নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাদামাটা মানুষ। ভালবাসার কাঙ্গাল। অল্পতেই তুষ্ট। সবাই আমাকে ঠকায়, তবুও শুরুতে সবাইকে সৎ ভাবি। ভেবেই নেই, এই মানুষটা হয়ত ঠকাবেনা। তারপরেও দিনশেষে আমি আমার মত...

অপলক

তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।

অপলক › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিধান বহির্ভূত বাংলা শব্দ সম্ভার (বিদ্র: অপপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন)

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৪১



কয়েকদিন আগে এক খ্যাতিমান জাপনিজ মেয়ের ব্লগ দেখছিলাম। তিনি ১৭ ভাষায় কথা বলতে জানেন। ভাষা নিয়ে গবেষণা করেন। সেখানে বাংলা ভাষার অনেক অনেক ভিডিও আছে। একটি ভিডিও তে তিনি বলছেন যে, এই যে ১৭ দেশের ভাষায় তিনি কথা বলতে পারেন, এমনকি সেসব ভাষায় গালাগালিও দিতে পারে, কিন্তু সবচেয়ে বেশি ফিলিংস আসে বাংলা ভাষায় গালি দিলে। আলাদা একটা আবেগ নাকি কাজ করে। যেটা তিনি তার মাতৃভাষাতেও পারেন না।

এরপরে এক রাশিয়ান ব্লগারের লিঙ্ক পেলাম। তিনিও বলছেন যে, বাংলা ভাষার অশ্লীল শব্দগুলোতে আলাদা একটা ব্যাপার আছে। কারও ওপর রাগ ঝাড়তে তিনি অভিধান বহির্ভূত বাংলা শব্দ ব্যবহার করেন। শিখেছেন বাংলাদেশী ক্লাসমেটের কাছ থেকে। রাশিয়ান ব্লগার আরও একটা কথা বলেছেন যে, বাংলা ভাষায় কিছু কিছু আবেগী শব্দ আছে যেগুলো তার ভাষায় প্রকাশ করতে পারা যায় না। সেই ভাবনা থেকে আমার আজকের ব্লগ। খুব বেশি সম্ভাবনা আছে, মডারেটর এই লেখাটা সরিয়ে ফেলবে।




আহাম্মক
আচোদা
কুত্তা
কুত্তার বাচ্চা
কুত্তা চোদা
কুত্তা চুদি
কুত্তা চোদা মদ্দা/মাগী
কুত্তার গোয়া চাটা
কুত্তার গোয়ার মত মুখ
কুকুরের বাচ্চা
কড়া জিনিস
কড়া মাল
কড়িতলার মাগী
কড়িতলার ছোল
কষাই
কাউয়া
কিংকর
খবিস
খবিসের খবিস (জেনা কারী,বাংলায় ব্যবহৃত উর্দু শব্দ)
খানকি
খানকির পুৎ
খানকির বেটি
খানকির ছাওয়াল
খানকি মাগী
খানকি ব্যাটা
গরু কোমাটিকার
গরুর বাচ্চা
গরু চোদা
গরু চোর
গনেষ
গোবর গনেষ
গরুর লাদি
গরুর গু চাটা
গরুর গোয়ার মত মুখ
গোয়াল ঘরের চোদা মাল
গোয়ার কানা
গোয়া মারা
গুন্ডা
গুন্ডার বাচ্চা
গলদা
গবেট
গন্ডার
গু খাওয়া মাল
ঘুপসি
ঘুপসি মাগী
ঘুপসি মাগীর ছোল
ঘুপসা মদ্দা
ঘুপসির ব্যাটা
ঘুপসির ঘরের পুৎ
ঘুপসি পট্টির মাল
চুদমারানী
চুদির বেটি/ব্যাটা
চুদরি
চোদা মাল
চোদা খাওয়া
চোদনা
চুদিম
চুনু মিয়ার চুনু
চ্যাটের বাল
চ্যাট মারানী
ছাগু
ছাগল
ছাগলা/ ছ্যাগল্যা
ছাগলের লাদি
ছাগল কোনহানকার
ছাপরি
ছ্যামরার বাল
জানোয়ার
জানোয়ারের বাচ্চা
জারজ
জাউরা
জাউরার ব্যাটা
জাউরার মাগী
জাউরার হোল
জাক্কাস জুইসি
ঝগড়ি
ঝুনা মাল
টাংকি বাজ
টাসকি খাওয়ার মাল
টোটা
টমেটো
টপাটপ
ঠকবাজ
ঠাপের ঠোঙ্গা
ঠোসা মাল
ঠোসা জিনিস
ঠ্যাঙ্গানি
ঠাপানি মাগি
ডাসা
ডাসা জিনিস
ডাসা মাল
ডাঙর
ঢোল
ঢেঁকি
তোতলা বলদ
তোতা মিয়া
তোরে আমি.....
তোর মায়েরে...
তেঁতুল তলার তেঁতুল
তেঁতুল তলার বাচ্চা
নাং
নাঙ্গর
নাগা
নাংটা পাগলা
নুনু মিয়া
পাঠা
পুরা বলদ
পুরা খানকি
পুরা ঠাপ খাওয়া
পোড় খাওয়া মাল
পুটকি
পুটকি মারানী
পুঙ্গি মারানী
ফাউল
ফাঙ্গাস ধরা
ফাকসা
বাল
বাল তোল
বলদ
বলদার বলদা
বলদা কােনহানকার
বেশ্যা
বেশ্যা মাগী
বেশ্যা পট্টির জিনিস
বছ
বছ পাবলিক
বিল্লি
বরিশ্যাল্লা
বিক্রমপুরের পোলা
বলির পাঠা
বাঙ্গি ফাটামু
নেয়াখ্যাইল্লা
মফিজ
মাই গো
মাইরে মাই
মাসুদ
মেওয়া
মারা খা
মার খাওয়া
মারা দে
মুরগী
মুরগী মিলন
মাগীর ছোল
মাগীর ব্যাটা/বেটি
মন্টি
মাইরি
ম্যানকা চিপা
মদ্দা
মীর জাফর
মদন
মজনু মিয়া
মিনমিনা
ম্যানকা শয়তান
মিয়া খলিফা
ল্যাউড়া
শালা
শালা জানোয়ারের বাচ্চা জানোয়ার
শয়তান
শয়তানের বাচ্চা
শয়তানের গু
সাওয়াই
সাওয়ার ব্যাটা/রেটি
সামসু
সানি লিউন
হোল
হোলে বাল
হালার পুত
হাউয়ার পোলা
হারামীর পুত
হারামজাদা


