নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুপুরবেলায় জম্পেশ একটা ভোজের পরে ঘুমের আবেশে চোখ বুঁজে এলে জীবন সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তাগুলো কিছুক্ষণের জন্যে হলেও স্থগিত রাখতে পারে হারুন। কড়া ঝাল আর মশলা দিয়ে তৈরি মাংসের তরকারির গন্ধযুক্ত ঝাঁঝালো একটা ঢেকুর তুলে বিছানায় যাবার সময় সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা একটা ঘুম দেবার সিদ্ধান্তটা চুড়ান্ত করে ফেলে। জগতের আনন্দধারায় হারুনের দিবানিদ্রা সংযুক্ত হতে গিয়ে বাধা পায় যন্ত্রের শব্দে। পাশেই একটা নতুন দালান উঠছে। ইট-সুড়কি প্রক্রিয়াকরণের কাজে দিনের অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থেকে তা এলাকার মানুষের কর্ণগহবরে ডাকাবুকো মাস্তানের মত ঠেলেঠুলে ঢুকে পড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। দিনের এই সময়টায় সচরাচর হারুনকে বাইরে থাকতে হয় বলে সে এই বিপত্তির কথা জানতো না। "হালার এমুন শব্দের মধ্যে ঘুমামু কেমনে!" রোষ প্রকাশ করে সে। সাথে কিছু খিস্তিও ছুড়ে দেয় যন্ত্র এবং তার নিয়ন্ত্রণকারীদের। একটু আগের সুখানুভূতি উবে যাওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তার ইচ্ছে করে ওখানে গিয়ে খুব করে দু কথা শুনিয়ে দেবে তাদের। তবে তার আর দরকার পড়েনা। হঠাৎ করেই শব্দটা থেমে যাওয়ায় হারুন দারুণ উৎফুল্ল হয়। তার মধ্যে আবারও নবাবী ভাবটা ফিরে আসে। তেজোদ্দীপ্ত ভাবনার উনুনে আগুনটা চাগিয়ে দিয়ে সে এও ভাবে যে কিছুক্ষণ আগে যন্ত্রটার প্রতি তার অশুভ ইচ্ছা এবং রাগ প্রকাশের কারণেই তা বন্ধ বা বিকল হয়ে গেছে। কাকতালীয় অথবা অতিপ্রাকৃত যেভাবেই ভাবা হোক না কেন, ঘটনাটা তাই ঘটেছিলো। নির্মিতব্য বাড়ির মালিকের সাথে মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের বাদানুবাদে তা স্পষ্টভাবেই প্রতীয়মান হয়।
-কী মিয়া, মেশিন থাইমা গেল কেন? আপনারে না কইসিলাম আইজকার মধ্যেই কাজ কমপ্লিট করতে হইব? এহন পোতায়া গেল কেন? ফাইজলামি পাইসেন?
বাড়ির মালিকের রোষের মুখাপেক্ষী হয়ে যন্ত্রকারিগর অপ্রতিভ হবে কী, পাল্টা বচসা শুরু করে।
-মেশিন কি আমি নিজ ইচ্ছায় থামাইসি নাকি? আমার নিয়্যত ঠিকই ছিলো। আজাইরা ব্লেম করবেন না। কিছু একটা হয়তো সমস্যা হইসে, দ্রুতই ঠিক কইরা লমু। এত পেরেশান হইলে তো হবে না!
-পেরেশান হমু না তো কী! দুইদিন পরপর ঝামেলা করেন, আবার বড় বড় কথা কন। আধাঘন্টার মধ্যে স্টার্ট না করতে পারলে আপনার মজুরী কাটা।
মজুরী কাটার হুমকি শুনে যন্ত্রকারিগর ক্ষেপে যায় রীতিমত। ইট, সুড়কির প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যাপারে হারুনের আদৌ কোন আগ্রহ ছিলোনা। সে শুধু চেয়েছিলো ছুটির দিনটাতে একটা নিরুপদ্রব ঘুম। যন্ত্রের বিকট শব্দ আর এর বিকলতাজনিত বচসায় তার ভাতঘুম মাটি হওয়াটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুরাহা হওয়াই তার প্রত্যাশিত ছিলো।
এই ঘটনা, এই বচসা, এই বাদানুবাদ হারুনকে বিরক্ত করে তোলে। এমন দিন আর কটা আসবে? দুপুরবেলায় সুন্দর আবহাওয়ায় ভরপেট ভোজন, চোখের মধ্যে মৃদুভাবে জ্বলতে থাকা ঘুমবাতির মৃদু নীল আলোর সেই সুন্দর পরিবেশ আর কী ফিরে আসবে!কঠোর পরিশ্রমের মাঝখানে একটি ভোজনবিলাস পরবর্তী আরামদায়ক ঘুম এভাবে নস্যাৎ হওয়াতে সে বেশ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ইচ্ছে করে ঘটনাস্থলে গিয়ে দু পক্ষকে খুব একচোট হম্বিতম্বি করে আসে। তবে সাহসে কুলোয়না। ছাপোষা একজন কর্মচারী সে। তার ইচ্ছের বুদবুদ রাগী দুই মানুষের কাছে গেলে হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই! তবে মাঝেমধ্যে ইচ্ছেদেবতা কাউকে বিস্ময়কর কোন উপহার দিয়ে থাকে! দু পক্ষের বাদানুবাদ কমে আসে। মেশিনটা চালু হবার আর কোন সম্ভাবনা নেই, এটা মেনে নিয়েই তারা আজকের মত ক্ষান্ত দিয়ে পরের দিনের জন্যে পরিকল্পনা আঁটে। কোলাহল কমে এলে হারুনের চোখের পাতা ভারী হয়ে আসে আবার। ঐদিন সন্ধ্যানাগাদ তার খুব ভালো ঘুম হয়।
সপ্তাহখানেক পরে আবারও বাসায় অবকাশযাপনের সুযোগ পায় হারুন। নতুন চাকুরিটাতে খুব খাটনি যাচ্ছে। ছুটিছাটা বলতে গেলে পাওয়াই যায় না। দিনের পর দিন অবিশ্রান্ত কাজ। পরপর দু সপ্তাহ ছুটি পেয়ে হারুন উল্লসিত হয়। সেদিনের জন্যে সে চমৎকার একটা বিলাস পরিকল্পনা করে ফেলে। সে অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমোয়,জমানো টাকা থেকে দিলখোলা ব্যয়ের প্রস্তুতি নিয়ে অনায়াসে পোলাওয়ের চাল দিয়ে তৈরি খিচুড়ি এবং গরুর মাংসের আয়োজন করে। খেয়ে দেয়ে আধা লিটার কোকের বোতল পুরোটাই শেষ করে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে। তবে আজ আর ঘুম আসছেনা তার। তো কী করা যায় এই ছুটির দিনে? বাইরে কোথাও ঘুরতে যাবে? নাহ, খামোখা পয়সা খরচ। গল্পের বই-টই থাকলে পড়া যেত, কিন্তু এসবে তার আগ্রহ কোনকালেই ছিলো না। তারপরেও, সময় কাটানোর জন্যে পাশের রুমের কলেজপড়ুয়া সিদ্দিকের কাছ থেকে একটা বই ধার নেবে ঠিক করে। সিদ্দিক ছেলেটার শখের কমতি নেই। সাম্প্রতিক বহুলবিক্রীত রোমান্টিক বই থেকে নতুন সেলফোন, ইউরোপিয়ান জনপ্রিয় লীগের জায়ান্ট টিমের জার্সি সবতেই সে হালনাগাদ থাকে। নতুন দামী সেলফোনের পরিচালন প্রক্রিয়া বা ইউরোপিয়ান লীগের শীর্ষে থাকা দল নিয়ে হারুনের কোন আগ্রহ নেই। সময় কাটানোর জন্যে একটা কিছু রোমান্টিক, বেশি ইরোটিক বই পড়ার আগ্রহ তার মধ্যে জেঁকে বসে।
-কী টাইপ বই পড়তে চান? রোমান্টিক, এ্যাকশন নাকি গোয়েন্দা?
