নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন প্রতিশ্রুতিশীল খুনীর স্বীকারোক্তি

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৬



তাদের নিস্পন্দ দেহ থেকে রক্ত আর অশ্রূর নোনা গন্ধ ভেসে আসছে। তাদের কৃতকর্মের দলিল হিসেবে দেহের আনাচে কানাচে ক্ষত আর আঘাতের ভূগোল। উপড়ে নেয়া চোখের ফাঁকা কুঠুরী থেকে বাজছে শোধশঙ্খের মন্দ্র সুর। জিহবার খন্ডিত অংশে রক্ত আর লালা জমে যেন স্বাক্ষী দিচ্ছে পাপ এবং প্রায়শ্চিত্তের। পৃথিবীটা এখনও দানবদের ক্রীড়াক্ষেত্র হয়ে ওঠেনি। তাই তারা যখন পাপের দস্তানা পরিধান করে স্বর্গের পাখিদের গলা চেপে ধরে, তারা ডানা ঝাপটাতে থাকে অসহায়, অতঃপর পড়ে থাকে নিথর, কিংবা যখন তারা আমাদের রূপকথার নদীতে প্রস্রাব করে দূষিত করে, মেরে ফেলে উচ্ছল জলরাশিকে, তখন হত্যাকান্ডের শিকার হওয়াই তাদের জন্যে প্রকৃত ন্যায়বিচার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অবশ্য ন্যায়কর্মটি ঘটে না, তবে এক্ষেত্রে ঘটেছে। পাপলালসায় পাগলপারা দুই নরনারীকে খুন করেছি আমি। আমি একজন সৎ এবং গর্বিত খুনী। সমাজের চোখেও আমি বিশেষ সম্মানের আসনেই অধিষ্টিত হবো। শুধু অন্ধ, গোঁয়ার আইনের রক্তচক্ষুই যা সমস্যা। তাই তাদের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে লাশদুটোর যথাযথ ব্যবস্থা করা দরকার। খামোখা কেন নিষ্ঠুর, লোভী পেশাদার খুনীদের সাথে এক কামরায় থাকা? আমি বৈষয়িক কারণে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বা লোভের বশে খুন করি নি। আমি ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্যে খুন করেছি। পাপের শাস্তি দিয়েছি তাদেরকে। এর জন্যে আমি সমাজের তৈরি জড়ভরত আইনের শিকার হতে রাজী নই, আর যদি তা হতেও হয়, মানুষজন যেন আমাকে ভুল না বোঝে, একজন মহান ন্যায়বিচারক হিসেবে দেখে, এটাই আমার চাওয়া।



আমার নাম আলম। খুব সাধারণ একটা জীবন আমার। সাধারণ চিন্তাভাবনা। আমার আশেপাশের ঝলমলে ছেলেমেয়েরা কতকিছু করে বেড়ায়! ছবি আঁকে, গান গায়, রাজপথে মিছিল করে, পুলিশের বাড়ি খায়, শীতের সময় চারশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে যায় শীতবস্ত্র নিয়ে। আমি এসব কিছুই করি না। এ নিয়ে বেশ একটা হতাশা আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিলো। কিন্তু এখন আর এসবের কিছুই অবশিষ্ট নেই। আমার সাধারণ জীবন এখন আর মোটেও হেলাফেলা করার মতো না। আমি তাদের কাতারে, কিংবা বলা যায় তাদের চেয়েও কয়েক পা এগিয়ে গেছি দুটো হত্যাকান্ডের মাধ্যমে। এখন আমি আর স্রেফ ভীড়ের মধ্যে মিশে যাওয়া আনস্মার্ট একটা ছেলে না। আমার মধ্যেও গর্ব করার মতো ব্যাপার আছে। কারেন্টের বিল দিতে গিয়ে ব্যাংকের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর সময় পেছন থেকে কেউ অযথা ধাক্কাধাক্কি করলে আমি শীতল দৃষ্টি হেনে তাদেরকে সাবধান করে দিতে পারি। আমি খুন করেছি এক রক্তপিপাসু নিষ্ঠুর দম্পতিকে। যারা তাদের এগার বছর বয়সের কাজের মেয়েটাকে খুন্তির ছ্যাকা দিতো, গরম পানি ঢেলে দিতো গায়ে, তার স্পর্শকাতর অঙ্গে (হায় এই বয়সের আবার স্পর্শকাতরতা!) গৃহস্বামী আদরের নামে তার লালসা মেটাতো, আর গৃহকর্ত্রী তা দেখেও না দেখার ভান করতো।



তারা সম্পর্কে আমার খালা-খালু। আমার সাথে তাদের আচরণ অবশ্য যথেষ্টই হৃদ্যতাপূর্ণ। খুনের পরিকল্পনা মাথায় আসার আগ পর্যন্ত আমি তাদেরকে সুখী, সজ্জন, সচ্ছল জনগোষ্ঠীর আলোকিত অংশ ভাবতাম। তাদের বাসায় নিয়মিত যাওয়া আসা ছিলো আমার। পানাহার এবং মনোরঞ্জক বস্তু দিয়ে আমাদের সময় কাটতো ভালোই। গোল বাঁধলো নতুন কাজের মেয়েটি বাসায় আসার পর। মানুষের পশুরূপ, পিশাচমন যে কখন কীভাবে প্রকাশিত হয়, সে এক অদ্ভুত ব্যাপারই বটে! মেয়েটির নাম কতিমন। সে যখন এই বাসায় প্রথম এসেছিলো, নিটোল লাবন্যভরা শ্যামলা ত্বক আর উচ্ছল হাসিতে সবাইকে আপন করে নেবে, বাড়ির একজন সদস্য হিসেবেই গণ্য হবে এমনটাই ভেবেছিলাম আমি। কিন্তু আমার অগ্রজ আত্মীয়দ্বয় তা ভাবেন নি। তা না ভাবুক, এর জন্যে তাদের আমি দোষ দিতে যাবো না। কাজের মেয়েকে কজনই বা আপন ভাবতে পারে? কিন্তু আপন না ভাবুক, তাই বলে এমন অত্যাচার করতে হবে? কী দোষ ছিলো তার? আর হঠাৎ করে তারাই বা এমন বদলে যাবেন কেন? এসব প্রশ্নের উত্তর নিশ্চিত করে বলা কঠিন, তবে আমার মনে হয়েছে, দীর্ঘ নিঃসন্তান জীবনে কতিমনের আগমনে সে যখন সবাইকে তার সদাচরণের মাধ্যমে জয় করে নিচ্ছিলো, তখন সন্তান না পাবার বেদনাটা উশকে বলগ উঠে ক্রোধে রূপান্তরিত হয়ে এমন সহিংস আচরণে প্রলুদ্ধ করে তাদের। অথচ ব্যাপারটা বিপরীত হতে পারতো কী সহজেই! এজন্যেই তো বলছিলাম, মানুষের পিশাচ হয়ে ওঠার কারণগুলো বড় অদ্ভুত হয়।



