নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাইকোথেরাপি সম্পর্কে আমার ধারণা, বলা ভালো আকাঙ্খা ছিলো এমন, বিশাল একটা রুমের মাঝে গোল সাদা টেবিল, অপরপাশে সুন্দরী কাউন্সেলর তার মায়াবী কন্ঠে হিপনোসিস করছেন, মৃদু নীল আলো পুরো ঘর জুড়ে, লো ভলিউমে বাজছে ওরিয়েন্টাল মিউজিক, মেঘফুলের সুবাসে ঘরে রহস্যময় আবহ... কিন্তু বাস্তব মোটেই এমন না। পাশাপাশি কয়েকটা ঘর। ছোট ছোট। পাশের রুমের কথাবার্তা স্পষ্ট শোনা না গেলেও কথোপকথন যে চলছে তা বোঝা যায়। নীরব সঙ্গীত, অপার্থিব সুগন্ধ, গোল টেবিল কিছুই নেই। তাও ভালো, অপরপাশে যে আছেন তিনি একজন নারী। আধবুড়ী, ক্ষয়াটে দাঁতের প্রায় পুরুষ নারী না, আমার বয়েসীই হবেন। তার নামটা অবশ্য সেকেলে, বিলকিস বানু। দেখতেও আহামরি কিছু না। গড়পড়তার ভেতরেও সাধারণ। ভীড়ের মাঝে একবার এই মুখ দেখলে চিনে রাখা দায়। বিলকিস বানুর কাছে আমি এসেছি দীর্ঘদিন ধরে লালন করা প্যানিক ডিজঅর্ডার এর ব্যাপারে কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে সাহায্য পাবার জন্যে। এতদিন অনেক চিকিৎসা করা হয়েছে, ওষুধে কাজ হয় ঠিকই, কিন্তু তা আমাকে অতিমাত্রায় নির্ভরশীল করে তুলছে। আমি কোন রাসায়নিক পদার্থ না যে মেডিকেশনের কেমিক্যাল রিএ্যাকশন দিয়ে স্বাভাবিক থাকবো। আমার দরকার একজন কাউন্সেলর অথবা গার্ডিয়ান এ্যাঞ্জেল, যার কাছে নিজেকে সমর্পণ করে আমি নির্ভার থাকতে পারি। ভয়ের রোমশ পাঅলা মাকড়শাগুলো যেন আমার মনের ভেতর আর জাল বুনতে না পারে, ঘিরে যেন না ধরে...
-আমার সমস্যাটার শুরু বছর দশেক আগে। ২০০১ এ। তখনও হলে উঠিনি। নতুন ভর্তি হয়েছি ভার্সিটিতে। মেস ভাড়া করে থাকি বন্ধুদের সাথে। তখন আমি সিগারেটও খেতাম না। কপাল খারাপ, আমার রুমমেট দুইজন ছিলো চরম গাঁজাখোড়। গাঁজা খেয়ে তারা নিয়মিত উল্টাপাল্টা আচরণ করতো। আমার বিরক্তও লাগতো আবার মজাও লাগতো। তবে মনে হত যে ওরা অতি অভিনয় করছে। সামান্য একটু ধোঁয়া নিলে কী এমন হবে যে চারিপাশ বদলে যাবে? বিশ্বাস হতো না গাঁজার প্রতিক্রিয়ায় ওদের করা কর্মকান্ডসমূহ। আস্ত ভাঁড় মনে হতো একেকজনকে। এতে তাদের 'গাঁজানুভূতি'তে আঘাত করায় তারা আমাকে একদিন চ্যালেঞ্জ করে বসে।
-তারিখটা কত?
-জুনের শেষদিকে হবে।
-আচ্ছা বলে যান।
বিলকিস বানু তার চশমাটা কলম দিয়ে নাকের এক প্রস্থ ওপরে উঠিয়ে বলেন।
-তো আমি তাদেরকে টেক্কা দেয়ার জন্যে একটু বেশি পরিমাণেই ধোঁয়া গিলে ফেলি। প্রথমদিকে কিছুই মনে হচ্ছিলো না। ওদের ওপর হম্বিতম্বি করছিলাম কী ফালতু জিনিস খাইয়েছে কিছুই হচ্ছে না বলে। ওরা হাসছিলো খুব। আমারও হাসি পাচ্ছিলো। হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছিলাম আমি। তারপর হঠাৎ বুঝতে পারলাম যে এই হাসি তো স্বাভাবিক না! আমার অনুভূতির তীব্রতা বাড়তে লাগলো। মনে হচ্ছিলো যে মস্তিষ্কে কেউ একটা শক্তিশালী এ্যামপ্লিফায়ার লাগিয়ে দিয়েছে এবং তা হাসি ও কান্নাকে বিবর্ধিত করছে বহুগুন। হাসির পর্যায় দিয়ে শুরু, তারপর আমার কান্না পেলো খুব। ঢাকায় ফেলে আসা মা-বাবার জন্যে হুহু করে কাঁদতে লাগলাম। গান বাজছিলো পাশের রুমে। মনে হচ্ছিলো যে প্রতিটা ধ্বনির নূন্যতম একক আমার ব্রেইনের ভেতর দিয়ে পরিবাহিত হচ্ছে। ড্রামের একটা বিট, বেইজের সলো, গিটারের স্ট্রিং সব যেন আমার ব্রেইনের সাথে সার্কিট করে দেয়া। এত তীব্র, প্রবল, প্রকান্ড অনুভূতি নিতে আমার মন প্রস্তুত ছিলো না। আমি বর্নালি দেখতে শুরু করলাম। রঙের পর রঙ। আছে যাচ্ছে। পুরু রঙ, পুরোহিত রঙ, পুরোনো রঙ, নতুন রঙ এতরকম রঙ থাকতে পারে তা আমার ধারনায়ও ছিলো না। তখন থেকেই আমার প্যানিক এ্যাটাকের শুরু। গলাটা শক্ত হয়ে ছিলো। মনে হচ্ছিলো কেউ বজ্রমুষ্টিতে চেপে ধরে রেখেছে। ঢোঁক গিলতে পারছিলাম না। শরীর শীতল হয়ে আসছিলো। বুকের ভেতর হৃৎপিন্ডটা ক্ষ্যাপা ষাড়ের মতো ধেঁয়ে যাচ্ছে মৃত্যুর দরজার দিকে। ওহ! কী ভয়ংকর অনুভূতি! আমার মনে হচ্ছিলো আমি মারা যাচ্ছি। মৃত্যু কেমন তা আমি জানি না, তবে মৃত্যুভয় হয়তোবা মৃত্যুর চেয়েও ভয়ানক। কী হতো আমি মরে গেলে? জানি না। আমি শুধু জেগে থাকলাম সারারাত অকল্পনীয় আতঙ্কের অনুভূতি ধারণ করে। ভয়ংকর কিছু একটা ঘটার আশঙ্কায়। এরপর জানালা দিয়ে ভোরের আলো দেখার পর আমি স্বাভাবিক হই।
-হু। বেশ ভালো রকম প্যানিক এ্যাটাক হয়েছিলো আপনার দেখছি। তো এরপরে কী হলো?
-তখন থেকেই প্যানিক ডিজঅর্ডার আমার সার্বক্ষণিক সঙ্গী। ঐ ঘটনার দুইদিন পরেই আমার প্যানিক এ্যাটাক হয় আবার। আবারও মনে হয় আমি মারা যাচ্ছি। আমাকে হার্ট ইনস্টিটিউটে নেয়ার পরে ওরা ইসিজি করে কিছু না পেয়ে একটা রিলাক্সেন ইনজেকশন পুশ করলো, আমি গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। কিন্তু ভয় আমার পিছু ছাড়লো না। হঠাৎ কোন কারণ ছাড়াই আমার পৃথিবী অন্যরকম হয়ে যায়। বুকের ভেতর ঝড়মাদলের শব্দ শুনতে পাই। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। গলা শক্ত হয়ে আসে। আর সবচেয়ে ভয়ংকর যেটা, তা হলো আমার চারিপাশে যা আছে সবকিছুকে ভ্রম মনে হয়। মনে হয় আমি অন্য এক জগতের বাসিন্দা। বাকিরা সবাই মিলিয়ে যাবে একটু পর। কেউ একজন দৃশ্যের পাতা ওল্টাবে, তারপর...তারপর যে কী ঘটবে সেটা আমি জানি না, কিন্তু আমার নিউরনে নিউরনে সর্পিল তরঙ্গ বয়ে যায়, একেবেকে, একে একে আসে ভয়ের উপাদানেরা।
-আচ্ছা। প্যানিক এ্যাটাক আসলে কী জানেন? এটা হলো ব্রেইনের একটা মিসইন্টারপ্রিটেশন। অপব্যাখ্যা। ঘটনা ঘটতে থাকে একরকম, কিন্তু আপনার মস্তিষ্ক তা ধরতে না পেরে ভুল সিগন্যাল দেয়। অন্যেরা যেখানে গাঁজা খেয়ে মৌজে থাকে, সেখানে আপনি হন আতঙ্কগ্রস্ত। আমার কাউন্সেলিংয়ের উদ্দেশ্য হলো, আপনার এই অহেতুক ভয় দূর করা। ভয় মানুষ পেতেই পারে, এটা মানবীয় ব্যাপার, আপনার ক্ষেত্রে ভয় থেকে অন্যান্য বস্তু ছেকে তুলে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। আপনাকে বুঝতে হবে যে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া মানেই ভয়ানক কিছু না, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলেই আপনি মারা যাচ্ছেন না।
-তো এটা কীভাবে করবো?
