নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখানে সবাই উপস্থিত ছিলো

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:১৭





*

-শুরু করব?

-হ্যাঁ, শুরু করেন। সবাই এসে গেছে।



*

নতুন বাসায় ওঠার পর ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরোনো পাপ এবং পঙ্কিলতাকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে নব বাসস্থানটির জন্যে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে আদৌ কোন লাভ হয় বলে আনিস বিশ্বাস করে না। কিন্তু তার ধর্মপ্রাণ মায়ের কঠোর আদেশ মেনে চলতেই হয় তাকে। বাবা-মা যদিও তার সাথে থাকেন না, গ্রামের হলুদ সরিষা ক্ষেত আর সবুজ প্রান্তরের মাঝে নীল আকাশের ছায়া দেখতে ভালোবাসেন তারা। আনিস ঢাকায় নতুন বাসায় উঠছে জেনে তার মা ফোন করে দোয়া-আশীর্বাদ ইত্যাদি জানিয়ে সাথে এই আদেশও করেন, যেন বাসার মঙ্গলার্থে একটি মিলাদ দেয়া হয়। বাতের বেদনা বেড়ে যাওয়ায় তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে আফসোস করলে আনিসের মনটাও খারাপ হয় কিছুটা। এত ব্যস্ততার মাঝে গ্রামে যাবার জন্যে সময় বের করা তার জন্যে প্রায় দুঃসাধ্য ব্যাপার। কতদিন ছোঁয়া হয়না সবুজ, দেখা হয় না নীল, স্পর্শ করা হয় না মাটি। স্নেহবৃক্ষের ছায়াতলে বসে শরীর জুড়োনো হয় না। মিলাদের মত ঠুনকো সামাজিক উপলক্ষ্যে মা এলে পরে কত ভালো হত! বাবাকে বলা যায়, কিন্তু সে যেমন এক চ্যাম্পিয়ন ঘরকুনো গেরস্থ! তার কালো গাইয়ের আসন্ন সন্তান, গোয়ালঘরের প্রয়োজনীয় পরিচর্যা, পুকুরে বেড়ে যাওয়া কচুরীপানা নিস্কাশন, ক্ষেতে পোকামাকড়ের সংক্রমন নিরসন; এসব ক্রীয়াকর্ম ছেড়ে সে আসতে চাইবে ভাবাটা দুরাশা।



মিলাদে বেশি মানুষকে না দাওয়াত না দিলেও চলবে। মহল্লায় কেবলই আসা হল, কারো সাথে পরিচয় হয়নি তেমন। বাড়িঅলাকে বলতে হবে, আর কাছাকাছি থাকা কিছু বন্ধুবান্ধব। বিল্ডিংয়ের সব ভাড়াটেকে জানাতে হবে অবশ্যই। এই তো! তাহলে আগামী ১২ই অক্টোবর বাদ আছর নতুন বাসায় আগমন উপলক্ষ্যে মিলাদ। আর কাকে কাকে দাওয়াত জানানো যায় শেষবারের মত ভাবতে বসে আনিস।



*

"শুরু করেন হুজুর"

হুজুর তার আনুনাসিক একঘেয়ে স্বরে দীর্ঘদিনকার প্রচলিত মিলাদ সঙ্গীত গাইতে থাকেন। আনিসের মন নেই সেদিকে। কিছুই না করে বসে থাকলে মানুষজন ভালো চোখে দেখবে না, তাই সে বিড়বিড় করে কিছু বলার ভান করে। আর কিছুক্ষণ, তারপর এই ধার্ম-সামাজিক অতিষ্টানুষ্ঠানের অবসান হবে। শুরু করতে একটু দেরী হয়ে গিয়েছিলো। শেষ হতে হতে সাঁঝ নেমে আসবে। সন্ধ্যাবেলা সময়টা আনিসের বেশ প্রিয়। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে সন্ধ্যাকাল তার বন্ধ্যা সময়কে মনোরম করে তোলে। এ সময়টায় জানালার পাশে বসে বই পড়ার ছলে পাশের বাসার ব্যালকনিতে টাঙানো নারীবস্ত্রগুলোকে জীবন্ত হিসেবে কল্পনা করে সে বেশ পূলক অনুভব করে। সাঁঝবেলায় পাশের বাসার শ্যামলা তরুণীটি নিশ্চয়ই একদিন কাপড়গুলো তুলতে আসবে! মাত্রইতো তিনদিন হল এসেছে সে। একটা রোমান্টিক চমকের জন্যে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করা যেতেই পারে! অস্থির হবার কিছু নেই। মিলাদ চলাকালীন বিরক্তিকর সময়টায় এসব ভেবে বেশ কেটে যায় আনিসের। এইতো তোবারক বিতরণের সময় চলে এলো বলে! ক্ষিধেও পেয়েছে বেশ। সান্ধ্যভোজন এ দিয়েই বেশ চলে যাবে।

-আপনারা সবাই সুরা ফাতিহা তিনবার, সুরা এখলাস পাঁচবার এবং দুরুদ শরীফ সাতবার পড়েন।



"তুমি যে নূরেরও নবী" শুনতে অবশ্য খারাপ লাগছিলো না! বেশ সুরেলা ধর্মীয় সঙ্গীত। তবে এখন গুনগুন করে সম্মিলিত শব্দে মিলাদের উপসংহার ঘোষণাটা আরো বেশি ভালো লাগছে।



গুনগুন আওয়াজটা একটু বেড়ে গেল কী? হয়তোবা। বাড়লেও মানুষের শ্রাব্যতার সীমার সহনীয় মাত্রার মধ্যেই রয়েছে। ভুলে যাওয়া সুরা এবং দোয়াগুলো মনে করে গুনগুনতানে যোগ দেবার প্রয়াস নেয় আনিস। কিন্তু আওয়াজটার ক্রমবর্ধমান তীব্রতা তাকে মনোযোগবিচ্যুত করে। গুনগুন না এখন শব্দটাকে রীতিমত গমগম বলা যায়! হঠাৎ এত বেড়ে গেল কেন শব্দটা? মানুষজন কি তোবারক পাবার নেশায় ক্ষেপে উঠেছে? মনে মনে খুব বিরক্ত হয় আনিস, তবে তা প্রকাশ করে না। নাহ, শব্দটা শ্রাব্যতার সহনীয় সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। হুজুর কিছু বলছে না কেন? নাকি সেই নেতৃত্ব দিচ্ছে এসবের? ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের সময় প্রশ্ন করাটাও তো আবার বেয়াদবি! আনিস চোখের ইশারায় হুজুরকে সংকটাবস্থার কথা জানিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করার অনুরোধ করে। কাজ হয় এতে। হুজুরের অঙ্গুলিচলনে থেমে যায় সবাই।

-কী হয়েছে জনাব? কিছু বলবেন?

-হ্যাঁ, বলছিলাম যে মিলাদটা শেষ করে দেন না তাড়াতাড়ি! অনেকক্ষণ তো হল! আর সবাই এত শব্দ করছিলো কেন সূরা পড়ার সময়?

-শব্দ আরো বাড়তে পারে জনাব। আরো মানুষ আসবে তো। মিলাদ এখনও শেষ হয় নাই। দেরী হবে। এত পেরেশান হচ্ছেন কেন? কত মানুষ আসবে, কত উপলক্ষ্যে, সবই তো আপনার খাতিরেই!

-কী কন! দরকার নাই আমার অত খাতিরের। আরো মানুষ, আরো দেরী মানে!

বিস্ময় এবং ক্রোধে প্রায় চিৎকার করে ওঠে আনিস। ফাজলামি করছে নাকি লোকটা!

"হ ইমাম সাব, শুরু করেন। আমরা সবাই আইসা পড়ছি।"

খুব পরিচিত একটা কন্ঠ। কে যেন? ওহ, তার গ্রামতুতো চাচা খয়ের উদ্দীন। তাদের পরিবারের তদারকিতে সে সবসময় তৎপর থাকে বলে তারা তাকে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সমীহ করে। আনিসের এও মনে পড়ল যে, হুজুরটি তাদের গ্রামে ইমামতি করতেন আগে। এজন্যেই খয়ের চাচা তাকে ইমাম সাব বলছেন। কিন্তু চাচা আবার মাতবরি করতে এখানে এল কেন? ভালো যন্ত্রণা তো!

-কী হইল ভাতিজা? এমুন কইরা চায়া আছো কেন? খবরটা শুইনা মন খারাপ হইছে? চিন্তার কিছু নাই। আল্লার নাম নাও। সব ভালো হইয়া যাইবো। ইমাম সাব, শুরু করেন না!

আনিসকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই ইমাম সাহেব তার সেই বিরক্তিকর আনুনাসিক ছিচকাঁদুনে কন্ঠে বয়ান করতে থাকেন,

"আমাদের মহল্লার নতুন বাসিন্দা, মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান আজ আল্লাহর এক কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছেন। তার আম্মার হায়াৎ আল্লাহপাকের জামিনদারী ছাড়া ইনকেলাব পাবে না। এ্যায় আল্লাহ, তুমি সন্তানের মুখে হাসি ফুটিয়ে দাও। সে কোন তকলিফ করে থাকলে ক্ষমা বখশিস করে দাও"

-থামেন! কী বলেন এসব? আম্মার কী হয়েছে?



আনিস এবার বেশ জোরেই চিৎকার করে ওঠে। কিন্তু ততক্ষণে মিলাদ শুরু হয়ে গেছে। তার কথায় কর্ণপাত করে না কেউ। আনিসের কাঁধে হাত রেখে তাকে আশ্বস্ত করে খয়ের উদ্দীন।

"মিলাদে এত মানুষ হইছে, কারু না কারু দোয়া তো আল্লায় কবুল করবই! তমি শান্ত হও ভাতিজা। ভাষণ বন্ধ কইরা মিলাদ শুরু করেন ইমাম সাব।"



"ইয়া নবী সালামুআলাইকা..."

গমগম করতে থাকে পুরো ঘর। আনিস ভীত চোখে তাকায় চারপাশে। কালো কালো মাথা দুলছে মিলাদসঙ্গীতের তালে তালে। সবার মাথায় কালো টুপি। মিলাদ পড়তে এসে এরকম দলবদ্ধ ম্যাচিং টুপি এই প্রথম দেখল আনিস। অন্যসময় হলে এটার একটা যৌক্তিক ব্যাখ্যা বের করার চেষ্টা করত সে। কিন্তু আজকে সবকিছুই গোলমেলে।

এতক্ষণ ধরে মিলাদ হচ্ছে কেন? এত মানুষ এলো কোথা থেকে? গমগম আওয়াজে আতঙ্কের তরঙ্গ ঝাঁকি দিয়ে যায় তার শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। সে পালাবার পথ খুঁজতে থাকে। একে তো এই ভৌতিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান, তার ওপর মায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা। প্রস্থানপথ খুঁজতে পাগলপারা হয়ে যায় সে। কিন্তু যাবে কোথায়? সব দরজা বন্ধ।



কালো কালো মাথাগুলো ভক্তিতে নুয়ে ওপর-নীচ দুলছিলো, তারা আচমকা আনিসের গতিবিধি লক্ষ্য করে সটান বসে যায় শিরদাঁড়া সোজা করে। স্থির, ঠান্ডা চোখে তাকায় আনিসের দিকে। এবার তারা মাথা ডানে-বামে এদিক ওদিক করে সম্মিলিত নেতি আন্দোলনে ব্রতী হয়। তারা আনিসকে কোথাও যেতে দেবে না। আনিস উদভ্রান্ত চোখে জানালার দিকে তাকায়। ঐ তো, ঐ যে দেখা যাচ্ছে তার আকাঙ্খিত শ্যামলা মেয়েটাকে! মৃদু হাসি ঠোঁটে ঝুলিয়ে সেও ডানে-বামে মাথা নাড়ছে। তার দেহভঙ্গিমাকে নৈর্বক্তিক দৃষ্টিতে দেখে আনিস।



মেয়েটি তাকে কোথাও যেতে দেবে না? আটকে রাখবে এই চক্রবুহ্যে অন্যান্যদের মত? সেও কি তাদের দলভূক্ত?