ব্যাপারটা আমার প্রথম নজরে আসে কতিমন এ বাড়িতে আসার সপ্তাহখানেক পরে। আমি বৈকালিক আড্ডা দিতে তাদের বাসায় গিয়েছিলাম। চা দিতে একটু দেরী হওয়াতেই সে কী ভীষণ চোটপাট শুরু করলেন খালা! খালুও তার সাথে তাল মিলাচ্ছিলেন। তাদের এই হঠাৎ ক্ষেপে যাওয়ায় আমি বেশ অপ্রতিভ হয়ে পড়ি। কথাবার্তা চালাতে তেমন উৎসাহ পাই না। তবে তারা বেশ উৎসাহ ভরে বলে চলছিলো নতুন আসা কাজের মেয়েটা কীভাবে তাদের হাড়মাস জ্বালিয়ে খাচ্ছে। আমিও হ্যাঁ-হু করে সাড়া দিচ্ছিলাম। চা দিতে এসে কাপ থেকে একটু ছলকে পড়তেই ঠাস করে তাকে একটা থাপ্পর বসিয়ে দিলেন আমার খালা। সেদিন আমি ব্যথিত এবং অবাক হলেও কোন প্রতিবাদ করতে পারি নি, আমি পারতাম না আমার অতি সাধারণত্বের কারণে। কখনই পারি নি স্রোতের বিপরীতে সাঁতরানোর সাহস করতে, বিরুদ্ধ হাওয়ার প্রবল ঝাপটায় চিৎকার করে কথা বলতে।



এর পরে বেশ কিছুদিন যাই নি তাদের বাসায়। একসময় এই পলায়নপরায়নতা থেকে নিজেকে রক্ষা করতেই হয়তো গেলাম তাদের বাসায়। তারাও আমার যথোচিত সমাদর করলেন। আমি মনে মনে অপেক্ষা করছিলাম কতিমনের জন্যে। ওর কী অবস্থা করেছে কে জানে। আমার অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হতে থাকলো। কতিমন এলো না। চায়ের পেয়ালা হাতে খালা নিজেই এলেন।

-কী ব্যাপার খালা, কতিমন কোথায়?

জিজ্ঞেস না করে পারলাম না আমি।

-আর বলো না! কামচোরা শয়তান একটা। অসুখের ভান করে শুয়ে রয়েছে।

-কতদিন ধরে অসুখ?

-এইতো কদিন হবে।

-ডাক্তার দেখান নি?

-আরে রাখো ডাক্তার! এদের সহজে কিছু হয় না। বললাম না, কামচোরা ক্ষুদে শয়তান একটা। মটকা মেরে পড়ে রয়েছে ঘরের ভেতর।

আমি তাকে দেখতে যেতে চাইলে তাদের ভেতর কেমন যেন অস্বস্তিকর অস্থিরতা সৃষ্টি হয়, এবং তারা ব্যাপারটি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেন। আমিও আমার প্রিয় সাথী পলায়নপরতার প্রবোধে আর বেশি আগ না বাড়ার সিদ্ধান্ত নিই। ব্যাপারটা হয়তোবা সেভাবেই চুকে বুকে যেতো, যদি না আমি বেসিনে হাত ধুতে যাবার সময় মেয়েটির কাতর আর্তনাদ শুনতে না পেতাম। তার আর্তধ্বণি শুনে মোটেই মনে হচ্ছিলো না সে ধোঁকা দেবার জন্যে শুয়ে আছে। পর্দার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখি, তার সারা শরীরে কেমন যে ফোশকা পড়ার দাগ। কাছে গিয়ে নিরীখ করে বুঝতে পারি, এটা গরম পানি শরীরে পড়ার ফল।

-কতিমন, কীভাবে হলো এমন?

আমার জিজ্ঞাসার জবাবে কিছু বলার শক্তি চিলো না তার। ততক্ষণে পরিস্থিতি বুঝে খালা চট করে চলে এসেছে সেখানে।

-আরে বলো না, ছেরি পানি ঢালতে গিয়ে নিজের গায়ে ঢেলে কী এক অবস্থা করেছে!

-এ তো ভয়াবহ অবস্থা! আর আপনি বললেন সে কাজ চুরি করতে শুয়ে আছে?

মুখে একটা চিন্তিত ভাব এনে খালা বললেন,

-হ্যাঁ অবস্থার বেশ অবনতি হয়েছে দেখছি। আমরা অবশ্য ডাক্তার ডাকার কথা ভাবছিলাম। আজকে রাতেই ডাক্তার ডেকে আনবো।

বলে আমাকে ঠেলেঠুলে ও ঘর থেকে সরিয়ে নিলেন তিনি। আমি আবারও পরাজিত হলাম নিজের বিবেকের কাছে। জয়ী হলো পলায়নপরতা।



এভাবে আর কতদিন? কতদিন বিবেককে বেশ্যা বানিয়ে সমাজপতিদের রঙমহলে খেমটা নাচ নাচানো? কতদিন পালাতে পালাতে, নামতে নামতে সমাজের নিকৃষ্টতম অংশের শিশ্নচোষক হওয়া? তারা কেড়ে নিয়েছে গ্রাম্য বালিকার ভানহীন হাসি, তাকে করেছে তাদের কামনা আর নিষ্ঠুরতার বশংবদ, আর আমি...আমার নীরবতা কি তাদের অপরাধের আজ্ঞাবহ না? খিকখিক করে কারা যেন হাসছে। হাসছে সেইসব চৌকস ছেলেমেয়ে, যারা গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করে, মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে ধর্ণা দেয়। হাসছে ব্যানার আর ফেস্টুন হাতে শ্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করা আমার বন্ধুরা আমার অপারগতার নগ্নরূপ দেখে। হাসছে শ্যামলিমা, হাসছে বসুন্ধরা, হাসছে ধানীক্ষেত, হাসছে সবুজ আল, হাসছে নির্যাতক, হাসছে নির্যাতিতা, হাসছে কতিমন...

নাহ, আমি আর নিজেকে বিকিয়ে দেবো না, সঁপে দেবোনা বিবেককে। আরেকবার যদি আর একটা অনাচার দেখি...



সেই মাহেন্দ্রক্ষণে আমি খুনের সিদ্ধান্ত নেই। পৃথিবী আমায় চিনবে এখন, আমি হবো নতুন আলোর ঝাণ্ডাধারী। তোমরা সবাই আমায় কুর্ণিশ করবে। সম্ভ্রম করবে।



পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খবরের কাগজ হাতে নিয়ে একটি খবরে আমার চোখ আটকে যায়,



"রাজধানীর সবুজবাগে গৃহপরিচারিকার ওপর ন্যাক্কারজনক নির্যাতন। আটক গৃহকর্তা এবং গৃহকর্ত্রীর জামিন মঞ্জুর"।



নামগুলো আমার খুব পরিচিত!



হ্যাঁ, এরকমই তো হবার কথা! সচ্ছলেরা সাচ্ছন্দ্যে অত্যাচার করবে, গরম পানি ঢেলে দেবে, খুন্তি দিয়ে খোঁচাবে, যৌন নির্যাতন করবে সবুজ গ্রাম্য বালিকার ওপরে, অতঃপর কিছু টাকা জামিন দিয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যাবে! নাহ, এবার আর ওসব হতে দিচ্ছি না আমি। আমার চৌকস বন্ধুদের অযথা আন্দোলন শুরু করার আগেই ফলপ্রসু কিছু একটা করবো। হ্যাঁ, হত্যা করবো তাদের। চরম কষ্ট দিয়ে। এছাড়া তাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত কোনভাবেই হতে পারে না।



আমি যখন খালুর কলার ধরে তার মাথা দেয়ালে ঠুকে দিলাম, খালার চোখে তখন বিস্ময়।

-হাসপাতালে পাঠাইসেন, না? খুব জ্বর সেজন্যে? ভাবসেন আমি কিছু বুঝি না?