-রুমান্টিকই দ্যাও।
উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারের কারনেই কী না, শরীরের মধ্যে একটা কাম-উত্তাপ অনুভব করে সে। রোমান্টিক বই বেছে নেয়ার কারণ হিসেবে নায়ক নায়িকার যৌনজীবনের বর্ণনা থাকবে এমন কিছুই আশা করছিলো সে। কিন্তু ছোটভাইয়ের বয়সী কক্ষ প্রতিবেশীকে তো আর তা বলা যায় না! সে অনেক ভেবে একটা যুৎসই বাক্য তৈরি করে, যা তার মতে ছোটভাইয়ের কাছে এই অলস শয়তান দুপুরে ভব্যতা বজায় রেখেও তার উদ্দেশ্যসিদ্ধির ব্যাপারে ফলপ্রসু হতে পারে। "একটু সেইরম সিন বেশি আছে এই টাইপের দিবা বুঝছো?" প্রথমে এই বাক্যটি তার মাথায় এলেও পরবর্তীতে সে আরেকটু নিকষিত করে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ আহবান করে, "একটু বেশি রুমান্টিক দেইখা দিও" সে আশা করে লাফাঙ্গা ছেলেটিকে তার উদ্দেশ্য বর্ণনের জন্যে এটাই যথেষ্ট! সিদ্দিক হয়তোবা বুঝতে পারে। সে মুচকি হেসে একটা রগরগে বর্ণনা সমৃদ্ধ "রোমান্টিক" বই বেছে দেয়।
বেশ উত্তেজক একটা বই। পড়তে পড়তে বারবার হারুনের লিঙ্গ উত্থিত হয়। দুপুরবেলার অলস সময়টা শয়তানের প্ররোচণাকার্য চালানোর জন্যে অতি উত্তম। হারুনের ইচ্ছে করে বইয়ে বর্ণিত দৃশ্যগুলো বাস্তবে দেখতে। নায়িকা সাবরিনার সাথে অভিসারে নায়ক আকাশ ধীরে ধীরে তার স্বচ্ছ রাত্রিপোষাক খুলতে থাকে... এই সময়টায় হঠাৎ করে পরবর্তী অধ্যায়ের সূচনা হওয়ায়, যেখানে সাবরিনার চিন্তাক্লিষ্ট বাবা-মা তার ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করছেন, হারুন ক্ষেপে ওঠে। "বালের বই লিখছে হালায়! বালের লেখক হইছে!"। বইটা ছুড়ে ফেলে দিয়ে জানালার কাছে থুথু ফেলতে গিয়ে দাঁড়ালে সে এক অভাবনীয় দৃশ্য দেখতে পায়। নির্মানাধীন ভবনটার এক কোণে অল্পবয়সী দুটো ছেলেমেয়ে খুব জড়াজড়ি জড়াজড়ি জড়াজড়ি করছে, চুমু খাচ্ছে। মেয়েটা সাবরিনার মত সুন্দর না, তাতে কী! ছেলেটা তার বুকের কাপড় খুলতে চায়...
এবং ছুটির দিনের দুপুরে আবারও হারুনের ইচ্ছাপূরণের ঘটনা ঘটে!
টানা ছয় মাস মার্কেটিং কোম্পানিতে গাধার খাটুনি খাটার পরে পদোন্নতি না হলেও হারুনের জন্যে নিয়মিত ছুটি বরাদ্দ করা হয়। শ্রম এবং ছোটাছুটিও অনেক কমে আসে। এক সপ্তাহ পর আরো একটি ছুটির দিনে বিলাসিতা করার ইচ্ছাটাকে সে মনমরা হয়ে চাপা দিয়ে রাখে। মাসের শেষ। কৃপনতাকাল চলছে এখন। না চালিয়ে উপায় নেই। পাশের হোটেল থেকে কাচ্চি আনিয়ে খেতে খুব ইচ্ছে করছে, কিন্তু ইচ্ছের ঘুড়ি অতদূর উড়তে না পেরে মেসের রান্নাঘরের কাঁচকি মাছের কাঁটার সাথে গোত্তা খেয়ে পড়ে যায়। আধাপেটা খেয়ে তিক্ত মুখে বিছানায় শুয়ে ইচ্ছেমত নিজের ভাগ্যকে গালাগালি করতে থাকে সে মনেমনে। তার ওপর আবার পেটটাও কেমন মুচড়ে উঠছে। কয়েকবার টয়লেটে যাওয়া আসা করে তার মোটামুটি কাহিল দশা! "ভালোই হইসে আইজকা কাচ্চি না খায়া। তাইলে অবস্থা আরো খারাপ হইতো।" সান্ত্বনা দেয় সে নিজেকে।
এমনসময় পাশের রুমের সিদ্দিক ছোকড়াটা আসে তার সাথে গল্পগুজব করতে।
-কী অবস্থা হারুন ভাই! যাইবেন না দাওয়াতে?
-কুন দাওয়াত?
-নতুন বাড়িটা উঠছে যে, মালিক খাওয়াইবো আমগোরে। হে দাওয়াত দিছে। মালদার পার্টি। প্যাকেট বিরানি দিবো নাকি শুনলাম।
-হ যামুতো! সামাজিকতা বজায় রাখাটা দরকার, বুঝলা?
