নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই গ্রীস্মে, এই নিষ্ঠুর এপ্রিলের গ্রীস্মে দুই কিলোমিটার পথ হেঁটে এসে বাসে সিট না পেলে শরীরের ক্লান্তিকে ঘুচিয়ে দিতে চায় মনের কর্কশতা। ভীষণ তেজে আমরা তখন বাসের কন্ডাক্টরের সাথে ভাড়া নিয়ে বচসা করি, যাত্রী ওঠানো নামানো নিয়ে নিজেদের সুবিধামত অবস্থান বেছে নিই, মন মেজাজ বেশি খারাপ থাকলে মহিলাদের আসনে গেড়ে বসা চামুন্ডাগুলোকে দু ঘা দিয়ে উঠিয়ে দিই। তবে আমার শ্রান্ত দেহ আজ ক্ষেপে থাকা মনের প্ররোচণা স্বত্ত্বেও কোন কিছুতেই উৎসাহ না পেয়ে অগত্যা একটা রডের ওপর দুহাত নিপুন ভারসাম্যে রেখে চারিপাশের আসনগুলোতে ভরপুর মানববিন্যাস দেখে হতাশ হচ্ছিল। হতাশার পরিমাণটা মনে হয় বেশিই ছিল, তাই আমার ঠিক সামনেই বসা দুটি মেয়ের দিকে অনাগ্রহে মাত্র একবার তাকিয়ে পেছনের সিটের বৃদ্ধের গন্তব্য দ্রুত এসে পড়বে এবং সে নেমে যাবে এমন সম্ভাবনা সম্পর্কে অবগত হয়ে সেদিকে গভীর মনোযোগে দৃষ্টি প্রক্ষেপন করি। ভাগ্য বেশ সুপ্রসন্ন আমার, সামনের সিটের দুটি মেয়ের মধ্যে একজনের গন্তব্য এসে পড়ে এবং আমি বসার জায়গা পেয়ে যাই। বসতে গিয়ে আরেক ঝামেলা! আমার লম্বা লম্বা পা দুটি সংকীর্ণ পরিসরে কোনভাবেই সাচ্ছন্দ্য বোধ করছিলো না, আঁটানোই যাচ্ছিলো না! নানারকম কসরৎ করে বসার একটা উপযুক্ত অবস্থান করে নেবার পর আমার সুখানুভূতিকে আরো বাড়িয়ে দিল সহযাত্রীর সহানুভূতিময় আলাপ প্রয়াস,
-এদের সিটগুলো এমনভাবে বানায়, এমন কনজাস্টেড! বসা কষ্টকর রীতিমত।
-হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন। আর আমার মত লম্বা মানুষের জন্যে আরো বিপত্তিকর।
বাক্যের দ্বিতীয়ার্ধে আমার প্রশান্তিময় মুখ কিছুটা ম্লান করি।
-না, শুধু আপনার জন্যেই না, সবারই অসুবিধে হয়।
বাসে আসন পাওয়া, সাথে মহিলা সহযাত্রী, যে আবার শরীরের ছোঁয়াচ বাঁচাতে সিঁটিয়ে না থেকে আলাপ জুড়ে দেয়! নাহ, গরমের দিনের জনাকীর্ণ লোকাল বাস সবসময় খুব খারাপ বস্তু না অবস্থানের জন্যে! মেয়েটিকে এবার আমি চোরাচোখে, পূর্ণদৃষ্টিতে, নানাভাবে, নানা কোণ থেকে পরখ করি।
সে শ্যামলা। মুখে মেছতার দাগ। রুক্ষ চুল। সারাদিন মনে হয় কোন কাজে খুব দৌড়োদৌড়ি করতে হয়েছে। প্রসাধনহীন মুখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। এক কথায় তাকে অনাকর্ষণীয়া বলা যায়, তবে বাতিল করা যায়না কোনভাবেই। অন্তত এই মুহূর্তে, আমার কাছে না।
-আচ্ছা আজকে রাস্তার এই অবস্থা কেন বলতে পারেন? গাড়ি-ঘোড়া নেই একদম। এত জ্যাম!
-ঠিক জানি না। সকালে রওনা দেবার সময় তো আমি কোন বাসই পাচ্ছিলাম না। শেষে অন্যরুটের একটা বাসে করে দুবার বাসবদল করে তারপর অফিসে এসেছি।
-হু। আবার কোথাও মারামারি হয়েছে হয়তো।
মেয়েটির হয়তোবা আরো কথা চালিয়ে যাবার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু আমার মাঝে হঠাৎ করেই একটা অবজ্ঞার ভাব গেড়ে বসে। আমি ব্যাগ থেকে হেডফোন বের করে কানে গুঁজে দিয়ে লালমিয়ার র্যাসপ শুনতে থাকি। কিছুক্ষণ গান শোনার পর আমি বুঝতে পারি যে, এটা তাকে অবজ্ঞা করার জন্যে না। তবে কী? তার কাছে নিজের উদাসীনতা দেখিয়ে কি প্রমাণ করতে চেয়েছি? মেয়েদের দেখলেই আমি কথা বলার জন্যে অতি উৎসাহী হয়ে পড়ি না, তাই? যদিও আমার প্রেমিকা আছে, মেয়েবন্ধুও আছে ঢের, তবুও আমি চলতিপথে একজন আধা আকর্ষণীয়া নারীর কাছে নিজের ব্যক্তিত্ব জাহির করার এই ছেলেমানুষী প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকতে পারি নি! আসলে এইসব ভীড়বাসে নিজ থেকে আলাপ শুরু করার মত মেয়ে বড় একটা পাওয়া যায় না তো, তাই এই অস্বাভাবিক মনোরিফ্লেক্স। কন্ডাক্টর ভাড়া চাইতে এলে হেডফোনটা কানের থেকে খোলার পর বেশ একটা বাকবিতন্ডার আওয়াজ কানে আসে। একটু উচ্চকিত লয়ে, তবে অস্বাভাবিক কিছু না। তাই সেটা আমার কাছে কোন গুরুত্ব বহন করেনি। কিন্তু সহযাত্রীনির কথায় আমাকে ব্যাপারটা নিয়ে আবার ভাবতে হল।
-কন্ডাক্টরটা বদমাইশ!
কন্ডাক্টরদের প্রতি বেশিরভাগ যাত্রীর মনোভাবই এমন হয়। তার কারণ হয়ে থাকে সাধারণত ভাড়া নিয়ে বনিবনা না হওয়া, অথবা অধিক যাত্রী তোলা নিয়ে অসন্তোষ, এরকম। আমার পাশের মেয়েটিও হয়তো এরকম কোন কারণেই ক্ষিপ্ত। নাকি অন্য কোন কারণ রয়েছে? কন্ডাক্টরটা কি তার গায়ে হাত দিয়েছিল মওকা পেয়ে? বদমাইশ কন্ডাক্টরটা কি এই বিবর্ণ লাল কামিজ পরিহিতা, লিপস্টিক এবং যাবতীয় প্রসাধনবিহীন সংকোচমুক্ত খোলা মনের অধিকারী মেয়েটির শরীর স্পর্শ করেছিলো? কোথায়? কীভাবে? কেন সে এমন বীতশ্রদ্ধ তার ওপর? এসব কথা তো আর মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করা যায়না, আমি তার কন্ডাক্টরের দিকে হিংস্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকাকে জরীপ করতে থাকি। এরকম আরো কিছু যদি ঘটায় সে, আমার কাছ থেকে রেহাই পাবে না। কেন যেন আমার মনে হতে থাকে সে এমন কিছুই করেছে আমার পাশে বসা সুকন্ঠীকন্যার সাথে। কেন এমন মনে হয় জানি না, তবে তার কন্ঠের মাধুর্য আমি এতক্ষণে উপভোগ করতে পারি। কিছু বিষাদ আর অনুযোগও চুরি করে নিয়ে প্রলেপ মেখে দেই আমার মনের ওপর। কন্ডাক্টরের দিকে রোষদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে থাকতে দৃশ্যপটে এসে উপস্থিত হয় একজন বেশ গাট্টাগোট্টা দেহের প্রৌঢ়া মহিলা। আমার ঠিক সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাকার জন্যে একটা রড হাঁতড়ে বেড়াচ্ছে। আমার ভেতর এক দুর্বিষহ ভালোমানুষী কাজ করে পাশে বসে থাকা সঙ্গীনির প্রভাবেই হয়তো! একটু আগে তার সাথে কথা বলতে গিয়ে একটু কাছে ঘেঁষেছিলাম।
শরীরের সাথে শরীর কী যেন ফিসফাস করেছিলো শুনতে পাইনি।
আমি আরো কাছে ঘেঁষতে ভয় পাই! তাহলে হয়তোবা আমি সেই বদমাশ কন্ডাক্টরের মত হয়ে যাব। তবে কথা হল, কোথায় সেই কন্ডাক্টর আর কোথায় আমি! কন্ডাক্টরের সেই একই বাজে আচরণ আমি যদি চতুরতার খাপে মুড়িয়ে তার সাথে করি, তার প্রতিক্রিয়া নিশ্চয়ই একরকম হবে না! মেয়েটি কেমনভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করত তা জানার জন্যে আমি সময় এবংপরিস্থিতির শরনাপন্ন হতে পারতাম, কিন্তু বললাম না, সেই দুর্বিষহ ভালোমানুষীর বোধ আমাকে টানছিল আর খোঁচাচ্ছিল শুধু। তা সহ্য করতে না পেরে আমি গাট্টাগোট্টা মহিলাটিকে বসার জায়গা করে দিই তার পাশে।
-এইখানে বসেন।
মহিলাদের সাথে ভীড়বাসে এই সৌজন্যটা আমি প্রায়ই করে থাকি। তবে সবসময় না। যদি দেখি যে তিনি অশক্ত এবং দুর্বল, অথবা এমন ভীড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে অভ্যস্ত না, তবেই কেবল। এই মহিলার সেটা প্রয়োজন ছিলো না। আমার পাশে বসা যাত্রাসঙ্গীও হয়তো সেটা চাচ্ছিলো না। হয়তো, হয়তো না। তাকে আর দেখা হয়নি। আমার জানা হয়নি তার মনের ভেতরটা। শুধু উঠে আসার সময় তার কাঁধের ওপর কালচে ব্রায়ের স্ট্র্যারপ দেখে বাকিপথটা মানুষের ভীড়ে দৃষ্টির অগোচরে চলে গিয়ে নিজের দুর্বিষহ ভালোমানুষীর ছদ্মবেশী মুখোশটা টেনে খুলে ছিবড়ে হেঁচড়ে মনের পঙ্কিল যৌনাশয়ের কালো পানির ভেতর ডুবিয়ে ধ্বংস করে নির্বাণ লাভের চেষ্টা করেছিলাম বৃথাই। আমার স্টপেজে এসে গেলে নেমে গিয়ে পিছু ফিরে তাকিয়ে তাকে আর দেখতে পাই নি...
