নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাদামাটা মানুষ। ভালবাসার কাঙ্গাল। অল্পতেই তুষ্ট। সবাই আমাকে ঠকায়, তবুও শুরুতে সবাইকে সৎ ভাবি। ভেবেই নেই, এই মানুষটা হয়ত ঠকাবেনা। তারপরেও দিনশেষে আমি আমার মত...

অপলক

তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।

অপলক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষমতায় যাবার আগেই নারী বিদ্বেষ শুরু

০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ১০:১১

সংবাদ সম্মেলন থেকে বের করে দেওয়া হলো নারী সাংবাদিককে, যা বললেন মুফতি ফয়জুল করিম

বরিশালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমের এক নারী সাংবাদিক মনিকা চৌধুরীকে সংবাদ সম্মেলন কক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়।

সম্মেলন কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে যুগান্তরের নারী সাংবাদিক মনিকা চৌধুরী জানান, তিনি ছবি তুলছিলেন, এ সময় তাকে বের হয়ে যেতে বলা হয়। অন্য সাংবাদিকেরা তাকে রাখার অনুরোধ জানালেও বলা হয়, নারী সাংবাদিক রাখা যাবে না।

এ বিষয়ে মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, আমি একজন মুসলমান। আমি আমার ধর্ম পুরোপুরি পালন করব। আমার ধর্মমতে সব পালন করার স্বাধীনতা আছে।

তাই তিনি তার সম্মেলনে নারী সাংবাদিকের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করেছেন। এর অর্থ এই দাড়ালো যে, এরা ভোটের মাধ্যমে বা তাহাজ্জুতী নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেলে মা বোন বা সহধর্মীনিরা অফিস আদালতে আর যেতে পারবেন না। বাংলাদেশকে তারা আফগানিস্তান বানিয়ে ফেলবে। এদের মনে জেন্ডার বড় ইস্যু। যোগ্যতা নয়। নারী দেখলেই সিড্যুস হয়ে যায়। এরা নারী কে মানুষ হিসেবে নয়, সেক্সমেশিন বা সন্তান পয়দার কারখানা হিসেবে দেখে।

আমি ভাবছি, একজন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েব যদি মেয়র হবার আগেই এমন নারী বিরোধী কট্টর মনা হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচনের পর এরা আমরা যারা সাধারণ মানুষ, তাদের উপর না জানি কত জুলুম করবে।

এখনও সময় আছে। টুপি বাহিনীর হাত থেকে আমজনতাকে রক্ষা করার। ধর্ম বা জাত দেখে নয়, ভাল চিন্তার মানুষদের সাংসদ বানাতে হবে, মেয়র বা চেয়ারম্যান বানাতে হবে তথা জনপ্রতিনিধি বানাতে হবে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ১০:২৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হাতপাখা ক্ষমতায় যাবে আপনাকে কে বললো?

০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ১০:৩৩

অপলক বলেছেন: তালগাছের মালিক...খুব নাকি বিকোচ্ছে...গরম পরছে না !!! সুযোগ এসেছে তো... ১৬ বছর ধরেন আর ৫৪ বছর ধরেন। সুযোগ এসেছে... খোয়াব ভেঙ্গেছে...

২| ০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ১০:৫২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: টেনশন নিয়েন না।

০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ১১:০১

অপলক বলেছেন: আপনার ব্লগের গত ২টা লেখা যতো না জটিল, দেশের রাজনীতি তার চেয়েও জটিল ভাই... এর চেয়ে নিউটনের থার্ড ল বোঝা সহজ।

৩| ০৩ রা মে, ২০২৫ রাত ১১:২৫

যামিনী সুধা বলেছেন:


শেখ হাসিনা নেই, সেটার সুযোগ নিচ্ছে।
শেখ হাসিনা থাকবে না, কিন্তু আওয়ামী লীগ ফিরবে