বলতে বলতে তার পেটে আবার মোচড় দিয়ে ওঠে। কোনক্রমে কাপড় নষ্ট না করে প্যানের ওপর বসে বিসর্জনকালের সময় সে ভাবে দাওয়াতে গেলে পেটের অবস্থা আরো করুণতর হতে পারে। কিন্তু ভাবনাটাকে সে পাত্তা দেয় না। "স্লাইন আর ফিলমেট খায়া নিলেই হইবো, সিদ্দিকের কাছে আছে মনে হয়"। কেনই বা পাত্তা দেবে! পরপর তিন ছুটিতে তিন ইচ্ছা পূরণের ক্ষেত্রে কোন বাধা গ্রাহ্য করা ঠিক হবে না। শব্দ সৃষ্টিকারী মেশিনের দৌরাত্ম বন্ধ করা, যৌনাবেদনময়ী কিশোরীর স্তন দেখা, আর সুস্বাদু কাচ্চি বিরিয়ানির স্বাদ নেয়া, সে চাইলেই যখন হচ্ছে, ছুটির দিনগুলোতে আলাদীনের চেরাগ থেকে দৈত্য বের হয়ে তার পায়ের ওপর পড়ছে, ইচ্ছার বাদশা হবার এই সুযোগ, তা কাকতালীয় বা অলৌকিক যাই হোক না কেন, ছাড়ার সুযোগ করতে যাবে কোন বোকা! হারুন ছাপোষা হতে পারে, তবে বোকা নয় নিশ্চয়ই!
হারুনের ইচ্ছেখাতা বরাবরই নিয়তির পরীক্ষায় ডাব্বা মেরে এসেছে। কম্পিউটারে কিছুদিন মাইক্রোসফ্ট অফিস শিখতে গিয়ে নিজের দোকান দেবার ইচ্ছে ছিলো, হয়নি। এফডিসিতে "নতুন মুখের সন্ধানে" গিয়ে নর্তন-কুর্দন করে রূঢ়ভাবে প্রত্যখ্যাত হয়েছে। আর ফিরোজার পিছুপিছু ঘুরে শেষ গন্তব্যস্থল হিসেবে আবিস্কার করেছে জমকালো কমিউনিটি সেন্টার! শেষতক মার্কেটিংয়ের শ্রমসাধ্য কাজটি দিয়ে এসব ইচ্ছেচড় আড়াল করার বৃথা চেষ্টা করে চলেছে এতদিন। তবে গত কয়েকদিনের কার্যপরিক্রমায় সে আবার নতুন করে ইচ্ছেবইটা সম্পাদন করার সাহস পেয়েছে বটে! তার ইচ্ছাতে থেমে যায় যন্ত্রের কর্কশ শব্দ এবং ধুরন্ধর ব্যক্তিদের ঝগড়া! তার ইচ্ছেতে সফটপর্ন বইয়ের দৃশ্যগুলো বাস্তব এবং স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এখন তার ইচ্ছে করছে নতুন বাড়িঅলার দাওয়াতে কাচ্চি বিরানী সাঁটাতে। ইচ্ছেরা যখন দল বেঁধে আসছেই, পূরণ করার সুযোগটা ছাড়বে কেন সে!
টয়লেট থেকে বাদশাহী ভঙ্গিতে বের হয়ে হারুনে গলায় আদেশসুলভ ভারিক্কি এনে সিদ্দিককে দশটা টাকা দিয়ে সে নির্দেশ দেয়, "একটা স্যালাইন আর ফিলমেট নিয়া আসো, কুইক!"
আলাদীনের চেরাগের তিন ইচ্ছার রূপকথায় সে বিশ্বাস করে না, তবে কায়ক্লেশে কাটানো এ জীবনে তিনের অধিক ইচ্ছাপূরণের ব্যাপারে তার একটা অদ্ভুত আত্মবিশ্বাস জন্মে যায়। রূপকথাকে পাত্তা না দিয়ে এইসব দুপুর-বিকেলের অলৌকিকতা বা কাকতাল তার কাছে অধিকতর বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়।
-কী হইল সিদ্দিক, তোমারে কী কই কানে যায়না?
সিদ্দিক তখন তার নতুন বান্ধবীর সাথে ফোনসেক্সে মত্ত। শুনেও না শোনার ভান করে।
-বাইঞ্চোত একটা!
খিস্তি করে ওঠে হারুন। জোরে কথা বলায় তার আবার বেগ পেয়ে যায়। নাহ, সিদ্দিকের ওপর ভরসা করাটা ঠিক হবে না। ইচ্ছেদুপুরগুলোকে সার্থক করার অন্বেষায় হারুন নিজেই ফার্মেসিতে যায় প্রয়োজনীয় ঔষধ কিনতে। আগামীকাল ছুটি নেই। দৌড়াদৌড়ি করতে হবে অনেক। লাঞ্চে হয়তোবা জুটবে পাউরুটি আর কলা। ইচ্ছেদুপুরের অবাধ স্বাধীনতা এবং প্রাপ্যতা বিকিয়ে দেয়ার কোন মানে হয়না!
দাওয়াতে যেতে একটু দেরী হয়ে গেলে বিরানীর প্যাকেটের বন্টন নিয়ে কিছুটা অসাম্ভব্যতার সৃষ্টি হয়। এ ক্ষেত্রে ভব্যতার ধার না ধেরে হারুন অনেকটা জোর করেই পরিচিত একজনের মারফৎ একটি প্যাকেট কব্জা করে নেয়! পেটের মধ্যে এখনও অবশ্য খাদ্যতন্ত্রগুলো গুরুপাক খাবারের আগমনে অনীষ্ট হবে কী না তা নিয়ে ভীষণ তর্কে মশগুল। তবে অকস্মাৎ ইচ্ছেপূরণের জয়ী আনন্দে হারুণ শারীরিক অবস্থার কথা ভাবা আপাতত উহ্য রাখে। খাবার ইচ্ছের চেয়ে ইচ্ছেপূরণের আনন্দই তার কাছে প্রধান।
আলাদীনের চেরাগ ঘষে তিন ইচ্ছে পূরণের মত করে হারুন ধীরে ধীরে ঘষতে থাকে বিরিয়ানীর প্যাকেট আর ফিলমেট। ইচ্ছেপরিক্রমার মসৃন পথে জোরকদমে হেঁটে আগামী দশদিনের প্রবল পরিশ্রম এবং বকেয়া বিলের কথা কিছুক্ষণের জন্যে হলেও সে ভুলে থাকতে পারে!
হারুনের চোখে বর্ণালীর মত ঘুরতে থাকে ইচ্ছেদুপুরের আনন্দময় স্মৃতিগুলো! বিরিয়ানীর প্যাকেটের হাড্ডি-মাংস আর ডিমের মধ্যে সে ওই দুপুরের অনাবৃতা বালিকা আর বশংবদ ঢালাইযন্ত্রের ছায়া দেখে মিটিমিটি হাসে।
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! শুভভোর।
২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৪৬
নোমান নমি বলেছেন: লিখছেন কবে এইটা? টুইষ্ট আশা করছিলাম খুব। হতাশ হইছি।
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা প্রায় মাস ছয়েক আগে লেখা। বাকি ভাইয়ের তাড়াতে কোনক্রমে একটা গল্প দাঁড় করাইসিলাম তার অনলাইন ম্যাগাজিনের জন্যে। সেটাই একটু এডিট করে দিয়া দিলাম। মূল গল্পটা এখানে
৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৪৭
আদনান০৫০৫ বলেছেন: আমাদের স্বপ্নগুলো- ইচ্ছাগুলো কত ছোট ছোট, কিন্তু তারপরেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপূর্ণ থেকে যায়। নিয়তি...