বাসায় ফেরার পথে কিছু কেনাকাটা করলাম। একটা এ্যালার্ম ঘড়ি, পাড়াতুতো আশৈশব প্রেমিকার সাথে রাস্তায় দেখা হয়ে যাওয়াতে একটা চুম্বন। চুম্বনকে কখনও ক্রয়যোগ্য ভাবিনি আমি। অন্তত প্রেমিকার কাছ থেকে তো অবশ্যই না! হয়তো বা সে সেঁধেই দিতো, কিন্তু নির্জন গলিতে আমার জোরাজুরিতে সে বাধ্য হয়ে নিজের ইচ্ছে অনিচ্ছেকে আমার কাছে সমর্পণ করে অথবা বিকিয়ে দিয়ে গোমড়ামুখে উল্টোপথে রওনা দেয়।
-এই কোথায় যাচ্ছ?
-দর্জির কাছে। কিছু জামা বানাতে দেব।
-আমিও যাচ্ছি তোমার সাথে।
-অনেক সময় লাগবে। তুমি অধৈর্য্য হয়ে পড়বে।
-নাহ আমারও কিছু ফরমায়েশ আছে...
-কী বললে? লেডিস টেইলর্সে আবার তোমার কীসের ফরমায়েশ? হিহিহি!
তার হাসিকে পাত্তা না দিয়ে আমার বেমক্কা বলে ফেলা অন্যশব্দকে অন্যকিছু দিয়ে বুঝিয়ে আমিও তার সাথে রওনা দিই।
দর্জির দোকান। মেয়েদের কাপড়। রঙের মেলা। লাল, নীল, সবুজ। আমার পছন্দ সবুজ। লালও ভালো লাগে মেয়েদের পোষাক হিসেবে। বাসের ভেতর সেই মেয়েটা লাল কামিজ পড়ে ছিলো। ফ্যাকাশে রঙের কামিজ। ক্যাটক্যাটে লাল ওড়না। সে সাজতে পারেনা মোটেই। অথবা সে ওসবের তোয়াক্কাই করে না! আমার প্রেমিকা বেশ কিছু কাপড়ের সাথে একটি শাড়ীও নিয়ে এসেছে। রিপু না ফলস পাড় কিসব যেন করবে। শাড়িটা সুন্দর। আকর্ষণীয়। লাল শাড়ি। সে দর্জিকে কী সব নির্দেশনা দিতে থাকে, আমি বুঝিনা। আমি শুধু বুঝি যে, রুক্ষ ত্বকের, সাজে অনাগ্রহী কোন মেয়েও প্রতিমার মত সুন্দর হয়ে উঠতে পারে, যৌনাবেদনময়ী হতে পারে ঠিকমত সাজলে, আর এমন একটা শাড়ি পরলে। এমন একটা টকটকে লাল শাড়ি পরলে । দর্জির দোকানের কাজ শেষ হলে আমার প্রেমিকা কিছুক্ষণ তার সাথে গল্প করার আহবান জানায়। কিন্তু আমার বড্ড অনাগ্রহ জাগে। অবসন্ন বোধ হয়।
অনেক গল্প হয়েছে আজকে।
আজ আমি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করি। কাল সকালে উঠতে হবে। অনেক কাজ পড়ে রয়েছে। চন্দ্রগ্রস্থ রাতে প্রেমিকার সাথে ফোনে রুটিন ভালোবাসাবাসির পালা শেষ করে শরীর এলিয়ে দিই বিছানায়। আমার প্রেমিকা। আশৈশব বন্ধু, বাকি জীবনের জন্যে প্রতিশ্রূতিবদ্ধ। তার কথা ভেবে ভবিষ্যতের পথ চলার শক্তি পাই, রাত্রিকালীন অস্থিরতা এবং দুশ্চিন্তার জন্যে সে যেন এক কৌটো ভ্যালিয়াম! তার মুখটা ভাবতে ভাবতে কামের আবেগ সরিয়ে ঘুমের আবেশে জড়িয়ে বিছানায় এলিয়ে দিই নিজেকে। এ্যালার্মঘড়িতে সময় নির্ধারণ করে রাখি সকাল সাতটা।
হঠাৎ যেন চারিদিক থেকে পাগলাঘন্টী বেজে ওঠে। অশরীরী স্বরেরা ফিসফিস করে হিসহিস করে। আমাকে জাগিয়ে তোলে। সকাল হয়নি তখনও। চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। এ্যালার্মঘড়ি ঘুমোচ্ছে, তার টিকটিক শব্দে কিসের মাদকতা, কিসের আয়োজন, কিসের ষড়যন্ত্র, আমি খুব আঁচ করতে পারি। আমার বাড়ির পাশের বৃক্ষরাজির পাতাসমূহ ধ্বংসের বিউগল বাজাতে থাকে, বাতাসে গোপন কুমন্ত্রণা, ঘরে অসহনীয় উত্তাপ। এই উত্তাপে গলে পড়তে থাকে বাসার কড়িবর্গা, কঙক্রিট, পিলার, আসবাব। কিসের যেন একটা তাড়া, কে যেন আমাকে তাড়িত করছে, ভয় দেখাচ্ছে এখান থেকে চলে যাবার জন্যে। আমি ভয় না পেয়ে ধীরেসুস্থে সবচেয়ে ভালো কাপড় বেছে নিয়ে পরতে থাকি, যত্ন নিয়ে চুল আঁচড়াই। প্যান্টের পকেটে মানিব্যাগ খুঁজতে গিয়ে দেখি নেই, তার বদলে একটা টিকেট। একটা লোকাল বাসের টিকেট। সময় রাত দুটো। হ্যাঁ! এইতো আমার দরকার ছিলো!
বাসস্টপে কেউ নেই। শুনশান পাড়া, নিশ্চুপ রাস্তা। সবাইকে আজ মরণঘুমে পেয়েছে। আমি নিরুত্তাপ ভঙ্গি করে দাঁড়িয়ে থাকি, আর পুড়তে থাকি ক্রমাগত। অসহনীয় উত্তাপটা আবারও ভীতিপ্রদ হয়ে উঠেছে। এসময় হুশ করে বাসটা এসে থামলো আমার সামনে। সেই জরাজীর্ণ লক্করঝক্কর লোকাল বাস। ড্রাইভার আর কন্ডাক্টর ছাড়া ভেতরে কেবল একজনই আছে। আমি জানি সে কে! আমি জানি সে কী পরিধান করে আছে!
হ্যাঁ!
সে এখন প্রসাধনসজ্জিতা। রুক্ষ ত্বককে যথাসম্ভব কোমল করে তুলেছে। তার পরনে সেই লাল শাড়িটা, যা আজ আমার প্রেমিকা দর্জির দোকানে দিয়েছিলো। উফ! তার কি আর কোন শাড়ি ছিলো না! আমার শৈশবসংলগ্ন ভালোবাসার চিহ্নকে সরিয়ে তার কাছে যেতে কুন্ঠাবোধ হয়। যেন জুতোয় বিঁধে আছে পেড়েক। সত্যিই তাই ঘটে! তার পাশে বসতে গিয়ে আমার জুতোয় ধাতব কী যেন একটা আঁটকে যায়। ভীষণ ব্যথায় জর্জরিত হয়ে আমি ভাবি তার কাছে বসব নাকি আগে পায়ের একটা সুবন্দবস্থ করব। লাল শাড়িটা থেকে ঝাঁকেঝাঁকে আরো ব্যথারশ্মি নির্গত হয়ে আমাকে কাবু করে ফেলে। ঠিক তখনই তার কাঁধের ওপর গোখরো সাপের জিভের মত ব্রায়ের স্ট্র্যাপটা দেখে আমি সামলে উঠি। সব সংকোচ সোল্লাসে ছুড়ে ফেলে পাশে গিয়ে বসি।
-এখানে বসাটা খুব সমস্যা, না? সিটগুলো এমন কনজাস্টেড!
