![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।
উত্তরবঙ্গের চাষীরা, ভেঙ্গে পরবেন না। আপনারা আমাদের দেশের নিস্বার্থ নিবেদিত যোদ্ধা। আলু নিয়ে হতাশ হবেন না। জয়পুরাহাট ও ঠাঁকুরগায়ে সরকারীভাবে অল্প কিছু আলু রাখার ঘর তৈরী করে দিয়েছে। ৪ মাস আলু ভাল থাকবে ঐ সব ঘরে। যদি আপনি বরাদ্দ না পান, একই ধাচের ঘর নিজের বাসায় বানিয়ে ফেলুন। ঐ ধরনের ঘর বানাতে ১ সপ্তাহের বেশি লাগার কথা না। ঘর তৈরীর ট্রেনিং পেতে কৃষি অফিসে যোগাযোগ করুন। তাও না হলে youtube এ আংশিক ভিডিও দেয়া আছে, দেখে নেবেন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে কখনই ৫-৬ মাসের বেশি আলু সংরক্ষণ করা যায় না। কিন্তু মাচাং আলুর স্বাদ কোল্ডস্টোরের আলুর চেয়ে বেশি। প্লাস পয়েন্ট হল, বাজারে ঘরে রাখা আলু বা মাচাং আলুর দাম বেশি। শহরে চাহিদাও বেশি। তাই হতাশ হবেন না।
যা করতে হবে:
১. মাঠে আলু তোলার পর পানি মারবেন না বা পানিতে ধোয়া যাবে না।
২. আলুর গায়ে লেগে থাকা মাটি বা বালি শুকিয়ে নিন।
৩. নিখুদ, পোক্ত আলু বাছায় করুন। কাটা, থেতলানো, অপোক্ত, দাগ লাগা বা দাউদ আলা আলু বাদ দেবেন।
৪. আলুর গায়ে আঘাত লাগে এমনভাবে ওঠা নামা করবেন না।
৫. যদি সম্ভব হয়, CPC spray করবেন বা অঙ্কুরদগম রোধী স্প্রে করবেন। না পেলে দরকার নাই।
৬. বেশ কয়টি পদ্ধতি আছে, ঘরোয়া উপায়ে আলু সংরক্ষনের। যেমন:
ক) মাচাং পদ্ধতি
খ) কুয়ো পদ্ধতি
ভারতে কুয়ো বা হাউজ পদ্ধতি বেশি চলে যেখানে গরমে তাপমাত্রা অত্যাধিক হয় এবং বৃষ্টি/বন্যা কম হয়। খরচ বেশি, স্থায়ীত্ব বেশি। আমাদের দেশের কৃষকদের আর্থিক স্বচ্ছলতা কম। বিধায় এটাতে আমার আগ্রহ কম। তবু সংক্ষেপে বলছি:
- আঙ্গিনার লেভেল থেকে ৬ফুট গভীর করে হাউজ করতে হবে। হাউজের প্রস্থ প্রয়োজন মত হবে। হাউজের দেয়াল পানি প্রতিরোধী হতে হবে।
-হাউজের নীচে ৩ ইঞ্চি পরিমান শুকনো ঝরঝরে বালি দিতে হবে।
- ১ফুট পরিমান আলু রেখে আবার বালির প্রলেপ দিতে হবে, মানে বালি দিয়ে আলু ঢেকে দিতে হবে। এভাবে ১ ফুট বাকি রেখে আলু স্তরে স্তরে সাজাতে হবে।
- আলু দিয়ে হাউজটি পরিপূর্ণ হলে, মাশারীর মত কোন নেট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে যাতে বায়ূ চলাচল করে। পোকামাকর না যায়।
- রোদ বা পানি হাউজের উপর যাতে না পরে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
- প্রতি মাসেই কম পক্ষে একটি লেয়ারের আলু তুলে ফেলতে হবে। এভাবে ৪ মাস আলু ভাল থাকবে।
মাচাং পদ্ধতি:
এটা মূল মন্ত্র ঠিক রেখে যে কোন জায়গায় বানানো যাবে। সেটা বাসার আঙ্গিনায় বা ঘরের চালের কোঠাতেও হতে পারে।
- প্রথমে মাটি থেকে ১ ফুট উচুতে বাঁশের চাটায়ের মেঝে বানাতে হবে।
- ঘরের প্রষ্থ প্রয়োজন মত। উচ্চতা যতগুলো লেয়ার করবেন তার উপর। মাচাঙের চারপাশ পাটকাঠি বা বাশের চাটায় দিয়ে ঘিরে দেয়াল বানাতে হবে।
- যদি ৩-৪ মাষ আলু সংরক্ষনের প্রয়োজন হয় তবে, ৫ ফুটু উচ্চতা পর্যন্ত আলু খামাল বা স্তুপ করে রাখতে পারেন। যদি ৬ মাস রাখতে চান তবে, ১ ফুট আলু রেখে তার উপর শুকনো বালু দিয়ে আবার ১ ফুট আলু, আবার বালু আবার আলূ। এভাবে ৪-৫ ফুট পর্যন্ত করতে পারেন।
-প্রতি ১৫ দিনে আলুর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যদি ইদুর আলু খায়, সরিয়ে ফেলতে হবে। যদি আলু ঘামা ঘামা হয় , সরিয়ে নিতে হবে।
