![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইতালির অন্যতম প্রাচীন এবং শিক্ষাবান্ধব শহর ব্লোনিয়ার সিটি সরকারের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে আমার কথা হয়, জানতে চাই- মুহাম্মদ ইউনূসকে আপনারা কেন নাগরিকত্ব প্রদান করলেন? তিনি একগাল হেসে উত্তর দেন, বাংলাদেশের মুহাম্মদ ইউনূস এখন বিশ্ব নাগরিক। তিনি গোটা দুনিয়ার অমূল্য সম্পদ। তাকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করতে পেরে মূলত আমরা নিজেদের সম্মানিত করেছি। তিনি আমাদের সম্মান গ্রহণ করে আমাদের ধন্য করেছেন। মোহাম্মদ ইউনূস যে কত বড় মাপের মানুষ, বর্তমান বিশ্বে যে তার কতটা প্রয়োজন, তা বলে শেষ করা যাবে না।
মারিও উজেনিয় নামের ওই কর্মকর্তা তার শেষ কথায় বলেন, বাংলাদেশিদের সৌভাগ্য যে প্রফেসর ইউনূসের মতো একজন বড় মাপের মানুষ ওই দেশে জন্মগ্রহণ করেছেন। আমরা যুগযুগ ধরে অপেক্ষায় আছি একজন প্রফেসর ইউনূসের জন্য। বর্তমান সময়ের অর্থনৈতিক অস্থিরতায় তার মতো একজন ইউনূস আমাদের খুব প্রয়োজন।
গত ৮ জুলাই বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহর ইতালির ব্লোনিয়া সিটি হলে এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাড়ে তিন’শ জন বিশেষ নাগরিকের উপস্থিতিতে ওই অনুষ্ঠানে ব্লোনিয়ার মেয়র ভিরজিনিয় মেরোলা বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ব নাগরিক নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইতালির সংসদের স্পিকার লাউরা বোলদ্রিনি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী রোমানো প্রদি, সিটি কাউন্সিলের সভাপতি এবং রোমানো প্রদির স্ত্রী সিমোনা লেমবি।
প্রফেসর ইউনূসকে ইতালির নাগরিকত্ব প্রদানের ওই অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির বেশ ক’জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তারা সেখানে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করে উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করেন।
মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বখশির হাটে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ করেন। ব্যুরো অব ইকোনমিক্সে গবেষণা সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে সে দেশে পড়তে যান। ভ্যানডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ডক্টরেট করেন। সে সময় অনেক আধুনিক জীবন যাপনের হাতছানি থাকলেও তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি দারিদ্র্য বিমোচনের কাজে হাত দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে জোবরা গ্রামের হতদরিদ্র নারীদের মধ্যে তিনি ক্ষুদ্রঋণ চালু করেন। এর সফল ধারাবাহিকতায় তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৬ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার ছিনিয়ে আনেন। তার উদ্ভাবিত দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি ‘সামাজিক ব্যবসা’ এখন বিশ্বনন্দিত।
গত ১ থেকে ৩ জুলাই ২০১৫ ইতালির বাণিজ্যিপ্রধান শহর মিলানোয় মুহাম্মদ ইউনূস সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ ওয়ার্ল্ড ফোরামের অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত এক হাজার প্রতিনিধির সঙ্গে তিনি বিশ্বব্যাপী সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতি এবং কর্মপদ্ধতি নিয়ে মতবিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে ইতালির কৃষি, খাদ্য ও বনবিষয়ক মন্ত্রী মাউরিসিয় মারতিনা, ইতালির সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী ও হিউম্যান ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট জোভান্নি মেলানদ্রি এবং ইতালির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইউরোপীয় নারী অধিকার কর্মী এম্মা বোনিনো প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে প্যানেল আলোচনায় যোগ দেন।
মুহাম্মদ ইউনূস ইতালির ব্যাংক ফাউন্ডেশন (কারিপলো ফাউন্ডেশন) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন এবং ইতালিতে সামাজিক ব্যবসার জন্য ফান্ড গড়ে তোলার বিষয়ে ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট জুসেপ্পে গুজ্জেত্তি’র সঙ্গে একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। তিনি সামাজিক ব্যবসাকে সমাজ বদলের শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করেন।
একজন বিশ্বনন্দিত মানুষকে নিন্দিত করে তোলা কী কোনো দেশের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি হতে পারে? উত্তর হলো, পারে। আর সেই নিদারুণ ‘পারা’ দেশটি হলো আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। আমাদের সরকারের অনেক কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম এক কর্মসূচি হলো ড. ইউনূসের বিরোধিতা করা। তাকে নানা উপায়ে নিন্দিত করার চেষ্টা করা।
