নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

জড়

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২৩



আমি দু কামরার যে ফ্ল্যাটটায় ভাড়া থাকি, তাতেএকজন নতুন সদস্য এসেছে। সে গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চ ভলিউমে টিভি দেখে। মাঝেমাঝে মনে হয় পাশের ঘরে গিয়ে বলে আসি শব্দটা একটু কমিয়ে দিতে। তবে তার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ আমি জেগে থাকি অনেক রাত পর্যন্ত। উচ্চস্তরের কোন চিন্তাভাবনা করিনা, কাউকে নিয়ে ভাবিনা, স্বপ্ন দেখার বিলাসিতাও নেই, তাই তার এহেন আচরণে আমার রাত্রিযাপনের ক্ষেত্রে কোন ব্যাঘাৎ ঘটেনা। আমি ঘুমোনোর অনেক আগেই সে টিভি বন্ধ করে দেয়। এভাবে সময়ের কুশলতায় তুচ্ছ সংঘাত সহজেই এড়াতে পারি আমরা। পাশের ঘরের নতুন বাসিন্দার সাথে দেখা সাক্ষাৎ তেমন একটা হয়ে ওঠেনা। সে নানা কাজকর্মে ব্যস্ত থাকে। বাসায় ফেরে রাত করে। আমার কাজ মূলত ঘুমানো। অন্য অনেক পিতৃপালিত ধেড়ে আলসে বেকার খোকার মত আমিও ভবিষ্যতের চিন্তা বা পরিকল্পনা আপাতত মূলতবী করে রেখেছি। তবে অন্যদের সাথে আমার পার্থক্য এই, তারা কেউ তারুণ্যের স্বাভাবিক প্রগলভ চিন্তাভাবনাকে মূলতবী করে রাখেনি, যা আমার ক্ষেত্রে ঘটেছে। অবশ্য এমন ব্যাপার শুধুমাত্র আমার ক্ষেত্রেই ঘটছে বলে নিজেকে অন্যরকম ভেবে আত্মপ্রসাদ লাভ করার কোন কারণ নেই! হৃদয়ঘটিত বিড়ম্বনার আফটারশকে কারো কারো মধ্যে এমন অনুভূতিহীনতার সাময়িক বা স্থায়ী পর্যায় আসতেই পারে! আমি বেশ অভ্যস্ত হয়ে গেছি এতে। উচ্চশব্দময় টেলিভিশিক রাত ঘুমহীনতার অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হিসেবে জুড়ে গেছে। আমার ভালোই লাগে এই সঙ্গ।



পাশের ঘরের বাসিন্দা বেশ বিনোদনপিয়াসী। মূলত সিনেমা, নাটক আর বাহারী বিজ্ঞাপনের দিকেই তার মনোযোগ। যৌনাবেদনময়ী তরুণী কন্ঠের অভিমানী অনুযোগ, বা প্রেমাতুর হৃদয়ের আর্তি শুনে ছন্নছাড়া স্মৃতিরা আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে চায় নিঝুম টানেলের একদম শেষপ্রান্তে। নচ্ছার স্মৃতিদল নাছোড় হয়ে শক্তি প্রদর্শন করতে চাইলে বাধ্য হয়ে আমাকে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত হতে হয়। দীর্ঘ স্বমেহনদৃশ্য অবলোকন করতে গিয়ে তারা ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। জেগে থাকি আমি। খুব দুর্বল আর অশক্ত তারা। কতক্ষণ আর পারবে আমার সাথে!



পাশের ঘরের বাসিন্দার চিত্তে চাঞ্চল্যের পরিমাণ বেশি, তা বোঝা যায় রিমোট কন্ট্রোলের অতি ব্যবহারে। কোন অনুষ্ঠানই সে বেশিক্ষণ দেখে না। দেখার মত ভালো কিছু পায় না হয়তো। সময় কাটানোর জন্যে রিমোটের বাটনগুলোকে শাফলিং করতে থাকে। ইদানিং সে আগের চেয়ে বেশি রাত জাগছে। যেন চেষ্টা করছে আমার ঘুমের সময়টাকে তাড়া করে ফিরতে! এখনও অবশ্য তা পেরে ওঠেনি। তবে এ ধারা অব্যাহত গতিতে চলতে থাকলে আর কিছুদিন পরে হয়তো আমি তার দরজায় নক করে বলব,

"ভাই, টিভিটার সাউন্ড কমায় দেন। আমি ঘুমাবো"

কারো সাথে প্রথম সাক্ষাতে বলার জন্যে খুব একটু উপযুক্ত বাক্য নয় অবশ্য, পরিচিয়পর্বটা সেরে নেয়া যেতে পারে,

"শুভরাত্রি। আমি আপনার পাশের রুমে থাকি। আমার নাম..."

নাহ, বেশি কথা বললে সে বিরক্ত হতে পারে। লোকটা সম্ভবত কথাবার্তা বলতে তেমন পছন্দ করে না। বাসায় ওঠার পর মালপত্র তদারককারীদের কিছু নির্দেশনা দেয়া ছাড়া আর কিছু বলতে দেখিনি কখনও। আজ রাতে সে সম্ভবত তার পছন্দের অনুষ্ঠান খুঁজে পেয়েছে। প্রায় দু ঘন্টা যাবৎ একটি মারদাঙ্গা সিনেমা দেখছে। আমার কাছে ব্যাপারটা একটু অদ্ভুত লাগলো। সিনেমার হাস্যকর সংলাপ, নিম্নমানের শব্দ, কিছুক্ষণ পরপর উদ্ভট কথা সম্বলিত গান, এসব তো তার পছন্দ হবার কথা না! দীর্ঘ দু মাসের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, কোন চ্যানেলে এসব সিনেমা শুরু হলে সে সাথে সাথেই পাল্টে দেয়। হঠাৎ তার রূচি পরিবর্তনের হেতু কী? নাকি সে টেলিভিশনটা অন রেখেই ঘুমিয়ে গেছে? তাহলে তো গিয়ে দরজায় কড়া নাড়তেই হয়! হঠাৎ করে তার সাথে কথাবার্তার সুযোগ তৈরি হলে আমার মধ্যে কেমন যেন একটা প্রফুল্ল ভাব কাজ করে। দীর্ঘদিন কারো সাথে গল্প করা হয়না এটাই কি কারণ? প্রথম পরিচয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা আনুষ্ঠানিকতা করাই যায়! আমি চুল আঁচড়ে, ময়লা ট্রাউজারটা পাল্টে তার সাথে দেখা করার জন্যে প্রস্তুতি নেই।

"এই যে ভাই, দেখুন তো কী অবস্থা! টিভিটা অন করেই ঘুমিয়ে গিয়েছিলেন। খুব ক্লান্ত নাকি?"

হৃদ্যতার সুরে বলতে পারি আমি। অথবা রসিকতাও করতে পারি এক প্রস্থ,

"ছবিটার মধ্যে পরিচালক মনে হয় ঘুমের ওষুধ পুরে দিয়েছে। হাহাহা!"

নাহ, ঠিক যুৎমত হচ্ছে না রসিকতাটা। কেউ হাসবে না। অনেকদিনের অনভ্যাস! দরজার কাছে পৌঁছে কড়া নাড়তে যাব, ঠিক সেইসময় টেলিভিশনটা বন্ধ করে দেয় লোকটা। ঘুমিয়েই পড়েছিলো মারদাঙ্গাপূর্ণ চলচ্চিত্র চালু রেখে। ফিরে আসার সময় আমার কেন যেন মন খারাপ হয়।



একদিন আমাদের পাড়ায় বিশাল একটা বৈদ্যুতিক গোলযোগ ঘটে গেল। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হল ট্রান্সফর্মার। কমপ্লিট ব্ল্যাকআউট। পাশের ঘরের টেলিভিশনটার নীরবতায় এক অস্বস্তিকর অবস্থার তৈরি হল। লোকটা এখন ঘুমুবে কী করে? আর না ঘুমিয়ে করবেই বা কী! আমি না হয় শুয়ে শুয়ে হাবিজাবি ভাবতে ভাবতে দিব্যি সময় কাটিয়ে দিতে পারি। আর আজকের রাতটায় ভাবার মত ভালো একটা টপিক তো পাওয়া গেছেই! পাশের ঘরের বাসিন্দার বিনোদনসামগ্রীর বিকল হয়ে যাওয়াতে কী কী বিপত্তি ঘটতে পারে, বা সে কীভাবে এই দূরাবস্থার মোকাবেলা করতে পারে তার একটা লিস্ট করা যায়। সে হয়তো বা ঘরের মধ্যে পায়চারি করেই কাটিয়ে দেবে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত, অথবা বারান্দায় এসে রাতের প্রকৃতি দেখবে। দ্বিতীয়টা হবার সম্ভাবনা খুব কম। তাকে ঘরের বাইরে বের হতে দেখিনি খুব একটা, বারান্দায় তো কখনই না! হয়তোবা সে আড্ডা দেবার জন্যে আমার ঘরে চলে আসতে পারে। ভালোই হয় তাহলে। আমি বেশ উষ্ণ অভ্যর্থনাই বরাদ্দ রাখবো তার জন্যে।

"আরে... আপনি! কী সৌভাগ্য আমার!"