আমার প্রশ্ন শুনে বিলকিস বানু হাসলেন একটু।
-আজ আপাতত এখানেই থাক।
বিলকিস বানুর হাসি আমাকে অভয় দেয়। হ্যাঁ আমি তো তাই খুঁজছিলাম। এমন একজন, যার কাছে সব খুলে বলা যায়, যে আমার কথা বুঝবে, যার ওপর আমি নিজেকে পূর্ণরূপে সমর্পণ করতে পারি। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে বিলকিসের প্রেমে পড়বো। সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রেমে পড়াটা খুব হাস্যকর শোনাচ্ছে, তবে আমার পরিকল্পনার সাথে খুব মিলে যায়। যদি আমি তার ওপর প্রবল আকর্ষণ অনুভব করি, তাকে দেবীসম ভাবি, তাহলেই কেবল সম্ভব নিজেকে তার প্রতি পুরোপুরি সঁপে দেয়া। আর পুরোপুরি সমর্পণ করলে তাহলেই না তার কাউন্সেলিং কাজে আসবে!
দ্বিতীয় দিন বিলকিস আমার ওপর নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষা চালালেন। বেশ কয়েকটা কাগজে প্রশ্নের জবাব দিতে হলো টিক মেরে। ফলাফল নিরীখ করে তিনি জানালেন যে আমার ভেতর বিষণ্নতা নেই, কিন্তু এ্যাংজাইটি এবং ফোবিয়া ভীষণ মাত্রায় আছে। স্যাচুরেশন লেভেল অতিক্রম করে গিয়েছে। সে আমাকে ছোটখাট প্রশ্ন করা শুরু করলো।
-আচ্ছা আপনার প্যানিক এ্যাটাক সাধারণত কোন কোন সময়ে হয়?
-নির্দৃষ্ট কোন সময় নেই। যখন তখন হতে পারে। আসলে এখন আমার সেরকমভাবে হয় না, কিন্তু "হতে পারে" এই ভাবনাটাই আমাকে আতঙ্কিত করে রাখে।
-আতঙ্কিত হলে আপনি কিভাবে পরিস্থিতির মোকাবেলা করেন?
-বিছানায় শুয়ে থাকলে বালিশ আঁকড়ে ধরি। আশেপাশে কেউ থাকলে তার কাছে গিয়ে কথা বলি। কেউ না থাকলে ফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলি প্রিয় কারো সাথে।
-হু। আপনার মাসল তখন স্টিফ হয়ে যায়, প্যানিক এ্যাটাকের সময়। স্বাভাবিক আচরণ করতে থাকলে ধীরে ধীরে ওগুলো রিল্যাক্স হতে থাকে। আপনিও মুক্তি পান। আর কিছু করেন?
-আমি লেখালেখি করি। লিখতে আমার ভালো লাগে। অনেকসময় লিখতে লিখতে আমি ভুলে থাকি এই আতঙ্ক।
-বেশ ভালো। ক্রিয়েটিভ রাইটিং এসব ক্ষেত্রে খুব হেল্পফুল হয়। আমি কি আপনাকে কোন থট ডায়েরির কথা বলেছিলাম?
-না তো!
-আচ্ছা বেশ। আপনাকে এখন আমি একটা থট ডায়েরি দিবো। সেখানে আপনি আপনার সমস্যার সময়, তীব্রতা, স্থায়ীত্ব, ব্যবহারের পরিবর্তন, শারীরিক পরিবর্তন, সব লিখে রাখবেন ঠিক আছে? আমি এক সপ্তাহের রিপোর্ট দেখে ব্যবস্থা নেবো।
সে একটা কাগজে কথাগুলো উল্লেখ করে সুন্দর করে ছক কেটে আমাকে দেয়। তার হাতের লেখা বেশ সুন্দর। তারপর আবার প্রশ্নোত্তর পর্ব চলতে থাকে।
-আপনি কখনও কারো সাথে মিলিত হয়েছেন?
-মানে কী!
বুঝেও না বোঝার ভান করি আমি দুষ্টুমির হাসিটা চেপে রেখে।
-মানে ফিজিকাল ইনভলভমেন্ট। সেক্স। সেক্স নিয়ে আপনার কোন সমস্যা আছে?
-নাহ। আমি এ ব্যাপারে অতি দক্ষ।
আরো কিছু কথাবার্তার পর সেদিনের সেশন শেষ হয়। সে আমাকে নিঃশ্বাসের একটা অনুশীলন আর শরীর রিলাক্স রাখার জন্যে ইয়োগা জাতীয় একটা ব্যায়াম দেয়। এগুলো পরে আমার বেশ কাজে লেগেছিলো।
-নিঃশ্বাস নিন বুক ভরে, নেবার পর পাঁচ পর্যন্ত গুনুন। তারপর নিঃশ্বাস ছাড়তে থাকুন। ধীরে ধীরে। প্রতিটি প্রশ্বাসের সাথে মনে মনে বলুন আরাম... আরাম...আরাম...
থট ডায়েরিটায় খুব ফর্মালি অনুভূতিগুলোর শ্রেণীবিন্যাস করা হয়েছে। জিনিসটা এরকম,
Date & Time
Situation/Event
Thought
Feeling (0-100%)
Physical Change
Behavior Change
প্রথমদিন আমিও খুব ফর্মালভাবেই লিখি।
Date & Time- ১৩/১০/১৩
Situation/Event- বাসের জন্যে বসে ছিলাম। অনেকক্ষণ ধরে। বাস আসছিলো না। আমার সাফোকেটেড লাগতে থাকে। বুক কাঁপতে থাকে।
Thought- মনে হচ্ছিলো আমি আরেকটা জগতে চলে যাচ্ছি। যেমনটা হয় আর কী সচরাচর।
Feeling (0-100%)- তেমন ইনটেন্স না। ৫০%
Physical Change- নেই।
Behavior Change- নেই।
আমার নিত্যদিনের জীবনে এসব এখন একদম গা সওয়া হয়ে গেছে। পুরোপুরি শিথিলায়ন আমার শরীরের কপালে নেই! তবে এভাবেই গুড়িগুড়ি এগিয়ে আসে আতঙ্ক এবং মৃত্যুর ঝান্ডাধারী।
এইতো সে আসছে! গুটিগুটি পায়ে না, জোর কদমে। আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। আমার খুব তেষ্টা পাচ্ছে। চারিপাশের সবকিছু বদলাতে শুরু করেছে!
১৪/১০/১৩
প্যানিক এ্যাটাক!
