![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এনাক্ষী,
একটু আগে তোমাকে লিখা আমার ১৯ তম চিঠি হারালাম। হয়তো এমন করে কোন দিন তোমাকেও হারাবো। তবে একটা ব্যাপার ভেবে খুবই আনন্দিত এই জন্য যে এই লিখা হারালেও আমি তোমাকে হারায় নি। মস্তিষ্কে আর হৃদয়ে যে ধারণ করেছি তোমায়।
তাই এই চিঠির মতো মতো করে তুমি যতবার হারাবে আমি তোমাকে পুনর্জীবন দিবো আমার কলমে, মস্তিষ্কে কিংবা হৃদয়ে। এই কী সবচেয়ে সুখের সংবাদ নয়?
তুমি ভাবছ সময় সব ধূলিসাৎ করে দিবে। আজকের তুমি মলিন হয়ে যাবে বা এমন সময় আসবে যে আমি তোমাকে মনে রাখার কিংবা মনে করার সময় পাবো না। সময় আমার হৃদয়ে বহমান খরস্রোতা নদী তলদেশ ভরাট করে আমাকে বানিয়ে দিবে মৃত প্রায় কোন নদী। কিংবা এইটা হবে ধু ধু মরুভূমি। কোন দিন কল্পনায় স্থান করে নিবে এইখানে কোন নদী বহমান ছিল। তার যৌবন ছিল। উপছে পড়ে প্লাবিত করতো আমার হৃদয় কিংবা পক্ষান্তরে আমাকে।
ভেবো না এনাক্ষী। আমি তোমাকে প্রতিনিয়ত এইভাবে লিখে যাব কিংবা রোমন্থ করে যাব তোমার রেখে যাওয়া স্মৃতি, যে আমার মনে হবে তা সদ্য ফুটা কোন গোলাপ। এই গোলাপ ছড়াবে আলো। মানুষ ভাববে এই বুঝি নক্ষত্র। ঘুম ভাঙতে আমি দেখবো সেই গোলাপ। আর তার থেকে স্ফুরিত সকল আলো আমাকে নিয়ে যাবে তোমার দিকে। আমি যখন ঘুমে তলিয়ে যাবো দেখবো আমার হৃদয় ফুটছে কোন গোলাপ আর তা থেকে স্ফুরিত আলো। একটু মনোযোগ দিতে ধরা পড়বে হাইড্রোজেন পারুক্সাইডের কৃতিত্বে মাথা তোমার দন্ত গুচ্ছের ভুবন ভুলানো হাসি।
ওই আলোতে ঝলসে যাওয়া চোখ আমায় স্বপ্ন দেখাবে তোমাকে ফিরে পাওয়ার।
©somewhere in net ltd.