খালুর অন্ডকোষে কষে একটা লাথি মারলাম আমি। সে আপাতত কিছুক্ষণের জন্যে অচল। খালার দিকে নজর দেয়া যাক এবার। বটি নিয়ে তার পিছু ধাওয়া করলাম। মোটা মানুষ, অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠলেন। যখন বুঝলেন যে দৌঁড়ে আর লাভ নেই, আত্মসমর্পণ করলেন।

-বাবা শোনো, হ্যাঁ আমার ভুল হয়েছে...

-চুপ মাগী। আর একটা কথাও না।

তার গলা চেপে ধরলাম। কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিলে জিহবা বের করে হাঁপাতে লাগলো সে। তার জিহবা খাঁমচে ধরে বটি দিয়ে দু টুকরো করে তার হাতে গুঁজে দিলাম। চোখের ভেতর স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে খোঁচাতে লাগলাম। চোখের মনিতে এক ধাক্কায় সেটি ঢুকিয়ে দিয়ে চারপাশের সাদা অংশে চাড় দিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে তুলে ফেললাম আস্ত দুটো চোখ। খালা ততক্ষণে নেতিয়ে পড়েছে। আর খালু তার অন্ডকোষ ধরে চেচাচ্ছে তখনও। খালুর কানের ভেতর একটা লম্বা সুঁই ঢুকিয়ে দিলাম একদম মগজে বিঁধে দিয়ে। একটু ছটফট করে তার দেহটাও নিথর হয়ে গেলো। ধুর! এত তাড়াতাড়ি মরে গেলো! আমি ভেবেছিলাম আরো কিছুক্ষণ খেলবো তাকে নিয়ে।



খুন দুটো আমি করেছিলাম ঘোরের মধ্যে। হঠাৎ সংবিৎ ফিরে পাওয়ার পর আমি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়লাম। একটা ন্যায্য বিচার করা হয়েছে, এই বোধের বদলে অজানা একটা ভয় আমাকে তাড়িয়ে বেড়াতে লাগলো। তাদের শূন্য চোখের দৃষ্টিতে যেন আমার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। নাহ, এমনটা হলে তো চলবে না। আমি একটা মহৎ কাজ করেছি। সবাই আমাকে চিনবে এখন। জবুথবু, কম্পমান, আতঙ্কিত আমাকে দেখলে সবাই আমাকে ছ্যাচরা খুনীই ভাববে। কেউই আমার অন্তর্গত ন্যায়বোধ দেখবে না। মাথাটা ঠান্ডা করার জন্যে বাইরে থেকে একটু চা সিগারেট খেয়ে আসা দরকার।



বাইরে বের হয়ে চা সিগারেট খেয়ে সময় নষ্ট করার চিন্তা বাদ দিয়ে দিই। মাথাটা কাজ করছে এখন। লাশ লুকোতে হবে, সমস্ত চিহ্ন ঝেড়ে ফেলতে হবে, অনেক কাজ বাকি। আমি দ্রুতই আবার তাদের ফ্ল্যাটের দিকে রওনা দেই। এখন আমার ভেতর এক আশ্চর্য প্রশান্তি কাজ করছে। প্রাণভরে শ্বাস নিতে পারছি আমি।



ফ্ল্যাট নং ৩/সি। হু, ঠিকঠাক আছে সব। কী মনে করে যেন কলিংবেল টিপি। কেউ সাড়া দেবে না সে তো জানা কথাই! পুরোনো অভ্যাস তো!



ভেতর থেকে দরজা খুলে দেয় কেউ একজন।



আমার খালা।



-আরে আলম! কেমন আছো তুমি বাবা? অনেকদিন পর এলে। ভালো সময়ে এসেছো। তোমার খালুজান তোমাকে ফোন করার কথা ভাবছিলো। কী যেন ক্রিকেট ম্যাচ হচ্ছে, দুজনে মিলে দেখবে বেশ, এসো! আমি একটু ব্যস্ত থাকবো। কতিমনের খুব জ্বর। দেখার কেউ নেই"



হ্যাঁ এমনটাই তো হওয়ার কথা! খালা-খালুরা চিরজীবন সজ্জন থেকে যাবেন, কতিমনকে সামান্য জ্বরের জন্যে হাসপাতালে পাঠাবেন, কোন অছিলায় মারধোর করবেন না, আর আমি বেওকুফ অপেক্ষায় থাকবো কবে তারা ভয়ানক কিছু করেন আর আমি তাদেরকে খুন করে হিরো হবো! আমার মুক্তির দাবীতে আন্দোলন হবে রাস্তায়। হতাশায় শ্রাগ করি আমি। অবশ্য আমার নিস্তরঙ্গ জীবনে এসব ভেবে যদি একটু রোমাঞ্চ আর বিনোদন পেতে চাই, রাজা হতে চাই, নায়ক হতে চাই, সেজন্যে আমাকে খুব বেশি দোষ দেয়া যায় না নিশ্চয়ই! হতাশা চেপে আমি জিজ্ঞেস করলাম খালুকে,

"কতিমনের জ্বর কি খুব বেশি?"



মন্তব্য ১৪৪ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (১৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৬

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: দূর্দান্ত।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস শরৎ!

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৯

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: খুব সুন্দর...

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধইন্যা।

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আমি একজন সৎ এবং গর্বিত খুনী। সমাজের চোখেও আমি বিশেষ সম্মানের আসনেই অধিষ্টিত হবো।

খুনটা মনে হয় দরকারী ছিল !
হামা ভাইয়ের গল্পই পড়েছি মনে হচ্ছে !

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ম্যালাদিন পর সাইকো টাইপ লেখা লিখলাম। থ্যাংকস অভি।

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪১

মামুন রশিদ বলেছেন: খুনের ভয়ংকর বর্ণনা পড়েও মনে হচ্ছিলো এটাই ঠিক আছে । খুন দুটিকে মনে মনে জাস্টিফাই করে নিয়েছি । তাই শেষের ট্যুইস্ট পড়ে মনটা একটু খারাপই হয়ে গিয়েছে ।

আমাদের নিস্ফল ক্রোধ আর লোক দেখানো প্রতিবাদ অসহায় কতিমনদের বেদনার উপশমে কোন কাজেই আসেনা ।

খুব ভালো লেগেছে গল্প । ++

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই। শুভেচ্ছা।

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

সকাল রয় বলেছেন:
প্রথম অংশটা অনেকটা কাব্যের মতো। মনে হচ্ছিল মুক্তগদ্য পড়ছি ২য় স্তবকে গল্পে ঢুকে গেলাম।

বর্ণনায় শংকিত হয়েছি খানিকটা ভয়ে ভয়ে!
আপনার লেখা বরাবরের মতো হলেও নতুনত্ব আছে। অনেক ভালোলাগা লেখায়। আপনার লেখা দীর্ঘস্থায়ী হোক।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠ এবং শুভকামনার জন্যে।

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
অসাম !

