নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সভ্যতাতাড়ুয়া

০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০২



(১)

ব্যাপারটা হয়তোবা এভাবে ঘটার কথা ছিলো না। ধ্বংসদেবের সাইরেনে গ্রহ-নক্ষত্রগুলো বেখেয়ালে হতচকিত হয়ে কক্ষচ্যূত হবে, পৃথিবীতে নেমে আসবে অদ্ভুত আঁধার কিংবা অসহনীয় উত্তাপ, তারপর আমরা সবাই বিশাল এক মাঠে সমবেত হয়ে যার যার ওজন অনুযায়ী মিঠাই-চিরতা বুঝে নিয়ে সূচসেতু পার হয়ে চলে যাব নতুন গন্তব্যে, তবেই না বুঝতাম যে কিছু একটা হয়েছে! কিন্তু কী যে হল! বৃহত্তম পরাশক্তি নিজেদের শক্তি যাচাই করতে গিয়ে সব ভন্ডুল করে দিল কী না, অথবা ধরিত্রী জননী স্বয়ং তার সর্বংসহা গুণাবলী বিসর্জন দিয়ে সুইসাইড এ্যাটেমপ্ট নিয়েছিলো কী না, কে জানে! যাই হোক, কিছু একটা গোলমাল হয়েছে ঘোরতর এবং মানুষ মরেছে বেঘোরে। রাস্তায় মুখ থুবরে পড়ে আছে মানুষ। চলাফেরার সময় পায়ে ঠেকে গিয়ে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। সেই ধ্বংস সময়ের স্মৃতি আমার মনে নেই একদম। মনে করতে পারবোও না। কারণ তখন আমি আমার এক সুন্দরী প্রতিবেশিনীর প্রেমে বুঁদ হয়ে এবং আমার দৃষ্টি আকর্ষণের জবাবে তার তাচ্ছিল্যে অবশ্যম্ভাবী বিফলতার কথা আঁচ করতে পেরে দুঃখ ভোলার জন্যে একগাদা ঘুমের ওষুধে মজে থাকতাম। কবে কখন এসব প্রলয়কান্ড ঘটে গেলো, কারা করল এ বিষয়ে কিছুই মনে করতে পারছি না। মনে করার কোন দরকারও দেখছি না অবশ্য। পৃথিবীর প্রায় সব মানুষ মারা গেলেও আমি এবং জেনি বেঁচে আছি। জেনি, আমার রূপকথার রাজকন্যে। আরো বেশ কিছু মানুষজন বেঁচে আছে, তবে তারা সব বিগড়ে গেছে একেবারে। মানুষ মারা গেলেও, মানুষের রচিত স্থবির সংগীত- আর্কিটেকচারাল স্ট্রাকচারগুলো দিব্যি রয়ে গেছে। খাবারেরও অভাব নেই। সুপারশপগুলোতে থরে থরে পড়ে রয়েছে। চাকুরি দরকার? যাও, নিকটস্থ বিশাল কর্পোরেট অফিসের সবচেয়ে বড় চেয়ারটায় গ্যাঁট হয়ে বোসো। রাস্তায় পড়ে থাকা লাশের পকেট থেকে এটিএম কার্ড বের করে নিয়ে বুথে গিয়ে ভাঙাও। বারণ করার কেউ নেই। তবে ঝামেলাটা মূলত করছে কিছু জোম্বি। সিনেমায় যেমন দেখায় ঠিক তেমন। কদাকার, বোধশক্তিহীন, গলা দিয়ে ঘরঘর শব্দ আর মুখ থেকে লালা ঝরিয়ে চলে অবিরত। দেখতেই ঘেন্না লাগে। এগুলো এলো কোথা থেকে? সম্ভবত কোনো জীবাণু সংক্রমনের ফল। বৃহত্তম পরাশক্তির তো শুধু পারমাণবিক বোমা নিয়ে খেলাধুলা, হুমকি-ধামকি দিয়ে চললে হবে না, অন্যান্য ব্রহ্মাস্ত্রগুলোও একটু বাজিয়ে দেখতে হবে বৈ কি! তো সেটা তারা করতেই পারে! আমি দোষ দেবার কে? আমার জন্যে বরং ভালোই হয়েছে। প্রায় মানুষশূন্য পৃথিবীতে আমি আর সে, একা এবং সুস্থ। বাকি মানুষগুলো যেমন ক্ষ্যাপাটে হয়ে মানব-জম্বি লড়াই করে নিজেদের বিনাশের প্রতিযোগিতায় নেমেছে, তাতে খুব শিঘ্রই আমরা পুরোপুরি একা হতে পারবো। আমরা হব নতুন সভ্যতার আদি পিতা-মাতা! ব্যাপারটা একই সাথে ভীষণ রোমান্টিক এবং ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। আরো একটা উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল, আমাদের নতুন সভ্যতার ঊষালগ্নে মোটেও কোন সংগ্রাম করতে হবে না। চকমকি পাথর ঘষে আগুন জ্বালানো শিখতে হবে না, বনে বাঁদাড়ে সারাদিন ঘুরে ক্লান্ত হয়ে দু-একটা খরগোশ বা খ্যাকশিয়াল ধরে আনার ঝক্কি পোহাতে হবে না। সভ্যতার চূড়ান্তবিন্দু বলে কিছু নেই, তবে এই মুহূর্তে আমরা চূড়ায়ই আছি বলা যায়। আমরা টিভিতে পুরাতন অনুষ্ঠান দেখব আর সুপারশপ থেকে কিনে আনা ফাস্টফুড খাব। আমাদের প্রচুর ছেলেপিলে হবে আশা করা যায়, যেহেতু নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের মেয়েরা অধিকতর উর্বরা হয়ে থাকে। তারপর ছেলেমেয়েরা, নাতিপুতিরা টেনে নিয়ে যাবে আমাদের সভ্যতাশকট। সাময়িক জড়তা কেটে সামরিক ভঙ্গিমায় মার্চপাস্ট করে এগুতে থাকবে সভ্যতা। এখন সমস্যা হল একটাই। পৃথিবীর নতুন প্রজন্মের আদি মাতা হবার ব্যাপারে জেনির খুব একটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। সে পড়ে আছে তার প্রিয় টিভি সিরিয়াল নিয়ে। শালার টেলিভিশন চ্যানেলগুলো কতদিনের জন্যে প্রোগ্রাম বানিয়ে রেখে গেছে কে জানে! 'মেগা' শব্দটার ব্যাপকতা বুঝতে পারছি এখন তার সাথে 'সিরিয়াল' দিয়ে গুণ দেবার ফলে।



জেনির সাথে অবশ্য আমার নিয়মিতই কথা হয়। দেখা সাক্ষাৎ হয়। আমি সারাক্ষণ তার ড্রয়িংরুমেই পড়ে থাকি। সে টুকটাক কথাবার্তা বলে। ভদ্রতা করে চা-বিস্কুট খাবার আহবান জানায়। এর বেশি কিছু না। সভ্যতার অসাধারণ উপহার তাকে একদম অসার করে দিয়েছে। তা দিক, তবে কী, সে যখন সিরিয়ালের ক্লাইমেক্সে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে আক্ষরিক অর্থেই মুখ হা করে তাকিয়ে থাকে দীর্ঘক্ষণ, তখনও তাকে দেখতে ভালো লাগে। মুখ হা করে থাকা অবস্থায় যে মেয়েকে পরমা সুন্দরী মনে হয়, তার জন্যে এই জরাগ্রস্থ পৃথিবীর ঘ্যানঘ্যানে গলায় "সর্বাঙ্গে ব্যথা" জাতীয় অভিযোগ, আর জোম্বি এ্যাপোকালিপ্টো নির্দ্বিধায় অগ্রাহ্য করা যায়।



মেগা সিরিয়াল চলাকালীন সম্মোহিত সময়ে মাঝেমধ্যে পাড়ার ছেলেপুলেরা আশেপাশে জোম্বিদের সাথে মারামারি করতে থাকলে সে একটু ভ্রুকুটি করে তাকায়। তবে সহিংসতার বিচরণস্থল এখন অনেক বিশাল, তারা একে অপরকে মনের সুখে তাড়িয়ে চলে। বেশিক্ষণ এক জায়গায় থাকেও না। তাই জেনিও ওসব নিয়ে ভ্রূক্ষেপ করে না। জেনির সাথে থাকতে আমার কখনও একঘেয়ে লাগে না, তবে আমি তো তার মত বিষয়-বিবেচনাহীন না, যে সারাক্ষণ হা করে সিরিয়াল গিলবো! পৃথিবীর ভবিষ্যত নিয়ে আমাকে ভাবতে হয়। পৃথিবী এবং মানবজাতির সাম্প্রতিক দুর্দশায় আমার দুর্দম প্রেমের সাথে মহান দায়িত্বশীলতার বীজ প্রোথিত হয়েছে। তাই এই দায়িত্ব পালনে কেউ যেন ব্যাঘাৎ না ঘটায়, সে ব্যাপারে কতদূর অগ্রগতি হল দেখতে আমি টহল দিই মাঝেমধ্যে শহরময়।



পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে জীবিত মানুষেরা কেন যেন এ এলাকাতেই সমবেত হয়েছে। তার মাঝে আমাদের শহরের একজনও আছে। দুদিন আগেও একটা চাকরির জন্যে হন্যে হয়ে ঘুরতো সে। এখন নিজেই নিজেকে চাকুরি দিয়েছে একটা টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানির সিইও পদে। তার বর্তমান রুটিন এরকম, সকাল নটার মধ্যেই কোন একটা ফ্যাশান হাউজ থেকে সবচেয়ে ভালো কিছু পোষাক নিয়ে পরে অফিসে যাওয়া। তারপর মিনিট পাঁচেক থেকে হই হই রই রই করে বেড়িয়ে এসে মিলিত হওয়া তার নতুন পাওয়া বন্ধুদের সাথে। জোম্বিনিধনের মত সুখ নাকি আর কিছুতে নেই, সে আমাকে বলেছে।

-আরে জানিস, এইগুলা কোথা থেকে যে আইছে হালার পো রা মরে না! চাক্কু দিয়া খোঁচাই, বাঁশ দিয়া গুতাই, পাথর ছুড়ি, গুলি করি কিন্তু কিছুতেই তারা মরবে না। গলা দিয়া এমন ঘরঘর শব্দ করে যেন এই মনে হয় গেল! কিন্তু তারপরেও তারা আগাইতেই থাকে।

বলার সময় তার ভেতরকার নির্মল আনন্দটা আমি টের পাই।

-হু! এদেরকে যত তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেলা যায় ততই ভালো। একদিন না একদিন তো মরবেই!