অনেকদিন পর তার রুদ্ররূপ নিয়ে আবির্ভূত হলো সগৌরবে। তার দাপুটে আগমনের পাগলাঘন্টি বাজতে শুরু করলে পড়িমরি করে দৌড় দিতে থাকে আমার স্বজন, সম্বল, স্বপ্ন, সহ্য, স্বস্তি। আজ আমি তোমার সাথে লড়বো ডিয়ার প্যানিক এ্যাটাক! আমার কাছে ব্রহ্মাস্ত্র আছে। বিলকিসকে চেনো? বিলকিস। দেখতে অসাধারণ। একদম দেবীদের মতো। তার ঠোঁটে সবসময় পিচফলের লালরঙ আর গোলাপের সুবাস লেগে থাকে। তার কালো চোখের গভীরতায় মহাবিশ্ব তলিয়ে যেতে পারে। তার খাড়া নাক দেখে তাকে গ্রীকদেবী বলে ভ্রম হয়। তার স্তন এখনও দেখিনি আমি। ভালোবাসা এখনও একপাক্ষিক এবং প্লেটোনিক। কিসের প্লেটোনিক! আমি তার স্তন দেখবো। তার সুডৌল স্তন হাতে পুরে নিপলে কামড় দেবো। প্যানিক এ্যাটাকের সময় আমার কখনও ইরেকশন হয়নি। কিন্তু এইবার আমি উত্থিত হই। স্বমেহনের সম্মোহনে সন্ত্রাসী আতঙ্কের সর্দার পালিয়ে যায়। আমি জয়ী হই!
থট ডায়েরি লেখার এই ভঙ্গিটাই ভালো। আমি বিলকিসের দেয়া শ্রেণীকরণ কেটে দিয়ে নিজের মত করে লিখতে থাকি।
বিলকিস আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো আমার কোন যৌনসমস্যা আছে কী না। না না, নেই! এসে দেখে যাও বিলকিস, দেখে যাও আমার পৌরুষ। শক্ত করে চেপে ধরে ললিপপের মতো মুখে নাও। বিলকিস! আহ! তুমি সুন্দর! তুমি সুন্দর! তুমি সুন্দর!
হচ্ছে! সমর্পণ প্রক্রিয়া চমৎকারভাবে সম্পাদিত হচ্ছে। আমার স্বত্তাকে বিলকিসের কাছে পুরোপুরি মেলে ধরলেই নির্বাণ মিলবে। থট ডায়েরি এখন আর ওসব নিয়ম মেনে লেখা যাবে না। আমি আমার তীব্র অনুভূতির কথা লিখবো। বিলকিসের প্রতি অব্যাখ্যনীয় আকর্ষণের কথা লিখবো। যে ভয় ব্যাখ্যা করা যায় না, ঠিক তেমনই এক অবাক ভালোবাসা।
১৪, ১৫ এবং ১৬ তারিখেও প্রায় একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হয়। ভয়দল আসে, বিলকিস আসে। সবশেষে বিলকিস ওদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে, চুমু খায়। বিলকিস! অপূর্ব সুন্দরী বিলকিস!
১৭/১০/১৩
প্যানিক এ্যাটাক নেই। বিলকিসও আসছে না। কী হবে আমার? ভয় থেকে ভালোবাসার সেতু পার হচ্ছিলাম কেবল, এতে এত বিপত্তি! বিলকিসের প্রতি ভালোবাসার তীব্রতায় সব উড়ে যাচ্ছে। আসছে না কুচক্রী ভয় আর শুভানুধ্যায়ী যৌনতা। কী করব আমি? সিগারেট টানলে ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। গাঁজা সংশ্লিষ্ট ঐ ঘটনার পর ধোঁয়া জাতীয় যেকোন দ্রব্যই আমাকে আতঙ্কিত করে তুলতে পারে মাঝে মাঝে। তাই করবো নাকি? সিগারেট টানলে আমার নিঃশ্বাস ঘন হয়ে আসে, বুক কাঁপে, ভয় লাগে। এত রাতে সিগারেট পাবো কোথায়? বাবার ঘর থেকে একটা চুরি করে আনা যায়! আমি পা টিপে টিপে বাবার ঘরে গিয়ে পুরো এক প্যাকেট বেনসন নিয়ে আসি। বুক ভরে ধোঁয়া নিতে থাকি। ধোঁয়ার আড়াল পেয়ে উল্লসিত ভয়তন্ত্র তার সৈন্যবাহিনীকে পাঠায় সাদা সাপের ক্যামোফ্লেজে। আমার বুকে ধরাস ধরাস শব্দ হতে থাকে। চারিপাশের সবকিছু অবাস্তব মনে হয়। ভয় করে, খুব ভয়। বিলকিস, তুমি কোথায়? তুমি এসো। অনুভূতির গতিমুখ বদলে দাও! সাদা সাপটাকে মেরে ফেলো তোমার গোলাপী ব্রা খুলে পেঁচিয়ে ধরে। বিলকিস! অবশেষে আমি তোমার স্তন দেখলাম! তোমার অন্যান্য অঙ্গের মত এটাও নিখুঁত। তুমি নিখুঁততমা, তুমি মহোত্তর, তুমি দেবী, তুমি মহান ত্রাণকর্তা। তোমাকে আমি ভালোবাসবো, তোমাতে উপগত হবো, অবশেষে প্রণাম করবো। তারপর? বিসর্জন দেবো? দুর্গা দেবীকে যেমন করে ওরা ভাসিয়ে দেয়?
১৮/১০/১৩
নাহ বিলকিস, তুমি বড্ড বেড়ে গেছো। দেবীদের ধরে রাখা যায় না। তাদেরকে বিসর্জন দেয়াটাই নীতি। তুমি আমাকে এভাবে অধিগ্রহণ করতে পারো না। তোমার খোলাচুল উড়ে আমার মুখে পড়লে আমি বাজপাখির মত উড়াল দেই আকাশে, অনেক ওপর দিয়ে। তোমার ঠোঁট আমার ঠোঁটে স্পর্শ করলে ভেজা ভেজা অনুভূতিটা হাজার বৃষ্টিরাতের গানের সুর পাল্টে দেয়। তোমার চোখের দিকে তাকালে আমি দেখি শ্বাপদেরা দুর্বার গতিতে এগিয়ে আসছে আমাকে ছিন্নভিন্ন করবে বলে। তোমাকে আর সুন্দর হতে দেয়া যাবে না।
১৯/১০/১৩
পরশুদিন তোমার সাথে আমার কাউন্সেলিং সেশন। তার আগে শেষবারের মত থট ডায়েরিটায় কিছু লিখি। ওটার আর দরকার নেই আমার। তোমাকে আমি পেটাবো, ভীষণ পেটাবো। পিটিয়ে পিটিয়ে মুখ, চোখ, নাক থ্যাতলা করে দেবো। কেউ তোমাকে আর চুমু দেবে না, ভালোবাসবে না। তোমার চেহারা এতটাই বিকৃত করে দেবো যে নরকের অধিপতিও শিউরে উঠবে তোমাকে দেখে। আমার জীবন আমি নিয়ন্ত্রণ করবো। তুমি না। তাই তোমাকে সরে যেতে হবে আমার জীবন থেকে। তুমি সবকিছুতে খুব ফিটফাট, সিস্টেমেটিক। আমিও সেরকম হবার চেষ্টা করছি। তোমাকে সেই ভয়ংকর পিটুনিটা দেবো ২১ তারিখে। কাউন্সেলিং শেষ হবার পরে যখন তুমি বাসায় ফেরার জন্যে হাতিরপুলের সরু গলিটায় ঢুকে যাবে তখন। অস্ত্রপাতি ভালোই মজুদ আছে। চেইন স, জ্যাকহ্যামার, ছুরি, চাপাতি, চেহারা বিকৃত করে দেবার জন্যে এসিডও আছে। অবশ্য এসব সাথে নিয়ে আমি তোমার চেম্বারে যাবো না। কেন এমন করছি তার ব্যাখ্যাটা দিয়েছি, তারপরেও যদি মনঃপুত না হয় তাহলে শোন, প্যানিক এ্যাটাককে আমি জয় করেছি তোমার মাধ্যমে। আমার কাছে তীব্রতম ভয়ের অনুভূতি ছিলো সেটাই। এখন তুমি আমাতে গেড়ে বসেছো, তোমাকেও যদি এভাবে শেষ করে দিতে পারি তাহলে আমার জীবনে আর কোন বাধা থাকবে না। আমি হবো সমস্যামুক্ত অফুরান প্রাণশক্তির অধিকারী একজন মানুষ। দেখা হবে ২১ তারিখে। থট ডায়েরি পড়ে শেষ করার আগেই আমি চলে যাবো। সাবধানে থেকো না। ভবিতব্য মেনে নাও।
২০শে অক্টোবর আমি বেশ ফুরফুরে মেজাজে কাটালাম। বাজার করলাম। টবে পানি দিলাম। রান্নাঘরের কাজে সাহায্য করলাম। ছাদে উঠে মেয়েদের সাথে টাংকি মারলাম। বহুদিন এমন ভালো দিন কাটাই নি আমি। তবে এর চেয়েও ভালো দিন কাটবে কালকে...
