নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সীমা দ্রুত পা চালিয়ে চলছে। আজ বাড়ি ফিরতে দেরী হয়ে গেছে তার। পৌরসভার স্থাপিত স্ট্রিটল্যাম্পগুলো সব বিকল হয়ে বসে আছে যেন ভয়ার্ত পরিস্থিতির সাথে আঁতাত করবে বলে। নির্জন, অন্ধকার রাস্তায় জনমনিষ্যির চিহ্ন নেই। কোত্থেকে এক মাতাল হেঁড়ে গলায় গান গাইতে গাইতে তার পিছু নিয়েছে। লক্ষণ মোটেই সুবিধের মনে হচ্ছেনা। কেন যে শর্টকাটে পথ পেরুতে গিয়ে এ রাস্তাটা বেছে নিয়েছিলো! তবে ভয় নেই, নিজেকে আশ্বাস দেয় সীমা। আর কিছুদূর, দ্রুত পায়ে হেঁটে চললে বিশ কদম লাগবে হয়তো, তারপরেই এই ভীতি জাগানিয়া অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে সে। বাঁক পেরুলেই সামনে যে রাস্তাটা পড়বে, তা এত নির্জন না। দোকানপাটও আছে বেশ কিছু সেখানে, আলো আছে, মানুষজন আছে। সীমা তার চলার গতি বাড়িয়ে দেয় আরো। এত দ্রুত হেঁটে তার অভ্যেস নেই, ব্যথায় পা টনটন করছে। মাতালটা আরো এগিয়ে আসছে নাকি! সীমা সভয়ে পেছন ফিরে তাকাতেই প্রচন্ড একটা চড়ের ধাক্কায় হুমড়ি খেয়ে পড়ল একটা ম্যানহোলের ঢাকনার ওপর।
"বেসামাল মাল তুমি ডার্লিং! তোমাকে আজকে আরো বেসামাল করব"
বলে লোকটা তার মুখ চেপে ধরে আর অদ্ভুত একরকম শব্দ করে হাসতে থাকে। এমন হাসতে কাউকে কখনও শোনেনি সীমা। চিৎকার করে সাহায্য চাওয়ারও আর কোন উপায় থাকেনা তার। এই অসহায়ত্বের পূর্ণ সুযোগ নিতে তৎপর হয়ে হামলে পড়ে লোকটা তার ওপর। ক্ষীণ শরীরের একজন অষ্টাদশী তরুণী যৌন জিঘাংসায় উন্মুখ মাতাল দশাসই পুরুষের সাথে পারবে কী করে? তারপরেও সীমা চেষ্টা করে নিজেকে চরম অপমান আর লাঞ্চনা থেকে রক্ষা করতে। পাষন্ড লোকটার অন্ডকোষে কষে একটা লাথি লাগাতে চায় সে, কিন্তু তা যথাস্থানে না লেগে উরুর মাংসল পেশীতে আদরের পরশ বুলিয়ে যায় যেন! ফলে ব্যথায় কাতর হবার বদলে লোকটা আরো উন্মত্ত এবং উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তার পাশবিকতা নতুন মাত্রা পায়।
"বেসামাল আচরণ কইরনা আমার লগে সোনা! আমি তোমার চেয়ে অনেক বেশি বেসামাল!"
মদের বোতলে শেষ চুমুকটি দিয়ে ছুড়ে ফেলে লোকটা তার কথার যথার্থতা প্রমাণে ব্যতিব্যস্ত হয়। সজোরে সীমার মাথা ঠুকে দেয় ধান্দাবাজ প্রকৌশলীর কর্মসাক্ষী হয়ে থাকা এবড়ো থেবড়ো ভাঙাচুরা রাস্তায়। প্রচন্ড আঘাতে ককিয়ে ওঠে সীমা। কিন্তু মুখ চেপে রাখার ফলে চিৎকার করতে পারে না। আরো একটা অনুরূপ আঘাতের পর সে নিস্তেজ হয়ে যায়। জ্ঞান হারানোর আগে প্রচন্ড অপমান আর ব্যথাকে সাক্ষী করে সে প্রতিজ্ঞা করে "প্রতিশোধ নেব আমি, যদি বেঁচে থাকি।"
অবশ্য সেই প্রবল যন্ত্রণাময় মুহূর্তে তালগোল পাকিয়ে আসা চিন্তা এবং দৃষ্টিশক্তি নিভে থাকা স্ট্রিটল্যাম্পগুলোর মতই অন্ধকার হয়ে যাচ্ছিল বলে সে তার প্রতিজ্ঞার খামতির দিকটা ঠাহর করতে পারে নি। এই অন্ধকার, এই গহীন অন্ধকারে আক্রমণকারী এবং ধর্ষকের চেহারা বা আকৃতি কোনটাই সে আঁচ করতে পারেনি। পরেরদিন খবরের কাগজে হয়তোবা তার ধর্ষিত হবার খবর বেশ বিতং করে ছাপা হবে, ধর্ষকের নাম এবং ছবি যথারীতি উহ্য থাকবে। সীমার পরিবারও আর দশটা বাঙালি পরিবারের থেকে আলাদা না যে, অপরাধীর তত্ত্বতালাশ করে তাকে বিচারের সম্মুখীন করতে ব্যবস্থা নেবে। উল্টো তারা বরং রাত করে বাড়ি ফেরার কারণে প্রতিবেশী এবং স্বজনদের টিটকিরি ও ভর্ৎসনায় জেরবার হয়ে সীমাকেই দোষারোপ করবে। এতে অবশ্য একদিক দিয়ে ভালোই হবে তার। সুরতহাল প্রতিবেদনে সরস বর্ণনার ফাঁদে তাকে পড়তে হবেনা, ধর্ষণের সময় তার পরনে কী ছিলো, ধর্ষক তার স্পর্শকাতর কোন কোন অঙ্গে কীভাবে অঙ্গচালনা করেছিলো, এসব প্রশ্ন থেকে নিস্কৃতি পাওয়া যাবে। তারপরেও, উপর্যুপরি আঘাতে পর্যুদস্ত এবং কামনার অগ্নিতে ভস্মীভূত হবার আগে সীমা শুধুমাত্র একটা কথাই ভেবেছিলো "যদি বেঁচে থাকি, প্রতিশোধ আমি নিয়েই ছাড়বো!"।
*
সীমা বেঁচে আছে। তার ক্ষীন শরীর অতগুলো আঘাত সয়ে নিয়ে, মুখে কপালে কিছু দাগস্মৃতি বহন করে দিব্যি বেঁচে আছে অপরিসীম প্রানশক্তিকে সম্বল করে। ভাগ্যক্রমে তার ধর্ষিত হবার খবর সংবাদপত্র বা কোটকাচাড়িতক যায়নি। প্রায় দুপক্ষকাল হাসপাতালে আঘাতগুলো পরিচর্যার জন্যে থাকতে হয়েছিলো তাকে। চিকিৎসকদের চোখে সীমার ধর্ষিত হবার আলামতগুলো ধরা পড়লেও তার পরিবারের অনুরোধে সে খবর বাইরে প্রকাশিত হয়নি। অবশেষে যথাযথ চিকিৎসাপর্ব এবং গোপনীয়তার সুচারূ সমণ্বয়ে সীমার ঘটনাটিকে বেখেয়ালে ঘটে যাওয়া একটি সড়ক দূর্ঘটনা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হয়, এবং তার গৃহাগমননের সময় পাড়াপ্রতিবেশী-আত্মীয়স্বজনদের ডেকে একটি উৎসব এবং প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজনের মাধ্যমে ব্যাপারটিকে পুরোপুরি ধামাচাপা দিতে পেরে তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। কে জানে তৃপ্তির হাসিও হাসেন কী না!
এসব হাসির হিমছুরি, গোপনীয়তার সদম্ভ চাবুক, নির্লজ্জ স্বস্তির বিকৃত ফ্ল্যাশিং সীমাকে অনেকটাই নীরব এবং সংকুচিত করে ফেলে। মাঝেমধ্যে গুমড়ে থাকা ক্রোধ প্রতিশোধের স্ফুলিঙ্গ হয়ে ফুঁসে উঠতে চাইলেও পরিস্থিতি বিবেচনা করে সে বুঝতে পারে তার এই স্পৃহা কতখানি প্রতিবন্ধকতা দিয়ে আবৃত। সে লোকটির চেহারা মনে করতে পারে না, শারীরিক অবয়বও খেয়াল করে উঠতে পারেনি ভালোমত সেই অন্ধকারে। শুধু মনে আছে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি শব্দ। মদ্যজড়িত কামুক গলায় উচ্চারিত কয়েকটি শব্দ "বেসামাল মাল, ডার্লিং"। কন্ঠস্বরটা সেই মুহূর্তে তার মনে ছিল, কিন্তু কালিক বিবর্তনে এখন তা গতানুগতিক বাংলা সিনেমার ধর্ষণোদ্যত খলনায়কের সংলাপের মতই কানে বাজে। আলাদা করে ভাবার উপায় নেই। কোথাও থেকে কোন সহায়তা না পেয়ে সীমার প্রতিশোধের ইচ্ছেটা ক্রমশ সীমাবন্দী হতে থাকে। দিনদিন কমতে থাকে সেই সীমার পরিধি।
*
বছর পাঁচেক পরে, যখন সেই ভয়াবহ স্মৃতিটি অন্যান্য স্বাভাবিক রুটিন দুঃস্বপ্নের মত একটি প্রাকৃতিক নিয়মে পরিণত হয়েছে, এবং সীমাও এতে মোটামুটি অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে , তখন প্রতিশোধের চিন্তা প্রতিস্থাপিত হতে থাকে মুখমন্ডলে আঘাতজনিত দাগগুলো কীভাবে নির্মূল করা যায় তা দিয়ে। তার ঘনিষ্ট কিছু বন্ধু অবশ্য জানে দাগগুলোর উৎসকথা। সময়ের সাথে সাথে তীব্র প্রতিশোধস্পৃহা রূপান্তরিত হয় গ্রহণযোগ্য মাত্রার মর্মবেদনায়। নিঃসঙ্গ এবং অবান্ধব সেই প্রতিকূল কাল ধীরে ধীরে কেটে যেতে থাকে বন্ধুদের সংস্পর্শে। এমন ঘটনার সম্মুখীন অনেক মেয়েকেই চিরজীবনের জন্যে পুরুষবিদ্বেষী এবং প্রেমপরিপন্থী আচরণ করতে দেখা যায়। সীমার ক্ষেত্রে তা হতে গিয়েও হয়নি। এজন্যে সে ধন্যবাদ জানায় ভাগ্য এবং বিশেষ করে ঘনিষ্ট বন্ধুদের। যাদের কারনে সেই অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব হয়েছে। আজ সে চিবুক এবং ললাটে লেগে থাকা দাগ মুছে ফেলতে কোন ডাক্তারের কাছে যাওয়া ভালো, এ আলোচনা করতে করতে অতীতের দুঃস্মৃতিকাল স্মরণ করে প্রিয় বন্ধুর কাঁধে মাথা রেখে কাঁদতে পারে। কাঁদতে কাঁদতে অনেকসময় চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা ফিরে আসে আবার, চোখমুখ শক্ত করে ফিসফিসিয়ে, হিসহিসিয়ে নিজেকে মনে করিয়ে দেয়, "যদি বেঁচে থাকো, প্রতিশোধ তুমি নেবেই"। তার প্রিয় বন্ধু শম্পা এসব দেখেশুনে নিজেকে প্রবোধ দেয়, ভাগ্যিস এমন কিছু তার জীবনে ঘটেনি। ভীত হয়, ঘটতেও পারে ভেবে, সেইসাথে সীমার জন্যে তার ভেতরে গভীর সমবেদনা এবং মমত্ববোধ সৃষ্টি হয়। এসমস্ত সময়ে পরিস্থিতি হালকা করার জন্যে সে লঘু কোন আশাপ্রদ বিষয়ের অবতারণা করে। যেমন, কীভাবে একজন সুপুরুষ, হৃদয়বান প্রেমিকের আগমন সবকিছু বদলে দেবে, কীভাবে তাদের প্রেমগুঞ্জনে সবাই অতিষ্ট হয়ে উঠবে ইত্যাদি! সীমাও বেশ আগ্রহ ভরে শুনতে থাকে। কল্পনার অশ্বগতি অতিক্রম করে ফেলে অতীতের দুঃস্মৃতিদলকে। ভয়ও হয়, কল্পনার উড়ালপথ বাস্তবে এসে মিললে সে যদি লাগাম ছিড়ে পড়ে যায়? সেইজন তাকে ওঠাবেতো? নাকি সেই কালোরাতের পাশবিকতা স্টিমরোলারের মত তাকে পিষেই যাবে? নেতিবাচক চিন্তাটা মাথায় আসতেই উবে যায় সব সুখকল্পনা। শম্পাকে বলা বৃথা। সে মনে মনে আবারও উচ্চারণ করে দৃপ্তস্বরে,
"প্রতিশোধ! প্রতিশোধ নিতেই হবে তোমাকে!"।
*
-সীমা, প্রতিশোধ নেবার সুযোগ কখনও আসবে কী না জানি না, কিন্তু যদি কখনও আসে, আমাকে পাশে পাবে তুমি। তোমার কাছে আমার অনুরোধ, একা একা প্রতিশোধ নিওনা। ওই পশুটাকে একবার যদি পাই...মাদারচোৎ!