-না মরলেও অসুবিধা নাই। আমার অফিসে অনেকগুলা পদ খালি আছে। এদেরকে নিয়োগ দিয়া দিমু নে।

তার এই পরিকল্পনা শুনে আমি প্রমাদ গুনি। আরে ব্যাটারা তাড়াতাড়ি শেষ হ না একে অপরকে মাইরা! তা না, শুরু করছে যত ধানাই পানাই! কোনদিন আবার এসব জোম্বিনিধনে আনন্দ খুঁজে না পেয়ে জেনির দিকে হাত বাড়ায়, কোন বিশ্বাস নাই।

-সেটা করা ঠিক হবে না। তোর অফিসের এতসব জটিল টেকনিক্যাল কাজ ওরা করতে পারবে নাকি? কী যে বলিস!

এবার সে কন্ঠে এমন একটা কর্তৃপক্ষসুলভ গাম্ভীর্য এবং সৌকর্য আনে যে আমি অবাক হয়ে যাই!

-শোন, মনোযোগ দিয়ে। আমার অফিসের কাজ করতে হৃদয় লাগে না। প্রাণও লাগে না। লাগে আনুগত্য আর অপরিসীম পরিশ্রম করার ক্ষমতা। সেটা ওদের বেশ আছে। আরে ওদের অকারণে পিটাচ্ছি নাকি? এর পেছনে উদ্দেশ্য তো এটাই। পিটিয়ে বুঝিয়ে দেয়া, হু ইজ দ্যা বস! নব্য দাসপ্রথাও বলতে পারো। নতুন সভ্যতার সূচনালগ্নে কিছু পুরাতন থাকুক না স্মৃতিস্তম্ভ হয়ে!

আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই আবারও। এই তাহলে ওদের উদ্দেশ্য!





নব্য দাসপ্রথা বিষয়ক মহাপরিকল্পনার উদ্ভাবকেরা তাদের দায়িত্ব বেশ সাফল্যের সাথেই পালন করে যাচ্ছেন। তাদের উল্লাসযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে একটি অস্ত্রাগার আবিষ্কারের ফলে। সেখান থেকে ইচ্ছেমত অস্ত্র নিয়ে গুলি করে ঝাঝরা করে দিচ্ছে জোম্বিগুলোকে। দূর থেকে বিভিন্ন ভাষায় তাদের জয়ধ্বনি শোনা যায়। শুনতে অবশ্য একইরকম লাগে। মানুষের পাশবিক উল্লাস প্রকাশের জন্যে আলাদা ভাষার প্রয়োজন নেই। ইদানিং তারা নিজেদের বোঝার জন্যে একটা জগাখিচুড়ি টাইপ ভাষা তৈরি করেছে, যা আমিও দিব্যি বুঝতে পারি। ওদের তো আর খুব বেশি ভাব বিনিময়ের প্রয়োজন হয় না, শুধু কিছু জান্তব আনন্দ। ওদের এই আনন্দ করতে করতেই যাবে। দাসপ্রথার প্রচলনের মাধ্যমে সভ্যতার চাকা ঘোরানোর পুরোনো সেই রীতি আর কাজ করবে না। তাছাড়া ওরা তো জোম্বি না, ওরা নশ্বর শরীরের মানুষ। নিধন আনন্দের ধকলটা শরীরের ওপর একটু বেশিই যাচ্ছে। ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মারাও গেছে বেশ কজন।



মাস ছয়েকের মধ্যেই তাদের সংখ্যা শ'খানেক থেকে কমে জনাবিশেক হয়ে যায়। জেনি তখনও নিমগ্ন চিত্তে টিভি সিরিয়াল দেখেই যাচ্ছে। আর আমি উদ্বেলিত চিত্তে অপেক্ষা করছি, আমার প্রণয় উপাখ্যানের শুরু হল বলে! টিভি চ্যানেলগুলো অটোমটিভ উপায়ে আর কদ্দিন চলবে? রক্তপিপাসু কর্পোরেট বস সাজা হাস্যকর দস্যুর দল আর কতদিন দুর্বৃত্তপনা চালাবে?



(২)

এক জোড়া জোম্বির পেছনে সভ্যতার নতুন কান্ডারীরা প্রাণ দিতে দিতে নেমে এসেছে চারে। আমাদের শহরের সেই প্রাক্তন বখাটে বেকার, বর্তমান নেতা ছোকড়াটাও আছে। তার তেজ এখনও কমেনি! তবে কমে আসবে শীঘ্রই। এদিকে খোঁজ খবর নিয়ে জেনেছি, টিভিতে আজকেই শেষ এপিসোড প্রচারিত হবে মেগাসিরিয়ালের। এরপর আর তারা বানাতে পারেনি কিছু। এখনই সেই হিরন্ময় মুহূর্ত জেনিকে প্রেম নিবেদনের। বেশ টেনশন অনুভব করছি। তবে এটাও জানি টেনশনের তেমন কিছু নেই। শহরের সব মানুষ মারা গেলে থাকবো কেবল আমি আর জেনি। সব টিভি সিরিয়াল বন্ধ হয়ে গেলে সে অনুভব করবে তার এতদিনের চেপে রাখা জৈবিক তাড়না। আমার কাছে তাকে আসতেই হবে। তবে জৈবিক তাড়নার বশে সে আসুক তা আমি চাইনা মোটেও। আমি চাই সিনেমার নায়কদের মত তার কাছে হাঁটু মুড়ে আবেগকম্পিত গলায় প্রেম নিবেদন করব,

"জেনি, তুমি কি আমার হবে?"

এসব ভাবনায় ছেদ পড়ল প্রবল হল্লায়। আমাদের শহরের দাসরাজ্য প্রণেতা ববি ছোকড়াটা আজ খুব ক্ষেপে গিয়েছে। জোম্বিগুলোর আজকে কিছু একটা হেস্তনেস্ত করেই ছাড়বে!

-হাউয়ার পুতেরা! তোদের এতদিন ধইরা শান্টিং দিলাম কিন্তু লাইনে আইলি না। বুঝছি তোগো দিয়া আমার কাজ চলব না। মইরা যা! মাইরা ফালা!

সে উন্মাদের মত চিৎকার করতে থাকে। তার সাঙ্গপাঙ্গরাও এতে যোগ দেয়। এদিকে টিভিতে প্রচারিত সিরিয়ালে একটা বিশাল যতিবোধক মেলোড্রামাটিক মিউজিক শেষে সবার নাম দেখাতে থাকে। এতসব গোলমালের মধ্যে আমার মাথা ঠিকমত কাজ করে না। কেমন অস্থির লাগে। ঝুঁকির আন্দাজটা পরিমাপ করে নিয়ে গভীর আবেগে জেনিকে বলেই ফেলি,

"জেনি, তুমি কি আমার হবে?"

-না.........................!

এরকম চিলকন্ঠে চিৎকার করে প্রত্যাখ্যানের কী হল! জেনি ছুটে যায় বাইরে টিভি বন্ধ করে দিয়ে। ওদিকে ববিরা তখন জোম্বিজোড়ার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার বন্দোবস্ত করছে। জেনি বাইরে বেরুনোর পর তার না-বোধক চিৎকারের কারণ বুঝতে পারি আমি।

-ববি! তোরা এসব কি করছিস? এরা যে আমার হারিয়ে যাওয়া বাবা মা! বাবা! মা! কোথায় ছিলে তোমরা এতদিন?

ক্ষোভের সাথে দুঃখ যোগ হওয়াতে সে ডুকরে ডুকরে কাঁদতে থাকে।

-আরে রাখ তোর বাপ-মা! এইগুলা জোম্বি। আমাদের শত্রু। এদেরকে পুড়ায়া না মারলে মরব না।

তাদের পেট্রোলমথিত শরীরে ববি দুটো গুলি করে। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। সব শেষ!

-তোরা আমার বাবা-মা'কে মেরে ফেলেছিস তোদের আমি ছাড়বো না!

-এহ! বাবা-মা! এতদিন ধরে যে এদেরকে টর্চার করলাম, কই তখন তো আসিস নাই একবারও? এখন প্রয়োজন পড়ল কেন? টিভি বন্ধ হয়ে গেছে বলে?

-আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। এর প্রতিশোধ আমাকে নিতেই হবে!

একটা কোঁদাল হাতে নিয়ে সে আমাকে আরেকটা নেয়ার ইংগিত করে বলে,

-এসো, মেরে ফেলি ওদের!

আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে অতি ক্ষীপ্রতার সাথে ববিসহ দুজনকে কুপিয়ে মেরে ফেলে। আমার বিলম্বিত বোধোদয়েও বাকি দুজনের পেছনে ছুটে তাদেরকে পেড়ে ফেলতে খুব একটু বেগ পেতে হয়নি।



(৩)

অবশেষে সেই কাঙ্খিত দিনটি এল! একটা পুরো পৃথিবী, অরণ্য, নদী, সমুদ্র, সুপারশপ, ইন্টারনেট, ইলেক্ট্রিসিটি সবই আছে। শুধু নেই কোন মানুষ, নেই জীবাণু সংক্রমণে পরিণত হওয়া জোম্বি। আছি আমরা দুজন কেবল। আমি আর জেনি। জেনিকে এইবার মনে হয় বলতে আর বাধা নেই কোন।

-জেনি, আমি তোমাকে ভালোবাসি। তুমি কি আমার হবে?

-ছি! তোমার মন কী পাথর দিয়ে গড়া? দেখছো না আমার বাবা মা মারা গেছে? এই অবস্থায় প্রেমের কথা বল কী করে? তুমি যাও তো, এক দৌড়ে দুইটা শোকবার্তা সম্বলিত কার্ড, কিছু ফুল আর একটা মেকাপ বক্স নিয়ে এসো।



যথাযথভাবে কর্মগুলি সম্পাদন করার পরে জেনি তার জোম্বি পিতামাতার শরীরে ফুল আর কার্ড রেখে এক দৌড়ে চলে এল তাদের বাসার ড্রেসিং টেবিলটার সামনে। মুখে কী সব মাখতে শুরু করল। আমার কাছ থেকে প্রত্যাশিত প্রস্তাব পাবার আগে নিজেকে একটু গুছিয়ে নিতে চায় আর কী! মেয়েটা বড় অদ্ভুত।



বড্ড বেশি সময় নিয়ে ফেলছে সে। তাকে যেন মেকাপ করার নেশায় পেয়ে বসেছে। প্রথম বাক্সটা শেষ হবার পরে আমাকে আরো দুবার বলেছিলো নতুন মেকাপ বক্স আনতে। পরে আর আমাকে বলেনি। যতবার শেষ হয়েছে ততবার নিজেই ছুটে গেছে মেকাপ স্টোরে। বুঝেছি, আজকে আর বলা হবে না। কী পাগলাটে মেয়েরে বাবা! একেক সময় একেক বাতিকে পেয়ে বসে। আমি সোফায় শুয়ে শুয়ে অনেকক্ষণ যাবৎ তার রূপচর্চা দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি।



ঘুম ভাঙে কীসের যেন গুঁতোয়।



(৪)

জেনি আমাকে চামচ দিয়ে গুতোচ্ছে। ছোট্ট একটা চা-চামচ। ব্যথা লাগছে না, কিন্তু খুব অস্বস্তিকর।

-আহ জেনি, কী করছ!