-আর ইউ কমপ্লিটলি আউট অফ ইয়োর মাইন্ড? কী লিখেছেন এসব?
-ম্যাডাম, এটা হোমটাস্কের খাতা না। জটিল সাইকোলজ্যিকাল পর্যবেক্ষনের ব্যাপার। এখানে আমার মনে যা এসেছে তাই লিখেছি। সেইমত ব্যবস্থা নিন এখন।
-আমি ভাবতেও পারি নি যে কেউ এমন ভয়ংকর এবং কুৎসিত চিন্তা করতে পারে!
-এটা বললে তো হবে না! মানুষের মন নিয়ে আপনার কাজ। মনের অন্ধকার দিকগুলো আপনার চেয়ে আর কে ভালো জানে? আর আপনিই তো বলেছিলেন ক্রিয়েটিভ রাইটিং আমার ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক হবে। এখন আমার স্টিফ লাগছে। আপনি বরং নিঃশ্বাসের নতুন কোন ব্যায়াম করান।
বিলকিস মাথা ধরে থাকে। তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে বলে মনে হয় বুকের ওঠানামা দেখে। ঘামছে খুব।
-কাম অন বিলকিস ম্যাডাম! এত ঘাবড়ে গেলে চলবে? ক্রিয়েটিভ রাইটিংয়ের একটু ঝলক না হয় দেখালাম আপনাকে। এটা সত্যি ভেবে এমন ভয় পাচ্ছেন কেন?
বিলকিস বড় একটা শ্বাসের ঢেলা গেলে। চোখেমুখে স্পষ্টতই আতংক। কিছু একটা বলতে গিয়েও থেমে যায়।
-আপনার বোধ হয় প্যানিক এ্যাটাক হচ্ছে, না হলেও কাছাকাছি। রিলাক্স! নিঃশ্বাস নিন বুক ভরে, নেবার পর পাঁচ পর্যন্ত গুনুন। তারপর নিঃশ্বাস ছাড়তে থাকুন। ধীরে ধীরে। প্রতিটি প্রশ্বাসের সাথে মনে মনে বলুন আরাম... আরাম...আরাম...
বিলকিস আমার কথামত কাজ করে কিছুটা ধাতস্থ হয়।
-আমাকে আপনি আক্রমন করবেন না তো?
মৃদু হেসে আমি মাথা নাড়াই। যার নেতিবাচক বা ইতিবাচক দুই অর্থই ধরে নেয়া যায়!
মেয়েটা আসলে বোকা! এতকিছুর পরেও সেই হাতিরপুলের গলি দিয়েই যাচ্ছে শর্টকার্ট মারতে! ঈদের বন্ধে ওই এলাকাটা প্রায় ফাঁকা। আমার কর্ম সম্পাদনের জন্যে সরঞ্জামাদী হাতে নিয়ে অপেক্ষা করছে সহযোগীরা। আমি ওদের কাছ থেকে অস্ত্র আর এসিডের ব্যাগটা নিয়ে বিলকিসের দিকে এগুই...
*
আগামীকাল আমার কাউন্সেলিং সেশনের চতুর্থ সিটিং। বিলকিস বলেছে একটা থট ডায়েরি মেইনটেন করতে। আমি একটু মাতবরি করে ক্রিয়েটিভ রাইটিং এর প্রতি তার উৎসাহকে কাজে লাগিয়ে ওপরে উল্লেখিত বস্তু দাঁড় করিয়েছি। এতদিন ধরে যা লিখলাম বিলকিস তা পড়ে কী ভাববে? ভয়ের খোলস ছুড়ে ফেলা কোন কামুক উন্মাদ সাইকোপ্যাথের গহীন গোপন ইচ্ছার কথা, নাকি শুধুই লেখালেখি প্যানিক ডিজঅর্ডারকে এড়ানোর জন্যে?
বিলকিসের কথা আমি কী করে বলবো, আমি নিজেই কি তা জানি!
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওকে!
২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
কঠিনভাবে চমৎকার ||
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু মুন!
৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কঠিন এত দেখিএসিড মারা নিষ্ঠুর কাহিনী নাকি কল্পনা? সুন্দর। খুব ভাল লাগলো ।পোস্টে ২য় প্লাস।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। প্লাস কেমনে দেয়!
৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: ধুন্ধুমার কাহিনী হইছে হামা ভাই
একটানে পড়ছি , উপভোগের সব উপাদান আছে
প্লাস
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু। কেউ প্লাস দিতে পারে কেউ পারে না তা হবে না! বিচার চাই।
৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: ভাই একেবারে ভয় পাওয়ায় দিছেন ভাই!!
অনেক ভালো লাগলো যদিও প্যানিক অ্যাটাক কেন হয় একবার গাঁজা খেয়ে হয় কি না এগুলো আসলে আমার ভালো জানা নেই জানা থাকলে ভেরিফাই করে দিতাম সানন্দে।
থ্যাঙ্ক ইউ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: প্যানিক এ্যাটাক কেন হয় তার কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় নাই। রাসায়নিক দ্রব্যের প্রভাব, ভয়, দুর্ঘটনা, জীবনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন অনেক কিছুর কারণেই হতে পারে।
থ্যাংকস কেন?
৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
মামুন রশিদ বলেছেন: থট ডায়েরীর আইডিয়াটা চমৎকার । মুজাটা হলো, প্যানিক এটাক দুর করার জন্য পেশেন্টকে থট ডায়েরী রিকমেন্ডেশন করে ডাক্তার নিজেই প্যানিক এটাকে আক্রান্ত হয়ে গেছে
গাঁজা খেলে প্যানিক এটাক হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু জানিনা, তবে এটা বুঝি 'উড়ছি কেন, কেউ জানেনা' সিচুয়েশনে ভয় ডর থাকার কথা না । তবে ইমোশন এ্যামপ্লিফাই হয়- এটা ঠিক আছে । ঐ মুহূর্তের অনুভুতি, হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়া, কান্না উতলিয়ে উঠা, বকবক করা কিংবা মিউজিক শোনার সময় ড্রামের একটা বিট, বেইজের সলো, গিটারের স্ট্রিং বা সেতারের প্রতিটা টুনটুন আলাদা ভাবে শুনতে পাওয়া- এই অংশের বর্ণনাটা অসাধারণ হয়েছে ।
সেক্সুয়ালী অবসেসড দিয়ে প্যানিক ডিসঅর্ডার নিরাময়- অভিনব । হাহাহা...
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই। গাঁজাকে যতটা নিরীহ ভাবেন ততটা কিন্তু না। গাঁজার কারণে ভয়াবহ প্যানিক এ্যাটাক হতে পারে। তবে সাধারণত হয় না। গাঁজা সবাইকেই স্যুট করে যায়। থট ডায়েরির আইডিয়াটাও বাস্তব। কাউন্সেলররা এরকম কিছু রেফার করে বলে জানি।
শুভেচ্ছা।
৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ইন্টারেস্টিং।
প্যানিক নিয়ে বাক্যালাপগুলো খুব ধরছে।
পোস্ট শেষ করি এবার।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: শেষ না করেই মন্তব্য! আচ্ছা শেষ করো।
৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৭
দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: নিশ্চয় দারুণ হবে পোস্ট । একদম উপরের ছবিটা দেখে ডরাইছিলাম
গল্প রাতে পড়ব ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: রাতে পড়ার উপযুক্ত গল্পই বটে! শুভ জাগরন।
৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: 'গাঁজানুভূতি'তে আঘাত করায় তারা আমাকে একদিন চ্যালেঞ্জ করে বসে। 'গাঁজানুভূতি'
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! গাঁজাখোরদের অনুভূতি নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না!
১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪২
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: অসাধারন। এই ধরনের গল্পগুলো আমার খুব ভালো লাগে। গল্পের প্রতিটা লাইন মনে হয় শিহরিত হচ্ছে।
অনেক ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।
১১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১২
গোর্কি বলেছেন:
নিজের ইচ্ছা শক্তিটাই যথেষ্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। যতটুকু জানি সিদ্ধি সেবনে হিংস্রতা বহুলাংশে হ্রাস পায়। ভালো লেগেছে পড়ে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: সিদ্ধি জিনিসটা কী, কীভাবে বানায় কিসুই জানি না। কই যে পাই!