বেশি রেগে গেলে মুখ খারাপ করে বসা শাহেদের স্বভাব। এতে সীমা প্রথমদিকে আপত্তি করলেও এখন সে জানে গনগনে রাগের চুল্লিটাকে হাওয়া দেবার জন্যে মাঝেমধ্যে খিস্তি করাটা বেশ ভালো কাজে দেয়। তাই এখন আর সে শাহেদকে বাধা দেয়না এ ব্যাপারে। তবে নিজ থেকে কখনও সে অমন কথা বলতে পারে না। যদিও এই মুহূর্তে শাহেদের সাথে তারও খিস্তি করতে ইচ্ছে করছে, তবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে সে।
আজ তার মনটা বড্ড খারাপ ছিলো সারাদিন।
শাহেদ তার জীবনে আসার পর ভালোবাসার কোমল কঠিনে মেশা উন্মাদ গতি আর প্রবাহে উড়েই গিয়েছিলো পুরোনো কষ্ট, যন্ত্রণা, বিষণ্ণতা। শাহেদ তাকে ভুলিয়ে দিতে পেরেছিলো অন্ধকারাচ্ছন্ন সেই অপমান আর লাঞ্চনার স্মৃতি। সীমার মধ্যে একটা নতুন বোধের উন্মোচন হয়েছিলো। ঘৃণা আর প্রতিশোধের বলয়ে ঘুরপাক খেয়ে জীবনকে বৃত্তাবদ্ধ না করে ভালোবাসার সপ্তাকাশ পাড়ি দেবার আনন্দময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সে। প্রথমদিকে স্থিত হবার আগে সে অনেক ভেবেছিলো, তার অতীতের কথা যদি শাহেদ কোনভাবে জানে সে কী মেনে নিতে পারবে? ধর্ষিতা তকমা গায়ে লাগলে সহানুভূতিশীল এবং সুযোগসন্ধানী বন্ধুর অভাব হয়না বটে, কিন্তু সারাজীবন হাত ধরে থাকা যায় এমন আকাঙ্খা পোষণ করলে তাদের সেই হাত দ্বিধার তেল সংকোচের জল মিলে বড় বিচ্ছিরিরকম পিচ্ছিল হয়ে যায়। শাহেদের ক্ষেত্রেও সীমার প্রথমদিকে এমন মনোভাব ছিলো, কিন্তু কিছুদিন পরে তার মধ্যে এই বিশ্বাস জন্মায়, শাহেদ অমন সংকীর্ণ মানসিকতার কেউ না। কিন্তু তাই বলে সীমা তাকে সবকিছু খুলেও বলেনি। এসব শুনলে শাহেদ কষ্ট পাবেনা মনে? প্রতিশোধের অঙ্গারে জ্বলে খাক হওয়াটা কত কষ্টকর সীমা তো জানে! শাহেদকে তাই এর ভাগীদার করতে চায়নি। কিন্তু আজ পরিস্থিতিটা এমন হয়ে গেলো, এমন কিছু ঘটনা ঘটল, এবং এর ফলে সীমার মনের ভেতর বিষণ্ণতার ঝড়োহাওয়া এমনভাবে ধেয়ে এলো, খড়কূটো হয়ে উড়ে যাবার ভয়ে শাহেদের কাছে আশ্রয় নিতেই হল তাকে। সীমা যেন এক ছোট্ট চড়ুই পাখি, আর শাহেদ বিশাল বটবৃক্ষ। আশ্রয়ের নিশ্চয়তা জেনে পরম নির্ভরতায় ক্লান্ত ডানাদুটো বিষণ্ণতার জল ঝাপটে গুটিসুটি বসে পড়ল সেই বৃক্ষের এক শাখায়। সবুজ পাতার নিবিড় মমতায়।
সীমার মুখ দেখেই শাহেদ বুঝতে পেরেছিলো তার ভেতর খুব বড় একটা ঝড় গেছে, বড়রকম গড়বড় হয়ে গেছে।
-কী হয়েছে সীমা?
এই জিজ্ঞাসার অপেক্ষাতেই যেন ছিল সে। শান্ত এবং ক্লান্ত কন্ঠে বিবৃত করল গতকাল রাতের অসহনীয় অভিজ্ঞতা। যে অভিজ্ঞতার সাথে জড়িত ছিলো তার জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ দিনটি। সীমা বলে গেল সাতাশ বছর বয়সী আইবুড়ো মেয়ের বিয়ে নিয়ে রোগাক্রান্ত মায়ের একঘেয়ে দুশ্চিন্তার জবাবে কিছু কাটখোট্টা কথা বলে ফেলায় কীভাবে তাকে টেনেহিঁচড়ে অতীতের বিভীষিকাময় বদ্ধ কূপে নামিয়ে দেয়া হল।
-তোর বিয়ে হবে কীভাবে? কলঙ্কের কথা কি আর চাপা থাকে? আর তোর যা চালচলন, আর কথাবার্তা, এতদিনে নিশ্চয়ই কারো জানতে বাকি নেই ধিঙ্গি মেয়ে রাতের বেলা ধেই ধেই করে ঘরে ফেরার সময় ডাকাতের কবলে পড়ে কীভাবে ইজ্জত হারিয়েছিলো। ধামাচাপা দেবার চেষ্টা কম করিনি। কিন্তু যা ঘটে তার কিছু তো রটেই! এখন এই কলঙ্কিনী মেয়েকে নিয়ে আমি কোথায় যাই? বিয়ে করার কথা বললে মুখ ঝামটা দিস কেন হারামজাদী? বদনামটা ভালো করে ছড়াক, সবাই জেনে ফেলুক, তারপর আবার রাতেরবেলা একা বাড়ি ফেরার সময় রেপড হ। অবশ্য হলেই বা তোর কী, তোর তো কিছু যায় আসেনা তাতে। সব দোষ পড়বে আমাদের ঘাড়ে। ইয়া মাবুদ...
সীমার বাবা অন্যত্র বিয়ে করে পাকাপাকিভাবে এখানকার পাট চুকিয়ে দেবার পর থেকে তার মা ধীরেধীরে অসুস্থ এবং অসংলগ্ন আচরণ করতে থাকেন। শারীরিক অসুস্থতাটা দিনেদিনে প্রকটভাবে দৃশ্যমান হতে থাকলেও মানসিক পীড়ন এবং অবনমনটা বোঝা গেছে খুব শম্বুক গতিতে। সে রাতেই যেন পীড়িত মানসিকতার অসুস্থ মহিলাটি তার সমস্ত ক্ষোভজনিত অসংলগ্নতা সীমার ওপরে ঢালবেন বলে ঠিক করলেন। তা তিনি ঢাললেন বটে। বেশ ভালোই ঢাললেন। ক্লান্ত হয়ে ঘুমোনোর আগে টানা দুটো ঘন্টা সীমাকে বুঝিয়ে ছাড়লেন নয় বছর আগের সেই ঘটনার কালো ছোপ কীভাবে তার সারা শরীরে ছড়িয়ে গেছে, কলঙ্ক কীভাবে বিস্তৃত হয়েছে, এবং এর থেকে কোন নিস্কৃতি নেই। তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন সীমার ঘুম কেড়ে নিয়ে, তন্দ্রার আগমনকে দুঃস্বপ্নমন্ডিত করে। সেই রাত, সেই ভয়ংকর রাত অনেকদিন পর ফিরে ফিরে এল বারেবারে তার কাছে। দমবন্ধ লাগলে একটু বাতাসের জন্যে জানালা খুলে দিলে সীমা দেখতে পেল অন্ধকারে টলতে টলতে হেঁটে আসছে একটা কামুক পিশাচ। বালিসে মুখ গুঁজে কাঁদতে গেলে সেই পিশাচটা তাকে ঠেসে ধরে বলে,
"বেসামাল মাল তুমি বেইবি, বেসামাল!"।
শাহেদের কাছে সবকিছু খুলে বলার পরে তার প্রতিক্রিয়া কেমন হবে অনেকটা অনুমেয়ই ছিলো সীমার। তার কাছ থেকে প্রতিশোধবাণীর প্রতিধ্বণি শুনে সীমার মন খারাপ ভাব কেটে যায়। সে তাকে সিনেপ্লেক্সে নতুন আসা থ্রিডি মুভিটা দেখানর জন্যে বায়না ধরে। শেষ পর্যন্ত দিনটা তাদের ভালোই কাটে!
*
বিয়ের আগ পর্যন্ত একটা সময়ে মাঝেমধ্যেই শাহেদ খুব মনমরা হয়ে থাকতো। হঠাৎ করে মেজাজ খারাপ করত। খিস্তিখেউরের তুবড়ি ছোটাতো। তখন তাকে কিছুতেই নিবৃত্ত করা যেতনা। সীমার আফসোস হত তখন, কেন যে সেসব শাহেদকে বলতে গিয়েছিলো!
-বাইনচোতটারে আমি খুন করমু! এই, ও দেখতে কিরকম ছিলো কউতো?
সীমা সেদিনের ঘটনার ডিটেইলস কিছুই বলেনি শাহেদকে। বলেনি তাকে পেছন থেকে আঘাত করে রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়েছিলো। বলেনি তার মাথাটা দুবার সজোরে ঠুকে দেয়া হয়েছিলো। বলেনি তাকে কোন সম্বোধনে ডেকেছিলো ধর্ষক পিশাচটা। বলেনি তাকে দুপক্ষকাল হাসপাতালে থাকতে হয়েছিলো। বলেনি, কারণ সীমা জানে, এসব ব্যাপার জিইয়ে রাখলে তারা প্রাণ পায়। বিস্মৃত স্মৃতির শরীরে নখ, দাঁত গজায়। তারা আঘাত করতে থাকে বারবার। সীমা এইসব আঘাতে জর্জরিত হয়ে ভালোবাসাকে ঢাল হিসেবে অবলম্বন করে অবশেষে মুক্তি পেয়েছে। তাহলে শাহেদ কেন বন্দী হতে যাবে আবার সেই কদর্য অন্ধকারে?
-বল, বল আমারে কুত্তার বাচ্চাটা কি পইরা ছিল, সে দেখতে কেমন ছিল!
-এ্যাই, একদম মুখ খারাপ করবা না। আমার ভালো লাগেনা এসব। একদম না।
-সীমা, তুমি বুঝতে পারছো না! আমার মাথার ভেতর প্রলয় ঘটে যায় যখন ঐ কথাটা মনে আসে। খানকির পোলাকে আমি খুন করব!
শাহেদের মাথার প্রলয়নাচন থামানোর জন্যে সীমা সময় নেয়। অনেকখানি সময় নেয়। প্রাজ্ঞ মনোস্তত্ত্ববিদের মত শাহেদের মাথা থেকে ওই বিষয়টা ঝেটিয়ে বিদেয় করে, যতটুকু করা সম্ভব।
তারপরে,
ক্ষোভ, অক্ষমতা, প্রতিশোধস্পৃহার আগুনঝড় ভালোবাসার জলের কবলে পড়ে মিইয়ে গেছে নিশ্চিত হলে সীমা শাহেদকে হ্যাঁ বলে। নতুন জীবনের স্বপ্নে বিভোর দুজনের চোখ থেকে রাতের পর্দা সরে গিয়ে ভোর আসে। স্নিগ্ধ কোমল ভোর। জীবনভর ভোরজীবনের প্রত্যাশায় তারা বিয়ে করে পবিত্র গ্রন্থ আর বন্ধুবান্ধবকে সাক্ষী রেখে। অবশ্য তাদের জীবনে তারা দুজনা ছাড়া আর সবাই, সবকিছুই বাহুল্য। অপ্রয়োজনীয়।
*
-জানোয়ার একটা!
সীমার প্রলুদ্ধকর কামনামদির জড়ানো কন্ঠের আসকারামিশ্রিত আহবানে উত্তেজিত হয়ে শাহেদ প্রবলতর বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার ওপর। ফুলশয্যার রাতে ফুল নিয়ে রোমান্টিকতা করা অথবা শয্যায় শরীর এলিয়ে দিয়ে নাক ডেকে ঘুমোনো অর্থহীন। তারা একে অপরের শরীরের সাথে শরীর মেশাতে থাকে। যতই মেশায়, ঠিকমত যেন তৈরি হয় না দেহব্যঞ্জন! তারা বারবার মিলিত হয়। সারারাত। বারবার। পরস্পরকে এত কাছে করে পাওয়ার এ অভাবনীয় অভিজ্ঞতা তাদের কাছে নতুন এবং বিস্ময়কর। কী আছে তোমার কাছে, কী দেবে আমায় তুমি! দেয়া নেয়ার পালা চলতেই থাকে। ভোরের দিকে চুড়ান্ত রকম ক্লান্ত হয়ে পড়লে সীমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাবার সময় শাহেদ বলে,
-আহা সীমা! বেসামাল একটা রাত, পুরাই বেসামাল!
সীমার অবচেতন মনের অতল থেকে ঘাঁই মেরে স্মৃতির হাঙ্গরেরা ঝাঁকে ঝাঁকে উঠে এসে চেতন মনের সরোবরে মহানন্দে সাঁতরাতে থাকে। শিকার খুঁজতে থাকে। দলবেঁধে। এবং পেয়েও যায়!