ঘুমজড়িত কন্ঠে মৃদু অনুযোগ প্রকাশ করি আমি অনুরাগের ভাষায়।

-এই, ঘুমায় পড়স কেন? খাবা না? ওঠ! ওঠ!

অনেকক্ষণ পেটে কিছু পড়ে নি। সকাল হয়ে গেছে। নাস্তার টেবিল ঠিকঠাক করছে জেনি, আমি দেখতে পাই। মেক-আপ মেখে এ কী বিদঘুটে চেহারা করেছে সে! নীলরঙা মুখ, তাতে ফুলকি দিচ্ছে লালচে ফোঁটা। কী ভয়াবহ! যাকগে, নানারকম স্ট্রেসের মধ্যে দিয়ে গেছে, মাথায় কী না কী বাঁই উঠেছিলো, ওসব ধরতে নেই। আর এই রৌদ্রজ্জ্বল সকালে তাকে ভালোবাসার কথাটা বলার কোন তাড়াহুড়ো নেই। এখন তো অঢেল সময়! রাতের বেলা ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের আয়োজন করে সে সময় বলা যাবে। জেনি আমাকে আবার গুঁতোতে থাকে চামচ দিয়ে। এবার বেশ জোরেসোরেই। কী সব পাগলামী করছে!

-আসছি, দাঁড়াও।

-তোরে আসতে কইছে কে? তুই ভাগ এইখান থিকা। যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ অনেক করছস, লাভ নাই। ভাগ! ভাগ! রান ফর ইয়োর লাইফ নিগা!

-মানে? এসব কি বলছ!

-শুনবা না আমার কথা? তাহলে আমি কিন্তু খুব রেগে যাব। আর ভয়ংকর একটা কান্ড করব।

ইনিয়েবিনিয়ে নাকিসুরে বলল সে।

-কী করবা?

-এখন যা করছি! দেখছো না আমার হাতে ভয়ানক একটা অস্ত্র? এটা দিয়ে তোমাকে খোঁচাব, গুঁতোব।

-তুমি এই চামচটার কথা বলছ?

-হ্যাঁ, এনি প্রবলেম?

-ওহ স্টপ কিডিং বেইবি!

-আমার কথা বিশ্বাস হয় না? আচ্ছা দাঁড়াও ব্যাপারটা বিশ্বাসযোগ্য করে তুলি। এই যে আমার হাতে একটা মহা অস্ত্র চামচ+মুখে কৃত্রিম কড়া রঙ+ আমার জোম্বি বাবা মার মৃতদেহ + ববির পিস্তল= কী?

-মানে! কী সব বলছ অর্থহীন!

-হ্যাঁ ডিয়ার, অর্থহীন। তোমার ভালোবাসার আঁচলে শায়িত নতুন সভ্যতা, নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখাটাও তেমনই অর্থহীন। সভ্যতা, স্বপ্ন, উন্নয়ন, ভালোবাসা সবকিছু যোগ করলে মেক-আপ বক্সের সবগুলো রঙের সম্মিলনে উদ্ভট কদাকার একটা কিছুই পাওয়া যায়। তোমাকে এসব কিছু থেকে যেকোন একটা কিছু বাদ দিতে হবে। তাহলে সমীকরণটা সাম্যাবস্থায় আসবে। বল কী বাদ দিতে চাও? সভ্যতা? স্বপ্ন? ভালোবাসা? উন্নয়ন?

আমি কী বলব ভেবে পাই না। আমতা আমতা করতে থাকি।

-হু হু! ওসব আরাম আয়েশ করে শুয়ে বসে ভালোবেসে আগত প্রজন্মের আদিপিতা হতে চাও? অত সহজ না! এখন দৌড়াও দৌড়াও! নাহলে চামচ দিয়ে বাড়ি দেব।

কী হাস্যকর কথা! সামান্য একটা চা-চামচ দিয়ে বাড়ি দেবার হুমকি দিচ্ছে। কোন মানে হয়! অর্থহীন। অর্থহীন হলেও সে ব্যাপারটা যথেষ্ট গুরুত্বের সাথেই নিয়েছে এবং তার খোঁচাখুঁচির পরিমাণ ক্রমবর্ধমান হতে থাকলে আমাকে বাধ্য হয়ে চলে যেতে হয়। কিন্তু আমার চলে যাওয়ার ভঙ্গিটা তার পছন্দ হয় না। সে চিৎকার করে চলে,

-রান বিচ! দৌড়া! তোকে সারাজীবন দৌড়ের ওপর রাখবো!

বিপত্তিকর অবস্থা থেকে বাঁচতে আমাকে বাধ্য হয়ে দৌড়ুতে হয়।



(৫)

ব্যাপারটা যত সামান্য ভেবেছিলাম মোটেও তা না। জেনি তার চামচ নিয়ে যেখানে সেখানে যখন তখন উপস্থিত হয়। হয়তোবা সাগরতীরে উদাসমুখে রৌদ্রস্নান করছি, ঢেউয়ের সাথে উপস্থিত হবে জেনি। হয়তোবা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুলটা পরিপাটি করার চেষ্টা করছি, পেছন থেকে এসে সজোরে কাঁধে চামচ গেঁথে দেবার চেষ্টা করবে জেনি। লুকিয়ে লুকিয়ে পারা যায় না। সে আমাকে ঠিক ঠিক খুঁজে বের করে। আক্ষরিক অর্থেই সে আমাকে দৌড়ের ওপর রেখেছে। দৌড়ুতে দৌড়ুতে আমাদের প্রিয় শহর ছেড়ে কোন এক অজপাড়াগাঁতে চলে এসেছি! যেখানে সভ্যতার নিদর্শনগুলো সব অকার্যকর হয়ে পড়েছে।



আমি দৌড়ুতে থাকি পেরিয়ে যাই মাঠ-ঘাট, বনাঞ্চল, মরুভূমি, ক্যাসিনো, তাজমহল, আমাজন। লাস ভেগাসের পরিত্যক্ত ক্যাসিনোর পোকার টেবিলে লুকিয়ে থাকা আমাকে ঘাড় ধরে বের করে তাড়া করে জেনি। আমাজনের সবুজ বৃক্ষে কিছুদিন শান্তিমত একটা ঘর পেতেছিলাম, সেখানেও আমাকে খুঁজে বের করে বনছাড়া করেছিল জেনি। আমার দেহে এখন অজস্র দাগ আঘাতের। দৌড়ুতে দৌড়ুতে শক্তি নিঃশেষ হয়ে আসছে। কিন্তু জেনির প্রাণপ্রাচুর্যে কোন ঘাটতি দেখা যায় না।



সে কি তবে ওই জোম্বিগুলোর কাছ থেকে জীবাণু সংক্রামিত হয়েছে? তার মুখের বিদঘুটে রঙ দিনকে দিন বদখত হয়ে যাচ্ছে আরো।



আর পারছি না জেনি! আমাকে বাঁচাও! আমি মারা যাব। একটা ধূসর ঊষর প্রান্তরে পৌঁছে যেখানে সভ্যতার কোন চিহ্ন নেই, নেই কোন সবুজ, নেই প্রাণের চিহ্ন, আমি ক্ষান্ত দিই। চামচ খেলা সে খেলতে থাকুক। আমাকে মেরেই ফেলুক। মৃত্যুবরণের জন্যে জায়গাটা ঠিক পছন্দ হয় না আমার। কিন্তু কী আর করা! টানা ছয় ঘন্টা ধরে শুয়ে আছি সমর্পণের ভঙ্গিতে। জানি সে ঠিকই আসবে।



আরো দু ঘন্টা পরে জেনি আসে তার কদাকার মুখ, কদর্য হাসি আর অব্যর্থ মারণাস্ত্র নিয়ে। তার চামচটা কেমন যেন বেঁকে গিয়েছে মনে হচ্ছে। এতদিনেও যে ভাঙেনি সেটাই আশ্চর্য! চামচের কারিগর বেশ দক্ষ ছিলো বলতেই হয়। সে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসে আমার দিকে। মুখে আসন্ন আঘাতের পূর্ববর্তী ক্রুর হাসি!



আমি যা ভেবেছিলাম তাই হল! এবারের আঘাত আর সহ্য করতে পারলো না চামচটা। ভেঙে গেল। ভেঙে গিয়ে জেনির হাত থেকে পড়ে উত্তাল বাতাসে হারিয়ে গেল। অনেক বাতাস এখানে। হালকা বৃষ্টিও পড়ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটা তুমুল বর্ষণে রূপ নেবার সম্ভাবনা।



বৃষ্টি পড়ছে মুষলধারে। জেনির মুখ থেকে বিদঘুটে মেক-আপ উঠে যাচ্ছে। সুন্দর লাগছে জেনিকে, অনেক সুন্দর! ওই ভূতাবিষ্ট চামচটাই যত নষ্টের গোড়া ছিল, জানি তো! জেনি ঠান্ডায় কাঁপছে। একটু উষ্ণতার জন্যে আমাকে জড়িয়ে ধরে সে। ভালোবাসা, সভ্যতা, উন্নয়ন ইত্যাদির জটিল সমীকরণে একটা মাত্র চলক- চুম্বন যোগ করার ফলে পুরো সমীকরণটাই পাল্টে যায়। অংকটা খুব সহজ লাগে এখন। এখন আর বলতে কোন বাধা নেই,

-জেনি, তোমাকে ভালোবাসি। তুমি কি আমার হবে?

ঠোঁটে ঠোঁট আবিষ্ট থাকার ফলে এসব কথা বলা এখন কঠিন। তবে এসব আর বলার দরকারও নেই এখন। সব কথা বলার দরকার পড়ে না। বৃষ্টি আর বাতাস থেমে গেলে জেনি হ্যাচকা টান দিয়ে আমার কাপড় টেনে ছিড়ে ফেলে। এই সুপ্রাচীন আহবানে ধ্বনিত হয় নতুন সভ্যতার ঘোষণা। আমিও টান দিয়ে তার পোষাক ছিড়ে ফেলি।



ঝন-ঝন-ঝনাৎ শব্দে অনেকগুলো চামচ পতিত হয় এখানকার পাথুরে জমিনে। তার দূরভিসন্ধি ধরা পড়ে যাওয়ায় সে কিছুক্ষণের জন্যে অপ্রতিভ হয়। আর আমিও কেমন যেন বোকাটে মুখ করে বলে ফেলি,

-জেনি, তোমাকে ভালোবাসি। তুমি কি আমার হবে?

