিয়ে যাচ্ছে । পরবর্তী প্রজন্ম পানি পাবে না, সে খেয়াল আছে?
৮. অর্থ লগ্নি: কেউ কেউ বিদেশী অর্কিড বা ইনডোর প্লান্ট বিদেশ থেকে সংগ্রহ করেন। তারা কি বিনা পয়সায় সংগ্রহ করছেন?
৯. এত সুন্দর ছাদে আপনি ছাদ বাগান করছেন, ঠিক আছে, সখের তোলা ৮০টাকা। কিন্তু নিজের অজান্তেই আপনি বিল্ডিঙের আয়ু কমিয়ে ফেলছেন।
১০. এই যে ছাদ বাগান করছেন, কখনও বৃক্ষের চারা লাগিয়েছেন স্কুল, কলেজ, রাস্তা বা ক্ষয়ে যাওয়া বনের মাটিতে?

ঘর ভর্তি কাঠের ফার্নিচার। কতগুলো গাছ কাটতে হয়েছে সেসব বানাতে হিসেব রাখেন? এই যে বনে বাদারে বৃক্ষ জাতীয় গাছ না লাগিয়ে লাখ লাখ টাকা তিলে তিলে খরচ করছেন ছাদ কৃষিতে, অথচ পরিবেশের সত্যিকার অর্থে যা দরকার তা করছেন না, এতে আপনি নিজেই অবচেতন মনে সন্তুস্ট না, আপনার বাচ্চারও কি বা শিখছে? বাবা/মা গাছ লাগায় না, অথচ বাসায় কেউ আসলে ছাদ বাগান/কৃষি দেখাতে নিয়ে যায়। বৃহত্তর চিন্তা ঐ সব ফেমিলির বাচ্চারা কখনই শিখবে না। ওরাই বাবা মাকে ভাল রাখার নাম করে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসবে...

পাখি মুক্ত আকাশে উড়লেই ভাল দেখায়, ছোট্ট খাঁচায় ছটফট করলে নয়...

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: লেখায় যুক্তি আছে। পরবর্তী কমেন্টস এ পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি-তর্ক শোনার অপেক্ষায় রইলাম।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১১

অপলক বলেছেন: বিপক্ষে খুব কম। বিপক্ষে তারা যারা নিচে ক্ষোভ ঝেড়েছেন।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে দ্রুত নোবেল দেয়া দরকার।
প্রায় ১০০ বছর ধরে ঢাকাসহ সারাদেশে ছাদে গাছ লাগানো হলেও আজ পর্যন্ত কেউ আপনার মতো তত্ত্ব উদ্ধার করেনি।
ছাদে গাছ না থাকলে গরমে ঢাকায় মানুষ থাকতে পারতো না আর শাক-সব্জির দাম আরো কয়েকগুণ বাড়তো।
বৃষ্টির পানি মাটির নীচে চলে যায়, এটাও মনে হয় জানেন না।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৩

অপলক বলেছেন: বাংলাদেশ যখন জন্ম নেয় তখন ২৬% বনভূমি ছিল। এখন ৬% এরও কম। কাগজে কলমে ৯%। এদিকে গাছ কাটবেন,বন উজার করবেন, আর গরম গরম করবেন। বাহ কি দারুন ব্যপার। গরম থেকে বাঁচতে আবার বিদ্যুৎ পুড়িয়ে ছাদ কৃষি করবেন। বাহ...

অন্যদিকে ইটের ভাটায় উর্বর জমি নস্ট করবেন, নতুন নতুন বহুতল বাড়ি বানাবেন, আবার ছাদ কৃষি করবেন। গরু মেরে জুতা দান...

বৃষ্টির পানি কখনও হার্ভেস্ট করেছেন? ঢাকায় কয় পার্সেন্ট ফাকা জমি আছে বা ডোবা নালা পুকুর আছে যে আপনি বলবেন ৩ কোটি মানুষের জন্য যথেষ্ট বৃষ্টির পানি সুর সুর করে মাটির গভীরে রিজার্ভ হচ্ছে? যে ঢাকা শহরের চারপাশে নদী, সেখানে ৬০০ফুটের আগে পানির লেয়ার পায় না, গাজীপুরে ৩০০ফুট। কোথায় আছেন ভাই? একটু খোজ করেন।

রেইন ওয়াটার হার্ভেস্ট নিয়ে কয়েক শত ইউটিউব ভিডিও আছে। দয়াকরে দেখবেন।

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:


যারা ছাদ বাগান করে, তারা শারীকভাবে উপকৃত হয় ও মানসিক শান্তি পায়; আপনি না বুঝে অনেক কিছু লিখেছেন।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪০

অপলক বলেছেন: আমি জেনে বুঝে স্বজ্ঞানে লিখেছি বাস্তব অভিঙ্গতা থেকে। ২০০১ সাল থেকে আমি ছাদ বাগান করছি। কিন্তু বর্তমানে আমার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এসেছে। তাই শিক্ষিত সমাজে তুলে ধরা...