কিন্তু ইচ্ছের ঘুড়ি অতদূর উড়তে না পেরে মেসের রান্নাঘরের কাঁচকি মাছের কাঁটার সাথে গোত্তা খেয়ে পড়ে যায়।
বিষন্ন হয়ে গেলাম... আকাশের দিকে তাকালাম... আমি খুশি। তারপরেও আমি খুশি।
আনফরগিভেন ৩-র কয়েকটা লাইন মনে পড়ে গেলো -
হাউ ক্যান আই বি লস্ট,
ইফ আই গট নো হোয়ার টু গো।
সার্চ দা সি'জ অফ গোল্ড
হাউ কাম ইট গট সো কল্ড।
ভালো থাকেন হামা ভাই, জানি ঢাকা শহরে এখন অনেক বাড়ি হচ্ছে, সারাদিনরাত যন্ত্রের আওয়াজ... তারপরেও ঘুম ভালো হোক - প্রত্যাশা।
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর কমেন্টের জন্যে শুভেচ্ছা আদনান!
৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:০২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হারুনের ইচ্ছেদুপুর...ভালো লাগলো।
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৪৫
সুখ নাইরে পাগল বলেছেন: দুপুরবেলায় জম্পেশ একটা ভোজের পরে ঘুমের আবেশে চোখ বুঁজে এলে জীবন সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তাগুলো কিছুক্ষণের জন্যে হলেও স্থগিত রাখতে পারে হারুন।
আমি আপনার গল্পের হারুনের পুরাই উল্টা। এই সময়ই দুঃচিনন্তাগুলো বেশি ভর করে।
কক্ষ প্রতিবেশী এইটা আমার ব্যাপক পছন্দ হইছে
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস!
৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৩০
স্বপ্নবাজ শোয়েব বলেছেন: ভাল লাগল
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস শোয়েব!
৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আমাদের মতো সাধারণ মানুষের সাধারণ ইচ্ছেগুলো পুরণ হতে চায় না তাই ই্চ্ছা গুলো অসাধারণ হয়ে ওঠে।
ভালো লাগলো ভাইয়া। সকালে পড়লাম তাই সকালে মতো কমেন্ট।
দুপুরে পড়বো আবার তুখন দুপুরের মতো কমেন্ট করবো
+++++++++
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! ধন্যবাদ বনলতা সেন!
৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪
ফয়সাল হুদা বলেছেন:
সুন্দর হয়েছে।
সমাজটাই ভোগ আর ফিলমেট চেতনার.........
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা ফয়সাল।
৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ইচ্ছা দুপুর এ ভাললাগা রেখে যাচ্ছি ...
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা!
১০| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পকার হামা ভাইয়ের ইচ্ছায় ছাপোষা হারুনের তিনটি ইচ্ছেদুপুর পূর্ণ হইলো
গল্পে জিনিসপত্তর কম থাকলেও বর্ননার মুগ্ধতায় পুষিয়ে গেছে ।
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটা একটা ফরমায়েশে মাত্র দুই ঘন্টায় লেখা। পরে অবশ্য কিছুটা এডিট করেছি। তবে তাতেও বেশি মালমশলা যুক্ত হয়নাই!
ধন্যবাদ মামুন ভাই!
১১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২৫
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সাধারন মানুষের স্বপ্নগুলো ও কত মামুলি।
শুধুই বেচে থাকার পরিশ্রমের সাথে সাংঘর্ষিক একটা কোনরকম আনন্দবোধ দাড়াতে পারলেই হয়।
অনেকদিন পর আপনার গল্প প্রথমপাঠেই বুঝে ফেললাম
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: একদম যথার্থ মন্তব্য! ভালো লাগলো আপনার পাঠ। শুভেচ্ছা।
১২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ''আলাদীনের চেরাগের তিন ইচ্ছার রূপকথায় সে বিশ্বাস করে না, তবে কায়ক্লেশে কাটানো এ জীবনে তিনের অধিক ইচ্ছাপূরণের ব্যাপারে তার একটা অদ্ভুত আত্মবিশ্বাস জন্মে যায়। রূপকথাকে পাত্তা না দিয়ে এইসব দুপুর-বিকেলের অলৌকিকতা বা কাকতাল তার কাছে অধিকতর বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়। '',,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,এক কথায় অসাধারণ,,,,,,,,,,,,,অসাধারণ আপনার লেখনী শক্তি,,,,,,,,,,,স্যালুট
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত হলাম আপনার কথায়।
১৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১১
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
দাগ দিলাম! রাইতে পড়ুম।
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওকে! শুভদুপুর!
১৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৪
মাক্স বলেছেন: বর্ণনামুগ্ধ!!!
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাক্স! শুভদুপুর।
১৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬
মাক্স বলেছেন: শুভ ভ্যাপসাগরম
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: কেবল তো শুরু!
১৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: দুপুরেও পড়লাম ভাইয়া। সকালের মতোই ভাল লাগলো।
শুভ রৌদ্রময় দুপুর!
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো। এখন গল্পে বর্ণিত খাবারদাবারগুলো খেয়ে নিয়ে একটা জম্পেশ ঘুম দিন!
১৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩১
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: স্বাধীন মানুষের যেমন খুশি চাওয়ার গোপন তালিকাটা সোজা হতে পারে, বাঁকা, শ্লীল বা অশালিন, হারুণদের ইচ্ছেগুলো হেরে যায় পরদিনের কাজের তালিকা আর প্রয়োজনের কাছে।
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ইচ্ছেরা পরাভূত হতে পারে, কিন্তু হারুনেরা পরপর কিছু অপ্রত্যাশিত ইচ্ছেপূরণকে চেরাগকর্ম হিসেবে ভাবে না। তারা জানে যে সেই প্রদীপ তার ধরাছোঁয়ার বাইরে। হারুনেরা তাই ইচ্ছের পালক উড়িয়ে দেয় ভরদুপুরে, ছুটির দিনে। অনেক হাওয়া/জল/ ঝড়ের মাঝেও।
শুভদুপুর হাসনাইন!
১৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
শাহেদ খান বলেছেন: ব্লগে গল্প পড়া হয়না, ধৈর্য থাকে না। তবে এই গল্প শুরু করে আর থামতে পারিনি ! ভাল লাগছিল খুব।
তবে শেষটা একদম 'হঠাৎ' মনে হল ! হয়তো আরও কিছুটা আশা করছিলাম।
শুভকামনা অনেক, হাসান ভাই।
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখি, শেষটা নিয়ে কিছু করা যায় কী না! মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ শাহেদ!
১৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:
অনেকদিন পর আপনার লেখা সহজপাঠ্য মনে হল। ভাল্লাগছে।
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মুবিন। শুভেচ্ছা।
২০| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
ডানাহীন বলেছেন: এই প্রথম বোধহয় .. ইচ্ছে পুরনের স্বপ্নে বিভোর, কাকতালীয় প্রাপ্তিতে বুঁদ জীবনের সহজ স্বাভাবিক একটি গল্প পড়লাম যেটা নাকি হামা ভাইয়ের লেখা .. পড়তে ভালোই লাগলো ।
অনেকে হয়ত টুইস্ট , ক্লাইমেক্স না পেয়ে হতাশ হবে, তবে সত্যিকার জীবন তো এমনই ..
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: একটু স্বাদ বদলের চেষ্টা আর কী! আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
শুভকামনা ডানাহীন।
২১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
চমৎকার ঝরঝরে লেখাটা দিয়ে ছুটির সকাল শুরু হলো..........
Happy Easter...
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ কবি। হ্যাপি ইস্টার!
২২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪
প্রকৌশলী আতিক বলেছেন: ১৪ তম ভাললাগা।
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধইন্যা!
২৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
নেক্সাস বলেছেন: ভিন্নমাত্রিক গল্প হাসান ভাই।
আপনার স্বভাবসূলভ লিখার চাইতে বেশ ভিন্ন।
গল্পের ম্যাটেরিয়াল খুব কলেবরপূর্ন না হলেও যথারীতি সুখপাঠ্য।
গল্পে রয়েছে ক্ষয়িষ্ণু জীবনের চাওয়া- পাওয়া- না পাওয়ার বিচিত্র সমীকরণের প্রতি প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত।
অনেক স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত না পাওয়া মানুষগুলোর কাছে যখন কোন ইচ্ছা সত্য হয়ে ধরে দেয় তখন সেটা বিশাল উপভোগ্য হয়ে উঠে।
ভাল লাগা থাকলো সাথে যোগ যংযোগ।
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর পাঠ এবং বিশ্লেষণের জন্যে অনেক ধন্যবাদ নেক্সাস!
২৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: নানা প্রক্রিয়ায় বেঁচে থাকাই সুন্দর একটা স্বপ্ন, সবচেয়ে বড় ইচ্ছে।
ভালো লেগেছে বেশ! তবে ভাই, 'একান্ন' এর টা আমার কাছে বেশি ভালো লাগছে।
গরমের শুভেচ্ছা।
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! একান্নর ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারলাম না।
শুভসন্ধ্যা!
২৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
আমার মনের ভাবনা ডানাহীন বলে দিসে। আমি কিভাবে গুছায়ে লিখবো তা বুঝে উঠতে পার্তেসিলাম না। ধন্যবাদ তাকে।
আপনার একটা লেখা পাইসি বহুদিন পর যেটা পড়ে মাথা আউলা-ঝাউলা হয়নাই ||
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ডানাহীন একজন চমৎকার পাঠক। আউলা ঝাউলা ইজ কামিং সুন! ( হোপ সো)।
শুভসন্ধ্যা!
২৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩
মুনতা বলেছেন: সিম্পল স্টোরি। নো প্যাচগোজ।
ভাল লাগলো।
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মুনতা!
২৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১১
মামুন হতভাগা বলেছেন: পড়লাম
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
২৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৮
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
হা-মা ভাই, গল্পে আপনার শব্দদের যে মাদকতা থাকে কিংবা বর্ণনার যে গতি থাকে তা পেলাম না মনে হচ্ছে। জানি না, আমি ডিস্টার্ব হয়ে পড়ার কারনে এমন হইছে কিনা!
আবার কামলারা নিশ্চয়ই ব্লেম শব্দটা ব্যবহার করার কথা না।
হা-মা ভাই, মানে যা বুঝতাম, তা পেলাম না এই গল্পে।
স্যরি হা-মা ভাই, ক্রিটিকের মতো বলছি মনে হচ্ছে
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ক্রিটিকের মত বলবেন, এতে স্যরি বলার কী আছে! আমি জানি এই গল্পটা আমার অন্যান্য গল্পের থেকে আলাদা। এটা আসলে ফরমায়েশী গল্প ছিল। বাকি ভাই তার অনলাইন ম্যাগাজিনের জন্যে লেখা দিতে বলেছিলো। মাত্র দুই ঘন্টায় লেখাটা শেষ করসি। তাই এটা আমার ট্র্যাকের হয়নি। এভাবে লিখে আমি অভ্যস্ত না। প্রায় মাস ছয়েক আগের লেখা হবে। ভাবলাম দিয়েই দিই! পাঠকেরাও একটু অন্য স্বাদ পাক!
শুভেচ্ছা আলাউদ্দিন।
২৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৩
সায়েম মুন বলেছেন:
হারুনের চোখে বর্ণালীর মত ঘুরতে থাকে ইচ্ছেদুপুরের আনন্দময় স্মৃতিগুলো! বিরিয়ানীর প্যাকেটের হাড্ডি-মাংস আর ডিমের মধ্যে সে ওই দুপুরের অনাবৃতা বালিকা আর বশংবদ ঢালাইযন্ত্রের ছায়া দেখে মিটিমিটি হাসে।
----লাস্ট লাইন পড়ে আমিও খানিক হাসলাম।
আপনার লেখা অন্যতম সরল গল্প।
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু এবং একমত!
৩০| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩১
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আপনার ওয়ান্টেড পড়া শুরু করসিলাম, বাট এখন খুঁজে পাচ্ছি না। যদি কষ্ট করে লিংক দিতেন।
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: Click This Link
৩১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১০
শান্তা273 বলেছেন: দুপুরবেলায় জম্পেশ একটা ভোজের পরে ঘুমের আবেশে চোখ বুঁজে এলে জীবন সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তাগুলো কিছুক্ষণের জন্যে হলেও স্থগিত রাখতে পারে হারুন।
আমার অবস্থা ও আপনার গল্পের হারুনের মতই।
নেতিবাচক চিন্তাতো থাকেই না বরং মনের মধ্যে একটা শান্তি শান্তি ভাব চলে আসে।
আপনার ভিন্নমাত্রিক সহজ সরল গল্প ভালো লেগেছে।
আর আউলা ঝাউলার অপেক্ষায় থাকলাম।
শুভ কামনা।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আউলা ঝাউলা লিখতেই বেশি ভালো লাগে। তবে আপাতত থিম সংকটে ভুগছি। আশা করি শীঘ্রই এর অবসান হবে।
শুভরাত্রি শান্তা।
৩২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২২
আমি তুমি আমরা বলেছেন: কদম স্ট্রেইট ফ্রোয়ার্ড গল্প, ভাল লাগল
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভরাত্রি।
৩৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৪
রোমেন রুমি বলেছেন: বাবা আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন দেখিস একদিন আমরাও .........।।
কোনদিন কে জানে ?