- মাচাং ঘরে আলো যতটা না ঢোকে তার ব্যবস্থা করতে হবে। পলিথিন ব্যবহার করা যাবে না। ফ্যান ব্যবহার করা গেলে ভাল। নয়ত যথেষ্ট বাতাস চলাচল করতে পারে তা নিশ্চিত করা।
- যদি বালি ব্যবাহার না করেন, তাহলে কিছু দিন পরপর আলু ওলোট পালট করে দিতে হবে। মানে উপরের আলু নিচে, নিচের আলু ওপরে। এতে একটা সুবিধা হল, পচা আলু বেছে নেয়া যায়। ফলে বেশি দিন আলু ভাল থাকে।
- যদি উপরে সিমেন্টের টিন দেন তবে খু্বই ভাল। কিন্তু যদি মেটেল টিন দেন, তবে নিচে খড় বা বাশের সিলিং থাকা ভাল অধিক তাপের হাত থেকে বাচাতে।
মনে রাখবেন, আলু যদি ১০ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রায় ঘরে/মাচাং এ থাকে তাহলে আলুর মান খুবই ভাল থাকবে।
আমি দেখেছি, কোন কোন কৃষক ৫ঘন ফুটের (দৈর্ঘ্য প্রস্থ উচ্চতা ৫ ফুট করে)বাশের খাচি তৈরী করে তাতে আলু রাখে। এতে কোন যত্নের প্রয়োজন হয় না। শুধু শুকনো অন্ধকার বায়ূ চলাচল করে এমন জায়গায় রাখতে হয়।
একজন কৃষকেরও যদি এই লেখাটা উপকারে আসে, আমি ধন্য বোধ করব।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৫
অপলক বলেছেন: আলু তো গুদামে রাখা যায় না ভাই... হিমাগারে রাখা যেতে পারে.,,সরকার পারলে তো করতই...
২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩২
ধুলোপরা চিঠি বলেছেন:
গুদাম বলতে হিমাগারকেই বুঝায়েছি; সরকার খাদ্য কিনে, সামান্য আলু কেনা কি অসম্ভব ব্যাপার?
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:১৭
অপলক বলেছেন: সরকার হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করেছে কি না জানি না।
ঢাকা শহরে প্রায় ৩ কোটি মানুষ বাস করে। ধরলাম ৩ লক্ষ পরিবার আছে। গড়ে প্রত্যেক পরিবার যদি ২০কেজি আলু কেনে এই মাসে, তাহলে ৬০০০টন আলু কৃষকের ঘর থেকে ভোক্তার ঘরে চলে যায়। আলু ১ মাসে পচে না। কাজেই সারা দেশের সব জায়গায় যদি সাধারন মানুষ আলু এ মাসে কিনে রাখে যে যতটুকু পারে, খাবার জন্যে, তাহলে কৃষক বেচে যায়। কারন কৃষক গুদামের টিকেট পাচ্ছে না, সব টিকেট অগ্রিম কিনে রেখেছে ফরিয়ার/ব্যাপারি/সিন্ডিকেটের লোকজন। তাই এখন আলু কিনলে সেটা কৃষকদের আলুই কেনা হবে।... সিন্ডিকেটের লোকজন বেচবে আগস্ট সেপ্টম্বরে...
৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯
কৃষ্ণের মুরলী বলেছেন: আমাদের ভাতের বদলে আলু খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। আলু দিয়ে বার্গারও বানানো যায়।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:০৮
অপলক বলেছেন: কোন এক সাংসদ আপনার কথাই বলেছিল ... ভাই মুরলী : কে ভাই আপনি? আসল পরিচয়? কিসের যেন গন্ধ পাচ্ছি ...!!!
ওহ ! চুলোয় আলু পোড়ার গন্ধ।
৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:১৮
কৃষ্ণের মুরলী বলেছেন: আমার পুরা নাম রাধারমণ কৃষ্ণচন্দ্র দাশ মুরলী। আমি ব্লগে একদম নতুন না। মাঝে মাঝে ব্লগ পড়ি।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:২০
অপলক বলেছেন: মজা করে ওভাবে বলেছি। আসলে ২০১৪তে কৃষিমন্ত্রী হুবহু আপনার কথা বলেছিল পরিস্থিতির শীকার হয়ে।
ধন্যবাদ।
৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪৮
কৃষ্ণের মুরলী বলেছেন: আমিও মজা করে বলেছি। এটা আমার ছদ্মনাম বলতে পারেন। আসল নাম বলা যাবে না। হে হে হে
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭
ধুলোপরা চিঠি বলেছেন:
সরকার কিনে, সরকারী গুদামে রক্ষা করলে কেমন হয়?