শুভেচ্ছা।
১২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩০
কালোপরী বলেছেন:
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।
১৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: বেশ বড় লেখা হলেও অনেক চিন্তাভাবনা ওঠানামা করেছে, আঁচড় কেটেছে।
ভালোলাগা।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন।
১৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমার প্লাসানুভূতি নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চেষ্ঠা সহ্য করা হবে না।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার প্লাস নাই, অনুভূতিও নাই!
১৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৪
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
প্রথমত প্যানিক সনন্ধেই আমার জ্ঞান ছিলো না।
পোস্টের প্রথম দিকটা তাই এই ভয়ঙ্কর বিষয়টি জানার।
থট ডায়ারি আইডিয়া দেখে প্রথম ভাবছিলাম, ঘোরগ্রস্ত কারো উপর এটা অ্যাপ্লাই করা যায়। কিন্তু পরে দেখা গেল, এতেও বিপদ আছে! বিলকিস ম্যাম যে পরিস্থিতিতে পড়ে গেলো।
এই গল্পের কিছু অংশ অদ্ভূত সুন্দর, যদি বাক্যগুলো শুধুও পড়ি।
আর গল্প হিসেবে? আপনার গল্প লেখার মুন্সিয়ানা বার বারই মুগ্ধ করছে।
দারুন, হাসান ভাই।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: থট ডায়েরি সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিংয়ের ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী। ভয় নাই, এমন বিপত্তি কদাচিৎ ঘটে।
অনেক ধন্যবাদ দূর্জয়!
১৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৯
অপু তানভীর বলেছেন: আমি কিছু কমু না
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: কেন কেন? কইতে অসুবিধা কোথায়!
১৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
আমি সাজিদ বলেছেন: অস্থির টুইস্ট।আমিও ভয় পেয়ে গেছিলাম।
হামা ভাই আরেকটা ক্লাসিক।অভিনন্দন।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাজিদ। শুভেচ্ছা।
১৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৮
আমি তুমি আমরা বলেছেন: চরম
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু!
১৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্যানিক অ্যাটাকে দুএকজনকে আক্রান্ত হতে দেখেছি, যদিও মৃগী/জিনের আসর/পাগলামি/বোবায় ধরা ইত্যাদি বলে তাঁদের এই সমস্যা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজ জানতে পারলাম অনেকটা। আগ্রহ জন্মাল।
ক্রিয়েটিভ রাইটিং বটে! মূল চরিত্র নিজেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে- আরেকজন মানুষ তাকে কি বলে ভাবতে পারে সেটা জানতে। দারুণ একটা পয়েন্টে গল্পের সমাপ্তি।
ভালো লেগেছে গল্প। শুভরাত্রি হাসান।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রফেসর। শুভরাত্রি।
২০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৮
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বিষয় বস্তুটি অভিনব! গাজার ভয়ানক প্যানিক থেকে মুক্তি পেতে সেক্সুয়াল প্যানিকের ভাবনা!
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অভি। শুভেচ্ছা।
২১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৫৩
অনাহূত বলেছেন: প্রথমতঃ হাসান ভাই, আপনার লেখার ভঙ্গিতে পরিবর্তনটা লক্ষণীয়। ইদানীং এভাবেই লিখছেন। ব্যাপারটা উপভোগ করছি। ঘোরময়তার তীব্রতা কিছুটা কমলেও গল্পের আনকমন কনসেপ্ট, বর্ণনার ষ্ট্রেংথ একটুও কমে যায়নি। হাসান ভাই বলে কথা।
গল্প নিয়ে আর কি বলবো। একটানে পড়ে ফেললাম। আপনি একজন চমৎকার কথা সাহিত্যিক। এটুকু বুঝতে পারি, যখন পড়া শুরু করলে আর থামা যায় না।
আর নিখুঁত বর্ণনার ব্যপারে নিজের সাথে আপনাকে কখনো আপোস করতে দেখিনি। কে কি ভাবলো, সেটা কেয়ার না করে অকপটে লিখে যাওয়ার ক্ষমতা সবার থাকে না। আপনার আছে। ভালো থাকেন হাসান ভাই।
[অ:ট: সরি, কথা না রাখতে পারার জন্য]
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখালেখির প্রথম ভাগে এক্সপেরিমেন্ট বেশি করতাম। অনেক দুর্বোধ্যতা থাকতো। সময়ের সাথে সাথে এসব থিতিয়ে আসে। এখন পাঠকের কাছাকাছি আসতে ভালো লাগে। তুমি তো আমাকে চার বছরের বেশি সময় ধরে দেখছো। তাই তোমার মূল্যায়নটা খুব গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে।
থেংকু।
অট-পরে কথা হবে।
২২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৪৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গল্পটা পড়ে ভালবাসা এডিকশন মনে হচ্ছে। ভালবাসার মানুষকে কোন সুস্থমানুষ এসিড এটাক করতে পারে না। যারা করে তারা বিকৃত মনের ভালবাসে। ভালবাসার মানুষটার জন্য সব করা যায়। তবে গাজা খুড়ের আবার ভালবাসা। প্রেমে মানুষ উন্মাদ হয়।কিন্তু উন্মাদ কি আর কখনো প্রেমিক হতে পারে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: সবাই প্রেমিক হতে পারে।
২৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:১৪
নস্টালজিক বলেছেন: দারুন লাগছিলো পড়তে, সিমপ্লি সুপার্ব আনলেস ইট বিকেম বিলকিসময়!
লেখার প্লটের এই জাম্পটা ভালো লাগে নাই! কিন্তু আবারও বলি ১৪/১০ আসার আগ পর্যন্ত এক নিঃশ্বাসে পড়ে গেলাম!
গুড শট, বাডি!
ঈদ মুবারাক!
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: বিলকিসের প্রতি গভীর অবসেশনটাই তো লেখার মূল ব্যাপার। এটা ছাড়া, ওভাবে না লিখে আসলে পারা যেতো না।
ঈদ মুবারক!
২৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩০
বৃতি বলেছেন: উন্মাদ সাইকোপ্যাথের গল্প যদিও আমার কাছে সবসময় ভয়ংকর মনে হয়, আপনার লেখার মুন্সিয়ানার ক্রেডিট দিতেই হবে । ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বৃতি। শুভেচ্ছা আপনার জন্যেও।
২৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩
ইলুসন বলেছেন: অনেকে মনে করে সাইক্রিয়াটিস্ট বা সাইকোলোজিক্যাল কাউন্সিলরদের ভড়কে দেয়া যায়। কিছু মানুষের উদ্দেশ্যই থাকে অদ্ভুত কিছু বলে যদি ভড়কে দেয়া যায়। ব্যাপারটা আসলে সেরকম ঘটেনা যদিনা তিনি এই লাইনে নতুন কেউ হন। অসংখ্য কেইস দেখতে দেখতে তারা এসবে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। সব কিছু স্বাভাবিক ভাবেই নিতে পারেন। পেসেন্ট হয়ত ভাবে ডাক্তারকে ভড়কে দেয়া গেছে। আর ডাক্তার মনে মনে হাসে, আহারে! বেচারা আমাকে ভড়কে দিতে চাইছে, তার সাথে একটু ভয় পাবার অভিনয় করলে কেমন হয়? আপনার লিখালিখির পরিমাণ আগের থেকে বেড়েছে। গত দুইমাসে ৫টা করে পোস্ট দিয়েছেন। ব্যাপারটা উপভোগ করছি।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: তা অবশ্য ঠিক। তবে গল্পের বিলকিস এর বয়েস তো বেশ কম, আর কথকের ইচ্ছাটা ঠিক ভড়কে দেয়া না সে হয়তোবা সত্যিই সেটা মিন করেছিলো। তবে বিলকিস ভয় পেয়েছিলো কি পায়নি তা আমরা জানি না। কারণ পুরো গল্পটাই আসলে একটা থট ডায়েরি। আসল গল্প শুরু হবে যেখান থেকে সেখানেই আমি শেষ করে দিয়েছি!
শুভেচ্ছা।
২৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭
শ্যামল জাহির বলেছেন: আইডিয়া চরম!
ঈদ শুভেচ্ছ।।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
২৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
তওসীফ সাদাত বলেছেন: ভালো লেগেছে। বেশ ভালো লেগেছে।
"[si[]আমি ভাবতেও পারি নি যে কেউ এমন ভয়ংকর এবং কুৎসিত চিন্তা করতে পারে/si]!"