*সেদিন এ সার্বিয়ান ফিল্ম দেখসিলাম, আশাহত হৈসি || :-0

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: সার্বিয়ান ফিল্ম দেইখা আশাহত হৈসো! তোমারে কী যে কমু!

৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর+

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
আরো ভিজ্যুয়াল ব্রুটালিটি আশা করসিলাম, আমার ইম্যাজিনেশন পাওয়ার কম !

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: :|| :|

৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১০

toysarwar বলেছেন: আমরা এমনটাই তো কল্পনা করি। বাংলা সিনেমার হিরো ১৬ নং রিলের সময় যখন ভিলেন পেটাতে থাকে তখন মনে হয় আমরাই সব অনাচার দূর করতাছি। আপনার নায়কও ১৬ নং রিলের ভেতর ছিলেন। গল্পে অনেক ভাললাগা।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।

১০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: খালার তুলনায় খালুর শাস্তিটা কম হইয়া গেছে, সেটা কল্পনারূপী ঘোরেই হোক বা যেভাবেই হোক। মাত্র একটা লম্বা সুঁইয়ের খোঁচা !!! শেষ টা ঘোরের চেয়ে ম্লান লাগছে। সত্যি সত্যি খুনাখুনি আর আরও ডার্ক কিছু পড়তে পারলে ভালো লাগতো B-)

কিছুক্ষণ আগে হুমায়ূন আজাদের " একটি খুনের স্বপ্ন" বইটা পড়ছিলাম। আর তারপর পরই এই গল্প পড়লাম, তাই খুনাখুনি দেখার জন্য একটু উদগ্রীব হইছি আর কি !

ভালো হইছে গল্প।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: সত্যিসত্যি খুনাখুনি থাকলে তো গল্পের মেসেজটা উধাও হয়ে যেতো! তাই টুইস্টটা রাখতে হৈসে। আসলে আমাদের সবারই হয়তো এরকম ইচ্ছা করে, খুন করে হিরো হতে।

শুভরাত্রি।

১১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৯

মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: কতিমন নামটা নতুন ।

শেষের টুইস্ট ভালো লাগছে । গল্পে যে মেসেজ দিতে চেয়েছেন , ফুটে উঠেছে সফলভাবে

সব মিলিয়ে গল্প ছিল উপভোগ্য ( তবে খুনের দৃশ্য গুলোর ভাবতে গিয়ে গায়ে কাটা দিছিল )

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: কতিমন আমাদের বাসায় কাজ করতো। ওর নামটাই মনে এলো। খুনের অংশটা বিভৎস করতেই চেয়েছিলাম!

থ্যাংকস সিফাত।

১২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৫

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
খুনের বর্ণনা যেন চোখে ভাসছিলো।
কিন্তু এর বিকল্প ও ভাবা যাচ্ছিল না।

ভালো লাগলো গল্প।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস দূর্জয়। শুভরাত্রি।

১৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৬

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: কি বলবো বঝতে পারছি না! দুর্দান্ত লেগেছে। তবে আমি জাজ করতে আসিনি। আমি মুগ্ধতা নিতে এসেছি এবং নিয়ে যাচ্ছি!!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস মহুয়া। শুভেচ্ছা।

১৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

মিমা বলেছেন: সাহসের বিশ্বাসঘাতকতায় বিবেকের কাছে পর্যদুস্ত আমরা। প্রতিটি অন্যায় কে এড়িয়ে যাই আলগোছে, সামনে ধরে রাখি ভদ্রতা আর সৌজন্যতার এক অদ্ভুত খোলস। আমাদের সমাজ আমাদের ক্রমেই নিচু স্তরের হিপোক্রেট বানিয়ে দিচ্ছে।

অতিপরিচিত বাস্তবতার আর পরিমণ্ডলের অদ্ভুত প্রকাশ ঘটেছে গল্পে হা_মা ভাই। গল্পের কাঠামো, নির্মাণশৈলী এবং পরিশেষে পরিনতি টাও চমৎকার!
প্রথম অনুচ্ছেদের ভাষার ঘোর একদম শেষ পর্যন্ত ঘিরে রেখেছে। এখনো বেরিয়ে আসতে পেরেছি কিনা নিশ্চিত নই।

গল্পে মুগ্ধতা। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইলো অনেক।
শুভরাত্রি।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মিমা। মন্তব্যে ভালো লাগা।

১৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৮

সুদীপ্ত কর বলেছেন: ব্যাপক। বেশী ব্যাপক।
প্রথম অংশের স্বীকারোক্তি পরার সময় মনে হলো ইনফার্নোর প্রিলিউডটা পড়তেসি। দুর্দান্ত হইসে।
খুনের বর্ণনা ভালো লাগলো অনেক। :P

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ইনফার্নো পড়ি নাই। পড়ে দেখতে হবে তো! খুনের বর্ণনা খুব সুইট হৈসে না!

১৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৮

আকিব আরিয়ান বলেছেন: অনেক ভালো হইছে গল্পটা

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস আকিব আরিয়ান।

১৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার!! খালার খুনের অংশটা বেশি বিভৎস হইছে....!!


১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ সকাল।

১৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৩

কয়েস সামী বলেছেন: চমত্কার! শুরু করেই মনে হল আবৃত্তি গল্পটা আবৃত্তি করে পড়া উচিত। পড়লাম। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাত্ টের পেলাম আবৃত্তিটা আর ভাল্লাগছে না। সত্যি চমত্কার হইসে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার আবৃত্তি শুনবো একদিন।

১৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২০

ঢাকাবাসী বলেছেন: এরকম খুন করাটা ন্যায়ের পথ, চমৎকার লাগছে, চালিয়ে যান। আরো খুনী দরকার এদেশের জন্যে!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুন আর হৈলো কই! ধন্যবাদ।

২০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

বটবৃক্ষ~ বলেছেন:







আয়হায়!! আমি ভাবসিলাম সত্যিই খুব করসে!! X(

ফিলিং হতাশ!! :-< :-< :P

হাহহাহ!! দারুন টুইস্ট শেষে!! :)
মুগ্ধপাঠ!!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস ববৃ। ভালো লাগলো অনেকদিন পর দেখে।

২১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৭

বটবৃক্ষ~ বলেছেন:

* খুন

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুন।

২২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৮

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: হাই টেনশন কেমন লাগলো?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: বেশি জোস। পুরাই হাই টেনশনে রাখে।

২৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৭

অন্তরন্তর বলেছেন:

প্রথমে মনে করেছিলাম সত্যি খুন করেছে এবং
নৈতিক সাপোর্ট দিচ্ছিলাম। শেষে এসে খোলাসা
হল।
দুর্দান্ত একটা গল্প পড়লাম। একটানে পড়লাম একেবারে
ঘোরের মাঝে।
হেটস অফ হামা ভাই।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৫২

সাগর রহমান বলেছেন: হাসান ভাই, বহুদিন পর মন্তব্য করতে ঢুকলাম। মাঝে মাঝে পড়া হয় সামু, আপনাদের নানান লিখা। মন্তব্য করার সুযোগ হয় না প্রায়ই।
আপনি আমাকে একটা কথা বলেন, এমন ধারাবাহিক ভাবে চমৎকার সব লিখা কেমন করে লিখেন?
ভাল লেগেছে গল্পটি।।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনিই বা কীভাবে এত চমৎকার সব কবিতা লেখেন?

