নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবীজির জন্মের আগে আরবে গজব অবস্থা ছিলো

০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:০২



নবীজির জন্মের আগে আরবে বেশ কিছু ধর্ম ছিলো।
ধর্ম না বলে কুসংস্কার বলা ভালো। সেই সময় মানুষ রসিকে সাপ মনে করতো। মগজহীন মানুষ দিয়ে ভরা ছিলো আরব। সেই সময়- সবচেয়ে জমজমাট ধর্ম ছিলো দেবদেবীর পূজা করা। দেবদেবীকে খুশি করার জন্য নাচ গান করা হতো। ভেড়া ও উট বলি দেওয়া হতো। তখন আরবের লোকজন আল্লাহর নাম পর্যন্ত শুনেনি। অবশ্য সেই সময় এক শ্রেনীর লোকজন ধর্মকে তেমন গুরুত্ব দিতো না। আরবরা ডায়োনিসাস ও জিউসের পূজা করত। এর আগে তারা বড় বড় পাথর পূজা করতো। কোথাও গেলে পাথর গুলো সাথে সাথে করে নিয়ে যেতো। লোকজন দলে দলে ভাগ হয়, আর তাদের ধর্মের পরিবর্তন হয়। যেমনঃ অমুক গোত্র পাথর পূজা করে, তাহলে আমরা পাথর দিয়ে মূর্তি বানিয়ে পূজা করবো।

মূলত আরবের লোকজন যাযাবর ছিলো, বেদুইন ছিলো।
তাদের জ্ঞান বুদ্ধি কম ছিলো। তারা মনে করতো সব দেবতা ভালো না, কিছু খারাপ দেবতাও আছে। খারাপ দেবতা ঝড় তুফান দেয়। অসুখ দেয়। ভুলভ্রান্তি আর কুসংস্কার নিয়ে সময় গড়াতে থাকে। কালক্রমে স্থায়ী নাম হয়- 'ঈশ্বর'। প্রভু। উপাধি হিসেবে 'আল্লাহ' শব্দটি আসে। আল্লাহ শব্দটি প্রথম আসে এক কবির লেখায়। কবির নাম সুলমার। সে তার কবিতায় মহান কিছু বুঝাতে গিয়ে 'আল্লাহ' নামটি ব্যবহার করেন। এদিকে অনেক আগে থেকেই- 'ইলাহ', 'ইল' শব্দ গুলো ব্যবহার করতো ব্যাবিলনীয়রা। যার অর্থ প্রভু। আরবরা তাদের কাছ থেকে এই শব্দ গুলো শিখে। একসময় পুরো আরবে- আল্লাহ সর্বোচ্চ দেবতা হিসেবে পরিচিত লাভ করে। কোনো কোনো গোত্র মানতো- রাহমান (দয়ালু) নামে এক দেবতা আছে।

আরবের বিভিন্ন গোত্র আল্লাহকে বিভিন্ন দেবতা মনে করতো।
কেউ কেউ আল্লাহকে দেবী মনে করতো। পাতালের দেবী। ভাগ্যের দেবী। যাইহোক, পুরো আরব জুড়ে কোনো নিয়ম নীতি ছিলো। জোর যার মুল্লুক তার- এরকম অবস্থা। এক গোত্র আরেক গোত্রকে আচমকা আক্রমন করতো। নারীদের নিয়ে যেতো জোর করে। ভোগ করতো। কেউ কেউ নারীদের বিক্রি করে দিতো। এজন্য অনেক বাবা মা তাদের মেয়ে সন্তানকে জন্মের পর-পরই মেরে ফেলতো। বিশ্বের মধ্যে আরবে নারীদের অবস্থা ছিলো সবচেয়ে করুন। অথচ সেই সময় পৃথিবীর অনেক দেশেই নারীরা সম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে বেঁচে ছিলো। কিন্তু আরবেরা অসভ্য এবং বর্বর। বর্তমান যুগে আরবেরা অনেক ভালো।

সেই আদি যুগ থেকেই- মক্কা মদীনায় জনসংখ্যা বেশি ছিলো।
জমজমাট এলাকা। আরবরা যাদুটোনা, ঝাড়ফুঁক এবং তাবিজ কবচ বিশ্বাস করতো। মূলত যুদ্ধ করে-করে আরবরা নিজেদের সর্বনাশ করেছে। যুদ্ধের কারণে আরবে শান্তি ছিলো না। এ কারণে ব্যবসার উদ্দেশ্যে আরবে কেউ যেতে চাইতো না। তাছাড়া মরুভূমির দেশ, দরিদ্র দেশ। কুসংস্কারে ভরা। পুরো আরববাসী এরিস্টটল এবং গৌতম বুদ্ধের নাম পর্যন্ত শুনেনি। জ্ঞান থেকে তারা পিছিয়ে। অন্ধ বিশ্বাস নিয়েই তারা ছিলো। একবার এক ব্যবসায়ী তার দল নিয়ে মরুভূমি দিয়ে সিরিয়ার দিকে যাচ্ছিলো। আচমকা একটা দল তাদের আক্রমন করে। যুদ্ধ শুরু করে দেয়। তখন তাদের বলল ওহে মক্কা মদীনাবাসী- যুদ্ধ করো না। আমাদের সম্পদ ও নারী কেড়ে নিও না। তোমরা ডাকাতি না করে, কর্ম করো। তোমরা সাগর আছে। সাগর থেকে মাছ ধরো। সেই মাছ বিক্রি করে তোমরা মক্কা মদীনাবাসী সুন্দর ভাবে খেয়েপরে বেঁচে থাকতে পারবে। আরবেরা সেই লোকের কল্লা কেটে দিলো। নারীদের বন্ধী করলো। সম্পদ লুট করলো। সেই নারী, সম্পদ বন্টন নিয়ে নিজেদের মধ্যে লড়াই শুরু হলো।