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

নতুন বলেছেন: আপনার মতন চিন্তা করলে বলতে হয়।

আপনি যে ব্লগে এই লেখাটা লিখলেন সেটা কতটুকু কাজের কাজ হলো???????

সব কিছুর মুল্যায়ন লাভ লস দিয়ে হয় না।

আমার একুরিয়ামের ভিডিও নিচের লিংকে আছে। এটা বানাতে যে খরচ হয়েছে সেটা আপনার মতে অপচয়। কিন্তু এই একুরিয়াম বানাতে ডানা আর আমি মিলে যেই কাজ করেছি, এটার যত্ন নেয়া, খাবার দেওয়া এবং বসে বসে এদের দেখে যে আনন্দ পাওয়া যায়, মনে যে শান্তি পাওয়া যায় সেটা আপনি কিভাবে পরিমাপ করবেন?
https://www.instagram.com/p/CflFsbYDFTD/

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৪

অপলক বলেছেন: লেখাটার স্বার্থকতা হল, শিক্ষিত সমাজ কে জানাতে পেরেছি। আমার চিন্তা ভাবনা কে স্থায়ী রুপ দিয়েছি।

একুরিয়ামের ভিডিও টা দেখলাম। সুন্দর। স্মার্ট টিভি বা মনিটরে এমন ভিডিও চালনো যায়। চোখের ক্ষুধা মেটানোর জন্যে। তবে ধন্যবাদ জানাই যে, আপানার সৌন্দর্য জ্ঞান আছে।

তবে আমার ধারনা আপনি/আপনার পরিবার মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরার যে আনন্দ তা পাননি বা খুব কমই পেয়েছে্ন। সকালে বা বিকালে মাছের লাফিয়ে লাফিয়ে ঘাসের ডগা খাওয়া, বা ঝাঁক বেধে মাছের সাঁতার কাটা কিংবা মা মাছের বাচ্চাগুলোকে আগলে রাখার যে প্রক্রিয়া এগুলো একুরিয়ামে পাবেন না। ঘরের ভেতরে এক ঝাক মাছ লালন পালন আমি পরিবেশ বান্ধব মনে করি না। ছাদকৃষির বিপরীতে যে সব যুক্তি আমি দিয়েছি, তার সাথে একুরিয়ামে মাছ পালনে, খুব একটা পার্থক্য দেখি না।

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০০

মামুinসামু বলেছেন: কিছু কথা তো সত্যি...
তবে আপনিই বলে দিয়েছেন সখের তোলা ৮০টাকা

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৫

অপলক বলেছেন: জ্বি ভাই...সখের তোলা ৮০টাকা। সখ বা মনের ক্ষুধার ব্যাপারটা প্রশ্নাতীত। এর উপর আর কিছু হয় না। ধন্যবাদ।

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০১

শেরজা তপন বলেছেন: যুক্তি খারাপ নয়। আবশ্যই আপনি প্রকৃতি ও পরিবেশের কথা ভাবেন- বেশ ভালভাবেই ভাবেন।
কিন্তু মুল বিষয়টা শেষে এসে আপনি এলোমেলো করে ফেলেছেন-
আপনার বাচ্চারও কি বা শিখছে? বাবা/মা গাছ লাগায় না, অথচ বাসায় কেউ আসলে ছাদ বাগান/কৃষি দেখাতে নিয়ে যায়। বৃহত্তর চিন্তা ঐ সব ফেমিলির বাচ্চারা কখনই শিখবে না। ওরাই বাবা মাকে ভাল রাখার নাম করে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসবে.
এ অংশটুকু আমার একেবারেই পছন্দ হল না।
আপনি পুরো বিষয়টা ঋণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গীতে বিচার করছেন- এর অনেক পজিটিভ দিক রয়েছে। খুঁজে দেখুন পাবেন।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০১

