নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ছন্নছাড়া, মুক্ত ও বাস্তববাদী একজন মানুষ...

অতঃপর বাউন্ডুলে

অতঃপর বাউন্ডুলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় শোক দিবস ও আমাদের মূল্যায়নঃ

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের পুনর্গঠনে অক্সফামের হয়ে ত্রাণ তৎপরতা সমন্বয়কারী ছিলেন জুলিয়ান ফ্রান্সিস। ১৫ আগষ্ট সম্পর্কে তিনি লিখেছেনঃ
.
"১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমি অক্সফামের সঙ্গেই ছিলাম, তখন আমার কর্মস্থল ছিল নয়াদিল্লি। সেদিন যখন টিভিতে ভারতের স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের অনুষ্ঠান দেখছিলাম, তখন শেখ মুজিব ও তাঁর পরিবারের হত্যার খবর শুনে সেই অনুষ্ঠান দেখার মাঝপথে ব্যাঘাত ঘটল। প্রচণ্ড আঘাতে আমার অনুভূতি ভোঁতা হয়ে গিয়েছিল। দুই হাতের মধ্যে মাথা রেখে আমি ডুকরে কেঁদে উঠলাম। আজ ৪০ বছর পরও ১৫ আগস্ট এলে মনটা বিষাদে ভরে যায়।"
.
এই জুলিয়ান ফ্রান্সিস বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন না, স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্গঠনের পেছনে তার কোন স্বার্থও ছিলনা, স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু'র সাথেও তার কোন ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিলনা। তিনি ভারতের দূর্ভিক্ষপীড়িত এলাকায় ত্রাণ ততপরতার দায়িত্বে থাকাকালীন ৭ই মার্চে রেডিওতে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক শুনেন, তারপর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বাংলাদেশী শরনার্থীদের জন্য কাজ শুরু করেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্গঠনে অক্সফামের হয়ে বঙ্গবন্ধুর সরকারকে সহায়তায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে দেখেছিলেন এবং বুঝেছিলেন। এরপর নিজের দায়িত্ব শেষ করে বাংলাদেশ ছাড়েন।
.
যার হত্যার খবর শুনে সেই ফ্রান্সিস ডুকরে কেদেছিলেন এবং এখনো ১৫ আগষ্টআসলে এর নারকীয়তা তার হৃদয়কে নাড়া দেয়; সেই বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন করা দেশে বসবাস করে আজও কিছু মুনাফেক ও নিমকহারাম বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীর দিনে মিথ্যা উপলক্ষ বানিয়ে উল্লাসে মেতে উঠে। শত ধীক্কার জানায় এই সকল বেজন্মা আর বেইমানদের প্রতি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.