![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘আইজ থেইকা না.গঞ্জে কী অবস্থা হয় দেখবি
শুক্রবার দুপুর দেড়টায় শামীম ওসমান একটি কালো গাড়িতে করে শহীদ মিনারের সামনে এসে দাঁড়ায়। পরে যুবলীগ নেতা বাদল রায় শহীদ মিনারের ভেতরে এসে হাফিজুলকে জানান যে তাকে শামীম ওসমান তাকে ডাকছে। তখন হাফিজুল ইসলাম, অঞ্জন দাস ও আবু নাঈম খান বিপ্লব শহীদ মিনারের গেটের সামনে গেলে শামীম ওসমান গাড়ির গ্লাস নামিয়ে প্রদীপ ঘোষ বাবুকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘ওই মালোয়ানের বাচ্চাকেও ডাকেন।’
তখন প্রদীপ ঘোষ বাবুও শামীম ওসমানের গাড়ির সামনে আসে। তখন হাফিজ ও প্রদীপ ঘোষ বাবুকে আক্রমনাতœক করে শামীম ওসমান বলেন, ‘অনেক বাইড়া গেছস, অনেক গভীরে হাত দিয়া ফালাইছস। সামাল দিতে পারবি না। বউ পোলাপান নিয়ে শহরে থাকতে পারবি না। আজ থেইকা নারায়ণগঞ্জের অবস্থা কী হই দেখবি।’ এ বলে শামীম ওসমান ড্রাইভারকে বলে চল।
শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে জিডি নেয়নি পুলিশ
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগে পৃথকভাবে দুইজন জিডির জন্য আবেদন করলেও পুলিশ তা জিডি হিসেবে গ্রহণ করেনি। পুলিশ জিডির আবেদন দুটি গ্রহণ করে তা তদন্তের জন্য রেখে দিয়েছে।
শামীম ওসমান কর্তৃক হুমিকর অভিযোগ এনে শুক্রবার সন্ধ্যয় সদর মডেল থানায় পৃথকভাবে দুটি জিডি দুটির আবেদন করেন বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি (সিপিবি) নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি হাফিজুল ইসলাম ও নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ ঘোষ বাবু।
তাদের অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা হতে তারা দুইজন রাত ৮টা পর্যন্ত থানায় বসে থাকলেও পুলিশ জিডি গ্রহণ করতে তালবাহনা শুরু করে।
পরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার ক অঞ্চল আজিম উল আহসান জিডির জন্য আনা দুটি আবেদন পত্র গ্রহণ করলেও সেখানে জিডির কোন নাম্বার প্রদান করেনি। পুলিশ শুধু ডিজির দুটি আবেদন কপি রিসিভ করে রেখেছে।
সহকারী পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান জানান, থানার ওসি বাইরে থাকায় তিনি জিডির কপি থানায় রেখেছেন। ওসি এসে বিষয়টি দেখবে।
প্রদীপ ঘোষ বাবু জানান, আমাদের হুমকি দেওয়ার পরেও পুলিশ জিডি হিসেবে তা গ্রহণ করেনি। বরং আমাদের সময় কালক্ষেপন ও হয়রানি করেছে। পুলিশ আমাদের আবেদন রেখে দিলও জিডির কোন নাম্বায় দেয়নি।
জিডিতে দুইজনই অভিন্ন অভিযোগ করেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৬ ফেব্রুয়ারী হতে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবীতে সারা দেশের মত ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছিল। গত ৮মার্চ মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর লাশ পাওয়ার পরে তার হত্যার বিচার চেয়েও আন্দোলন চলছে।
চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুক্রবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত সমাবেশের আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ। এ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দুপুর থেকেই শহীদ মিনারে এসে অবস্থান করেন প্রদীপ ঘোষ বাবু, হাফিজুল ইসলাম, বাসদ নেতা আবু নাঈম খান বিপ্লব, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা অঞ্জন দাস।
এসময় শামীম ওসমান একটি কালো গাড়িতে করে শহীদ মিনারের সামনে এসে দাঁড়ায়। পরে যুবলীগ নেতা বাদল রায় শহীদ মিনারের ভেতরে এসে হাফিজুলকে জানান যে তাকে শামীম ওসমান তাকে ডাকছে। তখন হাফিজুল ইসলাম, অঞ্জন দাস ও আবু নাঈম খান বিপ্লব শহীদ মিনারের গেটের সামনে গেলে শামীম ওসমান গাড়ির গ্লাস নামিয়ে প্রদীপ ঘোষ বাবুকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘ওই মালোয়ানের বাচ্চাকেও ডাকেন।’
তখন প্রদীপ ঘোষ বাবুও শামীম ওসমানের গাড়ির সামনে আসে। তখন হাফিজ ও প্রদীপ ঘোষ বাবুকে আক্রমনাত্নক করে শামীম ওসমান বলেন, ‘অনেক বাইড়া গেছস, অনেক গভীরে হাত দিয়া ফালাইছস। সামাল দিতে পারবি না। বউ পোলাপান নিয়ে শহরে থাকতে পারবি না। আজ থেইকা নারায়ণগঞ্জের অবস্থা কী হই দেখবি।’ এ বলে শামীম ওসমান ড্রাইভারকে বলে চল।
জডিতে বলা হয়, শামীম ওসমানের এ ধরনের হুমকিতে তারা আতঙ্কিত। এ কারণেই নিরাপত্তা চেয়ে তারা জিডি করলেন।
২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৮
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: এতো বেশি বৃদ্ধি ভালো না। আমার বাড়ি যশোর। সেই ছোট্ট বেলা থেকে আমি অনেক বড়বড় মস্তান আর গডফাদার দেখেছি। বেশিরভাগেরই পরিণতি চুল পাকার আগেই খেজুরের পাতার পাটি অথবা নীল পলিথিনে রোল হয়ে ডোমের ঘর থেকে সেলাই করা দেহ নিয়ে সোজা কবরে।
পাপ কখনো বাপকেও ছাড়েনা রে পাগলা!
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৫
নাজ_সাদাত বলেছেন: জঙ্গলের রাজত্ব চলছে একেবারে। উসমানকে গ্রেপ্তার করে খুনের মামলা রুজু করা দরকার। সেই সঙ্গে কঠোর সাজার দরকার। আসলে বাংলাদেশে আবার স্বাধীনতার যুদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। স্বাধীনতার নামে দেশটা যা পেয়েছে তা হল জমিদারী প্রথা।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩২
এস এইচ খান বলেছেন: একটা বরিশাইল্লা প্রবাদ:
আল্লাহর কাম আল্লাহ করে
খোজদারাইদ্দা পোলা ধরে!