এর দ্বারা তো বিলকিস কে অনেক নভিশ একজন সাইক্রিয়াটিস্ট মনে হয়।
অবশ্য যেহেতু মানুষ মন থেকে যেটা চাচ্ছে, কোন কাজে, সে দিকে টান একটু বেশিই কাজ করে। এর জন্যই হয়তো বা বিলকিস কে তার কাছে পারফেক্ট মনে হয়েছিল সাইকোথেরাপি গ্রহণ করার জন্য।
আমার কথায় আমিই উত্তর দিলাম ! কিছু মনে করবেন না হা_মা ভাই। আমার এরকম করতে ভালো লাগে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি একটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ধরেছেন। আমার কল্পনাতে বিলকিস ওরকমই ছিলো। কমবয়েসী এবং নতুন। কিন্তু গল্পে সেটা বিস্তারিত বলতে ভুলে গিয়েছি। পরে কোন একসময় ঠিক করে নেবো। এরকম সমালোচনা খুব কাজে লাগে। নিঃশঙ্কোচে করবেন।
শুভেচ্ছা।
২৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
শাওণ_পাগলা বলেছেন: প্যানিক ডিজঅর্ডার নিয়ে গল্প মনযোগ দিয়ে পড়লাম। গল্প পছন্দ হয়েছে।
প্যানিক অ্যাটাকের সময়কার অনুভূতির বর্ণনা নিখুঁত। ভালো থাকবেন হামা ভাই।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শাওন। শুভেচ্ছা।
২৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৬
কালীদাস বলেছেন: থিমটা ইন্টারেস্টিং, হাসান ভাই! ভাল লাগছে
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু ব্রো। শুভ ঈদ।
৩০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: কি ভয়ংকর হতে পারে প্যানিক ডিজঅর্ডার !! এক নিঃশ্বাসে শেষ করলাম । দুর্দান্ত লেখা আপনার ভাইয়া ! ++++++++++++
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তিতির। ভালো থাকবেন।
৩১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৫
ইনকগনিটো বলেছেন: মে বি দি পারসন ইজ লিভিং টু লাইফ ইন্সাইড। এটা বলছি কারণ, প্যানিক এটাক- ইনহিবিটরি, আর সেক্সুয়াল এগ্রেসিভ বিহেভিয়ার গাঁজার দুই মেরুর দুই সাইড এফেক্ট। একসাথে কাজ করে না।
তবু গল্পের খাতিরে যে কোন কিছুই মেনে নেওয়া যায়। আফটার অল, এনি্থিং ক্যান হ্যাপেন ইন দিজ হ্যাভেন এন্ড আর্থ।
গল্পের প্রেজেন্টেশনটা খুব সুন্দর।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আজকাইলকার পুলাপাইন এত বেশি বুঝে কেনু কেনু কেনু?
৩২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৬
জিএম শুভ বলেছেন: বর্ননার ভাষাটা দারুন লাগলো…এবং অবশ্যই গল্পটা সুন্দর বিশেষ করে গল্পের আইডিয়াটা
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ। শুভরাত্রি।
৩৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৮
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: খুব এনজয় করছি গপটা!
থট ডায়েরি লেখা শুরুর আগের অংশটা একরকম ঘোরের এগুচ্ছিল, ডায়েরি লেখা শুরুর সাথে সাথে গপের মোড় ঘুরে গেল, ঘোরের ধরণটাও বদলে গেল।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস! শুভেচ্ছা।
৩৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১০
না পারভীন বলেছেন: পবিত্র ঈদুল আযহার ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক আপনার জীবণ --- ঈদ মোবারক হামা
গল্পটি পড়বো মনে হচ্ছে ইন্টারেস্টিং ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা আপা।
আমন্ত্রণ রইলো পড়ার।
৩৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার লেখার এই বিশেষ স্টাইলটাই আমাকে দারুন মোহিত করে।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুনে আনন্দিত হলাম। ভালো থাকবেন।
৩৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৮
অচিন্ত্য বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
++++++++++++++++++++++++++++++
ভয়ের ইমেজ হিসেবে মাকড়শা'র জাল বোনা দারুণ হয়েছে। গাঁজানুভূতিতে আঘাত- ওহ ইউ আর রিয়েলি হিউম্যারাস।
হাহ হাহ, আমারও হাসাহাসির স্মৃতি মনে পড়ে গেল। সেদিন অঞ্জন দত্তের কাঞ্চন জঙ্ঘা গানটা বাজছিল। একেবারে পাহাড়ের তরতাজা হাওয়া যেন ঘরে উঠে এসেছিল। ইয়েস, ইট'স আ টেরিফিক অ্যামপ্লিফায়ার। এই কথাটা আমি বহুবার বন্ধুদেরকে বলেছি। হাসান ভাই, জানেন আমি ঠিক প্যানিক ডিসঅর্ডার না হলেও এক জটিল মানসিক অস্বস্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। তারপর নিজে নিজে রফা করে এই চ্যাপ্টারের দ্যা এন্ড।
যাক। গল্পে ফিরে আসি। আমার কপালে না বলে বলা হয়েছে আমার শরীরের কপালে। ইন্টারেসটিং। আর হ্যাঁ, বর্ণনাটাতে অ্যাক্টিভ-প্যাসিভ পোলারিটি যেভাবে উলটে গেল, তা যদি আরো সামনে চলতে পারত তাহলে মনে হয় আবার উলটে গিয়ে একটা চক্রে পরিণত হতে পারত। অর্থাৎ, যেভাবে চলছিল সেভাবে চলতে দিলে এমন হতে পারত যে বিলকিস এক সময় একটা থট ডায়েরি মেন্টেইন করছে। সেই ডায়েরি আরো ভয়াবহ। সেটা এক সময় গল্পের কথককে আবার আতঙ্কিত করে তুলল। হাহ হাহ আমিও কি বেশি ক্রিয়েটিভ হয়ে যাচ্ছি নাকি ? যাই একটু ধূমপান করি।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটা তোমার কেমন লাগবে তা নিয়ে বিশেষ আগ্রহ ছিলো। যেহেতু আগে থেকে কাহিনী জানতে, প্রত্যাশা পূরণ হলো কী না সেটা একটা বড় ব্যাপার আমার কাছে। তাই তোমার ভালো লাগায় আমি দারুণ আনন্দিত।
তুমি যেভাবে কাহিনীর নতুন সুত্র ধরিয়ে দিলে তাতে তো এটা উপন্যাস করা যেতে পারে মনে হচ্ছে! সত্যিই ক্রিয়েটিভ চিন্তা। তবে এত বড় পরিসরে লেখার ইচ্ছা নেই আপাতত।
শুভেচ্ছা।
৩৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
শায়মা বলেছেন: প্রতিফলনকে এ্যড করে দিয়েছি আমার পোস্টে!!
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভালো করেছেন শায়মান্টি বেইবি
৩৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
টুম্পা মনি বলেছেন: গল্পটা ঈদের পরে পড়ব। কেমন? আপাতত ঈদ মোবারক।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঈদ মুবারক ব্যস্ত টুম্পামনি।
৩৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: পড়লুম কুইন (কিং নয়) সাইজের , ভাল লাগলো।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে কিং সাইজের শুভেচ্ছা।
৪০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০
দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: ঈদ মোবারক ভাই । আপনার ঈদ ভালো কাটুক ।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ ঈদ।
৪১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮
রিমঝিম বর্ষা বলেছেন:
ভীষণ ভালো লেগেছে। থট ডায়েরীর ব্যাপারটাও দারুন। শুধু প্যানিক এ্যাটাকের বেলায় কেন....অন্য ক্ষেত্রেওতো কাজে লাগানো যায়...আমার মনে হচ্ছে তাই। করে দেখবো। অস্থিরতা কাটানোর জন্য বুক ভরে নিশ্বাস নেয়া....তারপর পাঁচ পর্যন্ত গোনা...প্রতিটি প্রশ্বাসের সাথে আরাম..আরাম..আরাম........এটাও মনে হয় কাজে দেবে। হাহহাহাহা........তোমার লেখাটা উপকারেই এলো বলে মনে হচ্ছে।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: এগুলা কিন্তু আমার বানানো না। তুমি বিলকিস বানুর সাথে যোগাযোগ করলেই জানতে পারবা বিস্তারিত!