০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ৯:১৬

অপলক বলেছেন: ধু'রো...!
কার ভেতরে কি, পান্তা ভাতে ঘি। মুডটাই নষ্ট করে দিলেন।

আপনার হাসিনা আগে মিশরের রাজাদের দেবতার পূজা করতো (নেটে ভিডিও আছে, ০৫ আগস্টে,২০২৪ রিচুয়াল করার চাদর এবং অন্যান্য বস্তুর হাসিনার আলমারী থেকে খুজে পাওয়া)। এখন উনি আশায় আছেন, কবে ইয়াহূদিরা লাল ষাঁড় জবাই দেবে সেই দিনের। তারপরেই নাকি ইয়াহূদিরা সারা পৃথিবীর ক্ষমতা পারে, হাসিনাও ফিরবে। (ধারনা প্রসূত)

৪| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ ভোর ৬:৪০

নকল কাক বলেছেন: হাতপাখা ওয়ালারা ক্ষমতায় আসার চান্স খুবই কম।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ৯:১৭

অপলক বলেছেন: হুমম !

৫| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ৭:০৭

রাবব১৯৭১ বলেছেন:
ধর্মের নামে নারী বিদ্বেষ ও মৌলবাদীদের মুখোশ উন্মোচন
আজকের পৃথিবীতে ধর্ম মানুষের আত্মিক পরিশুদ্ধি ও নৈতিক উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যম হওয়া উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ধর্মকে ব্যবহার করছে এক ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে বিশেষ করে নারীদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের হাতিয়ার রূপে। বাংলাদেশেও এক শ্রেণির তথাকথিত ইসলামপন্থী মৌলবাদী আজ ইসলাম ফোবিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তারা যেন ধর্ম নয়, বর্বরতা প্রচার করতে মঞ্চে উঠে আসে।
এই মৌলবাদীরা নারীদের নিয়ে যে ভাষায় কথা বলে, তা শুধু অশালীন নয়, চূড়ান্ত অপমানজনক। তাদের কথাবার্তা শুনে মনে হয় যেন তারা কোনো নারী গর্ভে জন্ম নেয়নি। এরা ভুলে যায়, একজন নারী একজন মা এই সমাজের প্রতিটি পুরুষের প্রথম শিক্ষক, প্রথম আশ্রয়। অথচ তারা নারীদের পোশাক, চুল, চলন-বলনকে কেন্দ্র করে ঘৃণা ছড়ায়, অপমান করে, হেয় করে। এ কোন ধর্ম শিক্ষা দেয় যে, একজন নারীকে তার শরীর দিয়ে মাপতে হবে? যে ধর্ম 'মা' কে বেহেশতের চাবির চেয়েও সম্মানজনক আসনে বসায়, সেই ধর্মের নাম ভাঙিয়ে নারীদের পায়ে শেকল পরাতে চায় এই মৌলবাদীরা?
তাদের ভণ্ডামি এখানেই শেষ নয়। তারা ক্ষমতায় এলে শরিয়া আইনের নামে মধ্যযুগীয় বর্বরতা কায়েম করার স্বপ্ন দেখে। তারা চায় মেয়েরা স্কুলে না যাক, রাস্তায় না বের হোক, ঘরে বন্দী থাকুক। তারা চায় ইরানের মতো নারীরা যদি চুল ঢাকতে ভুলে যায়, তাহলে তাকে গ্রেফতার করা হবে, নির্যাতন করে মাথা নত করা হবে। অথচ ইসলাম শিক্ষা দেয় জ্ঞান অর্জন করা নারী-পুরুষ সবার জন্য ফরজ। ইসলাম কখনোই নারীকে দাসী বানায়নি; বানিয়েছে সম্মানিত সঙ্গী, জ্ঞান অন্বেষণকারী, সমাজগঠনের অন্যতম স্তম্ভ।
আমরা স্পষ্ট করে বলছি বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ, মানবিক, প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। এই রাষ্ট্রে নারীরা শুধু ভোট দিয়ে সরকার গঠন করেন না, তারা দেশ চালান, যুদ্ধ করেন, চিকিৎসা দেন, শিক্ষা দেন তাদের বাদ দিয়ে সভ্যতা চলে না। কাজেই যারা নারীদের শেকলে বাঁধতে চায়, তারা রাষ্ট্রের শত্রু, মানবতার শত্রু। তারা ইসলাম নয়, বর্বরতা চায়। আর বর্বরতা এই দেশের মাটি কোনোদিন মেনে নেয়নি, আজও নেবে না।
আমরা এই মৌলবাদীদের স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই তোমাদের ধর্মের মুখোশ পরে নারীঘৃণার রাজনীতি আর চলবে না। যারা নারীকে হেয় করে, তারা ধর্ম নয়, বিকৃত মানসিকতার ধারক। এই বাংলার নারী শুধু ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে আবদ্ধ থাকবে না সে আকাশ ছোঁবে, রাষ্ট্র গড়বে, ইতিহাস লিখবে।
নারীর সম্মান মানেই সমাজের সম্মান। নারীকে অবজ্ঞা মানে নিজের জন্মকেই অবজ্ঞা করা। মৌলবাদীদের এই লজ্জাজনক, অসভ্য ও মিথ্যাচারে আমরা ক্ষুব্ধ, আমরা জেগে আছি আর আমরা দাতভাঙা জবাব দেব। কলম দিয়ে, যুক্তি দিয়ে, মানুষের ভালোবাসা দিয়ে।