নাকি সে কখনও ছিলো না, কখনও থাকবে না? অথবা থাকলেও আনিস কখনও তাকে ছুঁতে পারবে না? এই ধাঁধা সমাধানের সময় নেই এখন।

"আপনারা সবাই সুরা এখলাস পাঁচবার, দুরুদ শরীফ সাত বার এবং সূরা ফাতিহা এগার বার করে পড়েন"।

হুজুরের এই নির্দেশে আশ্বাস খোঁজে আনিস। এবার কি তবে শেষ? এখন কি মুক্তি পাবে সে এই ভয়ংকর আনুষ্ঠানিকতা এবং অজানা চক্রান্তের ঘেরাটোপ থেকে?

-তোমার আম্মায় মাশাল্লা ভালা আছে এখন। বল আলহামদুলিল্লাহ।

খয়ের চাচা বলেন।

-আলহামদুলিল্লাহ!

মিনমিনে কন্ঠে বলে আনিস। মায়ের রোগমুক্তির চেয়ে এই অসহনীয় মিলাদমুক্তির সম্ভাবনাই তাকে বেশি স্বস্তি যোগায়।

-হুজুর, তাইলে তোবারক দেয়া শুরু করি?

আনিস সাগ্রহে জিজ্ঞাসা করে।

-এত তাড়াতাড়ি! আপনাদের কারো কি ক্ষিধা পাইছে?

উপস্থিত জনগণের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দেয় সে ষড়যন্ত্রী ভঙ্গীতে তার প্রত্যাশামত জবাব আসবে এই আস্থায় বলীয়ান হয়ে।

-না!

সমস্বরে জানান দেয় সবাই।

-আমাদের কারো তো ক্ষিধা পায় নাই। তোবারক দিয়া কী হবে? আসেন না আরেকটু আল্লা বিল্লা করি।

"দেখেন", কন্ঠস্বরে কঠোরতা আরোপ করে আনিস। আপনারে শুধু একটা মিলাদের জন্যে আনা হইসিলো। এখন কি শুরু করসেন এইগুলা?

-আমি একা কী করলাম! আরো মানুষ আসতাছে দেহেন না?

আরো মানুষ, আরো খবর, কুনডা ভালো কুনডা খারাপ কইতে পারি না। আমার কাজ মিলাদ পড়ানো, আমি পড়ামু। পড়ামুই!



আনিস পেছন ফিরে তাকায়। সত্যিই তো! আরো মানুষ আসছে। আরো অনেক অনেক মানুষ আসছে। তার এই ছোট্ট ঘরে এত মানুষ আঁটবে কীভাবে?



মানুষ আসছে। কালো কালো মাথা সবার। নুইয়ে রেখেছে নীচে। ভক্তিতে। ঠেলাঠেলি হচ্ছে, সংঘর্ষ হচ্ছে, কিন্তু সবাই মেনে নিচ্ছে নির্বিকার ঔদাসিন্যে। আনিসের কেমন দমবন্ধ দমবন্ধ লাগে। তার নাকের ওপর বসে পড়ছে মানুষ, উরুকে টুল বানিয়ে ব্যবহার করছে কেউ, তার চোখ ঢেকে দিয়েছে কে যেন!



এবার আক্ষরিক অর্থেই আনিসের দমবন্ধ লাগে।



-হুজুর, শুরু করেন।

আনিস বুঝতে পারে, এই চক্র থেকে পালানোর কোন পথ নেই। শ্বাস নেবার জন্যে হাঁসফাঁস করতে করতে সে বেশ কিছু মিলাদ উপলক্ষ্য শুনতে পায়। সবই সে এবং তার পারিপার্শ্বিকতাকে কেন্দ্র করে বিরচিত।



"আনিস তুমার বাপে পইড়া যায়া আঘাত পাইছে।

-ইমাম সাব শুরু করেন।

"আনিস, তুমার বাবা অহন ভালো আছে"

-মাশাল্লাহ, ইমাম সাব শুরু করেন।

"আনিস ভাই, আপনার বোনের একটা ছেলে হয়েছে! আপনি মামা হয়েছেন!"



ইমাম সাহেব সুরেলা কন্ঠে গেয়ে চলেন,

"তুমি যে নূরেরও নবী

নিখিলে ধ্যানেরও ছবি

তুমি না এলে দুনিয়ায়

আঁধারে ডুবিত সবই"



আঁধার! আনিসের চোখে এখন আঁধারঠুলি পরানো। কন্ঠ রূদ্ধ হয়ে আসছে। একটু বিশূদ্ধ বাতাসের জন্যে প্রাণপন চেষ্টা করছে। মৃত্যুর মাকড়শা জাল বুনে চলে। আনিস ছাড়াতে গিয়ে আরো আঁটকে যায়। শ্বাস না নিয়ে কতক্ষণ থাকতে পারে মানুষ? শরীরের কোষে কোষে মৃত্যুর বারতা পৌঁছে যাচ্ছে। আনিস ডুবে যাচ্ছে আঁধার নর্দমায়...

"ওহ আল্লাহ! বাঁচাও আমাকে। এত তাড়াতাড়ি তুলে নিও না। আমি আর কোনদিনও..."



তার ফ্যাঁসফ্যাঁসে কন্ঠের আকূতি জট পাকানো শব্দবলের মত করে আরাধনারত মানুষগুলোর কাছে গেলে তাদের মোহবিষ্টতা কেটে যায়। তারা দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে থাকা আনিসকে কিছুটা জায়গা করে দেয়। সবার দৃষ্টির ছন্দসমতা অর্জিত হলে তারা আনিসের দিকে চেয়ে থাকে গভীর আগ্রহে।



তার কোষে কোষে প্রাণ ফিরে আসে ধীরে। জীবনের পরিবর্ধিত একটা অংশ উপহার পাবার পর চোখ মেলেই দেখতে পায় একদল সোৎসাহী মানুষকে, যারা গভীরভাবে নীরিখ করছে আনিসের বুকের ওঠানামা, চোখের সাদা অংশের ঘোলাটে রূপান্তর এবং পুনরায় সাদায় প্রত্যাবর্তন, গলার কাছে শক্ত হয়ে এঁটে থাকা পিন্ড।

-আপনারা এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?

-আনিস, তুমি বাঁইচা আছো? আলহামদুলিল্লাহ! হুজুর, শুরু করেন।



আনিস বেঁচে থাকে। তার আয়োজিত শুভকামনামূলক অনুষ্ঠানের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করে বেঁচে থাকে। ইমাম সাহেব ক্লান্তিহীনভাবে দোয়া দুরুদ পড়ে যাচ্ছেন। আর সমবেত জনতাও মাথা ওপর নীচ করে সঙ্গত করছে।



আনিসকে আবারও মৃত্যানুভূতি পেয়ে বসে। এই ভৌতিক বর্তনীতে আঁটকা পড়ে জীবনটা কার তর্জনীর নির্দেশে ঘুরপাক খায় সে বুঝতে পারে না। বুঝতে পারে না সময় এবং জীবনের বয়ে চলা।



রাত কত হল?

কত রাত গেল?

রাত শেষ হয়নি?

হবে না কখনও?



একটা ভোর! একটা পাখি ডাকা ভোর, হকারের কলিংবেল টিপে অধৈর্য্য হয়ে অবশেষে কলাপসিবল গেট ঝাঁকানো ভোর, মুয়াজ্জিনের কন্ঠে "আসসালাতু খাইরুন মিনান নাওম" আহবানে জেগে উঠবে না ভোর? জেগে উঠবে না মানুষ? কেউ কি তাকে উদ্ধার করবে না, হাত বাড়িয়ে দেবে না এই রাত-মিলাদ-উপলক্ষ্য-আয়োজন-উদযাপন-শোককাঁপন-রাত এর নাগচক্র থেকে?



একটু একটু আলো আসছে নাকি? সফেদ, পেলব, স্নিগ্ধ একটু আলো দেখা গেল যেন চকিতে! ঐ যে জানালা! ঐ যে ব্যালকনি! ঐ যে মেয়েটা! মেয়েটার পাশে ওরা কারা? বাবা! মা! ওরা কি তাকে ডাকছে? নাকি নিষেধ করছে আসতে? এত ঝাপসা আলো, কিচ্ছু বোঝা যায় না। আরেকটু অপেক্ষার পরে ভোরের আলো দেখার জন্যে আনিস বেঁচে থাকার শক্তি অর্জনের চেষ্টা করে। মিলাদের তোবারকের জন্যে অপেক্ষা করা বৃথা। এখন অপেক্ষা প্রিয়জনদের কাছে যাবার। দেখা বা না দেখা জন। তাতে কিছু এসে যায় না। আনিস অপেক্ষা করে। অপেক্ষার গোপন সংকেত পেয়ে আরাধনারত জনতা হঠাৎ থেমে যায়। হাই তোলে।

"তোবারক দিবেন না ইমাম সাব? অনেক তো হইল। এইবার শেষ করেন। আর দরকার নাই"

খয়ের কাকার কন্ঠ।

ভুল শুনছেনা তো আনিস! অবশেষে শেষ হচ্ছে এই বিভিষীকা কাল? হলে হোক, অন্য অপেক্ষায় বুদ থেকে সে দূরে সরিয়ে রাখে নিজেকে এতদিনকার প্রতীক্ষার দুঃস্মৃতি থেকে।

-হ, শেষ। তোবারক রেডি কর।

ইমাম সাহেব সায় জানান।



"দরকার নেই, দরকার নেই আমার তোবারকের, আমি ঐ ব্যালকনিটায় যাবো...যাবো...যাবো..."



হঠাৎ আসুরিক শক্তি ভর করে যেন আনিসের শরীরে। ছিটকে ফেলে দেয় আশেপাশের কালো কালো কায়াগুলোকে। সে উঠে দাঁড়াতে চায়। দাঁড়াতে গিয়ে মুখ থুবরে পড়ে। নিঃশেষ হয়ে আসছে শক্তি, প্রাণ, দেহকোষে আবারও বেজে ওঠে মরণের টংকার!

-আনিস, তুমি কি মইরা যাইতাছো? ইন্নালিল্লাহ!