জুয়া খেলতে এবং মদ আরবরা খুব পছন্দ করতো।
ধনীরা সুদের ব্যবসা করতো। টাকা দিতে না পারলে স্ত্রী কন্যাকে নিয়ে যেতো। বিয়ের বালাই ছিলো না। ক্ষমতা আছে, ভোগ করো। কে বোন, কে মা, কে কন্যা এসবের কোনো নিয়ম কানুন ছিলো না। যেসব নারীর রুপ যৌবন থাকতো না, তাদের পাগলা ঘোড়ার লেজের সাথে বেধে দেওয়া হতো। মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ঘোড়া দৌড়াতে থাকতো। তবে আরবের কতিপয় লোকজন কবিতা, গান আর নাচ পছন্দ করতো। কাবাঘরের দেয়ালে কবিতা লিখে রাখতো। সুর করে তারা কবিতা আবৃত্তি করতো। এরাই আবার ডাকাতি করতো। মরুভূমির পথে দিয়ে কোনো কাফেলা গেলে তারা ডাকাতি করতো। মাসে কমপক্ষে তারা ২০ টা যুদ্ধ করতো। সারা বছর প্রচন্ড তাপ, ধূলিঝড় আর বৃষ্টি হতো বছরে দুই তিনবার। আরবদের জাতীয় খাবার ছিলো খেজুর।

৫৬৯ সালে আল্লাহ আরবের অবস্থা দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন।
আল্লাহ নবীজিকে আরবে পাঠালেন। নবীজি সীমাহীন কষ্ট করে বেলাইনে চলে যাওয়া আরবকে লাইনে নিয়ে আসেন। নবীজির কল্যানে আমরা পেলাম- একটা পরিপূর্ন ধর্ম। একটা কিতাব। আসমানী কিতাব। নবীজি বলে দিলেন, এই কিতাব তোমরা আগলে রাখো। ধার্মিকেরা কিতাব আকড়ে ধরলো। কিন্তু আরেকদল এই কিতাব থেকে দূরে রইলো। যারা দূরে রইলো তাদের কপালে দুঃখ আছে। দুঃখ শুরু হবে মৃত্যুর পর থেকে। কেয়ামত পর্যন্ত এই কিতাব থাকবে। আমার কিছু প্রিয় সূরা হচ্ছে- আল হিজর। মানে- পাথুরে পাহাড়। আরেকটা সূরা হচ্ছে, আন নাহল। অর্থ হচ্ছে- মৌমাছি। তারপর আল কাহফ। মানে গুহা। এই সূরা গুলো পড়লে আল্লাহপাক খুশি হন। আল্লাহকে খুশি রাখা ভীষন জরুরী। অফিসে যেমন বসকে খুশি রাখা ভালো। তেমনি পরকালে ভালো থাকার জন্য আল্লাহকে খুশি রাখা অতীব জরুরী। ইহকাল তো দুই দিনের। পরকাল তো অনন্ত।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি আল্লাহ, রাসুল ও ইসলাম নিয়ে পজেটিভ মনোভাব পোষণ করেন না। অথচ পোস্ট লিখে আর সুরা পড়ে আল্লাহ কে খুশি করতে চান। যদি ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে লিখতেন মহানবী সা এর আরবের আগমনের কাহিনী তাহলে ভালো হতো। আপনি যেটা বিশ্বাস করেন না সেটা নিয়ে পজেটিভ কথা লিখলে মানুষ সন্দেহ করবে। :P

০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: উফফ আল্লাহ!!!
আপনাদের নিয়ে আর পারি না।

০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: এই সামুতে আমাকে একজন বুঝতে পারেন।
সে হচ্ছেন গ্রেট চাঁদগাজী।

