![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তত্ত্ব, তথ্য ও অনুভূতি ভাগাভাগি করা আমার অভিপ্রায়। কারও যদি ইচ্ছে হয় তবে যে কেউ আমার এই ব্লগের যে কোন কিছু নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে।
জীবদ্দশায় ৯০% সিলেটিরা সিলেট ডিভিশনের বাইরে যায়নি , তবে ওনারা দেশের বাইরে গেছেন। যাদের টাকা আছে তারা ইউরোপ আমেরিকায় বসে আয়েসি জীবন যাপন করেন, আর কেউ কেউ দেশে গাড়ি বাড়ি বানিয়ে আত্মীয়স্বজনকে কেয়ারটেকার বানিয়ে রেখে যান। তারা কখনও সিলেট বিভাগে ইন্ডাসট্রি বানানোর কথা ভাবেন না। নিজ জেলা শহরে ইনভেস্ট করার কথা ভাবেন না। দেশে ফেরার কথাই মাথায় রাখেন না। দু একটি ব্যতিক্রম ঘটনার কথা অস্বীকার করব না।
UK/US তে বসে যারা আন্দোলন করেন / প্রতিবাদ করেন তারা সবাই ৪০+ বয়স্ক। যাদের বেশির ভাগ আবার আরিফুলের চামচা...
সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে এবার নিউইয়র্কে কর্মসূচি
চিল্লাও ভ্রাতা...কুকুর হয়ে ঘেউ ঘেউ করো, তবুও সিংহ হয়ে ঘুমিয়ে থেকো না।
সিলেটের উন্নতি হোক। তবে সবচেয়ে ভাল হত, দেশে এসে ইনভেস্ট করলে... ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরী করলে, কাজের সুযোগ তৈরী করলে। আর কত দিন পাথর বেঁচে, ড্রাগ বেঁচে বা বার্ডার দিয়ে চোরাচালান করে আপনার এলাকার মানুষজন খেয়ে পরে বাঁচবে ? মিডিয়ায় দু চারটে ছবি প্রিন্ট করে ঘরের দেয়ালে টাঙিয়ে বা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কি লাভ?
সঞ্চয়ের একটা অংশ দেশে আত্মীয় স্বজনকে না পাঠিয়ে, উদ্যোক্তা হেয়ে যান। আত্মীয় স্বজনকে কর্মী বানান, সন্তানকে ম্যানেজিং ডিরেক্টর বানান। সাহায্য না দিয়ে সহযোগিতা করুন, হাত নেড়ে খাওয়ার অভ্যাস করান তাদেরকে । বিমান বন্দর আছে, নদী পথ আছে, অনেকগুলো করিডোর আছে, Hi-tech park আছে, ফাইভ স্টার হোটেল আছে, সব ধরনের ব্যাংকের ব্রাঞ্চ আছে, বিশাল খোলা জায়গা পরে আছে। কাজে লাগান।
সরকার আসবে যাবে, কিন্তু আপনার কাজ/স্থাপনা/এলাকার মানুষের জন্যে ভাল কিছু করার ইতিহাস ইহকাল পরকালের জন্যে থেকে যাবে। বংশ পরমপরায় রয়ে যাবে। যেখানে চাহিদা নেই সেখানে যোগান থাকে না। বড় বড় ইন্ডাস্ট্রি থাকলে, আপনাকে পথে নামতে হবে কেন, সরকার নিজে থেকেই রাস্তা ঘাট ঠিক রাখবে। দূর্নীতি সব জায়গাতেই আছে। এমন কোন দেশ নেই যে, সেখানে প্রত্যাক্ষ বা পরোক্ষভাবে দূর্নীতি হয় না। কাবা চত্তরেও ঘুষ বানিজ্য হয়। পরিচ্ছন্নতা কর্মীর জন্যে লবিং চালু আছে।
কাজেই সামর্থবান প্রবাসীদের বলব, শেষ ইচ্ছা হিসেবে দেশে কবরস্থ মৃতব্যক্তি হয়ে কি লাভ, জীবিত থাকতে থাকতে মানুষের কর্মস্থল তৈরী করুন, দরীদ্রতা দূর করুন, বেকারত্ব দূর করুন, নিজ অঞ্চলের জন্যে কিছু করুন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। কবরে শুয়ে শুয়ে তখন না হয় জীবিত কর্মীদের/আত্মীয়ের হাসি মুখ দেখবেন !!!
কবর বলুন বা চিতা বলুন, কোথাও কিন্তু এসি থাকে না, লাক্সারি বাড়ি গাড়িও থাকে না, থাকে শুধু মানুষের দোয়া, নেক আমল আর ভালবাসা ... যে সন্তানের জন্যে বিদেশ বিদেশ করছেন, ঠিক মত মানুষ না হলে, কাল সে আপনাকে আপনার গ্রামের কোন এক বাঁশতলায়/ঝোপঝাড়ে/আঙ্গিনার কোণায় দাফন করে আসবে, যুগেও একবার আপনাকে স্মরণ করবে না। এটা ভাল নাকি প্রতিটা কর্মী অফিসে / অফিসের বাইরে আপনাকে মনে করে সুখ স্মৃতি মন্থন করবে, প্রতি বছর নিজ থেকে গিয়ে জিয়ারত করবে? কোনটা...
এমন দেশ প্রেমী হলে, টাকা দিয়ে কিনে খবরের হেডিং হতে হবে না, সম্মানের সাথেই আপনাকে আপনার পরিবারকে মিডিয়া খবরের হেড লাইন বানাবে, শিরোনাম হবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫০
কামাল১৮ বলেছেন: অঞ্চল প্রেমি না হয়ে দেশ প্রেমি হওয়া ভালো।