খয়ের চাচার কন্ঠে ঠিক কোন অনুভূতি খুঁজে পাওয়া যায় না।

-তোবারকগুলা তো সব নষ্ট হয়া গেছে গা। এতদিন কী আর ঠিক থাকে! ব্যবস্থা করা দরকার খয়ের ভাই।

ইমাম সাহেব জানান।

-দরকার নাই আমার তোবারকের। আমি ঐখানে যামু, ঐখানে। ঐখানে আছে, ঐখানে...আছে... আ...আ...আ...



আনিসের চোখের সামনে আবারও বামে-ডানে নেতিবাচক ভঙ্গীতে মাথা নাড়তে থাকে নুয়ে থাকা মানুষগুলো। এখন আর তাদের ইমাম সাহেব অথবা খয়ের উদ্দীনের নেতৃত্বের প্রয়োজন হয় না।



*

-লন তোবারক লন।

-মাংসটা টেস্টি না। শুকনা দেহ।

-স্বাস্থ্য ভালা না। আর তাছাড়া কত রক্ত গেছে শরীর থিকা, ঐরকম হইলে মাংসের টেস্ট নষ্ট হয়া যায়।

-চোখের মনিটা ভালা আছে এখনও। লন না, খান?



কবরের মাংসভূক পতঙ্গেরা বেশ মৌজে আছে নতুন একটা মৃতদেহ পেয়ে।



তাদের সাথে সমান্তরালে চলা স্ব-প্রজাতির উপলক্ষ্যকামী নেতৃত্ববান আপনজনেরাও।



তোবারক বিতরণে সবাই তুষ্ট।



মন্তব্য ২১২ টি রেটিং +৪৬/-০

মন্তব্য (২১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:২৬

হানযালা বলেছেন: চমৎকার একটা গল্প পড়লাম

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:২৯

বিরোধী দল বলেছেন: :|| :|| :||
আপনার এই গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আমি ভৌতিক গল্প খুব ভালো পাই। গল্পটা সহজ ভাষায় লেখার জন্য ধন্যবাদ :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস। ফ্রেশ হরর অবশ্য হৈলোনা শেষতক। মেটাফরিকাল হরর হৈয়া গ্যালো। তয় দুইভাবেই পড়া যায়। ওরকম কৈরাই লিখতে চেষ্টা করসি!

শুভ দুঃস্বপ্ন!

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৩০

rudlefuz বলেছেন: :(

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: মেটাফরিক এলিমেন্টের কথা বাদ দিয়ে জাস্ট নরমাল হরর হিসেবে পৈড়া দেখেনতো হয় কী না কিছু।

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৩৬

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন: Chomotkar lekhsen !!

++++

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস ব্রো। শুভরাত।

৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৩৮

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: আনিসের মৃত্যু বিষয়ক মিলাদ ! :|

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত মিলাদ চলবেই।

কাছের মানুষেদের সংখ্যা কমে আসবে।

উপলক্ষ্য এবং উদযাপন বাড়তে থাকবে।

ষড়যন্ত্র। প্রতিপক্ষ। নেতৃত্ব। বিরোধ।

"কত রক্ত গেছে শরীর থিকা, ঐরকম হইলে মাংসের টেস্ট নষ্ট হয়া যায়।"

৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৪২

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: কিছুদিন আগে আমি ও একটা নতুন বাসার উদবোধন উপলক্ষ্যে একটা মিলাদে গিয়েছিলাম । সেখানেও একি অবস্থা ছিল। মানে নামাযের পর মিলাদ পড়েই অভ্যস্ত। তো এদিন নামায, এরপর মিলাদ, আবার নামায, আবার মিলাদ, আবার নামায, এরপর ওয়াজ হালকা আলোতে ঘোরের মাঝে জিকির, আমার ও অস্থির লাগছিল। তবে আমি মুক্তি পেয়েছিলাম মাত্র তিন থেকে চার ঘন্টার মাঝেই ।

আর শেষ হবার সাথে সাথেই ইমাম সাহেব সহ সকলেই ঝাপিয়ে পড়েছিলাম সুস্বাদু খাবার, ফল, বিরিয়ানীর উপরে।পুরা তিন থেকে চার ঘন্টার এই জিকির/ মিলাদ/ ওয়াজ এ থেকে আমি একটা মাত্র ভাল কথা শিখতে পারছি, যা আমি আমার জীবনে প্রয়োগ করব ইনশাআল্লাহ। তবে এরপর থেকে ওই বাসায় মিলাদ হলে হয়ত আমি আর যাব না। মিলাদ এ রাজি আছি, ওয়াজ এ নই। ধন্যবাদ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।

৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৪৬

অন্যসময় বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো। শুভকামনা!

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত।

৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৪৯

rudlefuz বলেছেন: সম্ভবত মেটাফোর আর হরর দুইটা একসাথে যায় না। হরর গল্পের টেনশনটা আসতে হলে আমাকে বিশ্বাস করতে হবে নায়কের সাথে যা ঘটছে সেটা রিয়েল। অর্থাৎ নায়ক সত্যি সত্যি বিপদে পড়েছে, তার প্রান নাশের আশংকা আছে। কিন্তু যখন আমি বুঝতে পারছি সিচ্যুয়েশনটা মেটাফোরিক্যাল তখন আমি কনফিউজড যে নায়ক কি আসলেই সত্যি কোন বিপদে পড়েছে? নাকি সবটাই মেটাফোর?
এখানে টেনশনের চেয়ে কনফ্যুশন বেশি।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: হরর গল্পে রিয়াল আসতেই হবে এমন কোন কথা আছে নাকি? জ্বীন, ভূত, ভ্যাম্পায়ার এসব কী রিয়াল? সবচেয়ে সিম্পলভাবে এরকম করে চিন্তা করেন, একটা সাধারণ সামাজিক অনুষ্ঠান কীভাবে ভয়ানক এক চক্রে আবদ্ধ করল আনিসকে। কীভাবে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিলো।

মেটাফর নিয়ে ভাবলে আরো অনেক কথা বলতে হবে। নাহোলকে কিছুটা বলেছি। তবে সেটা খুব অল্প।

চাইসিলাম একটা ফ্রেশ হরর গল্প লিখতে, কিন্তু হৈলোনা তা!

৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:০৭

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:


মনযোগটা ভালভাবে দিতে পারিনি!

তবে যেটুকো বুঝলাম।।। হামা ভাই এটা আমাদের জন্যও বিরক্তিকর।।।
একদল মানুষ ইসলামটাকে আনুষ্টানিক কিছু কর্মসম্পাদনের নাম বানায়া ফেলছে।।।।

মিলাদের নামে ওরা এমনসব কর্মকরে যা বিবেকবান প্রতিটি মানুষকে আহত করে। বাট ওরা সামাজিক শেল্টারে ওদের কর্ম চালিয়ে যায়।।।

গল্পের বক্তব্য সুন্দর হয়েছে। একটা প্রশ্ন গল্পটা কি একটু দ্রুতই শেষ করে ফেল্লেন না!

ভাল লাগল।।।

বন্ধ হোক মিলাদের নামে করা সব অপ্রয়োজনীয় বিরক্তিকর আনুষ্ঠানিকতার।।।

তবে শেষ প্যারায় এসে... সব কিছু অন্যরকম হয়ে গেসে...
আনিসের মৃত্যুর মিলাদ! জোসসসসসসসসসসসসসসস্

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আনিসের মৃত্যুর মিলাদ এটাই আসলে কোর পয়েন্ট। আমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নানারকম আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যেটা একরকম ভয়ের উপাদান, অথবা যেখান থেকে অনেক ভয়ের উপাদান উৎসারিত হয়। আমাদের উৎসব, জমায়েতগুলো থেকে কত হিংসা, জিগীষা, অসম্পর্ক তৈরি হচ্ছে তার কোন হিসেব নেই। প্রলম্বিত মিলাদের মাধ্যমে সেই কোর পয়েন্টের দিকেই গ্রাজুয়ালি নিয়ে গেছি আনিসকে।

শুভরাত সুপান্থ!

১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:৩৪

রোমান সৈনিক বলেছেন: আমার তো হরর মনে হইলো না ।লাস্টে একটু ভয় আছে মাগার প্রথম থেকে তেমন ভয়ের কিছু ছিল না।মিলাদে আমি নিজেও খালি মানুষ কি করে তা দেখতাম।মোনাজাতে কিছু মানুষকে দেখতাম কাইন্দা দেয় ;) দেখে আমি হাইস্যা দিতাম।নগদে এইরকম কেমনে কান্দে ভাবতাম B-)

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলে একটা ফ্রেশ হরর গল্প লিখতে চাইসিলাম। কিন্তু তা আর হল কই! হরর ট্যাগ দেয়াটা একরকম গিমিকবাজী ;) তবে তিথিকে পরানোর পর জিগাইসিলাম যে এইটা পৈড়া মানুষ ভয় পাইতে পারে কী না। সে তো বলসিলো পারে। তাই ভাবলাম দিয়া দেই হরর ট্যাগ!

১১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:৩৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ৬ লাম্বার পিলাচ !

এন্নেরা এডি কি শুরু করচেন ? হরর গপ্পো আমি সাড়া আর কেউ লিক্লে টার নামে কেচ কইরা দিমু B-))

শুভকামনা :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: নিশ্চিন্তে চালায় যান। পিওর হরর গল্পের একটা প্লট আইসিলো, কিন্তু তা আর শেষ পর্যন্ত পিওর হরর থাকলো না! :(

শুভেচ্ছা।

১২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:৫৬

রোমান সৈনিক বলেছেন: ;) ;) ;) + দিছি কইলাম :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৪:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: তা তো দিবেনই এইডা কউনের কী আচে! ধৈন্যা! :#)

১৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:৫৭

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:

শুয়ে শুয়ে মোবাইলে এই পোস্টটা পড়ে কমেন্ট করছিলাম ।

মনে হয় একটু ভয় পাইছিলাম :P তাই ঘুম চলে গেল /:) /:)

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৪:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আহা! শুইন্যা কী যে খুশি হৈছি! মনে হৈতাসে আরো হরর লিখি। এইবার একদম পিওর হরর। নো মেটাফোর! B-)

১৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৪:১৭

অচিন.... বলেছেন: B:-) B:-) B:-) B:-) B:-)

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: কিতা?

১৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৪:৩৭

বিতর্কিত উন্মাদ মানব বলেছেন: খালি কমেন্ট করতে লগইন করলাম। আপ্নে একখান জিনিষ হামা ভাই B-))

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ :| শুভসকাল।

১৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৭:৩৩

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ভয়ংকরভাবে চমৎকার হৈসে :D

শু-সকাল ||

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মুন। শুভসকাল।

১৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:২০

মামুন রশিদ বলেছেন: পিউর হরর হইলো কিনা, এটা বিষয় নয় । একটা ঘোর তৈরি করেছেন এবং টেনে নিয়ে গেছেন শেষ অব্দি, গল্প এবং পাঠক দুটোকেই ।

"তাছাড়া কত রক্ত গেছে শরীর থিকা, ঐরকম হইলে মাংসের টেস্ট নষ্ট হয়া যায়।" এই ধাক্কাটাই পাঠককে ঘোর থেকে বাস্তবে নিয়ে আসে ।

গল্পে প্লাস :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঘোর তৈরি করতে পেরেছি জেনে ভালো লাগলো। তবে মাংসের টেস্টের ব্যাপারটা, আমি তো ভেবেছিলাম এটা বেশ একটা হরর এলিমেন্ট হিসেবে দেখানো যাবে! আনিস মারা গেছে, তার মাংস দিয়ে তোবারক!