২| ০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩২

রিফাত হোসেন বলেছেন: দুনিয়াতে ভর, কেন্দ্র, নিয়ন্ত্রণ ছাড়া কিছু নাই। এই logic এ ঈশ্বর আছেন। আমরা যখন ছবি অঙ্কন করি তখন যেমন ভাল লাগে তেমনি করি। ভাল না লাগলে প্রিয় বস্তুও ছুড়ে ফেলে দেই। আমাদের অবস্থান আর আমাদের সৃষ্টির মধ্যে যে সম্পর্ক বিদ্যমান তেমনি মহাপরাক্রমশালীর সাথে মানব জাতির এই ধাঁচের সম্পর্ক।

কেউ ক্ষমতাবান হয়ে গেলে নিজেকে অমর করে রাখার,অঢেল সম্পদের পাহাড় তৈরী করার কথা। সে দিক দিয়ে মহানবী সা: অনেক পিছিয়ে নয় শুধু, এক্কেবারে ১০ এ অসীম ০ পেয়েছেন।

০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: এই জন্যই নবীজি মহামানব।

০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: যে আল্লাহর রাস্তায় বের হয়, তার আর দুনিয়ার কোনো বস্তুর প্রতি লোভ লালসা থাকে না।
নবীজি চাইলে বিশাল সামরাজ্য তৈরি করতে পারতেন। আরবের সমস্ত সম্পদ নিজের করে নিতে পারতেন। কিন্তু নবীজি আল্লাহর দূত ছিলেন। তিনি আমাদের পথ দেখিয়েছেন।

৩| ০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩৬

Sulaiman hossain বলেছেন: আপনার একটি কথা ব্যাতিত সব ঠিক আছে,কথাটা হল ৫৬৯ সাল আল্লাহ আরবের অবস্থা দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন

০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: নবীজির জন্ম ৫৭০ সালে। এজন্য ৫৬৯ বলেছি।
আমার সমস্যা হলো গুছিয়ে লিখতে পারি না। লেখার দোষে মানুষ ভুল বুঝে।

০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক। আসলে লাইনটি আমি গুছিয়ে লিখতে পারিনি

৪| ০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: Sulaiman hossain বলেছেন: আপনার একটি কথা ব্যাতিত সব ঠিক আছে,কথাটা হল ৫৬৯ সাল আল্লাহ আরবের অবস্থা দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন। lol

@ sulaiman সাহেব
রাজীব সাহেব মাঝে মাঝে ব্লগারদের ধর্মীয় temperature test করেন। আপনি বিচলিত হবেন না। উনি এমনি।

০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা----
হে হে হে------

০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: লোকে আমারে মন্দ বলে।
মন্দ বলেরে---

৫| ০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




ভালো কিছু সূত্র দিয়েছেন। তদন্ত করে দেখতে হবে।

০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: তথ্য ঠিকঠাক আছে।

০৯ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: শ্যাইয়ান ভাই,
আমি ঠিক করেছি নবীজির জীবনী লিখব।
সামুতে লিখব।
এবং এই জীবনী দেখার কারণে সামুর এডমিন কমপক্ষে তিন মাস আমাকে ফ্রন্ট পেজ ব্যান করবেন।

৬| ০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০৭

নতুন বলেছেন: গ্রোক কে জিঙ্গাসা করেছিলাম নিচে তার জবাব।

আপনার লেখার বেশ কিছু তথ্য ভুল বা অতিরঞ্জিত। নিচে তা বিশ্লেষণ করে তথ্যগুলোর সঠিকতা যাচাই করা হলো:

1. **ধর্মকে কুসংস্কার বলা**:
- ভুল: ধর্ম বলে কুসংস্কার নয়। পূর্ব-ইসলামী আরবে বিভিন্ন ধর্ম ছিল, যেমন পলিথিজম (বহুদেবতাবাদ), জুদাইজম, খ্রিস্টধর্ম এবং জোরোস্ট্রিয়ানিজম। এগুলো সংগঠিত ধর্মীয় প্রথা ছিল, যদিও কিছু কুসংস্কারও ছিল। "কুসংস্কার" শব্দটি সমস্ত ধর্মীয় চিন্তাভাবনাকে অবজ্ঞা করে, যা ঐতিহাসিকভাবে সঠিক নয়।

2. **মানুষ রসিকে সাপ মনে করতো, মগজহীন ছিলো**:
- ভুল: এমন কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই যে আরবের মানুষ রসিকে সাপ মনে করতো। এটি অতিরঞ্জিত বা কাল্পনিক। পূর্ব-ইসলামী আরবের মানুষের মধ্যে বৈচিত্র্য ছিল—কিছু বেদুইন জীবনযাপন করতো, কিন্তু তারা সম্পূর্ণ "মগজহীন" ছিলো না। তারা কবিতা, বাণিজ্য এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানে দক্ষ ছিল।