মুহাম্মদ ইউনূসকে অসম্মান করতে সরকারের পদক্ষেপ লজ্জাকর। এই লজ্জার মাত্রা যে কতখানি তা হয়তো দেশে বসে পুরোপুরি বোঝা যায় না। বোঝার জন্য বিদেশে আসা দরকার। আমরা যারা বিদেশে থাকি তারা বুঝি ড. ইউনূস আমাদের কতটা সম্মানিত করেছেন। কতোভাবে সম্মানিত করেছেন। অথচ আমাদের সরকার তার অহেতুক এবং অযৌক্তিক বিরোধিতা করে বিদেশ বিভূঁইয়ে আমাদের ছোট করছে। প্রতি পদে পদে আমাদের হেয় করছে। এ পরিস্থিতি খুব সচেতনভাবে সৃষ্টি করেছে আমাদের সরকার। ব্লোনিয়া সিটি সরকারের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি খুব কৌশলে সে কথা আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশিদের সৌভাগ্য যে প্রফেসর ইউনূসের মতো একজন বড় মাপের মানুষ ওই দেশে জন্মগ্রহণ করেছেন। আমরা যুগ যুগ ধরে অপেক্ষায় আছি একজন প্রফেসর ইউনূসের জন্য’।
৭ জুলাই ইতালির মিলানো শহরের বিশ্ব বাণিজ্য মেলা এক্সপো ২০১৫ তে মূল বক্তা হিসেবে যোগ দেন প্রফেসর ইউনূস। তিনি বলেন, পুরুষের পাশাপাশি নারীরা সমান সুযোগ পেলে ভালো দক্ষতা দেখাতে পারে। এ সময় তিনি বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এক্সপো ২০১৫ তে ড. ইউনূসের সঙ্গে বক্তৃতায় অংশগ্রহণ করেন ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো জেনতিলোনি।
মিলানোর সাবেক মেয়র লেতিজিয়া মোরাত্তি আয়োজন করেন ‘ব্যবসায় নারী’ শীর্ষক এক সেমিনারের। সেখানেও মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়াও ড্যানোন কমিউনিটি আয়োজিত সোশ্যাল বিজনেস ফান্ড বিষয়ক এক কনফারেন্সে তিনি প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন।
মুহাম্মদ ইউনূসকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ৫০টিরও বেশি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট দেয়া হয়েছে। ১০ দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার দেয়া হয়েছে। প্রায় দেড়’শ বিভিন্ন পুরস্কারে তাকে ভূষিত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ৩৪টি কমিশন এবং ৩৬টি উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য তিনি। কয়েকটি দেশের পাঠ্যবইতে ড. ইউনূসের জীবনী পড়ানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইউনূস চেয়ার’ স্থাপন করা হয়েছে। তাকে করা হয়েছে সম্মানজনক চ্যান্সেলর। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পুরস্কার এবং ১৯৮৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয় মুহাম্মদ ইউনূসকে।
মোহাম্মদ ইউনূসের জন্মদিন ২৮ জুনকে এখন বিশ্বজুড়ে অঘোষিতভাবে ‘সামাজিক ব্যবসা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। হয়তো সে দিন বেশি দূরে নয়, জাতিসংঘ থেকে ২৮ জুনকে বিশ্ব সামাজিক ব্যবসা দিবস ঘোষণা করা হবে। তখন বিশ্বের সব দেশ একযোগে এই দিন পালন করবে।
প্রফেসর ইউনূসকে কেন্দ্র করে ইতালিয়ানদের আগ্রহ এবং সম্মান দেখানোর ব্যাকুলতা দেখলে সত্যিই মনের মধ্যে এক অন্যরকম ভালোলাগা সৃষ্টি হয়। গর্বে বুক ভরে ওঠে। তারা এমন একজন মানুষকে সম্মান দেখাতে অস্থির, যে মানুষটার দেশ আর আমার দেশ অভিন্নÑ বাংলাদেশ। আমার গায়ের রং আর তার গায়ের রং একই রকম। আমার মায়ের ভাষা আর তার মায়ের ভাষা প্রিয় বাংলা ভাষা। এর চেয়ে গর্বের আর কী হতে পারে!
মুহাম্মদ ইউনূসের ইতালি সফরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মিডিয়ায় বিশেষ প্রস্তুতি লক্ষ করা যায়। পত্রপত্রিকা, রেডিও, টেলিভিশনসহ সব জায়গায় বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে তার খবর প্রচার করা হয়। প্রফেসর ইউনূসের কর্মজীবনভিত্তিক বিশেষ প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। কোনো কোনো মিডিয়া তাদের প্রতিবেদনের ফাঁকে ছোট করে মনে করিয়ে দেয়, বাংলাদেশে প্রফেসর ইউনূস রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।
বরাবরের মতো এবারও মুহাম্মদ ইউনূসের ইতালি সফরের দৃশ্যমান কোনো খবর রাখেনি আমাদের দূতাবাস। তবে দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ইউনূস সাহেব কোথায় যান, কী করেন, বিশেষ করে বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে কতটা মেশেন, সেসব খবর সংগ্রহ করে ঢাকার পাঠানোর নির্দেশ দেয়া ছিল উচ্চ মহল থেকে।
মুহাম্মদ ইউনূসের ইতালি সফরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বেশ আগ্রহ লক্ষ করা যায়। তবে সরকার সমর্থক একটা অংশ তাদের নেতাদের ভাষায় কথা বলে, গালিগালাজ করে। মজার বিষয় হলো, এই গালিবাজদের কেউ কেউ গোপনে সুযোগ খোঁজে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একটা ছবি তোলার জন্য।
এবারের ইতালি সফরে মোহাম্মদ ইউনূস উত্তর ইতালি থেকে দক্ষিণ ইতালির নাপলি শহরে এক দীর্ঘ ট্রেন যাত্রায় অংশ নেন। বিশেষ ওই ট্রেন যাত্রায় ইতালির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও ৫০ জন তরুণ তার সাথি হয়। এ সময় প্রফেসর ইউনূস বর্তমান বিশ্বে তারুণ্যের করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন। নাপলিতে মুহাম্মদ ইউনূস স্কামপিয়া পরিদর্শন করেন এবং লক্ষাধিক মানুষের এক বিশাল সমাবেশে বেকারত্ব, মাদক ও সন্ত্রাস বিষয়ে বক্তৃতা করেন। তিনি এসব সংকট সমাধানে তারুণ্যের করণীয় বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:০৬
পলাশ রহমান বলেছেন: আমার মনে হয় আত্মবিধ্বংশি বললে কম বলা হয়! আমরা এর চেয়েও ভয়ানক কিছু....