বিনয়ে বিগলিত হয়ে বলতে পারি, অথবা গাম্ভীর্য বজায় রেখেই রাত্রিকালীন আড্ডার যাবতীয় বন্দোবস্ত প্রস্তুত থাকবে, জানিয়ে দিতে পারি। সে যদি অমন কিছু ভেবে থাকে আমার সত্যিই কোন আপত্তি থাকবে না। তার পদশব্দ শুনতে পাচ্ছি। সে কি এদিকে আসছে? নাকি মাঝখানের করিডরটাতে পায়চারি করছে? উত্তেজনায় আমি শোয়া থেকে বসে পড়ি। পরমুহূর্তেই নিজের ভেতর রাশভারি একটা ব্যক্তিত্ব আনয়নের চতুর প্রচেষ্টা চালাই।

"আরে কী খবর আপনার? ভালো আছেন তো? বসুন।" বলে আমি চা-বিস্কিটের আয়োজন করতে লেগে যাব। তার মধ্যে স্পষ্ট দ্বিধা কাজ করছে। আমার দরজার কাছাকাছি এসে ফিরে যাচ্ছে বারবার। বেশিক্ষণ অবশ্য এ দোলাচলে আমাদের কাউকেই দুলতে হল না। বিদ্যুৎকর্মীদের কর্মতৎপরতা আমার ভেতর একটা মৃদু ক্রোধের সঞ্চার করে। তবে সান্ত্বনা পাই এই ভেবে, গরমে বড্ড কষ্ট পাচ্ছিলাম! ফ্যানটা যেন আমার মনের কথা বুঝতে পেরেই অনুগত ভৃত্যের মত প্রবল বেগে ঘুরতে থাকে।



মাস ছয়েকের মধ্যে লোকটার কোন একটা ব্যবসায়িক বা চাকুরীগত বিপর্যয় ঘটে যায় সম্ভবত (আমি ঠিক জানিনা সে কী করে)। সে বাইরে বেরোয় না। আমার মতই ঘরের মধ্যে বসে থাকে আর টেলিভিশন দেখে। সঞ্চিত টাকা ভালোই আছে বোধ হয়। যে হোটেলটা থেকে তাকে প্রতিবেলা খাবার দিয়ে যায় সেটা যথেষ্টই দামী। আমি শুয়ে শুয়ে ভাবি, তাকে আমার জীবনের গল্প বলব নাকি? তবে আমার গল্পগুলো এত ব্যক্তিগত এবং স্পর্শকাতর; তা সবার সাথে শেয়ার করা যায়না। আর এসব কথা তার সাথে শেয়ার করতে গিয়ে ধরে নিই একটা বেশ ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়ে গেল, তাহলেই বিপদ! আমি জেনেছি আমার বন্ধু থাকতে নেই, বন্ধু রাখতে নেই। বন্ধুর চেয়ে বিপদজনক শত্রু আর হয় না। বন্ধুদের মত সহাস্যে, নির্বিকারভাবে আঘাত করতে অতি বড় শত্রুরও হাত কাঁপবে। আর বন্ধুদের কাছ থেকে অতি সামান্য আঘাতেই পর্যুদস্ত হওয়া যায়। এখন আমি যদি তাকে বলি সেই ঘটনাটা, যার কারণে আমার প্রেমিকার সাথে বিচ্ছেদ হয়েছিল, কিছুটা অদ্ভুত বটে...



"আমি সকল বন্ধনের ঊর্ধে তাকে স্থান দিয়েছিলাম। জীবনের সমস্ত স্বাদ সে নিয়েছিলাম তার কাছ থেকে। মমতা, যৌনতা, ভালোবাসা, চুম্বন... অনুভূতির ক্যালাইডোস্কোপে প্রতিনিয়ত যুক্ত হত নতুন রঙ, নতুন আয়নায় আমরা প্রতিদিন আমাদের সুন্দরতর প্রতিবিম্ব দেখতাম। জীবনের সব স্বাদ এত দ্রুত, এত তীব্রভাবে চেখে নেবার ফলে আমাতে কিছুটা অবসাদ পেয়ে বসে। আর কিছু পাবার বাকি নেই ভেবে আমি বিষণ্ণ হয়ে পড়ি। তার বিশ্বস্ত হাতে আমার হাত নির্ভরতা খোঁজে না, ভবিষ্যতের স্বপ্নশপথ নেয় না নীরবে, আমি শপথের পরিবর্তে ঝাঁকে ঝাঁকে শ্বাপদ দেখি। কৌতুকের দৃষ্টিতে চেয়ে আছে আমাদের 'পরিপূর্ণ' সম্পর্কের দিকে। পরিপূর্ণ। এক টিন ভর্তি পানি যেন, শক্তিশালী টিন। কোথাও কোন ছিদ্র নেই। লিকেজের কোন সম্ভাবনাই নেই। কিন্তু শ্বাপদেরা যদি তাদের ধারালো নখ দিয়ে আঁচড়ে দিতে চায়? সে আমাকে বারবার তিরস্কার করত এমন অবাস্তব সম্ভাবনার কথা ভাবার জন্যে। তার বক্ষবন্ধনী খুলে সযতনে রাখা টিনের কৌটাটা চুপিচুপি দেখাত আমাকে, আর অভয় যোগাত "কেউ দেখতে পারবে না" বলে, আঁচড় কাটার তো প্রশ্নই নেই! আমি আশ্বস্ত হতাম, তারপরে আরো বিমর্ষ হয়ে যেতাম। কেন, জানি না। কীসের অভাব? কী নেই আমাদের মধ্যে? আমাকে তুমি কী দাওনি? কিছু একটা বাকি থেকে যাচ্ছে, কিছু একটার অভাব! হঠাৎ একদিন আমি বুঝতে পারি, কোন সে অনাস্বাদিত অনুভব আমাকে তাড়িয়ে ফিরছে। মৃত্যু! জীবনকে তাগড়া ঘোড়ার মত খোলা মাঠে টগবগিয়ে ছুটে চলতে দেখেছি আমরা, তাতে সওয়ারও হয়েছি। আশেপাশে দেখেছি অসংখ্য মৃত ঘোড়া, মৃত আরোহী, জীবন্মৃত ঘোড়া এবং আরোহী। ভ্রূক্ষেপ করি নি। শুধু ছুটেই গেছি। প্রিয় তারা, আমাকে সেই স্বাদ দাও। আমি জানি তোমার কাছ থেকেই কেবলমাত্র এই স্বাদ আমি পেতে পারি। আমি ভীরু, তাই নিজের পরখ করতে ভয় হয়। তুমি বিশ্বস্ত, তুমি প্রেমময়ী, তুমিই পারো আমাকে পূর্ণ করতে, কার্পন্য করো না, দাও দাও দাও...

-কী বলতে চাও?