3. **দেবদেবীর পূজা সবচেয়ে জনপ্রিয়, নাচ-গান ও বলি দেওয়া**:
- আংশিক সঠিক: পলিথিজম ছিল প্রধান ধর্ম, যেখানে দেব-দেবী (যেমন হুবাল, আল-লাত, আল-উজ্জা, মানাত) পূজিত হতো। বলি (ভেড়া, উট) দেওয়া এবং উৎসবের অংশ হিসেবে নৃত্য-সঙ্গীতের উল্লেখ আছে, তবে এটি সর্বত্র প্রচলিত ছিল না। এটি স্থানীয় প্রথার ওপর নির্ভর করতো।

4. **আরবের লোক আল্লাহর নাম শোনেনি**:
- ভুল: "আল্লাহ" শব্দটি পূর্ব-ইসলামী আরবে ব্যবহৃত হতো, যা "ইলাহ" (দেবতা) থেকে উদ্ভূত। এটি সর্বোচ্চ দেবতাকে বোঝাতো, যদিও তখন এটি ইসলামী অর্থে একেশ্বরবাদী ঈশ্বর হিসেবে স্বীকৃত ছিল না। কাবায় ৩৬০টি দেব-দেবীর মূর্তি থাকলেও, আল্লাহকে কিছু গোত্র উচ্চতম দেবতা হিসেবে গ্রহণ করতো।

5. **ডায়োনিসাস ও জিউসের পূজা**:
- ভুল: ডায়োনিসাস (গ্রিক দেবতা) এবং জিউসের পূজা আরবে প্রচলিত ছিল না। হেরোডোটাসের লেখা অনুযায়ী, আরবরা ওরোটাল্ট (ডায়োনিসাসের সাথে সংযোগ) এবং আলিলাত (অফ্রোদিতির সাথে সংযোগ) পূজা করতো, কিন্তু এটি সীমিত ছিল এবং গ্রিক প্রভাবের ফল।

6. **পাথর পূজা ও সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া**:
- আংশিক সঠিক: পাথর পূজা (বেটিল) ছিল, বিশেষ করে নবাতিয়ান এবং মক্কার কাবায় কালো পাথর। তবে "সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া" সর্বজনীন প্রথা ছিল না; এটি স্থানীয় কিছু গোত্রের মধ্যে দেখা গেছে।

7. **দলে ভাগ হয়ে ধর্ম পরিবর্তন**:
- আংশিক সঠিক: গোত্রভিত্তিক ধর্ম ছিল, এবং এক গোত্রের প্রথা অন্য গোত্র গ্রহণ করতে পারতো। কিন্তু এটি সুগঠিত ধর্ম পরিবর্তনের চেয়ে সাংস্কৃতিক প্রভাব ছিল।

8. **বেদুইনের জ্ঞান-বুদ্ধি কম, খারাপ দেবতা ঝড়-তুফান দেয়**:
- ভুল: বেদুইনরা জীবনযাত্রার জন্য চতুর ছিল এবং কবিতায় ও বাণিজ্যে দক্ষ। দেবতাদের ভালো-খারাপ বিভাগ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে যুক্ত করা সাধারণ পলিথিজমী বিশ্বাস ছিল, কিন্তু এটি তাদের "মূর্খত্ব" নয়।

9. **"ঈশ্বর" ও "আল্লাহ" শব্দের উৎপত্তি**:
- ভুল: "আল্লাহ" শব্দটি কবি সুলমারের সৃষ্টি নয়। এটি "আল-ইলাহ" (দ্য গড) থেকে এসেছে, যা সেমিটিক ভাষায় প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হতো। ব্যাবিলনীয় "ইল" ও "ইলাহ" শব্দের সাথে সংযোগ আছে, কিন্তু সুলমারের নামে কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই।

10. **আল্লাহকে দেবী বা ভাগ্যের দেবী মনে করা**:
- ভুল: আল্লাহকে সাধারণত পুরুষ দেবতা হিসেবে গণ্য করা হতো, কিন্তু কিছু গোত্র আল-লাত (পাতালের দেবী) বা মানাত (ভাগ্যের দেবী) এর সাথে যুক্ত করতো। তবে এটি সর্বজনীন ছিল না।

11. **নারীদের অবস্থা ও মৃত্যু**:
- আংশিক সঠিক: নারীদের অবস্থা নির্দিষ্ট গোত্রে খুব খারাপ ছিল, যেমন কন্যাশিশু হত্যা (আর্থিক বোঝা এড়ানোর জন্য)। কিন্তু এটি সব আরবের জন্য সত্য ছিল না—কিছু উচ্চবর্গের নারীদের সম্পত্তি ও প্রভাব ছিল। "বিশ্বের সবচেয়ে করুণ অবস্থা" বলা অতিরঞ্জন।

12. **মক্কা-মদিনার জনসংখ্যা ও জমজমাট এলাকা**:
- ভুল: মক্কা ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল, কিন্তু তখন এটি ছোট বসতি ছিল। মদিনা (তখন ইয়াথ্রিব) বড় ছিল, কিন্তু "জমজমাট" বলা অতিরঞ্জিত।