২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১১
এই স্বাধীনতা চাইনি আমি বলেছেন: এই স্বাধীনতা আমি চাইনি
০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৯
পলাশ রহমান বলেছেন: এই স্বাধীনতা আমি চাইনি!
সহমত
৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ----ওই অনুষ্ঠানে ব্লোনিয়ার মেয়র ভিরজিনিয় মেরোলা বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ব নাগরিক নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করেন।
আমরা সম্মানীত বোধকরি একজন বিম্ব নাগরিকের জন্য।
কিন্তু রাস্ট্রীয় লজ্জাটাও আমাদেরই লজ্জ্বা। এতটা নীচে না নামলেইকি চলত না!
০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৫৭
পলাশ রহমান বলেছেন: একই প্রশ্ন আমারও... এতটা নীচে না নামলে কী চলতো না!!!!!
৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৪
শেখ মফিজ বলেছেন: সরকার সমর্থক একটা অংশ তাদের নেতাদের ভাষায় কথা বলে, গালিগালাজ করে।
মজার বিষয় হলো,
এই গালিবাজদের কেউ কেউ গোপনে সুযোগ খোঁজে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একটা ছবি তোলার জন্য।
রাষ্ট্রের নেতারা মুখে না বললেও তার সাথে ছবি তোলার গোপন ইচ্ছাকি নেই ?
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২৯
পলাশ রহমান বলেছেন: চিন্তার বিষয়! তাদেরও তো সুপ্ত বাসনা থাকতে পারে....
৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:০১
বাঘ মামা বলেছেন: Apnar sob kothai thik ache।amio Europe r pray sob kota desh ghure dekhechi tar jonopriota।jokhon Oslo airport kono ek qus er jobabe bollam ami bangladeshi tokhon tara bollo apni onar desher lok? Apni lucky।ei kotha sunte amaro valo legechilo kintu somossa onno jaygay sesob abar ese bole jabo।
Poster jonno dhonnobad
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৩৯
পলাশ রহমান বলেছেন: মামা, আপনি দেশ বিদেশ ঘুরেছেন, তাই কথাগুলো এত সহজ করে বলতে পারলেন। যারা ওই পর্যন্ত যেতে পারেনি তাদের কথাগুলো নিচের কমেন্টগুলোয় পড়ে দেখেন! আমার কিছুই বলার নেই....
৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:০৩
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: @এই স্বাধীনতা চাইনি আমি.......ভয়ে ভয়ে বলছি মিনমিন করে,সহমত
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০৭
পলাশ রহমান বলেছেন: লেখার সময় আমিও অনেকবার পানি খেয়েছি....
৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: "নাপলি" শহর, নাকি "নেপলস্"?
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৫৭
পলাশ রহমান বলেছেন: ইতালিয় শুদ্ধ উচ্চারন হলো নাপলি। ধন্যবাদ
৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০০
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আজকে যারা ডঃ ইউনুসকে অসম্মান করছে কালকে তারাই আবার শামীম ওসমানের মত লোকদের এমপি বানাচ্ছে...এই জাতি যেমন, এদরে নেতাও তেমন! শামীম, সাকা এদের মত লোকে ভরে যাবে দেশ আর ইউনুস রা হয়ে যাবে বিশ্ব নাগরিক যারা চাইলেও দেশের জন্য কিছু করতে পারবেন না...কারন, কিছু করতে গেলেই সরকার বাহাদুর এঁদের হাগা-মুতার সময়-পরিমান ইত্যাদির হিসাব চেয়ে পাঠাবেন!!
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯
পলাশ রহমান বলেছেন: বড়ই নির্মম!
৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪
আর জে নিশা বলেছেন: ভাই পলাশ রহমান, আপনি তো ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস সাহেব কে মহামানব বা তার চেয়ে বড় কিছু ভগবান বানানোর চেষ্ট করছেন !!! আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস ইতালির নাগরিক্ত পেয়েছেন এটা এমন কিছুই না, তি অনেক বড় একজন ব্যাবসায়ী - তাকে পৃথিবীর যেকোনো দেশ ভিসা দেবে নাগরিক্ত ও দেবে, যদি না জানেন যে কোনো দেশের ইমিগ্রেশন ওয়েবে দেখুন, বাংলাদেশ থেকে নিদেন পক্ষে ৫,০০০ লোক গত কয়েক বছরে অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ইউ, কে, কানাডার নাগরিক্ত পেয়েছেন - এখন করনিয় কি তাদের পূজা করতে হবে !
ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের সম্পত্তি এখানে কোনো দ্বিমত নেই, তবে তিনি বাংলাদেশের শ্রষ্টা নন, ডক্টর মোহাম্মাদ ইউনুস এদেশের জন্য যা করেছেন তার চেয়ে অনেক বেশী করছেন এমন অনেকে আছেন যাদের অন্তত আপনি চিনবেন না, কারণ আপনি অন্ধ হয়ে গেছেন ।
সামান্য শুধু বলতে চাই ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের তৈরি শক্তি দই যার দাম = ৪৫ টাকা উজন ৭০ গ্রাম ।
আর বনফুলের দই যার দাম = ২২০ টাকা উজন ৯০০ গ্রাম ।
তাহলে অর্থ এই দাড়ায় বনফুল ডক্টর মোহাম্দ ইউনুস সাহেবের ও ভগবান ।
মনে রাখবেন ডক্টর মোহাম্মাদ ইউনুস এই দেশের প্রবর্তক নন, না তিনি এই দেশের মহামানব, তিনি একজন প্রথম শ্রেণীর বিজনেসম্যান, আপনার এবং আপনাদের মতো যারা লিখেন তারা বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষকে অপমান করছেন - কোথায় পাান এই সাহস !
০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৫৭
পলাশ রহমান বলেছেন: কী সমস্যা আপনার? কী লেখেন এসব? আমার লিখা পড়ে যদি আপনার বুঝতে অসুবিধা হয় তবে এমন কাউকে খুজে নেন যে আপনাকে বুঝিয়ে দিতে পারবে! না বুঝে এলোমেলো কমেন্ট করলে মানুষ আপনার সুস্থতা নিয়ে সন্দেহ করবে, হাসবে!
১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০০
ভয়ংকর বিশু বলেছেন: কোনো দেশে ব্যবসায় টাকা লগ্নি করলে বিজনেস ক্যাটাগরিতে সেই দেশের নাগরিকত্ত পাবার অপশন আছে। ইউনুস ষেই ক্যাটাগরিতেই নাগরিকত্ত পাইসে।আর তাতে উনার দেশি দালাল গুলা লাফাইতাসে।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৩০
পলাশ রহমান বলেছেন: আমার বলার কিছু নেই! শুধু এটুকুই বলি- অজ্ঞতারও একটা সীমা থাকা দরকার!
মোহাম্মদ ইউনুস বিজনেস ক্যাটাগরিতে নাগরিকত্ব পেয়েছেন!!!!
হায়রে বিশু, তুমি এখনো শিশু!
১১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১২
অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: আরেক বেকুব আইছে [আর জে নিশা ] , ইউনুসের সমালোচনা করতে। এই অভাগা জাতির মাঝে যতদিন এই ধরনের বেকুব থাকবে , ততদিন এই দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। মানী কে সম্মান দিতে শিখুন , তিনি বিজনেস করেছেন না কি করেছেন সেটা দেখার বিষয় না। বিজনেস রাস্তার বাদাম ওয়ালাও করে ২ টাকা লাভের জন্য। এখানে দেখতে হবে , আমরা তাকে কতটুকু সম্মান দিচ্ছি , আর তিনি সেই সম্মানের উপযুক্ত কিনা। কারণ , বাংলাদেশ ই একমাত্র দেশ যে কিনা তাকে এখন পর্যন্ত সম্মান দেখাতে পারেনি।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৫২
পলাশ রহমান বলেছেন: একটা গল্প মনে পড়ে গেল...
এক বৃদ্ধা গিয়েছেন আইফেল টাওয়ার দেখতে। দেশে ফেরার পর তাকে সবাই প্রশ্ন করলো, কেমন দেখলে আইফেল? উত্তরে তিনি বললেন, শুধু লোহা আর লোহা, কম করে হলেও এক কুড়ি মন তো হবেই!
বিঃদ্রঃ বৃদ্ধা এক কুড়ির বেশি হিসাব জানেন না! সুতরাং ড. ইউনুসের ওজন উচ্চতা যারা মাপতে জানে না তাদের উপর রাগ করার কিছু নেই!
১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৫৪
জাহিদ নীল বলেছেন: Sarthopor jatir unnoyon somvobna, ar sommanito ka somman dita janina amra
১০ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৫:২৩
পলাশ রহমান বলেছেন: সহমত
১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৭
আর জে নিশা বলেছেন: সামান্য শুধু বলতে চাই ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের তৈরি শক্তি দই যার দাম = ৪৫ টাকা উজন ৭০ গ্রাম ।
আর বনফুলের দই যার দাম = ২২০ টাকা উজন ৯০০ গ্রাম ।
১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০০
আর জে নিশা বলেছেন: ভাই পলাশ রহমান লেখার উত্তর লেখায় দেবেন এবং তা হতে হবে বাস্তব, ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস সাহেব একজন ব্যাবসায়ী এটা সহজ কথা তিনি বাংলাদেশের নায়ক নন - নাকি বলতে চান ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের নায়ক জসীম অথবা নায়ক বুলবুল । হাসালেন ।। পাবলিক তো আপনি হাসাচ্ছেন ।
১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০৯
আর জে নিশা বলেছেন: পলাশ রহমান,
বাংলাদেশের নাম ও কেউ জানতো না, ডক্টর মুহাম্মাদ ইউনুসের কারণে বিশ্বে আজ বাংলাদেশের নাম জানে !
