![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।
সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হকের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সদস্য হিসাবে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি সিলেট নগর বিএনপির প্রাক্তন সভাপতি এবং জেলা বিএনপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক। ২০০৩ সালে তিনি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হিসাবে নির্বাচিত হন। একইসঙ্গে তিনি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নগর উন্নয়ন ও পরিকল্পনা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি দুই মেয়াদে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কেন বললাম চোরের মায়ের ডাঙ্গর গলা সেটি যুগান্তরের নিউজ থেকে দেখে আসুন।
সাবেক মেয়র আরিফের আলটিমেটাম
দীর্ঘ সময় ধরে সিলেটের শীর্ষ পদে বসে ছিলেন অথচ নিজে কি বা-ল-ডা তুলছে? কত কোটি টাকা চোখের সামনে হাওয়া করে ফেলছে সেটা নগরবাসীর ধারনা আছে। নিজের দায়িত্ব পালন কালে চুরি ফাঁকিবাজি করার সময় মনে ছিল না উন্নয়নের কথা? এখন বিএনপি ক্ষমতায় আসার পালে হাওয়া লাগছে আর অমনি মরা সাপ ফনা তুলছে। গত ৪ বছরের গল্প শোনায় যখন থেকে তিনি আর দায়ীত্বে নেই।
রাস্তা প্রশস্ত করার নামে কে খাল গুলোকে ড্রেনে পরিনত করেছে?
শহরে পানি সরবরাহ কার সময়ে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় ছিল? ফিলটার পানির বিজনেজ কার সময়ে ফুলে ফেপে উঠেছিল?
সুরমা নদী ভরাট করতে সিটি কর্পোরেশনের বেশির ভাগ ময়লা ভ্যানে করে কার সময়ে সুরমা নদীতে ফেলা হত?
কার সময়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বেশি ছিল?
ইন্সপেরেশন মানি ছাড়া কার সময়ে সিলেট সিটি কর্পরেশানে কোন কাজ হত না?
কার সময়ে আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করতে কোটি কোটি টাকা অযথা নষ্ট কর হয়েছে?
কার সময়ে চৌকি দিঘীতে কার পার্কিয়ে খুনাখুনি হয়েছিল?
কার সময়ে সর্বোচ্চ পরিমান বিদ্যুৎ চুরি হয়েছিল? প্রতিটা রিক্সার গ্যারেজে চোরাই লাইন জেনেও কে আমলে নিত না?
কার সময়ে নিয়ম ভেঙ্গে রাস্তা বড় করা ব্যতিরেকে বহুতল বানিজ্যিক ভবন তৈরীর অনুমতি দেয়া হয়েছিল?
কার সময়ে সবচেয়ে বেশি পরিমান চোরাচালান ওসমানী বিমানবন্দর দিয়ে হয়েছিল?
নগরে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে সেগুলো কার নির্দেশে বন্ধ রাখা হত?
কোন মেয়রের সময়ে শাবিপ্রবি তে সব চেয়ে বেশিবার বহিরাগতরা আক্রমন করেছিল?
কার সময়ে সিলেট শহরে চুরি ডাকাতি অত্যধিক বেড়ে গিয়েছিল?
কার সময়ে সিটি কর্পোরেশনে বা সড়ক উন্নয়ন বিভাগে জবাব দিহিতা বলে কোন শব্দ ছিল না?
কার সময়ে সিলেট সিটি ২ বার বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল নদী ভরাট আর ড্রেনেজ ব্যবস্থা গুরুত্ব না দেয়ায়?
উন্নয়নের নামে সড়কের দুপাশের শতবর্ষী গাছগুলো কে খেয়েছে? বনায়ন কার সময়ে সবচেয়ে কম হয়েছে?
সদর হাসপাতালে চিকিৎসার মান কার সময়ে সবচেয়ে খারাপ ছিল?
অবৈধ সিএনজি / টমটম কার সময়ে শহরে সবচেয়ে বেশি ঢুকেছে?
কার সময়ে বরাদ্দ হয়েছে বেশি কিন্তু দৃশ্যমান কাজ হয়েছে কম?
কার সময়ে সবচেয়ে বেশি পাথর তোলা হয়েছে পরিবেশের ক্ষতি করে?
কার সময়ে মাদকের পাচুর্যতা বেড়েছিল?
কার সময়ে ভোলাগজ্ঞের রোড কে বাংলাদেশের ক্যান্সার রোড নামকরন হয়েছিল?
কার সময়ে সিলেট বিএনপির নিজেদের মধ্যে ভাঙ্গন ধরেছিল?
উপরের সব গুলো ক্ষেত্রে এই ভদ্রলোকের ১০ বছরের রাজনীতির ক্রেডিড। সিলেটের রাজনীতির পরিবেশটাই নষ্ট করে দিয়েছে। সিলেটের উন্নয়নের নামে টাকা নয় ছয় করেছে। সিলেট বিভাগে সাইফুর রহমান টিকতে পারেনি, সুরেঞ্জিত সরকার সুবিধা করতে পারেনি, ইলিয়াস আলী বেঁচে থাকতে পারেনি, কিন্তু সমসমায়ীক হয়েও জনাব আরিফুল হক টিকে আছেন, বহাল তবিয়তে। বুঝতে হবে কি জিনিস তিনি। এইট পাশ একজন রাজনীতিবিদ, মাথায় কত বু্দ্ধি !!! কোথায় কি করে খেলতে হয়, কখনও ভুল করলে ভুলের প্রমাণ রাখেন না। আর ভেঙ্গে কিছু বলতে চাই না।
দোয়া করি, সিলেট বাসী নির্বাচনের সময় বু্দ্ধিমত্তার পরিচয় দিক এবং যোগ্য - অপেক্ষাকৃত সৎ ব্যক্তিকে আসার সুযোগ দিক। এসব প্রবীন ঝান্ডুদা টাইপের নেতাদের চামচাগিরি /স্বজন প্রীতি থেকে দূরে থাকুক। আর নিউজ মিডিয়া এধরনের ব্যক্তিদের হাইলাইট করে খবর প্রকাশ না করুক।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৪৭
গন্ধহীন বেলী ফুল বলেছেন:
আরিফ ভাই ভালো লোক।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
উনি সিলেটে অনেক ভালো কাজ করেছেন।