-তোমার গলা টিপে ধরব, মৃত্যুর কাছাকাছি নিয়ে যাব। তারপর ছেড়ে দেব। তুমি আমাকে বলবে মৃত্যুর সম্মুখীন হওয়াটা কেমন।

অতঃপর সে আমাকে অন্য এক জীবনের সম্মুখীন করে চলে গেল, স্মৃতিস্মারক হিসেবে সেই টিনের কৌটাটা দিয়ে গেল। এর মধ্যে গচ্ছিত রয়েছে 'পূর্ণতা' নামক হাস্যকর নামের ভয়ংকর এক গরল।"



... তো এই কাহিনী শুনে পাশের রুমের বাসিন্দা যদি ফিক করে হেসে ফেলে, অথবা আমাকে পাগল ঠাউরে বসে, কিংবা কোন আগ্রহই না দেখায়, ব্যাপারটা অসম্মানের চুড়ান্ত হবে। এর চেয়ে সে তার মত করে টিভি দেখতে থাকুক, আমি ফাঁকা টিনের কৌটাটায় পিন দিয়ে খুঁচিয়ে ছিদ্রের সংখ্যা বাড়াতে থাকি।



তারপর সেদিন, যেদিন টিভিটা বিকল হয়ে গেল, সে সস্তার হোটেল থেকে খাবার আনা শুরু করল, বুঝতে পারলাম তার সঞ্চয় ফুরিয়ে আসছে, টিভিটা মেরামত করার বিলাসিতা হয়তোবা দেখাবে না। ততদিনে টিনের কৌটাটায় আমি অনেকগুলো ছিদ্র করে ফেলেছি। শক্ত কৌটো, বেশ কসরৎ করতে হয় ছিদ্র করতে। আমার না হয় একটা অবলম্বন আছে সময় কাটাবার, কিন্তু বেচারা লোকটা কী করবে? টিভিটা ছাড়া আর তো কিছু তার ছিলো না। তাকে বলব নাকি টিনের কৌটাটা ছিদ্র করতে সহায়তা করার কথা? এতে অবশ্য সে রেগে যেতে পারে। হয়তোবা আমার নেতিবাচক এবং ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম তাকে ক্ষিপ্ত করতে পারে। সে হয়তোবা বলতে পারে, "কৌটোটায় ছিদ্র না করে তা বন্ধ করার চেষ্টা করুন না!"। এরকম কিছু অনেকদিন শোনা হয়না। বলবে কি সে?



নাহ, তার সময় হয়না। আর্থিক দুরবস্থা দ্রুতই কাটিয়ে ওঠে। টেলিভিশনটাও মেরামত করে ফেলে আবার আগের রুটিনে ফিরে যাবার প্রস্তুতি নেয় সে। তবে ফিরে যাবার আগে সে আকস্মিক হৃদ্যতা করে বসে! আমাকে তার সাথে টেলিভিশন দেখার আমন্ত্রণ জানায়। এরপরে একসাথে টিভি দেখাটা আমাদের রুটিনকর্মে পরিণত হয়। আমরা কেউ একে অপরের সাথে কথা বলি না যদিও, তাতে কোন সমস্যা হয় না। সে রাত করে বাড়ি ফেরে। আমি সারাদিন শুয়েবসে টিনের কৌটোটা খোঁচাই। রাতের আহার সম্পন্ন করে আমরা একে অপরের ঘরের দরজা খুলে দিই। তারপর টেলিভিশন দেখতে বসি।



বছরখানেক এভাবে টেলিভিশন দেখার পর আমি বুঝতে পারি আমার জীবনে দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বস্ত কেউ একজন এসেছে। তার কাছে যা ইচ্ছে তাই আবদার করা যায়। টেলিভিশনটাকে আমি আজকালের মধ্যেই প্রস্তাব দেব আমার দ্বারা মৃতপ্রায় হবার। একটা লোহার রড দিয়ে ভেঙে কাঁচ গুড়িয়ে দিলে তার কেমন লাগবে, মৃত্যু অনুভূতি হবে কী না, আর হলে সেটা কেমন এসব জিজ্ঞাসা করব। আমার মনে হয়, পাশে বসে থাকা লোকটির কাছে এমন আচরণ এখন আর অদ্ভুত বলে মনে হবে না। বরং সেও আমাকে সাহায্য করতে পারে। আপনতম, বিশ্বস্ততম জনের কাছে অদ্ভুত এবং বিপদজনক আবদার করব না তো কার কাছে করব?



এক মহেন্দ্রক্ষণে অনুধাবনের অনুপ্রাননে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা প্রথমবারের মত একে অপরের সাথে পূর্ণবাক্যে ভাবপ্রকাশ করি,

-রেডি আছেন তো? রডটা নিয়ে আসি পাশের রুম থেকে?

-না, আপনি কষ্ট করবেন কেন? আমার কাছেই তো আছে!



তারপরেও আমি পাশের ঘরে চলে যাই। টিনের কৌটোটাকে নিয়ে আসতে। প্রিয়তম জড়পদার্থদ্বয়কে একসাথে দেখতে পারার অনুভূতিটা চমৎকার!



মন্তব্য ২০০ টি রেটিং +৬৩/-০

মন্তব্য (২০০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২৪

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
আমি ১বার ১ম হতে চাই B-)

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: নিশ্চয়ই!

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩০

বিপ্লব06 বলেছেন: ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ।

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ!

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার হৈসে ভাইয়া।
ক্যালেইডোস্কোপ মজার জিনিষ ||

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই নামে শাহাদুজ্জামানের একটা গল্প আছে। পড়ে দেখ। খুব মজার গপ্প।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩২

জুন বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে একটি অপুর্ব ভালোলাগার গল্প পড়লাম।
+

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার। এক ঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেলাম। :)
+

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: যাক, ভাবলাম আপনারা রেগে টেগে যান কী না!

অনেক ধন্যবাদ!

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

স্বর্ণমৃগ বলেছেন: অসাধারণ হামা ভাই!!
মনে হল সেলুলয়েডের কবি কিম কি দুক এর লৈখিক ভার্সন পড়লাম।
+++++

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: বলেন কী! এমন প্রশংসা শুনে অভ্যাস নাই, তাই কী বলতে হয় প্রত্যুত্তরে তাও জানি না!

ভালো থাকবেন।

৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫১

মাক্স বলেছেন: একেকটা সম্পর্কর রং সময়ের ফাঁদে ফিকে হয়, স্মৃতির জাবর কেটে অথবা কিছু স্মৃতি অত্যন্ত যত্ন করে নষ্ট করে ফেলি(টিনের কৌটা)।
শুধুই মৃত্যুর কাছাকাছি এগিয়ে যাই?

এইবার পাস করছি তো?

আগের একটা পরীক্ষায় কিন্তু লেটার মার্কস পাইসিলাম!

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: এইবার লেটার মার্কস দিব, তবে গ্রেস দিয়ে, হাহাহা! গল্পের নামকরণ আর শেষ লাইনগুলো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সর্বোচ্চমাত্রার বিশ্বস্ততার জন্যে আমাদের জড় পদার্থের কাছেই যেতে হয়!

৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০২

Shihab Khan বলেছেন: ভাল লাগলো

Click This Link

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৩

ইনকগনিটো বলেছেন: লেখাটা ভাল্লাগসে। আসলেই অনেক ভাল্লাগসে।

থাম্বস আপ।

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকিউ ব্রো।

১০| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১২

গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: আপনতম, বিশ্বস্ততম জনের কাছে অদ্ভুত এবং বিপদজনক আবদার করব না তো কার কাছে করব?


কথাটা কি সুন্দর। :)

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

অনেক ধন্যবাদ!

১১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৬

একজন সৈকত বলেছেন: চমৎকার লাগলো.. বর্তমান বিষণ্ণ সময়ের অনুভূতিগুলির সাথে গল্পটি পড়ার অনুভূতি মিলে যায়..।
ধন্যবাদ।!

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। বহুদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখলাম। ভালো আছেন নিশ্চয়ই!

১২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

সানড্যান্স বলেছেন: দাড়ুন।

অনুপ্রানন ম্যাগেও আপনার লেখা পড়লাম। ভাল লাগছে।

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
১১ তম ভাল লাগা রইল।
অনেক দিন পর একটা ভাল লেখা পড়লাম।

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকদিন পর গল্প লিখে আপনাদের প্রতিক্রিয়া পেয়ে সত্যিই খুব ভালো লাগছে!

১৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: এটা অদ্ভুত একটা গল্প। আপনার প্রতিটা গল্পই যদিও অদ্ভুত সুন্দর!

ধন্যবাদ হাসান ভাই।

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ তো আপনাদের প্রাপ্য। আমাকে সবসময় উৎসাহ যোগানোর জন্যে।

শুভরাত্রি।

১৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪০

মামুন রশিদ বলেছেন: বিশ্বস্ততায় আঁকড়ে রাখে জড় । অবিশ্বাসী হৃদয়ের নিশ্চিন্ত আশ্রয় । তবু আসে সেই সময়, আশ্রয় ছিঁড়ে বেরোবার আকুতি । আবার সেই অবিশ্বস্তার টান কিংবা জীবনে ফেরা ।



প্রকাশ করতে পেরেছি কিনা জানিনা, তবে বোধটুকু ধরতে পেরেছি । আবার হারিয়েও গেছি খানিকটা সময়, শব্দের ঘোর লাগা মোহক চোরাগলি ।

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মন্তব্য সবসময়ই বিশেষ কিছু। অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই!

১৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪২

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
খুব অসহ্য সময় যাচ্ছে।
টিভি, ব্লগ, ফেবু।
এমন সময়ে খুব সুন্দর একটা গল্প পড়া গেলো।
অনেক ধন্যবাদ হাসান ভাই।।

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই অস্থির সময়ে লেখা আসে না। আবার লিখতে না পারলে অস্থির লাগে। অবশেষে লিখতে পারলাম! ধন্যবাদ দূর্জয়!

১৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫১

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: জলজ্যান্ত প্রতিটি সম্পর্কই কখনো না কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করে নাকি?

নাকি কাউকে ভালবাসতে হলে অথবা ভালোলাগতে হলে সেটা তার প্রতি অন্ধ হতে হবে?


কি মিন করলেন?

ধন্দে পড়ে গেলাম আবারো।

গল্পে প্লাস। সব সময়ের মতই সুন্দর লিখেছেন।

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: এমন সম্পর্ক এখনও আছে, যা কখনও অবিশ্বস্ত হবে না। কিন্তু একটা সম্পর্কের কাছে, একজন মানুষের কাছে চাওয়ার একটা সীমা আছে। যত ভালোবাসাই থাকুক সেই সীমা অতিক্রম করতে গেলে ভালোবাসা ভেঙে যায়। এর থেকে জড়বস্তুর প্রতি সম্পর্ক এক দিক দিয়ে ভালো। তারা কখনও অনুযোগ করবে না, বাঁধা দেবে না!


ধন্যবাদ উচ্ছাস!

১৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৭

তানভীর চৌধুরী পিয়েল বলেছেন: বাই ডিফল্ট ভালো লাগা :)

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস পিয়েল! শুভরাত।

১৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৫

সামস্ সোহান বলেছেন: আমরা আরেকজন হুমায়ন আহমেদ কে পাচ্ছি......
অনেক ধন্যবাদ

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: জ্বী? :| B:-)

২০| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৫

এম হুসাইন বলেছেন: ১৫তম ভাললাগা ভাইয়া। চমৎকার লিখেছেন।

শুভকামনা জানবেন, ভালো থাকবেন।

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

২১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মূলত, ভাল।

আপনার লেখা বেশ চমৎকার। মনে একটা জায়গা করে নেয়, যদিও অমনোযোগী পাঠকের জন্য প্রেফারেবল নয়। :) :)

একটা অফ টপিক প্রশ্ন থাকল, কে আপনার বেশি পছন্দ? মানিক, শরৎ না হুমায়ূন?

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, আমার লেখা পঠক মনোযোগ দিয়ে পড়ুক এই দাবী আমি করি। আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো।

মানিক আর হুমায়ূন আমার খুব প্রিয়। তবে মানিকের যা পড়েছি তাতেই মুগ্ধ হয়েছি। হুমায়ূন মুগ্ধতা এবং বিরক্তি দুই'ই উপহার দিয়েছে। মানিকই বেশি প্রিয় মনে হয়!

২২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: সম্পর্ক বিষয়টা আসলেই অদ্ভুত! আমরা যে সম্পর্ক গুলোকে আঁকড়ে ধরতে চাই বা সম্পর্কের আরও গভীরে ধুঁকতে চাই, তখন সেগুলোও একসময় একটা দেয়াল তুলে দেয়।
সব মানুষ হয়তো অবিশ্বস্ত নয় কিন্তু জড় পদার্থের চেয়ে বিশ্বস্ত কি আর কিছু হতে পারে!

এই অস্থির সময়ে সুন্দর একটা লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যে এবং গভীর পাঠের জন্যে।

ভালো থাকবেন।

২৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

স্বপ্নবাজ শোয়েব বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার লিখা পড়লাম। বরাবরের মতই অসাধারন হয়েছে। কেমন আছেন ভাইয়া?

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! ভালো থাকার চেষ্টা করছি, কিন্তু এই সময়ে এটা অসম্ভব একটা ব্যাপার।

২৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৩

ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: ভ্রু কুঁচকানোই ছিল পুরাটা সময়, আগ্রহে। অসাধারণ লাগলো। আরো বড় হলে খুশি হতাম :) :)

ক্যালাইডোস্কোপ গল্পটা ঐ যে হুজুর পোলার বাড়িতে পর্ণ, ঐটা না ?? ঐ গল্পটাও অসাধারণ।

:( ' টেলিভিশিক রাত ' ভাল লাগলো না কেন জানি। :|

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আরো বড় তো করাই যেত, কিছু জায়গায় টাইম জাম্প করে গেসি। বর্ণনা দিইনাই, তবে সতর্ক থাকসি টেম্পোটা যেন কেটে না যায়! জানিনা কতখানি পারসি।

হ ঐডাই ক্যালাইডোস্কোপ! বস লাস্টে একটা জটিল রসিকতা করসে! লাভড দ্যাট!

টেলিভিশিক রাত শব্দটা নিয়ে আমিও সন্তুষ্ট না, তবে নতুন জিনিস মাথায় আইলো, ভালো-মন্দ না ভাইবাই রাইখা দিলাম আর কী!

শুভরাত্রি!

২৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২২

মোঃ নুর রায়হান বলেছেন: যান্ত্রিকতার মাঝে ভালোলাগার অপূর্ব সন্নিবেশ।
মোহগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।
++++++

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: কিছু মোহাচ্ছন্নতা থাকুক জীবনভর।

শুভেচ্ছা।

২৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৪

মাক্স বলেছেন: মন্তব্যের জবাব পড়ে গল্পটা দ্বিতীয়বার পড়লাম। গল্প পড়তে পড়তে শিরোনাম ভুলে গেসিলাম। তার উপর শেষ লাইনটাতে মনোযোগ ছিল না। এইবার ক্লিয়ার!

তবে পরীক্ষায় শুধু লেটার মার্ক চাইসিলাম সাথে গ্রেসও ফ্রি পেয়ে ভালো লাগসে :P :P :P

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! শুভরাত্রি। ভালোমত পড়াশোনা কইরেন :-B

২৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৯

ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: শাহাদুজ্জামান আঁধা - খেচড়া ভাবে বেশ কিছু পড়া ছিল... ভালমত পর্লাম কয়েকদিন আগে।

সেইরকম হিউমার, স্যাটায়ার এ ভর্তি। কনডম ফেরিওয়ালা বসের হাসি বুঝতে পারে না, মলত্যাগ বিষয়ক লেকচার শুনতে শুনতে ছাত্র স্যারের 'পন্ডিত'গিরি বাইর করে :D :D

সবকিছুর পর, এতো বাস্তব লেখা, এতো সূক্ষ্ণ খোঁচা... অসাধারণ।

শুভরাত্রি হাসান ভাই, আপনার শিশুর হাতের মুঠোটি কাল সকালে খুলে দেখেন, আমার দেয়া আদর পাবেন :) :)

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: কয়েকটি বিহবল গল্প তার সেরা গল্পের বই।

আমার মেয়েটাতো এখন নানুবাড়ি, তাকে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখার উপায় নাই :( তবে তোমার আদর তার কাছে নিশ্চয়ই পৌঁছে যাবে!

শুভরাত্রি!

২৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: তাহলে গল্পের মোরাল কি দাড়াল? জীবের চেয়ে জড় অনেক বেশী বিশ্বস্ত?

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক মোরাল না, গল্পে কোন সিদ্ধান্তে আসা হয়নি। সম্পর্কের টানাপোড়েনে বিক্ষত কিছু মানুষের যন্ত্রনির্ভরতা, জড়ের কাছে সমর্পন করা দেখিয়েছি। এমনটা হতে পারে, তবে সবসময়ই যে হবে তা না!

২৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৪৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: +++++++++++++++++ ভালো লিখেছেন ভ্রাতা । ভালো থাকবেন সবসময় ।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা। শুভসকাল।

৩০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:০৬

অচিন্ত্য বলেছেন: প্রায় এক মাস পর আপনার লেখার জন্য অপেক্ষার অবসান হল। এখনো পড়া হয়ে ওঠেনি। কথা হবে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভসকাল অচিন্ত্য! কথা হবে।

৩১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪

আরমিন বলেছেন: প্রথম দিকে পড়তে খুব ভালো লাগছিলো, পুরোটা পড়ার পরে মনে হলো, " কি লিখছে, কিছুইতো বুঝলাম না!" " অতপর কমেন্ট পড়িয়া বুঝিতে পারিলাম!" :)


ভালো লাগা ২৭ তম।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই জন্যেইতো ব্লগে লেখাটা এত উপভোগ করি! থ্যাংকস আরমিন।

৩২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

প‌্যাপিলন বলেছেন: প্রাণময় পদার্থগুলোও একসময় বড় জড় মনে হয়, জড়র অবশ্য সেরুপ নেই, জড় জড়ই, প্রতারণার সুযোগ নেই

প্রিয়তম জড়পদার্থদ্বয়কে একসাথে দেখতে পারার অনুভূতিটা চমৎকার! - অসাধারণ ফিনিশিং

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ!