সীমার মনে পড়ে সে রাতের কথা। মাতাল দৈত্যটা তাকে আঘাত করে হামলে পড়ার আগে বলেছিলো, "বেসামাল মাল তুমি ডার্লিং, বেসামাল!"। আর বিচ্ছিরিরকম হেসেছিলো। সীমার মনে পড়ে কী পড়ে না কেমন। হঠাৎ তার খতিয়ে দেখতে ইচ্ছে হয় শাহেদ এভাবে হাসতে পারে কী না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, 'এভাবে'টা আসলে কীভাবে, তাও তার মনে নেই ঠিকমত। তবে মেলানোর জন্যে বেশ কিছু নমুনা পেলে সে ঠিকই মিলিয়ে নিতে পারবে। "আশ্চর্য! আমি এসব ভাবছি কেন! একটা শব্দ মিলে গেছে বলেই শাহেদকে সন্দেহ করা শুরু করেছি! ছি! ও যদি জানে তো কী হবে। কতটা মন খারাপ করবে! সামান্য একটা কাকতালীয় ব্যাপারের জন্যে খাল খুঁড়তে গিয়ে হাঙ্গর টেনে আনা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না"। নিজের সাথে এভাবে মীমাংসা করে সীমাও ঘুমিয়ে পড়ে। তবে ঘুম ভালো হয়না তার। অদ্ভুত সব বাজে স্বপ্ন দেখে। কখনও সেই রাতের অন্ধকার পথ আলোকিত হয়ে যায়, টলতে থাকা মাতালটাকে মনে হয় শাহেদ। কখনও গতরাতের উন্মত্ত সময়টায় শাহেদের পরিবর্তে একটা অন্ধকার ছায়াশরীর বিচ্ছিরি হেসে ভীষণ মারতে থাকে তাকে। আর বলে "বেসামাল মাল তুমি ডার্লিং!"
বিবাহপরবর্তী ছুটির সময়টায় মধুচন্দ্রিমা করতে তারা সাগরে এবং পাহাড়ে যায়। শরীরসর্বস্ব ভালোবাসায় নিজেদের উজার করে দেয়। সীমা প্রাণভরে উপভোগ করে এসময়টা। এই সময় আর কখনও ফিরে আসবে না সে জানে। কিন্তু তারপরেও সঙ্গমকালীন সময়ে মাঝেমধ্যেই সে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকে, কখন শাহেদ সেই শব্দটা উচ্চারণ করে ভেবে এবং তার ভয়কে, যেটা সে অমূলক এবং বোকামিতে ভরা ভেবে দূরে সরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলো সেটা সত্যি হয়। শাহেদ আবারও সঙ্গমের চরম মুহূর্তে বলে সেই বাক্যটা, এবার তা আরো কাছাকাছি গঠনের।
*
"কেন এসব ভেবে নিজেকে কষ্ট দিচ্ছি! শাহেদ শব্দটা একাধিকবার বলেছে, সেই মাতালটার মত করেই অনেকটা। তাতে কী প্রমাণিত হয়! কিছুই না। শাহেদের মত একটা ছেলে রেপ করতেই পারে না। কোনভাবেই না। আমার ধর্ষিত হবার কথা শুনে ওর চোখে আমি আগুন জ্বলতে দেখেছি। সর্বগ্রাসী ভয়ানক প্রতিশোধের আগুন। সে কেন ঐ লোকটা হতে যাবে! হাস্যকর চিন্তাভাবনা।"
নিজেকে প্রবোধ দেয়ার পর একটা স্বস্তির শ্বাস ফেলে সীমা। কিন্তু শ্বাসের সাথে ঢুকে যায় সোঁদাজল। আর বাড়তে থাকে হাঙ্গরের বিস্তার। তার মনে পড়ে, শাহেদ মাঝখানে কিছুসময় এ্যালকোহলে আসক্ত ছিল। অল্প কিছুদিনের জন্যে অবশ্য। শাহেদের এই স্বীকারোক্তির পরে সে আর বেশি কিছু জিজ্ঞাসা করেনি।
-আর করো না তো? আর কখনও করবা না তো?
এমন হালকা তিরস্কারেই ছেড়ে দিয়েছিলো তাকে। এখন তার মনে হয় ব্যাপারটা সম্পর্কে আরো কিছু জানা দরকার। শাহেদ কোন সময়টায় ড্রিঙ্ক করত? কত বছর আগে? ওর কি কখনও বিশাল কোন ব্ল্যাকআউট হয়েছিলো? কবে সেটা? শাহেদ কি খুব বিচ্ছিরিভাবে হাসতে পারে?
নিজের মনের সাথে যুঝে পরাজিত হয়ে অগত্যা এক ছুটির বিকেলে সীমা সিদ্ধান্ত নেয় শাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করবার। বারান্দায় বসে পাতাবাহারের শরীর ভেদ করে আসা কৌতুহলী রোদে নিজের ভয়ার্দ্র হৃদয় গচ্ছিত রেখে তাকে জিজ্ঞাসা করে,
-শাহেদ!
-হু, বল।
-তুমি ড্রিঙ্ক করতে একসময় খুব, তাই না?
-খুব অল্পসময়ের জন্যে করেছি কিছুদিন। তবে এটা ঠিক, খুব করেছি। খুব বেশি পরিমাণেই করছি। ঠিকঠাক মনেও নেই সেসব কথা।
-ব্ল্যাকআউট হত তোমার? কতবার হয়েছে?
-বললাম না মনে নাই আমার ওসব কিছু! তুমি কেন এসব জিজ্ঞাসা করছ এতদিন পর?
-আরেহ এমনি! সেদিন একটা আর্টিকেল পড়লাম এ্যালকোহল নিয়ে তাই কৌতুহলবশে।
শুনে বেশ তৃপ্তির একটা হাসি হাসলো শাহেদ। তাকে নিয়ে সীমার এমন যত্নশীল চিন্তাভাবনায় খুশি হয়ে ওঠে সে। কতদিন আগে ড্রিংক করত, তার ফলে কোন ক্ষতি হতে পারে কী না ভবিষ্যতে, নিশ্চয়ই এসব ভেবেই জিজ্ঞাসা করছে!
শাহেদের হাসি সীমার কর্দমাক্ত হয়ে ওঠা মনসরোবরে সাঁতার কাটা হাঙ্গর আর তাদের সাথে সদ্য যোগ দেয়া পিরানহার দলকে উন্মত্ত করে তোলে।
-শাহেদ তুমি কতভাবে হাসতে পারো? খুব বিচ্ছিরিভাবে একটু হেসে দেখাওনা আমাকে! তুমি না অভিনয় করে পুরস্কার পেয়েছিলে ভার্সিটিতে! দেখাও না একটু প্রতিভা!
-হাহাহা! এটা আবার কেমন অনুরোধ! অবশ্য মাঝেমধ্যে তোমার এসব উদ্ভট অনুরোধ রক্ষা করতে আমার বেশ ভালোই লাগে।
শাহেদ নানারকম বিচ্ছিরি হাসি হাসতে থাকে সীমার মনোরঞ্জনের জন্যে। সীমাও খুব মজা পেয়েছে এমন ভাব করে হাসতে থাকে। আর তার মাথার মধ্যে গোত্তা মারতে থাকে হাঙ্গর এবং পিরানহার দল। সেদিনের সেই বিদঘুটে ভয়াল রাতের খলনায়কের সাথে আজকের এই সুন্দর সন্ধ্যার নায়কের মিল পাওয়া যায়?
যায়?
যায়?
কিন্তু সীমার তো মনে নেই ঠিকমত। একদম নিশ্চিত না হয়ে সে দোষারোপ করবেই বা কীভাবে? শাহেদের ভালোবাসার কাছে নিজের জীবন সমর্পণ করে সে ছিটকে বেরুতে পেরেছে কুন্ঠা, শঙ্কা, বিবমিষা আর প্রতিশোধস্পৃহায় ভরা ভয়াল গোলকধাঁধা থেকে। গোলকধাঁধা থেকে কি আসলেই মুক্তি পাওয়া যায়? ফিরে ফিরে আসে। ফিরে ফিরে আসছে সেই হাসি, আবার মিলিয়েও যাচ্ছে। সেই শব্দটা, ফিরে এসেছিলো দুবার, মিলিয়ে যায়নি। এ্যালকোহল। ব্ল্যাকআউট। সেই সময় দুজনের একই শহরে থাকা, অবশ্য ঢাকা একটা বিশাল শহর। কিন্তু শাহেদ কেন কুমিল্লা, সৈয়দপুর বা বরিশালে থাকতে পারলো না সেসময়? সেই সময়। সীমার ধর্ষিতা হবার সময়। শাহেদের এ্যালকোহল নেবার সময়। একই? সীমা জানে এই প্রশ্নটা তাকে জিজ্ঞসে করতেই হবে একদিন না একদিন। তাহলে আজই নয় কেন?
-শাহেদ!
-বল।
প্রশ্নের উত্তরটা শোনার পর সীমা খুব শান্ত থাকে। সে প্রস্তুত ছিলো এমন কিছু শোনার জন্যে। তারপরেও নিশ্চিত হওয়া যায়না। এতকিছু মিলে যাবার পরেও সীমা নিশ্চিত হতে পারে না। কারণ সে লোকটিকে দেখেনি। তার চেহারা বা আকার আকৃতি কোনকিছু সম্বন্ধেই তার ধারণা নেই। শাহেদকে সে বেনিফিট অব ডাউট দিয়ে দেয়। কিন্তু সে জানে, নিজের মধ্যে এত কনফিউশন পুষে রাখার ফলে একদিন ঠিকঠিক তার নার্ভাস ব্রেকডাউন ঘটবে। এবং একদিন তাই হয়। অনবরত একই প্রশ্নোত্তরের মুখোমুখি হবার ফলে শাহেদ নিজেও হয়তোবা কিছু একটা আঁচ করতে পেরে মনমরা হয়ে যায়। সে বুদ্ধিমান ছেলে।
-তুমি বলতে পারছো না তোমার কতবার এবং কত সময়ের জন্যে ব্ল্যাকআউট হয়েছে তাইনা?
-সীমা...বারবার...
-একই প্রশ্ন কেন করি তাইনা? কেন করি তুই জানিসনা? জানিসনা শুয়োরের বাচ্চা? আমি বেসামাল মাল তাইনা চুতমারানি?
শাহেদের নির্বাক চোখের দিকে তাকিয়ে সীমা অবশেষে তার অকথিত অধ্যায়ের সবচেয়ে টুইস্টিং সংলাপটি বলে।
-ঐ লোকটা আমাকে বেসামাল মাল বলছিলো। তুমিও একই রকম শব্দ বলছ কয়েকবার। সে কেমন বিচ্ছিরিভাবে হাসতো আমার মনে নাই। তবে যেসময় তুমি এ্যালকোহল নিতা, যেসময় তোমার ব্ল্যাকআউট হইত তার সবকিছুই আমার রেপড হবার সময়ের সাথে মিলে যায়।
-সীমা আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি তোমাকে কথা দিয়েছিলাম ঐ লোকটাকে ধরতে পারলে আমি খুন করব। আমি আমার কথা রাখবো। আমি প্রতিশোধ নিব।
-কী করবা, নিজেকে হত্যা করবা? সেই মুরোদ তোমার আছে? যদি না থাকে, তো আমি তোমাকে খুন করব। ইট ইজ লুজ লুজ সিচুয়েশন ডার্লিং! খুন হওয়া ছাড়া তোমার উপায় নাই!
কিন্তু ভালোবাসার ছোট্ট ডিঙিতে করে উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে আসা শাহেদ আর সীমারও যে একে অপরকে ছাড়া থাকার উপায় নেই! তাই তারা এই জটিল দোদুল্যমান মানসিক পরিস্থিতিতে একে অপরকে সান্ত্বনা দেয়, কখনও সীমা শাহেদকে,
-আমার তো সেই লোকটার চেহারা মনে নেই। আর তোমার ব্ল্যাকআউটজনিত কারণে কিছুই স্মরণে নেই। তাই ঐ লোকটাই যে তুমি তা ভাবতে হবে না।
অথবা শাহেদ সীমাকে,
-তোমার তো সেই লোকটার চেহারা মনে নেই। আর আমার ব্ল্যাকআউটজনিত কারণে কিছুই স্মরণে নেই। তাই ঐ লোকটাই যে আমি তা ভাবতে পারছি না।
তবুও দংশন করে সন্দেহের সর্প। ভালোবাসা ডেকে আনে ঘৃণাকে, "নাও, তোমার প্রিয়তমার ধর্ষণকারীকে ধরে এনেছি। হত্যা কর তাকে।"
"তোর ধর্ষণকারী তোর পাশেই ঘুমোয়। লজ্জা করেনা? ঘেন্না করে না বেহায়া মেয়ে? তোর কি কোন আত্মসম্মানবোধ নেই? হয় ওকে মার নয় তো তুই মর!"