ধন্যবাদ প্লাসের জন্যে।

১৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:৫৬

আরজু পনি বলেছেন:

পড়তে পড়তে কতো কিছু ভেবেছি!!
শুরুতে ভাবছিলাম আনিসের মা অসুস্থ্য, তারপর ভাবলাম বাবা, এরপর ভাবলাম বোন বিপদমুক্ত হলো।

শেষের দিকে এসে মনে হচ্ছিল আনিস কোমায় চলে গেছে! এবং শেষ হইয়া্ও হইলো না শেষ...

দিনের বেলা পড়লাম বলেই মনে হচ্ছে ভয় পাইনি! :|
তবে টেনশন হচ্ছিল এটা সত্যি কথা।
পাঠকের ভেতর ভাবনার বিভিন্নতা তৈরী করা....

অন্যরকম লাগলো।।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: রাতের বেলা আরেকবার পড়ে দেইখেন ভয় লাগে কী না! :( বিশেষ করে উপাসনাকারী দলটার মাথা নোয়ানো থেকে ঝট করে স্থিত হয়ে ডানে বামে নাড়িয়ে না বলা, যেতে না দেয়া, এই দৃশ্যটা ভাইবেন :|

অনেক কিছু যেহেতু ভাবাতে পেরেছি, এবং টেনশনে ফেলতে পেরেছি, তাহলে গল্পটা কিছুটা হলেও সার্থক। এই গল্পটাকে বেশ কয়েকভাবেই ভাবা যেতে পারে।

অনেক ধন্যবাদ!

১৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:২৯

সালমাহ্যাপী বলেছেন: হরর গল্প পড়তে ভালৈ লাগে। তবে আমি কখনই রাতে হর গল্প পড়িনা শুধু শুধু ঘুমটারে কষত দিয়া কি লাভ বলেন??? যদিও জানি রাতেই হরর গল্পগুলা পড়ার মজাই আলাদা।

গল্পটার পড়লাম।ভালো লেগেছে পড়তে পড়তে অনেক কিছুই মাথায় খেলছিলো লাস্টে এসে কি হতে পারে!! কিন্তু আমার কাছে কেন জানি হরর মনে হয় নাই।হয়ত দিনে পড়সি বলে নাকি কি কে জানে???

শুনেন আপনার কাছে একটা রিকোয়েস্ট যদি সম্ভব হয় আপনি অনেক অনেক অনেক ভয়ংকর একটা গল্প লিখবেন।হোক সেটা অবাস্তব।অনেক দিন হইছে হরর গল্প পড়িনা।এই গল্পটা পড়ে হঠাত করেই অনেক বেশি ভয়ংকর টাইপের লেখা পড়তে ইচ্ছা করছে :(

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা ঠিক টিপিক্যাল হরর গল্প না। ভয়ের উপাদানের ভেতর দিয়ে কিছু বলারও চেষ্টা ছিলো।

ভয়ংকর গল্প লেখার কথা মাথায় থাকলো। তবে ভয়ংকর গল্প হতে হলে অবাস্তবাতার দ্বারস্থ হবার দরকার নাই। বাস্তব জীবনও যথেষ্ট ভয়ংকর হতে পারে!

২০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:৩১

সালমাহ্যাপী বলেছেন: কদিন শখ হইছিল একটা প্রচন্ড ভয়ের একটা গল্প লিখবো।লিখাও শুরু করেছিলাম।কিন্তু মাঝ পথে গিয়া ভাবলাম যে প্রথম থেকে পড়ে দেখি কেমুন হইছে লেখাটা। যখন প্রথম থেকে পড়া শুরু করলাম লেখাটা পড়ে নিজের কাছেই অনেক হাসি পাইছিলো।ভয়ের গল্প লিখতে গিয়া ফানি লেখা হয়ে গেছিলো।তখন মনে হইলো আসলেই সবাইরে দিয়া সব কিছু হয়না। :(

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: নেভার গিভ আপ!

২১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:৩৫

অচিন.... বলেছেন: ভয় পাইতে লাগছিলাম

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুশি হৈলাম শুইনা! ধৈন্যা!

২২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:৪৬

ফয়সাল হুদা বলেছেন:
মৃতদেহ নিয়ে বেশ মৌজে আছে স্ব-প্রজাতির উপলক্ষ্যকামী নেতৃত্ববান আপনজনেরা !!
সবই অমানুষীয় অতি আনুষ্ঠানিকতা ।


--------------
দারুণ ! হামাষ্টাইলীয় !

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফয়সাল।

ভালো থাকবেন।

২৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:৫৪

তাসিম বলেছেন: চমৎকার

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তাসিম।

২৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:১৩

শহিদুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটা হরর এর চেয়ে বেশী যেটা মনে হল সেটা - ঘোর । খুব ভালো লাগছে । তবে ভয় কম । এ ধরনের গল্প আমার খুব খুব ভালো লাগে ।

পড়তে পড়তে একটা ঘোরে চলে যাওয়া যায় , তারপর অকস্মাৎ ঘটতে থাকে সম্পূর্ণ অনাবশ্যক সব ঘটনা , সুররিয়েল ।

আমাদের চারপাশে এত এত অনাবশ্যক সব অনুষ্ঠান , কোন দিন কোন অনুষ্ঠান করতে করতে মরে যাব , আল্লাই জানে !

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি হরর উপাদানকে প্রাধান্য দেবো ভেবেছিলাম, কিন্তু তাতে অনেক কিছু বলা বাকি থেকে যেত। তাই ঘোরের ঘেরাটোপে বন্দি করলাম কিছু মানবিক অনুভূতি, কিছু লোভাতুর মন, কিছু অর্থহীন কার্যকলাপ।

হ্যাঁ, আমরা এসব চক্রে অন্তরীন হয়ে কত কিছু হারিয়ে ফেলি টেরই পাইনা!

থ্যাংকস শহিদুল।

২৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:১৩

তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে বলেছেন:


আমার যদি বুঝতে ভুল না হয় –লিখাটার মূল প্রতিপাদ্য –
ধর্মীয় লৌকিকতার জ্বালায়
মানুষের প্রাণ যায়---
অতপর প্রাণ গেলে ও রেহাই নাই


আহা লৌকিকতা !!! এমন লৌকিকতার বাড়াবাড়িতে এক সময় সতী দাহ করা হতো ,
কোথাও কোথাও নরবলি , হয় এখন ও , আর টাওয়াইজম নামের একটা ধর্ম আছে তাতে
এক বিশেষ ধরণের আচরণ আছে সেটা না – ই বললাম এইখানে , মানুষ নিজেই এমন
বাড়াবাড়ির জটিলতা তৈরি করে ।

আমার পরিচিত একজন ছিল যার বাবা মা ধার্মিক তবে লৌকিকতার বাড়াবাড়ি পছন্দ
করতেন না অথবা বাসা বাড়ীতে লোকবলের অভাবে গেদারিং পছন্দ করতেন না , তাদের
বাসা ছিল ফরেস্ট কলোনিতে , সেখানে কিছু দূরত্বের মধ্যে ফরেস্ট এবং রেলওয়ে কলোনি , রেলওয়ে জংশন টা ও কাছাকাছি –

আর আমার সে পরিচিতার বাবা প্রতিবছর এক বিশেষ পদ্ধতিতে মিলাদের আয়োজন করতেন ছেলে মেয়েদের কলেজ ভার্সিটি যখন বন্ধ থাকতো , রাতে ছেলে , মেয়ে , স্ত্রী আর একেবারে হাতে গোণা অন্য দু’তিন জন নিয়ে একজন হুজুর ডেকে মিলাদ পড়াতেন –আর সকালে মিলাদের তাবরুক / তোবারক গুলো রেলওয়ে জংশনের ফকিরদের মধ্যে বিতরণ করে দিতেন ----মানুষ ধর্ম যথাযথ পালন করতে পারে বাড়াবাড়ি না করেই

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলে আমারই বোঝাতে ভুল হয়েছে। বেশ কয়েকজনকেই বিভ্রান্ত হতে দেখলাম মিলাদের ব্যাপারটা নিয়ে। ওটাকে অবলম্বন করা হয়েছে মানবজীবনের একটা চক্রবুহ্য তৈরির প্রয়োজনে। গল্পের মাঝে অনর্থক আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে প্রচ্ছন্ন বিষোদগার আছে, কিন্তু সেটাই হয়তোবা উৎকটরূপে ধরা পড়ছে আমার উপস্থাপনার দুর্বলতার কারণে।

এই মিলাদ নামক আনুষ্ঠানিকতা, যা হবার কথা ছিলো গৃহ আগমনের জন্যে, তা শেষ হয় না কেন? কেন গ্রাম থেকে খয়ের চাচা নানারকম সংবাদ নিয়ে আসে? জন্ম, মৃত্যু, অসুস্থতা... আর হুজুরটাই বা ঐ গ্রামের প্রাক্তন ইমাম কেন? তাদের মধ্যে সংযোগ কী?

সংযোগ ধীরে ধীরে তৈরি হয়। তৈরি হয় নেতৃত্ব। বোনা হয় চক্রান্তের জাল। কে বলতে পারে আনিসের দুর্ঘটনা অথবা মৃত্যুর জন্যে এই দুজন এবং তার অনুসারীরা দায়ী না! মানুষ যতটা সামাজিক, যতটা আনুষ্ঠানিক হয় তার বিপদের ঝুঁকি ততই বেড়ে চলে। আর হারায় প্রিয়জন এবং সম্পর্কদের। নেতিবাচক মাথা দুলুনি দেখতে হয় চারিপাশে। চাইলেই পাশের বাসার ব্যালকনির মেয়েটার কাছে যাওয়া যায়না।

অথবা, "হররার্থে" চিন্তা করলে আনিস আটকা পড়েছিলো কিছু প্যারানরমাল চরিত্রের কাছে। যারা তাকে শুষে খেয়ে নিয়ে তারপর নিস্কৃতি দিবে।

এরকম আর কী, একটা ডাবল মিনিং গল্প লিখতে চাইসি।

আপনার অভিজ্ঞতা শুনে ভালো লাগলো। শুভদুপুর।

২৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:৩৩

রায়হান০০৭ বলেছেন: পোস্ট এ +++++++ :) :) :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রায়হান। শুভকামনা।

২৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:৪৯

যাযাবর৮১ বলেছেন:


:-B :-B :-B :-B
আমি ভয় পাই নাইক্কা
ঈমানে কৈতাছি B-)
তয় লিখায় ঘুরপাক খাইছি B:-)
আপনার লিখা ভালু পাইছি :-B *+*+*+



পূর্ণতার মাঝে জীবন সাজুক
অপূর্ণতার মাঝে পূর্ণতা আসুক।
শুভকামনা সর্বক্ষণ
থাকুক সুস্থ দেহ মন। :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ যাযাবর। ভালো থাকবেন।

২৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:০৪

রেজোওয়ানা বলেছেন: প্যারানরমাল হিসাবে ভাল! তুমি ভাল হরর লিখতে পারবে মনে হয়!
দ্বৈত ভাব বাদ দিয়ে শুধু একটা নির্ভেজাল হরর লেখ হাসান!