৩৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১০

রিয়ান৯১১ বলেছেন: অনেক দিন পরে লেখা দিলেন। ++++++++++++

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ অনেকদিন পর! ধন্যবাদ রিয়ান!

৩৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: অনেক দিন পর সুন্দর একটা গল্প পড়লাম :)

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকদিন পর আমার ব্লগে এলেন। ধন্যবাদ শুকনোপাতা!

৩৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৬

সায়েম মুন বলেছেন: মাঝে মাঝে জড় বস্তুও সুহৃদ হইতে পারে। চমৎকার প্লট।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! শুভদুপুর। এখানে আসলে মাথায় ঘুরতে থাকা দুইটা ঘটনা ব্লেন্ড কইরা গল্প বানাইসি!

৩৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

আমিনুর রহমান বলেছেন: আপনার গল্প সবসময় বুঝতে একটু কঠিন হয়। তয় সহজ হইছে আর বেশ ভালোও হয়েছে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আমিনুর। শুভদুপুর।

৩৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

নীলপথিক বলেছেন: অনুভূতি একপাক্ষিক হলেও তো সেটা বেশীদিন স্থায়ী হবার কথা নয়। নাকি ভুল বললাম?

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনুভূতি পরিবর্তিত হয় সময়ের সাথে। নিজেকে পাল্টে অন্য রূপ নেয়। টিকে থাকার স্বার্থে। কিছু টেকে, কিছু টেকে না। ঠিক ভুল নেই কোন।

৩৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

ফয়সাল হুদা বলেছেন:
জড় পদার্থ খোচানোর মধ্যেই রঙিন জীবনের সমাপ্তি ,না আরও কিছু বাকি আছে :) :)


খুব ভালো,খুব ভালো গল্প......


০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ফয়সাল! ভালো থাকবেন।

৩৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:
বহুদিন পর একটা চমৎকার গল্প পড়লাম।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুবিন।

৪০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

এ বি এম হায়াত উল্লাহ বলেছেন: এক পলকেই আপনার লেখাটা পড়লাম , তা সম্ভব হয়েছে মুগ্ধতার কারনেই ।।

একাগ্রতা ছাড়া আপনার গল্পের মোড়ালে আসা ডিফিকাল্ট !!

অতি সাধারন একটা সম্পর্ক , অথচ কত অসাধারন উপস্তাপনা ।।


দিনশেষে আমরা সত্যিই একা ,তখন জড়গুলোই আমাদের সুহৃদ !!




০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: এমন মন্তব্য পেলে নিজের প্রতি বিশ্বাস জন্মায়। অনেক ধন্যবাদ অনুপ্রেরণা দেবার জন্যে।

৪১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: পড়ে পুরোটা বুঝতে পারিনি। কয়েকটা মন্তব্য পড়েই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে গেলো। অনেক ভালো লাগা থাকল ভাইয়া।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভদুপুর।

৪২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

শাকিল ১৭০৫ বলেছেন: সুন্দর হইছে

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ শাকিল। শুভদুপুর।

৪৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ভীষণ, ভীষণ এবং ভী-ষ-ণ ভাল লেগেছে,,,,,,,,,,,,অনেক দিন পরে যেন বৃষ্টি এল,,,,,,,,,,

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! আমাদের সবার একটা পুণ্যস্নান করা জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে।

৪৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

বিপুলা বলেছেন: 'একটা বেশ ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়ে গেল, তাহলেই বিপদ! আমি জেনেছি আমার বন্ধু থাকতে নেই, বন্ধু রাখতে নেই। বন্ধুর চেয়ে বিপদজনক শত্রু আর হয় না। বন্ধুদের মত সহাস্যে, নির্বিকারভাবে আঘাত করতে অতি বড় শত্রুরও হাত কাঁপবে। আর বন্ধুদের কাছ থেকে অতি সামান্য আঘাতেই পর্যুদস্ত হওয়া যায়।'
কঠিন সত্য বলেছেন ভাইয়া

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ বিপুলা। আমার নিজের জীবনেও এমন ঘটেছে। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভবিকেল।

৪৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

স্বর্গীয় শয়তান বলেছেন: জত্তসব ভালা ভালা গল্প X( X( X(

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: মিথ্যা অপবাদ দিবেন না :|

৪৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

স্বর্গীয় শয়তান বলেছেন: আপনি লোকটা সন্দেহজনক । X(
তাই আজথেকে ব্লগে আপনাকে অনুসরন শুরু করলাম । X(( X((

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনারে ব্লক করুম কী না ভাবতেছি!

৪৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

কালীদাস বলেছেন: বিশ্বস্ত সহচরের খোঁজে প্রাণহীন কোন কিছু লাইফে আনা মিন করছেন নাকি সামারিতে? একটু কনফিউজড হয়ে গেছি :|

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রাণহীন কিছু চিরজীবনের জন্যে সঙ্গী হতে পারে না। লাইফে তাদেরকে অবলম্বন করে কতদিন বাঁচা যায়? আপনার একজন জ্যান্ত মানুষকেই দরকার। কিন্তু অমোঘ মৃত্যুকে এড়াতে পারে কে? তেমনইভাবে তীব্র সম্পর্কের মৃত্যু ঘটে গেলে মানুষের আর কী চাওয়ার থাকে? কী দেখার থাকে? হয়তোবা না দেখা অনাস্বাদিত সব অনুভব পরখ করা অসম্ভব জেনেই আমরা ভান করি, বিশ্বস্ততম কিছু পেয়ে গেছি!

৪৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৩

সান্তনু অাহেমদ বলেছেন: আপনার লেখা বরাবরই না পড়ে আমি কমেন্ট করি না। পড়ে তারপরেই কমেন্ট করবো ভাই।

পাবনার খবর কি?

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অবশ্যই পড়ে কমেন্ট করবেন। পাবনার খবর জানিনা। আমাদের আত্মীয় স্বজন বেশিরভাগ ঢাকাতেই থাকে। তবে গ্রামে কিছু হলে তো জানতাম। তেমন কিছু হয়নি, হবেও না আশা করছি।

৪৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৪

কালীদাস বলেছেন: এলা পুরা বুচছি :D যাই কন, অরিজিনাল মিনিং-এর কাছাকাছি চইল্ল্যা গেছিলাম B-))

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ, তা গেছিলেন :-B

৫০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

সোমহেপি বলেছেন: সিম্পল প্লটে সুন্দর গল্প।

মমতা, যৌনতা, ভালোবাসা, চুম্বন

এ শবদগুলো 'ভালোবাসা মমতা চুম্বন যৌনতা'''''
এ ক্রমে সাজান।অথবা-যৌনতা চুম্বন মমতা ভালোবাসা;;;;;

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস! ক্রম ঠিক রাখার দরকার কী! এ এমন এক সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে যা কোন নিয়ম মেনে চলেনি। ছুটেছে দুর্বার গতিতে!

৫১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩৬

ইখতামিন বলেছেন:
৩৪তম ভালো লাগা.
মানদন্ড দাঁড় করতে যাওয়াটা বোকামী
গল্প বরাবরের ন্যয় শব্দের রঙধনু।
আরেকটু বড় হলে বোধ হয় আরও ভালো লাগতো।
কী আর বলবো...

বিপুলা'র মতো ওই কথাগুলো খুবই ভালো লেগেছে. মূলত এমনটাই ঘটে থাকে।

শপথের পরিবর্তে ঝাঁকে ঝাঁকে শ্বাপদ আর পরবর্তীতে কৌটায় গরল রেখে চলে যাওয়ার মিলটা দারুণ লেগেছে।

কিন্তু জড় পদার্থের প্রবল বিশ্বস্থতায় আমরা ধ্বংস ছাড়া আর কীই বা পেতে পারি!