শুভকামনা।

২৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৮

গোল্ডেন গ্লাইডার বলেছেন: ভাই একটানে পড়লাম আপনার অসাধারন গল্প +++++++

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ গোল্ডেন গ্লাইডার। শুভকামনা।

২৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দূর্দান্ত! জটিল হইছে হাসান ভাই। অনেকদিন পর এই টাইপের লেখা পড়লাম।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: সাইকো টাইপ গল্প লিখতে আমারও মজা লাগে।

শুভদুপুর।

২৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: ওয়াও। B-)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: কিয়াও? -_-

২৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার লেখা আমাকে ভাল লাগে।





ধন্যবাদ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

২৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯

মৌ রি ল তা বলেছেন: ব্যাকবোনলেস আলম!!!!!!!
ব্যাটা কাওয়ার্ড তুই স্বপ্নই দেখতে থাক...হাহ...।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুন করার মতো কিছু ঘটে নি তাই সে খুন করে নি। তবে এটা ঠিক, সে সবসময় ঐ যদি হতো তবে করতাম এর মধ্যেই থাকবে।

৩০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০

মামুন হতভাগা বলেছেন: ধূর,খুন হওয়াটাই ভাল ছিল তো :-0
কেমন আছেন ?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুন খারাবি ভালা না! এই তো আছি।

৩১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১৮

ইখতামিন বলেছেন:
কালকে অল্প একটু পড়েছিলাম। আজ পুরোটা পড়লাম।

৩/সি নম্বরের ফ্ল্যাটের কলিং বেল চাপার আগে একটুর জন্যেও মনে হলোনা একটা কল্পনায় নায়ক হতে চলেছে খুনি। মনে হচ্ছিল বেশ হয়েছে। ভালো হয়েছে। তবে এখানেও লিংগবৈষম্য উপস্থিত স্যার বলে হাত তুলে আছে। নারীকে এতো শাস্তি অথচ পুরুষকে অল্পতেই খালাস। এটা হতে পারেনা। বিচার চাই। বিচার চাই। হাসান ভাইয়ের বিচার চাই।

না.. খালুজানের অপরাধ তুলনামুলক কম। “খালুও তার সাথে তাল মিলাচ্ছিলেন।” তাই তার শাস্তি একটু কম। এখানে বৈষম্যের কথা তুললে চলবে না ;)

হিরো আর হতে না পারলেও মেসেজটা খুব দরকারী। গল্প অসাধারণ। বরাবরের চেয়ে একটু আলাদা। চমৎকার।

ভালো থাকুন। শুভ রাত্রি। ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলে টর্চারের বর্ণনা লিখতে আর ভালো লাগছিলো না। তাই ক্ষান্ত দিলাম!

অনেক ধন্যবাদ ইখতামিন। শুভরাত্রি।

৩২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: বীভৎস হলেও খুশি হচ্ছিলাম । এদের এভাবেই মারা উচিত !
কিন্তু হয় না ! পারি না আমরা ! :(

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলেই :(

৩৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৩

এরিস বলেছেন: উফ! খুনের বর্ণনায় মাথা ঝিমঝিম করছে!!!

কোনটা কল্পনা, ঠিক ধরতে পারলাম না। শুরুটা না শেষটা!! খুনটাই মাথায় গড়বর লাগালো।

খুব সাধারণ একটা জীবন আমার। সাধারণ চিন্তাভাবনা। আমার আশেপাশের ঝলমলে ছেলেমেয়েরা কতকিছু করে বেড়ায়! ছবি আঁকে, গান গায়, রাজপথে মিছিল করে, পুলিশের বাড়ি খায়, শীতের সময় চারশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে যায় শীতবস্ত্র নিয়ে। আমি এসব কিছুই করি না। এ নিয়ে বেশ একটা হতাশা আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিলো।


আক্ষেপ নিজেকে নিয়ে! নাকি প্রকারান্তে বিদ্রুপ!! এই আক্ষেপ কিন্তু আমারও।

মানুষের পিশাচ হয়ে ওঠার কারণগুলো বড় অদ্ভুত হয়।

হাসছে ব্যানার আর ফেস্টুন হাতে শ্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করা আমার বন্ধুরা আমার অপারগতার নগ্নরূপ দেখে। হাসছে শ্যামলিমা, হাসছে বসুন্ধরা, হাসছে ধানীক্ষেত, হাসছে সবুজ আল, হাসছে নির্যাতক, হাসছে নির্যাতিতা, হাসছে কতিমন...
নাহ, আমি আর নিজেকে বিকিয়ে দেবো না, সঁপে দেবোনা বিবেককে। আরেকবার যদি আর একটা অনাচার দেখি...


তাই আবারও বলি ঃ

মানুষের পিশাচ হয়ে ওঠার কারণগুলো বড় অদ্ভুত হয়।

নিহিলার গল্পটার কথা মনে পড়ে গেলো!! ব্লেড যে কখন কার উপর কিভাবে চলতে থাকে, টের পাওয়া যায় না!!

ভাল লাগা রেখে গেলাম হাসান ভাই।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: নিহিলার গল্পটা মনে রেখেছেন! আপনি আসলেই অসাধারণ পাঠক। এই গল্পে আপনার প্রশ্নটা আমি আশা করছিলাম। কারণ কিছু জিনিস ব্যাখ্যা করা দরকার। আমি জানি অনেকেই ভুলভাবে ভিজুয়ালাইজ করেছে। ব্যাপারটা হলো, আলম চায় এমন কিছু ঘটুক, এমন বাজে কিছু, যার ফলে সে ঘটনার ভায়োলেন্ট সুরাহা করে মানুষের চোখে হিরো হতে পারে আবার নিজের ভায়োলেন্স এর ইচ্ছাকে চারিতার্থ করতে পারে। বাস্তবে কোন খারাপ ঘটনা ঘটে না। কতিমনকে যত্নের সাথে রাখে আলমের খালা ও খালু। অত্যাচার; কতিমনের ওপর এবং দম্পতির ওপর, দুটোই কল্পনা।

পাঠ প্রতিক্রিয়ায় ভালো লাগা জানাই এরিস।

৩৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৭

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আমার গ্রামে ২ দিন আগে একটা খুন হয়েছে। একটা ৪ মাসের প্রেগনেন্ট মেয়ে। সেই খুনটা ভয়াবহ ছিল ! মেয়াটা কতিমনের মত একটা বাড়িতে কাজ করতো। চাচাতো ভাইয়ের কাছে সেই খুনের বর্ণনা শুনে মাথায় জ্যাম হওয়া গেছিল। আপনার গপের খুনের বর্ণনা পড়ে সেই জ্যাম আরও বাড়িয়া গেছিল, পরে দেখি আলম মিয়া'র কল্পনা ছিল!