আদৌ কোনদিন ...............
তবু ইচ্ছে দুপুরগুলো অন্তত থাকুক ।
শুভ রাত্রি বস ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত্রি রুমি। ভালো থাকবেন।
৩৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভাই আমি এটার কথা বলেছিলাম।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওহ! সবাই বলছিলো ওটায় নাকি বেশি তাড়াহুড়োর ছাপ। তাই সম্পাদনা করেছি। তবে ঐটার ফিনিশিংটা আমার বেশি পছন্দ!
শুভভোর!
৩৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:২৬
এম হুসাইন বলেছেন: এখন পড়লাম,
বরাবরের মতই চমৎকৃত হলাম অন্যরকম ভাললাগায়।
ইচ্ছেদুপুর............
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভভোর।
৩৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
অদৃশ্য বলেছেন:
হাসান ভাই
সিম্পলি লিখাটি ভালো লেগেছে....
শুভকামনা....
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অদৃশ্য। শুভদুপুর।
৩৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
নস্টালজিক বলেছেন: লেখাটা আগে পড়সিলাম না?
ভালো হইসে!
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আগে পড়সিলা, তবে সেটা সংক্ষিপ্ত ছিলো। তখন ভালো বলোনাই তেংস!
৩৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে দুচারটে অভিযোগ করতে চাইছিলাম, তা দেখি আগেই সেগুলোর উত্থাপন এবং সমাধানকরণ সম্পন্ন! যাই হোক, কমেন্ট পড়ে লাভ হোল।
ভাল প্রচেষ্টা। তারাশঙ্কর তার 'কবি' উপন্যাসের কারণে তৎকালীন সুশীল সমাজের তথা সমালোচকদের একটি অংশের কাছে ভালই ঠ্যালাগুঁতো খেয়েছিলেন। সামহ্যোয়ারে তেমন সমালোচক কেউ আছেন কি?
আর ভাল প্রচেষ্টাকে প্রাপ্য প্লাস দ্বারা ভূষিত করলাম।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: তারাশঙ্করের 'কবি' উপন্যাস নিয়ে সমালোচনার ব্যাপারটা ঠিক জানা নাই। গল্পটা দিয়ে ভালোই করেছি। দিবো কী না এ নিয়ে সংশয়ে ছিলাম। এখন পাঠকদের তিতামিঠা মন্তব্য বেশ ভালোই লাগছে। প্লাসের জন্যে অনেক ধন্যবাদ!
৩৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩০
সোহাগ সকাল বলেছেন: এখানে হারুনেদের স্বপ্নেরা ঘুরেফিরে মরে যায়।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: তারপরেও বাঁচিয়ে রাখার নতুন সব ফন্দী করে চলে।
ধন্যবাদ সোহাগ।
জন্মদিনের বিলম্বিত শুভেচ্ছা।
৪০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫১
নস্টালজিক বলেছেন: এখনও বেশি ভালো লাগে নাই!
তবে কোলকাতার কাচ্চি খাওয়ালে ভেবে দেখতে পারি!
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই লেখার মধ্যেই অনেক খাওন দাওন আছে। ঐগুলাই খাও
৪১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৭
ফালতু বালক বলেছেন: ভালোই তো লাগছে।
আপনার গল্প পড়লেই গল্প লিখতে ইচ্ছা করে।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! লিখুন। আমারও পড়তে ইচ্ছে করছে।
৪২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৩
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
গল্প পড়ে ভাল লাগছে অন্তত আগের কিছু গল্পের মত কঠিন ছিল না
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: তারমানে কঠিন মানেই খ্রাপ! কিন্তু এই সহজ গল্পটা কিন্তু আমার সবচেয়ে অগুরুত্বপূর্ণ, হারিয়ে যাওয়া গল্পগুলোর মধ্যে স্থান পাবে মনে হচ্ছে।
শুভরাত্রি!
৪৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৩
আশিক মাসুম বলেছেন: hahahaha its me , the hero oh 50000
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ৫০,০০০ তো এখনও হয়নাই!
৪৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৫
আশিক মাসুম বলেছেন: আপনার লিখা খুব ভাল লাগে, বরাবরের মতই ঘোর লাগা লিখনি
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
৪৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৭
আশিক মাসুম বলেছেন: হয় নাই আমি করুম সে জনয় রেডি ঠাকলাম
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা, কইরেন। শুভকামনা।
৪৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৭
স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: দেরি করে ফেললাম
আপনার অন্য সব লেখার চাইতে ভিন্ন। বেশ ভালো লেগেছে।
আমাদের ইচ্ছে গুলো অনেকটা এভাবেই জোর করে পূরণ করি।
ইচ্ছের বাদশা আমি, আবেগের দারোয়ান (লাইনটা সম্ভবত অর্থহীন এর কোন একটা গানের) ।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! হ্যাঁ, লাইনটা অর্থহীনের ত্রিমাত্রিক এ্যালবামে ছিল। সেখানে জন,লিংকন, রাফা, সুমন সবাই গাইসিলো আর আরো অনেকেই বাজাইসিলো, ভিন্ন ব্যান্ডের। জোস একটা গান!
শুভরাত্রি।
৪৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০৪
স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: হ্যা এখন মনে পড়েছে ।
ত্রিমাত্রিকের বেশিরভাগ গানই জোস ছিল। অনেকদিন গান গুলো শোনা হয়না।
কিছুদিন থেকে পুরাতন গানগুলো নতুন করে শুনতেছি। ব্ল্যাক "আমার পৃথিবী" আর "উৎসবের পর" বেশি শোনা হচ্ছে।
শুভরাত্রি, ভালো থাকবেন।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি ব্ল্যাকের লাস্ট সেল্ফ টাইটেলড এ্যালবামটা বেশি শুনছি এখন।
শুভরাত্রি।
৪৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:০৩
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: এই গল্পটা অন্যরকম, ঠিক আপনার মত নয়! আপনার লেখনী বেশ ভালো লাগে হাসান ভাই। আরও পড়তে চাই!
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও লিখতে চাই। অনেক ধন্যবাদ! শুভসকাল।
৪৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫২
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ভাবছিলাম শেষে মারাত্মক একটা টুইস্ট দিয়ে আক্কেল গুড়ুম করে দিবেন। কিন্তু পেলাম না! আর না পেয়েই বুঝলাম এই না পাওয়াটাই হল টুইস্ট! পাঠক যেভাবে চিন্তা করে, আপনি চিন্তা করেছেন তার উল্টোটা!