-হু, তার ওপর আবার পায়ে কাঁটা না পেড়েক কী যেন বিঁধেছে!
-তুলবেন না রাখবেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন?
-অবশ্যই তুলে ফেলব! এসব রাখার কোন মানেই হয়না! খামোখা ঝামেলা বয়ে বেড়ান। আমি এক্ষুণি তুলে ফেলছি।
-কন্ডাক্টরটা খুব বদমাশ। দেখেন সে আবার কোন বাগড়া দেয় কী না।
-কন্ডাক্টর আবার কী ঝামেলা করবে!
-ওর দিকে তাকান।
বদমাশ কন্ডাক্টর হাস্যকর একটা মেয়েলী চাহনি দিয়ে ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে। এবং তার চেয়েও হাস্যকর ব্যাপার, তাকে আমার প্রেমিকার মত লাগছে দেখতে। আমি হেসেই উড়িয়ে দিই তার কাছ থেকে কোন রকম প্রতিবন্ধকতা আসার সম্ভাবনা।
আমি আরেকটু কাছ ঘেঁষে বসি আমার সঙ্গীনির।
-আজকে রাস্তায় কি হয়েছে জানেন? এত ফাঁকা ফাঁকা সব। কোথাও কেও নেই। এখানে আসতে আমার কত কষ্ট হয়েছে জানেন!
সে বলে।
-আমারও! আমিও অনেক কষ্ট করে উঠেছি এই বাসে। আর রাস্তা কেন এত ফাঁকা...কেন কোথাও কেও নেই... জানি না, জানি না আমি এসব কিচ্ছুই। জানার দরকারও নেই...সবকিছু জানতে নেই...
হঠাৎ ঘ্যাঁচ করে ব্রেক কষল ড্রাইভার।
-ঐ কি হইল, বাস থামাইলা কেন?
-যাত্রী উঠবো।
-যাত্রী উঠবো মানে! টিকিট ছাড়া যাত্রী উঠাও, ফাইজলামি কর মিয়া?
ড্রাইভারকে আমার সাথে তর্কে আগ্রহী মনে হয় না। বিকেলের সেই গাট্টাগোট্টা প্রৌঢ়া মহিলা হুড়মুড় করে উঠে পড়ে বাসে। সে আমার সামনে এসে টিকেটটা ঘড়ির পেন্ডুলামের মত দুলোতে থাকে মুখে একটা বদখত হাসি নিয়ে।
-এটা আমার সিট। সরেন!
আমি নাম্বার মিলিয়ে দেখি। তার দাবীর সত্যতা যাচাই করে উঠে পড়ি বিরস বদনে। উঠে যাবার আগে একবার অনুরোধ করি,
-আরো তো সিট আছে ওখানে গিয়ে বসেন না!
-নাহ! আমি এইখানেই বসুম! এইখানে অনেক বাতাস।
মহিলা আমাকে জোর করে উঠিয়ে দিয়ে তার পাশে বসে। হয়তোবা আমাদের আরো উশকে দেবার জন্যে ইচ্ছে করেই নাক ডাকতে থাকে বিশ্রীভাবে।
-তুমি উঠে আসো, আমরা অন্য কোথাও বসব।
আমার যাত্রাসঙ্গীনিকে আমি আহবান করি। কিন্তু প্রৌঢ়া মহিলা আয়তনে এমন প্রকান্ড, আগে বুঝিনি। তাকে ঠেলেঠুলে বের হয়ে আসাটা অসম্ভব ব্যাপার। আর যেভাবে নাক ডাকছে, এই ঘুম এই রাতে আর ভাঙবে বলে মনে হয় না। অথচ এই রাতটাই আমাদের দরকার! এমন রাত হয়তো আর কখনও আসবে না। এমন বাস আর কখনও আসবে না। বাস চলছে দুর্বার গতিতে। এখনও অন্ধকার কাটেনি, বরঙ আরো গাঢ় হয়েছে। তবে যে গতিতে বাস চলছে অন্ধকারকে অতিক্রম করে, যেকোন মুহূর্তে আলোকরশ্মি এসে আমাদের ভস্মীভূত করে ফেলতে পারে। উফ! পায়ের ব্যথাটা আরো বাড়ছে। প্রথমে ভেবেছিলাম একটা পেড়েক ঢুকেছে হয়তো, এখন মনে হচ্ছে শাবলসদৃশ্য বস্তু হবে। সেই ভালো! এখন এটাই আমার দরকার! জুতো থেকে শাবলটা বের করে আমার সঙ্গীনিকে দেখাই,
-এটা দিয়ে চাড় দিয়ে তুলবো শয়তানীকে!
-আমিও একটা শাবল পেয়ে গেছি ডার্লিং! তবে আর দেরী না। তাড়াতাড়ি কাজ শুরু কর।
আমরা দুজন দুদিক থেকে মহিলার কোমরে, নিতম্বে, পেটে চাড় দিয়ে ওঠানোর চেষ্টা করতে থাকি। ভীষণ ভারি। ক্রমশ সে যেন আরো ভারি হয়ে উঠছে। আমাদের শক্তি ফুরিয়ে যেতে থাকে। ঘেমে স্নান করে ফেলি।
-তোমার এইটুকু শক্তি নাই, কি কামের পুরুষ হইছ তুমি?
তীব্র অতৃপ্তি আর আকাঙ্খা নিয়ে সে আমার দিকে বাক্যবাণ ছুড়ে দেয়। অবিরাম শাপশাপান্ত করতে থাকে আমাকে।
-আর একটু, আর একটু হয়ে যাবে, হয়ে যাচ্ছে! তুমিও একটু হেল্প কর না! একা কী করে আমি এই জগদ্দল পাথরকে ওঠাবো?
-আমি করতেসি না? উফ! আর তো পারছি না! মারা যাবো!
সে তার শাড়ি খুলে ফেলে ভয়ংকর উত্তাপ সহ্য করতে না পেরে। শেষবারের মত দুজন মিলে সর্বশক্তিতে চাড় দিয়ে মহিলাকে জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলতে সক্ষম হই।
-এবার! এবার তোমার পাশে বসব। তারপর অনেক দূরে চলে যাব দুজন মিলে।
আমি হাঁপাতে হাঁপাতে বলি।
-কী যা তা বলছেন?
তার শরীর পুনরায় আবৃত করছে শাড়ি। মলিন লাল রঙের শাড়ি। রাতের আঁধার কেটে যাচ্ছে। ঘামে ভিজে তার প্রসাধন উবে গেছে কখন! ক্লান্তিতে চোয়ালের হাড় বেরিয়ে পড়েছে। অনাকর্ষনীয়া। অগ্রাহ্য করার মতই। কন্ডাক্টরটি আমার পরম বন্ধুর মত মোলায়েম কন্ঠে কাঁধে হাত রেখে বলে,
-আপনার স্টপেজ আইসা পড়ছে। নাইমা যান। আমি নেমে যাই অনাকর্ষনীয়া মেয়েটির দিকে দ্বিতীয়বার না তাকিয়ে। ড্রাইভারটার সাথে কিছু কথা বলার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু সে মনে হয় তার রাতের ট্রিপে লাভ করতে পারেনি বলে রুষ্ট। আমাকে পাত্তাই দিলো না! সে যাকগে।
বাসায় পৌঁছোনোর পথে আমার প্রেমিকাকে দেখি বারান্দায় দাঁড়িয়ে ভোরের শুভ্রতার সাথে সখ্য করছে। আমাকে দেখে আদুরে কন্ঠে জিজ্ঞাসা করে,
-কোথায় গিয়েছিলে এই সক্কালবেলা?
-কোথায় আর যাব? যাবার আর কোন জায়গা আছে বল? একটু মর্নিংওয়াক করতে বেড়িয়েছিলাম!
পাশের কোন এক বাড়ি থেকে তখন নচিকেতার গান বাজছে,
"সকাল থেকে লুকোচুরি
খেলা শুরু করি
আমরা চোর,
আর সূর্য সেপাই..."
০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! নাহ লাস্ট গল্পটা যেদিন দিসি সেদিন রিয়াল আর গ্যালাতাসারের খেলা ছিল। কাকতালীয় ব্যাপার। পরীক্ষা ভালো হোক। গুড লাক বার্সা!
২| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:১৪
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
দাগ দিলাম। বার্সার খেলা দেখার ইন্তেজাম করন লাগবো! কাইল পড়মু।
শুভ দাগ কইয়েন কিন্তু
গুড নাইট।
০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ দাগ। বার্সা ফাইনালে উঠুক বা না উঠুক আশা করি সেইরম খেলা দিবে!
৩| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:২১
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আমাদের ভেতরে একটা খারাপি বসে আছে, সুযোগ সন্ধানী।
সুযোগ পাইনা বলেই আমরা ভালো মানুষির কথার খৈ ফুটাই।
তবে নিখাদ ভালো মানুষির মন ও আছে বিশ্বাস।।
ভালো লাগলো খুব।
প্লাস!
০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দূর্জয়। শুভরাত্রি!
৪| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:৫০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হু ......।।
০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু??
৫| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১:০২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: মানে ভাল লেগেছে ...।।
সকাল থেকে লুকোচুরি
খেলা শুরু করি
আমরা চোর,
আর সূর্য সেপাই..