বি.দ্র: কিছু কিছু মুহূর্ত থাকে যখন আবেগ প্রকাশ করার মত ভাষা খুঁজে পাওয়া যায় না। রেগে গিয়ে বা ক্ষোভে দু:খে আমরা অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করি। কিছু শব্দ অভিধানে খুঁজে পাওয়া যায়, বাকিগুলো পাওয়া যায় না। কিছু আবার আঞ্চলিক। কিন্তু কম বেশি সবাই ব্যবহার করে। আমার জানা অশ্লীল বাংলা শব্দ এখানে তুলে ধরলাম। কেউ যদি এর বাইরেও শব্দ জেনে থাকেন তবে নিজ দায়িত্বে আপনার মন্তব্যে লিখতে পারেন। অনুরোধ রইল, আপনারা কেউ এগুলো অন্য কাউকে হেনেস্থা করতে প্রয়োগ করবেন না। করলে সেক্ষেত্রে আমি দায়ী নই। আমি আমার জানার আগ্রহ থেকে এটা করছি, অপপ্রয়োগের জন্যে নয়। দয়াকরে সামুর পরিবেশ নষ্ট করবেন না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:১৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: হায় হায় এতো দেখি বিশাল গালি ভান্ডার।

বাল ফালানী
বাল ছিড়া টাল দিব
বিশ্ব বেহায়া
ছোছা বিলাই
কুত্তার লেঙ্গুর
আপোছা
ফকিরন্নী
বদের বদ
ক্লিকবাজ
কানকাটা রমজান
বাটকেরা
বিটলা
তের ঝগরী
কেইট্টা
ঝিংগুইট্টা........।

বাঙালির গালির শেষ নেই, তবে আপসোস কাউকেউ গালি দিতে পারি না, দু একটা যাও দেই ভদ্র ভাষা ব্যবহার করি।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৪২

অপলক বলেছেন: আমি গালি দেই না। আপনার মতই অবস্থা ... :)

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫

জাদিদ বলেছেন: আপনার পোস্টে দুইটা শব্দ আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। এক বরিশাইল্লা আর দুই নোয়াখাইল্লা! আমি ঠিক জানি না এইগুলো কি গালি হিসাবে ব্যবহৃত হয় কি না। যদি হয়ে থাকে তাহলে সেটা হবে আমাদের বাংলাদেশে আঞ্চলিক রেজিসম এর উজ্জল দৃষ্টান্ত।