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: তাইতো চাইসিলাম আপু, কিন্তু হইল আর কই!এরকম একটা প্লট নির্ভেজাল হররের জন্যে উপযুক্ত ছিলো। আবার কবে এরকম প্লট মাথায় আসবে কে জানে!

২৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:৩১

ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: আশ্চর্য এক ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছিলাম। মিলাদে অনাকাংখিত অনাহূত আগন্তুক এর সংখ্যা যখন ক্রমেই বেড়ে চলেছিল, তখন বাস্তবিকই আমার হৃদস্পন্দন সমানুপাতিক হারে বাড়ছিল। প্যারানরমাল ??? তাই হবে হয়তো। তবে হরর হিসেবেও ভালই। খুব অন্ধকার এ দুলতে দুলতে মিলাদ পরা উপলব্ধি করছি।

এক মিলাদেই বহমান জীবন, ক্ষুধা, কাম ও অপ্রতিরোধ্য মৃত্যু কে নিয়ে আসছেন। খুব ই চমৎকার লাগল।

পিওর হরর আপনার পক্ষে লেখা সম্ভব ভাই। অপেক্ষায় রইলাম নতুন কিছুর যা হৃৎপিন্ডের দ্রুততা বাড়াবেই।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: পিওর হরর লেখার রিস্ক আছে ম্যান! তখন মানুষের কাছে জবাবদিহিতা করতে হৈবো, ভয় লাগে নাই কেন! এহন এই টাইপ লিখলে কেউ ভয় না পাইলে কমু যে এর মধ্যে অনেক মেটাফোর আছে বুঝতে হৈবো B-)

তারপরেও হররের খাঁদে এক পা যখন দিসি, পতিত হৈতে আপত্তি নাই!

থ্যাংকস আপনার চমৎকার পাঠের জন্যে!

৩০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:৩২

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
এইটাই ভালো।
এমনিতে হরর গল্পে ভয় পাই।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: কেউ চাচ্ছে পিওর হরর, কেউ এরকম, কী যে করি!

তবে আমারও এরকমই ভালো লাগে B-)

৩১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: B:-) B:-) B:-) B:-)

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার আবার কী হৈলো?

৩২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:২৪

নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: মিলাদের আড়ালে মানুষের বন্দী জীবনকে বেশ ভালোভাবেই তুলে ধরেছেন। ভালো লাগল। (এবং বেশ ভয়ও পেলাম )। ১৮তম প্লাস।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অল্প কথায় গল্পের জিস্টটা বলে দিলেন। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য। ধন্যবাদ!

৩৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:৩৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সাথে আছি।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: জাইনা খুশি হৈলাম ভাইডি। আপনেরে নিয়া তো চিন্তায় ছিলাম। কই হারাইসিলেন!

ভালো থাইকেন।

৩৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:৪৯

shfikul বলেছেন: অসাধারণ

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! শুভদুপুর।

৩৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:১৬

অ্যানোনিমাস বলেছেন: ১৯ নং ভালোলাগা রইলো।

আমার কাছে খুব ভালো লাগছে ভাই। ছোটবেলায় অনেক মিলাদ খেতাম। তবে মিলাদ নিয়ে হানাফী এবং মুহাম্মদীদের মাঝে কন্ট্রোভার্সি আছে। এখন মিলাদে গেলে তবারক নিয়েই চলে আসি। তবারকের প্রতি এক ধরণের মায়া কাজ করে। জিলাপি কিংবা শুকনা বিরিয়াণী যাই হোক না কেন খেতে কিন্তু ভালোই লাগে।

শুভদুপুর!

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস চয়ন। আসলে ঠিকই বলসো, মিলাদের তোবারকের মজাই আলাদা! বড় হবার সাথে সাথে কত স্বাদ পাল্টে যায়!

৩৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৪

শামীম আরা সনি বলেছেন: প্লাস দিলাম:)
মিলাদ নিয়ে একটু বলি আমাদের বাড়ী করার পরে আব্বু কোনদিন মিলাদ দেয়নি!
আমাদের সব ঘরে কুরআন শরীফ খতম করা আছে, গরীব মানুষকে টাকা দেয়া হয়েছে..মিলাদ হয়নাই কোন।
আর বাংলাদেশে আসার পর দাদার বাড়ীর কেউ এখনও মারা যায়নি...সুতরাং..
তবে আমার নানার বাড়ীতে মিলাদের চল আছে।
গল্পটা পরে এসে আবার পড়ব...

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস সনি। মিলাদ সম্ভবত কোন ধর্মীয় প্রথা না, বাংলাদেশের সামাজিক একটা প্রথা।

৩৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৫

আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: :|| :( :((

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার এই বহুমাত্রিক ইমোনোভূতির মাজেজা বোঝার ক্ষমতা আমার নাই!

৩৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৫

নক্ষত্রচারী বলেছেন: মিলাদের ভাবভঙ্গী অনেকটা ব্ল্যাক ম্যাজিকের মত লাগলো । সমস্বর গুঞ্জন, মাথা দোলানো আরো কি কি ........,

প্রথমেই তবারক বিতরণ করা হয় নাই ক্যান ? শেষে এসে এর উত্তর পাইলাম । চমৎকার :) ।।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্ল্যাক ম্যাজিকের মত লাগলো, তার মানে হরর ফ্লেভার কিছুটা হলেও আসছে! সমস্বর গুঞ্জন, মাথা দোলানো... এইসব আমি লেখার সময় যেভাবে অনুভব করসি পাঠক মনে হয় তা করতে পারে নাই। তাই এই মন্তব্যটা খুব ভালো লাগলো।

থ্যাংকস ব্রো!

৩৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৭

মামুণ বলেছেন: হামা ভাই চমৎকার একটা গল্প।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন।

শুভবিকেল।

৪০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:২৮

অন্তরন্তর বলেছেন: আপনার অন্য লিখাগুলোর চেয়ে এটা ভিন্ন। বেশ লাগল এই ভিন্নতাটা।
শেষ লাইনটা এই গল্পের সব বলে দিল। চমৎকার।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে নিয়মিত দেখে ভালো লাগছে।

৪১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৯

চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: হায়রে মিলাদের সাথে যে কতো মজার মজার স্মৃতি জড়িয়ে আছে 8-|

তবে গল্প পড়ে ডরাই নাই কৈলাম :)আপনার গল্প পড়তে ভালো লাগে মূলত যে কারনে সেটা হলো ফিনিশিং অলওয়েজ আনপ্রেডিক্টেবল।

পোস্টে ভালোলাগা ও শুভকামনা।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস চেয়ারম্যান সাব। আপনার মজার মজার স্মৃতিগুলা নিয়ে একটা পোস্ট ব্লগজাতির দাবী!

শুভসন্ধ্যা।

৪২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সোমহেপি বলেছেন: এত তাত্তাড়ি পোষ্ট দিলেন?

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখা যখন আসে তখন দেই। কখনও দেরী করে আসে কখনও তাড়াতাড়ি। কোন সময়সূচী মেনে চলার ব্যাপার তো এখানে নাই।

৪৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভালো লেগেছে। ধোয়াটে ভাব টা বরং উপভোগ করলাম :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৪৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৩

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
পড়ার সময় অনেক কিছু মাথায় আসছে ! তবে শেষ পর্যন্ত এটাকে দুঃস্বপ্ন বলেই চালিয়ে যেতে চাই ! মরণ বিচ্ছেদ ভালো লাগে না ।


ঘোরময় একটা গল্প পড়লাম । ভালো লাগলো খুব ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

৪৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪২

রোমেন রুমি বলেছেন: ভাল লাগল ভীষণ ;
তবে আমার কাছে গল্পটাকে হরর মনে হয়নি।
মনে হচ্ছিল একটা ঘোর; গোলকধাঁধা।
আমার ভাবনা ভুল হতেও পারে ।
তবে অসাধারণ ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রুমি। গল্পটা সেই অর্থে হরর না, তবে কিছু হরর সিকোয়েন্স আছে। ক্যটাগরাইজড করাটা মুখ্য না। পড়ে কেমন লাগলো সেটাই আসল।

৪৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:২৯

সায়েম মুন বলেছেন: আপনার অন্যান্য গল্পের তুলনায় সরল। প্রথম দিকে সরলপথে এগোচ্ছিল গল্পটা। মাঝখানে রুপান্তর এবং শেষাংশে ফাইনাল মেটামরফোসিস। একটা সামাজিক জীবনের চমৎকার রুপান্তর দেখা গেল। ওয়েল ডান।
দাঁড়িয়ে সোতসাহে হাততালির ইমো। :P

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: এত প্রশংসা পাইয়া নিজের গলায়ই নিজের একটা মেডেল পড়ায় দিতে ইচ্ছা করতাসে :#>

৪৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৪৬

তুষার মানব বলেছেন: ভুই পাইসি :|| :|| :||

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ইয়েএএএস! খুশি হৈলাম শুইনা B-)

৪৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৫০

ইসরা০০৭ বলেছেন: আরজুপনি বলেছেন:

পড়তে পড়তে কতো কিছু ভেবেছি!!
শুরুতে ভাবছিলাম আনিসের মা অসুস্থ্য, তারপর ভাবলাম বাবা, এরপর ভাবলাম বোন বিপদমুক্ত হলো।

শেষের দিকে এসে মনে হচ্ছিল আনিস কোমায় চলে গেছে! এবং শেষ হইয়া্ও হইলো না শেষ...
আপুর মতো আমিও কতো কি ভেবেছি।ভাবতে ভাবতে গল্পটা ককন যে শেষ হয়ে গেলো পড়া:)

বরাবরের মতোই ভালো লাগা হাসান।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ইসরা!

৪৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:২৫

সোমহেপি বলেছেন: দ্বিতীয় মিনিংটাই মনে ধরলো।হরর লেইখেন না।হরর অনুভূতি নষ্ট হইয়া গেছে।হরর দেখলে হাসি লাগে।আর পড়লেতো বমি আইবো।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: হরর এর প্রতি আগ্রহ জন্মাইসে ইদানিং। পিওর হরর হয়তো লেখা হবে না, তবে এই টাইপ হরর লিখতে পারি আরো।

৫০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:২৯

সোমহেপি বলেছেন: সহজ ভাষায় একটা কঠিন গল্পো লেখচেন।ইমনই লেখেন যে।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার ভাষা তো সহজই!

৫১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৩৭

সোমহেপি বলেছেন: হ সহজই! /:) মাঝে মাঝে একটা লাইনের শুরু থাইকা শেষে আইলে মনে হয় কৈ থাইকা যে শুরু করছিলাম?