অপলক বলেছেন: আমার মা কখনই সব ভাই বোনকে এক রকম খাবার দিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। কারও গরুর কাল ভুনা, কারো ঝোল, কারও ঘন ঝাল ভুনা, কারও আবার ভাজা গোশত পছন্দ। আমিও আশা করি না যে, ২০০ পাঠকের সবাই কে আমি আমার পক্ষে নিতে পারব। বা সকলকে খুশি করতে পারব।

বাচ্চাদের নিয়ে ঐ অংশটুকু লিখতে আমার নিজেরও অস্বস্তি লেগেছে। ক্ষমা করবেন।

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ছাদ বাগানে শুধু একবার নির্মল শ্বাস নিয়ে দেখুন, অনেক পয়েন্ট বাদ দিতে ইচ্ছা করবে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০৩

অপলক বলেছেন: আসেন কোলাকুলি করি। এমনকি একটা ফুল ফুটলেও ভাল লাগে ...

মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়...

৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:













কিছু ছবি বোধহয় রিপিট হয়ে গেছে।
জানি আপনার ভালো লাগবে না। তবে করোনার সময় আমার এই ছাদ বাগান আমার মিসেসকে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছিল। সারাক্ষণ সাইরেন শুনে যখন নার্ভের রোগীতে পরিণত হয়,ডাক্তার বাবু ভার্চুযালী ঔষধ দিলেন কিন্তু কোনো দোকান ঔষধ দিতে রাজি হলোনা। অগত্যা সেখান থেকে রাজমিস্ত্রীদের নিয়ে ছাদে বাগান করতে কনস্ট্রাকশনে হাত দেই।সেখান থেকে শুরু। অভিজ্ঞতায় দেখেছি বেগুন ও ছিমগাছে বেশি পোকা লাগে বাকি সবজিতে সেই অর্থে কিটনাশকের দরকার হয়না।বাড়ির যাবতীয় সবজি পচা দিয়ে ও গোবর সার দিয়ে তৈরি ছাদ বাগান একশো শতাংশ জৈব সারে তৈরি।এই যে সম্পূর্ণ অর্গানিক না হলেও প্রায় পাশাপাশি সবজি খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছি তার দাম শুধু অর্থনৈতিক হিসেবেনিকেশ করে পাওয়া সম্ভব নয়। আমাকে গত দু'বছর ধরে শুধু আলু পেঁয়াজ রসুন আদা কিনতে বাজারে যেতে হয়। নতুবা কি শীত কি গ্রীষ্ম প্রায় সব সবজি আমার ছাদ বাগানে হয়। আপনাকেও পরামর্শ দেবো নিজের বাসায় সুন্দর শ্বাস নিতে অবশ্যই ছাদে একটা বাগান করুন। সম্ভব হলেও আগামীতে সেই সম্পর্কে ছবি দিবেন এই প্রত্যাশায় রইলাম।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা আপনাকে।



১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১২

অপলক বলেছেন: দু:খিত। আমি ২০০১ সাল থেকে ছাদ বাগান করি। আমার ১০৩ রকম বিভিন্ন জাতের গাছ ছিল। একটা বহু পুরোনো পোস্ট পাবেন আমার ব্লগে।

মানুষকে বেঁচে থাকতে কিছু না কিছু কে আকড়ে থাকতে হয়। আপনি বা আপনার মিসেস ভাল কিছুই করেছেন। ধন্যবাদ। তবুও বলব, লেখাটা আমার সমসাময়িক চিন্তা ধারা থেকে। চাঁদের ও অন্ধকার পিঠ থাকে, সে রকম একটা কিছু।

৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এর নাম উলটা যুক্তি!!

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৫

অপলক বলেছেন: বৃক্ষ তোমার নাম কি, ফলে পরিচয়।

১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৩

শাহ আজিজ বলেছেন: পানি সরবরাহ একটি ব্যয় বহুল ব্যাপার । সরকার না ভেবেই উৎসাহ দিয়েছে ছাদ বাগানের । ঢাকা শহরে পানি সংকট তীব্র । সম্ভবত ছাদ বাগান খেয়ে ফেলছে সিংহভাগ সাপ্লাইএর পানি । এ নিয়ে কোন গবেষণা নেই । গাছ ভালবাসি কিন্তু পানি নষ্ট করে নয় ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৪

অপলক বলেছেন: হুম... আমিও...