বাংলাদেশ ডক্টর মুহাম্মাদ ইউনুসের নামে বিশ্বে পরিচিত হয় !!
ডক্টর মুহাম্মাদ ইউনুস বাংলাদেশকে বিশ্বে পরিচিত করেছেন !!
কোন গাধার সংলাপ এই সব !!!
জনাব, ঢাকা’র মহামান্য ডিসি কে আজই গিয়ে জিগ্যাসা করুন ২০১৪ তে কে কে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে ? নোবেল পুরশ্কার কে পেয়েছেন তার খবর হাজারে একজন ও রাখে না, আর আপনি এসেছেন ডক্টর মুহাম্মাদ ইউনুসের মার্কেটিং করতে । আর আপনি তো অসুস্থ মানুষ, গেট ওয়েল সুন
১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১২
আর জে নিশা বলেছেন: আবার পড়ুন - বাংলাদেশের একজন ব্যাবসায়ীর ব্যাবসা পন্থা - তিনি বাংলাদেশের ভগবান
ভগবান ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের সম্পত্তি এখানে কোনো দ্বিমত নেই, তবে তিনি বাংলাদেশের শ্রষ্টা নন, ভগবান ডক্টর মোহাম্মাদ ইউনুস এদেশের জন্য যা করেছেন তার চেয়ে অনেক বেশী করছেন এমন অনেকে আছেন যাদের অন্তত আপনি চিনবেন না, কারণ আপনি অন্ধ হয়ে গেছেন ।
সামান্য শুধু বলতে চাই ভগবান ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের তৈরি শক্তি দই যার দাম = ৪৫ টাকা উজন ৭০ গ্রাম ।
আর বনফুলের দই যার দাম = ২২০ টাকা উজন ৯০০ গ্রাম ।
তাহলে অর্থ এই দাড়ায় বনফুল ভগবান ডক্টর মোহাম্দ ইউনুস সাহেবের ও ভগবান ।
মনে রাখবেন ভগবান ডক্টর মোহাম্মাদ ইউনুস এই দেশের প্রবর্তক নন, না তিনি এই দেশের মহামানব, তিনি একজন প্রথম শ্রেণীর বিজনেসম্যান, আপনার এবং আপনাদের মতো যারা লিখেন তারা বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষকে অপমান করছেন - কোথায় পাান এই সাহস !
১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:১৬
আর জে নিশা বলেছেন: অগ্নিঝরা আগন্তুক - শক্তি দই এর গল্প পড়েন । আপনি বিড়াট জ্ঞানের ট্যাংকি । আপনার জ্ঞানের ট্যাংকি থেকে শুধু জ্ঞান ওভারফ্লো করে ।
১৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪২
আর জে নিশা বলেছেন: বাঘ মামা, আমি ও দেশ বিদেশ টুক টাক যাই রে মামা, কোন দেশেরে এয়ারপের্টে কোন লোক বলেছে আপনি অমুকের দেশের লোক ! বলেন আমি দেখি আগামী সেপ্টেম্বর মাসে আমি হেলিফ্যাক্স যাচ্ছি জেট এয়ারে চড়ে, বেশ কয়েকটা এয়রপোর্ট হয়ে পৌছাবো হেলিফ্যাক্স । জানতে চাইবো এয়ারপোর্টের প্রতিটি ইমিগ্রেশন অফিসারের কাছে - আপনি কি ডক্টর মুহাম্মাদ ইউনুসকে চেনেন ? দেখি কি উত্তর পাই । আজ পর্যন্ত কোনো এয়রপোর্টে কোনো ইমিগ্রেশন অফিসার আমাকে বলেনি তুমি কি অমুকের দেশ হতে এসেছো?
১৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৫০
বাঘ মামা বলেছেন: @আর জে নিশা আপনি টুক টাক যান আর আমার কাজই হলো দেশে দেশে ঘুরে বেড়ানো, আর আমি বলিনি যে আমাকে ইমিগ্রেশান অফিসার কেউ আসক করেছে, এয়ারপোর্টে এক নরেজিয়ানের সাথে কথা বলতে বলতে প্রসঙ্গ আসে।আর এখানে লেখক যা বলেছেন তা সত্য। ড.ইউনুস সাহেব বহির্বিশ্বে পরিচিত,তাকে চেনা নিয়ে লেখকের মন্তব্যের বিরুধিতা আমি করিনি করবোনা।এটা স্বাভাবিক কারণ তিনি নোবেল পেয়েছেন। তাও আবার শান্তিতে,শান্তি চায়না এমন কোন মানুষ নেই আর সেটা যখন নোবেলের মত বিষয়ে আসবে তখন সারা পথিবী ছড়িয়ে যায় কে কিসে নোবেল পেল।তার উপর আমাদের বাঙ্গালী বলে কথা।আর এটাও কথা সত্য যেভাবেই হোক আমার দেশের একটা মানুষ নোবেল পেয়েছে,সারা বিশ্ব তাকে সন্মান জানাচ্ছে আমাদেরো জানানো উচিৎ,যদি ইউনুস সাহেব ভুল কিছু করে থাকেন তো সরকারের উচিৎ ওনার সাথে খোলা মেলা আলোচনা করা কথা বলা, উনি আমাদের জন্য সন্মান বয়ে এনেছেন, যদিও আমরা জানি ইউনুস সাহবে কে বা কি করেছে এবং অদ্যবদি কি করছে। এটা দেশের বাইরে যারা থাকে তা তারা জানবেনা। জানবো আমি বা আমরা, আমার মত মানুষ যার পা বাংলার প্রায় প্রতিটা ধুলোমাখা পথে পড়েছে।যার হাত মানুষের মন শরীর জড়াতে ভালোবাসে।সময় পেলেই কোন ধুলোমাখা পথে পড়ে থাকা মানুষের কাছে গিয়ে বসা হয় যার, সময় পেলেই গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের কাছে গিয়ে তাদের অনাহারে অর্ধাহারের শুষ্ক অধরের অস্পষ্ট শব্দ যে শুনে সেই বলতে পারবে ইউনুস সাহেবেরা এই দেশের জন্য আশির্বাদ নাকি অভিশাপ।
আপনি দেখেছেন আমি বলেছি সমস্যা অন্য জায়গায় সেটা পরে এসে বলবো, সেটা বলার পর মন্তব্য করলে ভালো হতো।ইউনুস সাহেব বলেছিলেন তিনি দরিদ্রকে যাদু ঘরে পাঠাবেন, এটা ওনার পক্ষে সম্ভব উনি তাই করেছেন, যাদু ঘরে রাখা মানে যা হারিয়ে যেতে বসে তাকে ধরে রাখা, ভুলতে না দেয়া, ইউনুস সাহেব এখনো হাজারো অট্টালিকার পাশে কিছু মানুষকে যাদু ঘরের মতই চিরস্থায়ী করে রেখেছেন যাদের উপর ইউনুস সাহেবর হাত পড়েছে।উনি স্বপ্নকে বস্তা বন্ধি করে মানুষের মাথায় চাপিয়ে দিয়েছেন, যে চাপ এখনো কিছু মানুষ নির্মম ভাবে বইছে।
আমি শুধু আমার ইউনিয়নের কথা বলবো, ৮ টা গ্রাম মিলে এই ইউনিয়ন, শুধু আমার নিজের বাড়িতে ১৪৫ পরিবার বসবাস করে,যার প্রতিটা পরিবার এখন সম্পুর্ন স্বচ্ছল, এরা সবাই এক সময়ে মানবতর জীবন যাপন করতো,ঘুটি কয়েক পরিবার ব্যতিত,এভাবে ৮টা গ্রামের ৭টা গ্রাম মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে, পারেনি একটা গ্রাম।যেখানে ইউনুস সাহবের স্বপ্ন পৌছেছে, তারা এখনো রিক্সা চালায়, পান দোকান করে, চা দোকান আছে,বদলা দেয়,এসব, এই একটি গ্রাম আমার ইউনিয়নের জন্য অভিশাপ হয়ে দাড়িয়ে থাকবে যতদিন ইউনুস সাহেবরা বেঁচে থাকবেন,এদের ইউনুস সাহেব ঘুম পাড়িয়ে রেখেছেন স্বপ্ন দেখাবে বলে,ঐ স্বপ্ন নয় যেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে মানুষকে ঘুমাতে দেয়না।সুদের নির্মম বেড়াজালে তার এমন ভাবে আস্ঠপিষ্ঠ হয়ে আছেন যা থেকে তাদের প্রজন্ম বেরোতে পারবেনা কখনো, গ্রামীন ব্যংকের কিস্তি সুদ না দিয়ে যেখানে মৃত্যটা অবৈধ সেখানে নিজের ভাগ্য উন্নয়নে বেড়িয়ে পড়া প্রশ্নই আসেনা। ঐ গ্রামের অনেক মানুষকে আমি ব্যক্তি গত ভাবে অনেক জায়গায় কাজ দিয়েছি কিন্তু তারা টিকতে পারেনি। ক্ষুদ্র ঋনের যেই ক্ষুধা তাদের মন পেটে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে তা থেকে বেরোতে তারা কখনো পারবেনা।
