নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘুমপর্ব
হঠাৎ করেই আমাদের দেশে যুদ্ধ লেগে গেলো। কতদিন ধরে যুদ্ধ চললো তা মনে নেই। বছরাধিক তো হবেই। যুদ্ধ শেষে তারা সবাই ক্লান্ত, বিদ্ধস্ত এবং পরিশ্রান্ত ছিলো। এক পক্ষ ছিলো জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা, আরেকদল পরাজয়ের বেদনায় বিমূঢ়। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে আমি ছিলাম অন্যতম। কেন যুদ্ধ হয়েছিলো, বলতে অপারগ। যুদ্ধের পুরো সময়টাই আমি তথাকথিত নিরাপদ জায়গায় অন্তরীণ ছিলাম। তথাকথিত বলছি এ কারণে, আসলে এক ইঞ্চি জায়গাও নিরাপদ ছিলো না। আমার সাথে যারা আশ্রয় নিয়েছিলো, তাদের বেশিরভাগই মৃত। নিঝুম মফস্বঃলের ঘুড়ি ওড়ানো দুপুর বা জোনাকরাত, কিছুই যুদ্ধের আওতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে নি। আমি পড়াশোনা করতাম দেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার পর দেশের বাহিরে প্রতিবেশি অঞ্চলের এক পাহাড়ী অঞ্চলে সময় কাটানোর কথা ছিলো আমাদের। কিন্তু আমরা ভাবলাম, বাড়তি দুটো দিন থেকেই যাই। ছয় মাস কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে পরীক্ষার জন্যে। তাই পরীক্ষার পরপরেই ভ্রমণের ধকল পোহাতে চাই নি। আমি, রবি, রাসেল, সিরাজ, মেহেদী আর হীরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থান করে ঘুমিয়ে, কার্ড খেলে, আর নেশা করে কয়েকটা দিন কাটিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। হায়! কী সর্বনাশা সিদ্ধান্তই না ছিলো সেটা! যুদ্ধ বেধে গেলে দেশের বাইরে কোথাও যাবার উপায় ছিলো না। আমরা আটকা পড়ে গেলাম একদম। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলেও থাকার উপায় রইলো না। সেখানে জোর তল্লাশি চলছিলো। আমরা লুকিয়ে কোনমতে শহরের শেষ প্রান্তে একটা ঘর বেছে নিই সস্তায়। সেই এলাকাটায় যুদ্ধ তখনও ছড়িয়ে পড়ে নি। আমাদের টাকা ফুরিয়ে আসছিলো। সমস্ত রকম বিলাসব্যসন বাদ দিতে হয়েছিলো। কিন্তু যুদ্ধ থামছিলো না। আমাদের এখানে সংবাদপত্র আসার ব্যবস্থাও ছিলো না। তাই আমরা যুদ্ধের হালনাগাদ জানতে পারি নি। বিদ্যুতের অভাবে টেলিভিশনও ছিলো অচল। এর তার কাছ থেকে গুজব বা প্রকৃত সংবাদ শুনেই অবস্থা ঠাহর করে নিতে হচ্ছিলো। তাই যুদ্ধ কেন হয়েছিলো, কারা আধিপত্য বিস্তার করছে, আদর্শিক লড়াই বা ক্ষমতার দম্ভ, কোন পক্ষ জিতে যাচ্ছে, আমরা কোন পক্ষে যাবো কিছুই ধারণা করা সম্ভব ছিলো না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি আমাদের দলটা বেশিরভাগ সময়ই ঘুমিয়ে কাটাতো। যুদ্ধাবস্থায়ও এর ব্যত্যয় ঘটে নি। আহা ঘুম! যুদ্ধের বিরুদ্ধে শান্তির ছদ্মবেশে অশ্লীলরকম নিরপেক্ষ থাকার কী দারুণ একটা সুযোগ! আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ সোমত্ত জোয়ান ছেলেই অবশ্য যুদ্ধে গিয়েছিলো। যারা দুর্বল তারাও নৈতিক সমর্থন দিয়ে গেছে। এমন কী মেয়েরাও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছে, পরবর্তীতে তারকাখচিত রণখেতাব পেয়েছে যাদের কেউ কেউ। আমাদের ঘুম এবং অজ্ঞানতা দেখে তারা বিদ্রুপ করতো। কানে তুলো গুঁজে আমরা বধির হয়ে যেতাম। খামোখা আমাদের নিরবিচ্ছিন্ন জীবনে আপদ টেনে আনার কোন মানে হয় না!