13. **যাদু-টোনা ও ডাকাতি**:
- আংশিক সঠিক: যাদু-টোনা ও তাবিজ বিশ্বাস ছিল, বিশেষ করে বেদুইনদের মধ্যে। ডাকাতি ও যুদ্ধ সাধারণ ছিল, কিন্তু "মাসে ২০টি যুদ্ধ" এমন কোনো ঐতিহাসিক তথ্য নেই।

14. **মরুভূমি, দারিদ্র্য, এরিস্টটল-বুদ্ধের নাম শোনেনি**:
- আংশিক সঠিক: আরব মূলত মরুভূমি, কিন্তু বাণিজ্যে সমৃদ্ধ ছিল। এরিস্টটল বা বুদ্ধের নাম তাদের জনপ্রিয় ছিল না, কারণ গ্রীক-ভারতীয় প্রভাব সীমিত ছিল।

15. **ব্যবসায়ী হত্যার কাহিনী**:
- ভুল: এই নির্দিষ্ট ঘটনার কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই। এটি কাল্পনিক বা অতিরঞ্জিত মনে হয়।

16. **জুয়া, মদ, সুদ, নারী নিয়ে যাওয়া**:
- আংশিক সঠিক: জুয়া, মদপান, ও সুদব্যবসা ছিল, এবং নারীদের অধিকার সীমিত ছিল। কিন্তু "কোনো নিয়ম ছিল না" বলা অতিবেগড়। গোত্রীয় আইন ছিল, যদিও দুর্বল।

17. **নবীজীর জন্ম ৫৬৯ সালে, আল্লাহ বিচলিত**:
- ভুল: নবী মুহাম্মদের জন্ম ৫৭০ সালে (প্রায়), এবং "আল্লাহ বিচলিত" বলা ধর্মীয় ব্যাখ্যার অংশ নয়, বরং কবিত্বময় অতিরঞ্জন।

18. **কিতাব ও সূরার উল্লেখ**:
- আংশিক সঠিক: কুরআন ইসলামের মূল গ্রন্থ, এবং সূরা (যেমন আল-হিজর, আন-নাহল, আল-কাহফ) আছে। কিন্তু "ধার্মিকরা আকড়ে ধরলো, অন্যরা দূরে রইলো" বলা সর্বজনীন সত্য নয়—ইসলামের প্রচার ধীরে হয়েছিল।

**সারাংশ**: পাঠ্যে ঐতিহাসিক তথ্যের সাথে কাল্পনিক ও অতিরঞ্জিত বিবরণ মিশে আছে। পূর্ব-ইসলামী আরব জটিল ছিল—বহু ধর্ম, সংস্কৃতি, এবং সমাজব্যবস্থা ছিল, যা এই পাঠ্যে একতরফাভাবে উপস্থাপিত হয়নি।

০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ১। নবীজির জন্মের আগে তারা ভুলভাল ধর্ম পালন করতো। পাথর পূজা করতো। সেই ধর্মকে আমি ভুল ধর্ম বলেছি। কুসংস্কার বলেছি।
২। রসিকে সাপ মনে করতো এটা কথার কথা বলেছি। মানে বারো ভূইয়া মানে ১২ টা ভূইয়া না। আরবদের নিম্মমানের জ্ঞানের উদাহর দিয়েছি- রসিকে সাপ বলে। কারন তারা পানিপড়া, ঝাড়ফুঁক বিশ্বাস করতো। রাশি বা হস্তরেখা বিশ্বাস করতো।
৩। হ্যা সেই যুগে আরবরা যুদ্ধ, মদ আর নারীতে আসক্ত ছিলো।
৪। নবীজির জন্মের পর আল্লাহ শব্দটি শুধু মাত্র ইসলাম ধর্মের হয়ে যায়। নবীজির জন্মের আগে এই নাম তেমন গুরুত্বপূর্ন ছিলো না।
৫। ডায়োনিসাস ও জিউসের পূজা আরবের অনেক গোত্র করেছে। দীর্ঘদিন করেছে।
৬। পাথর পূজা। ভুলভাল লিখি নাই। যাহা সত্য তাহাই লিখিয়াছি।
৭।

০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: তাও আমার ভাগ্য ভালো আপনি আংশিক সত্য বলেছেন।
আংশিক সত্যটাই কত ভয়াবহ!! একবার ভেবে দেখুন।

৭| ০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯

নতুন বলেছেন: উপরের লেখাকে তথ্যমান (factual accuracy) হিসেবে ১০-এর স্কেলে মূল্যায়ন করার জন্য আমি নিম্নলিখিত মানদণ্ডগুলো বিবেচনা করব:
- **তথ্যের সঠিকতা**: লেখায় উল্লেখিত ঐতিহাসিক ও বৈজ্ঞানিক তথ্য কতটা সঠিক।
- **প্রমাণের উপস্থিতি**: তথ্যের সমর্থনে প্রকাশিত উৎস বা প্রমাণ আছে কি না।
- **তথ্যের সামঞ্জস্য**: কতটা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
- **অতিরঞ্জন ও কাল্পনিকতা**: অতিরঞ্জিত বা কাল্পনিক বিবরণ কতটা রয়েছে।

