নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অভিমান... অপ্রাপ্তি... অনুশোচনা...

অভিমান... কাটিয়ে উঠার চেষ্টায়...

অভিমানী পুরুষ

অভিমান নিয়েই দিন কেটে যায়...

অভিমানী পুরুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিষণ্নতম কবিতা (পাবলো নেরুদা)

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯

আজ রাতে আমি লিখতে পারি সবচেয়ে বিষণ্ন কবিতা।

যেমন, লেখা যায়, ‘রাতটা তারায় ভরা

আর তারারা, নীল, কাঁপছে দূরে’।

রাতের বাতাস ঘুরে ঘুরে গান গাইছে।

আজ রাতে আমি লিখতে পারি বিষণ্নতম কবিতা।

তাকে আমি ভালোবাসতাম, আর মাঝেমাঝে সেও আমাকে।

এইরকম রাতগুলোতে, তাকে আমি জড়িয়ে থাকতাম

আর কতবার চুমু খেতাম অনন্ত আকাশের নিচে!

সে আমাকে ভালোবাসতো, মাঝে মাঝে আমিও তাকে।

তার বড় বড় শান্ত চোখদুটিকে ভালো না বেসে কি পারতাম?

আজ রাতে আমি লিখতে পারি সবচেয়ে বিষণ্ন কবিতা।

যদি ভাবি সে আমার না, যদি অনুভব করি তাকে হারিয়েছি।

এই গাঢ় রাত্রির নিস্তব্ধতা, আরও নিরেট তাকে ছাড়া।

শিশিরের মতন হৃদয়ে ঝরে পড়ে কবিতা।

আমার ভালোবাসা তাকে বাঁধতে পারেনি, কী যায় আসে তাতে

আজ রাত তারায় ভরা আর সে আমার সাথে নেই।

এইটুকুই। অনেক দূরে। কেউ গাইছে। অনেক দূরে।

তাকে ছাড়া দিশাহারা আমার অন্তর।

যেন কাছে টানবে বলেই আমার চোখ খুঁজে তাকে।

আমার হৃদয় তাকে খুঁজছে আর সে আমার সাথে নেই।

একই রাত, সেই গাছেরই আবছা অবছায়া

আমরা, আমরা যা ছিলাম, আমরা নেই আর।

তাকে আর ভালোবাসি না আমি, সত্যি, তবু কত ভালোবাসতাম তাকে।

আমার কণ্ঠ বাতাসে ভেসে ভেসে তার কানে পৌঁছাতে চেয়েছিল।

অন্য কারও। সে অন্য কারো হবে। যেমন একসময় শুধু আমার ছিলো।

তার স্বর। তার হালকা শরীর আর অনন্ত চোখ।

আমি তাকে আর ভালোবাসি না, সত্যি, তবে হয়তো তাকে ভালোবাসি।

প্রেম কত সাময়িক আর ভুলে যাওয়া অসীম।

কারণ এরকম রাত্রিগুলোতে তাকে আমি জড়িয়ে থেকেছি।

তাকে ছাড়া দিশাহারা আমার অন্তর।

হয়তো তার কারণে এই আমার শেষ কষ্ট পাওয়া।

আর তার জন্য এটাই হয়তো আমার শেষ কবিতা।



অনুবাদ: লুনা রুশদী।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.