গপ ভালা পাইছি!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু! শুভরাত্রি।

৩৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৩

সায়েম মুন বলেছেন: মাঝে মাঝে এরকম সবারই হয় বোধয়। একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঝান্ডা হিসেবে আবির্ভূত হতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু পলায়ণপরতা বা সামাজিকতার বেড়াজালে ভূলুন্ঠিত হয় ইচ্ছেগুলো। আমাদের আশেপাশেই চোখ বুলালেই হরেক অন্যায় চোখে পড়বে। এগুলো দেখেও না দেখার ভান করি প্রতিনিয়ত।
গল্প খুব ভাল হয়েছে। সরল চালে দুর্দান্ত পয়েন্ট।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু মুনাপা।

৩৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪২

মশিকুর বলেছেন:
দুর্দান্ত! ভয়ংকর! লোমহর্ষক!! খুনের বর্ণনা পড়ার পর অন্তত ৩০ সেকেন্ড মনিটরের দিকে তাকাতে পারিনি। যদিও এরকম কিছুর জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। আপনি সফল। আর শেষের টুইস্ট টাও চমৎকার জমেছে।

+

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মশিকুর।

৩৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১৩

অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: B:-)

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: :|

৩৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৫০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: //মানুষের পিশাচ হয়ে ওঠার কারণগুলো বড় অদ্ভুত হয়।//



লৌমহর্ষক অপরাধের লৌমহর্ষক বিচার।
ভূমিকা, বর্ণনা, আত্মকথন, আত্মমূল্যায়ন - সবই কাব্যিকভাবে সুন্দর হয়েছে :)

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

সুমন কর বলেছেন: ভয়ংকর সুন্দরভাবে খুনের বর্ণনা দিয়েছেন। ভালো লাগল। আর যে বিষয়টি তুলে ধরতে চেয়েছেন, তার সাথে সহমত। কারণ, যারা গৃহে কাজ করে তাদের উপর অত্যাচার করা অনুচিত ও যারা করে থাকে নিজেদের জানোয়ার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাই যথেষ্ট!

গল্প ভাল লাগল। আলাদা কোন লাইন কোট করতে চাই না, সব লাইন র্দুদান্ত হয়েছে। আমি আপনার গল্পটায় আগেই ঘুরে গিয়েছিলাম, একটু ব্যস্ত থাকার কারণে আজ সময় নিয়ে পড়লাম। ভালো থাকবেন।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৪০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হ্যাঁ এমনটাই তো হওয়ার কথা! খালা-খালুরা চিরজীবন সজ্জন থেকে যাবেন, কতিমনকে সামান্য জ্বরের জন্যে হাসপাতালে পাঠাবেন, কোন অছিলায় মারধোর করবেন না, আর আমি বেওকুফ অপেক্ষায় থাকবো কবে তারা ভয়ানক কিছু করেন আর আমি তাদেরকে খুন করে হিরো হবো! আমার মুক্তির দাবীতে আন্দোলন হবে রাস্তায়। হতাশায় শ্রাগ করি আমি। অবশ্য আমার নিস্তরঙ্গ জীবনে এসব ভেবে যদি একটু রোমাঞ্চ আর বিনোদন পেতে চাই, রাজা হতে চাই, নায়ক হতে চাই, সেজন্যে আমাকে খুব বেশি দোষ দেয়া যায় না নিশ্চয়ই! হতাশা চেপে আমি জিজ্ঞেস করলাম খালুকে,
"কতিমনের জ্বর কি খুব বেশি?"


আপনার শেষ প্যারাটা গল্পটাকে বাস্তবতানুগ ও অর্থবহ করেছে এবং এর ফলে মেসেজটাও খুব পরিস্কার।

ডিটেলে ও বাক্যগঠনে আপনার নিজস্ব ধাচটা স্পষ্ট । নিস্থুরতার বর্ণনা
ইচ্ছে করেই কমিয়েছেন বুঝা গেছে ।

আপনি '' আমাদের '' তুলে ধরেছেন । ভাগ্যিস আমাদের মাত্রাবোধ প্রখর
তাই খুন করা হয়ে উঠে না । তবে ভুলিওনা । কতিমনের জ্বর কি খুব বেশি? - তাই জিজ্ঞেস করতে পারি ।

ভাল থাকুন প্রিয় হাসান ভাই ।

শুভেচ্ছা ।



১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: মন্তব্যে অনেক ভালো লাগা মাহমুদ। শুভেচ্ছা।

৪১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩

কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: বাস্তব গপ্লে ভালো লাগা

শুভ কামনা

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রাসেল। শুভবিকেল।

৪২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭

ডানাহীন বলেছেন: চমৎকার টুইস্ট সহ সুখপাঠ্য গল্প । তবে গল্পের বাইরে কিছু কথা বলি .. সজ্জনতা এখন এমনিতেই বেশ বিরল । যখন আপনি কাউকে দাস ভাবেন তখন তাকে এবং সজ্জনতা উভয়কে খুন করা হয় । আর নৃশংসতা ন্যায়বিচার করতে পারে কি !
বাস্তব দুনিয়ার বেশিরভাগ ভিলেনের জন্ম হিরো হবার খায়েশ থেকেই .. খুনি হিসেবে তাই নিঃশব্দ ঘাতকরাই শ্রেয়তর .. তারা অন্তত বাহুল্য অথবা গর্বকে এড়িয়ে চলে ..

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: বাস্তব দুনিয়ার বেশিরভাগ ভিলেনের জন্ম হিরো হবার খায়েশ থেকেই

ওয়েল সেইড! এটা আমার ফেবু স্ট্যাটাস হিসেবে দিতে ইচ্ছা করতেছে!

নৃশংসতা ন্যায় বিচারের জন্যে না, এটা নিজের ক্ষোভ মেটানোর খেলনা।

শুভেচ্ছা ডানাহীন।

৪৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯

খাটাস বলেছেন: অসাধারণ গল্প। পুরো ম্যাসেজ আমাদের সমাজের জন্য।
তবে ব্যক্তিগত কিছু বিরুদ্ধতা আছে, সেটা গল্পের নায়কের চরিত্র নিয়ে।
গল্পের শুরুতে আর কতিমন কে প্রথম কাতরাতে দেখার পরের প্যারা দুটো যথেষ্ট বেশি শৈল্পিক বর্ণনায় পুরো গল্প টাকে একটা অদ্ভুত রূপ দিয়েছে। মুলত এই দুটি প্যারার ভাবসম্প্রসারনে সু শৃঙ্খল বর্ণনায় পুরো গল্প টা দাঁড়িয়েছে।
হ্যাঁ মানুষের মনের চিন্তা আর কোন ঘটনার বর্ণনা একই ভাবে হবে না স্বাভাবিক। যদি ও এক জন সাধারণের ফ্যান্টাসি দেখান হয়েছে, তবে উল্লিখিত দুই মূল প্যারা আর ঘটনা প্রবাহ একই মানুষের সহজ স্বাভাবিক চিন্তার দ্বৈত রূপ মনে হয়েছে। মুলত বলতে চাচ্ছি, আত্ত চিন্তা আর ঘটনা বর্ণনায় তাকে ডুয়েল পারসোনালিটি মনে হয়েছে।
ঘটনা প্রবাহ তে আরও কিছু কাব্য মত গন্ধ থাকলে এক সুতো মনে হত। যদি ও মানুষের একাগ্র চিন্তা যত টা রঙ্গিন, কোন ঘটনা নিয়ে চিন্তা তত টা রঙ্গিন নয়। তবু ও লেখকের হাতে সব ই সম্ভব।
গল্প এক কথায় সম্পূর্ণ অদ্ভুত। তবে আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের ভুল ই হয়ত, তবে এটুকু কথা না বললে পাঠক হিসেবে লেখাকে ও লেখক কে অমর্যাদা করা হত।
ভাল থাকবেন । :)