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ইখতামিন। ভালো লাগলো আপনার মনোযোগী পাঠ। অনেকসময় আত্মিক ধ্বংস, কোমলতার বিনাশ অনিবার্য হয়ে ওঠে, তা কোনভাবেই এড়ানো যায়না। জড় পদার্থ তা তরান্বিত করতে পারে, আবার এই ধ্বংসপ্রক্রিয়া থেকে রেহাই পেতে তাদেরই দ্বারস্থ হতে হয়। এ এক বিষণ্ণ প্যারাডক্স।

৫২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

কল্পবিলাসী স্বপ্ন বলেছেন: ব্লগে লগিন করা প্রায় ছেড়ে দিছিলাম , গল্পটা পড়ার পর লগিন না করে আর পারলাম না । আপনার গল্পটা অনেকাংশে ব্লগের প্রতি একঘেয়েমীটা দূর করলো ।

৩৬ তম +

শুধু একটা প্রশ্ন, ক্যালাইডোস্কোপের সঠিক বাংলাটা কি ?

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! গত একমাসে হয়তো বা আরো বেশ কিছু লেখা লিখতে পারতাম। কিন্তু সবকিছু এমনভাবে পাল্টে গেল, লেখার ইচ্ছা, ভাবনা সবকিছুই উবে গেল। আবার যে কবে লিখব, লিখতে ইচ্ছে হবে জানি না। প্রার্থনা করি নিরাপদে থাকুক সবাই।

ক্যালাইডোস্কোপের ভালো কোন বাংলা হয়না বোধ হয়, আমার জানা নেই অন্তত।

৫৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০১

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ভাল লেগেছে। অনেক।

জীবনই কাম্য, জড় নয়। তারপরও রক্তমাংশের জড় হলে মনে হয় খারাপ হয় না। তবে কতক্ষন ভাল লাগবে তা জানার সৌভাগ্য কি দুর্ভাগ্য হয় নি....

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: রক্তমাংসের জড়! ভালো বলেছেন।

শুভরাত্রি!

৫৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৮

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: +++++++++++++++

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বটবৃক্ষ। শুভরাত্রি।

৫৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪১

অনীনদিতা বলেছেন: ++++
আপনার লেখা নিয়ে কি আর বলবো:)
সবসময়ই দারুন হয়:)

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অনিন্দিতা। আপনাদের অনুপ্রেরণা সাহস যোগায়।

৫৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৫

শুকনা মরিচ বলেছেন: আপনার লেখা নিয়ে কমেন্ট করতে বরাবরই আমি ভয় পাই - তাই আজকেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছেনা :)

আপনার বুড়ীটা কেমন আছে ? কত বড় হলো ? কি কি করেন উনি এখন :)

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভয় পাবার কী হল! উনি ভালো আছেন। দু মাস হল বয়স। দোয়া করবেন।

শুভরাত্রি।

৫৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

নীরব দর্শক বলেছেন: ভালো লেগেছে .... +

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। শুভদুপুর।

৫৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩

বিপুলা বলেছেন: আমাদের জীবনের প্রতিটি ঘটনাই হয়ে উঠে এক একটি গল্প....হতে পারে সেটা অভিমানী গল্প, হতে পারে প্রেমময়ী গল্প বা হতে পারে বেদনাময়ী গল্প....
বন্ধুত্বের সংজ্ঞা আসলে ভাইয়া এক এক জনের কাছে এক এক রকম...জীবনের ঘটনাগুলোর জন্য হয়তো কখনো বন্ধু আসে আশীর্বাদ হয়ে আবার কখনো আসে অভিশাপ হয়ে.....

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক বলেছেন। আপনার মাঝে অনেক অনুভূতি জমা আছে বুঝতে পারছি। ওগুলোকে গল্প বানিয়ে ফেলুন না! শুভকামনা রইলো।

৫৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৬

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
অনেকদিন পর ব্লগে আসলাম! তাও না পড়ে দাগায়া গেলাম! আমার বাসায় কী অদ্ভুত কারণে নেট কানেকশন পাচ্ছি না। তাই ব্লগে আসা হয় না। মাঝে মধ্যে ফ্রেন্ডের বাসায় গেলে কয়েক মিনিটের জন্য বসা হয়।

আশাকরি কয়েকদিনের মধ্যেই ব্লগে আবার রেগুলার হবো। ভালো থাকবেন হা-মা ভাই।

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক আছে। শুভকামনা রইলো আপনার জন্যে এবং নেট কানেকশনের জন্যে!

৬০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ৪১তমটা আমার ।খুব সুন্দর হয়েছে। ভালো থাকবেন সবসময়।

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। শুভকামনা।

৬১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

সোহাগ সকাল বলেছেন: বরাবরের মতই অনেক ভালোলাগলো।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোহাগ সকাল!

৬২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

অচিন্ত্য বলেছেন: আশ্চর্য গল্প ! অন্য দুনিয়ায় নিয়ে যায়। আপনার অনুভূতি বড় বিচিত্র ! হয়তো অনেকেরই। কেউ খবর পায়, কেউ পায় না। কেউ পেয়েও প্রকাশে অক্ষম। হাসান ভাই, আপনার হাতে যাদু আছে। যাদুর কৌটা টিনের বাক্সের মত শক্ত। ফুটো করার মত শক্তি এমনকি নিন্দুকেরও নেই। আমি বারবার আপনার যাদু দেখার জন্য আসি। এসে এসে সম্মোহিত হই। টেলিভিশিক রাত- শব্দযুগলের আবিষ্কারে চমৎকৃত।

একটি মন্তব্যে আপনাকে একজন লেখকের সিনোনিম করা হয়েছে। আপনার লেখা পড়তে পড়তে আমার পড়া অনেক লেখকের কথাই মনে পড়ে। কিন্তু শুধু মনেই পড়ে। কোনভাবেই আপনাকে সিনোনিম তো নয়ই এমনকি তুলনা করার প্রবৃত্তিও জাগেনা। আপনি বড় বেশি স্বতন্ত্র।

[ক্যালেইডোস্কোপ বিষয়টা কী ? জানালে খুশি হব।]

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অচিন্ত্য। এই গল্পটার পেছনের কিছু কথা বলি। একদিন রাতে আমি শুয়েছিলাম। ঘুম আসছিলো না। আমার বাবা সেদিন অনেক জোরে শব্দ দিয়ে টিভি দেখছিলেন। অনেকরাত ধরে। ভাবছিলাম তিনি কী টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে গেলেন নাকি! পরের অংশ, কয়েকদিন পর, আমি একজনকে সত্যি সত্যি বলেছিলাম আমি তোমাকে যদি বলি মৃত্যুর কাছাকাছি নিয়ে যাব, তারপর আমাকে বলবে সেটা কেমন তুমি কি রাজি হবে? এই দুই চিন্তা মিলেই একটা গল্প দাঁড় করালাম।

টেলিভিশিক রাত শব্দটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। নতুন নতুন শব্দ বানাতে ভালোই লাগে!

ক্যালাইডোস্কোপ আয়না এবং রঙিন বস্তুর সমন্বয়ে গঠিত একটা সিলিন্ডার আকৃতির যন্ত্র। এর এক পাশ থেকে তাকালে অন্যপাশে আয়নায় রঙীন বস্তুর প্রতিফলনের কারণে চমৎকার আলোকমন্ডলী দেখা যায়।

শুভদুপুর!

৬৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

ডানাহীন বলেছেন: যা বলতে পারতাম তার প্রায় সবই আপনি মন্তব্যে বলে ফেলেছেন .. মাঝে মাঝে আপনার চিন্তার সাথে নিজের মিল দেখে খুবই আশ্চর্য হয়ে যাই ।

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: একদিন হয়তোবা অবাক হবার মত আর কিছু বাকি থাকবেনা। এটাই নিয়ম।

৬৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

ইকারুসের ডানা বলেছেন: আমি পড়েই লাইক দিসিলাম ! দারূণস্য দারূণ ! ভিডি ওয়েল !

জীবিকার চেষ্টায় মৃতপ্রায়। জীবিত হবো আশা করি । :(

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: তাড়াতাড়ি জীবিত হও আর আমাকে একটা ট্রিট দাও!

৬৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯

নেক্সাস বলেছেন: বারাবরের মত মুগ্ধতা বস...

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা নেক্সাস।

৬৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
চমৎকার গল্পে অনেক ভালোলাগা।
গতমাসব্যাপী অস্থিরতায় একটু ভিন্নতা পেলাম আপনার লেখা পড়ে।
শুভকামনা..................

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

৬৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: "জীবনের সব স্বাদ এত দ্রুত, এত তীব্রভাবে চেখে নেবার ফলে আমাতে কিছুটা অবসাদ পেয়ে বসে। আর কিছু পাবার বাকি নেই ভেবে আমি বিষণ্ণ হয়ে পড়ি" ............অনেকেরই তো এমন হয়, কি অদ্ভুত মানব জনম!