১১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩২

জগতারন বলেছেন:
আমি কি আর বলবো!
আমার কথা ইতিবাচক বা নীতিবাচক ও না।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৮

অপলক বলেছেন: দুই নৌকায় পা দিয়ে রাখলে এক সময় নদীতে পরে যেতে হয়।

১২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

ছাদ কৃষি নিরোগ রাখে?

১৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মানুষ যদি একটু কায়িক পরিশ্রম না করে তাহলে আরো রোগে আক্রান্ত হবে। এটা লাভের না শখের ও সময় কাটানোর

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৬

অপলক বলেছেন: সময় কাটানো বা কায়িক পরিশ্রমের বহু পন্থা আছে যা সমাজের জন্য দরকারি। কিন্তু কেউ করে না। আজ নগর/শহুরে জীবনের এমন অবস্থা যে সামনের ফ্লাটে কে আছে, তাও জানে না। তার প্রতিবেশী কে তাও জানে না। সময়ের আগেই নিজেকে মনে প্রাণে বৃদ্ধ বানিয়ে ফেলে। নিজের যোগ্যতাকে স্মৃতিচাপা দেয়।

তবে শখ বা মনের ক্ষুধার ব্যাপারটা প্রশ্নাতীত। এর উপর আর কিছু হয় না। তারপরেও বলব আমার লেখার শিরোনাম ছিল: "ছাদ কৃষি: অর্থের অপচয় / সামাজিক অবক্ষয়"

১৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৬

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: লেখাটার স্বার্থকতা হল, শিক্ষিত সমাজ কে জানাতে পেরেছি। আমার চিন্তা ভাবনা কে স্থায়ী রুপ দিয়েছি।

একুরিয়ামের ভিডিও টা দেখলাম। সুন্দর। স্মার্ট টিভি বা মনিটরে এমন ভিডিও চালনো যায়। চোখের ক্ষুধা মেটানোর জন্যে। তবে ধন্যবাদ জানাই যে, আপানার সৌন্দর্য জ্ঞান আছে।

তবে আমার ধারনা আপনি/আপনার পরিবার মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরার যে আনন্দ তা পাননি বা খুব কমই পেয়েছে্ন। সকালে বা বিকালে মাছের লাফিয়ে লাফিয়ে ঘাসের ডগা খাওয়া, বা ঝাঁক বেধে মাছের সাঁতার কাটা কিংবা মা মাছের বাচ্চাগুলোকে আগলে রাখার যে প্রক্রিয়া এগুলো একুরিয়ামে পাবেন না। ঘরের ভেতরে এক ঝাক মাছ লালন পালন আমি পরিবেশ বান্ধব মনে করি না। ছাদকৃষির বিপরীতে যে সব যুক্তি আমি দিয়েছি, তার সাথে একুরিয়ামে মাছ পালনে, খুব একটা পার্থক্য দেখি না।


দুনিয়ার প্রতিটি ঘটনাতেই আপনি পক্ষে এবং বিপক্ষে যুক্তি দিতে পারবেন, আপনি একটু আলোচনার জন্য রিভার্স ভাবনা থেকে লিখেছেন। ;)

শহুরে জীবনে মুক্ত জলাশয়ে কাদা মাটি মেখে মাছ ধরার হয়ই কখনোই।

মানুষের জীবনে যেই জিনিস করে সে আমদিত হয়, ভ্যাজাল থেকে দুরে থাকতে পারে, সুখী অনভব করে সেই জিনিসের মূল্য টাকা পয়সার মানে হিসাব করলে চলে না।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৮

অপলক বলেছেন: আমাদের বৃহত্তর চিন্তা ভাবনা করা উচিত। আপনার সামর্থ আছে, তাই করছেন। যার সামর্থ নাই তারও তো ভাল/সুখী থাকার ইচ্ছা থাকে।

আর আমি একটু আলোচনার জন্যে এখানে লিখিনি। কেউ আমার ব্লগ না পড়লেও কিছু করার নেই। লাইক পাবার জন্যে ফেসবুক, ইনস্টগ্রাম, টিকটক, ইউটিউব এসব আছে...