### বিশ্লেষণ
- **তথ্যের সঠিকতা**: লেখায় কিছু আংশিক সত্য রয়েছে, যেমন পলিথিজমের প্রভাব, কাবা, পাথর পূজা, কন্যাশিশু হত্যা, এবং মদ-জুয়ার উল্লেখ। তবে বেশিরভাগ তথ্য ভুল বা অতিরঞ্জিত, যেমন "রসিকে সাপ মনে করা," "ডায়োনিসাস-জিউসের পূজা," "আল্লাহ শব্দ সুলমারের সৃষ্টি," "মাসে ২০টি যুদ্ধ," এবং "নবীজীর জন্ম ৫৬৯ সালে আল্লাহ বিচলিত।" এগুলো ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত নয়।
- **প্রমাণের উপস্থিতি**: লেখায় কোনো উৎস বা প্রমাণ উল্লেখ নেই। যেমন, সুলমার নামে কোনো ঐতিহাসিক কবি বা তাঁর কবিতার প্রমাণ নেই। ব্যাবিলনীয় "ইলাহ" শব্দের সাথে সংযোগও অস্পষ্টভাবে উপস্থাপিত।
- **তথ্যের সামঞ্জস্য**: পূর্ব-ইসলামী আরব জটিল ছিল—বাণিজ্য, কবিতা, এবং গোত্রীয় ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু লেখায় এটি "মগজহীন, বর্বর" হিসেবে চিত্রিত, যা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের সাথে সামঞ্জস্যহীন।
- **অতিরঞ্জন ও কাল্পনিকতা**: "নারীদের ঘোড়ার লেজে বেঁধে দেওয়া," "ব্যবসায়ী হত্যার কাহিনী," এবং "আল্লাহ বিচলিত" এমন কাল্পনিক বা অতিরঞ্জিত বিবরণ যা তথ্যমানতাকে কমায়।

### মূল্যায়ন
- সর্বোচ্চ ১০-এর মানে পূর্ণ তথ্যমানতা। এই লেখায় সত্যের হার খুবই কম (১০-১৫%), বাকিটা অতিরঞ্জন, ভুল, বা কাল্পনিক। তাই তথ্যমান হিসেবে এটির স্কোর দেওয়া যায়:
- **২/১০**: এটি কেবল কিছু আংশিক সত্যের জন্য মিনিমাম স্কোর পায়। বাকি তথ্যগুলোর ভুল বা প্রমাণহীনতার কারণে এটি বেশি পেতে পারে না।

### উল্লেখযোগ্য
এই স্কোর ঐতিহাসিক নিরপেক্ষতা ও প্রমাণভিত্তিক বিশ্লেষণের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে। যদি লেখকের উদ্দেশ্য ধর্মীয় প্রচার বা গল্পকথা হয়, তবে তা একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিবেচিত হতে পারে, কিন্তু তথ্যমান হিসেবে এটি দুর্বল।

০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: সত্যটা স্বীকার করতে সমস্যা কি?
এখানে নবীজির জন্মের আগের ইতিহাস বলা হয়েছে। বিনা দ্বিধায় বলা যায় আরবে গজব অবস্থা ছিলো। মেনে নিন ঝামেলা শেষ। কারন তখন তো নবীজি ছিলেন না। নবীজির জন্মের পরে আরবের অবস্থা কিছুটা ঠিক হতে শুরু করে।

০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব, নতুন আমি শিক্ষকের ভাব নিচ্ছেন কেন?
আমি কি ছাত্র?

৮| ০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:২৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




লেখক বলেছেন: শ্যাইয়ান ভাই,
আমি ঠিক করেছি নবীজির জীবনী লিখব।
সামুতে লিখব।
এবং এই জীবনী দেখার কারণে সামুর এডমিন কমপক্ষে তিন মাস আমাকে ফ্রন্ট পেজ ব্যান করবেন।
========================

আপনার তথ্য দেওয়া নিয়ে সন্দেহ নেই।

আমি বলতে চেয়েছি, সূত্রগুলো নিয়ে আমাকে আরো পড়তে হবে।

যেমন - জুহায়ের বিন আবু সুলমাকে নিয়ে আপনি লিখেছেন। তিনি ছিলেন ইসলাম পূর্ব আরবের সেরা কবি, সাহিত্যিক।