৪২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,
ক্রিয়েটিভ থট ।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস! ভালো থাকবেন।
৪৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০২
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: ওরে খোদা!!আর একটু হইলে হার্ট অ্যাটাক করতাম। লাস্ট পর্যন্ত খুন
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: একটু রহস্য করা হলো আর কী কন্যা! ব্যাপার না।
৪৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৮
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: নাহ! এটা প্রায় নিখুঁত, মানতেই হবে। ১০০ তে ৬০ দিলাম! অসাধারণ টপিক, থিম, বর্ননা।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রায় নিখুঁত তারপরেও ১০০তে ৬০! স্যার আপনার ছাত্রদের জন্যে সমবেদনা!
৪৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩৪
নোমান নমি বলেছেন: শেষে এসে বুঝলাম যে প্যানিক এটাক থেকে মুক্তি পাওয়ার সময়টা এত দ্রুত করেছেন কেন। আমার মনে হচ্ছিলো হামা ভাই এইটা এত দ্রুত শেষ করতেছে ক্যান?
শেষে এসে বাকিটা বুঝলাম। ভালো লাগছে। তবে কি রকম জানি কিছু একটা আশা করছিলাম। ফিনিশিংটা খুব বেশী ভাল্লাগেনাই।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ফিনিশিংটা কারো খুব ভালো লাগসে, কারো ভালো লাগে নাই। এসব ক্ষেত্রে আমি সাধারণত কনফিউজড থাকি। তবে লেখা ভালো না খারাপ হৈসে জানি না, লিখা মজা পাইসি
৪৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
নোমান নমি বলেছেন: আপনার কনফিউজড হবার কারণ নাই। আমিতো পাঠক। লেখা খারাপ ভাল হইছে এইটা জাইনা কি করবেন? আপনার লেখা ভাল কিংবা খারাপ এর অবস্থান পার কইরা আসছেন
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: নাহ। ভালো আর খারাপের শেষ বলে কিছু নাই।
৪৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৫
টুম্পা মনি বলেছেন:
ভাল্লাগ্লো। বর্ণনা ভঙ্গী অসাধারণ। তবে গল্পে ১৮ পিলাস কথা বার্তা খুব বেশি হলে আমার কেমন যেন ঘেন্না ঘেন্না লাগে। অবশ্য অনেকে আবার পছন্দও করেন! যার যার ব্যক্তিগত পছন্দ। আসলে সবার রুচির সাথে তাল মিলিয়ে গল্প লেখা আসলেই কঠিন। তাই লেখকের নিজের স্যাটিস্ফেকশন থাকাটাই অনেক বড় প্রাপ্তি। পরিশেষে আপনার লেখার হাত চমৎকার। গড গিফেটেড প্রতিভা। শুভেচ্ছা জানবেন।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু টুম্পামনি। ১৮+ কথাবার্তা গল্পের প্রয়োজনেই এসেছে। আরোপিত হলে আমার নিজেরও ভালো লাগে না।
শুভদুপুর।
৪৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৬
টুম্পা মনি বলেছেন: আমার মন্তব্যটা পচা হইসে কি? ভালো না লাগলে মুছে দিয়েন। পরে এসে আরেক মন্তব্য করে যাবো।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: পচা হবে কেন! আপনার মত করে আপনি বলছেন। সব প্রতিক্রিয়াই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
৪৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: তুমি একজন দারুন গল্পকার হাসান, বিশেষ করে এই ধরনের প্রেক্ষিত নিয়ে বাংলা সাহিত্যে খুব কম গল্পকারই সার্থক ভাবে গল্প লিখেছেন!
ব্লগ ছেড়ে ছাপার অক্ষরে আশো ভাই!
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আসবো একদিন নিশ্চয়ই! তবে সেজন্যে সময় দরকার রেজুপা। আমার মত আইলসাকে দিয়ে আসলে কিছু আশা করাই ভুল!
৫০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:০৫
শান্তির দেবদূত বলেছেন: খাইছে ! কি লিখছে এটা! আরেকটু হলে তো আমিই প্যানিক এটাকে পড়ে যেতাম!! দুর্দান্ত।
গাজার অনুভূতিটা ঠিকই তুলে ধরেছ। আমি হলে প্রায়ই খেতাম, একবার তো আমার রুমে বসে, পরের রুম ডিঙ্গিয়ে তার পরের রুমের কথা বার্তা স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছিলাম। জিনিস একটা! অনুভূতি চরম সার্প করে দেয়।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু ভাইয়া। গাঁগা খাইলে আসলেই ওরকম হয়। তবে আমি নিতে পারি নাই সেটা। ভাগ্যিস!
৫১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
ওমর এন সোহান বলেছেন: লেখার দৈর্ঘ্য-প্রস্থ ভাল হয়েছে, প্রথম প্যারাটা ভালমত পড়তে পেরেছি, বিষয়বস্তু ভাল...
এটা যদি পরিক্ষার প্রশ্নের উত্তর হতো, লেখা মূল্যায়ন করতে গিয়ে স্যার ঘুমিয়ে পড়তেন, কিংবা বিরক্ত হয়ে পুরো নাম্বারই দিয়ে দিতেন..!!
যে যা-ই হোক, লেখাটা খুঁটিনাটি পড়তে সময় লাগবে । সময় করে পড়ে ফেলবো, আশা করছি ভালই হবে । বাকিটা পড়ার পর জানাবো ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার আরেকটি মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম। শুভেচ্ছা।
৫২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পটা ভালো লেগেছে পড়তে।
বিলকিস ম্যাডামের থট ডায়েরী বুমেরাং এর মতোই লাগলো, যদিও সেটা কাজে পরিণত হয়নি শেষ পর্যন্ত। তবে হলে কী হতো কে জানে !
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: মনে হয় না বুমেরাং হতো! বিলকিস ম্যাডামরা কঠিন চিজ হয়!
৫৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:
আগ্রহ বোধ করছি। লেখাটা খুঁটিনাটি পড়তে সময় লাগবে । সময় করে পড়ে ফেলবো। আমি জানি ভালই হবে । তাই আগেই +++++
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ! পড়ে কমেন্ট দিলে আরো ভালো হতো।
শুভসন্ধ্যা।
৫৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: ৬০ দিয়েইতো মনটা খুত খুত করছে বেশি দিয়ে ফেললাম নাকি? ৫৭ বা ৫৮ হলে কি ভালো হতো
গল্প আসলেই ভালো হয়েছে, প্যানিক অ্যাটাকের বিষয়টা তোমার মত ননমেডিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ডের লেখক চমৎকারভাবে তুলে ধরেছো। টেকনিক্যালি আমি কোন দূর্বলতা খুঁজে পাইনি।
সত্যি চমৎকার হয়েছে।
গাঁজা বিষয়ে ইন্টারেস্টিং কথা বলিঃ অন্য অনেক ডিপেন্ডেসি ক্রিয়েট করে এমন সাবস্টান্স বা নেশা জাতিয় দ্রব্যের ভেতর গাঁজার এডিক্টিভ পাওয়ার অনেক কম! কম বলতে আসলেই বেশ কম। এর চেয়ে সিগেরেট অনেক বেশি এডিক্টিভ এবং সিগেরেট থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন প্লাস সিগেরেট ক্ষতিকরও বেশি। বেনজোর কথাতো আগের গল্পে বলেছি। তবে এর ইউফোরিয়া সৃষ্টি করার ক্ষমতা সম্ভবত বেশি!
কিছু দেশে মারিজুয়ানা থেরাপিউটিক পারপাসে ব্যবহার করা হয়, অনেক দেশেই এটা লিগ্যাল সাবস্টান্স। ক্যানাবিস নিয়ে আমার জানামতে বিস্তর গবেষণা হচ্ছে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: সম্ভবত আমস্টাডার্মে গাঁজা বৈধ। ক্যানিবাস নিয়ে গবেষণা করতে থাকো। তয় আমারে সাধবা না!
৫৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৭
অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:
পড়লাম। মাথা ঝিম ঝিম করছে। +++......
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ ঝিমানি। শুভরাত।
৫৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৮
ভিয়েনাস বলেছেন: থট ডায়েরিটা বিলকিসের জন্য কঠিন হয়ে গেল। আসলেই তো বিলকিস এখন থট ডায়েরিটা কিভাবে নিবে?? পাঠকের ভাবনার খোরাক হয়ে থাকলো...