ধন্যবাদ।

১৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৭

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমাদের বৃহত্তর চিন্তা ভাবনা করা উচিত। আপনার সামর্থ আছে, তাই করছেন। যার সামর্থ নাই তারও তো ভাল/সুখী থাকার ইচ্ছা থাকে।

আসলেই বৃহত্তর চিন্তার কোন দরকার আছে? আপনি দুনিয়াতে নাই তো দুনিয়ার কোন মুল্য নাই। তাই দুনিয়াতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন জিনিস আপনি।

আর আমি ব্লগার নতুনকে কয়জন মনে রাখবে? ৫০ বছর আগের কয়জন মানুষকে মনে রেখেছে? আর মনে রাখলেই কি তাদের কোন লাভ আছে? তাহলে এই বৃহত্তর চিন্তায় আপনার করা কাজগুলি কি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ কাজ?

আপনার কাজ/নাম অমর থাকবে এটা একটা ইলুউসন যাতে মানুষ সমাজের জন্য কাজ করে, এতে সমাজের লাভ, আপনি মারা গেলে আপনার কোন লাভই এতে নাই।

তাই বৃহত্তর ভাবনা না করে একুরিয়াম বানান, যখন বেশি স্ট্রেসট হবেন তখন বসে বসে মাছের জগতে চলে যান বাস্তবের ঝামেলা ছেড়ে মনটাকে ফ্রেস করুন। B-))

১৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৯

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমাদের বৃহত্তর চিন্তা ভাবনা করা উচিত। আপনার সামর্থ আছে, তাই করছেন। যার সামর্থ নাই তারও তো ভাল/সুখী থাকার ইচ্ছা থাকে।

মানুষ দরিদ্র থাকে আলসেমীর কারনে। কেউই দরিদ্র মানুষকে দরিদ্র থাকতে বাধ্য করেনাই। যদি কেউ চেস্টা না করে দরিদ্র থাকে তার জন্য যার সামর্থ আছে তার কেন ত্যাগ করতে হবে? ;)

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫১

অপলক বলেছেন: আসলে এটা নির্ভর করে কে কতটা স্মার্টলি কোথায় শ্রম দিচ্ছে। আবার কে কোথা থেকে শুরু করেছে। ধরুন রাস্তার মুচি সারাদিন জুতা পালিশ করছে। তার বাবাও হয়ত সেটাই করেছে।

কিন্তু ধরুন কেউ বাবার বিশাল বিজনেজ দেখতে বাবার চেয়ারে বসেছে। দুটো উদাহরনে দুজনই শ্রম দিচ্ছে। কিন্তু দিন শেষে উপার্জনের ব্যবধান অনেক।

চেষ্টা সবাই করে। সবশেসে ভাগ্য বলেও একটা কথা আছে। সারা জীবনের উপার্জন শেষ হতে একটা বিশেষ রোগ/ঘটনাই যথেষ্ট। মানুষ কখনও একা ভাল থাকতে পারে না।

১৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৩

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: আপনার লেখা পয়েন্ট ১ থেকে ৫ - সবকিছু টাকার অংকে বিবেচনা করতে হবে কেন?
উপকারের দিকগুলো খেয়াল করেন -
১) অক্সিজেনের ওয়ারহাউজ - যেখানে দিনকে দিন শহর থেকে গাছ বিলিন হয়ে যাচ্ছে সেখানে ছাদকৃষি হতে পারে আপনার ও আপনার সন্তানের জন্য অক্সিজেনের ওয়ারহাউজ।
২) দৈনিক চাহিদা - সবজির দৈনিক চাহিদার প্রায় ৯০% ই ছাদ কৃষি থেকে পাওয়া সম্ভ্যব।
৩) উপার্জন - দৈনিক চাহিদা পূরনের পরে অতিরিক্ত সবজি বিক্রি করা যেতে পারে।
৪) সখ্যতা - অতিরিক্ত সবজি/ফল স্বজন-প্রতিবেশিকে দিলে সম্পর্কের সখ্যতা বৃদ্ধি পাবে।
৫) অবসর কাটানো - পরিবারের বৃদ্ধদের সময় কাটানোর খুবই চমৎকার অপশান ছাদকৃষি
এমন আরো অনেক উপকার খুঁজে বের করা যাবে...