নবীজীর জীবনী লিখুন। আমি অপেক্ষায় রইলাম।

০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: জুহায়ের বিন আবু সুলমা সেই সময়ের একজন জনপ্রিয় কবি।
বয়সে তরুন। বিয়ে করেন নি। এই কবি নিজে কবিতা লিখতেন- এবং সেই কবিতা নিজে গানের মতো সুর করে আবৃত্তি করতেন। কবিতা বলতেন আর নাচতেন। অবশ্য তখন তিনি মদ খাওয়া অবস্থায় থাকতেন। কাবাঘরের সামনেই নাচ গানের আসর বসতো।
এই কবি তার এক কবিতায় সর্ব প্রথম আল্লাহ শব্দটি ব্যবহার করেন। ( অপার্থিব/মহান কিছু বুঝাতে গিয়ে আল্লাহ শব্দটা ব্যবহার করেন। এর আগে পুরো আরবে কেউ 'আল্লাহ' শব্দটি শুনেন নাই।

সুলমা আল্লাহ শব্দটি কোথায় পেলেন? ব্যবিলনীয়রা ইলা বা ইলাহ শব্দ ব্যবহার করতেন। কবি সাহেব সেই ইলাহ শব্দকে আল্লাহ নাম দেন। এবং এই শব্দ তার কবিতায় ব্যবহার করেন। এর কয়েক শতাব্দী পর আরবের এক গোত্র আল্লাহ নামটি তাদের দেবতাকে দেন। আরেক গোত্র এই নাম নিয়ে নে তাদের দেবতাদের জন্য। তারা আল্লাহ শব্দটি স্ত্রীবাচক হিসেবে নেয়। তাদের দেবীর নাম দেয় আল্লাহ।

০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা নবীজি কে নিয়ে লিখব।
বইপত্র যোগাড় করি। পড়ি। তারপর লিখব।

৯| ০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৪

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: জনাব, নতুন আমি শিক্ষকের ভাব নিচ্ছেন কেন?
আমি কি ছাত্র?


শিক্ষকের ভাব কোথায় নিলাম। আপনার লেখায় মনে হয়েছে গোজামিল আছে তাই গ্রোকে চেক করলাম এবং তার কথার পুরোটাই তুলে দিয়েছি। আমিতো বলিনাই এগুলি আবার কথা।

০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব, ধার্মিকেরা মাঝে মাঝে চরম সত্যকে ভয় পায়। ইহা সত্য। মিথ্যা নয়।

০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: গোজামিল কোথায় পেলেন। পানির মতো সহজ করে লিখেছি।

১০| ০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


সেই সময়ও মানুষ আল্লাহকে চিনত।
কাবা ঘরের ৩৬০টা মুর্তির একটার নাম ছিল আল্লাহ।
তিনায়ই আজকে আমাদের আল্লাহ সোবাহানাতায়ালা।

০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ যে মহান তার প্রমান আমি আপনাকে দেই-
করোনাতে লাখ লাখ মানুষ মারা গেলো। কিন্তু আল্লাহপাক আমাকে বাচিয়ে রেখেছেন।
আল্লাহ আমাকে কন্যা সন্তান দিয়েছেন।
সবচেয়ে বড় নিয়ামত আমাকে সুস্থ ও ভালো রেখেছেন।
ভালো রিজিক দিয়েছেন।

০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: একদল লোক সব সময় ভুলের মধ্যে থাকে।
যারা ভুলের মধ্যে আছে, তারা মৃত্যুর পর কপাল চাবড়াবে।

১১| ০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নতুন@ রাজিব নুর যা লিখেছেন তা বিশ্বাস করেন বলে আপনার মনে হয় । এদিকে তিনি আল্লাহ, রাসুল ও কুরআন মানেন। আল্লাহ কে খুশি করার জন্য তিনি কুরআন পড়েন বা শুনেন। এমন ব্যক্তি যদি ইসলামের সবচাইতে বেশি গুণগান করেন তবে তা নিয়ে সন্দেহ উঠবে। তিনি চাইলে ইতিহাসের ভিত্তিতে লিখতে পারতেন।

রাজীব নুর যে কোনো বিষয় নিয়েই লিখতে পারেন। কিন্তু যা তিনি নিজে বিশ্বাস করেন না তা নিয়ে লিখলে হজম হতে চায় না। ;)

০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: কুতুব সাহেব, মানুষ তার অভিজ্ঞতার বাইরে লিখতে পারে না।
মানুষ যা বিশ্বাস করে তাই লিখে।

০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: সৈয়দ সাহেব, একজন মানুষকে সবচেয়ে ভালো চেনা যায়, জানা যায়- তার লেখার মাধ্যমে।

যাইহোক, এখন কোনো বাহাসে যাবো না। জুম্মার সময় হয়ে এসেছে।

১২| ০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:১২

মুনতাসির বলেছেন: আপনি বলেছেন তখন আরবের লোকেরা আল্লাহ নামও শোনেনি। তাই আমার একটি লেখা এখানে দিলাম এখানে আল্লাহ শব্দটির বিশ্লেষন করেছি মাত্র।

