![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুরুতেই বলি- পড়তে বিরক্ত লাগলে শুধু বোল্ড করা অংশগুলোতে একবার চোখ বুলালেও টের পাবেন কাহিনী.
লালন নিজেকে কোনো গানে শাহ্ বলেননি, সিরাজ সাঁইকেও শাহ্ বলেননি
হিন্দু বলেননি, মুসলমানও বলেননি
বাউল বলেননি, সূফীও বলেননি
লালনের পরিচিতি নির্মান তাই অত্যন্ত জটিল ভাবে এগিয়েছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে বিভিন্ন ১/২টা যায়গা থেকে লালনকে নিয়ে জানতে গেলে সেটা ‘অন্ধের হাতি দর্শন’ হয়ে যায়. আর অনেক যায়গা থেকে জানতে গেলে বোঝা যায় যে লালনকে নিয়ে কত ধরনের রাজনীতি হয়েছে, যে যেভাবে পারে লালনকে নিজের পক্ষে দাঁড় করাবার চেষ্টা করেছে. এই লেখায় পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ধরনের মতামত- বিশ্বাস ও বক্তব্যকে তুলে ধরা হলো, এসব পড়লে আশা করি পাঠক নিজেই বুঝে নিবেন যে এই পরিবেশনের রূপটা কেমন. তাই আমি আর বেশী ব্যাখ্যা দিতে গেলাম না, তবে এমন ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম যাতে প্রহসনটা নিজেরাই টের পান. কিন্তু লালন খুবই সহজ ভাবে বলেছেন- লালন বলে জাতের কি রূপ দেখলামনা এই নজরে.
উল্লেখ্য যে, লালনের সাধন সঙ্গীনি বিশখা ফকিরানী’র পরিচয়ও কিন্তু প্রকাশ করে যাননি তিনি, তবে ওনার বিষয়ে গবেষকদের তেমন আগ্রহ পেলাম না, কিন্তু ওনাকেও লালনের সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে, কারণ- বাউল সাধনায় নারী- পুরুষ কেউ কারো চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ন নয়.
জীবনী ও ধর্ম কেন্দ্রিক পরিবেশন ও পরিচিতি নির্মাণ:
২০০৪ এ বিবিসির শ্রেষ্ঠ বাঙালীর তালিকায় ১২তম স্থানে আছে লালনের নাম। কিন্তু এর ভিত্তিতে আছে শ্রোতাদের ভোট। এবং শ্রোতারা লালনের এই পরিচিতি নির্মানের রাজনীতিতে লালনে কে কতটুকু চিনতে পারে সেটা প্রশ্ন।
অনেকে মনে করেন- ‘লালন’ তিন অক্ষরের রূপক এক নাম ! ‘লা’ মানে ‘না’, 'the no', মহাশূন্য, আধ্যাত্মিকতার শেষস্তর, ‘লা’ কে যিনি লন তিনিই লালন; অর্থাৎ যে সাধক বস্তুবিশ্বের ভিড় ছাপিয়ে দেহমনে মহাশূন্যতাকে গ্রহণ করেন! মানবীয় ক্ষুদ্র ‘আমিত্ত্ব’ অর্থাৎ ‘হ্যা’ কে যিনি সম্পূর্ণ বিসর্জন দিয়েছেন।
(ফেইসবুকে গ্রুপ লালন গীতি থেকে)
বাংলাপিডিয়ায় আছে-
'Lalon Shah (1774-1890) Baul guru, and singer and composer of baul songs. According to tradition, he was born into a kayastha family in the village of Bhandara in Kushtia. As a young boy, Lalon caught smallpox and was abandoned in a critical condition. Siraj Sain, a Muslim fakir, picked up the child and nursed him back to health. Lalon was later inducted as a Baul fakir. He set up an akhda at Chheuriya, where he lived with his wife and a few disciples.’