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ এরম হৈতেই পারে! আছিলো কৈ হয়া গ্যালো পাবদা :-B

৫২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৩১

সান্তনু অাহেমদ বলেছেন: চমৎকার গল্প।+++

শুভ কামনা হামা ভাই।

১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! শুভরাত্রি।

৫৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৪৩

আসফি আজাদ বলেছেন: এইটা কোন অবস্থাতেই হরর না... গল্প ভালোই হইছে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: কোন জেনারের এই তর্ক স্থগিত থাকুক! ধন্যবাদ।

৫৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৫৭

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: শুরু থেকে মনে হচ্ছিল গল্পে কি যেন নেই কিন্তু শেষে এসে দেখলাম অসাধারন একটা গল্প। ফিনিশিং টা মারাত্মক । ++++

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভরাত্রি।

৫৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৫৭

কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: মিলাদ চলবে অনন্তকাল ধরে

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: না, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।

শুভরাত!

৫৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:২০

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: ধৈর্য নিয়ে শেষটুকু পড়লাম। আর ভালই একটা টাস্কি খাইলাম।

+++

বাই দ্য ওয়ে, আই এম নট নাৎসি পাঙ্ক।

ভাল থাকবেন।

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: স্বস্তিকা চিহ্ন যুক্ত প্রোপিক পরিবর্তন করে তবে আইসেন।

শুভরাত্রি।

৫৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৪৫

আকাশী কন্যা বলেছেন: ভয়ের না নাকি? আমার এখন আসলেই ভয় লাগতেসে ভাইয়া.। :( :(

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আজকে রাতে আর ঘুমায়োনা। দুঃস্বপ্নে ওরা আসবে :-/

৫৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৩৮

অনাহূত বলেছেন: খুব ভাল লাগল গ্রামের কোমলতায় ছুঁয়ে দেবার আকুলতা।

তোবারক পাবার নেশায় মানুষজন ক্ষেপে গেছে। মিলাদ পড়তে এসে এরকম দলবদ্ধ ম্যাচিং টুপি এই প্রথম দেখল আনিস। হা হা।

সাম্প্রতিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে খুব সুন্দর একটা লেখা। এত ঘোর। ঘোরগ্রস্থ হয়ে যাই আপনার লেখা পড়তে গিয়ে। আপনার লেখা পড়ার জন্য সবচাইতে ভাল উপদেশ হলো - ঘোরগ্রস্থতা জেগে থাকুক।

ধর্মান্ধ মানুষ সচেতন হোক। সাম্প্রদায়িকতা নিপাত যাক।

এইবার তাইলে জ্বালাময়ী তরল পদার্থের ঘ্রাণ পাওয়া যায়নি। তাতে কি। ঘোর ছিল বরাবরের মতই। অনেক ভাল লাগা হাসান ভাই। শুভ রাত্রি।




ছবিটা লর্ড ভলডামোর্ট এর মনে হইতেছে। :)

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: লর্ড ভলডামোর্ট কী না জানি না। গুগলিং করে পেলাম ছবিটা। মনে হল বেশ যুৎসই হবে।

ঘোর... ঘোর কেটে গেলে আমি কী আর লিখতে পারবো!

এই লেখাটা যখন লিখছিলাম সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির কথা মাথায় এসেছিলো। তবে ইচ্ছা করেই সেটার বিস্তার ঘটাইনি। একটু খালি চিহ্ন রেখে দিয়েছি। ভাবার অবকাশ রেখেছি। তুমি সেটা লুফে নিয়েছো।

মাই প্লেজার বাডি! শুভরাত।

৫৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৫৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: লর্ড ভলডামোর্ট হলো হ্যারি পটারের ভিলেন :|

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যারি পটার সম্পর্কে আমার জ্ঞান শূন্যের কোঠায়। বই বা সিনেমা কোনটাই পরখ করে দেখা হয় নাই :|

৬০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:২০

অচিন্ত্য বলেছেন:

পড়তে পড়তে গল্পে ভয়ের উৎসটা নিয়ে ভাবছিলাম।

৯ নম্বর কমেন্ট এর প্রতি-উত্তরে বলেছেনঃ আমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নানারকম আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যেটা একরকম ভয়ের উপাদান, অথবা যেখান থেকে অনেক ভয়ের উপাদান উৎসারিত হয়। আমাদের উৎসব, জমায়েতগুলো থেকে কত হিংসা, জিগীষা, অসম্পর্ক তৈরি হচ্ছে তার কোন হিসেব নেই।

আমার মনে হয় বাস্তব জীবনে আনুষ্ঠানিকতা ভয়ের উৎস নয়। আর উৎসবগুলোকে আমার ইতিবাচক মনে হয়। আমার মনে হয়, আমরা যত বেশি পরস্পরের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে থাকব ততই সুসম্পর্ক তৈরি হবে। এটি ইদানিং আরো বেশি বুঝতে পারি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ভেতর দিয়ে বন্ধু-স্বজনদের সাথে সংযুক্ত থাকার ফলাফল প্রত্যক্ষ করে।

প্রাতিষ্ঠানিকতা থেকে আমরা যতই দূরে সরে যাচ্ছি, আমাদের মূল্যবোধ ততই দুর্বল হয়ে পড়ছে। এক্ষেত্রে আমার মনে হয়, অপ্রাতিষ্ঠানিকতাই ভয়ের কারণ। ভয়টা অ্যানার্কির। একটা না একটা এপিস্টেম থাকতেই হবে যা আমাদেরকে পরিচালিত করবে। এর অভাবে আমরা যা দেখতে পাই-
মানুষ যখন ধর্মের কাছে নিজেকে জমা রাখল, অর্থাৎ যে যুগে ধর্মই সমগ্র মানবজাতির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল, তখন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এবং এইসব প্রতিষ্ঠান চালনাকারী মহলকে ঘিরে স্বার্থান্বেষণের বিশাল আয়োজন শুরু হয়-একথা যেমন ঠিক একই সাথে এটাও খেয়াল করা দরকার, ধর্ম তখন সমগ্র মানবজাতিকে এক সুতোয় গেঁথে রাখতেও সমর্থ ছিল। এক সময় মানুষ নিজেকে সঁপে দেওয়ার জন্য খুঁজে পায় বিজ্ঞানের জগত। তখন মানবজাতির সেন্টার বিশ্বাস থেকে যুক্তিতে শিফট করে। কিন্তু গত শতাব্দির দুইটা বিশ্বযুদ্ধে যখন হাজার হাজার নিরীহ মানুষ অকারণে (= অযৌক্তিকভাবে) মারা গেল, তখন যুক্তি থেকেও কেন্দ্র সরে গেল এবং তার পর এমন আর কোন এপিস্টেম পাওয়া গেল না, যা মানুষকে গেঁথে রাখতে পারে।

আমার মনে হয়, আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চর্চার ভেতর দিয়ে বাঁচিয়ে রাখলে ওগুলো আমাদের বাঁচার রসদ দেবে।

চিত্রকল্প ভাল লেগেছে। ব্যালকনিতে টাঙানো নারীবস্ত্রগুলোর ফেটিশ সুন্দর হয়েছে। ‘ধার্ম-সামাজিক অতিষ্টানুষ্ঠান’ শব্দবন্ধ ভাল লেগেছে। বিশেষ করে ‘ধার্ম-সামাজিক’ এর ‘ধার্ম’ ‘আর্থ-সামাজিক’ এর ‘আর্থ’ এর স্থলাভিষিক্ত হওয়াতে ধর্মের আর্থিক মূল্য বিষয়ক সামাজিক কনশাসনেস সম্পর্কে পাঠক মন সচেতন হয়ে ওঠে। তাছাড়া গল্পটি নির্মাণের একটি বিশেষ দিক আমার চোখে পড়েছে যা না বললেই নয়। এখানে পাঁচটি ইন্দ্রিয়কেই ইনভলভ করা হয়েছে। চোখ আর কানের কথা বলার দরকার নেই। নাকঃ যদিও আমরা এই ইন্দ্রিয়টিকে গন্ধ অনুভবের নিমিত্তেই ইন্দ্রিয় বলি, এই গল্পে যখন আনিসের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, নাসিকা তখন নিছক শ্বাসকার্যে নিয়োজিত না থেকে তা ইন্দ্রিয়ের মতই আচরণ করে; ইন্দ্রিয়-যা পরিপার্শ্ব সম্পর্কে মগজে রিপোর্ট করে। আবার যখন “তার নাকের ওপর বসে পড়ছে মানুষ...” চারপাশের লোকজনের ঘনিষ্ট অবস্থানে পাঠক কল্পনায় কটু গন্ধের স্বাদ আস্বাদ করে। তবারকের স্বাদ জিহবাকে ইনভলভ করে। ফেলে আসা সবুজ, মাটি এবং জানলার ওপাশের শ্যামলা মেয়েটিকে স্পর্শ করার আকুলতা ত্বককেও ইনভলভ করে। এই পাঁচ ইন্দ্রিয়ের ইনভলভমেন্ট পাঠকের সাথে ঘটনাসমূহের গল্পগত দূরত্ব কমিয়ে বাস্তবগত নৈকট্য স্থাপন করে।

ধন্যবাদ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাদের ব্যক্তিস্বত্তা সবরকম প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আনুষ্ঠানিকতায় লীন হয়ে গেলে নিজেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলার যে প্রক্রিয়া আমি সেটাই তুলে ধরতে চেয়েছি। হ্যাঁ, অবশ্যই এটা ঠিক যে এইসবের সূত্র ধরে মানুষ একে অপরের কাছাকাছি এলে হৃদ্যতা বাড়তে পারে, তা না হলেও একলা থাকাজনিত মানসিক জটিলতা দূর হতে পারে। তবে, গল্পের এ্যাটমোসফিয়ারের সার্থে এবং ফিয়ার ফ্যাক্টরটা আরেকটু সূঁচালো করার জন্যেই শুধুমাত্র নেতিবাচক দিকগুলো উপস্থাপন করেছি।

ধন্যবাদ তো আপনার প্রাপ্য। এত নিবিড় পাঠ, এত সময় নিয়ে মন্তব্যটা করলেন, সম্মানিত অনুভব করছি। আপনার মন্তব্যটা পড়ে গল্পটাকে আরেকবার অন্য চোখে পরখ করতে ইচ্ছে হচ্ছে।

ভালো থাকবেন। শুভসন্ধ্যা।

৬১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:২৪

সিলেটি জামান বলেছেন: অসম্ভব ঘোর লাগা ভাব। সুন্দর উপস্থাপন। দুইবার পড়তে হইছে। মেটাফরিক্যাল তো অবশ্যই, হরর ও বলা যায়।

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: মেটাফরিক্যাল হরর বলাটাই বোধ হয় শ্রেয়!

অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।

৬২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:১৫

বশিষ্ঠ বলেছেন: এই গল্পটা ভালো লেগেছে হাসান ভাই।
বিগত বেশ কটার চেয়ে আলাদা, কিন্তু আপনার স্বকিয়তা পুরোপুরি।
সহজে রিলেট করতে পেরেছি।
অনেক শুভেচ্ছা জানবেন।

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনাকেও শুভেচ্ছা।

৬৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৩০

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: ভালো লাগলো, হামা।

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস সোনিয়া। শুভসন্ধ্যা।

৬৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৪

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: পড়তে গিয়া শুরুতে ভাবছিলাম সহজ সরল ভাবে লেখা, মাঝামাঝি গিয়ে টের পেলাম আমার ধারনা ভুল.........