জেনি চোখে কামনার দৃষ্টি নিয়ে ঢলে পড়ে আমার কোলে।





দ্রুত সঙ্গম শেষ করেই আমাকে দৌড়ুতে হয় আবার। কাটখোট্টা রোদে, পাথুরে মাটিতে কষ্টকর দৌড়। জেনি ক্ষেপে গিয়েছে!

-রান বিচ রান! রান ফর ইয়োর লাইফ!

রোদে পুড়ে জেনির মুখটা বিকৃতরঙা হয় উঠেছে আবারো। দৌড়ুতে দৌড়ুতে আমি হিসেব করতে থাকি, জেনির পোষাকের আড়ালে কয়টা চামচ ছিল যেন, একেকটা চামচ দিয়ে কয়দিন যায়, তাহলে সবগুলো চামচের কর্মক্ষমতা...



জেনি খুব কাছাকাছি এসে পড়েছে। এখন ওসব নিয়ে ভাবার সময় নেই। পরবর্তী চামচ না ভাঙা পর্যন্ত দৌড়ুতেই হবে। এখন অবশ্য পৃথিবীর পথঘাট অনেক চেনা হয়ে গেছে আমার। যেন পরিচিত ট্র্যাক ধরে এ্যাথলেটের দৌড়। পৃথিবীর প্রাচীন নিদর্শন, উন্নয়ন, ধ্বংসের কারণ এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে হয়তো জেনির চামচম্যানিয়া নিয়ে একটা সন্তোষজনক সমাধানে উপনীত হতে পারি! মুছে দিতে পারি তার মুখের ওপর পরতে পরতে জমে থাকা বিদঘুটে রঙ!





#গল্পটি লেখার পেছনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে দুটো শর্টফিল্ম। I Love Sarah Jane এবং The Horribly Slow Murderer with the Extremely Inefficient Weapon



প্রথমটির ইউটিউব লিংক- https://www.youtube.com/watch?v=gYxs7Y7ulrM

দ্বিতীয়টির- http://www.youtube.com/watch?v=9VDvgL58h_Y

মন্তব্য ১৮০ টি রেটিং +৩৬/-০

মন্তব্য (১৮০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১২

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: +++++++++++++


প্রিয়তে

০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস! মুভিগুলাও দেইখেন। মিলগুলা খুঁজে পেলে মজা পাবেন।

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২০

কালোপরী বলেছেন: :)

০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত্রি।

৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:

শর্ট ফিল্ম দেইখা নেই।
প্লাস বকেয়া, নেট ভোগাচ্ছে :)

০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: শর্ট ফিল্ম দুইটা সম্পূর্ন দুই রকম। এক সুত্রে গাঁথার চেষ্টা করসি। দেখেন হৈসে কী না।

৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

এ বি এম হায়াত উল্লাহ বলেছেন: প্রথমে "জেনি" আর "জোম্বি" কে এক করে ফেলেছিলাম ।
পরে গুগলিং করে জানতে পারলাম । মজার ব্যপার হল এ নামে সামুতে একটা নিকও আছে ।

অসাধারন লেগেছে ।।

আর হ্যা , মুভিগুলো দেখব , যদিও এমনিতে খুব একটা দেখিনা ।।

০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: জোম্বি কি জানতেন না! সামুতে কতরকম যে নিক আছে!

অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।

৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: অনেকক্ষণ লাগিয়ে পড়লাম!!
কি আর বলবো বেশ ভালো লেগেছে!!!!

শুভরাত্রি!

০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ গল্পটিকে সময় দেবার জন্যে।

শুভরাত্রি!

৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২৫

আরজু পনি বলেছেন:

ঘুমে পড়ে যাচ্ছি, তাই এখন বিস্তারিত বলার রিস্ক নিলাম না । :(

০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমারও প্রচন্ড ঘুম পাইসে, কিন্তু নতুন পোস্ট দেয়ার পর সেই আগের মতই এক্সাইটেড থাকি। বিছানা ডাকছে, কিন্তু যাওয়া যাবে না। কী যে করি পনি আপা!

শুভরাত্রি।

৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৩

অপু তানভীর বলেছেন: শুভরাত্রি:)

০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত্রি।

৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৪

টুকুনজিল০০৭ বলেছেন: পড়লাম কিন্তু গল্পের ভাবার্থ ঠিক বুঝতে পারলাম না। শর্ট ফিল্ম অবশ্য দেখি নাই।

০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: শর্ট ফিল্ম দেখে গল্পের ভাবার্থ বুঝতে পারবেন না। দুইটার আলাদা থিম, আলাদা কাহিনী।

এখানে আসলে প্রতিটি চরিত্রই রূপক। সভ্যতার অনুষঙ্গ হিসেবে আমরা যা যা পাই, যেমনটা হয়ে যাই, আমাদের পরিণতি কী হতে পারে, সেখান থেকে পরিত্রান কি সম্ভব? জোম্বিরা সভ্যতার জীবন্মৃত স্নেহাংশ। যাদেরকে আমরা কেউ বিশেষ উপলক্ষ্যে স্মরণ করি কখনও। কিন্তু সভ্যতার শিখরে উঠতে চাওয়া ব্যক্তিদের কাছে এসবই মূল্যহীন। তাই আমাদের স্নেহ-মমতা মার খেয়েই যায়। আর ধ্বংসের পর আরেক ধ্বংস আসে। ববিদের দল। কথক চরিত্র সভ্যতার ইতি এবং নেতি দুই নিতে গিয়ে ধন্দে পড়ে যায়। সভ্যতার চূড়ান্ত অবস্থান থেকে অবক্ষয়ের পরে ধীরে ধীরে আদিম মানবের পরিবেশে ফিরে গিয়ে তার মাঝে ভালোবাসার মূলবোধ উত্থিত হয়। কিন্তু এই বোধকে নস্যাৎ করে দেবার জন্যে সবসময় রয়েছে জেনির মত বহুরূপী চরিত্ররা। তারপরেও, সবকিছুর পরেও দৌড় চলতে থাকে, থাকবে।

শুভরাত্রি।

৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন এবং দূর্দান্ত এই শব্দদুটো আপনার পোষ্টের জন্য পারমানেন্ট হয়ে যাচ্ছে হাসান ভাই। নতুন শব্দ চাই। :)

নেট এর স্পীড খুবই বাজে আজকে। ইউটিউব লিংক খুলছেই না। :( দেখলে হয়ত গল্পটার সাথে রিলেট করার মজাটা বুঝতে পারতাম।

০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

আসলে গল্পের যে মূল থিম তার সাথে ফিল্ম দুটোর সম্মিলিত বক্তব্যের কোন মিল নাই। তবে কিছু দৃশ্য পরিচিত লাগবে। ফলে মজা পাবেন।

শুভরাত্রি!

১০| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫৫

মোহাম্মদ হারুন বলেছেন: গল্পটা পড়ে অনন্দ পেলাম, যদি নিজে নিজের মন থেকে লিখেন তা হলে মানতে হবে আপনি একজন মহা মস্তবড় গল্প লেখক । ধন্যবাদ।

০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: মন থেকেই তো লিখি। তবে বড় লেখক আমি না।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫৭

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: কোন কোন অংশ দুইবার পড়ছি, একেবারে যে বুঝিনি সেরকমও না ! আরও একবার সময় নিয়ে পড়লো হয়ত ভাল করে বুঝতে পারমু -

তয় গপ পড়ে মুভিগুলা দেখা ইচ্ছা জাগলো -

০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটার আসলে নানারকম মানে বলা যায়। আমি নিজেও একেকবার একেকরকম ব্যাখ্যা দিতে পারি, হাহা!

মুভিগুলা দেইখা ফালান।

১২| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:২২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
জোস, জোস হৈসে।আজকে ৯গ্যাগ এ দেখা ১টা ইমেজ এর সাথে আপনার লিখা ১টা পার্টের মিল পাইসি,ছবিটা অ্যাড করার জন্য খুঁজলাম অনেক-পাইনা।

আরামে ঘুমাইসিলাম, ঘুম থেকে উঠে স্পেনের খেলা দেখতে বসে এ মাসের সবচে বড় ভুল করে ফেলসি।

শুভ ভোর ||

০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি ঘুমায় গেসিলাম। বাঁচলাম! ছবিটা পাইলে দিয়া যায়ো।

শুভ সকাল।

১৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৪৯

রাকিবুল৯০ বলেছেন: সকালে ঘুম থেকে উঠেই আপনার লেখা পাইলাম। অসাধারণ।

কিন্তু, ইউটিউবের বাফারিং এ মেজাজ বিগড়াইতাছে। X(

০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকিউ! বাফারিং করতে আসলেই অনেক সময় নেয়। আইডিএম দিয়া ডাউনলোড করলে স্পিড বেশি পাওয়া যায়।

১৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪

বোকামন বলেছেন:





সম্মানিত হাসান মাহবুব,

শর্ট-ফিল্ম দুটো দেখেছিলাম।
গল্পের শুরুটা ভালো লাগে নাই। তবে গল্পের সাথে হাটতে হাটতে মুভি দুটোর পরিচিত দৃশ্য স্মৃতি গুঁতো দিতে থাকলো এবং তাই আগ্রহ পাচ্ছিলাম।
মহা অস্ত্র চামচ+মুখে কৃত্রিম কড়া রঙ+ আমার জোম্বি বাবা মার মৃতদেহ + ববির পিস্তল= সভ্যতাতাড়ুয়া !!

প্রথম মুভিটি সম্পর্কে বলবো জোম্বি ফুয়েলড রোমান্স এবং দ্বিতীয়টি সম্পর্কে বলবো আমাদের কাজ, পরিবেশ এবং সভ্যতার একঘেয়েমির সাথে মানিয়ে যাওয়া। অনুধাবন করতে পারলে স্পুনম্যানিয়া। এখানে যান্ত্রিকতা কে স্পুন কিলার বললে কেমন হয় ! মানুষের রচিত স্থবির সংগীত এবং এর বর্ণনা, মেগা সিরিয়াল, রক্তপিপাসু কর্পোরেট বস ইত্যাদি স্পুনম্যানিয়া রূপে এক্সট্রেমলি ইনএফিসিয়েন্ট ওয়াপন !!

অসহায়ত্ব প্রকাশ করলেন-“ দৌড়ুতে দৌড়ুতে শক্তি নিঃশেষ হয়ে আসছে। কিন্তু জেনির প্রাণপ্রাচুর্যে কোন ঘাটতি দেখা যায় না। ”

হূম ... সংগ্রামে টিকে থাকার শক্তি নিঃশেষ হয়ে আসছে। সবুজ জমিন রূপ নিচ্ছে পাথুরে জমিনে। আর জোম্বি ফুয়েলড রোমান্স বিষয়টা দারুণভাবেই গল্পে উঠে এসেছে। গল্পের কোথাও কোথাও ওয়াকিং ডেড-এর শহরটার কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছিলো। জেনি এবং গল্প কথক আমার কাছে একটি চরিত্রই মনে হয়েছে। স্পুনমেনিয়ার কারণে ভিন্ন সত্তার অবলোকন করছে গল্প কথক ! সবমিলিয়ে উপভোগ করলাম লেখাটি। সম্পূর্ণ ভিন্নরকম দুটি মুভির থিম একই সুতায় গাথার চেষ্টা করেছেন কী ? তেমনটা হলে বলবো, প্রচেষ্টা সার্থক।

বোকামনের বোকা মন্তব্য দিয়ে আপনাকে হয়তো বিরক্ত করলাম :-)
হা হা হা ...


ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা

০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার আগমনে খুব খুশি হলাম। আপনি তো অনেকদিন পর এলেন।

গত পরশু হঠাৎ হরর মুভি দেখার শখ চাপলো। কিন্তু বড় বড় মুভি নামানোর, দেখার সময় কই অত! তাই সার্চ দিয়ে কিছু শর্ট হরর ফিল্ম বের করে দেখলাম। তার মধ্যে এই দুইটি মুভির আইডিয়া বেশ পছন্দ হয়। ইচ্ছে করে সম্পূর্ন ভিন্ন দুইটি থিম অবলম্বনে দিয়ে নতুন বক্তব্যের, নতুন স্বাদের কিছু লেখা যায় কী না। আপনার দীর্ঘ মন্তব্য থেকে আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হল গল্পটি চিন্তার বহুমাত্রিকতা অর্জন করতে পেরেছে এই বোধ। কিছুকিছু বিষয়ে আপনার ভাবনা আমার থেকে ভিন্ন এবং অন্যরকম লাগলো। আমি এমনটিই চেয়েছিলাম।

অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।

১৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ১১ তম ভালোলাগা ++++++++

ভালো লাগলো :)

শুভ সকাল :)

০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভদুপুর।

১৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
উহু পাইলাম না।
ঐটা হামিংবার্ড/রিডেম্পশন মুভির ডায়লগ (অনেকটা এরকম):
মারামারির এক পর্যায়ে গুন্ডা বলতেসে- do you have a gun ??
স্ট্যাটহাম- No, but i've got a spoon.you teLL me what happened to her or i'LL kiLL you with this spoon!

০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: সেইরকম ঝাড়ি! জোস লাগলো!

১৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

মামুন রশিদ বলেছেন: মনে হচ্ছে আমি নিজেই দৌড়াচ্ছি, পেছনে মরীচিকা রুপী জেনি সভ্যতার শেষ মারণাস্ত্র নিয়ে আমাকে তাড়া দিচ্ছে । মরণ তাড়া । অথচ এই মরীচিকার পেছনেই আমি ছুটেছিলাম অনন্তকাল । আজ তারই বদলা, আমি মরীচিকার ঘা থেকে বাঁচতে দৌড়চ্ছি প্রাণপণ ।

শর্টফিল্ম দুটো দেখব সময় করে । মন্তব্য জানিয়ে যাব । শ্বাসরুদ্ধকর গল্প । ভালো লেগেছে ।

০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার উপলদ্ধি। অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা মামুন ভাই। ফিল্ম গুলো দেইখেন। আমি খুব উপভোগ করেছি।

১৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাইয়া দুর্দান্ত বলতে পারছিনা। আপনার গত পোস্টের তুলনায় এই পোস্টটি এভারেজ লেগেছে। মনে হল লেখার সময় আপনার পূর্ণ মনো সংযোগ ছিলনা।

১ এবং ৩ নং প্যারা বাদে বাকিগুলোতে হাসান মাহবুব ভাইকে খুঁজে পেয়েছি।

০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার বেশিরভাগ লেখাই এভারেজ মানের। তবে এই গল্পে চেষ্টার ত্রুটি করিনি। একটু নতুন আঙ্গিকে লেখার প্রয়াস ছিলো।

অনেক ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যের জন্যে।

১৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

নেক্সাস বলেছেন: সুন্দর ফুটিয়ে তুলেছেন। ফিল্ম দেখিনা। না দেখলেও আপনার লিখায় মজা পেলাম

০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! ফিল্ম দেখবেন না এমন কোন পণ থাকলে ঝেড়ে ফেলুন! অনেক কিছু মিস করবেন। আর এ দুটো ছোট। একটা ১৫ আরেকটা ১০ মিনিটের।

২০| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯

সোমহেপি বলেছেন: লেখা ভালো লেগেছে।
মাঝে মাঝে এমন স্বপ্ন দেখি।

০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: স্বপ্ন যত কিম্ভুত হয় ততই ভালো, তাই না! ঘুম থেকে উঠলে মনে হয় অন্য একটা রাজ্য থেকে ভ্রমণ করে আসলাম মাগনা মাগনা!

২১| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

সায়েম মুন বলেছেন: মনে হলো আরমাগ্যাডন মুভি দেখলাম। কিছু জায়গায় মাথা আউলায় যাচ্ছিল। /:)

০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: মুভিটা দেখি নাই। তবে মনে আছে ঐটায় একটা খুব সুন্দর গান আছিলো। "I don't wanna miss a thing"!

২২| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

টুম্পা মনি বলেছেন: চমৎকার!

একটা প্রশ্ন। আচ্ছা সব গল্পের নায়িকারা অপরুপ সুন্দরী কেন হয়? একটু কালো, শ্যামলা, বা কম সুন্দরীরা কি নায়িকা হতে পারে না?

০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি তো আসলে নায়িকাপ্রধান গল্প সাধারণত লিখি না। আর এই গল্পে জেনির রূপের কোন বর্ণনা নেই কিন্তু। সে ফর্সা নাকি শ্যামলা নাকি কালো বলা নেই।

সৌন্দর্যের একটা টান তো আছেই, সেটাকে কি উপেক্ষা করা যায়! তাই লেখাতেও চলে আসে।

২৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

অনাহূত বলেছেন:
পড়লাম হাসান ভাই, তারপর মুভিগুলো দেখলাম।
দুইটা মুভির থীম ভিন্ন এবং আপনি যা দাঁড় করাইসেন তা স্বতন্ত্র। মুভি দুইটাকে কম্বিনেট করে এই রকম কিছু লেখা যায় সেটা অন্তত: আমার কল্পনার বাইরে।

স্যালুট বস্।

আপনার গল্পে বেশী মজা পাইলাম।

০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: যাক, গল্প মুভি মিলে পরিপূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করেছো!

শুভদুপুর ব্রো!

২৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

অপু তানভীর বলেছেন: কালকে রাতে একবার পড়েছি । কিন্তু বুঝতে পারি নাই ! 8-| 8-|
আজকে প্রিন্ট দিলাম । প্রিন্ট কপি নিয়ে এবার গবেষনায় বসব ! দেখি বুঝতে পারি কি না ! B-) B-) :D :D

বিস্তারিত মন্তব্য পড়ার পর !

০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: খাইছে! বিশাল প্রস্তুতি দেহি! :-B

২৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: গল্প টা পড়লাম, এবার ফিল্ম দেখে নেই, তারপর বিস্তারিত মন্তব্য করবো। ছোট করে বলি, তোমার ভাবনাগুলো বা ইন্টারপ্রেটেশন আর সবার চাইতে অনেক আলাদা, অনেক ইউনিক। প্রাউড টু বি ইওর ব্রো..

০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস তন্ময়! বিস্তারত মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম।

ভালো থেকো সবসময়।

২৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বেশ কিছু রুপক আছে দেখা যাচ্ছে এ গল্পটায়।

জেনির নিমগ্ন চিত্তে টিভি সিরিয়াল দেখা কিংবা দেখতেই থাকা --

এক ধরণের উন্নাসিকতার ব্যাপারের মতো । বাইরে যা কিছু ঘটে ঘটুক আগে নিজের বিনোদন এরকম টাইপ ব্যাপারের মতো লাগলো।

জেনির মুখে কৃত্রিম রঙ মাখার ব্যাপারটা এমন --

-- কাউকে সরাসরি আঘাত করার চেয়ে একটা মুখোশের আড়ালে গিয়ে আঘাত করা অনেক সুবিধাজনক। চক্ষু লজ্জার ব্যাপার থাকে না তখন। রঙ মেখে নিজের স্বরুপ বদলে ফেলা !

একই সাথে জেনির সঙ্গমাকাংখা এবং তাকেই আঘাত করা একটা কন্ট্রাডোক্টরি হিসেবে এসেছে।

অবশেষে অনেকদিন পর আপনার প্রিয় চরিত্র ববির আগমন । যদিও ববির অন্য গল্পে ববির চরিত্র মানসিক ভাবে দুর্বল বা আত্মকেন্দ্রিক টাইপেরই হোক না কেন ববি সেখানে ছিল একক চরিত্র। যদিও এখানে ববি একক চরিত্র না , একটা বিশেষ মানসিকতার জনগোষ্ঠীর লিড দিচ্ছে এমন ভাবে সে এখানে এসেছে।

আর কথকের মেন্টাল স্ট্রেন্থ কম মনে হয়েছে। বিভিন্ন পরিবেশে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে সে নিজেকে ছেড়ে দিয়েছে, পরিস্থিতিকে গ্রীপে আনতে পারে নি এমন।
আর লাস্ট অংশে গিয়ে কেমন একটা ক্লান্তির ছোঁয়া পেয়েছি গল্প পাঠে। মনে হচ্ছিলো কিছু কিছু জায়গা বড় হচ্ছে বা বিস্তারিত না হলেও চলতো। চামচম্যানিয়া কে ফুটিয়ে তুলতে গিয়ে জেনির সঙ্গমাকাংখা , চামচ দিয়ে কয়েকবার কথক কে আঘাত করা। মানে ৪ নাম্বার পার্টেই হয়তো ফিনিশিং লাইন টানা সম্ভব ছিল ৫ নাম্বার পার্টের কথাগুলো বা ভাবকে সংক্ষেপিত করে।



আর প্রথম প্যারাটা বেশ বড় হওয়াতে মনে হয় একটু ভেঙে ভেঙে দিলে পড়তে চোখের আরাম হতো। তএব সব মিলাইয়া গল্প ভালো লাগছে।

ইংরেজি ছবি দেখাই হয় না , আর সাব টাইটেল না হলে তো ছবির কাহিনীই শুধু বুঝি , ডায়ালগের মজাই যদি না বুঝতে পারি তাইলে ছবি দেইখ্যা লাভ কি এমন মনে হয়।

*** ববিরে নিয়ে একটা গল্প লিখেন, লিডিং চরিত্র নিয়া।

০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: শেষ থেকে শুরু করি।

ববিকে নিয়ে আর গল্প লিখুম না। তিনটা লিখসি। ট্রিলজি কমপ্লিট! এইখানে নাম নিয়ে বেশি ভাবতে ইচ্ছা করতেসিলো না। জেনিও কিন্তু পুরান চরিত্র। আমার একটা কবিতা আছে "জেনির পিস্তল" নামে। দুইটা অবশ্য দুইরকম টোটালি।

এই মুভি দুইটায় সাবটাইটেল লাগবে না। ডায়ালগ খুবই কম। এমনিই বুঝতে পারবেন। আর তাছাড়া শর্ট ফিল্ম তো!