*
ভালোবাসার ধূর্ত ফাঁদে বেকুবের মত ধরা খেয়ে মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে থাকে সন্দেহ, ঘৃণা এবং প্রতিশোধ। তাদেরকে এমন বিহবল অবস্থা থেকে মুক্তি না দিয়ে উপায় ছিলো না শাহেদ বা সীমার। ক্রমশ নেতিবাচক চিন্তাটা জাঁকিয়ে বসে দুজনের মাঝে। তারা আলাদা শোয়। শাহেদ অপেক্ষা করে সীমা কর্তৃক নিহত হবার। সীমা অপেক্ষা করে নিশ্চিত হবার পরে ছুরি দিয়ে শাহেদের গলাটা কেটে দেবার জন্যে।
একদিন কাজ থেকে ফিরে সীমা রাতে খাবার পর খুব শান্তভঙ্গিতে রান্নাঘর থেকে বটিটা নিয়ে শাহেদের রুমে নক করে। শাহেদ ইদানিং বাইরে থেকে খেয়ে আসে। শাহেদের হাতেও একটা ছুরি। আর টেবিলে রাখা এক লিটারের বোতলে হান্ড্রেড পাইপারস।
-সীমা আমিই মনে হয় সেই!
অর্ধেকটা বোতল শেষ করার পর তার কন্ঠ জড়ানো। সীমার কি পরিচিত লাগে কন্ঠটা?
-আমারও তাই মনে হয়।
-আমি নিজেকে খুন করব। আমি তোমাকে কথা দিয়েছিলাম।
-যদি নিশ্চিত হই, এই মুহূর্তে সেটা করতে আমারও দ্বিধা থাকবে না কোন।
-নিশ্চিত হবার আর বাকি আছে কী!
কাঁদোকাঁদো গলায় বলে সে এক টানে বা হাতের কবজিতে বড় একটা ক্ষত সৃষ্টি করে ছুরি দিয়ে। মেজর কোন আর্টারি কাটা পড়েছে সম্ভবত। কুলকুল করে রক্ত বইছে।
-আমিই সেই!
শাহেদের এমন কন্ঠ সীমা কখনও শোনেনি। তার অপরিচিত লাগে সবকিছু। বর্তমান রক্তসঙ্কুল পরিবেশ, অতীতের বিভৎস নির্যাতনের রাত। তার কানের সামনে কে যেন খুব বিচ্ছিরিভাবে হেসে ওঠে।
-দাঁড়াও শাহেদ! থামো! প্লিজ থামো! মরে যাবে তো!
দৌড়ে শাহেদের কাছে গিয়ে শাড়ির আঁচল ছিড়ে ব্যান্ডেজ করে ছুরিটা হাত থেকে কেড়ে নিয়ে বটিটা গলার কাছে ধরে তাকে বলে,
-ড্রিংক কর শাহেদ, ড্রিংক কর। এবার আর ব্ল্যাকআউট হবে না। ড্রিংক কর। আর বিচ্ছিরিভাবে হাসতে থাকো কেমন?
শাহেদ অপ্রকৃতস্থের মত হাসতে থাকে। বটিটা কখনও গলার কাছে ধরে কখনও সরিয়ে নিয়ে সীমা তাকে নির্দেশনা দিতে থাকে হাসির রকম পরিবর্তন করার।
এ্যালার্মঘড়িটাতে একটা বিচ্ছিরি হাসির শব্দ টিউনড করা ছিলো। ভোরের দিকে সেটা যথাসময়ে বেজে উঠলে সীমা, শাহেদ আর ভোর, ঘোর অবস্থায় এই তিনের মধ্যেই এক প্রবঞ্চনার বোধ তৈরি হয়।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ে ফেলেন। জানান। শুভরাত! গল্পটা পর্ব করে দিব ভাবসিলাম। কিন্তু পর্ব লেখা আমি নিজেই পড়ি না। হাহাহা!
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: গল্পলেখা শিখতে হবে আমার
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: কীভাবে শেখে সেটা?
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ওয়াও দারুন +++++++
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী অথর্ব! শুভরাত।
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪২
রুদ্র মানব বলেছেন: ৩য় ভাললাগা রইলো
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রুদ্রমানব।
৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
জাফরিন বলেছেন: চমৎকার! অসাধারণ! দারুন! আর কী বলব!!
ভীষন ভাল লাগল।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জাফরিন! শুভরাত্রি।
৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: আপনিই পারবেন পুরোটা।আসলেই পর্বাকারে দিলে লেখাটা ছোট হত।যতটুকু পড়লাম তা থেকেই বলি ধর্ষিতাকে কলঙ্কিনী আখ্যা দেওয়া এবং তাকে বিশেষ নজরে দেখা একধরণের সামাজিক অসঙ্গতি।বাকীটা পড়ে নিচ্ছি।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পের আসল অংশে এখনও আসেন নাই! তবে কাছাকাছি চলে আসছেন। জানায়েন।
৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৬
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: সীমা, শাহেদ আর ভোর, ঘোর অবস্থায় এই তিনের মধ্যেই এক প্রবঞ্চনার বোধ তৈরি হয়।
লাস্ট লাইনটা অসাম হামা ভাই। পরা গল্পটা একটানে পড়ার মত। তবে কই যেন একটা কনফ্লিক্ট সিচুয়েশন তৈরি হয়।
+++++
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটার দৈর্ঘ্য নিয়ে একটু দ্বিধায় ছিলাম। তুমি একটানে পড়স জেনে খুব ভালো লাগলো তন্ময়। কনফ্লিক্ট তো গল্প জুড়েই!
শুভরাত!
৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৭
মামুন রশিদ বলেছেন: পড়তে পড়তে নানারকম সমাপ্তি নিজেই কল্পনা করে নিচ্ছিলাম । কিন্তু সমাপ্ত হল কই ? এই প্রবঞ্চনা নিয়েই কি তাদের জীবন চলতে থাকবে ? কিংবা হয়তবা নানা রকম প্রবঞ্চনা সাথে করেই আ্মাদের দিন যাপন ।
সীমাসঞ্চালি নামটি গল্পের সাথে যথার্থ । কাহিনীর ডিটেইলস গুলো ভালো একেছেন যথারীতি। ভাষার হা-মা জাতীয় গোলক ধাঁধা পেরিয়ে সরল পথে চলেও গল্পটি অসাধারন হয়েছে । সবমিলিয়ে একরাশ ভাললাগা, গল্প আর প্রিয় গল্পকার হাসান মাহবুব ভাইয়ের জন্য ।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই। গল্প লেখার ক্ষেত্রে আমি আসলে কমপ্লেক্স সাইকোলজিক্যাল থিম পছন্দ করি। এমন একটা পরিস্থিতিতে চরিত্রদের নিয়ে যেতে চাই, যেখানে তারা পৌঁছানোর কথা দুঃস্বপ্নেও ভাববে না! আর পাঠকরা ভেবে বের করতে চাইবে এ অবস্থা তাদের হলে তারা কী করত।
অনেক ধন্যবাদ! শুভরাত্রি।
৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২১
সায়েম মুন বলেছেন: ম্যারাথন পোস্ট দ্যাখি। কাল পড়বো। আজ আর চক্ষু কুলাইতেছে না।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই কমেন্ট খরার যুগে একটা ফাউ কমেন্ট পাইলাম
১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৪
জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: বউ দেখি পাগল হয়ে গেল.....যাক শেষে এসে ভালো লাগলো।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪৫
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
ami dagailam! kal pormu, good night Ha-Ma vai,
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত্রি।
১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০০
rudlefuz বলেছেন: লাস্টে এসে তো সব আউলায় গেল। আমার মনে হয় গল্পটা মাঝ পথে শেষ করে দিলেই সবচে ভালো হত। যখন সিমার মনে প্রথম সন্দেহ উঁকি দিচ্ছে যে তার স্বামিই সেদিনের সেই মাতাল কিনা।
আর ভাই... বাক্যগুলা আরেকটু ছোট করা যায়?
সব শেষে খুবই ভালো একটা গল্প হইসে। অনেক ধন্যবাদ
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আউলায় দেয়ার জন্যেই তো লিখসি! সীমার সাথে সাথে তার স্বামীর মনেও সন্দেহ সংক্রামিত হবে। তখন তাদের ভালোবাসার সম্পর্কটা কী রূপ ধারণ করবে? তারা কীভাবে একসাথে বেঁচে থাকবে? এইগুলা অনুসন্ধানের চেষ্টা চালাইসি!
আপনার মতামতের জন্যে অনেক ধন্যবাদ!
১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০৯
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সীমার মনে সন্দেহ উকি দেবার পরের অংশে মজা পেয়েছি।
বিশেষ করে তার ক্ষোভ সহ বাক্যগুলো।।
বেশ ভালো।
তবে আপনার গল্প হিসেবে একটু নাম্বার কম পাবে
আপনি এর চেয়ে অনেক অনেক ভালো লিখা দিয়ে যাচ্ছেন।।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো-খারাপের উত্থান পতন নিয়েই তো জীবন এবং লেখালেখি। যাক একটুই তো কম পাইসে, ব্যাপারনা! দেখা যাক পরের লেখায় আপনার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি কী না!
শুভরাত্রি দূর্জয়!
১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:২৬
আশিক মাসুম বলেছেন: ভয়াবহ !!
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবন করতে পেরেছেন, এটাই আমার উদ্দেশ্য ছিলো!
অনেক ধন্যবাদ।
১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৪৮
ক্লোরোফিল বলেছেন: অন্যরকম কষ্টের /পাশবিকতার কথা - Click This Link
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভয়াবহ।
১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৭
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: আপনার গল্প না পড়েই কমেন্ট করার জন্য লগইন করলাম
সায়েম মুন বলেছেন: ম্যারাথন পোস্ট দ্যাখি। কাল পড়বো। আজ আর চক্ষু কুলাইতেছে না।
লেখক বলেছেন: এই কমেন্ট খরার যুগে একটা ফাউ কমেন্ট পাইলাম
খরাটা কাটাই কিছু, পরে ঘুম থিকা উইঠা পড়ে এসে আবার কাটানো যাবে
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! খরা থাকায় ভালা হৈসে। রিয়াল মাদ্রিদ-গ্যালাতাসারে ম্যাচের লাস্ট ত্রিশ মিনিট দেখলাম। স্নাইডার, দ্রগবা আর রোনাল্দো গোল করল। লাভড ইট! কাইল্কা বার্সেলোনা কয় গোলে জিতব হেইডা ভাবতাসি!
১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:২০
একজনা বলেছেন: Awesome! Boro holeo ektane pore fellam. Shesh na kore thamte parini. Climax ta ankora, darun jomiyechhen. Sheshtay abar sei probonchona! Prapti'r sathe prottasha'r aposh! Valo laga roilo.
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঝিমঝিম লাগতেসিলো। আপনার মন্তব্য পেয়ে চাঙ্গা অনুভব করছি! অনেক ধন্যবাদ।
শুভভোর।
১৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০২
ইলুসন বলেছেন: চমৎকার গল্প। সবচেয়ে ভাল লাগছে আপনি কোন ফিনিশিং দেন নাই। পাঠক নিজের ইচ্ছামত চিন্তা করে নিবে শাহেদের কি হয়েছিল। সীমার ভালবাসার জয় হয়েছিল নাকি শেষপর্যন্ত বহু বছর ধরে জিইয়ে রাখা জিঘাংসার জয় হয়েছিল? শাহেদই কি আসলে ওই লোক, সীমা কি রেপিস্টের ওই বীভৎস হাসি মনে করতে পেরেছিল?
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ইউ গট দ্যা পয়েন্ট! এই কনফ্লিক্টটা দেখানই মূল উদ্দেশ্য ছিলো। ভালো লাগলো মন্তব্য পেয়ে।
শুভ সকাল।
১৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৩৩
কালোপরী বলেছেন: অদ্ভুত একটা গল্প
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ কালো পরী। শুভ সকাল।
২০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:১৫
কয়েস সামী বলেছেন: শুরুটা বেশ ইন্টারেস্ট জাগানিয়া। হুকটা ভালই লাগাইসেন। তবু অফিস যাবার জন্য উঠে পড়তে হচ্ছে। হুক যেহেতু গিলেছি। বাসায় পৌছে পড়া শেষ করব। ভাল থাকুন ততোক্ষণ!
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকুন।
২১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫
ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: হামা ভাই আমি আপনার লেখা সবসময় অনেক মনোযোগ দিয়ে পরি । সত্যি বলছি, অনেক সুন্দর লেখেন আপনি । আপনাদের
থেকে অনুপ্রানিত হয়ে একটা স্যাটায়ার গল্প লেখার চেষ্টা করলাম ।
প্লিজ, একটু পড়ে দেখবেন ।
ক্লিক করেন -
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা পড়ব। কিন্তু আপনি তো আমার লেখা পড়লেন না!
২২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০১
ফয়সাল হুদা বলেছেন:
গল্পের শেষাংশ বা পরিনতিটা সীমার মতোই সন্দেহ বা শঙ্কায় আবর্তিত হচ্ছে ---
তারপরও লেখককে বেনিফিট অব ডাউট দিলাম
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: নো বেনিফিট অফ ডাউট। লেখক আউট! সেও এখন পাঠকের কাতারে!
শুভদুপুর।
২৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২০
আরজু পনি বলেছেন:
আপাতত দেখে গেলাম। পরে বিস্তারিত বলার আশা রাখি।।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও শোনার আশা রাখি। শুভদুপুর পনি আপা!
২৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: একটানে পড়লাম। এই গল্পটা অবশ্য একবার পড়েই বুঝেছি।
ভালো লাগলো খুব। শৈল্পিক বর্ণনার কোন তুলনা নেই। আর একটা কমন প্লটকে শেষ মুহুর্তে আনকমন করে তুলেছেন।
ভালো লাগা রেখে গেলাম।
১৪ নং প্লাস।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন।
২৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
একজন আরমান বলেছেন:
আমার মাথা ঘুরছে গল্পের এমন ক্লাইম্যাক্স দেখে।
শাহেদের মতো সামান্য অনুশোচনাবোধ থাকলেও কিছুটা পরিবর্তন সম্ভব হতো !
আমার অপছন্দের শব্দ তালিকার প্রথম সারির শব্দ হচ্ছে "রেপ"।
এই প্লটে অনেক গল্প পড়েছি। কিন্তু আপনার গল্পের মজাটা আমি পেয়েছি শেষে এসে। আর কথায় আছে সব ভালো তার, শেষ ভালো যার।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরমান। শুভদুপুর।
২৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬
লাবনী আক্তার বলেছেন: অসাধারন লেখনি!! এতো সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন খুব ভাল লাগল ।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ লাবনী!
২৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
ভালোবাসার ধূর্ত ফাঁদে বেকুবের মত ধরা খেয়ে মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে থাকে সন্দেহ, ঘৃণা এবং প্রতিশোধ।
এই থিম দিয়ে একটা কবিতা লেখা যায় কিনা ভাবছি!!
চমৎকার, ঝরঝরে গল্প হাসান ভাই...............
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার গল্প থেকে কবিতা লেখার ভাবনা পেলেন জেনে খুব ভালো লাগলো।
শুভবিকেল!
২৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮
নেক্সাস বলেছেন: আপনার গল্প আগে পড়তে সময় লাগতো জটিল শব্দ ও বাক্যের আবর্তে মেটাফরিক প্লট বর্ণনার জন্য। আর এটা পড়তে সময় লেগেছে বড় লিখার জন্য।
হামা ভাই যদি বেয়াদপি না নেন বলি। গল্পটা শুরু যাথারীতি সুন্দর। কিন্তু মাঝখান বরাবর এসে কিছুটা বর্ননা সাবলীলতা হারিয়ে কিছুটা এলোমেলো লেগেছে। আর একটা পর্যায় কিন্তু শাহেদ যে সে ধর্ষক হতে যাচ্ছে সেটা কিছুটা আঁচ করতে পেরেছিলাম। এর পর আরো কিছুটা নীচে নেমে সেটা ক্লীয়ার হল।
কিন্তু..... হাসান মাহবুবের গল্প বলে কথা ! উপসংহারে এসে আবার ধাক্কা। এবার কিন্তু পাঠক হিসেবে আমার বোকা বনে যাওয়া এবং গল্পকার হিসেবে আপনার স্বার্থকতা। গল্পের চমকপ্রদ ফিনিশং। এখানে পাঠক কবিতার রস আস্বাদনের মত সীমা শাহেদের জীবনের শেষ পরিণতি কি সেটা ঠিক করার ব্যাপারে পুরাই স্বাধীন এবং পুরাই নতুন করে ভাবিত কিংব মনে মনে নিজেই আরেকটা গল্পের প্লট সাজাতে উদ্দিপ্ত।
ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: নেক্সাস, আপনার নিবিষ্ট পাঠ এবং সমালোচনার জন্যে।গল্পটা লেখার পর আমার মনে তৃপ্তি এবং খচখচানি দুটোই কাজ করছিলো। ফিনিশিংটা আমারও পছন্দ হৈসে। কিন্তু মনে হচ্ছিল কী যেন নাই, কিছু একটা ঠিকমত হয়নাই। আপনার নির্দেশিত জায়গাটাই হয়তো।
তবে একটা ব্যাপার, শাহেদই যে ধর্ষক তা কিন্তু গল্পে নিশ্চিত করে বলা হয়নি। শাহেদ এখনও ব্ল্যাকআউট কাটিয়ে মনে করতে পারছে না। সীমাও চিহ্নিত করতে পারছে না স্পষ্টভাবে। তবে লক্ষণবিচারে শাহেদের ধর্ষক হবার সম্ভাবনাই বেশি।
আরেকটা কথা, আমার এখানে লেখা সম্পর্কে কিছু বলতে চাইলে খোলাখুলি বলবেন। "বেয়াদবি নিবেন না" জাতীয় বিনয় করে বিব্রত করবেন না আমায়। অনুরোধ রইলো।
শুভ ব্লগিং।
২৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: গল্প ভালো লাগছে । বিস্তারিত পরে একটা কমেন্ট করবো।
বেশ ভালো লাগছে ।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদের তামিল কী বৈলা যাওয়া পরের কমেন্টে।
৩০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: এইটা ফাইন মেইড একটা গল্প ! বারবার বলছেন যে বিশাল বড় একটা গল্প !
আমার কাছে মনে
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: কমেন্ট বাঘে খাইলো?
৩১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৩
মিনাক্ষী বলেছেন: মুছেই দেন ভাই। গল্প আর পড়তে পারলামনা। অনেক আনন্দ নিয়ে গল্প পড়া শুরু করছিলাম, একটু পড়েই আনন্দ নিভে গেলো। ।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি অন্য একটা নাম কল্পনা করে গল্পটা পড়েন। এটা নিয়ে এত আপসেট হবার কী আছে! গল্পই তো!
৩২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৬
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: কঠিন! ইদানীং কবিতাই পড়া হয় বেশী, হুট করে আপনার গল্পটা পড়ে ফেললাম! খুব জটিল ও নাটকীয় কিছু ঘটনা নিয়ে খেলে একটা জায়াগায় সীমা আর শাহেদকে ছেড়ে দিয়েছেন! মজা লেগেছে বেশ! +++++++
শাহেদ চরিত্রটা পুরো চক্রের একটু দুর্বল অংশ,মনে হয়েছে ওর পেছনে সময় বা মনোযোগ কম পড়েছে, ঘটনার মধ্যে দিয়ে ওর দাঁড়ানোর জন্য আর একটু কিছু দরকার ছিল! সীমা এক কথায় অসাধারন!
শুভকামনা রইলো।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, শাহেদের মনোজগত নিয়ে আরো কিছু বর্ণনা থাকা উচিত ছিলো। আসলে নানাদিক দিয়েই আরো বাড়ানো যেত। দেখি, একটু এডিট করে ফেলতেও পারি!
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
৩৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৩
স্বর্ণমৃগ বলেছেন: অসাধারণ হামা ভাই!
পড়তে পড়তে পুরাই টেন্সড হয়ে গিয়েছিলাম।
Cutting Moments শর্টফিল্মটার কথা মনে পড়ে গেল গল্পটা পড়ে।
শর্টফিল্ম টা আপনার মিস যাবার কথা নয়!
+++++
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: কাটিং মোমেন্টস। উফ! মিস করার প্রশ্নই ওঠেনা। আমি এটা অবলম্বনে একটা গল্পও লিখেছিলাম।
কুচি কুচি করে কাটা সময়
শুভরাত্রি!
৩৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৪
স্বর্ণমৃগ বলেছেন: কনফিউজ ছিলাম কার লেখা পড়ে ওটা দেখেছিলাম।
আপনার "কুচি কুচি করে কাটা সময়" লেখাটা পড়েই কাটিং মোমেন্টস টা দেখেছিলাম। এখন নিশ্চিত হলাম!
নতুন করে আবারো আপনার লেখার প্রেমে পড়লুম।
ভাল থাকবেন ব্রো!
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: বেশ মজার ব্যাপার তো! এমন একটা মুভি আমার রেফারেন্সে দেখেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনিও ভালো থাকবেন।
৩৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
মাগুর বলেছেন: কিছু বলবো না, খালি পিলাস দিলাম
+++++++++++
[আসলে এরকম চমৎকার একটি গল্পের প্রশংসা করার মতো ভাষা আমার জানা নাই ]
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। স্বাগতম হে মাগুর মাছ আমার ভাতের প্লেটে স্যরি ব্লগে!
৩৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
সায়েম মুন বলেছেন: গল্পের দৈর্ঘ্য নিয়া একটু টেন্সিত হইছিলাম। পড়তে গিয়া দেখি রকেটের মত গতিতে এগোচ্ছি। শেষ করতে পেরে ভাল লাগলো। একদম ফাইন টিউনের একটা গল্প।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও একটু টেন্সিত ছিলাম, এখন মনে হইতাসে আরো খানিকটা বড় করা উচিত ছিল! তেংস!
৩৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:
অসাধারন।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভরাত্রি।
৩৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: গল্পের কাহিনীর চেয়ে বর্ণনার দিকে একটু নজর দেই। এই যে "সীমা বলে গেল সাতাশ বছর বয়সী আইবুড়ো মেয়ের বিয়ে নিয়ে রোগাক্রান্ত মায়ের একঘেয়ে দুশ্চিন্তার জবাবে কিছু কাটখোট্টা কথা বলে ফেলায় কীভাবে তাকে টেনেহিঁচড়ে অতীতের বিভীষিকাময় বদ্ধ কূপে নামিয়ে দেয়া হল।" এইরকম লাইন দেখলে দুবার ভাবা ছাড়া উপায় থাকে না।
যদিও, সীমার মনোলোগ, পারিপার্শ্বিক এর অতিরিক্ত বর্ণনা হয়ে গ্যাছে বলে মনে হচ্ছে কয়েক জায়গায়। ঐ যে বিরক্তিকর বংকিম - "অল্প কথায় কাজ হইলে বেশি কথার প্রয়োজন কি? "
এতোটা দরকার ছিলো না মনে হচ্ছে।
আমি কাহিনীর দিকে নজর ত্যামন দেই না, টুইস্ট ফুইস্ট ভাল্লাগেনা। কিন্তু, এইটায় নজর দিতে বাধ্য হলাম।
পাঠকের হাতে এই যে "সীমা-শাহেদ জটিলতা কে নিজের মত করে দ্যাখা" ব্যাপারটা ছেড়ে দিয়েছেন-এইজন্য আলাদা একটা প্রশংসা করাটা আসে
আর নামকরণের ব্যাপারটা আপনার কাছ থিকা শিখতার্লে আসলেই ভালো হইতো
শুভকামনা নিরন্তর
১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: সীমার চরিত্র এবং মনস্তত্ত্ব উন্নয়নের দিকে বেশি জোর দিসি, কারণ, যেন প্রতিশোধ এবং ভালোবাসা দুটোর প্রতিই তার অনুভূতির তীব্রতাটা বোঝা যায়। গল্পে যে দ্বন্দ্বটা উপস্থিত করেছি তার জন্যে আমার মনে হয় এর শেকরটা ভালোমত গাঁথা দরকার ছিলো। কিছু কাটছাট করা যেত অবশ্য, যেমন শম্পার সাথে দৃশ্যটা। আসলে ঐটা রাখসি কারণ আমি ভাবসিলাম যে শাহেদরে শম্পার ভাই বানামু! কিন্তু পরে লিখতে যায়া পাল্টায়া গেল!
শুভরাত। শুভ জাগরণ! খেলা দেখতে হৈব।
৩৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫৪
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ভয়ংকর হৈসে হাসান ভাইয়া, ঘোরে চলে গেসিলাম। অসাম, থাম্বস আপ।
খেলার ২য় হাফ শুরু হৈলো, দেখে আসি ||
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস মুন!
মেসি দ্যা ম্যাজিসিয়ান! মেসমেরাইজিং!
৪০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৪
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
পিএসজি ব্রেভলি খেলসে, তাদের প্রতি অ্যাপ্রেসিয়েশন।
দেখা যাক সেমিতে কে পড়ে ভাগ্যে।
শুভ নিশি ||
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু। ভালো লাগসে পিএসজির খেলা। শুভনিশি!
৪১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: ভাই লাস্টে কি শাহেদ মারা গেল নাকি বেঁচে থাকল?? যেটাই হোক বেশ ভালো লাগলো। আপনার গল্প আমি ভয়ে ভয়ে পড়ি না, বুঝব না বিধায়। বাট এইটার লেখার স্টাইল অনেক ক্লিয়ারকাট।
প্লাস।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: শাহেদ মারা গেল কী বাঁচলো আমি জানিনা বান্দর সাহেব! ফিনিশিং পাঠক যা ভাববে তাই।
শুভদিন।
৪২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: প্রথমত , গল্পের নামটা সুন্দর হয়েছে।
দ্বিতীয়ত , ধন্যবাদ একটা সুন্দর ( মার মার কাট কাট এর মিশেলে লেখা ) গল্প দেয়ার জন্য ।
তৃতীয়ত, এন্ডিং টা চমৎকার পাঠকের উপরে ছেড়ে দেয়ার জন্য। শাহেদের মেজর কোন আর্টারি কাটা পড়ে কুলকুল করে রক্ত পড়া দেখে সীমার ভেতরে ভালবাসা জেগে উঠতেও পারে কিংবা শাহেদ নিজেকে নিজে খুন না করে সীমার উপরেও শেষ মুহূর্তে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে যেতে পারত কিংবা নিজেই খুন হচ্ছে - এরকম একটা দোদুল্যমানতা গল্পটা কে এগিয়ে নিয়েছে সুন্দর করে । ব্ল্যাকআউট মদ্যপান বা নেশাজনিত কারণ মানুষের শেষ আশ্রয়টুকুও কীভাবে নষ্ট করে দেয় সেটাও জানা গেল ।
সন্দেহ খুব খারাপ রোগ , বিশেষ করে ভালোবাসার মানুষটার উপরে যদি আসে সে সন্দেহ না যায় তাকে বলা কিংবা না যায় গেলা। সীমার ভেতরে যা প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করা গেছে সে " বেসামাল মাল" শোনার পর থেকে।
যাই হোক , এত এত সিরিয়াস খবর পড়তে পড়তে আর শুনতে শুনতে নেটে আসতে ইচ্ছে করে না সব সময়। সে হিসাবে বলব গল্পটা রিলাক্স ভাব এনে দিল ( গল্পটা রিলাক্স ভাবের সেটা বলি নাই ) , কিছুক্ষনের জন্য মনোযোগ সিরিয়াস বিষয়ের উপর ছিল না।
----- কপি পেস্ট মন্তব্য ।
ভালো থাইকেন
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: স্যরি, চতুরে এখনও রিপ্লাই দেয়া হয়নাই। কপি পেস্ট কমেন্টে রিপ্লাই দিমুনা। মেইন কমেন্টেই রিপ্লাই দিমু। ডোন্ট মাইন্ড!
