নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাহাড়ি ফুল

আমি জ্যোস্না দেখি নি, তাই হয়তো তুমি এখনও জাগো নি।

পাহাড়ি ফুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

এনাক্ষীর ভাললাগার ভার আমাকে ন্যুব্জ করে দিয়েছে

২৩ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪৬


এনাক্ষী,
বলো আজ আমি এতো শান্ত হলাম কেনো? আমি অশান্ত হৃদয়, শত শঙ্কা আর অনিশ্চয়তায় দুরন্ত গতিতে ছুটে আসছিলাম তোমার দিকে। প্রতি নিয়ত বদলাচ্ছিলাম দিক যেমনি করে কোন আন্দামান সাগরে উঠা কোন ঘূর্ণিঝড়ও দিক বদলায় নি।
এনাক্ষী, অশান্ত ঝড় হয়ে আমি আছড়ে পড়তে চাই নি তোমার উপর। তাই প্রতিবার বদলেছি দিক, প্রশ্ন করেছি নিজেকে, কলমে কিংবা কী বোর্ডে আছড়ে পড়েছি বারংবার। তারপরও দেখো করে এই অশান্ত হাওয়া তোমাকেও ছুয়ে গেছে হয়তো।
এনাক্ষী, হৃদয়ের এই জ্বালা সে নিজের অজান্তে অন্যকেও পুড়িয়ে দেয়। সত্য বলছি এনাক্ষী, আমি চাই নি তোমাকে অশান্ত করে দিতে। দেখতে চাইনি তোমার রুদ্রমূর্তি। এই মূর্তির চিন্তা আমাকে ধরে রেখেছে আমার থেকে।
এনাক্ষী, একবার ভাব আমি তোমাকে কত ক্ষুদ্র ভেবেছি। আজ নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে। এনাক্ষী তুমি না, আমি কত ক্ষুদ্র আমি একবার ভাব।
এনাক্ষী, তুমি কিভাবে প্রতিনিয়ত ডিঙাও জাগতিক সব মানদণ্ড? কিভাবে তুমি বহন কর এতো বিশাল হৃদয়? এই ভাবলে নিজেকে অস্তিত্ব হীন মনে হয়। জানো আমি তোমার কাছে গেলে নিজেকে আর খুজে পাই না। যেমনি করে কর্ণফুলি বঙ্গোপসাগর গড়িয়ে পড়তে খুজে পাই নি তার অস্থিত্ব। একবার ভেবে দেখ, বঙ্গোপসাগর এর সামনে কর্ণফুলি কত ক্ষুদ্র। আমিও তাই।
এনাক্ষী, তুমি জানো আমি খুব মনোযোগ দিয়ে তোমার প্রতিটি শব্দ শুনি এবং পড়ি। ২/৩ বার করে পড়ি নি এমন শব্দ পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না। তুমি দুষ্টিমিতে যে শব্দ বলো তাও আমার কানে বাজে। তবে আমি কোন উপসংহার টানতে চাইনি। বুঝতে চাইনি আমার ব্যাখায়। দ্ব্যর্থ বোধক শব্দের বিশেষত্ব কী জানো? তা যে কোন দিকে বয়ে নেওয়া যায়। এতে ব্যাখার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই অবস্থায় আমি পৌছাতে চাই নি। যেইখানে আমাদের পুশ করতে হতো নিজেদের বাউন্ডারি।
এর পিছনে আরেকটি কারণ হতে পারে আমার ক্ষুদ্রতা। প্রতিনিয়ত মনে হতো " না, এই শব্দ বুঝি এমন বুঝায় নি। আমার সাথে এর সম্পর্ক নেই।" তুমি ঠিকই বল এতো ভয়ে কিছু অর্জন হয়নি কারো। তাই আমি নিজেকে প্রস্তুত করেছি হারতে। একে অবশ্য হারা বা জয় বলা যায় না। খুব তুচ্ছ হয়ে যায়।
আমি চেয়েছি বহন করতে আমার ভাললাগা। দূর থেকে মুদ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকতে চেয়েছি। সকল সীমারেখা উপড়ে ফেলে আমি সুখ খোজতে চেয়েছি এইখানে। বিধাতাকে বলেছি আমাকে ঈর্ষা মুক্ত করতে আর যথার্থ মানুষ বানাতে। যাতে অন্যের সুখে আমি আত্মহারা হতে পারি।
এনাক্ষী, তুমি কিভাবে পারলে তোমার সকল দেয়াল সরিয়ে সামনে এগোতে? মানুষকে এতো বিস্মিত না করলে কী হয় না?

একটি শব্দ, হ্যাঁ একটি শব্দ। আজ থমকে দিয়েছে আমার পৃথিবী। এই শব্দ কয়েক শত কোটি বার শুনেছি। তবে কোন দিন এতো ভার বহন করে নি। আজ এই শব্দের ভার আমাকে ন্যুব্জ করে রেখেছে। তীব্র গতিতে চলা ট্রেন হঠাৎ থমকে গিয়েছে। তুমি কী ফর্মুলা ওয়ান দেখ? হয়তো দেখ বা দেখ না। দেখবে ৩০০ কিমি স্পীডে ছুটা কোন গাড়ি হঠাৎ ব্রেক করলে কেমন হয়। এইটা স্পীন করতে পারে। উলটে যেতে পারে। ইঞ্জিনে আগুন লেগে যেতে পারে। আরও অনেক কিছু।
আর আমি দেখ। কেমন জানি শান্ত হয়ে গেছি। যেন প্রচন্ড কোন বাজ পড়েছে কিংবা কল্পনাতীত কোন প্রাপ্তি আমার কাছে এসেছে। ভীষন শান্ত। হৃদয়ের তাপমাত্রা হিমাংকের নিচে নেমে গেছে। নাকি আমি ৪% তাপমাত্রায় আটকে গেছি?
একটি শব্দ কিভাবে আমাকে এমন করে ছাড়লো?
জানো আমি আজ সব বিচিত্র কার্যকলাপ করেছি রাস্তায় আর রুমে। কী সব আকাশ পাতাল আলাপ দিচ্ছি। মৃদু মৃদু হাসছি। আর যা করছি তাতে সুখ পাচ্ছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.