![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গবেষণাকেই বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ। কিন্তু অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা নিয়েই প্রচণ্ড অনীহা রয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে ব্যতিক্রম ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (UIU) , ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ।
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (UIU) বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ২০১৬ সালে আলাদাভাবে ১ কোটি টাকা গবেষণার জন্য তহবিল ঘোষণা করে । শিক্ষা, গবেষণা, আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তি, জলবায়ু ও পরিবেশ, টেলিকমিউনিকেশন সহ বিভিন্ন খাতে নির্বাচিত ১৫ জনকে ইউআইইউ রিসার্চ গ্র্যান্ট এবং ২২ জনকে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে গবেষণার জন্য স্বীকৃতি ও প্রশংসাপত্র দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
ইউআইইউ এর সম্মানিত শিক্ষকরা যেকোনো গবেষণার জন্য সর্বচ্চো ১২ লাখ টাকা অনুদান পেতে পারেন । সময়কাল হবে ১-২ বছর ।
প্রথমবার ১৫ জন্য শিক্ষককে গবেষণা তহবিল থেকে অর্থ প্রদান করা হয় । এই টাকার পরিমাণ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সাস্ট) এর ২০১৬ সালের গবেষণা তহবিল থেকেও বেশি কিন্তু সাস্ট বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় । যাদের গবেষণা তহবিল ২০১৬ সালে ৯৯ লাখ টাকা ।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে গবেষণায় সর্বোচ্চ ব্যয় করেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ২৭ কোটি টাকা । ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখছে ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় করেছে ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি প্রায় ৯ কোটি টাকা ।
গত বছর ৮৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গবেষণা খাতে ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় কোনো বরাদ্দ রাখেনি। গবেষণা খাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মোট ব্যয় ছিল ৮১ কোটি টাকা। ৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটির গবেষণায় গড় ব্যয় ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা। তবে সর্বোচ্চ ব্যয় করেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ২৭ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় করেছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি প্রায় ৯ কোটি টাকা। গবেষণা না করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, চট্টগ্রাম, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, সিটি ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, রয়েল ইউনিভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট্রাল উইমেনস ইউনিভার্সিটি, দি পিপলস ইউনিভার্সিটি, অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি, ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি, ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জেডএইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অন্যতম।
http://www.somewhereinblog.net/blog/OrbachinShohor/30141383
http://www.uiu.ac.bd/news/uiu-is-the-1st-private-university-to-disburse-research-grants-among-its-faculties/
http://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2016/11/17/429969
২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩১
আখেনাটেন বলেছেন: এই প্রাইভেট ইউনিগুলো যদি শুধু টাকার পিছনে না ছুটে এভাবে জ্ঞান উন্মোচনের জন্য বরাদ্দ বাড়াতে থাকে। তাহলে এরা অচিরেই বিশ্বের অন্য দেশের মতো এদেশেও সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ব্যাক সিটে পাঠিয়ে দিবে। যদি পাবলিক ইউনিগুলোর জন্য সরকার নতুনভাবে চিন্তা না করে তবে এটা অতি শীঘ্রই ঘটবে।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৫
অর্বাচীন শহর বলেছেন: ব্যাপারটা কিন্তু অলরেডি শুরু হয়ে গেছে ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৫
কলাবাগান১ বলেছেন: নাম "অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি" কিন্তু গবেষনার জন্য জিরো বরাদ্দ!!!!!!!!