পেট খারাপ অথচ দাওয়াত মিস করিনি এমন ঘটনা কয়েকবার ঘটছে আমার ক্ষেত্রে। প্রতিবারই দাওয়াত খেয়ে এসে পেটের ব্যাথায় দুই চার দিন আর নড়া চড়া করতে পারি নাই!
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! আসলে টুইস্টের কথা মাথায় রেখে গল্পটা সাজাইনি। একজন সাধারণ মানুষের একঘেয়ে দৈনন্দিন, অপ্রত্যাশিত স্বপ্নপূরণ এসবই! আপনি দেখি ভালো খাদক! আমিও অবশ্য!
৫০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
প্যাপিলন বলেছেন: এই হারুণ ভেতরে আমার অনেকটা দেখতে পেয়েছি। কিঙবা আমাদের সকলের এক এক টুকরো নিয়ে হারুন আমাদেরই হয়ে ইচ্ছে দুপুর উপভোগ করছে........দারুণ
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন প্যাপিলন।
৫১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
গোলাপি রাজকন্যা বলেছেন: মাত্র দুই ঘন্টায় খুব সুন্দর একটা জিনিস বানাছেন দেখছি!!
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! পরে অবশ্য বেশ খানিকটা এডিট করা হয়েছে!
৫২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭
মাক্স বলেছেন: অভিনন্দনপার্ক!
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ৫০,০০০ তম মন্তব্য হয়েই গেল অবশেষে! নিজেরেই নিজে অভিনন্দন দেই। আপনারেও!
৫৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
মাক্স বলেছেন: উপরের মন্তব্যটা অনেক হিসাব করে করসি। যদি অন্য কারো পোস্টে কমেন্ট না সিরিয়ালি জবাব দেয়া শুরু করেন তবে আমার মন্তব্যটার জবাব দিলেই ৫০০০০ তম মন্তব্য পূর্ণ হবে। ইতিহাসের অংশ হয়ে রইলাম!
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুণ ক্যালকুলেশন! স্ক্রিনশট নিয়া রাখলাম।
৫৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১০
ইখতামিন বলেছেন:
অনেক অনেক ভালো লাগলো.
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। প্রোপিকটা চেঞ্জ করেন না!
৫৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮
সোমহেপি বলেছেন: সহজ ভাষার সহজ গল্প।
কিছুটা কঠিনও বটে।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: সহজ আবার কঠিন, আসলে কী?
৫৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯
অনাহূত বলেছেন: ইচ্ছেদুপুর
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভসন্ধ্যা অর্ণব!
৫৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
মাক্স বলেছেন: হা হা হা অবশেষে পঞ্চাশহাজার তম মন্তব্য আমারটার জবাব দিয়েই হল?
আবারও অভিনন্দন ভাই!
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: হয়েই গেল! আমি কিন্তু বেশ নার্ভাস ছিলাম হাহাহা! বিশাল ব্যাপার।
৫৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
আমি তুমি আমরা বলেছেন: সামুর প্রথম ব্লগার হিসেবে, খালি সামু কেন, আমার ধারনা বাংলা ব্লগের ইতিহাসে প্রথম ব্লগার হিসেবে ৫০০০০ কমেন্ট পূর্ন করায় আপনাকে অভিনন্দন
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ আমিই প্রথম অনেক ধন্যবাদ!
৫৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫
রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: অসাধারন...............
অনেক অনেক সুন্দর একটা পোস্ট।
লেখায়++++++++++++++++++++++
অনেক ভালো লাগা রেখে গেলাম।
শুভ কামনা রইলো।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রোকেয়া। শুভরাত্রি।
৬০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
মিঠেল রোদ বলেছেন: ইচ্ছে দুপুর।
দারুন ভাল লাগা।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৬১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৯
মিনাক্ষী বলেছেন: ভালো লাগসে অনেক। সোজা সোজা কথা। হি হি হি।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: এহন্থিকা এমুনি লিখুম নাকি? ধৈন্যা!
৬২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪১
রাহি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রাহি।
৬৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:২১
রুমানবিডি বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনার লেখা পড়লাম ।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রুমান। স্বাগতম সবসময়।
৬৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস!
৬৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৪
সানজিদা হোসেন বলেছেন: সুন্দর
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সানজিদা!
৬৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৬
সালমাহ্যাপী বলেছেন: বেশ কয়েকদিন আগে এসে গল্পটা পড়ে গিয়েছিলাম কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি।
আপনার অন্যান্য লেখা বুঝতে হলে তিন চারবার পড়তে হয় তবে এই গল্পটা বেশ সহজেই বুঝতে পেরেছি।
ভালো লাগা
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সালমা! শুভরাত্রি।
৬৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩০
অচিন্ত্য বলেছেন: আপনার লেখায় সব সময়ই একটা মনোজাগতিক অন্বেষণ থাকে। শব্দরা যেন বেরিয়ে পড়ে অলিগলিতে; খুঁজে পায় সেইসব যা সজ্ঞানে আমরা জানিনা বা বিশ্বাস করতে চাই না। এই অন্বেষণ সবাই করতে পারে না। কেউ কেউ পারে।
স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছি বার বার অবাক করার আপনার বিশেষ ক্ষমতাটি নিশ্চয়ই একটি চেরাগি ক্ষমতা ! হাহ হাহ। আপনার রচনাশৈলীতে বার বার অবাক হয়ে যাই। এখানে বলে রাখি আপনার লেখাকে ‘গল্প’জনরায় ফেলতে পারি কিনা আমি ঠিক নিশ্চিত নই। আপনার লেখা আমার কাছে এত স্বতন্ত্র লাগে যে এদেরকে প্রচলিত কোন জনরায় ফেলতে একটু দ্বিধা হয়। তারপরও মন্তব্যের সুবিধার্থে, এবং সর্বোপরি এ বিষয়ে আপনার ধারণা জানার আগ পর্যন্ত, ‘গল্প’ বলেই চালানো যাক।