৪৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৪
নস্টালজিক বলেছেন: ভাবনাটা দারুন ছিলো! তোমার কাছ থেকে শুনে অপেক্ষায় ছিলাম কিভাবে সাজাও গল্প!
ভালো লাগসে!
শুভেচ্ছা নিরন্তর!
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! বার্সেলোনা সেমিতে গেসে
৪৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
নস্টালজিক বলেছেন: চেলসি তো নাই, তাই আগেকার জমানার মোহামেডান সাপোর্টার-রা যেভাবে আবাহনীদের দেখলেই ওয়ারীর কথা বলে ভয় দেখাতো, সেভাবে বলি-
দৌড়া, রিয়াল আইলো!
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: চেলসি ইউরোপা লীগে জিততে পারে অহনও। মাদ্রিদ গ্যালাতাসারের কাছে হাইরা নিজেরাই দৌড়ের ওপর আছে!
৪৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: স্যালুট ট্যু ইউ হা মা ভাই ।
কিভাবে লেখেন বলেন তো ??? প্রায় সব বিখ্যাত লেখকেরই গল্প লেখার একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে । আপনার বেলায়ও কি সেইরকম কিছু আছে ??
গল্পে প্লাস ।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! আমি সাধারণত রাতের বেলা লেখি। আগে গভীর রাতে লিখতাম। এখন সন্ধ্যায়ও লিখি। দিনের বেলায় অন্য কিছু লেখা হলেও গল্প লেখা হয়না।
শুভবিকেল।
৪৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৫
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: মাই গুডনেস!কি একটা কাহিনি!!
আপ্ননার গল্পগুলার ভাষা এত কঠিন থাকে যে আমার মত মানুষের বুঝতে একটু সময় বেশি লাগে! তবে এই গল্পো একবারেই পড়ে বুঝতে পেরে খুবই আনন্দ লাগছে...
সবাঈ এত সুন্দর কমেন্ট করে ফেলেছে যে আমার আর কিছহু কইবার নাই!!
সীমা যেন এক ছোট্ট চড়ুই পাখি, আর শাহেদ বিশাল বটবৃক্ষ। আশ্রয়ের নিশ্চয়তা জেনে পরম নির্ভরতায় ক্লান্ত ডানাদুটো বিষণ্ণতার জল ঝাপটে গুটিসুটি বসে পড়ল সেই বৃক্ষের এক শাখায়। সবুজ পাতার নিবিড় মমতায়।
ভাল লেগেছে...
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক কিছুই তো বলে ফেললেন কিছু বলার নেই বলেও! ধন্যবাদ আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্যে!
৪৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৬
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: ওহ!! ছবিটা গলপের সাথে দারুনভাবে মানিয়েছে....! এজন্যে ++
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, কেমনে জানি পায়া গেলাম! গুগলকে থেংকু!
৪৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২১
মুনসী১৬১২ বলেছেন: ফলাফল আঁচ করা গিয়েছিলো ......কিন্তু ফিনিশিং... আর বর্ণণা অসাধারণ
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ম্যালাদিন পরে আমার ব্লগে কমেন্ট করলেন!
৪৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার। গল্পের নাম আর ফিনিসিংটা আমার বেশি ভালো লেগেছে।
আপনি হচ্ছে সামুর হিচকক।
অনেক শুভকামনা।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার এই কমপ্লিমেন্টের সম্মানে আজকে হিচককের একটা মুভি দেখুম ভাবতাসি!
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা!
৫০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: মানষিক দ্বন্দ, শাহেদ, সীমা... জীবন... হাসান ভাই পড়তে পড়তে থমকে গেলাম... আমার কাজের ব্রেক টাইম প্রায় শেষ... আবার আট ঘন্টা পর পড়তে হবে... অনেক অনেক শুভকামনা হাসান ভাই...
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ তুহিন। শুভকামনা।
৫১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২০
না পারভীন বলেছেন: গল্পটা আসলেই জটিল ।
সব ই আসাধারণ ।
মেজর আর্টারির বদলে মেজর ভেইন বা শিরা দিলে আরো নিঁখুত হয় । আর্টারি কাটলে ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়ে , ভেইনে গড়িয়ে পড়ে ,কলকল শব্দটা ভেইনের সাথে যায় ।
আপনার লেখা পড়লে তাজ্জব না হয়ে পারা যায় না ।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: পারভীন আপা, আপনার মনোযোগী পাঠের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। ওটা আমি বদলে দেব। তুচ্ছ ভুল, তবুও ভুলতো। অনেক ধন্যবাদ নজরে আনার জন্যে।
শুভরাত্রি।
৫২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৪
কয়েস সামী বলেছেন: শাহেদের এন্ট্রেন্সেই মনে হইসিলো হি ইজ দ্যা কালপ্রিট। বাট শেষটাই আইসা মাথা আউলাইয়া গেল। ইজ হি দ্যা কালপ্রিট অর নট?
এই সমাপ্তিটাই চমৎকার হইসে।
সারাক্ষণ সাসপেন্স ছিল। শব্দচয়ন অসাধারন।
তবে লেখনী টিপিক্যাল হাসান মাহবুবীয় হয়নি। হয়নি বলেই একবারেই পড়া গেল, দ্রুতলয়ে পড়া গেল।
আর
সহজেই বুঝা গেল। ধন্যবাদ।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। শুভরাত।
৫৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১২
একলা চলো রে বলেছেন: আপনি অসাধারণ লেখেন ভাই, অসাধারণ! এই তিনে তিনটা গল্প পডলাম আপনার| ইউ আর জাস্ট গ্রেট!
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: সত্যি? কোন তিনটে? না বললেও ক্ষতি নেই!
অনেক ধন্যবাদ!
৫৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭
একলা চলো রে বলেছেন: হারুনের ইচ্ছেদুপুর, পতঙ্গতন্ত্র আর এটা| এই তিনটে|
আর আপনি ধারাবাহিক গল্প পডেন না, বিশ্বাস করলাম না| একটা ধারাবাহিক গল্পে আপনার মন্তব্য পেয়েই কিন্তু আপনার ব্লগে আসা| আপনার মতো লেখক যে আমার মত তুচ্ছ ব্যক্তির লেখায় মন্তব্য করেছেন, সেটা অনেক বড পাওয়া|
আজ ছুটির দিনের সকালটা আপনার ব্লগ পডেই কাটিয়ে দেব ভাবছি|
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার মন্তব্যের জের ধরে আপনি ব্লগে এসেছেন জেনে আনন্দিত হলাম। পরিচিত ব্লগারদের ধারাবাহিক লেখা হলে পড়ি। তাও সেটা যদি ২-৩ পর্বের হয় তবেই। আমার ব্লগে আপনার ভ্রমণ আনন্দময় হোক। শুভেচ্ছা।
৫৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮
অর্ক হাসনাত কুয়েটিয়ান বলেছেন: কনফিউসন। ইন্টারেস্টিং।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু!
৫৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
প্রথমদিন দাগিয়ে গেসিলাম গল্পের সাইজ দেখে! আজ যখন শুরু করলাম কখন শেষ হয়ে গেলো টেরই পেলাম না।
আমার বেশি ভালো লাগার কারণ হলো রক্তারক্তির ঘটনা আছে!
অনেকদিন আপনার গল্পে রক্তারক্তি দেখছিলাম না!
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আরো একজন পাঠক কাটাকুটি টাইপ গল্পের জন্যে তাগাদা দিয়েছিলেন। সেও খুশি হৈসে
৫৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
টুম্পা মনি বলেছেন:
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ?
৫৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
অর্ধেকটা পড়ে কাহিনি একরম আন্দাজ করছিলাম কিন্তু শেষে দেখলাম অন্য ।ভাল লাগছে । তবে হান্ড্রেড পাইপারস দেখে একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে একটা ব্লগ লিখে ফেল।
৫৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০
বোকামানুষ বলেছেন: অনেক সুন্দর
মুগ্ধপাঠ
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৬০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১২
রুপ।ই বলেছেন: আমি তো সবসময় আপনার লেখার ভক্ত, তাই নতুন করে কিছু বললাম না।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: সবসময় সাথে থাকার জন্যে অনেক ধন্যবাদ রুপাই।
শুভরাত্রি।
৬১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
ভিয়েনাস বলেছেন: পড়তে পড়তে আমার শুধু একটা কথাই মনে হচ্ছিলো যে, যাক অন্তত হামা ভাইয়ের একটা গল্প মাঝ পথে এসেই শেষটা কি হবে সেটা বুঝতে পেরেছি কিন্তু হায় শেষ ৩ লাইনে সব মাঠে মারা গেল ভোর কে আবারও ঘোরের মাঝেই রাখলেন
তবু ভালো লাগলো গল্পটা এক টানে পড়ে শেষ করে ফেলেছি
গল্পে প্লাস
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ভিয়েনাস! শুভরাত্রি।
৬২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ২৭ তম + ।সুন্দর পোস্ট। ভাল লাগলো।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
৬৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৫
নোমান নমি বলেছেন: পরের পার্টটুকু বেশ ইন্টারেষ্টিং। কিন্তু প্রথম পার্টে বর্ণনাটা একটু বেশী হইছে মনে হয়। তাই পড়তে পড়তে সামান্য বিরক্তিও এসে ঠেকছে। প্রথম পার্টে বর্ণনা কম হইলে ভালো হইতো।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: শেষের পার্টটা যেন বেশি ইন্টারেস্টিং লাগে এজন্যেই প্রথম পার্টে বর্ণনা বেশি রাখসি!
শুভরাত্রি নমি।
৬৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:২৪
অচিন্ত্য বলেছেন: ভয়াবহ সুন্দর ! ডিয়ার হামা ভাই। ক্রাসিস-সংঘাতই গল্পকে গতি দেয়। মূলত ক্রাসিস না থাকলে লেখার পক্ষে গল্প হয়ে ওঠা কষ্টকর। এই ক্রাইসিস তৈরির ব্যাপারে আপনার তুলনা হয় না।
এক জায়গায় লিখেছেন, “ভালোবাসার ধূর্ত ফাঁদে বেকুবের মত ধরা খেয়ে মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে থাকে সন্দেহ, ঘৃণা এবং প্রতিশোধ।” মূলত আপনার ধূর্ত ফাঁদে ধরা খেয়েছি আমি আমরা পাঠকরা। সাধারণত প্রতিবারই ধরা খেয়ে থাকি।
‘দুঃস্মৃতি’ শব্দের ব্যবহার ভাল লেগেছে। গল্পের একটি জায়গায় আপনি ‘গোলকধাঁধাঁ’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। গল্পের থিম এর একেবারে সেন্ট্রাল শব্দ। শাহেদের প্রতি ‘বেনিফিট অফ ডাউট’ ট্রিটমেন্ট ভাল লেগেছে। কারণ, শাহেদ চরিত্রটি কিছুটা অবগুণ্ঠিত। ‘দ্বিধার তেল সংকোচের জল মিলে বড় বিচ্ছিরিরকম পিচ্ছিল হয়ে যায়’ – এটি একটি উত্তম মেটাফোর হয়েছে। স্বাস্থ্যের অবস্থা বর্ণনায় আমরা সাধারনত অবনতি শব্দটির ব্যবহারের সঙ্গে পরিচিত। আপনি ‘অবনমন’ ব্যবহার করেছেন। আপনার শব্দের নবতর ব্যবহার অনুসন্ধান আমার খুব ভাল লাগে।
‘সীমা যেন এক ছোট্ট চড়ুই পাখি, আর শাহেদ বিশাল বটবৃক্ষ’ এই একটি জায়গায় নারীকে বিদ্যমান দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়েছে। উক্তিটি যেহেতু কোন চরিত্রের নয়, বর্ণনাকারীর, এবং বর্ণনাকারী যেহেতু গল্পে অংশ নেয় না, ধরে নেওয়া যায় এই উক্তিটি লেখক করেছেন। এই জায়গায় লেখক নারী-পুরুষের বিদ্যমান সামাজিক সম্পর্কের পোলারিটি রিভার্স করে দিতে পারতেন যেহেতু বিদ্যমান মানসিকতাটি সমর্থনযোগ্য নয়। আরেকটি বিষয়। নামকরণের বিষয়টি নিয়ে আপনার কাছ থেকে জানতে চাই।
অনেক ভাল থাকুন আর অনেক অনেক লিখুন।
মুগ্ধতা জানবেন।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অচিন্ত্য! আপনার পাঠের তুলনা নেই। ধন্যবাদ, অসংখ্য ধন্যবাদ! এখন প্রশ্নের জবাবগুলোতে আসি,
সীমা প্রসঙ্গে যে বাক্যটির কথা বললেন, সেটা পরিস্থিতির পরম্পরার ফলশ্রূতিতেই তৈরি। যেই মুহূর্তে সীমা কোন তেজী, স্পষ্টবাদী, একরোখা, শক্ত মানসিকতার মেয়ে থাকতে পারেনি। সে ছিলো খুব বিপর্যস্ত অবস্থায় এবং তার একটা আশ্রয় দরকার ছিলো। এটার রিভার্সও হতে পারতো! শাহেদ এমন পরিস্থিতিতে পড়লে ভীরু চড়ুইছানার মত কাঁপতে কাঁপতে সীমা নামক বটবৃক্ষের কাছে আসতে পারতো। সুতরাং, উক্তিটি নারীসমাজ সম্পর্কে আমার গতানুগতিক চিন্তাভাবনার প্রতিফলন না, আমি অমন ধারণা সমর্থনও করি না। ঘটনার পরিক্রমায় সীমাকেই ঐ সময়ে চড়ুই পাখি আর শাহেদকে বটবৃক্ষ হতে হয়েছিলো। অন্য কোন গল্পে এর রিভার্স পরিস্থিতি তৈরি করতে আমার কোন আপত্তি নেই।
নামকরণটা হঠাৎই মাথায় চলে এলো। সঞ্চালি- সঞ্চালন, সঞ্চালক থেকে কেটে নিয়ে নিলেম। সীমা একই সাথে গল্পের মূলচরিত্রের নাম এবং শব্দটির আভিধানিক অর্থও। এই সীমা প্রতিশোধের সীমা। এই সীমা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সঞ্চালিত হয় সামনে-পেছনে।
ভালো থাকুন অচিন্ত্য। গান এবং সুরের সৃজনে থাকুন।
৬৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:০৫
এম হুসাইন বলেছেন: ট্রেনে বসে বসে পুরোটা পরলাম বাসায় ফেরার সময় ...... কখন যে সময় চলে গেলো টেরই পাই নি......