প্রথম প্যারাটা ভেঙে দেবোনে। আমার সম্প্রতি এই সমস্যা শুরু হইসে, সূচনাপর্ব বেশি দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে। আমি অবশ্য এটাকে গুরুত্বপূর্ণই মনে করি। ক্যারেকটার ডেভেলপমেন্টে সুবিধা হয় পরে।

চামচের ব্যাপারটা একটু বিস্তারিত লিখেছি, মুভিটা মাথায় ঘুরতেসিলো। এই সামান্য চামচ দিয়ে নতুন সভ্যতার আকাঙ্খা ধারণ করা এক যুবককে তাড়িয়ে বেড়ানো এর মধ্যে একটা তীর্যক রস আছে। সেটা ফুটায় তুলতে চাইসি।

কথকের মানসিক শক্তি কমই। ঠিক। যে একাধারে নতুন সভ্যতার সূচনা করতে চায়, ভালোবাসতে চায়, আবার আরাম আয়েশও, সভ্যতার যাবতীয় উপহার এসবও ছাড়তে পারে না। এজন্যেই তো এই দৌড়। এজন্যেই তার শেষ উপলদ্ধি। নতুন প্রজন্মের জন্যে ভালোবাসার আশীর্বাদ এবং সভ্যতার অভিশাপ দুটো থেকে ছেঁকে নির্যাস তুলে নিয়ে আসতে অনেক ধকল পোহাতে হয়। এবং সেটা অনন্তকাল ধরেই চলবে। যতদিন পৃথিবী আছে। দৌড় থামবে না।

টিভি সিরিয়াল দেখতে দেখতে ওটা যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন জীবন্মৃত পিতামাতার (জোম্বি) জন্যে হাহাকার এটাও সভ্যতার একটা উৎকট রঙ, যা সে মেখেছে তার মুখে।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পাঠ এবং মন্তব্যের জন্যে।

২৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: হা-মা ভাই, অসাধারন! ! ! আমি শর্ট ফিল্ম দেখি নাই, কিন্তু তাতেও গল্পের মজা পেতে আমার কোন অসুবিধা হইনি! দূর্দান্ত লিখেছেন! ভাবনাগুলো অন্যরকম, নতুন ভাবে !

আর কিছু বলার সুযোগ নাই। অফিস ফাঁকি দি্যে মনের মত মন্তব্য করা যায় না! :( :(

বস ডাকে! :( :(

০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

ছি ছি আপনি অফিস ফাঁকি দিয়ে কমেন্ট করেন!

আর আমি তো পোস্ট লিখি =p~

২৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

তোমোদাচি বলেছেন: কিছুটা পড়লাম, সময় করে পুরাটা পড়তে হবে!

০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! সময় সহায় হোক।

২৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: সুন্দর। বড় হলেও ভাল গল্প।

০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আরে! আপনি আমার ব্লগে! সুস্বাগতম! আশা করি নিয়মিত কথা হবে।

শুভবিকেল।

৩০| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

মুশাসি বলেছেন: শুভ বিকেল হামা ভাই
খুব ভালো লাগলো ++

০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

শুভবিকেল।

৩১| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আচ্ছা , আপনার গল্পে খালি টিভিবাক্স আসে কেন ? :)
মুভি দেইখা এই গল্প , ক্রিকেটের প্রভাব পড়ে অফস্পিন গল্পে !
আপনার এই লিখাটা আমি আপনার নাম না দেখেই ক্লিক করেছি , প্রথম প্যারা পড়ার সময় বুঝে গেছি এইটা হাসান মাহবুব ।
সর্বংসহা গুণাবলী বিসর্জন দিয়ে সুইসাইড এ্যাটেমপ্ট নিয়েছিলো । এই বাক্য প্যাটার্ন ভাল লাগছে ।
গল্পটা বেশ আঠালো , একটানে পড়া গেল ।
গল্প পড়তে পড়তে হটাত
-হাউয়ার পুতেরা! তোদের এতদিন ধইরা শান্টিং দিলাম কিন্তু লাইনে আইলি না। বুঝছি তোগো দিয়া আমার কাজ চলব না। মইরা যা! মাইরা ফালা! - এভাবে এ বাক্য আসাটায় খুব মজা পাইছি ।
এই সুপ্রাচীন আহবানে ধ্বনিত হয় নতুন সভ্যতার ঘোষণা। - দারুন বাক্য এ লাইনটা গল্পটায় একটা আলাদা আমেজ আনল ।
সব মিলিয়ে আপনার এই গল্পটা সার্থক ছোট গল্পের মতই , কবিতার মতই । অনেক দৃষ্টিকোণ হতে ব্যাখ্যা করা যায় । ব্যঞ্জনা ব্যাপক ।
সুন্দর, ভাল ও তাৎপর্যমণ্ডিত - লিখনী ও বোধ উভয় জায়গা হতে ।
ব্যক্তিগতভাবে গল্পটা আমার ভাল লাগছে ।
হামা ভাইয়ের গল্পের জন্য প্লাস ভাইজান সবসময় অপেক্ষায় থাকে ।
+++++++++++++++
ভাল থাকবেন হাসান ভাই ।
শুভকামনা রইল ।

০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: টিভি, ঐটা আমার মেটাফরিক সিগনেচার। হাহা! হু, এর আগেও কয়েকটা গল্পে টিভি এসেছে। কিছু বস্তু এবং শব্দ বারেবার এসেই যায়। বেশি পুনরাবৃত্তি যেন না হয় এ ব্যাপারটা খেয়াল রাখতে হবে।

হঠাৎ করে এরকম ক্ষ্যাপাটে ডায়লগের আগমন, এইটাও আমার স্টাইল! B-))

আপনার নিমগ্ন পাঠ অনেক ভালো লাগলো।

ভালো থাকুন। শুভসন্ধ্যা।

৩২| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

মাক্স বলেছেন: পড়লাম, দুটো শর্টফিল্মও দেখলাম। ফিল্ম দুইটা না দেখলেই বোধহয় ভালো ছিল। চিন্তা করার সময় পাইতাম।

০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ফিল্মদুটোর থিম আলাদা, তাদেরকে এক করে যে গল্পটা দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছি সেটাও আলাদা হবারই কথা। তবে এটা ঠিক, দৃশ্যগত কিছু মিল আছে।

শুভসন্ধ্যা মাক্স।

৩৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
মেলাদিন পর ব্লগে আইসা আপনার পোষ্ট দেইখ্যা ভাল্লাগতাসে! কপি করলাম। পইড়া মন্তব্য করমু।

০১ লা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: হু! প্রিন্স মাহমুদের সঙ্গীতায়োজনে একটা মিক্সড এ্যালবাম ছিলো,

"দাগ থেকে যায়"।

B-)

৩৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

সোহাগ সকাল বলেছেন: মনে হলো যেন আদম-হাওয়া থেকে আবার শুরু হলো। হামা ভাইয়ের গল্প সবসময়ই অসাম!
রাতে গল্পটা দেখেছি, দুপুরে মোবাইল থেকে পড়েছি, সুন্দর একটা মন্তব্য ঠিক করে রেখেছি, এখন ল্যাপু থেকে কমেন্ট করতে গিয়ে দেখি ভুলে গেছি! :( যত্তসব!
জেনির মতো একজনকে পেলে তাঁর হাতে খুন হওয়া যেত।

০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: কারো কাছে খুন হতে চাওয়ার আকাঙ্খার চেয়ে সুন্দর আর কী আছে?

শুভরাত্রি সোহাগ।

৩৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৯

এরিস বলেছেন: মাথায় টেনিসন, চোখে হাসান মাহবুব। সব গুলিয়ে ফেলেছি। আপনার লেখার সাথে যায় এমন মানসম্মত মন্তব্যের জন্যে দ্বিতীয়বার পড়ে নিতে হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত অনেক অনেক ভালো থাকুন। কাল আসছি আবার। :)

০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত্রি এরিস!

৩৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৮

অগ্নি দগ্ধ বলেছেন: পড়লাম, বুঝার চেষ্টা করতেছি। :)

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়লেন, এজন্যে ধন্যবাদ। মন্তব্যগুলোয় কিছু আলোচনা আছে দেখতে পারেন।

শুভরাত্রি।

৩৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৭

একজন আরমান বলেছেন:
নতুন কোন বিশেষণ বাকি নেই।

আপনার গল্প পড়ে আমি কি বুঝতে পেরেছি সেটা বলি।
আমার মনে হল আপনি বুঝাতে চেয়েছেন আমরা সভ্যতাকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে ছুটে চলেছি নতুন করে বাঁচার আশায় !
আরও কিছু বুঝেছি কিন্তু সব গুছিয়ে বলতে পারছি না। :(

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ। খুব সরলভাবে বললে তো এটাই!

ধন্যবাদ আরমান। শুভরাত্রি।

৩৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৫৮

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
অন্য এক হাসান মাহবুব কে পেলাম এখানে!!
ফিল্মদুটোও দেখলাম, আর The Horribly Slow Murderer with the Extremely Inefficient Weapon এর গদ্যম্পরা খুব উপভোগ্য মনে করলাম।

আপনার অন্য গদ্য থেকে এ নিরিক্ষণধর্মী লেখাটি আমাকে একটু বেশীই আবিষ্ট করলো।

শুভ ঘুমহীন মধ্যরাত!!

০২ রা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই নিরীক্ষাটী করে আমি আনন্দ পেয়েছি। আপনাকে সে আনন্দের অংশীদার করতে পেরে ভালো লাগছে।

শুভ সকাল!

ঘুমহীন রাত।

৩৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৪৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন সুপ্রিয় ব্লগার।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভসকাল।

৪০| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯

প‌্যাপিলন বলেছেন: অসাধারণ প্লট সাথে বোনাস শর্ট ফিল্ম (যদিও নামাতে খবর হয়ে গেছে)।
বেশ ভাল একটা গল্প হয়ে গেল সাত সকালে

০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস প্যাপিলন।

শুভদিন।

৪১| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১৪

রোজেল০০৭ বলেছেন: আমি প্রিয়তে নিয়ে নিলাম।

ভালো থাকুন হাসান ভাই।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রোজেল।

আপনিও ভালো থাকুন।

৪২| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

সানজিদা হোসেন বলেছেন: আমরা সবাই শুধু দৌড়াচ্ছি। লেখা সুন্দর

০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সানজিদা। শুভদুপুর।

৪৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

কৌশিক বলেছেন: বই বের করেন।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: টেকা দেন।

৪৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

কৌশিক বলেছেন: কি বলেন? যে কোনো প্রকাশক টাকা দিয়ে আপনার বই প্রকাশ করবে।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: একবার একজন করে ভুল করসে বলে কী সবাই তা করবে? /:)

৪৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

কৌশিক বলেছেন: বাংলাদেশের ছোটলোক প্রকাশকদের মায়রে বাপ। টাকা হইলে আপনার বই আমিই প্রকাশ করুম।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ওকে। ডিল!