০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু শব্দটার আসলে অনেক মানে! গানটা শুনে দেইখেন। খুব ভালো গান। অবশ্য একটা ইন্দোনেশিয়ান গানের নকল, সেটা ব্যাপার না।
শুভরাত্রি।
৬| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১:৫৭
রিমন রনবীর বলেছেন: যতই চাপাচাপি করেন না কেন আমার কম্পুটারে বাংলা ডিকশনারী আছে
০২ রা মে, ২০১৩ রাত ২:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ডিকশনারির দরকার পড়বে নাকি!
৭| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ৩:১৪
এম হুসাইন বলেছেন: অফলাইনে থেকে পড়লাম, শুরুটা অনেক ভালো লাগছিলো...... কিন্ত...... মাঝখান থেকে সব কিছু তালগোল পাকিয়ে ফেললাম......
বুঝতে পারছি আরও +/- ৩ বার পড়তে হবে......
কিছু কিছু কথা অনেক হৃদয়স্পর্শী... কেমন জানি হয়ে যায়... পড়লে......
+++ তো থাকছেই, সাতে অনেক শুভকামনা।
ভালো থাকুন ভাই, নিরন্তর।
০২ রা মে, ২০১৩ রাত ৩:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্যাপার তেমন কিছুই না, হিমঘরে থাকা প্রবৃত্তির উত্থান চিত্রন জাদুবাস্তবতার মাধ্যমে। তিনবার পড়ার মনে হয় দরকার হবে না। শুভকামনা। শুভভোর!
৮| ০২ রা মে, ২০১৩ ভোর ৪:৩৫
প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: প্রথমবার পড়ে হালকা হালকা বুঝছি , দ্বিতীয়বারে একটু ক্লিয়ার হইছে । আরেকবার পড়ে দেখি :>
প্লাস দিছি
০২ রা মে, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আরেকবার পড়া হইসে? শুভসকাল!
৯| ০২ রা মে, ২০১৩ সকাল ১০:১৭
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
আমি, লাল জামার মেয়ে... ভদ্র মহিলা আর বাস কীসের প্রতীক হয়ে আছ গল্পে..?
গেজ করতে পারিনি। হামা ভাই...
তবে আপ্নার গল্পের গতিময়তা নেই এই গল্পে...
০২ রা মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার গল্পে খুব গতি থাকে নাকি?
গল্পটির প্রথমার্ধের ঘটনা এবং চরিত্রগুলো বাস্তব। পরবর্তী অর্ধে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মনের অবচেতনে ঘটে যাওয়া কামনানাট্যের চরিত্রগুলো এরকম,
লাল জামা-কামনা
কন্ডাক্টর-বিবেক
প্রৌঢ়া মহিলার পুনরাগমন- আরো শক্ত বিবেক!
ড্রাইভার- যা আমাদের গোপন ইচ্ছাকে প্রশ্রয় দেয়।
সহযাত্রী দুইজনের আকাঙ্খার মাঝেই এত কিছু নিহিত।
শুভসকাল সুপান্থ।
১০| ০২ রা মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩
এরিস বলেছেন: সব মিথ্যে ভান আর মুখোশ। স্বার্থ খোঁজার বেলায় বহুদিন ধরে চলে আসা ভালবাসাটুকুও জুতোর তলায় পেরেকের মত মনে হয়। বিচিত্র মানুষ, তার চেয়েও বেশি অদ্ভুত তাদের আচরণ, কার্যকলাপ। বলতে দ্বিধা নেই, গল্পের নায়ক আর নিজের মাঝে সাদৃশ্য ছাড়া বৈসাদৃশ্য কিছুই খুঁজে পেলাম না। অনেক ভাললাগা রেখে গেলাম। ৭ম প্লাস।
০২ রা মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: পজিটিভ দিকটাও দেখেন! কেন তারা শেষপর্যন্ত সেই গোপন গন্তব্যে যেতে পারলো না? বিবেকরূপী মোটা মহিলাকে শাব্ল দিয়ে চাড়িয়ে ওঠাতে হয়। নৈতিকতা, আশৈশব প্রেম, এসব এখনো একদম ঠুনকো হয়ে যায় নাই। এসব ভেবে সান্ত্বনা পেতে পারেন! এইটার দরকার নাই যদিও...
ধন্যবাদ এরিস। শুভসকাল।
১১| ০২ রা মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
হামার গল্পে একটা গতি থাকে... যাকে বলা যায় কাফকায়েস্ত এর মত করে হামায়েস্ত!!!
এইবার ক্লিয়ার...
এখন গল্পটা আমার কাছে একটি মুক্তগদ্য মনে হচ্ছে...
গ্রামের বাড়ি থেকে এই প্রথম নির্জঞ্ঝাট ব্লগিং করতাছি..
ঠিক এই অংশটা কাব্যের সব মজা দিচ্ছে...
সে এখন প্রসাধনসজ্জিতা। রুক্ষ ত্বককে যথাসম্ভব কোমল করে তুলেছে। তার পরনে সেই লাল শাড়িটা, যা আজ আমার প্রেমিকা দর্জির দোকানে দিয়েছিলো। উফ! তার কি আর কোন শাড়ি ছিলো না! আমার শৈশবসংলগ্ন ভালোবাসার চিহ্নকে সরিয়ে তার কাছে যেতে কুন্ঠাবোধ হয়। যেন জুতোয় বিঁধে আছে পেড়েক। সত্যিই তাই ঘটে! তার পাশে বসতে গিয়ে আমার জুতোয় ধাতব কী যেন একটা আঁটকে যায়। ভীষণ ব্যথায় জর্জরিত হয়ে আমি ভাবি তার কাছে বসব নাকি আগে পায়ের একটা সুবন্দবস্থ করব। লাল শাড়িটা থেকে ঝাঁকেঝাঁকে আরো ব্যথারশ্মি নির্গত হয়ে আমাকে কাবু করে ফেলে। ঠিক তখনই তার কাঁধের ওপর গোখরো সাপের জিভের মত ব্রায়ের স্ট্র্যাপটা দেখে আমি সামলে উঠি। সব সংকোচ সোল্লাসে ছুড়ে ফেলে পাশে গিয়ে বসি।
০২ রা মে, ২০১৩ সকাল ১০:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: যাক, ক্লিয়ার করতে পেরে ভালো লাগলো। গল্পের ভাষা নিয়ে ইদানিং কেমন যেন কুন্ঠায় থাকি। বিশেষ করে কবিরা যখন পাঠ করে। আপনি কাব্যময়তা খুঁজে পেয়েছেন জেনে খুশি হলাম।
নির্ঝঞ্জাট ব্লগিংয়ে স্বাগতম!
১২| ০২ রা মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩
মাক্স বলেছেন: আপনার শব্দচয়ন এবং বাক্যগঠনে সর্বদা মুগ্ধ হই এবং গল্পের অন্তর্নিহিত তাত্পর্য ফিকে, দুর্বোধ্য হয়ে থাকে আমার কাছে। মুগ্ধতাকে ইচ্ছাকৃতভাবেই প্রশ্রয় দেই।
আর গল্পের সারাংশতো কমেন্টেই থাকে তাই ওটা নিয়ে আর কোন চিন্তাই থাকে না!
শুভ সকাল।
০২ রা মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস মাক্স! শুভসকাল।
১৩| ০২ রা মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫০
প্যাপিলন বলেছেন: পায়ে কাঁটা না পেড়েক কী যেন বিঁধে থাকে, সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি তুলে ফেলব না রেখে দিব, সীদ্ধান্তহীনতার মধ্যেই স্টপেজ চলে আসে
"সকাল থেকে লুকোচুরি,
খেলা শুরু করি
আমরা চোর,
আর সূর্য সেপাই..."
অনবদ্য
০২ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্যাপিলন। শুভকামনা।
১৪| ০২ রা মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: Mugdho path! Sokale uthei ekti valo golpo pelam...
Dhonnobad hasan vai!
০২ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!
আজকে যেই গরম! ইচ্ছা করতাসে কোন বটবৃক্ষের ছায়ায় যায়া বইসা থাকি।
১৫| ০২ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কমেন্ট করব না গল্প নিয়া যেহেতু আপনার আগের গল্পের পোস্টের কমেন্টের উত্তর দেন নাই।
শুভ গল্প লেখালেখি
০২ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: এইডা কেমুন হৈলো!
