নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বিপর্যয়কে রুখো

পরিবেশ বাঁচাও

প্রাইমেট

পরিবেশবিদ হিসেবে নিজেকে বিবেচনা করি। ক্লাইমেট চেঞ্জ নিয়ে ভাবি এবং এর উপাত্ত সংগ্রহ করি। এ পৃথিবীকে বাসযোগ্য দেখতে চাই।

প্রাইমেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধুকে ‘তৃতীয় শ্রেণির নেতা’ বলায় প্রবীণ সাংবাদিক এ বি এম মূসাকে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ অ্যাখ্যায়িত করেছে আওয়ামী লীগ।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

শুক্রবার রাতে ক্ষমতাসীন দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বঙ্গবন্ধু তৃতীয় শ্রেণির নেতা ছিলেন বলে তিনি (মূসা) যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ, অশোভন কটুক্তি করেছেন তা নিতান্তই অনাকাঙ্খিত, দুর্ভাগ্যজনক। যা কেবল একজন মানসিক ভারসাম্যহীন, বঙ্গবন্ধুবিদ্বেষী প্রতিক্রিয়াশীল ব্যক্তির মুখেই শোভা পায়।”



এ প্রসঙ্গে এই আওয়ামী লীগ নেতা উল্লেখ করেন যে, বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ বি এম মূসা শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে বলেন, ‘৬ দফা প্রণয়নের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধু তৃতীয় শ্রেণির নেতা ছিলেন।’



মূসার ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডির কার্যালয়ে জরুরি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।



এ বি এম মূসা বেশ কিছুদিন ধরে আওয়ামী লীগের ‘দরদী’ সেজে সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ক্রমাগত ‘ভিত্তিহীন কল্পকাহিনী’ প্রচার করে চলেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন হানিফ।



তিনি বলেন, “অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় তিনি (মূসা) তার প্রকৃত উদ্দেশ্য আর লুকিয়ে রাখতে পারছেন না। তিনি ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী স্বার্থে শেখ হাসিনার সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জেহাদে অবতীর্ণ হয়েছেন।



“সরকার ও জাতীয় নেতৃবৃন্দের চরিত্র হনন, সরকারের সাফল্য ম্লান করার মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে এবিএম মূসা কার্যত বিএনপি-জামায়াত জোটের ষড়যন্ত্রকেই প্রকারন্তরে সহায়তা করে চলেছেন।”



একাত্তর সালে মূসা মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়ে পাকিস্তানি ‘দালাল’ হামিদুল হক চৌধুরীর দৈনিক পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে হংকংয়ে গিয়ে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।



আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ওই সময় মূসা বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলছে না, সেখানে হিন্দুস্তানি দুস্কৃতিকারীরা পাকিস্তানের সংহতির বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।’



“এভাবে কার্যত তিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।”



প্রবীণ এই সাংবাদিককে ‘স্বঘোষিত বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগপ্রেমী’ অভিহিত করে হানিফ আরো দাবি করেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার প্রতিবাদে কোনো ভূমিকা পালন না করে ‘খুনি মোশতাক ও সামরিকচক্রের’ অপকর্মের পক্ষে সাফাই গাইতে কলম ধরেছিলেন মূসা।



“দেশের বয়োজ্যষ্ঠ কলামিস্ট হিসেবে আমরা তাকে শ্রদ্ধার আসনেই দেখতে চাই। কিন্তু তিনি ইতোমধ্যেই সকল সরকারের কাছ থেকে ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নিজের যে স্বার্থান্ধ, ক্ষুদ্র মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তা বেদনাদায়ক।”



সাংবাদিক মূসা একটি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমতি চেয়ে না পাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের কাছে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমতি চেয়ে না পাওয়ায় তিনি তার ক্ষোভ নানাভাবে ব্যক্ত করে চলেছেন। তিনি এখন শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ এমনকি বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নানা রকম বেসামাল উক্তি করে নিজের মনের জ্বালা মেটাতে উঠে পরে লেগেছেন।



বহস্পতিবারের ওই আলোচনা সভায় প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে ধরনের ‘বিষোদগার’ করেছেন তা ‘উন্মাদের প্রলাপ’ ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেন হানিফ।



তিনি এও দাবি করেন, নূরে আলম ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনের ফ্লোরে গড়াগড়ি খেয়ে ছাত্রলীগের সভাপতির পদটি বাগিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু দুভার্গ্যজনক হলেও সত্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর প্রতিবাদ না করে তিনি সামরিক স্বৈরশাসকদের পদলেহন করতে দ্বিধা করেননি। সামরিক স্বৈরশাসকদের উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করে তাদের নির্দেশে আওয়ামী লীগ ভেঙেছিলেন।



“তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ডলার বাজারে নয়-ছয় করে তিনি(নূরে আলম সিদ্দিকী) কোটিপতি হয়েছেন। গণবিচ্ছিন্নতার কারণে দলের মনোনয়ন পেয়েও নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেন নি। ১-১১ এর পর কিংস পার্টি গঠন করার চেষ্টা করেছেন।











মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

প্রাইমেট বলেছেন: আচ্ছা কেউ কি বলতে পারেন বঙ্গবন্ধু যখন ছয় দফা ঘোষণা করেন তখন মাহবুবুল হক হানিফ কোথায় ছিলেন? নুরে আলম সিদ্দিকই, আসম রব, শাহজাহান সিরাজ ও আব্দুল কুদ্দুস মাখনরা যখন (চার খলিফা নামে খ্যাত) দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, ছাত্র নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তখনইবা হানিফ কোথায় ছিলেন?

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৩

টাইটান ১ বলেছেন: কথাটি বলাতে আমি মর্মাহত। তবে এই দোষ লীগেরই। তারা শেখ মুজিবের সম্মানটা রক্ষা করতে পারেনি। অথচ তারা এটাই দাবী করে। আমরা শেখ মুজিব সহ আরো যারা দেশের জন্য কাজ করেছেন তাদেরকে নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতি না করে তাদেরকে হৃদয়ে ধারণ তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য নিরবে কাজ করে যাব। কাজ বেশি কথা কম হবে।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২২

উমাইর চৌধুরী বলেছেন: বাকশাল প্রতিষ্ঠার এই দিনে
জনক তোমায় পড়ে মনে !

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

শোয়েব হাসান বলেছেন: :-)B-)

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৮

রিওমারে বলেছেন: শেখ মুজিব ছিল অত্যাচারী শাসক।। দেশ প্রেমিক মিলিটারীরা তার সমুচিত জবাব দিয়েছে।। অত্যাচারীর পতন এভাবেই হওয়া উচিত।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.