নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ছন্নছাড়া, মুক্ত ও বাস্তববাদী একজন মানুষ...

অতঃপর বাউন্ডুলে

অতঃপর বাউন্ডুলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষার উপর ভ্যাট ও আন্দোলনের স্লোগানঃ

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

যেখানে শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, সেখানে শিক্ষার উপর ভ্যাট বসানো কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়, এটা অযৌক্তিক এবং লজ্জাজনক। তবে যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই ভ্যাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে তাদের এই আন্দোলনও সমর্থনযোগ্য নয় অন্তত দুটি কারনে...
.
প্রথমত, তারা যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ে সে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন তাদের সেমিষ্টার ফি বর্ধিত করে, কিংবা সেমিষ্টার ফি দিতে একদিন দেরী হয়ে গেলে হাজার হাজার টাকা বিলম্ব মাশুল আদায় করে তখন তারা নূন্যতমও প্রতিবাদ করেনা। এখানে ব্যাক্তি মালিকানাধীন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নানা অজুহাতে তাদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা নিলেও তাদের গায়ে বাধেনা; কিন্তু রাষ্ট্র তাদের সেমিষ্টার ফি'র উপর নির্দিষ্ট পরিমান ভ্যাট চাইলে তারা উম্মাদ হয়ে যায়!
.
আর দ্বিতীয়ত, যেখানে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের স্লোগান ছিল 'জয় বাংলা।' এই জয় বাংলা স্লোগানের উপর ভর করে বৈষম্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় মাসের লড়াইয়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। সেখানে আলোচিত ছবি দুটির দিকে লক্ষ্য করুন; এর একটিতে আজ সেই স্বাধীন দেশে বসে 'জয় বাংলা'কে বিকৃতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই আন্দোলনে, আর অন্যটিতে একজন ছাত্রী হাসিমুখে তার সবকিছু বিলিয়ে দিবেন কিন্তু ভ্যাট দিতে রাজী নন তিনি।
.
আলোচিত ছবি দুটি থেকেই যেমন এই আন্দোলনের পিছনে কারা কলকাঠি নাড়াচ্ছেন তা পরিস্কার হয়ে যায়, তেমনি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে যারা নির্দিধায় লক্ষ লক্ষ টাকা সেমিস্টার ফি দেয় কিন্তু রাষ্ট্রকে কয়েক হাজার টাকা অস্বীকৃতি জানায় তাদের উদ্দেশ্য ও মানসিকতা পরিস্কার হয়ে যায়!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৮

মো. রহমত উল্লাহ্‌ (রানা ইশতিয়াক) বলেছেন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে যারা কোটিপতি। যারা শিক্ষাকে বানিজ্য বানিয়ে লালে লাল। যারা এই বানিজ্যের ক্যাম্পাস বাড়ানো নিয়ে ও বিপুল লাভের ভাগাভাগি নিয়ে মারামারি, মামলা মোকদ্দমা, দলাদলি করছে প্রকাশ্যে, তাদের সেই লাভের কিছুটা সরকারি (জনগনের) তহবিলে জমা করে দেশের কল্যানে /উন্নয়নে কাজে লাগানো উচিত নয় কি?

তবে এটাকে ভ্যাট না বলে উৎসে কর কর্তন (সোর্স টেক্স) বলাই সঠিক। তা হলেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

আলুমিয়া বলেছেন: যারা প্রাইভেট ইউনিতে পড়েন - তারা আসলেই ভ্যাট দিতে পারেন। আমি আপনার লেখার সাথে একমত।

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ভ্যাট আরোপ খুবই যৌক্তিক।প্রচুর ছেলেপেলে চিনি যারা ঢাকার বাইরে কোথাও পড়বে না,তাই প্রাইভেটে পড়ে।এদের উপর ১০০% ভ্যাট প্রযোজ্য।

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২২

বুলস আই বলেছেন: স্লগান ভাললাগে :D

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৬

অতঃপর বাউন্ডুলে বলেছেন: অবশ্যই সেটা করা উচিত। তবে সেটা শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে নয়, বরং এসকল প্রতিষ্ঠানের আয় এর উপর থেকে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কে আদায় করা উচিত।

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৩

অতঃপর বাউন্ডুলে বলেছেন: ভ্যাট দেওয়া তাদের কাছে কোন ব্যাপার-ই না। এরাই সকালের ঘুম নষ্ট করবেনা বলে অনেক সময় কয়েকদিন দেরী করে হাজার হাজার টাকা বিলম্ব মাশুল দেয় সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে, অথচ সরকারী কোষাগারে সামান্য অংশ দিতেই তাদের যত সমস্যা।

৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

অতঃপর বাউন্ডুলে বলেছেন: আমি ছাত্রদের নিকট থেকে ভ্যাট আদায়ের পক্ষে না, আমি শুধু বলতে চেয়েছি যে তারা ভ্যাট দিতে সক্ষম; কিন্তু তা জনগনকে দিবেনা, দিবে ব্যক্তিগত টাকশাল গড়ে তোলা শিক্ষা ব্যবসায়ীদেরকে।
আর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আয়ের উপর অবশ্যই নির্দিষ্ট হারে একটি অংশ সরকারী কোষাগারের জন্য আদায় করা উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.