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুচিন্তিত মতামতের জন্যে। গল্পের প্রথম প্যারায় কিন্তু কতিমন না, আলমের খালা-খালুকে খুনের বর্ণনা দেয়া হয়েছিলো। যা আলমের অন্য রূপকে প্রকাশিত করে। কাব্যভাব গল্পের গতির সাথে কমেছে বোধ হয় কিছুটা, তবে এটা আমার লেখার একটা স্টাইল। ছোটগল্পতে শেষমেষ সংলাপ আর অনলঙ্কৃত বর্ণনার দ্বারস্থ হওয়াটাই শ্রেয় মনে করি।

শুভরাত্রি।

৪৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩১

আমার কোন প্রশ্ন নাই বলেছেন: ভাইয়ার লেখা গল্পগুলো অসাধারণ হয় সবসময়। এটাও ব্যতিক্রম নয়।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৪৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নাছির84 বলেছেন: দুর্দান্ত লিখেছেন। ভাষার বৈচিত্রটা আমার বরাবরই খুব পছন্দ। মনের বুঁদবুঁদ ক্রোধকে দারুন প্রকাশ করেছেন নানা আঙ্গিকের শব্দে।
আদর্শ ছোটগল্প কি ?
শেষ হইয়াও তো হইলনা শেষ....?

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।

৪৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১

আমিনুল ইসলাম বলেছেন: দারুণ

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস। শুভরাত্রি।

৪৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২

মুদ্‌দাকির বলেছেন: নট সো ব্রুটাল !!!!!!!

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: তাই নাকি!

৪৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

সোমহেপি বলেছেন: কার লেখা এটা?


এভাবে আর কতদিন? কতদিন বিবেককে বেশ্যা বানিয়ে সমাজপতিদের রঙমহলে খেমটা নাচ নাচানো? কতদিন পালাতে পালাতে, নামতে নামতে সমাজের নিকৃষ্টতম অংশের শিশ্নচোষক হওয়া? তারা কেড়ে নিয়েছে গ্রাম্য বালিকার ভানহীন হাসি, তাকে করেছে তাদের কামনা আর নিষ্ঠুরতার বশংবদ, আর আমি...আমার নীরবতা কি তাদের অপরাধের আজ্ঞাবহ না? খিকখিক করে কারা যেন হাসছে। হাসছে সেইসব চৌকস ছেলেমেয়ে, যারা গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করে, মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে ধর্ণা দেয়। হাসছে ব্যানার আর ফেস্টুন হাতে শ্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করা আমার বন্ধুরা আমার অপারগতার নগ্নরূপ দেখে। হাসছে শ্যামলিমা, হাসছে বসুন্ধরা, হাসছে ধানীক্ষেত, হাসছে সবুজ আল, হাসছে নির্যাতক, হাসছে নির্যাতিতা, হাসছে কতিমন...


এ অংশটা আপনার লেখা মনে হয়েছে।

এই থিমের উপর আমারও একটা গল্প লেখার কথা ছিলো । ভুলে গিয়েছিলাম

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: লিখে ফেলো। তোমারটাও পড়ি।

৪৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৪

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: প্রচুর চিন্তার খোরাক দিয়েছেন। আর বর্ণনার বুনট, দুর্দান্ত!

শুভেচ্ছা গল্পকারকে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।

৫০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২১

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: শেষের টুইস্টটা পড়ে নিজের অজান্তেই হেসে ফেললাম । বোধহয় স্বস্তি আর পলায়নপর মানশিকতার কারনে । গল্পের ম্যাসেজটা চমৎকার , পানপানানি কচকচ না করেও যে এইভাবে ম্যাসেজ দেওয়া যায়, আপনার কাছে শিখছি । খুবই ভালো লেগেছে । শুভেচ্ছা, ভাইয়া !

আর হ্যাঁ, অমিতাভ জয়ারে চুমা দিলে দিলে যে রক্তারক্তি কাণ্ডটা ঘটে যেতো, কোনও সন্দেহ নাই, সেটাতে আপনার সাথে আমারও সমান অংশগ্রহণ থাকতো ! B-)

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! জয়ারক্ষকের অভাব নাই বাংলাদেশে B-)

৫১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৫

টুম্পা মনি বলেছেন: বরাবরের মতই অসাধারণ। ভিন্ন ধর্মী। অন্য স্বাদ। অনেক ভালো লাগা।

:D :D :D

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: এতদিন কোথায় লাপাত্তা হয়েছিলেন টুম্পা মনি? ভালো লাগলো দেখে।

৫২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৪

টুম্পা মনি বলেছেন: আমার পরীক্ষা ছিল। সামনেও আছে। :(( :(( :(( :(( :(( X( X( X( X(( X(( X(( X((

রিটেন শেষ হতেই দৌড়ে এসেছি। :) :) :)

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভালো করেছেন।

৫৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪

আরজু পনি বলেছেন:

দারুণ ! সেই পুরনো হাসান মাহবুব...

আমার ব্লগিং এর প্রথম দিকে এমন সব লেখা পড়েই মুলত হাসানের লেখার ফ্যান হয়েছি ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পনি আপা।

৫৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫

অচিন্ত্য বলেছেন: খুব ভাল লেগেছে ডিয়ার লিটল হামা। আমি বেশ আগে একবার এরকম ফ্যাসিস্ট মেন্টালিটির একখানা গল্প লেখার চেষ্টা করেছিলাম। ঐ বয়সের সব লেখা আমি পরে পুড়িয়ে ফেলেছি।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাগুলোর প্রতি এমন ফ্যাসিস্ট আচরণের নিন্দা জানাই।

৫৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

বৃতি বলেছেন: ভয়ংকর গল্প!

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ বৃতি। ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।

৫৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০১

রাহি বলেছেন: এই লেখাটিকে আপনার সেরা লেখাগুলির লিষ্টে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। চমৎকার বললেও কম হয়ে যায়। বিশেষ করে ফিনিসিংটা অসাধারণ হয়েছে।
পাঠক একটি লেখা পড়ে নিজের মত চিন্তা ভাবনা করে। যেটা অনেকসময় লেখক যা বলতে চেয়েছেন তার সাথে মিলে না। আমার ভাবনা, আলমের মতিভ্রম কোনটি সেটাও বুঝার বিষয়। সজ্জন খালা খালু থেকে অত্যাচারী খালা খালুই বেশী বাস্তব। ধরে নিতে পারি আলম একজন গর্বিত খুনী। পরবর্তীতে প্রচন্ড ভয়, অজানা আতংকের কারনে তার মস্তিষ্ক খালা খালুর নতুন চরিত্র তৈরী করেছে।

যাইহোক ভালো আছেন আশাকরি।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস রাহি। আলম খুন করে চলতে থাকবে প্রতিনিয়ত। এভাবেই। সবারই এরকম একটা পরিত্রাণের পথ থাকা দরকার!

