নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হিমুর অন্য নাম

তিসান

১২৩৪

তিসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিষণ্নতার এই দুপুরে।।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

নিশাত ক্লাসের র্ফাস্ট গার্ল। দিন রাত লেখা পড়া করা তার কাজ। আড্ডাবাজিতে তাকে কখনো পাওয়া যায়না। চোখে চশমা পরে। চশমা পরা মেয়েগুলো সব সময়ই কিউট হয়। নিশাতও দেখতে খুব কিউট।
নিশাত মাত্র ইন্টারে ভর্তি হয়েছে। সে ক্লাসে বসে আছে। স্যার আসতে দেরি হচ্ছিল তাই সকলে বসে আড্ডা দিচ্ছিল, কিন্তু নিশাত আপন মনে একটা বই পড়ছিল। হঠাত একটি ছেলে পাশে এসে বলল, নিশাত তুমি কি পড়?
মাথা না তুলে নিশাত বলল, একটি ইংরেজী কবিতা।
নাম কি কবিতার?
দ্যা সলিটারি রিপার।
ওয়ার্ডসওয়ার্তের?
হুম, কেন তুমি কি কবিতা পড় নাকি?
হুম পড়ি। ইংরেজী কবিতা আমার খুব ভাল লাগে, আমি অন্য রকম একটা ছন্দ খুজে পাই, যা অন্য কোন ভাষার কবিতাতে পাইনা?
তাই নাকি?
হুম। আচ্ছা তোমার প্রিয় কবিতা কোনটি?
আমার প্রিয় কবিতা একটি না কয়েকটি?
তাই নাকি?
হ্যা। পি বি শেলির এলাস্টার নামক বইয়ের সব কবিতা আমার ভাল লাগে। তোমার কোনটি?
আমার ডেফোডিল কবিতাটি খুব ভাল লাগে।
হুম এটা আমারও খুব ভাল লাগে।
আচ্ছা তোমার কাছে শেলির কুইন মেব বইটা আছে?
হা আছে তো।
আমি বইটা অনেক দিন থেকে খুজছি। বইটা কি আমাকে দেয়া যাবে?
হুম যাবে, তবে একটা শর্ত আছে আমাকে পরে বইটা ফেরত দিয়ে দিতে হবে।
হা অবশ্যই দিব। তাহলে বইটা আমাকে কাল দিবা?
ওকে। তোমার নামটা তো জানা হয়নি।
আমার নাম ফয়েজ।
ওহ আচ্ছা।
এই সময় স্যার ক্লাসে ঢুকলেন।
ক্লাস শেষে নিশাত বাসায় ফিরছিল, ফয়েজ পিছন থেকে ডাক দিয়ে বলল, নিশাত একটু দাড়াও।
তোমার বাসা কোথায় ?
কেন? যাবে নাকি?
ফয়েজ কিছুটা লজ্জা পেল।
নিশাত বলল, উপশহরে।
ওহ আচ্ছা তাহলে কাল বইটা নিয়ে এসো।
ফয়েজ কেন নিশাতকে ডাক দিয়েছিল তা নিজেও জানেনা, পিছন থেকে নিশাতকে ডাক দেওয়ার যেন তার খুব লজ্জা লাগছে।
পর দিন একটু আগে ক্লাসে গিয়ে ফয়েজ নিশাতের অপেক্ষা করতে লাগল। অনেক ছাত্র ছাত্রী আসছে কিন্তু নিশাত আসার নামই নেই। ফয়েজ যেন নিজেকে ধরে রাখতে পারছেনা। অজানা এক মাধুর্য যেন তাকে ঘিরে ফেলেছে। অন্য কিছুতে মন বসাতে পারছেনা। তার কি হয়েছে সে নিজেও জানেনা।
অন্যদিন সে ক্লাসে এসেই আড্ডাবাজিতে মেতে উঠে কিন্তু আজ পারছেনা।
নিশাত ক্লাসে ঢুকল। নিশাতকে দেখে ফয়েজ কিছুটা বিব্রত হল, কিভাবে গিয়ে কথা বলবে বুঝতে পারছেনা। নিশাত সামনের বেঞ্চিতে বসে একটা বই খুলে পড়তে লাগল। ফয়েজ একটু এগিয়ে গিয়ে বলল, নিশাত বইটা এনেছ?
নিশাত একটা অপূর্ব হাসি দিয়ে বলল, বইয়ের জন্য দেখি অস্থির হয়ে আছ? তুমি কি অস্থির গ্রুপের সদস্য?
ফয়েজ কিছু বলল না। নিশাত তার ব্যাগ থেকে কাগজে মোড়ানো একটা প্যাকেট বের করে ফয়েজের দিকে এগিয়ে দিতে দিতে বলল, বইটা নতুন। আমার কাছে কেউ কোন দিন ইংরেজী কবিতার বই চায়নি তুমিই প্রথম, তাই বইটা তোমাকে উপহার দিলাম।
ফয়েজ নিশাতের দিকে তাকিয়ে রইল। কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারলনা।
ক্লাস শেষে নিশাত বলল, ফয়েজ তুমি একটু থাকবে? যদি তোমার কোন কাজ না থাকে?
না কোন কাজ নেই, থাকব।
ফয়েজ আর নিশাত ক্যাফেটেরিয়ায় বসে গল্প করছে। আজ নিশাতকে একটু বেশিই সুন্দরী লাগছে, কেন লাগছে তা সে নিজেও জানেনা। নিশাত বলল, তুমি কি হতে চাও?
অনেক কিছু হওয়ার ইচ্ছে মনে পোষে আছি। জানিনা কোনটা হতে পারব।
হুম ভাল। কি খাবে বল?
তুমি যা খাবে?
ওকে তাহলে আমরা ফুচকা খাই। ফুচকা আমার প্রিয়।
ফয়েজ ফুচকার অর্ডার দিতে চলে গেল। এসে যা দেখল তা সে দেখার কথা চিন্তাও করেনি। একটি ছেলে নিশাতের সাথে বসে আছে।
নিশাত ফয়েজকে দেখে বলল, ফয়েজ তোমাকে বলা হয়নি ও হচ্ছে তিসান আমার ফিয়ন্সি।
ফয়েজ কিছু বলতে পারল না। সে লক্ষ্য করল তা ঠোট কাপছে। বিনাবাক্যব্যয়ে সে চটজলদি বেরিয়ে পড়ল রাস্তায়।
একটি কবিতা তার বার বার মনে পড়ছে.।.।.।.।।
আজ তুমি অন্য কা্রো পাশে বসে
আমি একা একা রাস্তায় হাটি
বিষণ্নতার এই দুপুরে আমি
ঢাক বিহীন ঢোলের কাটি।

লেখকঃ চৌধুরী মোহাম্মদ ইমরান
এম সি কলেজ, সিলেট।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
কোন ক্লাসের ফার্স্ট গার্ল যে ফিয়ান্সে থাকে?

গল্প মোটামুটি লাগলেও - খটকা তো ওখানেই। ক্লাসটা উল্লেখ করা প্রয়োজন ছিল। ভার্সিটি লেভেলে 'ক্লাসের ফার্স্ট' টার্মটা অতটা প্রচলিতও না।

যাই হোক - ইংরেজী কবিতা আপনিও ভালই পড়েন। গল্প পড়েই বুঝা যাচ্ছে।

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

তিসান বলেছেন: আপনারও অঢেল ধারনা,,,,,,,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.