১৬| ০২ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১:০৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পে কয়েক জায়গায় বানান ভুল আছে। খুঁজে বের করে ঠিক করেন। তবে এক বসায় যদি গল্প লেখা হয়ে থাকে তাহলে এই ভুলগুলো এড়িয়ে গেছে এটাই মনে হচ্ছে।
গল্পের কথক চরিত্র টা ভালো লাগছে। এই কারণে লাগছে যে জন সমুদ্রে থেকেও নিজের জগতে ডুবে থাকতে পারা টা একটু কঠিন হলেও খারাপ অবস্থার মাঝে থাকলে ফ্যান্টাসি তে চলে যাওয়া যায়।
পাব্লিক বাসে এরকম কিছু ব্যাপার অহরহ হচ্ছে। কন্ডাক্টর, বয়স্ক মহিলা, সিট বা ভাড়া নিয়া ক্যাচাল পরিচিত দৃশ্য। তবে পরিচিত দৃশ্য থেকে রুপকের ব্যবহার সুন্দর হইছে। বিশেষ করে " বিবেক কে " রিপ্রেজেন্ট করার স্টাইল কিংবা জাদু বাস্তবতার বিষয়টা।
আমার কাছে কাব্যিক ছোঁয়া মনে হয় নাই লেখার মাঝে। সব মিলিইয়া ভালো ।
শুভ কামনা
০২ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: বানান ঠিক করে নেব। হু, এক বসাতেই লেখা।
গল্পের কথক চরিত্রটা ফ্যান্টাসিতে ডুবে গিয়েছিলো নাকি কামজ তাড়না এবং বিবেকের তীব্র দ্বৈরথে নিজের অজান্তেই কখনও পরাজিত সৈনিক কখনও বিজয়ী সেনাপতি হয়েছিলো, আর প্রকৃত বিজয়টাই বা কোথায় সেগুলো সে জানতে পারবে না বা চাইবেও না।
কবিতা লিখতে পারি না, গল্পে চেষ্টা করি কিছুটা হলেও কাব্যিকতা রাখার। ইদানিং তা আগের মত হচ্ছে না। এটা নিয়ে আমি অসন্তুষ্ট। আবারও প্রচুর বই পড়ার মধ্যে থাকতে হবে।
শুভদুপুর!
১৭| ০২ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১:১১
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: দারুণ লাগলো! শব্দ চয়ন থেকে শুরু করে শৈল্পিক বর্ণনা! শুভকামনা সতত!
০২ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন।
১৮| ০২ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: হুম হামা ভাই, অনেক মনোযোগ দিয়ে একবার পড়লাম। প্রথমে বেশ কিছু বানান ভুল করেছেন, ওগুলো ঠিক করে নিলে খুশি হতাম।
প্রথমে ভাবলাম শেষ অংশটা স্বপ্ন। পরে দেখলাম স্বপ্ন না, জাস্ট বাজে কল্পনা। কাউকে নিয়ে বাজে কল্পনা আমরা সবাই করি, বিশেষ করে সুন্দর কোন মেয়েকে চোখে পড়ে গেলে প্রাপ্তবয়স্ক অবিবাহিত পুরুষের প্রায় নব্বই শতাংশই বাজে কল্পনা করে বলে আমার ধারণা। আপনার গল্পটা সেইরকম একটা বাজে কল্পনা নিয়েই।
তবে কল্পনার মধ্যে মোটা মহিলা, কন্ডাক্টর, ড্রাইভার এদের যে রূপক হিসেবে রেখেছেন এটা কমেন্ট পড়ার আগে মাথায়ই আসে নি। ঐ ব্যাখ্যাটা পড়ার পর গল্পটাকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে বাধ্য হলাম এবং চমৎকার লাগলো, যদিও গল্পটা খুবই কমন একটা ঘটনা নিয়ে লেখা।
প্লাস দিলাম। ভাল থাকবেন।
০২ রা মে, ২০১৩ দুপুর ২:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! বানান ভুল ঠিক করে নেব। কল্পনা কিন্তু একপাক্ষিক না। সহযাত্রী মহিলাটাও হয়তোবা এমন কল্পনা করেছিলো। এই কল্পনার চিত্রনাট্যে সেও ছেলেটির মত কামনা নিয়ে শাবল দিয়ে হোৎকা মহিলাটিকে সরানোর জন্যে চেষ্টা করেছিলো। তবে সুখের কথা এই যে, তারা ক্লান্ত হয়ে রাতের মায়াবী জগৎ থেকে ঘর্মাক্ত বাস্তবতায় ফিরে গিয়েছিলো যে যার মত।
শুভদুপুর!
১৯| ০২ রা মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৪
একজন আরমান বলেছেন:
স্যাটায়ার গল্প ভালো লাগলো মাহবুব ভাই।
আমরা সবাই মুখোশধারী। তবে আশার কথা আমাদের মুখোশ পরিবর্তনে বাঁধা দেয় বিবেক !
০২ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা অবশ্য ঠিক স্যাটায়ার গল্প না...
পাঠের জন্যে অনেক ধন্যবাদ আরমান!
২০| ০২ রা মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬
ভাঙ্গা কলমের আঁচড় বলেছেন: পেলাস মারলুম :p
০২ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ দিলুম!
২১| ০২ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭
ডানাহীন বলেছেন: কার জানি একটা গান শুনছিলাম " দেয়ারস আ মনস্টার লিভিং আন্ডার মাই প্যান্টস" - গানটা মনে পড়ে গেল
আমার মনে হয় প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রন করতে পারাটাই মনুষ্যত্ব ..
আপনার বিভিন্ন গল্পের পুরুষ চরিত্র চিত্রন দেখে একটা ব্যাপার জানতে চাইছি - পুরুষের মনোদৈহিক রিফ্লেক্স কি সবসময় এভাবেই কাজ করে ( বিশেষ করে কামনা ব্যাপারটা যেটাকে মাঝে মাঝে আমার কাছে সাইকো পর্যায়ের মনে হয়)
গল্প ভালো লেগেছে ..
০২ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার গানের লাইনটা গুগলিং করেও কিছু পেলাম না।
কামনাকে যদি মানুষ নিবৃত করতে না জানতো, তাহলে পুরো পৃথিবীই একটা থ্রিডি সেক্স থিয়েটার হয়ে যেত। জাফর ইকবালের একটা গল্প আছে ওয়াই ক্রোমোজম নামে। Y-ক্রোমজম, দুনিয়ার অধিকাংশ সমস্যার (অপরাধ, ভায়োলেন্স, ধর্ষণ) গোড়া। যা আসে পুরুষ থেকে। অবশ্য অপরাধ প্রবণতা, ধর্ষকামি মনোভাব উভয়ের মধ্যেই আছে। কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে এই রিফ্লেক্স দ্রুত কাজ করে জানান দেয় ব্রেইনকে, নারীর ভেতর হয়তো জাগতে সময় নেয়। আর দুজনারটা সিনক্রোনাইজড হলে তারা শাবল, গাইতি নিয়ে উঠে পড়ে রাতের বাসে।
ধন্যবাদ ডানাহীন।
২২| ০২ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১০
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পকারের কাজ যদি হয় নিত্য ঘটে যাওয়া অনুল্যেখযোগ্য ছোট ছোট ঘটনা, দৃশ্য আর মুহুর্তগুলিকে জাদুকরি ছাঁচে ফুটিয়ে তুলে পাঠককে এর ভিতর দিয়ে চালিত করে মোহাবিষ্ট করা, তাহলে গল্পকার হাসান মাহবুব একজন সত্যকারের জাদুশিল্পী ।
আর গল্পের ভিতরে মোহাবিষ্ট পরিক্রমায় হয়ত পাঠক হয়ে উঠে মনোবিদের কাঠগড়ায় সত্য স্বীকার করে নেয়া আত্মতৃপ্ত একজন । বিশেষকরে পুরুষ মনোজগতের অদ্ভূত জটিল ফ্রিকোয়েন্সি, যেখানে বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি রেন্জে ডোপামিন নিস্বরন জনিত পরম আত্মসুখ লাভ । আর এই জন্যেই বোধহয় পুরুষের ভালবাসায় এককেন্দ্রীকতা বিরল, পথপরিক্রমায় হোচট খাওয়ার ছোট ছোট পকেট-ফাঁদ । যদিও এর বেশিরভাগই কক্ষচ্যুত করার মত যথেষ্ট নয় হয়ত, তাই দিনশেষে কেন্দ্রের দিকেই ধাবমান ।
পুরুষ মনোজগতের এই অদ্ভূত পরিভ্রমন সহজিয়া বাউলদের কাছে ধরা দেয় এই ভাবে,
তোমার মনে বসত করে কজনা,
ও মন জাননা ।
তোমার মনে বসত করে কজনা ।
০২ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আহ, মামুন ভাই! জেনে মজা পাবেন যে গল্পটির নাম নিয়ে যখন ভাবছিলাম, তখন আপনার উল্লেখ করা গানটার কথা বেশ কয়েকবার মনে এসেছিলো। তবে শেষ পর্যন্ত অঞ্জন দত্তের 'মালা' থেকে একটা লাইন তুলে দিলাম।
এত চমৎকার একটা মন্তব্যের জন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার পোস্ট এবং কমেন্ট সবই এত যত্ন নিয়ে করেন, খুব ভালো লাগে।
ভালো থাকবেন। শুভবিকেল।
২৩| ০২ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: ওয়েলকাম! আপনি ছায়ায় বসলে তো আমি ধন্য হয়ে যাবো!!
মাঝে মাঝে নিরবে বিচরন করে যান তা অবশ্য দেখতে পাই!!
আসবেন....
ভালো থাকবেন....
০২ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আই রিয়ালি মিনট দ্যাট! বটবৃক্ষ প্রকৃতির মহান এক সৃষ্টি। মানুষের মাধ্যে তার সেই ছায়া সঞ্চারিত হলে তো খুবই ভালো।
ভালো থাকবেন। শুভবিকেল।
২৪| ০২ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: সবকিছুই বাস্তব। এমনকি রাতের কল্পনাটাও।
আমাদের ভাবনাগুলো এমনই। আমরা খারাপ হতে পারিনা নিজের কাছে ভালো সাজতে গিয়ে। আমরা ভালোমানুষির অভিনয় করছি সবসময়। এমনকি নিজের সাথেও অভিনয় করে চলেছি।
তবে আমরা কি এবং আমরা কি চাই সেটা হয়তো আমরা জানিনা।
গল্প বরাবরের মতোই ভালো লাগলো।
০২ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যের জন্যে।
ভালো থাকবেন। শুভবিকেল।
২৫| ০২ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
আমার কাছে খুব সাবলিল মনে হয়েছে গল্পটা।
বর্ণনা আর শব্দের ব্যবহার মুগ্ধ হবার মতই.......