পয়েন্ট ৬, ৭ মাটি/পরিবেশ দূষনের যে কথা বলেছেন তা নিত্যান্তই খুঁড়া যুক্তি মনে হচ্ছে। ইউটিউবের এই যুগে এখন আর পাবলিক অতটা বোকা নেই। স্যার শাইখ সিরাজের ছাদকৃষি অনুষ্ঠানের মাধ্যেমে সাধারন মানুষও অনেক সচেতন। জেনে বুঝেই সবাই ছাদকৃষি করছে যাতে তার ভবনের ছাদ/পরিবেশের ক্ষতি না হয়।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৭

অপলক বলেছেন: আপনি বাস্তব দেখেননি। তাই এভাবে লিখছেন। আপনি কি জানেন, প্রতি দিন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ৩৭৮ লিটার অক্সিজেন লাগে? আপনার ছাদের বেগুন/টমেটো গাছ কি তা পারবে ভাবছেন। আমার লেখাটি ২য় বার পড়ুন, ভাবুন, তারপর আবার ফিরুন।

শাইখ সিরাজ একটি টিভি অনুষ্ঠানের খোরাক যোগায়। ব্যাপার টা ভুললে চলবে না। যারা কৃষি অফিসার তারা জানেন, তার অনুষ্ঠানের কোন কোন উপাত্ব অগ্রহন যোগ্য।

১৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৭

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আসলে এটা নির্ভর করে কে কতটা স্মার্টলি কোথায় শ্রম দিচ্ছে। আবার কে কোথা থেকে শুরু করেছে। ধরুন রাস্তার মুচি সারাদিন জুতা পালিশ করছে। তার বাবাও হয়ত সেটাই করেছে। কিন্তু ধরুন কেউ বাবার বিশাল বিজনেজ দেখতে বাবার চেয়ারে বসেছে। দুটো উদাহরনে দুজনই শ্রম দিচ্ছে। কিন্তু দিন শেষে উপার্জনের ব্যবধান অনেক। চেষ্টা সবাই করে। সবশেসে ভাগ্য বলেও একটা কথা আছে। সারা জীবনের উপার্জন শেষ হতে একটা বিশেষ রোগ/ঘটনাই যথেষ্ট। মানুষ কখনও একা ভাল থাকতে পারে না।

আপনাকে ফুটবল খেলতে নামানো হয়েছে এখন আপনি যদি ৯০ মিনিট ঘুরাঘুরি করে পারকরেন তবে সেটা আপনার সমস্যা। কেউই আপনাকে ৩টা গোল দিয়ে সফল হতে আটকাইয়া রাখে নাই।

মানুষ চেস্টা করেনা তাই অর্জন করতে পারেনা। অল্প কিছু বিষয় হয়তো মানুষের নিয়ন্ত্রনে থাকেনা। কিন্তু বেশির ভাগই মানুষ চাইলেই করতে পারে। তার জন্য যেটুকু কস্ট করা দরকার সেটা মানুষ করেনা। শুধুই ভাগ্যের উপরে দোষ দেয়।

১৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যার ভাললাগে করেবে যার ভাললাগেনা করবেনা।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩০

অপলক বলেছেন: জানেন তো, বাঙ্গালীরা হুজুগে ...

২০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার চিন্তা ভাবনা সঠিক নয়।
হ্যাঁ এই বিষয়টা আমি খুব স্রীঘই একটা পোষ্ট দিবো।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৮

অপলক বলেছেন: পোস্টের অপেক্ষায় আছি...

২১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪২

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ছাদ কৃষি সম্পর্কে আপনার ধারনা সঠিক নয় । দৃষ্টি ভঙ্গি পাল্টান দৃশ্যপট পাল্টে যাবে । আমি নিজে ছাদ কৃষি করি । লাভটাই আসল নয় , স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ । এ দুটোই ছাদ কৃষিতে রক্ষা হয় ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩২

অপলক বলেছেন: দৃষ্টি ভঙ্গি পাল্টানো মানে নিজেকে পাল্টানো। সেটা সম্ভব না...

আপনার জন্যে শুভেচ্ছা রইল।

২২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই , এ দুনিয়ায় সব কিছু অর্থের বিচারে বিচার করা যায়না বা অর্থাগমই সাফল্য কিংবা ব্যর্থতার মাপকাঠি নয়।

আপনি নিজে যদি কখনো তা (ছাদ বাগান) করে থাকেন তাহলে আপনি অনুভব করতে পারবেন যে এতে কি পরিমান মনের প্রশান্তি ও আনন্দ মিলে।

নিজের হাতে লাগানো পরিচর্যা করার পর যখন গাছ থেকে একটা ফল কিংবা একটু শাকসবজি আহরন করা হয় এর যে কি পরিমান সুখ তা টাকার মূল্যে বিচার করার অবকাশ আছে বলে মনে হয়না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.