![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।
বিচি ছাড়া পাঠার, মকমকি সার এটা একটা আঞ্চলিক প্রবাদ। কোন বই পত্রে পাওয়া যাবে না। এটি নেগেটিভ সেন্সে ব্যবহৃত হয়।
অর্থ এমন বোঝায়, যোগ্যতা নেই বা সৎ সাহস নেই তবু ক্রিয়া সম্পাদনে হস্তক্ষেপ করে। বিচি বা টেসটিক্যাল ছাড়া একটা পাঠা হল আসলে খাসি করা ছাগল। যার কোন প্রজনন ক্ষমতা নেই। তবুও কখনও কখনও দেখা যায়, এরা একে অন্যের গায়ের উপর চড়ে বসে, মারা মারি লাফালাফি করে।
একটা নিউজ দেখলাম, দুদু সাহেব বলছেন যে: অবৈধ পুশ ইন নয়, শেখ হাসিনাকে পুশ ব্যাক করেন
যথার্থ কথা বলেছেন দুদু সাহেব। ভারতের লজ্জা হওয়া উচিত। বর্ডার এলাকায় টহল সরে গেলেই নিরীহ মানুষদের জানে মারার ভয় দেখিয়ে বাংলাদেশে বিএসএফ পুশ ইন করছে। রাতের আঁধারে রাস্তা বানাচ্ছে নো ম্যানস এরিয়ায় বা বাংলাদেশ অংশে। চিকিৎসা সেবা গ্রহনে বাঁধা, আমদানি রপ্তানিতে বাঁধা, অপরাধীদের বাংলাদেশে হস্তান্তরে অপারগতা.. এসব আসলে ভারতের জন্যে কি বোঝায়?
বিচি ছাড়া পাঠার, মকমকি সার...
গত এক বছরে প্রায় ১২জন কে পুশ ইন করেছে ভারত। সীমান্তে হত্যার ব্যাপারে উইকিপিডিয়া বলছে, ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিএসএফ প্রায় ১৫০০ জন হত্যা করেছে। বেসরকারি মতে এই সংখ্যা ২৮০০ জনের মত। যার ভেতরে মাত্র ৩টা হত্যার বিচার হয়েছে।
ভারতের ভাবা উচিত, আমরা এক সময় সিট মহল বিনিময় করেছি। আমরা বন্দি বিনিময় করেছি, এখন কেন কাপুরুষের মত আচরন করছে ভারত? কিসের এত ভয়? যদি পুশ ইনের মানুষগুলো অবৈধ বাংলাদেশী হয়, তবে প্রমান সমেত বাংলাদেশ কে জানিয়ে দিক। যাদের ভারতীয় আঁধার কার্ড আছে, এনআইডি আছে, তারা কি করে বাংলাদেশী নাগরিক হয়।
পুশইন করা বেশিরভাগ লোকের মূলত দুটা গুন: বাংলায় কথা বলা বা বোঝা আর মুসলমান হওয়া।
ভারতীয়দের সিস্টেম এতটাই বাজে যে, কোন পর্যবেক্ষণ ছাড়াই ঐ মানুষদেরকে আঁধার কার্ড দিয়ে দিল? তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি নিল? আজব না? এদিকে ভারত সরকারের এত টুকুও সৎ সাহস নেই যে, বাংলাদেশের কাছে সমস্যা তুলে ধরে। মানব পাচারকারীরা রাতের আঁধারে বর্ডার পার করে দেয়, যেমন টা ইটালি বা মেক্সিকো অঞ্চলে দেখা যায়, ভারতের অবস্থা তার চেয়েও ন্যাক্কার জনক। বিএসএফ তো নারীও ধর্ষন করেছে, ফেলানিকে কাঁটা তারে ঝুলিয়ে রেখেছে, চোরাকারবারিদের সাথে ব্যবসা করতে গিয়ে ভারতীয় পুলিশের হাতে ধরাও খেয়েছে।
আরে দাদা তোরা তো পাকিস্তানের সাথে পারিস না, চীনের সাথে পারিস না, এরশাদ বা জিয়ার আমলে পারিসনি। হাসিনার সময় থেকে কেন শুরু করলি সীমান্তে পাখির মত করে গুলি করা? এখন তো হাসিনা নেই, জামায়ের কাছে গেছে... তাকে অনতত বাপের বাড়ি ফেরত পাঠা। রাতে পুশইন করে, রাস্তা বানিয়ে, লোহার বেড়া বাংলাদেশে সরিয়ে দিয়ে, জল বাঁধ কেটে দিয়ে কাপুরুষের মত কাজ করিস কেন?
সন্মান নিয়ে বাঁচতে শেখ। উসকানি পরিহার কর। মনের মধ্যে কুচিন্তা নিয়ে ঘুরলে চুলকানি বাড়বে, নিজেরা আরও ছোট হবি। অন্তত বিএসএফ কে পাঠা থেকে যোগ্য সীমান্তরক্ষী বানা। তোদের নিচু মানসিকতার খবর গুলো তো শুধু আমরা দেখছি না, গোটা বিশ্ব দেখছে।
অবশ্য দাদাদের বলে লাভ নাই। ১৪৭কোটি ভারতীয়ের ভেতরে ৫০কোটি এখনও খোলা আকাশের নিচে হাগু দেয়। ওরা নিজেরাই নিজেদের কথা শোনে না, ভাল বোঝে না। ওদের বলা আর অরন্যেরোদন একই কথা।
*** এখানে তুঁই তোকারি করলাম আপন জন ভেবে, যেমন আমরা মাকে তুই করে বলি, বন্ধ বান্ধব কে বলি। ছোট করার উদ্দ্যেশ্যে বলিনি।
ফেনী সীমান্ত দিয়ে আবারও চারজনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
২৭ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:১০
অপলক বলেছেন: অতীব জরুরি... ওরা অযথা সময় নষ্ট করছে।
২| ২৭ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৩০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ভারত কখনোই বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র ছিলো না, আজও নেই আর আগামীতেও হবে না। কেবল ভৌগোলিক কারনেই সেটা সম্ভব নয়। এটা এদেশের মানুষ যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে ততই দেশের মঙ্গল।
২৭ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২১
অপলক বলেছেন: এটা নিয়ে একটা জ্ঞান গর্ভ পোস্ট ছাড়েন। আমি সাথে আছি...
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
"বিচি ছাড়া পাঠার, মকমকি সার" — চমৎকারভাবে একটি আঞ্চলিক প্রবাদ ব্যবহার করে ভারতের কাপুরুষোচিত ও অমানবিক পুশ-ইন নীতির অসারতা তুলে ধরেছেন। ভারত কর্তৃক একতরফা সীমান্ত হত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন আর আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ন্যূনতম শালীনতার ঘাটতির বিষয়গুলোর সমাধান অতিব জরুরি। মূলকথা, ভারতের "মানবিক ভারত" হওয়ার সময়ও এখনই। ধন্যবাদ।