![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সিলেটি নাদিয়া ব্রিটেনের রানির জন্য কেক বানিয়েছেন । সে মন্তব্য করেছে, এ অঞ্চলের মানুষের খাদ্য সংস্কৃতিতে নাকি ডেজার্ট বা মিষ্টি জাতীয় খাদ্য নেই। ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নাদিয়া বলেছেন, বাংলাদেশী খাবারের পরে কখনো ডেসার্টের সংস্কৃতি ছিলনা! নাদিয়া হুসেইনের এ মন্তব্যে প্রবাসী বাংলাদেশীসহ অনেকের মাঝে ক্ষোভ তৈরি করেছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে অনেকে এ বিষয়টিতে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। ফেসবুকে শাহানা সিদ্দিকী লিখেছেন মূল খাবারের পরে ডেসার্টের যে সংস্কৃতি সেটি সিলেটে বেশ ভালোভাবেই আছে। এক্ষেত্রে ‘চালের ফিরনির’ কথা উল্লেখ করেন শাহানা সিদ্দিকী।
বাংলাদেশী বংশদ্ভূদ নাদিয়া হয়তোবা নিজের শিকর ছেরে বিদেশ বিভুইয়ে থেকে ভুলে গেছেন , এ দেশের ডেজার্ট বা মিষ্টি রন্ধন শিল্প কতোটা ধনী তা হয়তোবা তিনি জানেন না । ফিরনি , পায়েস , সেমাই , রসমালাই , বিভিন্ন ধরণের মিষ্টি এগুলোতো সাধারণ ব্যাপার । আরও কতোযে আইটেম আছে তা গুনে শেষ করা যাবে না ।
কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হল ডেজার্ট বা মিষ্টি জাতীয় খাদ্যের মূল উপাদান চিনি শিল্পের বিস্তার কিন্তু প্রথমবার ঘটে মুসলিম শাসিত বাংলায় । লাল চিনি (পরিশোধিত সাদা চিনি নয়) ছিলো মসলিনের ন্যায় বাংলার একটি অন্যতম রপ্তানি দ্রব্য। মার্কো পোলো উল্লেখ করেছেন যে, ত্রয়োদশ শতকে বাংলাদেশ থেকে প্রধান প্রধান রপ্তানীকৃত দ্রব্যের মধ্যে চিনি ছিল অন্যতম। পর্তুগীজ পর্যটক বারবোসা-র বিবরন থেকে জানা যায়, ষোড়শ শতকের গোড়াতে ভারতের বিভিন্ন দেশে, শ্রীলঙ্কায়, আরবে, পারস্যে বাংলাদেশ চিনি রপ্তানী করেছে। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাংলাদেশে প্রস্তুত চিনি প্রচুর পরিমানে বৃটেনে রপ্তানী হত।”
পরবর্তীতে বাংলার মুসলমানদের কাছ থেকে চিনিশিল্পের বিষয়টি আয়ত্ত্ব করে এ অঞ্চলে ব্যবসার জন্য আসা আরবগণ। তাঁরা বাংলার মুসলমানদের ন্যায় মধ্যপ্রাচ্যে বড় বড় আখের ক্ষেত ও সুগার রিফাইনারি মিল তৈরী করা শুরু করে। তৎকালীন স্পেন বা আল আন্দালুস ছিলো মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রধান চিনি উৎপাদন কেন্দ্র।
বিপরীতে চিনিকে দৈনন্দিন জীবনের খাদ্যে পরিণত করার মতো অবস্থায় আসতে সাদা চামড়ার খ্রিস্টানদের বহু সময় লেগেছে। চিনি ছিলো তাদের কাছে মূল্যবান বস্তু। স্পেনের ইসাবেলা তার মেয়ের জন্মদিনে মেয়েকে উপহার দিয়েছিল একবাক্স চিনি! এই অবস্থা বহুদিন পর্যন্ত বিদ্যমান ছিলো, যতোদিন না চিনিশিল্পের জন্মদাতা বাংলাকে দখল করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী। বাংলা দখলের পর এ অঞ্চল থেকে ব্রিটেনে হু হু করে চিনির সরবরাহ বাড়তে থাকে, যার কারণে একপর্যায়ে চিনিকে বিলাসদ্রব্য থেকে খাদ্যের পর্যায়ে আনতে অভ্যস্ত হয় ব্রিটিশ ও ইউরোপীয়রা।
উগ্র খ্রিস্টান ক্রুসেডাররা যখন মুসলিম ভূখণ্ড আক্রমণ করেছিল, তখন তারা চিনি ব্যবসায়ী মুসলমান কাফেলার মুখোমুখি হয়। ক্রুসেডাররা তখন চিনির মিষ্টতার কারণে অবাক হয়ে তার নাম দিয়েছিল ‘সুইট সল্ট’ বা মিষ্টি লবণ! আমরা জানি যে, ইউরোপের খ্রিস্টানরা অরিজিনালি সিদ্ধ খাদ্য খায়। মসলা থেকে শুরু করে চিনি, খাবারের স্বাদ বাড়ানোর কোন উপকরণের ব্যবহারই তারা জানতো না। কারণ মুসলিমরা যখন নগরসভ্যতা ও জ্ঞানবিজ্ঞানের উচ্চ শিখরে অবস্থান করছিল, তখন খ্রিস্টানরা ছিলো সভ্যতা থেকে অনেক দূরে। পরবর্তীতে ইউরোপের ভাষায় যে sugar শব্দটি এসেছে, তার উৎপত্তি আরবীতে ব্যবহৃত sukkar শব্দ থেকে। মধ্যযুগে আরব ব্যবসায়ীদের কাছে চিনি “Sweet salt” নামে পরিচিত ছিল। Crusader দের বিবরণেও এই নামের উল্লেখ দেখা যায়। আরবরা ভারত থেকেই এই “Sweet salt”, রোমে আর Constantinople এর বাজারে আনত। ঢাকাই মসলিনের মতই খুব চাহিদা ছিল চিনির।
সংগ্রহীত এবং পরিমার্জিত ।
লিঙ্ক : http://blog.bdnews24.com/MottalibDarbari/49203
লিঙ্ক : http://www.abasar.net/UNIbibidh_sugar.htm
লিঙ্ক : http://www.banglasanglap.co.uk/?p=5088
লিঙ্ক : Click This Link
২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৩
অর্বাচীন শহর বলেছেন: অলরেডি উনি রেসিজমের শিকারের কথা বলেছেন । আসলে সুযোগ পাইলেই একজন আর একজনকে নাক ছিটকায় । বাঙলাী হোক , আর যেই হোক ।
২| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৫
এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: আপনার আর আমার পোষ্টের বিষয়বস্তু শুধু দেখি এক হয়ে যাচ্ছে। আমরা একে অন্যের পরিপূরক দেখছি
http://www.somewhereinblog.net/blog/ambigramist99/30141415 একই বিষয়ে এটা আমার পোষ্ট
৩| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:১৮
অর্বাচীন শহর বলেছেন: ব্যাপারটা কি রকম হয়ে গেলো !!!! হয়তোবা আমাদের চিন্তা ভাবনায় কিছুটা হলেও মিল আছে
৪| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:০০
এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: হুম, মিল আছে মনে হচ্ছে
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫৮
কল্লোল পথিক বলেছেন:
নাদিয়া যতই নাক সিটকানি মারুক,
দিন শেষে কালা আদমি!