ভালো আছি। শুভেচ্ছা।

৫৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: হাসান ভাই, আপনার লেখনির যে দিকটা আমাকে আকৃষ্ট করে তা হল , আপনি জানেন দুর্মূল্যের বাজারে রাজা উজির আর মুড়ি মুরকি সব এক দরে বিক্রি হয়- কিন্তু আপনি তার সাথে আপস করে লেখার মধ্যে কাব্যিকতা বর্জন করেন নি কখনো। অনেক লেখার ভিড়ে আপনার স্টাইল আপনার লেখাকে আলাদা পরিচয় দেয়।

গল্পে মুগ্ধতা রেখে গেলাম।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সাজিদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।

৫৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০০

না পারভীন বলেছেন: যাক , ভয়াবহ ঘটনা গুলো শেষ পর্যন্ত ঘটেনি । একটা ভয়ংকর গল্প হলেও ভাবের কারুকাজ দেখে মুগ্ধ হয়েছি ।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

৫৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৫৯

শান্তির দেবদূত বলেছেন: উফ্‌! এভাবে যে প্রতিদিন কত কত খুন করি! পরের দিন ঠিক সামলে নেই, ভুলে যাই!

দূর্দান্ত একটা গল্প পড়লাম। বেশ ভালো লাগলো।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভরাত্রি।

৬০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫২

আদ্রিতা বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো। It kind of reminded me of that movie "I spit on your grave". you can not justify a sin by committing another sin. Justice word tai kemon jeno funny. Preventing one's existance would not bring much change. Ekjon morbe to erokom dosh jon create hote thakbe. Ending ta bhalo chilo. Mobile theke bangla likha kothin onek lol. And yes. Ami desh chere boidesh chole ashchi. Boidesh! Haha!

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: মুভিটা দেখসি। তোমার সাথে পুরোপুরি একমত না। পাপ-অন্যায় ইত্যাদি বিষয় কখনও কখনও আপেক্ষিক হয়ে যায় পরিস্থিতির বিচারে।

ভালো থাকো বৈদেশে। শুভদুপুর।

৬১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:০৭

আদ্রিতা বলেছেন: তা ঠিক। আমি আসলে বোঝাতে চাচ্ছিলাম শেকড় থেকে কিছু চেন্জেয যদি আনা যেতো তাহলে ভালো হতো। কিন্তু হ্যা, আপেক্ষিকতার ব্যাপারটা সত্য। এভাবে ভেবে দেখি নাই। আপনি কী এসকেপ প্ল্যান মুভিটা দেখেছেন? আমি রিসেন্টলি দেখেছি। মারাত্বক!

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: এসকেপ প্ল্যান দেখি নাই। দেখতে হবে।

৬২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:২৩

নোমান নমি বলেছেন: ভালো লাগছে :)

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু!

৬৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬

প‌্যাপিলন বলেছেন: কাটাকুটির জন্য এত অল্প সময় দিলেন :( যাই হোক, দীর্ঘ ঘুমের পর দারুণ একটা সাইকো থ্রিলার গল্প দিয়ে সামুতে ইন করলাম

০৬ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: এর চেয়ে বেশি দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব না :| তবে আপনার চাহিদার কথা মাথায় থাকলো।

৬৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:১৯

রুপ।ই বলেছেন: আপনার সব লেখাই আমি পড়ি, এই লেখাটিকে আপনার সেরা লেখাগুলির লিষ্টে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এত্ত দারুন হোয়েছে। কতিমনদের নিয়ে গতানুগতিক গল্প নয় আছে পরিমিতি বোধ, আছে শেষের মুন্সীয়ানার মোচড়.....অপূর্ব ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আনন্দিত হলাম আপনার মন্তব্যে।

৬৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

In2the Dark বলেছেন: আফসোস! সব মানুষ যদি আলমের মত চিন্তা করত তাহলে সমাজটা পাল্টে যেত।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: চিন্তা তো কত কিছুই করা যায়! বাস্তবে এর প্রতিফলন কতটুকু পড়ে?

৬৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১৩

In2the Dark বলেছেন: হুম, সমাজের জন্য ভাল চিন্তা করার পাশাপাশি তা বাস্তবায়ন করায় লেগে থাকতে হবে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: নিশ্চয়ই।

৬৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:১৫

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
পাঠকের কল্পনাকে বেশ নেড়েছেন ৷ কোনটি বাস্তব কোথায় চরিত্রের মনঃস্তান্তিক বৈকল্য তাতে শেষপর্যন্ত দ্বিধাদ্বন্ধ থাকবে ৷ ফ্ল্যাশব্যাকে শহুরে ভুলে থাকা বাস্তবতার বিপরীতে আমরা ৷ নৃশংসতার বর্ণনায় খালুর ক্ষেত্রে বেশ ছাড় ছিল ৷ কতিমন নামে বিশেষত্ব যাদু বাস্তবতার আদলে আপনার আরেক গল্পের ম্যাসেজ 'দ্বিধাগ্রস্ত সাহসের মৌসুমে' সঙ্গে সিক্যুয়েল বলা যায় ৷ নিজেকে খোঁজা আর নপুংশক প্রত্যাশা ৷

পাঠক পাঠে নিমগ্ন থাকবে শেষ পর্যন্ত ৷ ভাল থাকবেন ৷

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিদগ্ধ পাঠের জন্যে। শুভকামনা।

৬৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

আলম দীপ্র বলেছেন: আমারে খুনি বানাইলেন হামা ভাই ! সৎ খুনি !

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: B:-/

৬৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭

আলম দীপ্র বলেছেন: বুঝেন নাই ? "আলম" ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ওহ। ভুলেই গেসিলাম!

৭০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩

সুবিদ্ বলেছেন: খুনের বর্ণনাটা 'ডিস্টার্বিং'! অনেকদিন পরে পড়লাম আবারো...

শিরোনামটা পড়ে মার্কেজের 'ক্রনিকল অব এ ডেথ ফোরটোল্ড'-এর কথা মনে পড়ছিলো।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: তাই? আমি অবশ্য মিল পাচ্ছি না। শুভদুপুর সুবিদ।

৭১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২৫

মম্ময় অপর্ণা বলেছেন: গল্পটা পড়তে পড়তে বুঝতে পারছিলাম আসল কাহিনী কোনটা( আপনার লেখার ধরণ চেনা তাই ) । আমরা যারা সাধারণ, ভীতু ভীতু বা এস্কেপিস্ট তারা তো মনে মনেই হ্যাপি হই, বীরত্ব ফলাই, হাতি ঘোড়া মারি। একটু প্রতিবাদী হলেই কিছুটা হলেও প্রতিকার পাওয়া সম্ভব।

একজনের প্রিয় তালিকায় এই পোস্ট টা দেখলাম, তাই পড়তে আসছিলাম।
ভালো থাকেন । একটা মার মার কাট কাট গল্প লেখেন তো, পড়ি !

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: মারমার কাটকাট মানে কী? সাইকো টাইপ? নাহ! নেক্সট গল্পটা রোমান্টিক হওয়ার চান্সই বেশি।

৭২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

মম্ময় অপর্ণা বলেছেন: মার মার কাট টাইপ মানে যা ব্যতিক্রমী, পাঠক ইন এডভান্স কিছু ভাবতেই পারবে না। আচ্ছা লেখেন রোম্যান্টিক গপ। লুতুপুতু যাতে না হয়, ধারালো টাইপ রোম্যান্টিক যাতে হয় । B-)

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকাছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.