শুভকামনা হাসান ভাই।।
০২ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি। শুভকামনা আপনার জন্যেও।
২৬| ০২ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মানবজাতির কাছে রাত অত্যন্ত প্রিয়। রাতে আমাদের চিন্তা-ভাবনা পরিষ্কার হয়ে ওঠে, সেই সাথে ভেতরের কলুষিত সত্ত্বা(কিংবা বিশুদ্ধ সত্ত্বা?)বোধহয় প্রাণ ফিরে পায়। আমরা রাতের বেলায় যা ভাবতে পারি, তা দিনের বেলায় পারি না। তাই তো রাত্তিরে অভিসারে বেরোয় রাধা, ধর্মপীঠের ধার্মিক লোকটি রূপপোজীবিনীর পায়ে ইহকাল-পরকাল সমর্পণ করে, রাজপুত্র গৃহত্যাগী হয়। কিন্তু সকাল হলেই আমরা বড্ড ক্লিশে বাস্তবে ফিরে আসি। রাত তাই ফ্যান্টাসির স্রষ্টা।
আপনার গল্প ভাল লাগে। বড় বড় বাক্যে প্রায়ই বিভ্রান্ত হই, কিন্তু এতে পাঠে মনোযোগ যে বাড়ে, তা স্বীকার করি। সাধারণ একটা ঘটনা নিয়ে লেখা, সাধারণ অনুভূতি, তাই গল্পটা চমকে দেয় নি। তবে অন্য একটা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে বাধ্য করেছে। বাস্তব অবাস্তবের কুয়াশাঘেরা সাঁকো দেখতে পেলাম, বিভ্রান্ত পদক্ষেপ দেখতে পেলাম, সেইসাথে লজিকের বাধাটাও স্পষ্ট হল। সাঁকো পেরিয়ে ওপারে যাওয়া হল না, কিন্তু ওপারের অস্তিত্ব থাকলে তো? না পাওয়াটাও তখন অবাস্তব হয়ে পড়ে।
অভিযোগ আছে কয়েকটা। আপনার 'গল্পের ভেতর গল্প' ধরণটা ভালো লাগে। এই ধরনে সাবলীলতা মাস্ট। কিন্তু এই গল্পে একটু আটকে আটকে গেলাম। আগের গল্পগুলো থেকে যা একটু ব্যতিক্রম।
দ্বিতীয়তঃ, ঠিক অভিযোগ নয় এটা, কিন্তু গল্পে মেয়েটার অনুভূতি বা মহিলা বা কন্ডাক্টরের চিন্তা ভাবনা আরেকটু এলে পাঠক হিসেবে তৃপ্তি পেতাম। তবে 'আমি-গল্প' হলে ঠিকই আছে।
সবশেষে, লেখার সারাংশটা শেষের দিকে একটা লাইনে যেভাবে এসেছে, 'কোথায় আর যাব? যাবার আর কোন জায়গা আছে বল?' ওই অংশটা খুব ভালো লেগেছে।
ভালো থাকুন।
০২ রা মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি আমার গল্প পড়লেন, আর আমি আপনার মন্তব্য! কয়েকবারই পড়লাম। গল্পের ব্যবচ্ছেদের পাশাপাশি মুক্তগদ্য হিসেবেও পড়া যায় কিছু অংশ। আপনাকে পেল্লায় কিছু পেলাচ!
কোন জায়গাটায় শিথিল লেগেছে, সাবলীলতায় বাধা পড়েছে আমি খুঁজে বের করছি দাঁড়ান! তবে কন্ডাক্টর, হোৎকা মহিলা এগুলো তো মূল চরিত্রের মনোভ্রমণের পথে অনুষঙ্গ, পূর্ণাঙ্গ কোন চরিত্র না। ওরা তার মাথার ভেতরের কোষ! তাই ওদেরকে নিয়ে আলাদাভাবে চরিত্র চিত্রন করিনি। মেয়েটার ব্যাপারটা অবশ্যই ভাবা যেত।
অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২৭| ০২ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বদমাশ কন্ডাক্টর হাস্যকর একটা মেয়েলী চাহনি দিয়ে ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে। এবং তার চেয়েও হাস্যকর ব্যাপার, তাকে আমার প্রেমিকার মত লাগছে দেখতে। উল্টা-পাল্টা ব্যাপার-স্যাপার !!
০২ রা মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: সেইরম উল্টাপাল্টা
২৮| ০২ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭
আরজু পনি বলেছেন:
আমিতো আগের পোস্টটাতে কমেন্ট কমপ্লিট করি নাই
ওইটা আগে কমেন্ট শেষ করে পরে এইটাতে আসবো
০২ রা মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ফাঁকিবাজ পনি আপা
২৯| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
রাত দুটোয় টিকেট, প্রথম যে ব্যাপারটা মাথায় আসছে তা হলো নাইট প্রেসারের ভাবনা! বাট আপনি মহিলাটা আর কন্ডাকটর এনে ঝামেলা পাকায়া দিসেন! তবে কমেন্ট পড়ে ফেলায় বুঝতে অসুবিধা হয় নাই।
জুতোয় পেড়েক বিঁধে গেলে উফ্রে ফেলাই ভালো
আপনার গল্পে আগের মতো ধার পাচ্ছি না মনে হচ্ছে! কেমন যেন জড়তা কাজ করে মনে হচ্ছে! জানিনা, আমি আজকাল খুব ডিস্টার্ব থাকায় এমন হচ্ছে কিনা।
০২ রা মে, ২০১৩ রাত ৯:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: জুতোয় পেরেক
ইঞ্চি দেড়েক
খুব ধার
নেই পার!
ধার পাচ্ছেন না, জানিয়ে ভালো করেছেন। এ নিয়ে কাজ করতে হবে। তবে এই গল্পের সাবলীলতার ক্ষেত্রে দুরকম মন্তব্যই পাচ্ছি।
থ্যাংকস!
৩০| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ৯:১৫
কয়েস সামী বলেছেন: অফিসে বসে পড়েছি। সাসপেন্স ধরে রেখেছেন শেষ পর্যন্ত। পোস্টে ভাল লাগা।
০২ রা মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস! শুভরাত্রি সামী।
৩১| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ৯:৫২
রেজোওয়ানা বলেছেন: ক্রিয়েটিভ কমেন্ট কেম্নে করে গল্পে?!
আপনার গল্প ভাল লেগেছে, প্লাস, অনেক ভাললাগা.....এসব ছাড়া তো মাথায় কিছুই আসতাছে না
০২ রা মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ২২ আর ২৬ নং কমেন্ট দেখেন আপু
৩২| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:২৫
চান্দের গাড়ি বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে
++
০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ চান্দের গাড়ি। স্বাগতম আমার ব্লগে।
৩৩| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১১:১৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: ঐ দুইটা পড়ছি!
পড়েই তো নিজেরে বড়ই অথর্ব মনে হইলো
০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১১:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: I know the feelings রেজু আপু মাম্মা! আপনার ভালো ভালো লেখাগুলাতে কমেন্ট করতে গিয়ে কেমন ভ্যাবাচ্যাকা খায়া যাই
৩৪| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:০২
সায়েম মুন বলেছেন: ভাল লিখেছেন। আপনার অনেক গল্পে টার্নগুলা ঝামেলা করে। এটাতে তেমন করেনি। আপনি টার্ন নেয়ার সময় যেন সচক্ষে দেখতে পাচ্ছিলাম।
০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব স্মুথলি চালাইসি, স্পিড লিমিট ভাঙিনাই। পুলিস ধরতে পারে নাই
থেংকু। শুভরাত।
৩৫| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:১১
নক্ষত্রচারী বলেছেন: মন্তব্যহীন মন্তব্য !
পাঠক সংখ্যা কমে যাচ্ছে মনে হয় ।
পড়তে পারলাম না; কালকে এক্সাম আছে তো । কপি করে রাখলাম ।
শুভকামনা রইল ।
০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: কিছুটা মনে হয় কমসে। নাকি এরকমই তো থাকে মনে হয়!
পরীক্ষা ভালো হোক। শুভ পড়াশোনা!
৩৬| ০৩ রা মে, ২০১৩ সকাল ১১:০১
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: ওহ গল্পটা পড়তে গিয়ে আমি আউল ঝাউল লাগিয়ে ফেলেছি , তাই দুই তিন বার করে পড়তে হলো , প্রথমে মনে হলো গল্পে রসকষ নাই , পরে দেখলাম না ভালই লাগতাছে , অর্ধেক পড়ার পর মনে হলো আমি কি পড়লাম এতক্ষণ , সব তোঁ ভুলে গেছি তাই আবার মনযোগ দিয়ে পড়লাম , ভালই লাগছে ++++++
০৩ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পে রসকষ ভালুই আচে। এ্যাডাল ইরুটিক গফ
ধন্যবাদ!