থট ডায়েরিটা অভিনব হয়েছে।একটানে পড়ে ফেললাম।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভিয়েনাস। শুভসকাল।
৫৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২২
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: হা হা হা!! আমাদের দেশে গাঁজা কন্ট্রোলড সাবস্টান্সের ভেতর পরে, তাই এটা নিয়ে গবেষণা করতে গেলে হ্যাপা আছে।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাপা না পোহালে হ্যাপি হওয়া যাবে না :-<
৫৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২০
প্যাপিলন বলেছেন: বিলকিসের ওপর প্রত্যাশিত আক্রমন অপ্রত্যাশিতভাবে পাল্টে যাওয়ায় হতাশ হইলাম .......হাতিরপুলের কোন গলিতে আক্রমনের প্ল্যান ছিল??
অনেকদিন জায়গামতো প্লাস দিতে পারছিনা তাই বিকল্প দিয়া গেলাম +++++
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: কেন? বিলকিসের ওপর কিসের রাগ! হাতিরপুলের কোন গলি জানি না। এলাকাটা ভালোভাবে চেনা নাই।
থিংকু পড়ার জন্যে।
৫৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার গল্প পড়তে আস্লাম ভাইয়া!
গল্প নিয়ে কিছু বলার নেই। সাইকো গল্প পছন্দ করি আর এই গল্পটা অসাম লেগেছে!
আচ্ছা সাইকো গল্প লিখতে কি সাইকো হতে হয়? সাইকোর সাইকি না বুঝে কি লিখা সম্ভব?
সাইকো গল্পটা পড়ে হেভি মজা পাইসি! সে এখন কি করতে যাচ্ছে চিন্তা করে দৃশ্যটা যেন চোখের সামনে চলে এলো!
বিলকিস মেয়েটার প্যানিক এটাকের জায়গাটা আরো ভয়াবহ হবে ভেবেছিলাম! পরের যে অংশটুকু শেষ হয়েও হয়নি সেটুকু মন মতো ভয়াবহ বানিয়ে নিলাম।
শুভ সন্ধ্যা!
২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু সিজেল। লেখকের কল্পনাশক্তি কখনও তাকে খুনী, কখনও ধর্ষক কখনও সাইকো করে তোলে। তাকে বাস্তব জীবনে অমন হতে হবে না। আর চারিপাশে এসব উপকরণের তো অভাব নাই!
৬০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি ছিলাম। ইচ্ছে করেই এবার চেষ্টা করেছি ছুটির পুরো সময় পরিবারকেই দিতে। তাই হাতের কাছে এই ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশের কোন ভালো ব্যবস্থা রাখি নি। কিন্তু নেশা বলে কথা! মোবাইল দিয়ে ঢুঁ মারার সময় আপনার এই লেখাটা চোখে পড়ল। তাই গল্পটা আগে পড়া হলেও মন্তব্য করতে পারি নি।
দারুন একটা প্লট। বিশেষ করে মানসিক সমস্যার ব্যাপারটি খুব দারুন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ভালো করে না পড়লে বুঝা যাবে না যে, সামগ্রিক ঘটনাই একটা চিন্তা মাত্র।
আমার একটা থট ডায়রী দরকার!!
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাভা। আপনার মন্তব্যের প্রত্যাশায় ছিলাম।
৬১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৬
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: গাঁজার প্রভাব থেকে প্যানিক এটাকের বর্ণনা বেশ ভালো। তয় প্যানিক এটাকের সময় মাথায় যে জিনিস আসে, ঐ চিন্তাই ফিক্সড হয়ে যায় আর সময় খুব স্লো হয়ে যায়, বিরাট পেইনফুল।
লেখা মজা লাগছে
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ইমোর বহর দেইখা মনে হৈতাছে যে রসরচনা লেখসি
৬২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
নীরব 009 বলেছেন: কাউন্সেলিং এর সময়কার আলোচনাগুলো ভাল লেগেছে।
গল্পে প্লাস
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নীরব!
৬৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
নীরব 009 বলেছেন: 'ভাল লেগেছে' কাজ করে না কেন? লোড হতেই থাকে, হতেই থাকে...
ফিলিং দুঃখিত
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: এতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
৬৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৩
অদৃশ্য বলেছেন:
হাসান ভাই
লিখাটি আমার দারুন লাগলো... গাঁজাতে প্যানিক এ্যটাক হয়... হ্যাঁ, নতুনদের ক্ষেত্রেই সেটার সুত্রপাত বেশিরভাগ... তবে যারা রেগুলার গাঁজা খায় তারাও এই এ্যটাকের মাঝে পড়ে থাকে... আবার যারা গাঁজা খাওয়া ছেড়ে দিয়ে অনেকদিন বাদে তা আবার সেবন করেন তাদেরও এমনটা হতে পারে... না না, ডাক্তারি করছি না... চোখের দেখা বা অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি...
সাইকো থট ডায়েরি লিখাটা খুব ভালো লাগলো...
শুভকামনা...
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অদৃশ্য। ভালো থাকবেন।
৬৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩৭
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
১৯ শে অক্টোবরএর ডায়েরীতে বলা হচ্ছিল পরশু কাউন্সেলিং হবে কিন্তু ২০শে অক্টোবর যেভাবে লেখা স্টার্ট হয়েছে মনে হল বুঝি ২১ তারিখ চলে আসছে। আমি ভাবলাম বেটা সাইকো! গলি দিয়ে যাওয়ার সময় সত্যি সত্যি বুঝি বিলকিসকে... কিন্তু একটু পরেই বুঝলাম ঐটা ডায়েরীর লেখা ছিল!! টুইস্টটা সিরিয়াসলি ভাল হইছে!
হামা ভাই, আপনার কাছে এই রকম গল্প বেশি বেশি আশা করি। শুধু গল্পের জন্য বিলকিস নামটা একটু বেমানানা মনে হল। তাছাড়া পুরো গল্পে ভাল লাগার অসংখ্য উপকরন খুঁজে পেলাম।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও চাই তোমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে। কিন্তু এরকম থিম খুব বেশি মাথায় আসে না।
থ্যাংক্স নাজিম।
৬৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
অর্ক হাসনাত কুয়েটিয়ান বলেছেন: "কী লিখেছেন এসব?" বিল্কিসের মুখে এরকম কথা শুনেই খটকা লাগসিল, মেন্টাল ডিসওর্ডারের পেশেন্টের থট ডায়রীর কন্টেন্টে কিছু ডিসওর্ডার থাকাই স্বাভাবিক এতে আমরা চমকালেও একজন স্পেশালিস্টের এতে চমকানোর কিছু নাই।
পরে বুঝলাম না এইটা আসলেই তার রিয়াকশন না।
গল্পটা দারুণ লাগল।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু! অনেকদিন পর দেখলাম। ভালা থাইকো।
৬৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
মাক্স বলেছেন: প্লাস না দিলে মনে হয় ঠকাইতেসি তাই আপনার গল্পে ইদানিং মন্তব্যও করা হয় না!
পড়সি কিন্তু সবগুলাই
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: প্লাসের কথা তো ভুইলাই গেসি। ঐটা আবার কী জিনিস? পড়বেন এবং মন্তব্য করবেন এটাই চাওয়া।
৬৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: মামুন রশিদ ভাইয়ের লিঙ্ক পেয়ে চলে এলাম। সময়ের অভাবে সুন্দর সুন্দর লেখাগুলো মিস হয়ে যায়।
অনেক শুভকামনা রইল।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার লেখাও মিস হয়ে গেছে আমার। পড়ে ফেলবো। লিখতে থাকুন। শুভেচ্ছা।
৬৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
মারুফ মুকতাদীর বলেছেন: কয়েকদিন আগে বিকেলের আড্ডায় এই গল্পটার কথা বলেছিল এক ফ্রেন্ড, বাট ওর গল্পের নাম, লেখকের নাম কিছুই মনে ছিল না। আজকে আপনার ব্লগে ঢুকে পড়তে গিয়ে দেখি আপনার, দারুণ লাগলো।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস মারুফ। আপনার ফ্রেন্ডকেও ধন্যবাদ।
৭০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: আমার অনেক পছন্দের একটা গল্প!
একরাশ ভালো লাগা!
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভদুপুর।
৭১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩
হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: অশ্লিল ।
ভাল ছিল টুইস্ট এবং গল্পটা ।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। অশ্লীলতা মাঝেমধ্যে খারাপ না!
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
এইবার পড়ি।