এই লেখাটি সময়ের অভাবে আমি মাত্র একবারই পড়েছি। খেয়াল করার মত বিষয়, গল্পের সেটিং একটি মাত্র রুম এবং খুব বড়জোর পড়শির রুম, জানালার ওপারের একটি দৃশ্য, ফার্মেসিতে ক্ষণকাল এবং পাশের বাড়ির একটি মুহূর্ত। এই বদ্ধ সেটিং গল্পখানির বিষয়বস্তুর সঙ্গে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়েছে। ছাপোষা অপূর্ণ ইচ্ছা এবং জীবিকা-জীবন টানাপোড়েন নিঃসন্দেহে একটি সাফোকেশন তৈরি করে। এই সেটিং পাঠককে সেই সাফোকেশনের ভেতর টেনে নিয়ে যায়। ‘ইচ্ছা’ কথাটিকে নানা উপমায় রঙিন করে তোলা হয়েছে। কখনো সে ঘুড়ি হয়ে গুত্তা খায়, কখনো বই হয়ে সম্পাদিত হয়। এই রঙিনায়ন প্রক্রিয়াটি যদিও কথকের বর্ণনার অংশ, এর সাথে মূল চরিত্রটির ইচ্ছা-যাপনের প্রবৃত্তিটির সম্পর্ক রয়েছে। গল্পের বিষয়বস্তুর সঙ্গে তার বুননের এই চমৎকার ঐক্য আপনার গল্পদের আমার কাছে অনেক বেশি সুন্দর করে তোলে।
ভাল থাকুন। কথা হবে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অচিন্ত্য! আমার গল্পে সাধারণত সে অর্থে 'গল্প' থাকে না। কাহিনী থাকে না। আমি মনে করি আধুনিক ছোটগল্পকে তার যথাযথ আশ্রয় খুঁজে নিতে এই ধরণের লেখার (যাকে আপনি আমার স্বকীয়তা বলছেন, সম্মানিত) সরণাপন্ন হতে হয়। আমি চাই সবখান থেকে গল্প বের করে আনতে। এই গল্পটা লেখার আগে আমাদের বাসার পাশে গল্পে উল্লেখিত মেশিনের শব্দসন্ত্রাস সহ্য করতে হয়েছে সারাদিন। এই মেশিনটা, এই শব্দটা কি কোন গল্প হতে পারে? এদেরকে নিয়ে কোন গল্প হতে পারে? ভাবতে গেলে আরো অনুষঙ্গ চলে আসে। শব্দ এবং যন্ত্রের সাথে যুক্ত করলাম আমার এটা থেকে নিস্কৃতি পাওয়ার ইচ্ছা। তার সাথে হারুনও যোগ দিল।
এই গল্পটা প্রথমে যখন লিখি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ছিল। পরে কিছু শুভানুধ্যায়ীর পরামর্শে বিবর্ধিত করে ব্লগে দিই। প্রথমে লেখা গল্পটা পাবেন এখানে ।
শুভদুপুর। কথা হবে।
৬৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: তরতাজা অবস্থাতেই পর্সিলাম। মনে নাই, ভালোলাগা জানায়া গেসি কিনা ।
আজকে আবার পর্লাম, জানায়া গেলাম। ও হ্যা, শাহাদুজ্জামানের একটা অস্থির গল্প মনে হয় আপনার পড়া থাকবে - "হারুনের মঙ্গল হোক"
আপনার গল্প পড়ার সময় বারবার এই কথা মনে হচ্ছিল
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: হারুনের মঙ্গল হোক! ভুলে গেসিলাম গল্পটার কথা। ঐ যে একটা ছেলে কনডম কোম্পানীতে কাজ করত না? দারুণ গল্প! ঐ হারুনের সাথে এর কিছুটা মিল আছে বটে!
থেংকিউ!
৬৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৩
ভিয়েনাস বলেছেন: জীবনের হাজারো না পাওয়ার মাঝে যদি অল্প কিছু পাওয়া আসে তবে সেগুলো আমরা ইচ্ছেঘুড়ির মতো ছেড়ে দিয়ে নাটাই হাতে রেখে বিভিন্ন ভাবে উপোভোগ্য করার চেষ্টা করি।
ভালো লাগা জানালাম
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ ভিয়েনাস!
৭০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৫
ভিয়েনাস বলেছেন: ৫০০০০ তম কমেন্টের জন্য অভিনন্দন হামা ভাই
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু!
৭১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০৭
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: ভালো লাগল এই মন্তব্য করতে করতে বোরিং হয়ে গেলাম হাসান ভাই...ঘটনা টা হল ভালো বলা ছাড়া উপায় নাই......
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: উপায় বাইর করতে হবে তুহিন! শুভরাত্রি!
৭২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৭
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ঢুকেছিলাম যথারীতি কঠিন একটি গল্পের মুখোমুখি হব এটা ভেবে। কিন্তু দেখলাম কিছুটা আমি টাইপ সাধারন গল্প, যদিও লেখকের গুনে সাধারনই অসাধারন হয়ে উঠে......
এই লাইনটিতে মজা পেয়েছি : "আর ফিরোজার পিছুপিছু ঘুরে শেষ গন্তব্যস্থল হিসেবে আবিস্কার করেছে জমকালো কমিউনিটি সেন্টার!"
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: সাধারণ থিম বা জটিল, পাঠে আনন্দটাই বড় কথা! আপনাদের ভালো লাগলেই আমার লেখা সার্থক। লেখালেখি বিষয়ক চিন্তাভাবনায় কিছুটা পরিবর্তন আসছে মনে হয় আমার।
৭৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
নক্ষত্রচারী বলেছেন: পড়লাম ! যদিও অনেক দেরীতে ।
জীবনের ইচ্ছা অনিচ্ছা, পাওয়া না পাওয়ার খণ্ডচিত্র । একজন হারুন । চিত্রায়ন আরো বেশি করতে পারতেন, ছোট হয়া গ্যাছে । তবে ভালো লাগসে ।
শুভকামনা ।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা আরো ছোট ছিল। প্রথমবার যখন একজনের ফরমায়েশে লিখি তখন ৮৭০ শব্দ হইসিল মাত্র। তারপর টাইনাটুনা ১৫০০ এর মত বানাইসি।
শুভদুপুর রাফি!
৭৪| ০২ রা মে, ২০১৩ সকাল ১১:২৪
এরিস বলেছেন: আকাঙ্খা আর অক্ষমতার চিরন্তন দ্বন্দ্ব। খুব ভাল লাগলো পড়ে। ++++
০২ রা মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এরিস!
৭৫| ১০ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: অনেক দিন পর হামা ভাইর একটা লেখা আমি কোন প্রকার কষ্ট ছাড়াই পড়লাম
১০ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: গুড গুড! পড়াশোনা নিয়মিত হোক এখন থেকে
৭৬| ১১ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
আমিনুর রহমান বলেছেন:
সুন্দর বর্ণনাময় এক নিমিষে পড়ে ফেলা গল্পে আরো বেশী কিছু আশা করছিলাম। গল্পে কি জানি নাই নাই মনে হচ্ছে
১১ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: এরকম মনে হবার কারণ হল, এটা একটা ফরমায়েশী গল্প ছিল। একজনের তাগাদায় তাড়াহুড়া করে লেখা। পরে অবশ্য সাইজ করার চেষ্টা করসি...
অনেক ধন্যবাদ! শুভদুপুর।
৭৭| ১২ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:০৪
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: এক্সপেক্টশন ওয়াইজ হয় নাই
১২ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: এক্সপেকটেশন 'জ্ঞানী' হয়নাই?
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:২৯
এম হুসাইন বলেছেন: ১ম +++++++++++++ দিয়া গেলাম, পইড়া মন্তব্য করুম ......