৪৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

আরমিন বলেছেন: হামা ভাই, মনে হলো সিনেমা দেখছি! অনেকগুলি সিনেমার দৃশ্য ভেসে উঠলো, একটারও নাম মনে নেই , শুধু নীলমুখ আর লাল ফুলকি পড়ে অবতারের কথাটা মনে হয়েছে , সেটা বলতে পারছি!

+ +

০২ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: দৃশ্যকল্পগুলো আপনার মনের ভেতর ছাপ ফেলতে পেরেছে জেনে ভালো লাগলো।

ভালো থাকবেন।

৪৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৪

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: সায়েন্স ফিকশন??ভালোই লেগেছে।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা ঠিক সায়েন্স ফিকশন না। মেটাফরিক ফ্যান্টাসি জেনারে ফেলা যেতে পারে।

ধন্যবাদ!

৪৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: তুমি দারুন সায়েন্স ফিকশন লিখতে পারবে হাসান.....

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি সায়েন্স ফিকশন লিখলে সেটাতে সায়েন্স কম থাকবে। ফিকশন বেশি থাকবে। তবে সায়েন্স ফিকশনে তেমন আগ্রহ নাই আমার :(

৪৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: তুমি একটা সায়েন্স ফিকশন গল্পের বই বের করো!!

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: কৌশিক টাকা দিবে বলসে। আপনিও কিছু শেয়ার কৈরেন B-)

৫০| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩০

আশিক মাসুম বলেছেন: লেট লতিফ হয়ে গেছি আজকাল, তাই আমার কমেন্ট সবার শেষেই থাকে :( এসে দেখি সবকিছু বলা হয়ে গেছে, যদিও আপনার লিখা পড়ে ব্লার কিছু থাকেনা ।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: কিছুই বলার নাই! :(

শুভরাত।

৫১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: খিদা লাগছিল খুব। অর্ধেক পড়ার পর গিয়া খাইয়া আসলাম। এরপর আবার বাঁকিটুকু পড়ছি।

আচ্ছা! গল্পের মাঝে মধ্যে আচমকা হাউয়ার পুতেরা টাইপের কথা বার্তা কি পাঠকের ঝিমুনি দূর করার জন্য দেন নাকি? :P

গল্প ভাল লাগছে। তবে গল্প নিয়া বেশি কথা বলব না। বলব অন্য কথা।

আপনি রুপকধর্মী গল্প খুব ভাল লিখেন। শুধু ভাল বলাটা ঠিক হচ্ছে না, অত্যাধিক ভাল, চরম ভাল, সেইরকম ভাল, অতি উৎকৃষ্ট এই রকম কিছু একটা বলা দরকার। আমি জানি আপনি আসলে এধরনের গল্প লিখতেই বেশি সাচ্ছন্দ বোধ করেন। কিন্তু কথা হচ্ছে আমার মত দু চারজন থ্রিলার পিপাসু যারা আছে, তাদের কথা তো একটু ভাববেন নাকি?

আপনার লেখার সাথে আমার পরিচয় কোন গল্পের মাধ্যমে জানেন? অনেক আগে লেখা Genre- হরর গল্পটা দিয়ে। সেই গল্প পড়ে আমি স্তম্ভিত হয়ে পরেছিলাম। আমি কখনো চিন্তাও করিনি একটি গল্পে শুধুমাত্র পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে পাঠককে ভয় পাইয়ে দেওয়া সম্ভব। ছেলেটার বাবাই যে মাকে খুন করেছে এ বিষয়টা গল্পে স্পষ্ট করে বোঝানো হয়নি দেখে শিখেছিলাম থ্রিলার গল্পে কিছুটা পাঠকের জন্য ছেড়ে দিতে হয়।

আমি ভেবেছিলাম আপনি বুঝি হরর ক্রাইম বা থ্রিলার নিয়ে লেখেন। কিন্তু পরবর্তীতে আপনার কিছু রুপক লেখা পড়ে আমি বিভ্রান্ত বোধ করতাম। বেশ কয়েকটা পোস্টেই বলেছি , ভাই কি লিখেছেন বুঝিনি- আপনার মনে আছে হয়ত। তবে এতটুকু বুঝেছিলাম আপনি মানুষটা সব্যসাচী, কোনও নির্দিষ্ট জেনারে আটকে পড়া লেখক নন। এরও অনেক পরে পড়েছিলাম আপনাদের কাছে কি চাবুক আছে? এটাও আমার খুব ফেবারিট। এছাড়াও গোলকধাঁধার নিলাম, এখানে সবাই উপস্থিত ছিলো, সাদা কালো রক্তের মানুষ, সীমাসঞ্চালি গল্পগুলো আমার খুব পছন্দের।

কথাগুলো বলার কারন হচ্ছে অনেকদিন এইরকম কিছু পাচ্ছিনা আপনার কাছে। :(

ভাল থাকুন হামা ভাই, শুভরাত্রি। দীর্ঘায়ু কামনা করি আপনার। :)

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পের মাঝে আচমকা ডায়লগের ভেরিয়েশন আনতে মজা লাগে। আমার নিজের ঝিমুনি কাটানোর জন্যেই দেই। হাহা!

যেই গল্পগুলার নাম বললে, সেইগুলা আমারও খুব পছন্দের। থ্রিলার খুব পছন্দের জিনিস। হরর ফ্লেভারড হলে তো কথাই নাই! সমস্যা হৈল আমি এসব জিনিস খুব পছন্দ করলেও লেখার জন্যে চিন্তার যে স্পেসটা বরাদ্দ রাখি, তাতে মেটাফরিক জিনিসপত্রই বেশি আনাগোনা করে। একটা শব্দ, বাক্য বা ধ্বনি কে সম্প্রসারিত করে এ ধরণের গল্প লেখা সম্ভব। কিন্তু থ্রিলার জাতীয় কিছু লেখার জন্যে একটা কমপ্লিট স্টোরিলাইন লাগে। স্টোরি মাথায় আসতেছে না। হয়তো কোনদিন হুট করেই মাথায় আসবে। তখন লিখে ফেলবো।

শুভদুপুর। ভালো থাকো।

৫২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪১

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: মুভি দুইটা না দেখে মন্তব্য করা ঠিক হবে না বলে বোধ হচ্ছে! দেখে আসি।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: হইসে দেখা?

৫৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪

কৌশিক বলেছেন: রেজোওয়ানা যখন আগ্রহ দেখিয়েছে তখন আমার আর টাকা দেবার দরকার নাই। রেজোওয়ানা আপনার দুটো বই বের করবে সামনের বই মেলায়। ঠিক আছে রেজোওয়ানা?

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: তারটা সে করবে আপনেরটা আপনি করেন। কথার খেলাপ কইরেন না। খোদার গজব পড়ব।

৫৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:১০

অচিন্ত্য বলেছেন: +++
পড়তে পড়তে হঠাৎ খেয়াল করলাম আপনার লেখাতে যে বিষয়টি বেশ পাই তার সাথে মিল আছে হ্যামলেট এর ইনএকশন, বা প্রুফ্রকের ইনারশিয়া। এক জায়গায় একটু ম্যাজিক রিয়ালিজমের স্বাদ পেলাম, যখন চামচ বাতাসে মিলিয়ে গেল।

চমৎকার লেগেছে

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ম্যাজিক রিয়ালিজম আমার পছন্দের বিষয়। আমার অনেক গল্পেই এ বিষয়টি এসেছে। কিন্তু হ্যামলেট এর ইনএকশন, বা প্রুফ্রকের ইনারশিয়া এগুলো কিছুই পড়া হয় নাই। কত কী পড়ার আছে বাকি!

থ্যাংকস অচিন্ত্য।

৫৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

ইমরাজ কবির বলেছেন:
এ আইডি দিয়ে ঢুকলামই যখন, ভাবলাম ১টা ভালো লাগা দিয়ে যাই ||

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালোই হইল। চিনা রাখলাম!

৫৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: অনেক সুন্দর লেগেছে ভাইয়া।শর্টফিল্ম দুটো দেখতে পারলে মনে হয় আরো ভালো হতো।
+++++++++++++++

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখে ফেলেন! লিংক তো দেয়াই আছে।

শুভেচ্ছা।

৫৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: কৌশিক দা যখন আছে তখন আর চিন্তা কি, সেই হইলো গিয়া বিগ বস!

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: বিগ বস বিগ ম্যাডাম ঐসব আমি মানি না। আমি আমার মত কৈরা লিখা যামু ঠিকাছে না আপু?

B-))

৫৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৯

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: অদ্ভুত লাগলোরে ভাই। এই লেখাটা অনেক ভালো হইসে। অনেক অনেক প্লাস।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস ব্রাদার।

৫৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৩৯

অচিন্ত্য বলেছেন: খানিক ক্ষমা আশা করছি। আসলে লেখার সময় এমনভাবে লিখলাম যেন দুনিয়ার সবাই ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশুনা করেছে। কথা হবে। :)

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ইংলিশ কঠিন লাগে! কথা হবে অচিন্ত্য।

শুভদুপুর।

৬০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: তোমার ভালোবাসার আঁচলে শায়িত নতুন সভ্যতা, নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন দেখাটাও তেমনই অর্থহীন। সভ্যতা, স্বপ্ন, উন্নয়ন, ভালোবাসা সবকিছু যোগ করলে মেক-আপ বক্সের সবগুলো রঙের সম্মিলনে উদ্ভট কদাকার একটা কিছুই পাওয়া যায়। তোমাকে এসব কিছু থেকে যেকোন একটা কিছু বাদ দিতে হবে। তাহলে সমীকরণটা সাম্যাবস্থায় আসবে। বল কী বাদ দিতে চাও? সভ্যতা? স্বপ্ন? ভালোবাসা? উন্নয়ন?
আমি কী বলব ভেবে পাই না


জানিনা কেন মন খারাপ হলো গল্পটা পড়ে! আমরা আসলে নিজেদের কোনদিকে নিয়ে যাচ্ছি, নিজেদের গড়া জালে নিজেরাই বন্দী হয়ে হাঁসফাঁস করছি!! :(

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: তাও তো মন খারাপ হল! উপলদ্ধি হল! এটার অনেক বেশি দরকার। আমরা দিনদিন অনুভূতিহীন আর যান্ত্রিক হয়ে যা চ্ছি। সভ্য হবার নেশায় মাতাল হয়ে টলটলায়মান হচ্ছি। এগুতে পারছি না টলোমলো পায়ে।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৬১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৮

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: দেখলাম :)

পারফেক্ট মার্জ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু ইমরান! শুভসকাল।

৬২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: কি আর বলব !! দুর্দান্ত

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

৬৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০০

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: অনেক দেরিতে পরলাম :)
শর্টফিল্ম দুইটা দেখে আবার পড়ব ।

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখে জানায়েন কেমন লাগলো।

৬৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:১১

ফারিয়া বলেছেন: কিছুটা বুঝেছি, আর বাকিটা কোথায় গেল কে জানে। মনে হচ্ছে একটা বড় ছবি আকতে চাইছেন পাজল দিয়ে, বাট পাজলের কিছু পিস আমি হারিয়ে ফেলেছি। আবারো পড়লে হয়ত পুরোটাই আসবে চোখের সামনে!