আসলেই "আনুষ্ঠানিকতা" বিষয়টা মৃত্যু পর্যন্ত্য আমাদেরকে তাড়িয়ে বেড়ায়......

লেখাটা যথারীতি ভাল, তবে এত রূপকধর্মী লেখার অনেক কিছুই আমার এন্টেনা ধরে না....

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্যে। শুভসন্ধ্যা।

৬৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:০৭

ভিয়েনাস বলেছেন: আমাদের জীবনে এসব ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা চলবে মৃত্যু পর্যন্ত। উপলক্ষ্য আর উৎযাপন দিন দিন বেড়েই চলবে তার সাথে বাড়বে নানা রকম হানাহানি। এর থেকে বেরিয়ে আসা আমাদের জন্য কঠিন /:)

ঘোরলাগা ভিন্নধারার লেখা ।

ভালো লাগলো।

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ভিয়েনাস। শুভরাত্রি।

৬৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:২৫

কালীদাস বলেছেন: ঘোর ধরানো একটা লেখা B:-)
আনিস মৃত না জীবিত বুঝতে বেশ সময় লেগেছে আমার :(

ইউটিউব আবার খুললে এলিস ইন চেইনসের ইউর ডিসিশন গানটার ভিডিওটা দেখতে পারেন। নরমাংসভোজী সোসাইটির সম্মিলিত মিলাদের ভিডিও :(

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ইউটিউবে মাঝেমধ্যে ঝটাঝট ঢুকা যায়, মাঝেমধ্যে ঝামেলা করে। কী যে করল বুঝতাসি না। দেখনের লাইগা বেশ আগ্রহ হৈতাসে :-B

৬৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:২৮

মুনতা বলেছেন: আগ্রহ জাগানো গল্প।

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মুনতা। অনেকদিন পরে আমার ব্লগে আসলেন। শুভরাত্রি।

৬৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৩৩

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: মন্তব্য করার আগে, অন্যদের কমেন্ট পড়তে নেই। এতে আমি কি অনুভব করছি সেটা চাপা পড়ে যায়। অন্যের মন্তব্যে প্রভাবিত হয়। সে যাই হোক-
প্রথমে কিন্তু বুঝতেই পারিনি বাসাটা আসলে কি? একদম শেষে এসে বোঝা গেল। থ্রিল ভালো লাগলো। সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান এর সাথে মিশিয়ে এমন চমৎকার গল্প খুব একটা পড়া হয় নি। আমার একটা গল্প লেখার ইচ্ছা ছিল। একটু ভৌতিক। এই গল্প পড়ে মনে গেল।

খুব আনন্দ (এটা ভয় মিশ্রিত আনন্দ! :P ) পেলাম।

১২ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: মনে পড়ে গেল, তো ইচ্ছাটা বাস্তবায়ন করে ফেলেন! হরর গল্প পড়তে মঞ্চায়!

ভয় মিশ্রিত আনন্দ পেয়েছেন জেনে আনন্দিত হৈলাম B-)

৬৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:১৮

দূর্যোধন বলেছেন: আপাতত বুকমার্কড।ভুত এফেমের পরাবাস্তব ভার্সন না হইলেই হয় ;)

১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ইডা কুনো কতা কৈলেন! অবশ্য ভূত এফ এম শুনিনাই জীবনেও। শুইনা তারপর প্রতিক্রিয়া জানামু মাইন্ড খাইসি নাকি খাই নাই! /:)

৭০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:৩৮

অচিন্ত্য বলেছেন:
সাহিত্যকর্ম আমি বরাবরই চেষ্টা করি নিবিড়ভাবেই পড়তে। তাছাড়া 'চিঠি ও চোখানুক্রম' পড়ার পর আপনার লেখা নিবিড়ভাবে না পড়ে আর উপায় রইল না। আপনার এই লেখাটিই আমি প্রথম পড়ি।

ভাল থাকবেন। কথা হবে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! আমার পুরোনো লেখাগুলো পড়ারও আমন্ত্রণ রইলো।

শুভসকাল।

৭১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:৩৩

জয়তি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন: অসাধারণ লেখা।অনেক লিখুন,শুভ কামনা!

১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ জয়তি। শুভসকাল।

৭২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:০৬

নস্টালজিক বলেছেন: ঘোর লাগা গল্প! দারুণ লাগছিলো পড়তে!

কি হবে, কি হতে যাচ্ছে -এই যে একটা উৎকন্ঠা, এটা সহজ শব্দে ধরসো বলে পড়তে আরাম লাগসে!

এন্ডিং ভালো লাগে নাই!


শুভেচ্ছা!

১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: তোমারে না কৈসিলাম রাইতের বেলা পড়তে! এন্ডিংটা একটু স্ল্যাশার ফ্লিক আনার প্রচেষ্টা ছিলো আর কী!

শুভদুপুর!

৭৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:০৫

মেহবুবা বলেছেন: এমন সব ঘটনা কোথায় পান ?

এমন করে উপস্থাপন করেন যেন মনে হয় উপস্থিত ছিলেন ওখানে ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা কী করে যেন মাথায় চলে এলো! অনেকদিন পরে আপনাকে আমার ব্লগবাড়ীতে দেখে ভালো লাগলো।

ভালো থাকবেন।

৭৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:০৪

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: :-* :-* :-* এত ভয় দেখান ভালো না......

১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: সত্যি ভয় পাইসেন! মনডা শান্তি পাইলো!

শুভ দুঃস্বপ্নরাত! B-)

৭৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:২৫

আরজু পনি বলেছেন:

হাসানের লেখা নিয়ে আমি বাসার বাইরে কোথাও গেলেই একা থাকলে ভাবছি (আজকে সহ দু'দিন ভাবলাম) কেমন যেন মাথা গুলানো একটা অনুভুতি কাজ করে। নিজেকে আনিস মনে হয়! ঠিক আনিস না, তবে মনে হয় আনিসের অস্থিরতাটা...

অনেকেই মিলাদকে নেগেটিভলী এতো কঠিন ভাবে নেবার মজার কিছু কারণ মনে হলো।

তবে এটা টিভিতে ২/৩ পর্বে চললে বেশ হতো।। তখন ভয় পেতে দর্শকরা বাধ্য হতো।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার লেখা আপনার ওপর এত প্রভাব বিস্তার করেছে জেনে খুব ভালো লাগলো।

একটা শর্টফিল্ম বানানো গেলে হয়! মাস্টররে ধরন লাগবো :-B

৭৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৩১

মিনাক্ষী বলেছেন: গল্প পড়ে মনে হলো, মিলাদ শেষ হয়না কেন???

ঘোরলাগা গল্প।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মিনাক্ষী। তোবারক খায়া যান!

৭৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৪৫

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: ভয় এতক্ষণ ধরে পাইলে চলবে?? B-) B-) কয়দিন আগেই তরতাজা দুইটা লাশ( একটা বিষ, আরেকটা ফাঁস) ফাড়াফাড়ি করতে দেখলাম......বাসায় আইসা ঠিকঠাক খেতেও পারছি......কাজেই ভয়ের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি কিছুটা হইলেও আছে......

১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: কিছুটা ভয় থাকুক। একদম ভয়ডর কৈমা গেলে ভূতরা মাইন্ড করতে পারে।

৭৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৩২

নাফিজ মুনতাসির বলেছেন: সমস্যাটা হইলো সুপারন্যাচারাল নিয়ে বহুত ঘাটাঘাটি করলেও এইসবরে দারুণ ভয় পাই মাঝে মাঝে.............এইটা পড়তে গিয়া ঘোরের মাঝে মাঝে থাকতে থাকতে ভয়ও পাইয়া গেছি হালকা :(

তবে ভয় পাবার মাঝেও হালকা আনন্দ খুজে পাই আমি.........দারুণ গল্প হামা ভাই.........হরর গল্প মাঝে মাঝে লিখবেন...........+++++++++

১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ইচ্ছা আছে নাফিজ। থ্যাংকস!

৭৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:১৮

জাফরিন বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার অদ্ভুত লেখাগুলো পড়লাম। খুব ভাল লাগল। আপনার লেখনি স্টাইলটা সত্যিই অন্যরকম ধরনের ভাল।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকদিন পর...

ধন্যবাদ জাফরিন।

৮০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৪৬

আহাদিল বলেছেন: আপনার গল্পটা পড়লাম! ভালো লাগল বেশ!
বেশ টান টান উত্তেজনা ছিল পুরোটা সময়!

১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস মিশু।

নতুন অর্জনের জন্যে অভিনন্দন। শুভকামনা সবসময়ের জন্যে।

৮১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৩

মাক্স বলেছেন: ++++

১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মাক্স।

শুভবিকেল।

৮২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:২৩

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: অনেকদিন ধরে মনে মনে আপনার লেখাগুলো পড়বার সুযোগ খুঁজছিলাম । হয় আমার সময়ের অভাব নইলে লগ ইন করতে পারি না । আজ ব্যাটে বলে মিলে গেলো । দারুণ লেখেন আপনি । মুগ্ধতা ! এবার বইমেলায় অসীম সাহস দেখিয়ে কবিতার বই এর সাথে একটা ছোট গল্পের বই বের করার ইচ্ছে আছে। আপনার লেখা পড়ে সাহস হারাচ্ছি । এত্ত ভালো লেখেন কিভাবে ! দারুণ !শেষের চমক ভালো লাগলো !

১৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ তিতির। আপনার বইয়ের জন্যে অনেক শুভকামনা রইলো। আপনার লেখা ভালো লাগে।

৮৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:৪৮

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: লেখাটা পড়েছি অনেক আগেই। কিন্তু কি কমেন্ট করব বুঝতে পারছিলাম না। আসলে ধরতে পারছিলাম না ভাল করে। আজ আবার একবার পড়লাম। এবার বোধহয় বুঝতে পারছি। অসাধারন লেগেছে নিঃসন্দেহে। আপনার অন্যান্য লেখা পড়ে যে কথাটা বলি তা আরও একবার বলছি, আপনার লেখা পড়লে সত্যিই একটা ঘোরলাগা অবস্থার মধ্যে চলে যাই। গল্পের মুল চরিত্রের মত করে সবকিছু ভাবতে শুরু করি। এবার যেমন আনিসের মত ভাবছি। আমি হরর, ফ্যান্টাসি বা পরাবাস্তব বিষয়ের লেখা অনেক পড়ি কিন্তু আপনার লেখা মানেই ইউনিক কিছু। ভাল থাকবেন।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাজিম, সাথে থাকার জন্যে।

শুভদুপুর।

৮৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৮

সোনালী ডানার চিল বলেছেন: এই নিয়ে তিনবার আপনার গল্পটি পড়লাম, অথচ অবাক ব্যাপার মন্তব্যে কিছু লিখতে বারবার ভুলে গিয়েছি।
(মন্তব্য কি আর হতে পারে, 'অসাধারণ' শব্দটা ছাড়া!!!)