গল্পটা চমৎকার হাসান

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই অদ্ভুত মানব জনম আমি বেছে নেইনাই। আমাকে দলভূক্ত করা হয়েছে। আমি অভূক্ত এবং ক্রুদ্ধ। তারপরেও চমৎকারই লাগে মাঝেমধ্যে! ভালো থাকবেন আপু।

৬৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

নস্টালজিক বলেছেন: তোমার গল্প বলার স্টাইলটা আসলেই চমৎকার!

শুভেচ্ছা নিরন্তর!

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! আমি স্টাইলিশ গল্পকার। পুরাই ডিমকেক!

৬৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

বিপুলা বলেছেন: আমার গল্পগুলো এত ব্যক্তিগত এবং স্পর্শকাতর; তা সবার সাথে শেয়ার করা যায়না.....ঠিক আপনার গল্পের মতই আমার জীবনের গল্প...

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: লিখে ফেলেন। কেউ তো আর আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেনা বোধ হয় এখানে। দরকার হৈলে ছদ্মনাম নেন। লিখলে ভালো লাগবে।

৭০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩০

অশুভ বলেছেন: একটাই মাত্র অপূর্ণতা। সেটা পূরণ হয়ে গেলে তো সবই শেষ। ভাল হয়েছে হাসান ভাই। ৪৬ তম ভালোলাগা।
আমি চেষ্টা করি লিখতে। কিন্তু গুছিয়ে লিখতে পারি না। অনেক চেষ্টার পরে একটা সস্তা মার্কা লেখা লিখেছি। :)

০৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অশুভ! অবশেষে আপনি লিখলেন! যাচ্ছি আপনার ব্লগে।

৭১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩

অদৃশ্য বলেছেন:




হাসান ভাই

কিছু জায়গাতে প্যাঁচ খেয়ে যাচ্ছিলাম.... তবে আপনার মন্তব্যে অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেছে....

শেষটাতে এসে অনুভব ঘনবদ্ধ হলো....


শুভকামনা....

০৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ কবি। শুভকামনা।

৭২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

লেখোয়াড় বলেছেন:
হাসান মাহবুব,
সম্ভবত আপনিই প্রথম ব্লগার হতে চলেছেন, যিনি সবপ্রথম এই ব্লগে ৫০,০০০ তম কমেন্টস করবেন।

এইমাত্র দেখলাম আপনি মোট কমেন্টস করেছেন ৪৯,৪৪৯ টি।

আপনার ৫০,০০০ তম কমেন্টসটি আমাকে করবেন, এবং লিখবেন এটি আমার ৫০,০০০ তম কমেন্টস,
এবং এটি লেখোয়াড়কে করলাম।

অনুরোধটি রাখবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।

০৭ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: বিষয়টি লক্ষ্য করার জন্যে ধন্যবাদ। আমি নিজেও এটা নিয়ে বেশ এক্সাইটেড। ভালো থাকবেন। শুভদুপুর।

৭৩| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮

মশামামা বলেছেন: মজার একটা গল্প শোনাই - দেখেন কি চমকপ্রদ কাহিনী। নিজে পাত্তা না পাইয়া দু'জন ব্লগারের প্রেমের কবিতা আদান-প্রদানকে কেন্দ্র করিয়া একজন জনপ্রিয় ব্লগার জ্ঞান-বুদ্ধি হারাইয়া কিভাবে তার চক্ষুশূলদ্বয়কে গালিগালাজ করিয়া ব্লগ থেকে বিতাড়িত করিতে পারেন।

এখানে দেখেন - শায়মার ন্যাকা কাহিনী:
Click This Link

দুইদিন হইতে বিরাট গবেষণা করিয়া আমি ইহা আবিষ্কার করিয়া ফেলিলাম। তবে, নীলঞ্জন বা সান্তনু একটা গাধা। দিবাকে আমার ভালোই লাগতো। যাইহোক, উচিত ফল পাইয়াছে। তবে, শায়মা ও যে এক বিশাল মক্ষীরাণী এ ব্যাপারেও কোন সন্দেহ নাই।

০৭ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি উল্লিখিত তিনজনকেই পছন্দ করি। জানিনা তাদের মধ্যে কী হয়েছে। তবে ব্যাপারটা দুঃখজনক। আমি ব্যথিত। আপনার মত আলু পোড়া খাওয়ার দলে না। গবেষণা চালায় যান, তয় এইখানে না। আরেকবার আইলে অপমানিত হৈবেন।

৭৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩২

না পারভীন বলেছেন: TV টা ভেঙ্গে ফেলা হবে দেখে খারাপ লাগছে । লোকটা এর পর কি দেখবে ? কিভাবে সময় কাটাবে ?

০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আবার মেরামত করা হবে। তারপর টিভিটা তাকে জানাবে মৃত্যুনুভূতি কেমন ছিল। তারপর তারা কোলাকুলি করবে!

৭৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৯

ফালতু বালক বলেছেন: আপনার গল্পের তো ভক্ত হই্যয়া গেলাম, হাসান ভাই।

খুব ভালো।

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ!

৭৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০২

শামীম আরা সনি বলেছেন: আমার কাহিনী জানলে আপনি আমাকে আপনার দেশের বাড়ীতে নিয়ে যাবেন ;) ;) ;)

আমি কি করি জানেন একি সাথে ল্যাপটপ অন, টিভি অন, পাশে একটা বই খোলা! আর পাশাপাশি কিছুক্ষন পর পর মোবাইল নিয়ে গুতাগুতি আছেই !!!

এটা আমার অনেক অনেক বছরের অভ্যাস :(

বাসায় থাকলে আব্বু এসে মাঝে মাঝে আমার রুমে এসে টিভি অফ করে দিতে চায়, আমি চিৎকার করে বলতে থাকি আমি টিভি দেখছি !!
আব্বু বলে একটা মানুষ একি সাথে এত জিনিস দেখে কি করে !!!

:(


ভালো কথা পোস্ট প্রিয়তে নিয়ে গেলাম :) B-)

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। অশেষ ধন্যবাদ!

৭৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৩

শামীম আরা সনি বলেছেন: ওরেরেরেরে ! ৫০ তম প্লাসটাও আমি দিছি B-)) B-)) B-))

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অভিনন্দনপার্ক!

৭৮| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:১৪

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
তোমার লেখার ভীষন টান আছে........থাকে।

অনেকদিন পর কমেন্ট। তবে দেখা তো হয় আমাদের কোন না কোন ভাবেই।
শুভবোধ সবসময়ের।
ভালো থেকো।

অদ্ভুত ,সাবলীল লেখায় থেকো। অনেক ভালো একজন গল্পকার আমাদের হাসান একথা পৃথিবী জানুক।

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রিয় সাজি আপু। অনেকদিন পরে আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগলো। নিয়মিত দেখতে চাই। শুভেচ্ছা।

৭৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
গ্রেট ওয়ান হা-মা ভাই। আগেই পড়ছিলাম বাট কমেন্ট করতে পারি নাই। অবশেষে আজ পারলাম! নেট কানেকশন ভালোই জ্বা্লাচ্ছে আমাকে!

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভসন্ধ্যারাত।

৮০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

সালমাহ্যাপী বলেছেন: ব্লগে আসা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম। আজকেই অনেক দিন পর লগ ইন করে সবার ব্লগ একটু ঢু মেরে যাচ্ছিলাম। আর সেই সাথে গল্পটাও পড়ার চান্স টা পেলাম।

ভিন্ন ধরনের একটা গল্প পড়লাম। অনেক অনেক ভালো লাগা ভাইয়া।

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্লগে আসা ছেড়ে দিবেন কেন? আবারও নিয়মিত হোন। শুভেচ্ছা সালমা।

৮১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৮

দি সুফি বলেছেন: অনেকদিন পরে ব্লগে এসে অনেক ভালো একটা লেখা পেলাম।
লেখাটা পড়ে কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম!

"Trust your heart,
Let fate decide,
To guide these lives we see"

---ভাল থাকবেন। !:#P

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুফি। শুভসন্ধ্যা।

৮২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৯

সোমহেপি বলেছেন: কি খবর মাইরটাইর খাইছেন নাকি?
পিচ্ছি কেমন?