বাই দ্যা ওয়ে, মুভিগুলোতে কি দেখতেই হবে?

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: মুভিগুলো না দেখলেও চলবে। তবে দেখলে পড়ার আনন্দ বেড়ে যাবে।

৬৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

৬৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

ফয়সাল হুদা বলেছেন:
উন্নয়ন আর ভালোবাসার ক্রমবর্ধমান সভ্যতার ব্যস্তানুপাতিক পিঠে চড়তে পারলেই বরং মজা হতো :)
অন্তত একটা অদ্ভুদ ইনিশিয়াল খুজে পাওয়া যেত :)

আচ্ছা,চামচাতন্কের রান ডিরেকশসন চেণ্জ করা যায় না ??

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস! সেরকম হলে তো খুব ভালো হত!

৬৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০১

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: তবে কিনা শুধু পারফেক্ট মার্জ বললে অবিচার করা হয়! শব্দবুণন, দৃশ্যকল্প তৈরী আর ইল্যুশন্য ক্রিয়েশনে আপনি সিদ্ধহস্ত! সুখপাঠ্য! আর সবশেষে, ভাবতে বেশ ফোর্স করে। এই ব্যাপারটা বেশ উপভোগ্য আপনার সব লেখাতেই।

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস ইমরান!

৬৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

অদৃশ্য বলেছেন:




হাসান ভাই

আপনি এই লিখাটি পোষ্ট করবার পর কয়েকবার এসেছি টুক টকু করে লিখাটি পড়েছি...


হাসান ভাই লিখলে সেটা কোন না কোন ভাবে ভালো লেগেই যায়...


শুভকামনা...

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার জন্যেও শুভকামনা। ভালো থাকুন।

৬৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

মোসতাকিম রাহী বলেছেন: কাজের বারোটা বাজার ভয়ে তোমার ব্লগে ঢুকিনা। তারপরও কোন ফাঁকে অর্ধেক পড়ে ফেলেছি।
প্রকাশক যখন দু'জন পাওয়া গেছে বই বের করে ফেলো; অপেক্ষায় আছি।

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখা যাববে যে ক্রেতার চেয়ে প্রকাশকের সংখ্যা বেশি!

আপনাকে দেখে ভালো লাগলো রাহি ভাই।

৭০| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

ডানাহীন বলেছেন: এই গল্পটাও চমৎকার একটা মুভি হতে পারে ..

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: মুভি থেকেই তো এই গল্পের ভাবনাটা এসেছে!

শুভদুপুর ডানাহীন!

৭১| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

আমি তুমি আমরা বলেছেন: মনে হল কোন কমেডী সাই ফাই মুভি দেখছি। গল্পের ভেতরের ম্যাসেজ ধরতে পারি নাই, তবে গল্প পড়ে মজা পেয়েছি। চমৎকার গল্পের জন্য ধন্যবাদ।

১০ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটার মধ্যে কিছু ডার্ক এলিমেন্ট আছে অবশ্য! মজা পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। শুভদুপুর

৭২| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

তানজিয়া মোবারক মণীষা বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নিয়ে রেখেছি ভাইয়া, অর্ধেক পড়েছি, বাকিটুকুও পড়ে ফেলবো। এরপর আবার কমেন্ট করবো। !:#P
(অফ টপিক: ভাইয়া! আমি জেনেরাল হয়ে গিয়েছিইইই!!!!!! :D :D :D :D :D :D )

১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: এইবার আপনাকে আর ঠেকায় কে! গো মণীষা গো!

৭৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ছোট ছবি দুটো দেখে ছোট গল্পের অনেক কিছু পরিচিত লাগল। এবং পড়ার আনন্দ সত্যিই পরিপূর্ণ হয়েছে। আর কিছু বলব না, আমিও কিঞ্চিৎ দৌড়ের ওপরেই আছি।

৭৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠে আনন্দিত হয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। দৌড়ের ওপর আছেন বলেই আপনাকে নিয়মিত ব্লগে দেখা যায় না ইদানিং। ব্যস্ততা কমিয়ে ব্লগে ফিরুন আবার। দৌড় শেষে একটা বিশ্রামও তো দরকার, নাকি?

থেংকু প্রফেসর!

৭৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২২

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
যথারীথি ববি...

বাকী সব চমৎকার...


প্রায় সবসময় একটা নাম কেমন কেমন লাগে...

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস! ববি নামটা আমার বেশ প্রিয়, তাই এইটা এই নামটা ।

শুভসকাল!

৭৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: হাসান মাহবুব! একটা ঘোরের নাম। এই ঘোরটা তার লেখায়! ........

শুভ দুপুর।

(কেন যেন একটা পুরো গল্প পড়ার জন্য দুপুর খুব ভাল সময়। দুপুরেরও নিজস্ব ঘোর আছে।)

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঘোর অবিনশ্বর হোক। শুভ ঘোরদুপুর।

৭৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

নস্টালজিক বলেছেন: সিমপ্লি সুপার্ব!

সভ্যতাতাড়ুয়া- চমৎকার একটা লেখা তোমার!

ওয়ান অফ ইয়োর জেম!


শুভেচ্ছা নিরন্তর!

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু বাডি! ইনসপায়ার্ড! ফিল্মগুলাও দেইখো। ভাল্লাগবো।

৭৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

তীর্থক বলেছেন: ভালো লাগলো। কিছুটা ছেলেমিও লাগছে। ঠিক কি বোঝাতে চাইলেন তা পুরোপুরি ধরতে পারিনি পর্যাপ্ত নলেজের (নলেজ বাংলায় লিখতে পারিনা) অভাবে :-(

+ দিচ্ছি পড়তে ভালো লেগেছে তাই :-)

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়তে ভালো লাগসে এটাই বড় ব্যাপার। আরো ক্লিয়ার হতে চাইলে কিছু মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য দেখতে পারেন।

ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।

৭৯| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৪৫

মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন:
ভাল্লাগছে।

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮০| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৪

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: এখন আবার দুপুর!

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: এখন আবার বিকেল। শুভবিকেল।

৮১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০

কয়েস সামী বলেছেন: অনেক দেরীতে পড়া হল। দুঃখিত। গল্পের আড়ালে কি কিছু বলার চেষ্টা করেছেন? বুঝতে পারছি না। তবে গল্প পড়ে ভীষন ভাল্লাগসে। চমৎকার হইসে!

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়তে ভালো লাগাটাই মূল কথা। তবে থিমটা বুঝতে হলে ২৬ নং কমেন্ট এবং তার প্রত্যুত্তর আশা করি সহায়ক হবে।

থেংকু!

৮২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৩

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: চামচম্যানিয়া।

ভয়ংকর চামচম্যানিয়া।

ভালো লাগলো জোম্বিতাড়ুয়া বা সভ্যতা তাড়ুয়ার গল্প।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ!

শুভরাত্রি।

৮৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৪০

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: হাসান ভাই, বরাবরের মত, কঠিন হইসে। অনেকদিন পর আসলাম সামুতে। আপনার বেশ কয়টা লেখা পড়া বাকি। ভালো থাকবেন। :)

২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! বাকি লেখাগুলো পড়ার আমন্ত্রণ থাকলো। শুভ রমজান।

৮৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৫

আমিনুর রহমান বলেছেন:



দুর্দান্ত ফ্যান্টাসি গল্পে প্লাস।

চামচের গুঁতাগুঁতি বেশ লাগলো। বইয়ের প্রকাশক পাইছেন দুইখান ! বই প্রকাশের অগ্রিম শুভেচ্ছা।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! দেখা যাক। অনেক ধন্যবাদ!

৮৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫১

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: হাসান ভাই পোস্ট পড়িনি । আমার ব্লগে প্রথম মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিতে এসেছি । পরে সময় করে আপনার ব্লগ ভাল করে ভিজিট করব । ভাল থাকুন ।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। শুভ ব্লগিং।

৮৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৪

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: জেনি আর কথক একই জন ?

বাস্তব জীবনের রোমাঞ্চ, একঘেয়ে মেগাসিরিয়াল জীবন যাপন , মানবিক অবক্ষয়, সভ্যতার ইহজাগতিক-পরজাগতিক সকল প্রকার দৌড় প্রতিযোগিতার ভিতর নিজের কাছে নিজেই একা হয়ে পড়া!

আমি এইভাবেই ভাবলাম!

সুন্দর।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: জেনি আর কথক একজন কী না এটা আরেকজনও জিজ্ঞাসা করসিলো। তার মানে লেখায় সেরকম কিছু ইঙ্গিত আছে। যদি ওভাবে পড়তে সুবিধা হয় তো তাই ভালো। আমার কাছে অবশ্য দুইজন আলাদা।

পড়া ভালো হইসে।

শুভরাত্রি।

৮৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

কালোপরী বলেছেন: :)

২২ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: :||

৮৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: খুব ভাল লাগলো।
প্রতিবারের মত এবারও চমৎকার একটা গল্প পরলাম।
অনেক সুন্দর...।
তবে ফিল্ম দুটু দেখতে পারলে আরো ভালো লাগতো।
কি আর করা... আপনার লেখায়ই সেই স্বাদ মিটালাম।

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ফিল্ম্বের লিংক তো দেয়া আছে! দেখে নিয়েন।

ধন্যবাদ!

৮৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: ঈদ সংখ্যা প্যারানয়েড ব্লগে এইবার কি কি গল্প থাকবে ভাই?

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: কী জানি! কেমন যেন আড়ষ্ট হয়ে আছে আঙ্গুল এবং মগজ। গল্পের রসদ আছে কিন্তু সেগুলো নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছে করছে না। তবে সম্ভবত একটা প্যারানয়েড টাইপ গল্পই থাকবে। ভাবি আরো...

৯০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪০

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: wow! truly genius writing!! onek diversity pelam! purota na porle bujtei partam na! gr8 job, HaMa dear :)

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু সোনিয়া! গ্ল্যাড টু সি ইউ ব্যাক ইন ব্লগিং।

৯১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভাল গল্প লিখেন
ভেরি নাইস গুড ফর্ম

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভেরি থ্যাংক ইউ B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.