প্রাক-ইসলামী যুগে "আল্লাহ" শব্দের গভীর অনুসন্ধান: একটি বিশদ বিশ্লেষণ
প্রাচীন আরবের মরুপ্রান্তর, বালির নিচে লুকিয়ে থাকা সভ্যতার স্মৃতি আর প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসা ধর্মীয় রীতিনীতি—এই সবকিছুর মধ্যে "আল্লাহ" শব্দের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। যদিও ইসলাম ধর্মে এটি ঈশ্বরের সর্বোচ্চ পরিচায়ক, কিন্তু এই শব্দটির শিকড় বহুদূর অতীতে প্রোথিত। আরবের আকাশ যখন চাঁদের আলোয় ঝলমল করত, বেদুইন কবিরা যখন মরুভূমির গভীরে আলোর সন্ধান করত, তখন তাদের উচ্চারিত প্রার্থনায় "আল্লাহ" শব্দটি ধ্বনিত হতো।
১. ভাষাতাত্ত্বিক উৎস: সেমিটিক (What is semetic) শিকড়ের সন্ধানে
"আল্লাহ" শব্দের উৎস নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা রয়েছে। প্রচলিত মতানুযায়ী, এটি আরবি "আল-ইলাহ" (ال إله) শব্দের সংকোচিত রূপ, যার অর্থ "সেই উপাস্য" বা "ঈশ্বর"। তবে এর শিকড় আরও গভীরে প্রোথিত:
সেমিটিক ভাষাপরিবার: হিব্রু "এলোহিম" (אלוהים), আর্মাইক "এলাহা" (אלהא), এবং আক্কাদীয় "ইলু" (

০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি যা লিখেছেন এবং আমি যা লিখেছি- প্রায় একই বক্তব্য।

১৩| ০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:১৩

মুনতাসির বলেছেন: এখানে দেখি বড় লেখা দেয়া যায় না। লেখা বেশ বড়।

০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমি বড় লেখা লিখি না।
এটা ছোট লেখা। পড়তে ৫/৬ মিনিটের বেশি সময় লাগবে না।

০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ছোট ৬ প্যারা লিখেছি।
আমার লেখা কি দেখা যাচ্ছে না?
আমি কিন্তু লেখা দেখতে পারছি।

১৪| ০৯ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭

মুনতাসির বলেছেন: আমি আমার লেখাটা বড়, সেটা বলেছি। আপনার লেখায় প্রাক ইসলাম আরব সম্পর্কে যা লিখেছেন, তা আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে পূর্ন সত্য বলে মনে হয়নি। আমি শুধু একটা শব্ধের মাধ্যেমে সেটা বুঝাবার চেষ্টা করেছি মাত্র। আল্লাহ শব্দের ব্যবহার ইসলামের আগে থেকেই ছিল। যা আপনার লেখায় বিপ্রতীপ ভাবে এসেছে।

আপনার বলা বা লেখার ধরন আপনার। তবে তথ্যের বিভ্রাট এড়িয়ে যাও্য়া যায় যদি আমাদের উদদ্দেশ্য তেমন থাকে। প্রাক ইসলামের আরব, ইসলাম পূর্ববর্তী আরবের থেকেও অনেক বড় যদি টাইম স্কেলে ফেলা হয়।

আমি যা লিখেছি আর আপনি যা লিখেছেন তা আপনার কাছে এক মনে হতে পারে। আদতে হয়তো নয়। আমরা তাই দেখি, যা দেখতে চাই।

ভাল থাকবেন।

০৯ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
এখন বুঝতে পেরেছি।
ভালো থাকুন

১৫| ০৯ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০১

কামাল১৮ বলেছেন: নবীর জন্মের পরে আরো গজব অবস্থা হয়।সারা এশিয়ায় গজব নেমে আসে।তার থেকে আজো মুক্তি আসেনি।

০৯ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১২

রাজীব নুর বলেছেন: না না। আমি মানি না।

নবীজি কন্যা সন্তান জীবন্ত কবর দেওয়া অথবা কুয়ায় ফেলা দেওয়া বন্ধ করেছেন।
নারীদের বস্তাবন্ধী করেছেন।
নারীদের কেনাবেচা বন্ধ করেছেন।
নারীদের বাপের সম্পত্তির ভাগ দিয়েছেন।

নবীজি খেজুর, কালোজিরা আর মধুর গুনাগুন সম্পর্কে বলেছেন।
আরবে মাটির নিচে তেলের খনি আছে সেটা নবীজি বলেন নাই।

০৯ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের কল্যাণের জন্য, মানুষের মুক্তির জন্য নবীজি- সারা জীবন কাজ করে গেছেন।
নবীজি একজন ডাক্তার,
নবীজি একজন দার্শনিক
নবীজি একজন পথপ্রদর্শক
নবীজি একজন বক্তা
নবীজি একজন মসীহ
নবীজি একজন যোদ্ধা
নবীজি একজন দূত

আল্লাহকে পাওয়ার আগে আমাদের নবীজিকে পেতে হবে। আপনি কত বড় ভাগ্যবান জানেন? আপনি শেষ নবীর উম্মত। আপনি বেহেশতে যাবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.