৩৭| ০৩ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: শিরোনাম পড়ে আমি ভাবছিলাম, "নাহ! এটা হামা ভাইয়ের লেখা না!" ভাল করে তাকিয়ে দেখলাম "আরে! এটা তো হামা ভাইয়ের লেখাই। অত্যাশ্চর্য ব্যাপার। হামা ভাই এরকম একটা শিরোনাম দিয়েছেন!" আমি বলছি না নামটা খারাপ হয়েছে, মানে.. আপনার গল্পের নামকরন একটু অন্যরকম হয় সাধারনত। যাক... গল্প পড়ার আগেই টুইস্ট খাইয়া গেলাম।
বাসযাত্রার সময় মেয়েটির মনোভাব কিছুটা আনতে পারতেন। সরাসরি না এনে ছেলেটি মেয়েটার মনোভাব পরিক্ষা করার চেষ্টা করছে, বা কিছুটা আঁচ করতে পারছে এভাবে দেখিয়ে দিতে পারতেন। যাই হোক তারপরও ভালই হয়েছে আমি বলব।
আর শেষ কথা হল প্রোফেসর শঙ্কুর মন্তব্যটা মুগ্ধ করেছে!
০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটার নাম অঞ্জন দত্তের একটা বিখ্যাত গান 'মালা' থেকে নেয়া। এত সিম্পল নাম দেয়ার পেছনে কিছুটা গিমিকবাজ মনোভাব কাজ করেছে। পাঠক যেন সিম্পল ভেবে পড়া শুরু করে পরে জটিলতার মুখোমুখি হয়ে টাশকি খায়! হাহা।
মেয়েটার মনোভাব এখানে হিডেন। আর তা ছেলেটার মনোভাবের মতনই। বিশেষ করে রাতের বেলা যখন তারা বিশেষ বাসে উঠে ভয়ংকর এক গন্তব্যের দিকে রওনা দেয়, তখন চপলা মেয়ের রক্ষণশীলতা আর বিপুল পুরুষের শিশ্নমস্তক সব এক বিন্দুতে মিশে যায়।
প্রফেসরের মন্তব্যটা আসলেই অসাধারণ।
থ্যাংকিউ!
৩৮| ০৩ রা মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মন্তব্যের রিপ্লায়ের নিচে আবার মন্তব্যের অপশন পেলাম না তাই আবার মন্তব্য দিলাম ।
কামজ তাড়না এবং বিবেকের তীব্র দ্বৈরথে যাই বলেন না কেন পাশে সঙ্গির সাথে শুইয়া থাইক্যাও যে কল্পনাও ঘুরাঘুরি বা নিজের সঙ্গী/ সঙ্গিনী থাকার পরেও যে আমাদের আরও আঙ্কাংক্ষা - এইটাকে ফ্যান্টাসি ই বলা চলে।
মানুষের চেতনার গভীরে যে আরেকটা অবচেতন থাকে, যেখানে সামাজিক চিন্তাভাবনার বিপরীতে তার স্বাধীনতা প্রিয় সত্ত্বার আরেকটা অংশ ক্রমাগতই তাদের অস্তিত্বের জানান দিতে থাকে এবং উপযুক্ত পরিবেশ, উদ্দিপকের সংস্পর্শে আসলে তার প্রকাশও ঘটতে পারে। এই যে আমাদের আরেকটা লুকোনো স্বত্বা এই স্বত্বার সাথে অনেকেরই পরিচয় নেই, যে কারণে আমরা সেটা লুকিয়ে রাখতেই ভালোবাসি , যে কারণেই আমাদের মধ্যরাতের মনস্তাত্বিক ভ্রমণ কে বান্ধবী বা প্রেয়সীর কাছে প্রাতঃ কালীন ভ্রমণ বলতেই স্বস্তি ফীল করি।
গল্পে কাব্য প্রচেষ্টা কি আসলেই কোন গল্পের বুনন কে দুর্বল করে দেয় বলে আপনার মনে হয় ? আজকে আমি গল্পে অনেকদিন পর একটু কাব্যিকতা আনতে গিয়ে দ্বিধা তে পড়ে গেছি।
অফ টপিক - পাঠক উপস্থিতি কমে গেলেও একজন লেখকের লেখের মূল্যায়ন হওয়াটা জরুরী। অনেক কেই দেখেছি তারা এসে অহেতুক কিছু কথা বলে গল্প বুঝুক আর না বুঝুক জাস্ট বুঝিয়ে যায় তাদের উপস্থিতি।সেটা কমে যাবার পরেও যদি বাকিদের উপস্থিতি গল্পের মূল্যায়ন ঠিক ভাবে করে আমার মনে হয় সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
ধন্যবাদ । ( ফ্রী তে জ্ঞানী সাজলাম )
০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশ বলছে মানুষের মনের গহন কালোর কথা। যেটা কখনও হঠাৎ করে ফনা তোলে। তখন আমরা নিরুপায় হয়ে যাই। বিষদাঁত ভাঙার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে তার একটা রেপ্লিকা বানিয়ে রেখে দেই মনের আলমারিতে। তারপরেও ছোবল অবশ্যম্ভাবী। আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম, ছেলেটা ঐ রাতে কোন ফ্যান্টাসি করেনি। কিন্তু তার অবচেতন গোপনে ঠিকই বুনে যাচ্ছিল আগ্রাসী এক জাল। সে কি নিস্তার পাবে সেখান থেক? মানুষের এই ডার্ক সাইডগুলা নিয়ে লিখতে ভালো লাগে।
গল্পে কাব্যভাব আমি পছন্দ করি। তবে সেটার পরিমিত প্রয়োগই ভালো।
আপনার মত পাঠক এবং আপনাদের মতামত সবসময়ই স্বাগতম। বিন্দুমাত্র কুন্ঠা প্রকাশ না করে খোলামেলা বলবেন সব।
আপনার আজকের গল্পটা খুঁজে পাচ্ছি না।
৩৯| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:০২
সোহাগ সকাল বলেছেন: হামা ভাই, রাতের কাহিনীটা কি স্বপ্ন? তাহলে সকাল বেলা প্রেমিকার সাথে দেখা হওয়া, জবাবদিহিতা কেন?
আপনার গল্পেই খালি খটকা লাগে। না বুঝলেও মুগ্ধ হতে বাধ্য হই।
শুভ কামনা।
০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: না, স্বপ্ন না। আবার বাস্তব ও না। একটা জাদুবাস্তবভ্রমণ শেষে আবারও বাস্তবতায় ফিরে আসা।
অনেক ধন্যবাদ!
৪০| ০৪ ঠা মে, ২০১৩ রাত ১২:১০
রুন বলেছেন: সেকেন্ড ফেজটা ২বার পড়তে হয়েছে ভাইয়া । প্রথম বার মাথার ওপর দিয়ে গেছে, দ্বিতীয় বার মনে হয় ধরতে পেরেছি, দেখেন তো ঠিক আছে নাকিঃ
লাল জামা টা হল দুষ্ট রিপু
কন্ডাক্টর টা হল বিবেকের তাড়না
প্রৌঢ়া মহিলা হল বিবেকের আরো শক্ত অবস্থান।
০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: একদম ঠিক আছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ নিবিষ্ট পাঠের জন্যে। ভালো থাকবেন রুন।
৪১| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার গল্পটা আগেই পড়েছিলাম। কিন্তু কিছু ব্যস্ততার কারনে মন্তব্য করতে পারি নাই। আপনার এই গল্পে আমার কাছে ব্যতিক্রম লেগেছে গল্পের নামটা।
কিছুটা দ্বিধায় ছিলাম যে হাসান ভাই কি কোন নিখাদ প্রেমের গল্প লিখল নাকি? |
যাই হোক, গল্পটা পড়ে আমার ভালো লেগেছে। বিশেষ করে, মানুষের বিবেক, সময়, নিজ প্রেক্ষাপট এবং সর্বপরি নিজের দর্শনের ব্যাপারটি।
ভালো থাকুন সদা।
০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কা.ভা। তবে আপনাকে তো ঠিক চিনতে পারলাম না
শুভবিকেল!
৪২| ০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ফ্যান্টাসি কিন্তু বাস্তব
০৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু। যে বাস্তব আমরা এড়িয়ে যাই। অদৃশ্যবাস্তব।
ধন্যবাদ। শুভবিকেল।
৪৩| ০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা । আসলে কাল্পনিক ব্যাপার। বাস্তবে চেনা বড় কষ্টের।
০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার মোটেও কষ্ট হয় নাই চিনতে
৪৪| ০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৮
কালোপরী বলেছেন:
০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন:
৪৫| ০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৪৬
কালোপরী বলেছেন: গল্প চমৎকার, এটা বলা আমার মত নাদানের শোভা পায় না আর সবার মত আমি ভাল ভাল কমেন্টও দিতে পারি, বাকি রইল smile
০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: কেউ যদি হাসিমুখে ভালো লাগা জানায়, তাহলে আনন্দ হয়। খুশি লাগে। ভালো থাকবেন।
৪৬| ০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:০৮
কালোপরী বলেছেন: সবার মত আমি ভাল ভাল কমেন্টও দিতে পারি এর জায়গায় সবার মত আমি ভাল ভাল কমেন্টও দিতে পারি না হবে
আপনিও ভাল থাকবেন
০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ফেসবুকের মত কমেন্ট এডিটের সুবিধা থাকলে ভালো হত।
শুভেচ্ছা।
৪৭| ০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:০৯
রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: সত্যি চমৎকার............