নারী-মায়ের মর্যাদা:
এক সাহাবী রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেন, কার সঙ্গে সবচেয়ে উত্তম ব্যবহার করবো?
তিনি উত্তর দেন: “তোমার মা।”
দ্বিতীয়বারেও বললেন “তোমার মা।”
তৃতীয়বারেও বললেন “তোমার মা।”
চতুর্থবার বললেন: “তারপর তোমার বাবা।”
(সহীহ বুখারী)

০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪০

অপলক বলেছেন: দারুন লিখেছেন। এটা ব্লগ হিসেবে ছাড়ুন। সব পাঠক তো আমার ব্লগে আসে না। হয়ত আপনার পোষ্ট থেকে তখন আরও মানুষ জানতে পারবে।

৬| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

সুলাইমান হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশ একটি ইসলামি সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশ।এখানে ইসলাম বিরোধী কোনো আইন মেনে নেওয়া মানে দেশ ও জাতির ৈঐতিয্যকে ক্ষতি সাধন করা।ইসলামি আইন কখনো দুনিয়ার উন্নতি তে বাধা বা অন্তরায় নয়।অনেক ইসলামি রাষ্ট্র দুনিয়াবি উন্নতিতে সমৃদ্ধি অর্জন করেছে।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ১০:৩৮

অপলক বলেছেন: ইসলামি আইন কট্টর ভাবে প্রয়োগ করেলেই যে দুনিয়াবি উন্নতি হয়, তার যেমন উদাহরন আছে, উল্টো উদাহরনও আছে। আমি বুঝি শান্তি, স্বাধীনতা এবং সহোবস্থান আর আইনের শাসন যেন নিশ্চিত হয়। মানুষকে মানুষ হিসেবেই গন্য হোক। যোগ্যতা অগ্রাধিকার পাক।

৭| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: মোল্লারা ভয়ংকর হয়।

০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

অপলক বলেছেন: এ যুগের মোল্লারা বস্তুত পক্ষে ধর্মব্যবসায়ী। হয় জ্বিবা বিক্রি করে খাবে, না হয় ধর্মীয় জ্ঞান। সমাজে নিজের স্থান পাকা পোক্ত করতেই ভয়ঙ্কর রুপ ধারন করে।

এ যুগে মসজিদের ইমাম নিয়োগের আগেই ইমাম জিজ্ঞেস করে বেতন কত? ওয়াজে যাবার আগে জিজ্ঞেস করে কত লক্ষ টাকা দেবেন, হেলিকপ্টার থাকবে তো? টিভি তে অনুষ্ঠানে ডাক পড়লে বলে হাদিয়া কত? তাফসির আলোচনা বা ফয়সালার ব্যাখ্যা চাইলে বলে সিডিউল নাই। এদিকে খাওয়ার দাওয়াত মিস হয় না, গোপন নিকাহ বাদ থাকে না... নিজেরা মার্দাসায় পড়লেও নিজের সন্তানদের মার্দাসায় পড়ান না... বোঝেন অবস্থা...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.