এখন আবার
বরাবরের মতই ভাই, এক কথায় অসাধারন।
+++++++++
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন।
৬৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২১
কয়েস সামী বলেছেন: এইটা কি লিখলেণ হামা ভাই। আবার পড়তে আসলাম! শেষটা এক কথায় অসাধারন।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার লেখা একাধিকবার পড়ছেন জেনে আনন্দিত হলাম। শুভবিকেল।
৬৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
মাক্স বলেছেন: আগের রোগে ফেরত গেসি। অনেক দেরী করে পড়লাম।
শেষ পর্যন্ত মুগ্ধতা ছিল এবং মুগ্ধতা দিয়েই শেষ হল!
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার উপস্থিতি আশা করছিলাম। ধন্যবাদ মাক্স!
৬৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
ডানাহীন বলেছেন: প্রায় একই প্লটে খুবই সাধারন মানের একটি গল্প পড়েছিলাম অনেক আগে, মনেও নেই কোথায় পড়েছি, কার গল্প? আজ বুঝলাম কিভাবে সাধারন কিছু কারো হাতে অসাধারন হয়ে ওঠে .. তবে ঐ গল্পটি পড়া থাকার কারনেই বোধহয় খুব নিশ্চিন্ত হয়ে গল্প পড়ছিলাম এবং আমার অনুমান আমার সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে শেষে গিয়ে ..
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঐ গল্পটা পড়তে ইচ্ছে করছে। কোথায় পাই!
শুভেচ্ছা ডানাহীন।
৬৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
স্বপ্নীল. বলেছেন: পড়ছি
অ.ট. হামা ভাই টুমি এটো বুকা কেন?
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: এমনেই।
৭০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০২
ফালতু বালক বলেছেন: khub valo, hasan vai
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। শুভঘুম!
৭১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫০
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: শুভ নববর্ষ
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ নববর্ষ!
৭২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শুভনববর্ষ Click This Link target='_blank' >শুভনববর্ষ নিরন্তর শুভকামনা।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার জন্যেও শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা।
৭৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ব্লগে কমেন্ট করার এই সুযোগটা ভীষণ কৌতূহল-উদ্দীপক। সাধারণত পাঠকরা লেখকের লেখা পড়ে মন্তব্য করার সুযোগ এমন ভাবে পান না। লেখক ফিডব্যাক পান তার বইয়ের কাটতি দেখে, বন্ধু লেখকদের কাছে আর মিডিয়ায় আলোচনা শুনে। এই কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমালোচনা যথার্থ হয়, না হলেও একটা নির্দিষ্ট মানে আবদ্ধ থাকে।
কিন্তু যে কেউ, ধরুন কোন এক প্রোফেসর শঙ্কু-ও লেখকের ব্লগে এসে ভাট বকতে পারে। এর সমস্যা হল, ভাল একটা লেখাও 'বাজে' উপাধি পেতে পারে, আবার বাজে লেখাও উতরে যেতে পারে। অর্থাৎ, আমি বলতে চাইছি গল্প পাঠের জন্য পাঠকেরও যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন।
এই পাঠক গল্প পড়ে মজা পেয়েছে। কিন্তু যথাযথ মন্তব্য লেখার জন্য যে ক্ষমতা লাগে, তা না থাকায় সে আবোল তাবোল বকে লেখকের লেখার প্রশংসা করছে মাত্র।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার আবোল তাবোল বকা কিন্তু আমার বেশ লাগলো। ব্লগ কালচারের সাথে এটা বেশ মানানসই ও বটে। ব্লগে সাহিত্য লেখা হলে শুধুমাত্র গুরুগম্ভীর আলোচনা হবে তাকে ঘিরে তা না, টুকটাক আড্ডা, অফটপিকে কথাবার্তাও হতে পারে। আপনার প্রশংসা পেয়ে লেখক খুশু হয়েছে। তবে যথাযথ মন্তব্য করতে না পারার অক্ষমতাজনিত স্বীকারোক্তিকে সে অস্বীকার করছে!
ভালো থাকুন। নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো।
৭৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪২
অন্তরন্তর বলেছেন:
পোস্টের মন্তব্য পরে করব। আসলাম নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে।
শুভ কামনা।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকদিন পর! ভালো ছিলেন আশা করি। শুভ নববর্ষ!
৭৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪
মাক্স বলেছেন: শুভ নববর্ষ!
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ নববর্ষ মাক্স।
৭৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
নববর্ষের শুভেচ্ছা হা-মা ভাই।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ নববর্ষ!
৭৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৪
স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: একটানে পুরোটা পড়লাম। মারাত্মক লাগলো।
মাঝখানে এসে মনে হচ্ছিল গল্পের শেষটা আমি বুঝে গেছি। কিন্তু শেষে বিরাট ধাক্কা খাইলাম। একটা সাধারন গল্প হয়ে গেলো সম্পর্কের গল্প, সম্পর্কের জটিলতার গল্প !
অসাধারন হামা ভাই !
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন।
৭৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৭
প্যাপিলন বলেছেন: শেষ কবে এরকম রোমাঞ্চিত হয়েছিলাম জানিনা, কি হয় উত্তেজনায় ডুবেছি বারবার, তবে শাহেদের সাথে সম্পর্কের শুরুতেই ধরে নিয়েছিলাম সে ই মাতাল লোকটি- হামা ভাইয়ের অসাধারণ স্পর্শে গল্প আচ করতে পারলেও অসাধারণ ফিনিশিং-এ সব কিছু উতরে গেল
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে এমনভাবে নাড়া দিতে পেরেছে গল্পটা জেনে খুব ভালো লাগলো। শুভবিকেল।
৭৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২
নক্ষত্রচারী বলেছেন: প্রথমে কিছুটা ইরেভার্সিবলের মত মনে হইলেও পরে গল্পের টার্নব্যাক, সাসপিশন, মনোবৈষম্য সর্বোপরি ফিনিশিং টাচটা চমৎকার হইসে ! সামঞ্জস্যপূর্ণ ছবিটাও প্রশংসার দাবী রাখে ।
সবমিলিয়ে ভালো লাগা অনেক ।
ভালো থাকবেন হাসান ভাই ।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ইররাভার্সিবল! ভয়ানক একটা সিনেমা। ঐটার শকের একশভাগের একভাগ দিতে পারলেও লেখা সার্থক!
থ্যাংকস রাফি!
৮০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১১
সোহাগ সকাল বলেছেন: এখনও পড়া হয়নি। পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার পর পড়বো।।
হামা ভাই, ভালো আছেন?
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো আছি। পরীক্ষা ভালো হোক।
৮১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
মেমনন বলেছেন: ভাবাচ্ছে।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার গল্প ভাবাচ্ছে। আনন্দের ব্যাপার।
শুভরাত্রি।
৮২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০০
রেজোওয়ানা বলেছেন: এই বিষয়গুলো যে কতটা মানসিক পীড়নদায়ক তা হয়তো শুধুমাত্র অত্যাচারিত ছাড়া আরও কারো পক্ষেই অনুধাবন করা সম্ভব নয়!
তবে তুমি দক্ষ লিখিয়ে, পাঠককে সেই মানসিক কষ্টের কিছুটা শক দিতে পেরেছেো লেখার মাধ্যমে!
খুব চমৎকার, খুবই......
শুভ নববর্ষ!
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপা। শুভ নববর্ষ।
৮৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৫৭
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: টুইস্ট!
কোর্স করা লাগবে আপনার কাছে
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি আসলে টুইস্টেড লেখা বেশি লেখি নাই। আমার লেখার মূল ধারা এটা না। তবে মাঝেমধ্যে এরকমকিছু গল্প এসে যায় হাতে মাথায়!
শুভভোর ইমরান!
৮৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫
অদৃশ্য বলেছেন:
হাসান ভাই
শাহেদের ব্যপারটা যখন বেশি আসা শুরু হলো তখনই শাহেদকে অপরাধী মনে হচ্ছিলো.... ভাবছিলাম হতে পারে হতে পারে...
অতঃপর লেখক শাহেদকেই একজন লম্পট হিসেবে চিহ্নিত করলো... যা হোক লিখাটি খুব ভালো লেগেছে আমার...
শেষদৃশ্যে সীমার কনফিউশনে আমিও কনফিউস্ড হয়ে গেলাম... আসলে প্রতিশোধ বা নৃশংসতায় শান্তি নেই... তার চেয়ে ক্ষমা করা ও ভালোবাসাতেই চিরশান্তি... যদিও ক্ষেত্র বিশেষে তা বোধহয় কিছুটা কঠিন....
একটি নতুন ভোরের নতুন সূর্য্যে সেইসব কালোদাগ পুড়ে যাক...প্রবল ঝড়ে উড়ে যাক...
শুভকামনা....
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: সব অপরাধ ক্ষমার যোগ্য না। আবার ভালোবাসা ভুলিয়ে দিতে পারে সব। সীমা কী করবে আমি জানি না। আপনিও না।
অনেক ধন্যবাদ আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্যে।
৮৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
আরমিন বলেছেন: ভয়োংকর!
+ +
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভদুপুর আরমিন। ব্লগিংয়ে নিয়মিত হয়ে যান আবার।
৮৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
ভাঙ্গা কলমের আঁচড় বলেছেন: সুন্দর লেখছেন
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! স্বাগতম আমার ব্লগে।
৮৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০২
সকাল রয় বলেছেন:
সমসাময়িক সুন্দর ভাষ্য।
বর্ণনা সুচতুর
ভালো থাকুন
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সকাল।
শুভরাত্রি।
৮৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০০
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: গল্পকারের স্বাধীনতা বা সীমাবদ্ধতা হচ্ছে জীবনের অনেক টুকরো মুহূর্ত গুলোর একটা বা কয়েকটাকে আঁটকে ফেলা। আপনার গল্প তা ঠিক সেই ধরনের গল্প নয়, অবিরত ধারাবাহিক উপন্যাসের মত;অন্তত আমার তাই মনে হল। অসংখ্য ভালো লাগা মাহবুব ভাই; আগেই পড়েছিলাম, বারবার পড়ে উপলব্ধি করার চেষ্টা করলাম। ভালো থাকুন, অনেক!
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। ভালো কাটুক এইসব দিনরাত্রি...
৮৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
সোহাগ সকাল বলেছেন: গল্পটা একটানে পড়ে ফেললাম। চমৎকার লাগলো।
শেষের পরিস্থিতিটাকে আগে কল্পনা করতে পারিনি।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভদুপুর।
৯০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ভাবতেছিলেম যদি শেষ পর্যন্ত দেখান যে শাহেদই সেই লোক তাহলে সীমার সাথে শাহেদের পরিচয় বিয়ে সম্পূর্ণ বিষয়টা বড় বেশি কাকতালীয় মনে হবে। যাক শেষে এসে অসম্পূর্ণ রেখেছেন দেখে ভাল লাগল। পাঠক বুঝে নিক বাকিটা!
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: সেভাবে দেখাতে চাইনি। তবে অনেকেই হয়তো সেভাবে ভেবেছে। আপনি ওভাবে ভাবেন নি দেখে খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ!