বরাবরের মত এটাও অসাধারন একটা গল্প।
খুব ভালো লাগলো।
অনেক সুন্দর একটা পোস্ট।
লেখায় +++++
ভাল থাকবেন .....শুভকামনা রইলো
০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রোকেয়া। শুভরাত্রি।
৪৮| ০৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:০২
লাবনী আক্তার বলেছেন: আপনি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে গল্প লেখেন। খুব ভাল লাগে পড়তে। পোস্টে +++++++++++
০৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লাবনী! শুভসকাল।
৪৯| ০৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আমার মত পাঠকের একবার পড়ে এই গপ ধরার মত না - তাই পুরাটা ধরতে পারলাম না - আমার কাছে ধোয়াটে লাগলো
০৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: দুঃখিত! মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যগুলো আশা করি আপনাকে সাহায্য করবে।
৫০| ০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:১৪
নুসরাতসুলতানা বলেছেন: কাফকার লেখা আমার পছন্দ - মেসেজ থাকে তাঁর লেখায় । আপনার লেখায় যেন কাফকার ছোয়া পেলাম।গল্পে ভাললাগা রইল।
০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি নিশ্চয়ই কাফকার "একজন গ্রাম্য ডাক্তার" গল্পটা পড়েছেন? এই লেখাটার সাথে থিমেটিক মিল আছে কিছুটা। কাফকার সাথে তুলনা দেয়া অনেক বড় ব্যাপার। সম্মানিত বোধ করছি।
ভালো থাকবেন।
৫১| ১০ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রিপু রিপু শহরে ষোল জনা বোম্বেটে।,,,,,,,,,নিল সব লুটে সব লুটে ২৭ তম + ২৭ আমার প্রিয় সংখ্যা বিশ্বাস।
১০ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! দু লাইন পদ্য বেশ ভালো লাগলো। শুভদুপুর।
৫২| ১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪
আরমিন বলেছেন: আগেই পড়েছিলাম, সাইন ইন করতে না পারায় মন্তব্য করা হয়নি, বরাবরের মতই!
+++
১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস আরমিন। শুভবিকেল।
৫৩| ১৩ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭
নস্টালজিক বলেছেন: মাহবুব ভাই, নচি'দা আর অঞ্জন!
মিশেল ভালো হইসে, নিগা!
শুভেচ্ছা নিরন্তর!
১৩ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু- মেংকু, কেক-শেক আমি আসলে ভালা না!
শুভেচ্ছা চিরজীবী হোক।
৫৪| ১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫
অদৃশ্য বলেছেন:
হাসান ভাই
লিখাটি কালকেই পড়েছি... ভালো লেগেছে লিখাটি।
'' শরীরের সাথে শরীর কী যেন ফিসফাস করেছিলো শুনতে পাইনি'' ... লেখক সত্যই কি শুনতে পায়নি নাকি না শোনার ভান করে ছিলো ?
শুভকামনা...
১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা কবি!
সূর্য কেন ওঠে? চন্দ্র কেন ডোবে বসন্তকালে কেন শরীল চাবায়? কিছু কথা থাক না গুপন।
(দৈনিক মতিকন্ঠ)।
৫৫| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৮
কালীদাস বলেছেন: গল্পের মেইন কনটেন্ট নিয়া তেমন কিছু বলার নাই, অন্য একটা সাপ্লিমেন্টারি কথা কই আজকে! ছয় নাম্বার বাসে চড়তে কেমন লাগে? ঢাকার ঐতিহ্য
১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ছয় নাম্বার বাসে তেমন চড়া হয় না। আমার রুট ঐটা না। তবে তাতে কী! নয় নাম্বার আছে না!
৫৬| ১৫ ই মে, ২০১৩ ভোর ৬:৪৮
না পারভীন বলেছেন: এই লেখাটি যখন প্রকাশিত হয়েছে তখনি পড়েছি । পুরো গল্পটি মনে খুব দাগ কেটেছে বলা যায় , এরমধ্যে ৩-৪ বার বাসে উঠেছি , প্রতিবারি গল্পটির কথা মনে পড়েছে । মানুষের একটী অন্ধকার দিক আলোতে নিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ ।
১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটি আপনার মধ্যে এত প্রভাব ফেলেছে জেনে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন। শুভসকাল।
৫৭| ১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ৭:০৮
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
৩২তম ভাললাগা।
আপনি অনেক পুরানো ব্লগার তবুও কেন জানি আপনার ব্লগে আমার কখন আশা হয়নি । এখন থেকে আপনার গল্পের নিয়মিত পাঠক হয়ে গেলাম।
১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শোভন! শুভ সকাল।
৫৮| ১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২৬
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভাই, এইটা কিছু হইল ?? এই ভালমানুষীর সাইনবোর্ড লাগাইয়াই বাঁইচা আছি। এখন আপনি যদি এরকম "চিচিং ফাক" কইরা দেন, তাইলে আমরা যাই কই ??
গল্প ভালো হয়েছে বলার চেয়ে মনে হয় গল্পটা খুব প্র্যাক্টিকাল হয়েছে বলা অধিক যুক্তিযুক্ত হবে। আপনার অন্তর্দৃষ্টির প্রশংসা করতে হয়। ভবিষ্যতে আপনার সাথে কখনো দেখা হবার সুযোগ থাকলে এড়িয়ে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কে জানে আপনি হয়তো এক নজরেই "মনের গোপন ঘরে যে শ্বাপদ ঘর করে" তার সন্ধান পেয়ে যাবেন
১৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: সাইনবোর্ড সবসময়ই লাগানো থাকে, সবাই দেখে, জানে,চিচিং ফাঁক হবার কিছু নাই! তবে কখনও ঝড়-জলে সাইনবোর্ড উড়ে যেতে পারে রঙ জ্বলে যেতে পারে তখনই সমস্যা! তখন যে আমরা কই যাই!
শুভরাত মহোপাধ্যায়!
৫৯| ১৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
ভিয়েনাস বলেছেন: আমরা মানুষ বলেই বিবেক কে অতো স হজে উপড়ে ফেলতে পারিনা।
মন্দের মুখোশ খুলে দেয় শুভ্রময় সকাল।
লেখায় ভালো লাগা জানালাম.......
১৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর বলেছেন ভিয়েনাস। অনেক ধন্যবাদ!
৬০| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫০
দেহঘড়ির মিস্তিরি বলেছেন: মাঝে মাঝে ইচ্ছে জাগে অন্ধকারে বাসিন্দাকে জাগাতে ............
ভালো লাগলো আপনার লেখা
২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: দেহঘড়ির মিস্তিরির সাথে মনকয়েদের আসামীর দেখা হলে তেমন কিছু হতেও পারে!
ধন্যবাদ!
৬১| ২৮ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬
s r jony বলেছেন: অনুশারিত লিস্টে আপনাকে নিলাম, আশা করি এইরূপ ভালমানের লেখা আর মিস হবে না।
২৮ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! শুভসকাল।
৬২| ০৬ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
রিমঝিম বর্ষা বলেছেন:
হুম। তোমার লেখায় ছেলেদের মন-মানচিত্র ফুটে ওঠে।
০৬ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: রাইট রাইট! তবে শুধু ছেলেদের ওপর অন্ধকারের বল পাস করে দেয়াটা ভুল।
৬৩| ০৬ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
মায়াবী ছায়া বলেছেন: ভালো লাগা রেখে গেলাম ।
ভালো থাকুন ।।
০৬ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মায়াবী ছায়া।
৬৪| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:৫১
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: আগেই পড়েছিলাম; প্রতিবার আপনার লেখনীতে মুগ্ধ হই। ভালো লাগা রেখে গেলাম। +++
০৯ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নিয়মিত পাঠের জন্যে। শুভদুপুর।
৬৫| ১১ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: সাম্প্রতিক সময়ে আপনাকে দেখছি বাসে ধরেছে। বেশ কয়েকটা গল্প পড়েছি বাসের প্লটে
১১ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: বাস নিয়ে আমার বেশ কয়েকটা গল্প আছে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে তো এই একটাই! স্ট্যাটাস অবশ্য দিসি বেশ কয়েকটা বাস নিয়া। দুইয়ের মধ্যে প্যাচ লাগায়া ফেলসো বোধ হয়!
৬৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯
মঞ্জুর প্রযুক্তিপ্রেমী বলেছেন: Boraborer moto hasan mahbub maney.....otulonio kisu lekha..... Bes valo laglo vaijan......
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মঞ্জুর। ভালো থাকবেন।
৬৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মামুন রশিদের করা সংকলনে পড়লাম গল্পটা| এতোই ভালো লাগল যে ভাল লাগা না জানিয়ে গেলে অন্যায় হবে, মনে হল| অন্যরকম গল্প হামা ভাই
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আরণ্যক। শুভেচ্ছা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:০৬
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
আপনার এটা সহ কয়েকটা পোস্ট যেদিন বার্সেলোনার ম্যাচ ঠিক ঐদিন ই পাইসি। ইচ্ছা করেই নাকি কো-ইনসিডেন্স ??
গল্প কাল এক্সাম দিয়ে এসে পড়বো, ঘুমায়ে পড়া লাগবে। ম্যাচ ও দেখতে পারবোনা।
গুড নাইট, গুড লাক ফর বার্সা ||