উইকিপিডিয়ায় আছে-
‘লালন শাহ বা লালন ফকির (১৭৭৪- অক্টোবর ১৭, ১৮৯০) ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক সাধকদের মধ্যে অন্যতম। তিনি একাধারে বাউল সাধক, বাউল গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক। তাঁকে ‘বাউল সম্রাট’ হিসেবেও অভিহিত করা হয়। গান্ধীরও ২৫ বছর আগে, ভারত উপমহাদেশে সর্বপ্রথম, তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধি দেয়া হয়েছিলো।’
লালনকে নানাজন নানাভাবে নানা উদ্দেশ্যে পরিচিত করেছে, লালনের পরিচিতি নির্মানে অংশ নিয়েছে। লালনের শিষ্য সংখ্যা দশ হাজারের উপর বলে পাওয়া যায়। (চক্রবর্তী ১৯৯২) লালনের এই পরিচিতি নির্মাণে অংশ নিয়েছেন কাঙাল হরিনাথ, সরলা দেবী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ নানা সাহিত্যিক, মোল্লা মৌলবী, লালনের এই শিষ্য সকল এবং লালন নিজেও, যে যার অবস্থান থেকে।
লালনের ‘জীবনী’ ও ‘জাত’ সম্পর্কে বিভিন্ন বক্তব্য ও বহুমাত্রিক দৃষ্টিকোণকে শুধু ‘লোকশ্রুতি’ বা ‘বিদ্বজনের বক্তব্য’ হিসেবে দেখলে নৃবৈজ্ঞানিক বোঝাপড়ায় ঘাটতি থেকে যায়। তাই এগুলোকে প্রেক্ষাপট বিচারে দেখতে হবে। আগে দেখা যাক এ ব্যাপারে বিভিন্ন বক্তব্য কেমন-
বই, পত্রিকা ও সিনেমা থেকে:
লালনের জীবনীকে নানাজন নানাভাবে ব্যাখ্যা করেছেন যার যার রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে। এর কিছু উদাহরণ-
লালনের জীবদ্দশায় ১৮৭২ সালে কাঙাল হরিনাথ সম্পাদিত পত্রিকা ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’তে ‘জাতি’ নামের রচয়িতার নাম ছাড়া এক লেখায় প্রথম লালন সম্পর্কে প্রথম কিছু মুদ্রিত হয়-
‘লালন শা নামে এক কায়স্থ আর এক ধর্ম্ম আবিষ্কার করিয়াছে। হিন্দু মুসলমান সকলেই এই সম্প্রদায়ভুক্ত।’
উল্লেখ্য যে এটি পূর্ব বাংলার প্রকাশিত প্রথম আঞ্চলিক পত্রিকা।
১৮৯০ সালে লালনের মৃত্যুর ১৫ দিনের মধ্যেই মীর মোশাররফ হোসেন সম্পাদিত ‘হিতকরী’ পত্রিকায় লেখা হয়-
‘সাধারনে প্রকাশ লালন ফকীর জাতিতে কায়স্থ ছিলেন। কুষ্টিয়ার অধীন চাপড়া ভৌমিক ইহার জ্ঞাতি। ইহার কোনো আত্মীয় জীবিত নাই। ইনি নাকি তীর্থগমন কালে পথে বস্ত রোগে আক্রান্ত হইয়া সঙ্গিগণ কর্তৃক পরিত্যাক্ত হয়েন। মুমূর্ষু অবস্থায় একটি মুসলমানের দয়া ও আশ্রয়ে জীবনলাভ করিয়া ফকির হয়েন। ইহার মুখে বসন্তরোগের দাগ বিদ্যমান ছিলো।... ইহার জীবনী লিখিবার কোনো উপকরণ পাওয়া কঠিন। নিজে কিছুই বলিতেন না। শিষ্যেরা হয়ত তাঁহার নিষেধক
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৮
অভ্রংনীহ বলেছেন: ধন্যবাদ @বিজন দাদা। আমি চেস্টা করবো। শুভ রাত্রি
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫০
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: শুরুতেই বলি- পড়তে বিরক্ত লাগলে শুধু বোল্ড করা অংশগুলোতে একবার চোখ বুলালেও টের পাবেন কাহিনী.
বোল্ড করা অংশই নাই।
যাই হোক - বিস্তারিত পোস্ট আশা করেছিলাম। তবে, এইটুকুতেও কয়েকটা অজানা ব্যাপারে জানতে পারলাম।
আর, সূত্র দিতে পারতেন শেষে - ঘেটেঘুটে দেখতাম নিজেই।
৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লালন নীজেই লালন, তাকে নিয়ে যত তেলেসমাতিই করা হোক না কেন তিনি লালনই থাকবেন,
তার গানের কথা দয়াল পার কর আমারে আধ্যাতিক জগতে হাজার পৃষ্ঠার ওয়াজ হতেও
অনেক বেশী আবেগময়ী মানুষকে তার সৃস্টিকর্তাকে স্মরণ করার জন্য ।
৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২২
অভ্রংনীহ বলেছেন: লালনের সম্পর্কে পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ @দিগন্ত বোল্ড করে লিখার পরেও কোথায় ভুল হয়েছে তা আমি বুঝতে পারছি না। হ্যাল্প করলে উপকৃত হব
৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬
অভ্রংনীহ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ @আলী লালন আমার প্রিয় মহা মনিষী মধ্যে অন্যতম।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪
বিজন রয় বলেছেন: ভাল পোস্ট।
আরো বিস্তারিত লিখুন এই বিষয়টি নিয়ে।
শুভকামনা।