৯১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৮
কালীদাস বলেছেন: পয়লা অর্ধেকের ফ্লো সেকেন্ড অর্ধেকে নাই। কিন্তু লেখাটার শেষদিকে খানিকটা ঘোরের মধ্যে চইলা গেছিলাম। আপনে পুরাই সফল হইছেন।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: নাহ, সেকেন্ড হাফটা আরো জমজমাট করতে পারলে পুরা সফল বলা যাইতো। আমার নিজেরও কিছুটা আক্ষেপ আছে এ নিয়ে।
থেংকু!
৯২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৬
কয়েস সামী বলেছেন: tritiobar pora hoilo! ish! golpoti jodi ami likhite paritam! finishingta superb. ashole etar jonnoi bar bar fire ahsa.
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো হৈসে যে আপনি আগে লেখেন নাই। তাইলে আমি আফসোস করতাম!
৯৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০২
সোমহেপি বলেছেন: শাহেদের শরীরের রক্ত গড়িয়ে পড়ছে ফ্লোরে।ফ্লোরের সমান্তরাল আবরণ তৈরী করছে।
আপনার গল্পের ঢঙ ও সেই রক্তের মত ভেঙে সমান্তরাল হয়ে গেলো।
গল্পে আপনার ভিন্নতা কে লাইক দিলাম। প্লট ও সাইকোলজিক্যাল ব্যপারটাতে পরিচিতি আছে।কোন একটা নাটকে দেখেছিলাম সেইম কাহিনীর গল্প।পাত্রী বিয়ের পর জানতে পারে স্বামীই তার ধর্ষক ছিলো।তো নাটকে যা হয় আর কি!নারীবাদী চিন্তার কুৎকুৎ জেগে উঠে সেই নাটকে।শেষে মেয়েটি তার স্বামীকে ত্যাগ করে।তার ডায়ালগ ধর্ষক ধর্ষকই।
আপনার গল্পের শেষে অবশ্য সেরকম ঘটেনি।
আমার মনে হয় অবশেষে তারা নিয়তিকেই মেনে নেবে।অথবা নিয়তিকে দোষ দেবে।এ ভেবে যে শাহেদের আর কি দোষ ব্লাকআউট না হলে তো আর সে এমন করতো না।যতদোষ সে মদের।সুতরাং মদ হারাম শাহেদ হালাল।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: খাইছে এই কাহিনীর নাটকও হৈছে! দেখতে খুব ইচ্ছা কর্তাসে।
আমার মনে হয়, তারা আর কখনই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে না। একদিকে প্রবল ভালোবাসা অন্যদিকে চরমতম অসম্মানের প্রতিশোধ। একদিকে মায়া এবং নির্ভরশীলতা, অন্যদিকে আত্মসম্মানবোধ, আত্মগ্লানি।
থেংকু! শুভরাত।
৯৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
আমি এখনো তন্ময় হয়ে আছি...
আপনি সবসময়ের আনপেরালাল....
এফবির এই লিংকটা পড়বেন আশা করি লিংক দেয়ায় আগাম দুখ প্রকাশ করছি...
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! কিন্তু আপনার লিংকে ঢুকতে পারছি না।
Sorry, this page isn't available
The link you followed may be broken, or the page may have been removed.
৯৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
কয়েস সামী বলেছেন: ভাল না হইলে কি বারবার আইতাম, আপনিই কন? এইটা কইতে অয় না, বুইঝা লইতে হয়।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আরে আমি সেইটা বলি নাই। আমি বলতে চাইসি, আপনি যে এই থিমের গল্পটা আমার আগে লিখে ফেলেন নাই, এইটা ভালো হৈসে। তাইলে আমি আফসোস করতাম আমার মাথায় এটা লেখার চিন্তা আইলো না কেন ভাইবা!
৯৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৯
কয়েস সামী বলেছেন: apno boss lekhok. apanr age ami kono theme pamu eita vablen kemne?
keep it up hama vai. I want you to see as a renowned writer of bengali literature.
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: যদিও দুরাশা! তারপরেও ধন্যবাদ এমন শুভকামনার জন্যে। শুভরাত।
৯৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:২১
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
আবার দিলাম
৯৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:২২
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
স্যরি লিংকটা কেন যেন আসছেনা...
৯৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
কয়েস সামী বলেছেন: হামা ভাই, আমার ব্লগে আপনার কমেন্টের রিপ্লাই দিয়েছি। আপনার অপেক্ষায়।
১০০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: @সুপান্থ সুরাহী, কী আর করা!
@কয়েস সামী, আপনার পোস্টের প্রেক্ষিতে ঐ কমেন্ট মানায় না অবশ্য। আসলে বিভিন্ন পোস্টের মন্তব্য এবং আপনার প্রিয় লিস্টে হেফাজতি ইসলামকে হেফাজত করার প্রবণতা দেখে ঐডা কৈসি।
১০১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৪
রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।
অনেক সুন্দর একটা পোস্ট। মন ছুঁয়ে গেল।
লেখায় +++++
ভাল থাকবেন .....শুভকামনা রইলো.
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রোকেয়া। ভালো থাকবেন।
১০২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪০
সোমহেপি বলেছেন: কে কইছে পারবো না?অবশ্যই পারবো।সীমাকে ধর্ষণ করার ফলে শাহেদ অপরাধী হইছে ঠিক।আবার শাহেদ কি ভালোবেসে তার প্রায়শ্চিত্ত করতে পারে না?অপরাধতো মানুষই করে তাইনা?পৃথিবীতে ধর্ষণ যদি শুধু শাহেদই করতো তাইলেও একটা কথা ছিলো।তবে হ্যাঁ সীমা যদি শাহেদকে বারবার শাহেদ কে স্মরণ করিয়ে দিয়ে ছোট করতে চায় তাহলে তারা সুখি হতে পারবে না।মেয়েরা সাধারণত তাই করে
আবার এমনও হতে পারে সীমা আনন্দিত থাকবে এমন ভেবে যে তার স্বামী একটা বীর ।সে একটা মেয়েকে ধর্ষণ করার মত হিম্মত রাখে।পৃথিবীতে ধর্ষকদের সংখ্যা অবশ্যই অনেক কম।তার স্বামী সেই বিরল প্রজাতির একজন।ধর্ষণ না হয় একবার করলোই কি হইছে?ছেলে মানুষতো কতকিছুই করে?
ইত্যাদি অনেক রকম ভাবনা ভাবতে পারে।
তবে আমি হইলে সীমাকে আরেকবার ধর্ষণ করাইতাম শাহেদের সামনে।ধরেন সীমা শাহেদ কোথাও বেড়াতে গেছে।একদল বেমাসাল মানুষ এসে শাহেদকে আটকে রেখে সীমাকে আবার ধর্ষণ করলোঅশাহেদ তা দেখলো।আর নিরবে সহ্য করলো। আমি আরো করতাম শাহেদকে ধর্ষণ করাইতাম।আপসোস পৃরুষ শুধু ধর্ষণ করতেই পারে ধর্ষিত হয় না।
না হলে কি হবে সমকামীরা ধর্ষণ করে না?জোর করে?পাইছি তাইলে একদল সমকামী দিয়া কামডা করাইতাম সীমার সামনে কেমন হইত?
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রথমটা নিয়ে ম্যালা তর্ক করা যায়। দ্বিতীয়টা পুরাই ফাউল। মাগাররররররর...
তিন নাম্বারটা মাইন্ড ব্লোয়িং চিন্তা! আগে কৈলে হয়তো গল্পের এন্ডিং অন্যরকম করে দিতাম! জটিল চিন্তা করছ। উত্তম জাঝা!
১০৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২১
কয়েস সামী বলেছেন: না, এইটা কোন কথা হইতে পারে না। আমার প্রিয় পোস্টে আমি কিছু রাখছি, তার মানে এই না যে ঐ পোস্টটা আমার প্রিয়। আমি অন্য কোন কারনেও পোস্টটি সেভ করে রাখার জন্য প্রিয় তালিকায় নিতে পারি। আর অন্য পোস্টে করা কমেন্টের উত্তর সেই নির্দিস্ট পোস্টে দিবেন। আমার গল্পে কেন একটা আনরিলেটেড কমেন্ট করা কিছুতেই মানতে পারলাম না। দু:খিত।আমি এ কমেন্টগুলা এ পোস্টে বাধ্য হয়ে করছি আপনার দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ডিলিট করে দেন। আমার বুঝতে ভুল হৈসে।
১০৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
কয়েস সামী বলেছেন: ডিলিট করার ইচ্ছে থাকলে আগেই করতাম। লেখক হামা কে আমি শ্রদ্ধা করি খুব তাই তার মন্তব্য ডিলিট করতে পারুম না। ধন্যবাদ।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি তো কৈলামই ভুল হৈসে। লেখক হামাকে পছন্দ করতে পারেন, কিন্তু তার সব কথাই যে ঠিক হবে তা তো না।
শুভরাত্রি।
১০৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: আমার মাথায় একটা গল্প ঘুরতেসে, ভয়ঙকর একটা গল্প ঘুরতেসে
২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: বিব্রত হয়োনা বিবৃত কর।
১০৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১১
এরিস বলেছেন: আজ সে চিবুক এবং ললাটে লেগে থাকা দাগ মুছে ফেলতে কোন ডাক্তারের কাছে যাওয়া ভালো, এ আলোচনা করতে করতে অতীতের দুঃস্মৃতিকাল স্মরণ করে প্রিয় বন্ধুর কাঁধে মাথা রেখে কাঁদতে পারে। কতবার ক্লাইম্যাক্সে চড়লাম আর পড়লাম আল্লাহ্ই জানেন। এতদিন কেন পড়লাম না.। !!! গ্রেট গ্রেট অ্যান্ড গ্রেট। +++++++++++++
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ এরিস। ভালো থাকবেন।
১০৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: ++++++++++++
অনেক সুন্দর
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ!
শুভরাত্রি।
১০৮| ১০ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:১১
নীল-দর্পণ বলেছেন: পড়ার পরও কিছুক্ষন পর্যন্ত রেষটা কাটেনি!! মাথা জ্যাম হয়ে আছে কিন্তু ঝাড়া দিতে মন চাইছেনা। থাকুক সেটা আরো কিছু সময়।
চমৎকার লাগল হামা ভাই চমৎকার.....
১০ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকু মুক্তাফা!
১০৯| ১১ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
আমিনুর রহমান বলেছেন:
অসাধারণ ও অনন্য। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম অনেকটা ঘোরের মধ্যে। প্রথমে সাদামাঠা মনে হচ্ছিল কিন্তু হঠাৎ করেই দারুনভাবে গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন। ভয়ানক ভালো লাগছো।
শুভ দুপুর হাসান ভাই।
১১ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আমিনুর! অনুপ্রাণিত হলাম মন্তব্যে। ভালো থাকুন।
১১০| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২৯
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভাইয়া চমৎকার লেগেছে। মানুষের জীবনে যে কত রকমের জটিলতা, দ্বিধা এবং সংশয় আসে!! কখনও খুব সৎ, আপষহীন মানুষকেও এমন সব ব্যাপারে আপোষ করতে হয়, যার তুলনায় হয়তো অন্য সব তুচ্ছ। এই সংঘাতপূর্ণ সংশয়টাকে খুব সুন্দর করে এঁকছেন। গল্পটা অনেক বড় ছিল কিন্তু পড়তে যেয়ে সেটা মাথায় আসেনি তবে প্রথমদিকে যেমন সুন্দর করে পড়ে যাচ্ছিলাম মাঝখানে কেমন যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলেছি। আর সমাপ্তির ব্যাপারটা নিয়ে নতুন কিছু বলার নাই, হামা ভাই দ্য গ্রেট
অনেক অনেক শুভকামনা থাকল
১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: মাঝখানের অংশটা নিয়ে আরো বেশ কজন অসন্তুষ্টি জানিয়েছেন। তবে ফিনিশিংটা কেউ এখনও খারাপ বলেনাই
ভালো থাকুন। জীবনে এমন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি যেন হতে না হয়!
১১১| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৭
দেহঘড়ির মিস্তিরি বলেছেন: প্রথম দিকে পুরনো কিছু গল্পের মিল পাচ্ছিলাম তবে শেষটাই জমিয়ে দিল
২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
১১২| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:২১
আমি তুমি আমরা বলেছেন: যখন দেখলাম শাহেদ আর সীমার বিয়ে হয়েছে তখনই বুঝেছিলাম শেষ পর্যন্ত হয়ত দেখা যাবে শাহেদই ধর্ষক। কিন্তু শেষতা কি হল? সীমা কি শাহেদের গলায় ছুড়ি চালিয়ে দিল?
০৯ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শাহেদ ধর্ষক কী না এটা কিন্তু দুইজনের কেউই ১০০% নিশ্চিত না। এবং ১০০% নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা চুড়ান্ত কিছুই করবে না। শাহেদের গলায় সীমার ছুরিটা তাদের মানসিক ঝঞ্ঝার একটা প্রতীক!
১১৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬
শীলা শিপা বলেছেন: গল্প পড়ে মাথা জ্যাম হয়ে গেছে। গল্পের রেশ কাটছে না। অনেক সুন্দর করে লিখেছেন।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
শুভবিকেল।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
অর্ধ-পাঠ।
প্রথম প্লাস।
পুরোটা এবার পড়ি।।