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: মাইরটাইর খামু ক্যান? মেয়ে ভালো আছে।

৮৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১০

প্রিন্সেস ফিওনা বলেছেন: নিজের মত করে বুঝে নিয়েছি । ভালো লাগা রইলো ।
ভালো থাকবেন ।শুভ রাত্রি । |-)

১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ফিওনা। শুভরাত্রি |-)

৮৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১৯

শ্রাবণ জল বলেছেন: সাহস করে কখনো কমেন্ট করিনি আপনার ব্লগে।
আজ ভাল লাগা জানাতে কমেন্ট করতেই হল।

আপনার লেখার শব্দ,চিন্তা, অন্তর্নিহিত ভাব- সবকিছু মিলিয়ে আমি মুগ্ধ হলেও বলার মত কিছু পাইনা। আমার অপারগতা, অযোগ্যতাও বলা যায় হয়ত।

ভাল থাকবেন।
আবার এক বছর পর সাহস সঞ্চয় হলে কমেন্ট করতে আসবো।

১১ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আবার এক বছর পর কেন! হাহা! সবসময় স্বাগতম আমার ব্লগে শ্রাবণ জল।

শুভভোর।

৮৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

আলম িসিিদ্দকী বলেছেন:
Hasan vai, Onak valo laglo.
Valo thakun
Sobsomay.

১১ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৮৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯

১৯৭১স্বাধীনতা বলেছেন: শুধু আপনার লেখা পড়ার জন্যেই বারবার সামুতে ফেরত আসা যায় বেয়ারিং চিঠি'র মত----------ভাবনা'র জটিলতা এড়ানোর খোরাক তো জোটে অন্তত----------খুব মনোযোগী পাঠক হয়তো নই---নিয়মিত তো কোন মতেই না ---কিন্তু পাঠক তো!

১১ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি যদি আরো অনেক বেশি লিখতে পারতাম! আপনার নতুন লেখা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম। শুভবিকেল।

৮৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: রক্তমাংসের জড় দের সাথে জীবন কাটানোর চেয়ে সত্যিকারের জড়দের সাথে জীবন কাটানো উত্তম বোধ করি। নির্বাসনের জীবনে এরাই জীবিত আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।বরাবরের মতই "কঠিন" হইসে...:) :D

১১ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্যে। শুভকামনা রইলো।

৮৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৪

আরজু পনি বলেছেন:

৫৯ তম প্লাস রেখে গেলাম, কিছুক্ষণ পরে আসছি ...




আজকে হাসানের "প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত" একজনকে পড়তে দিলাম।

১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস আপু।

খামোখা কাউকে টর্চার করা ঠিক না! :|

৮৯| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫৩

আরজু পনি বলেছেন:

হাহাহাহা টর্চার হবে কেন? আশা করি বেশ ভালোই লাগবে।

অনেকদিন পর হাসানের একটা লেখা পুরোটা পড়লাম...।


ব্যাখ্যা করতে ইচ্ছে করছে না, তবে আমরা কখনো কখনো এক হই ...


যাই হোক, ভালো থাকুন হাসান ।।

১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পনি আপা।

ভালো থাকুন। শুভদুপুর।

৯০| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১২

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: মন্তব্য করার ধৃষ্টতা দেখালাম , কিন্তু মানদণ্ডের ছাঁচে ফেলে বিচার বিশ্লেষণ করা যেমন, ভাল হল, এটা ভাল লেগেছে, ওটা ভাল লেগেছে এরকম বলার ধৃষ্টতা দেখালাম না। শুধু একটা সাঙ্কেতিক ভাষা ব্যবহার করব।






"প্লাস"

১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি নিঃসঙ্কোচে আপনার মতামত জানাতে পারেন, কাটাছেড়া করতে পারেন, অথবা শুধুই প্লাস দিতে পারেন, সবগুলোকেই স্বাগত জানাই। ধৃষ্টতার প্রশ্ন কেন আসছে! আমি বরং আপনার বিস্তারিত মন্তব্য জানতেই আগ্রহী থাকবো।

ভালো থাকবেন। শুভদুপুর।

৯১| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: জড় পদার্থের মত বিশ্বস্ত আর কি হতে পারে? ক্ষণিকের খেয়ালের বসে তাকে ভেঙ্গে চূরে ছুড়ে ফেলে দিলেও সে প্রতিবাদ করতে পারেনা!

গল্প ভাল হয়েছে হামা ভাই!

১২ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ নাজিম। শুভদুপুর।

৯২| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

নিমা বলেছেন: অনেক ভাললাগা.....

ভালো আছেন মামা :)?

১২ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকু নিমান্টি। ভালো আছি। ভালো থাইকো।

৯৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: এত সুক্ষাতিসুক্ষ বিষয়আর দূর্দান্ত কল্পনা শক্তিকে লেখনীতে ফুটিয়ে তোলা চাট্রিখানি কথা নয়!
বিমোহিত হলাম আপনার লেখা পড়ে।

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি ব্লগে আসায় খুশি হলাম তপন ভাই।

ভালো থাকুন। শুভদুপুর।

৯৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

নক্ষত্রচারী বলেছেন: জড়জীবনের জটিল র‍্যাপোর্ট ! সম্পর্কের আন্তঃআণবিক শক্তি নিঃশেষিত হয়ে যায় একসময় ।

অন্যরকম, ভালো লাগলো ।

ইদানীং কেন জানি ব্লগে আসা হয়না, নতুন কিছু আর লেখাও হয়না । বলা ভালো ইচ্ছে করেনা । মিতিন মণি আছে ক্যামন ?

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস রাফি! হু, তোমাকে দেখিনা ব্লগে ইদানিং। ব্লগে আসো বা না আসো লেখালেখির মধ্যে থাকো। মিতিন ভালো আছে।

৯৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৬

ধুম্রজ্বাল বলেছেন: ভালো লেখা পড়িনা/পাইনা অনেকদিন।
সাথে থাকলাম

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্যে।

শুভরাত্রি।

৯৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: শেষহীন একটা গল্প, অনেক স্কোপ আছে আরো আগাবার

উপন্যাস করে ফেলেন

আপনার অন্য লেখার চেয়ে কিছুটা ব্যতিক্রম লেগেছে, হয়ত সিম্পল থেকেছেন বলেই।

:)

অ.ট : আপনার গল্প আমি সবগুলাই পড়ি ভাই, মিস খুব কমই করি

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: উপন্যাস লেখার কথা এখনই ভাবতেসি না। তবে লিখলে এইটারে নিয়া শুরু করা যায়! আমার লেখা মিস দাওনা শুনে ভালো লাগলো।

শুভসন্ধ্যা।

৯৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

এম হাবিব আহসান বলেছেন: দুটি অদ্ভুত অনুভুতি যা আমার ও হয়েছে
১। তার বিশ্বস্ত হাতে আমার হাত নির্ভরতা খোঁজে না, ভবিষ্যতের স্বপ্নশপথ নেয় না নীরবে, আমি শপথের পরিবর্তে ঝাঁকে ঝাঁকে শ্বাপদ দেখি।
২। কিছু একটা বাকি থেকে যাচ্ছে, কিছু একটার অভাব! হঠাৎ একদিন আমি বুঝতে পারি, কোন সে অনাস্বাদিত অনুভব আমাকে তাড়িয়ে ফিরছে। মৃত্যু!

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনারও এমন অনুভূতি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।

শুভদুপুর।

৯৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১১

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: টেলিভিশনটাকে আমি আজকালের মধ্যেই প্রস্তাব দেব আমার দ্বারা মৃতপ্রায় হবার...............

মুগ্ধ হাসান ভাই..

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভালো প্রস্তাব হবে সেটা।

শুভেচ্ছা তুহিন!

৯৯| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২১

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: এই নিরানন্দের শহরে ভার্চুয়াল আনন্দই একমত্র ভরসা। ওইটাও মৃতপ্রায় হয়ে গেলে থাকব কি নিয়ে!! :(
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম হাসান ভাই! অসাধারন লাগলো। ভালো থাকবেন।

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভরাত্রি।

১০০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:১১

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: কেন যেন বেশি কিছু বলতে পারিনা। শুরুতে ভেবেছিলাম দুপুর ছাড়া হয়ত গল্পটা শেষ করতে পারবোনা। কিন্তু খুব সকালেই গল্পটা পড়তে পেরেছি। আর সেটাও খুব আনন্দ নিয়ে।
প্রথম থেকেই মনে হচ্ছিল পাশের ঘরের লোকটি অদৃশ্য সত্ত্বা। সবচেয়ে মজার ব্যাপার এইটা নিয়ে শেষ পর্যন্ত আপনি ধোঁয়ায় রাখলেন।

শুভকামনা।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: সকালটা আমার লেখা পড়ে আনন্দময় হয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো। আনন্দে থাকুন সারাদিন।

শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.