একদিন গ্রামে যাওয়ার পথে এক নারীর আত্মচিৎকার দেখে গাড়ি থেকে নেমে জানতে চাই কি হয়েছে, তখন বর্ষা কাল। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ।মহিলাটি গ্রামীন ব্যংকের একজন গ্রাহক,তাদের পরামর্শে ঋন নিয়ে ভরাট জমি গর্ত করে পুকুর বানিয়ে মাছ ছেড়েছে,মাছ যখন বিক্রি করার সময় ঘনিয়ে আসছিলো ঠিক তখনি বন্যায় ঐ নতুন পুকুরের নরম মাটি খুলে ভেসে যায় সাথে মাছ, মহিলাটির স্বপ্ন বোঝা হয়ে চোখ থেকে উঠে যায় কপালে মাথায়। তাই আর ঋন পরিশোদ করা হয়ে উঠেনি, মুল টাকা সুদ,অপরিশোধিত কিস্তির সদু এবং সুদের সুদ সব মিলিয়ে ৩০ হাজার টাকা দাড়ালো প্রায় নব্বই হাজারে। শেষ পর্যন্ত ঐদিন ইউনুস সাহেবের সাঙপাঙরা তার টিনের ঘরের টিন খুলে নিলো।মহিলাটি ৪টা ছোট ছোট সন্তান।তার মধ্যে নবজাতক আছেন একজন। ঐ শিশুটিকে কোলে নিয়ে বার বার ওদের দেখাচ্ছে একে নিয়ে কিভাবে থাকবেন ছানিবিহীন জায়গায়।পুরুষটি নির্বাক পাশে রাস্তায় বসে আছে। আমি অবাক হতবাক নির্বাক হয়ে ছিলাম কত সময় জানা নেই,এই যদি হয় স্বপ্ন তো সেই স্বপ্ন দেখার ঘুমে মরে যাওয়া অনেক সহজ এবং উত্তম।আমি ওদের ডেকে সেই ঋনের দায়িত্ব নেই।
আমি তাদের প্রশ্ন করলাম আপনারা পাবেন ৯০ হাজার,যেই টিন খুলে নিচ্ছেন তা আপনারা বিক্রি করে ২০ হাজার টাকা পাবেন কিনা সন্দেহ, তাহলে কেন নিচ্ছেন এই টিন,এর চেয়ে কি আপনাদের ব্যংক থেকে এই মানুষটির বিপদের কথা বিবেচনা করে কিছু করা যায়না, এরাতো আপানদেরই স্বপ্নে পা চালাতে শুরু করে পা ভেঙে পড়ে আছে,যা নিচক দুর্ঘটনা,এরাতো কোন অসততা থেকে এমন ঋনি হয়নি,আপনারাতো সব জানেন দেখেছেন, মহিলাটিতো মিথ্যা বলছেনা, আর এটা মিথ্যা বলার মতনা, লুকানো মতনা, তখন সেই ব্যংকের স্টুপিড আমাকে বলে- আমাদের সু্ত্র হলো নগদ যা পাও হাত পেতে নাও বাকির খাতা শুন্য থাক।
সব বাদ শুধু এই একটি ঘটনা যদি আমি সেদিন ভিডিও করে বিশ্ববাসীকে দেখাতে পারতাম তাহলে ইউনুস সাহেবের জনপ্রিয়তা এবং নোবলে দুটোই নরওয়ের দিকে রওনা দিতো।
২০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩১
আর জে নিশা বলেছেন: বাঘ মাম, @আর জে নিশা আপনি টুক টাক যান আর আমার কাজই হলো দেশে দেশে ঘুরে বেড়ানো, আর আমি বলিনি যে আমাকে ইমিগ্রেশান অফিসার কেউ আসক করেছে, এয়ারপোর্টে এক নরেজিয়ানের সাথে কথা বলতে বলতে প্রসঙ্গ আসে।আর এখানে লেখক যা বলেছেন তা সত্য। ড.ইউনুস সাহেব বহির্বিশ্বে পরিচিত,তাকে চেনা নিয়ে লেখকের মন্তব্যের বিরুধিতা আমি করিনি করবোনা।এটা স্বাভাবিক কারণ তিনি নোবেল পেয়েছেন।
মামা আপনি কোন এয়ারলাইন্সের ক্রু ? ২০১৪ সনে কে কে নোবেল পেয়েছেন বলেন তো ? কারণ আপনি ও তো সেই দেশের লোকদের কনগ্রাটুলেশন দিতে হবে যখন এয়ারপোর্টে সেই দেশের কারো সাথে দেখা হয়ে যাবে কথা হয়ে যাবে !!! এখনি গুগল সার্চ দিচ্ছেন !? কারণ আপনার জানা নেই ২০১৪ সনে কে কে নোবেল পেয়েছে ?? আচ্ছা ১৯৭১ এর স্বাধনিতা পদক কোন কোন বিদেশী পেয়েছেন ? জানা নেই গুগল সার্চ দিচ্ছেন !!! তাহলে কি দাড়ায় - আপনি যখন সেই নরওয়েবাসীর সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন আপনি বললেন আপনার দেশ বাংলাদেশ তখন ভদ্রলোক সাথে সাথে তার ট্যাব এ সার্চ দিলেন বাংলাদেশ এটা আবার কোথায় - নেট সার্চ দিয়ে দেখলেন এটি মহামানব ডক্টর মহাম্মদ ইউনুস সাহেবের দেশ !!! তাই কি ??? অথবা এমন হতে পারে সেই নরওয়েবাসী হয়তোবা নোবেল ডিপার্টমেনেট কাজ করেন, কারণ আমি বিদেশে ব্যাবসায়ীরা তো বাদই নানা রিসার্চ এ ও দেখেছি কে কে নোবেল পেয়েছে তা তারা কোনো খোজ রাখেন না, তাদের সময় নেই বা তারা বাঙালীর মতো এতো আগ্রহী না ।
আপনি ০৮ টাকা দামের শক্তি দই ৪৫ টাকা বিক্রি করা ব্যাবসায়ী ডক্টর ইউনুস সাহেব নিয়ে তর্ক করবেন, তিনি না থাকলে বাংলাদেশ তো অন্ধকারে তলিয়ে যেতো, ডক্টর ইউনুস এই দেশের লাইট হাউজ বাত্তি হাতে দাড়িয়ে আছেন ।
ডক্টর ইউনুস একজন নেহায়েত ব্যাবসায়ী মানুষ এর বেশী কিছু না । ওয়ান ইলেভেনে যিনি কিছু নিম্ন শ্রেণীর রাজনিতি করতে চেয়েছিলেন যার ফলস্বরুপ গ্রামীনব্যাংকে প্রচন্ড ঝড় - ইট মারলে পাটকেলটি খেতে হয় ডক্টর সাব ।
