নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইস আমি তো ভুলতে পারিনি

পিকেকে টিটু

পিকেকে টিটু › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিল্লি ধর্ষণ: কারাগারে প্রধান আসামির আত্মহত্যা

১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২১

দিল্লির বাসে প্যারামেডিকেল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার সেই আলোচিত মামলার প্রধান আসামি বাস চালক রাম সিং তিহার জেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।তিহার জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার ভোর ৫টার দিকে নিজের পোশাক গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন রাম সিং। তার লাশ দিল্লির দিন দয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে রাখা হয়েছে।



পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, সোমবার ভোরে কারাগারে নিজের কক্ষে আত্মহত্যা করেন রাম সিং।



“এটা সত্য যে, সে মারা গেছে।”



গত ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বন্ধুর সঙ্গে সিনেমা দেখে ফেরার সময় একটি বাসে গণধর্ষণের শিকার হন ২৩ বছর বয়সী ওই ছাত্রী। ধর্ষণের পর সেই তরুণী ও তার বন্ধুকে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে চলন্ত বাস থেকে তাদের দুজনকে ছুঁড়ে ফেলে বাসের চাকায় পিষ্ট করে মারার চেষ্টা হয় তাদের।



সেই ঘটনার দুই সপ্তাহ পর ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালে মারা যায় ধর্ষিতা ওই ছাত্রী ।



এ ঘটনা নাড়িয়ে দেয় পুরো ভারতকে। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতায় এবং ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে ভারতজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।



টানা বিক্ষোভের মধ্যে বাস চালক রাম সিংসহ ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। গত মাসে দ্রুত বিচার আদালতে তাদের পাঁচ জনের বিচার শুরু হয়। অন্যজন প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ার কিশোর অপরাধ আদালতে তার বিচার চলছে।



এ মামলার প্রধান আসামির মৃত্যুতে নিহত তরুণীর ভাই সাংবাদিকদের বলেন, “তার বিরুদ্ধে যে মামলা তাতে তার ফাঁসি হবে-এ কথা তিনি জানতেন।



“তবে তার মৃত্যুর খবরে আমি খুশি হইনি। কারণ আমি চেয়েছিলাম তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারা হোক। তার এভাবে মৃত্যুতে বিচার পাওয়া হলো না। বাকিদের মৃত্যুদণ্ড হবে বলে আশা করি।”



দ্রুত বিচার আইনে অন্য যাদের মামলা চলছে তারা হলেন- রাম সিংয়ের ভাই মুকেশ সিং, শরীরচর্চা প্রশিক্ষক বিনয় শর্মা, বাসের পরিচ্ছন্নতাকর্মী অক্ষয় কুমার সিং ও ফল বিক্রেতা পবন কুমার।



ঘটনার রাতে নিহত তরুণীর সঙ্গী সেই ২৮ বছর বয়সী যুবক ইতোমধ্যে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। অন্যদিকে আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছিলেন অভিযুক্তরা।



দক্ষিণ দিল্লির একটি বস্তিতে থাকতেন রাম সিং। প্রতিবেশিদের বর্ণনায়, রাম সিং ছিলেন বদমেজাজী ও মদ্যপ।



এক তরুণী জানান, প্রায়ই মারামারিতে জড়িয়ে পড়তেন তিনি। তার এক আত্মীয়ও তার স্বামীর সঙ্গে রাম সিংয়ের মারামারি বর্ণনা দেন।



২০০৯ সালে এক দুর্ঘটনায় ডান হাত ভেঙে যায় রাম সিংয়ের। তখন তার হাতে রড ঢুকিয়ে দেন চিকিৎসকরা। তারপরেও বাস চালাতেন রাম। এক সময় তাকে টেলিভিশনের এক রিয়েলিটি শোতেও দেখা যায়।



ক্ষতিপূরণ নিয়ে বাস মালিকের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে সে সময় টেলিভিশনের আলোচনাতেও এসেছিলেন এই চালক। অন্যদিকে বাসমালিক তার বিরুদ্ধে মাতলামি, দায়িত্বে অবহেলা ও বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগ করেন।





তথ্য সূএ :http://bangla.bdnews24.com/world/article600651.bdnews

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

সাদা রং- বলেছেন: ব্যটা মরে বেচে গেছে।

২| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

দিদিমা বলেছেন: তার দরকার ছিল বাংলাদেশে চলে আসা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.