১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার এই লেখাটি তিনবার পড়েছেন জেনে একইসাথে অবাক এবং আনন্দিত হলাম।

অনেক ধন্যবাদ!

৮৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৩২

স্যাম মার্ক্স বলেছেন: আপনার কিছু কিছু লেখা এতোটাই মাথার উপর চাপ ফেলে যে পড়ার পর মাথাব্যাথা করে আমার। :(


একটা প্রাইভেট প্রশ্নঃ আপনি কি ২০১০ এর পর আপনার লেখার স্টাইল চেঞ্জ করেছেন?

গল্পে ভালো লাগা।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: এইটাও তাইলে সেরকম লেখা? জানিয়া প্রীত হইলাম!

২০১০ না, ২০০৭ থেকে চেঞ্জ আসছে। আগে মূলত লিরিক/ ছন্দকবিতা লিখতাম।

শুভরাত্রি।

৮৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৬:১৩

অন্তি বলেছেন: Content blocked by
operator upon request
from Government
Authority. আপনার আগের গল্পটায় ক্লিক কর্লে উপরের লেখা গুলো দেখাচ্ছে।

৪০তম ভালো লাগা। চমত্‍কার একটা লেখা পড়ে আজকের দিন শুরু করলাম।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আগের লেখাটা আবার কী দোষ করল! :|

ধন্যবাদ অন্তি। শুভসকাল।

৮৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:২০

আবু সালেহ বলেছেন: হাসান ভাই চমৎকার একটা গল্প পড়লাম.......

১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আবু সালেহ!

শুভবিকেল।

৮৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,
আপনার যে গল্পগুলো আমি পড়েছি তার সাথে এটাকে শুরু থেকে মেলাতে পারছিলাম না । লাইনগুলো পেরুতে পেরুতে দেখলাম ডিমের খোলস ভেঙ্গে উঁকি দিতে শুরু করেছে আদি এক হাসান মাহবুব । শেষতক আবার আদি মাহাবুবকেই পেলাম তবে আগেরগুলোর মতো তেজস্বী নয় ।
নিঃসীম শেষের অন্ধকারে বসেও পার্থিব আকাঙ্খাগুলো যে মগজে খেলে যেতে পারে তা সুন্দর ফুঁটিয়ে তুলেছেন ।
আসলে মানুষগুলো কী পাজি, ধর্মকর্মের মাঝেও পাশের জানালায় রাখে টেঁরা চোখ..... ;) B-)

১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ডিমের খোলস ভাঙার জন্যে আপনাকে ডিমপোচের শুভেচ্ছা জী.এস! B-)

৮৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৬

প্রিন্সর বলেছেন: ছবি, পোষ্ট দুইটাই সুন্দর হইসে !

হরর সেগম্যান্ট শুরু করলেন নাকি? পরবর্তীটার অপেক্ষায় রইলাম ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংক্স। হরর থিমটা হঠাতই মাথায় আসলো। ইচ্ছে আছে আরো এরকম লেখার। তবে সেটা কতদিনের ব্যবধানে হবে তা বলতে পারছি না!

৯০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:০৫

মাস্টার বলেছেন: শেষের টুইস্টটা তো মারাত্মক! শেষ প্যারার আগে ধরতেই পারিনাই। 8-|

++++

১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে মিস্টার টুইস্টের শুভেচ্ছা! B-)

৯১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:৫১

পাগলমন২০১১ বলেছেন: প্রথমে গ্রাম বাংলা, মাঝখানে ধর্মীয় বাড়াবাড়ি, শেষে মরা লাশ খাওয়া কীট।


উহ আপনি পারেন ও। :-B

বরাবরের মত +++

১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি পারি? :-B না না পারি না। আর পারি না আর পারি না আমার ক্লান্তি আমায় কাঁদায় :((

না পারুম। পারা লাগবো!

ধৈন্যা!

৯২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:৪৪

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: এন্ডিং প্রেডিক্টেবল।

কিছু কিছু জায়গায় হামাটিক রিপিটেশন আছে। সহজ ভাষায় লেখা গল্প ভাল লেগেছে।

আরো বলব অনেক কিছু

:)

১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: এন্ডিং নিয়ে বেশিরভাগই বলল আনপ্রেডিক্টেবল। আগে থিকা প্রেডিক্ট করার জন্যে ধিক্কার!

কিছু রিপিটেশন মনে হয় এড়ানো যাবেনা! থাকুক!

আরো শোনার অপেক্ষায় থাকলাম।

থ্যাংকস তানিম।

৯৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:০৭

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: বেশ কয়েকদিন সময় নিয়ে গল্পটা কয়েকবার পড়েছি। প্রতিবারই একটা ঘোরের মধ্যে পড়ে গেছি। অসাধারণ! সমাপ্তিটা বেশি অসাধারণ!

১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! তৃপ্তি পেলাম আপনার মন্তব্যে।

শুভকামনা।

৯৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৩২

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ফিনিশিং জোশ :)

১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস! তোবারক নিয়া যান! B-))

৯৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৭

রবিন মিলফোর্ড বলেছেন:

ভাল লাগল হামা ভাই । :)

২০ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস রবিন!

৯৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:১২

দূর্যোধন বলেছেন: সাধারনতঃ ভাড়াটিয়ারা নতুন বাসায় উঠলে মিলাদ পড়ায় না।আপনার গল্পের আনিস তো বাড়িওয়ালা না!

আনুষ্ঠানিকতা জীবনের সবখানেই অঙ্গাগীভাবে জড়ায়া আছে।স্কুলে যাওনের আনুষ্ঠানিকতা,দাঁত উঠার আনুষ্ঠানিকতা,আরো অনেক ইয়ের আনুষ্ঠানিকতায় জীবন প্রায়সই জেরবার হয়া যায়।গল্পেই উল্লেখ করছেন,আনুষ্ঠানিকতা (মিলাদ মাহফিল রুপকল্প) হইতে পারে মায়ের সুস্থতা চাইয়া,আবার মামা হওনের উপলক্ষেও।ইমামের গোয়ার্তুমী প্রকাশ পায় 'আমার কাজ মিলাদ পড়ানো, আমি পড়ামু। পড়ামুই!'' -এই লাইনে।ধইরা নিলাম আনিস মারা গেছে।কিন্তু এই লাইনটাই আমারে গল্পটার দ্বিতীয় অর্থ খুঁইজা বাইর করতে সাহায্য করলো!

গল্পের ইমামরুপী ধর্মব্যবসায়ীরা আপনার কাছ থিকা বিভিন্ন উপলক্ষে 'মিলাদমাহফিল'এর আবরনে ''দোয়া খায়ের'' করার নামে বেহেস্তের টিকেট ধরায়া দিবার চায়।আপাতদৃষ্টিতে খুব নিরীহ মাহফিল বা আয়োজন মনে হইলেও যখন সিন্দাবাদের ভুতের মতন কান্ধে চাইপ্যা বইবো,মরনের পরও রেহাই পাইবেন না।


হাউ ওয়াজ দ্যাট? ;)

২১ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ম্যান, আপনি এরকম সাদামাঠা একটা হরর গল্পকে এত প্যাচাইয়া ভাবলেন! ;)

এলবিডব্লিউ এর জোরালো আবেদন, থার্ড আম্পায়ারের কাছে রিভিউ চাইসি B-)

৯৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৫৯

দূর্যোধন বলেছেন: নো ওয়ে,আগেই কইছি.........আপনের গল্পগুলার ডুয়াল মিনিং থাকে,মিসিং থ্রেডগুলারে জোড়া লাগানোর দরকার আছে।এত সিম্পল হইলে তো আর এত মেটাফোর লাগেনা ;)

২১ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: কসম, আমি একটা সিম্পল হরর গল্পই লিখতে চাইসিলাম! কিন্তু হতচ্ছাড়া কলম! কই থিকা কই নিয়া যায়!

৯৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:০১

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: ওহ আরেকটা ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন! অথচ সত্যিই যে দুঃস্বপ্ন তারও কোন প্রমান নেই!

২১ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: হু! এ এক অদ্ভুত দোলাচল!

৯৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:৪০

কথক পলাশ বলেছেন: গল্পটা অফিসে বসে পড়া ঠিক হয়নি। বাসায় গিয়ে আবার বসতে হবে। টুইস্টে এসে বসের ডাকে সব গুলিয়ে ফেলেছি। :( :( :(

২২ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: বসকে ধিক্কার! টুইস্টটা নিয়ে একেকজন একেকরকম বলতাসে। আপনার কেমন লাগবে কে জানে! :|

১০০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৪৮

অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: আরেকবার সময় নিয়ে ভালো করে পড়তে হবে। তাহলেই হয়তো ঠিকভাবে কমেন্ট করার মতো যথেষ্ঠ বুঝতে পারবো।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক আছে। শুভ রাত। ভালো থাকবেন।

১০১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:৫২

মুসাফির৭৫৮৪ বলেছেন: মাম্মা, কিরামাচ তুমি?
তুমি মাম্মা বেশী পাকনা।
তয় তুমারে বালা পাই।



তাই তুমারে পিলাচ দিলাম। :-B :-B

২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালাচি মাম্মা। আমি পাকনা কথা ঠিক। আমারে তুমার দলের ক্যাপ্টেন বানাইবা। :-B

১০২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৫

মুসাফির৭৫৮৪ বলেছেন: খামো-শ।



আমার দলের ক্যাপ্টেন আমি।

তয় হাসা-মাহ তুমারে এক নম্বর জ্ঞানীর পদ দিচি।
দুই নম্বর জ্ঞানী রেজুনা-রে বানাইচি। :-B :-B :-0

২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: :-<

১০৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:০৮

রিমঝিম বর্ষা বলেছেন:

:(

২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: কিতা হৈলো!

১০৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৪

মাক্স বলেছেন: চোখের মনিটা ভালা আছে এখনো লন না, খান?

প্রথম যেদিন পড়ছিলাম গল্পটা ঐদিন এই লাইনটা পড়েই কেমন জানি গা গুলাইয়া উঠছিল। আজকে আবারও সেইম অবস্থা।
কোন কিছু পড়ার সময় ঐ জিনিসটা চোখের সামনে কল্পনা করতে থাকি, স্পষ্ট দেখলাম একটা লাশের চোখ তার উপরে সাদা রঙের কিছু বীভত্‍স পোকা।
গা গুলানো ভাবটার জন্য আজকে আবার পড়লাম।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: এইটা একটা পিওর হরর স্টোরি হিসেবে লিখুম ভাবসিলাম, শেষ পর্যন্ত অবশ্য তা থাকেনাই।

আবার পড়ার জন্যে আবারও ধন্যবাদ মাক্স। শুভরাত।

১০৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১১

ঞীঞা বলেছেন: বা:

০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রুপম গুপ্ত :-B

১০৬| ১৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: কি বলবো ভাই!!! অসাম লাগছে!!!

১৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভাবসিলাম একটা পিওর হরর গল্প লিখবো! কিন্তু তা আর হল কই!

অনেক ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.