অগ্নিঝরা আগন্তুক বলে গেছেন বেকুব, কারণ তিনি নিজে বেকুবের জগতে বাস করেন । আর পলাশ রহমান বলেছেন এক কুড়ি গুনতে পারা সেই বুড়ির গল্প - পলাশ সাহেব এক কুড়ির উপরে গুনা তো আপনার পক্ষেই সম্ভব হচ্ছে না এক জায়গাতে থেমে গেছেন, একই রেকর্ড বাজাচ্ছেন বার বার ।
২১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:৫৮
বাঘ মামা বলেছেন: @আর জে নিশা আমি আপনার মন্তব্যের জবাবে যাওয়ার আগে আপনাকে অনুরোধ করবো উত্তেজিত হয়ে তর্কে বিতর্কে যাবেননা।তা নাহলে আপনি না পারবেন বুঝতে না পারবেন বোঝাতে।এখানে আমি জানতে আসছি আর বলতে আসছি সেসব যা আমি দেখেছি। বলায় শোনায় আমরা আর একটু যত্নবান হলে ব্লগ আরো ভালো কিছু বয়ে আনবে আমাদের জন্য।
আসছি সময় করে আবার
২২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৪:৪০
পলাশ রহমান বলেছেন: নিশা, আবারও বলি সমস্যা কী আপনার? আপনি কী সত্যি সত্যি বাংলা পড়তে পারেন বা পড়ে বুঝতে পারেন? আমি কিন্তু ব্যাপক সন্দিহান!
২৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:৫৯
আর জে নিশা বলেছেন: পলাশ রহমান, আমি বাংলা পড়তে পারি কি না তাতে আপনার সন্দেহ আছে বিস্বাস করি আপনার সন্দেহ, তবে আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি আপনি একজন নিম্ন শ্রেণীর চাটুকার, ডাক্তর সাবের চাটুকারী করার চেষ্টা করছেন ভাবছেন কোনো একটা চান্স যদি পেয়ে যান, বলা তো যায় না ?
বাঘ মামা নামে কি মামু, কর্মে তো আপনি মামু চামচের কাজ করছেন, বাঘ হওয়ার চেষ্টা করেন মামু আর সত্য টাকে মেনে নিয়ে বাঘের মতো চলুন, মামু আপনি কিন্তু জানালেন না মামু আপনি কোন এয়ারলাইন্সের ক্রু - যিনি প্রতিনিয়ত দেশ বিদেশে ভ্রমণ করেন ?
বেশী দিন নেই ডাক্তর সাব কে কোর্টের কাঠগড়ায় দাড়ানো এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা - দুর্নিতি যা করেছেন ডাক্তর সাব দেখেনে এবার ডাক্তর সাব কোন নোবেল পান ? দুর্নিতিতে বিশ্বকাপ নিয়ে এবার গিনিজ রেকর্ড গড়বেন আমাদের প্রয়াত ডাক্তর জনাবে মুহাম্মদ ইউনুস উরুফে ডমুই ! - কাশিমপুর জেল আপনার অপেক্ষায় ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৬
পলাশ রহমান বলেছেন: হা হা হা হা হা হা হা....
২৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:০৪
আর জে নিশা বলেছেন: বাঘ মামু, দয়া করে জানাবেন এয়ারপোর্টে সেই নরোয়েজিয়ানের সাথে আপনি কোন ভাষায় কথা বলছিলেন ? কেনো আমি যতোটুকু জানি নরোয়েজিয়ানরা ইংলিশ তেমন একটা পছন্দ করেন না, ইংলিশ বলেন ও না, তারা তাদের নিজ ভাষায় কথা বলেন । মামু আপনি নরোয়েজিয়ার দুতাবাসের বিশিষ্ট দোভাষী, আগে বলবেন না ?
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৭
পলাশ রহমান বলেছেন:
২৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৪
আলী প্রাণ বলেছেন: ব্যবসায়ী কিভাবে শান্তিতে নোবেল পায়, বুঝবার পারিনা!
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৯
পলাশ রহমান বলেছেন: নোবেল কমিটি ব্যাখ্যা দিয়েছে, সেটা পড়লেই বুঝতে পারবেন।
২৬| ১৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩
সুলতান সুলেমান বলেছেন: আমার গায়ের রং আর তার গায়ের রং একই রকম। আমার মায়ের ভাষা আর তার মায়ের ভাষা প্রিয় বাংলা ভাষা। এর চেয়ে গর্বের আর কী হতে পারে!-আসাধারন একটা কথা বলেছেন ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০১
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ‘বাংলাদেশিদের সৌভাগ্য যে প্রফেসর ইউনূসের মতো একজন বড় মাপের মানুষ ওই দেশে জন্মগ্রহণ করেছেন। আমরা যুগ যুগ ধরে অপেক্ষায় আছি একজন প্রফেসর ইউনূসের জন্য'
আত্মবিধ্বংশি জাতি