যাইহোক, বাংলা ভাষার গালি ভান্ডার অনেক বৈচিত্রপুর্ন, সৃজনশীল, তীব্র ব্যাঙ্গাত্বক এবং ক্ষেত্র বিশেষে চুড়ান্ত অশ্লীল। গালি শুধুমাত্র ক্ষোভ প্রকাশের ভাষা নয়, বরং সমাজ, ধর্ম, রাজনীতি ও বিদেশী ভাষার প্রভাবের প্রতিফলন ঘটেছে এতে। ক্ষেত্র বিশেষে লোকশ্লোক হিসাবে আমাদের সাহিত্যেও দেখা যায়। ফলে এই বিষয়ে আলোচনা যথাযথ হলে তা নিয়ে কারো আপত্তি থাকার কথা না।

এই উপমহাদেশে গালির etymology মুলত কয়েকটি ধাপে পরিবর্তিত হয়। এই ব্যাপারে দশ থেকে পনের শতকের কিছু তথ্য পাওয়া যায়। সেই সময়ের গালি ছিলো শালীন বা কিছুটা নৈতিকতা শিক্ষনিয় ভিত্তিক। যেমন পাপী, অধার্মিক বা সর্বোচ্চ হিসাবে দুষ্ট, কুটনীয়, অসৎ ইত্যাদি। কিন্তু পরবর্তী কয়েক শতকে এই গালি পরিনত হয়েছে মানুষকে মানসিকভাবে আহত করার একটি অস্ত্র হিসাবে। তবে অনেক সময় ভাষাগত জটিলতা বা বৈচিত্রের কারনে এক দেশের সাধারন কথ্য অন্য দেশের গালি হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন ধরুন মাঙ! এই শব্দটি বাংলাদেশে খুব একটা প্রচলিত নয়। যে অর্থে প্রচলিত সেটা গালি হিসাবে।

অথচ মাঙ শব্দের অর্থ হচ্ছে চূলের সিঁথি। মাঙ ভার দো - মানে হচ্ছে সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে আমাকে গ্রহন করো। এটা একটি নারীবাচক শব্দ। এটাকে যখন গালিতে রুপান্তরিত করা হয় তখন শব্দটি সেই নারীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় যিনি তাঁর গোপন অঙ্গ চূলের সিঁথির মত প্রকাশ্য করেন। এই ক্ষেত্রে পরিবর্তিত ভাষায় মাঙ বলতে দুই উরুকে বুঝানো হয়েছে। এই সংক্রান্ত একটি গালি আমাদের সমাজে প্রচলিত তা হচ্ছে - মাঙের পোলা অর্থাৎ একজন ব্যভিচারীর পুত্র।

আপনি যদি খোলা মনে বাংলা ভাষার গালিগুলো নিয়ে পড়াশোনা করেন বা খোঁজ করেন এর বুৎপত্তি গত ইতিহাসের তাহলে ভাষার বৈচিত্র এবং সামাজিক অনেক রীতি রেওয়াজের অনেক অদৃশ্য চিত্র আপনার সামনে ভেসে উঠবে।

একজন অনুসন্ধানী ব্লগার হিসাবে যদি কোন নির্দিষ্ট টপিকে একটু খোঁজ নেন তাহলে এমন অনেক বিষয় জানতে পারবেন যা আপনার পোস্টকে অনেক দৃঢ় করবে। নইলে বিষয়টি খুব হালকা হিসাবে মনে হতে পারে।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৮

অপলক বলেছেন: গালির গোড়া/বুৎপত্তি/উৎপত্তি/ইতিহাস আমি খুঁজতে যাইনি কখনও। তবে নানা বাজে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি। পরিবেশ পরিস্থিতি স্থান কাল ভেদে বাংলা ভাষার গালির শব্দচয়ন/শব্দ প্রয়োগ আবেগের বহিঃপ্রকাশ।

আপনার কথাগুলো ভীষণ ভাল লেগেছে। সুযোগ পেলে ভাষা নিয়ে কাজ করব হয়ত।

ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ৥ জাদিদ ভাই- নোয়াখ্যাইল্লা আর বরিশাইল্লা শব্দদুটি ঠিক গালি নয় আমাদের এদিকে অন্যকে ছোট করতে ব্যবহৃত হয়।

৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:০০

বিজন রয় বলেছেন: এগুলো দিয়া আমি কি করিব?
এশব্দ ভান্ডার আমি কোথায় রাখিব!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.