![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতন রেস্টুরেন্ট এ বিদেশী জিম্মি করার মতন ঘটনা ঘটে , পহেলা জুলাই , ২০১৬ শুক্রবারে । প্রায় ১২ ঘণ্টা চলে এই ভয়ংকর অবস্থা । প্রথমদিকে সরকার অবাক করা ভাবে পুলিশকে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে চায় । কিন্তু পুলিশ পেরে উঠে না এবং দুইজন পুলিশ দুঃখজনকভাবে মারাও যায় । পরে RAB এবং SWAT এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে । কিন্তু তা ঐ পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত ছিল না ।
জিম্মি উদ্ধারে শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার পরপর সেনাবাহিনী, সোয়াত, পুলিশ, র্যাব, বিজিবির সমন্বয়ে অভিযান শুরু হয়৷ অভিযানের সময় সেখানে সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌ-বাহিনীর প্রধানও উপস্থিত ছিলেন ।
অভিজানের নেতৃত্বে ছিল আর্মি প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন । সরকারের নির্দেশে আর্মি প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নকে সিলেটে রাখা হয় । কয়েকবার সরকারকে ঢাকায় এদের রাখার পরামর্শ দেওয়া হলেও , সরকার সিলেটে রাখার ব্যাপারে অনড় থাকে । মাত্র ১-২ ঘণ্টায় অপারেশন চালানোর মতন সক্ষমতা আছে এদের । কিন্তু সিলেট থেকে C130 প্লেনে করে ঢাকায় আসতে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন ।
তাই অভিজান শুরু করার পূর্বে খুনিরা অতিরিক্ত সময় পেয়ে যায় । এছাড়া , সরকারের ডিসিশন মেকিং এর জন্য অপারেশন শুরু করতে এমনেও দেরী হয়ে যায় ।
যেভাবে অপারেশনটি শুরু হয় >
১। ডিসিশন কৌশলগত পর্যায়ে প্রক্রিয়া তৈরী হয় .
২। বিমান ক্রু এবং পাইলটদের প্রস্তুত করা হয় ,
৩। স্থল ক্রু এবং ফ্লাইট চেক প্রস্তুত করা হয় .
৪। সিলেট ফ্লাইট সময় .
৫। কমান্ডো এর প্রস্তুতি সময় ,
সিলেট বিমানবন্দর থেকে কমান্ডোদের ভ্রমণের সময় ।
৬। 4:30 টায় ঢাকা এয়ারপোর্টে C130 প্লেনে করে কমান্ডোদের পৌঁছান
৭। কমান্ডোদের বিমানবন্দর থেকে স্পট এ পৌঁছান ,
৮। সাইট দেখা এবং পর্যবেক্ষণ ,
৯। র্যাব ও পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী থেকে ব্রিফিং নেওয়া ,
১০। কমান্ডো অভিজান এর পরিকল্পনা এবং
অবশেষে অপারেশন শুরু হয় ।
এবং অপারেশন সফল । CNN এর মতেও এটি অন্যতম দ্রুত এবং সফল সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় কমান্ডো অভিজান ।
মস্কোর সিজ , বেসলান স্কুল সিজ , পেশোয়ার স্কুল এ জিম্মি , এসব জায়গায় দেখা গেছে ১০০শর মতন মানুষ মারা গেছে । এই দেশগুলোতে এরকম অহরহ ঘটনা ঘটেছে । কিন্তু এরপরেও এরা অনেক ক্ষেত্রে অসফল । কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরাই অসফল হয় ।
কিন্তু বাংলাদেশে এটি প্রথমবার এবং আর্মি প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন এতে সফল ।
অপারেশন শুরুর পর ,
নতুন করে কোন জিম্মি মারা যায় নায় ,
কোন কোমান্ডের মৃত্যু হয় নায় ,
কোন বিস্ফোরক দ্রব্য অথবা বোমার বিস্ফোরণ হয় নায় ,
মাত্র ১২ মিনিট লেগেছে ।
মাত্র ১২ মিনিটে অপারেশন থান্ডারবোল্ট(operation thunderbolt) আর্মি প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন এর নেতৃত্বে সফল ।
০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৩৪
অর্বাচীন শহর বলেছেন: বিডিআর বিদ্রোহের সময় ট্যাঙ্ক ইউনিট নিয়ে এরকম সমস্যা হয়েছিল । কিন্তু সরকারের টনক নাড়েনি । আর্মি প্যারা কমান্ডো নিয়েও একি অবস্থা । সময়ক্ষেপণ না হলে , মৃত্যুহার আরও কমানো সম্ভব হতে পারত ।
২| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২
প্রািন্ত বলেছেন: প্রথমেই আমি এই জঙ্গীদের নির্মম কর্মকান্ডের তীব্র ঘৃণা, ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বাংলাদেশ সরকারের জন্য এই অভিযান মোটেও সফল নয়। এমন সফলতা মানুষের জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। যদি ওই ২০ বিদেশীকে জীবিত উদ্ধার করে জঙ্গীদের মেরে ফেলতে পারতো সন্মিলিত বাহিনী তাহলে আমি নত মস্তকে সেলুট জানাতাম। জঙ্গীদের তাদের কাজ সারতে যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে। সুতরাং আমি ব্যক্তিগত ভাবে সন্মিলিত বাহিনী বা সরকার কে কোন ধন্যবাদ দিতে পারলাম না। পক্ষান্তরে যারা নিরীহ মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছে সেই মূর্খ জঙ্গীরাই সফল হলো।
০২ রা জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৩৫
অর্বাচীন শহর বলেছেন: নীতিনির্ধারকদের সময়ক্ষেপণই কাল হয়েছে । কিন্তু প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন এর ভূমিকা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট ।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯
আবুল হাসান নূরী বলেছেন:
৫. কমান্ডো এর প্রস্তুতি সময় ,
সিলেট বিমানবন্দর থেকে কমান্ডোদের ভ্রমণের সময় ।
৬। 4:30 টায় ঢাকা এয়ারপোর্টে C130 প্লেনে করে কমান্ডোদের পৌঁছান
৭. কমান্ডোদের বিমানবন্দর থেকে স্পট এ পৌঁছান
এ ধরণের হামলা মোকাবেলার জন্য রাজধানী ঢাকাতেই কি কমান্ডো ইউনিটের সব সময় প্রস্তুত থাকা উচিত ছিলো না?