যুদ্ধভাষণ
"প্রিয় কমরেডরা, কাগজ কেটে ফুল-ফল, চোর-ডাকাত খেলার সময় নেই এখন। আপনারা জানেন, গত চব্বিশ বছর ধরে আমরা পশ্চিমা পরাশক্তির কাছে নিপীড়িত, নির্যাতিত। এখনও যদি ঘরে বসে থাকি, এখনও যদি অপমান সহ্য করে নিজের আখের গোছানোর নিরাপদ পন্থা অবলম্বন করি, তাহলে এই দেশের মাটি আমাদের ক্ষমা করবে না। দেশের কাছে আমাদের অনেক ঋণ, যেমনটা আমাদের মায়ের কাছে। মৃত্তিকাস্তন পান করে আমরা বলবান হয়েছি, দেশকে মাতৃসম ভেবেছি। এখন ঋণ পরিশোধের সময়। আমাদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চায় ওরা। আমাদের প্রাপ্য সম্মান প্রদান করতে কুণ্ঠিত তারা। আমাদের দেশটাকে তাদের খেলার মাঠ ভেবে যা ইচ্ছে করে যাচ্ছে তারা। আমরা নেতাদের ইঙ্গিতের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু তাদের এক পক্ষ ছিলো বড় আপোষকামী। বন্ধুরা, নেতা ছাড়া যুদ্ধে জয়লাভ করা যায় না। তাই আমরা অপেক্ষায় ছিলাম একজন নেতার উদাত্ত আহবানের। গত সাত তারিখে তিনি আমাদের সর্বস্ব সম্বল করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। মায়ের কাছে আরেক মাকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ো। বাবার কাছে দেশরক্ষার প্রতিজ্ঞা করো। বোনের কাছে তার সম্ভ্রম রক্ষার নিশ্চয়তা দাও। ভাইকে বলো রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়তে। বন্ধুরা, প্রিয় ফুল-ফল খেলার সময় নেই এখন। ঐ শোন দামামা বাজছে যুদ্ধের। নৈতিক শক্তিতে বলবান হয়ে আদর্শের লড়াইয়ে জয়ী হবার প্রতিজ্ঞা করো। অবকাশযাপন রহিত রাখো। একটা পরীক্ষা শেষে আমাদের আরো বড় একটা পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হচ্ছে আজ। এ লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে"।
ঘুমপর্ব
তো এভাবেই শুরু হয়ে গেলো যুদ্ধ। জনৈক মহান দেশবন্ধুর আদেশে নিজের প্রাণটাকে খুচরো পয়সার মতো সস্তা করে বিকিয়ে দিতে প্রস্তুত হলো আমাদের গরিষ্ঠ অংশ। আমরা তখন কেবল ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ঘড়িতে আটটা বাজলে ডাইনিংয়ের ঘন্টা বেজে ওঠে, টুং! ডাইনিংয়ের খাবার আমাদের মুখে রোচে না। তাই বাড়তি খরচ করে বাইরেই খাই। যেহেতু আমরা যুদ্ধে অংশ নিচ্ছি না, সবাই আশা করেছিলো আমরা তাদের পক্ষ অবলম্বন করে নৈতিক সমর্থন দিয়ে যাবো। আসিফ একদিন এসেছিলো তার দল নিয়ে যুদ্ধের মন্ত্রে আমাদের উদ্বুদ্ধ করতে। সে অনেকক্ষণ কড়া নেড়ে চলে গিয়েছিলো। কারণ, আমরা যে তখন গভীর ঘুমে বিভোর! ঘুম থেকে উঠে কিছুটা মদ্যপান এবং আহার শেষে কার্ড খেলতে বসে যেতাম অতি উচ্চলয়ের ধাতব সঙ্গীতের লয়ে মিলমিশ হয়ে। ফলে বাইরের কোন শব্দ আমাদের কানে যেতো না। নিজেদেরকে জন লেননের ইউটোপিয়ান আদর্শে মিথ্যেই বলীয়ান ভেবে শান্তিবাদী সেজে থাকতে বড় আনন্দ। যুদ্ধ হচ্ছে হোক, এখন আমাদের কেউ না ঘাঁটালেই হয়। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যুদ্ধের শেষে বিজয়ী দলের আনন্দমিছিলে আমরা সোৎসাহেই অংশগ্রহণ করবো।
যুদ্ধভাষণ
...অথচ এই লড়াইটা আমাদের একার না। এই লড়াইয়ে সবার অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। আপনারা চাইলেই যুদ্ধবিরোধী অহিংস ভাষণ দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতি কুড়োতে পারেন। আমরা চাইলেই চুপচাপ থেকে মুখ বুঁজে আঘাত আর অপমান সহ্য করে যেতে পারি। কিন্তু তা কী করে সম্ভব বন্ধুরা! কোমল ঘাসে গা এলিয়ে প্রিয়তমার সাথে খুনসুটি করতে গিয়ে তোমরা কি শুনতে পাওনা মাটির কান্না? হাঁটার সময় তোমাদের জুতোয় জীর্ণ বসুন্ধরার তোবড়ানো হাড়কুঁচি আর ক্ষত থেকে নির্গত রক্তবিন্দু পায়ে লেগে যায় না? ঘুমোনোর সময় বাতাসের ফিসফিস শোনো না, আশ্রয় চাইছে তোমার কাছে। তুমিই পারো এ দেশটাকে সামরিক শাসন আর অত্যাচারের জাঁতাকল থেকে বের করে নিয়ে আসতে। এতকিছু জানার পরেও তোমাদের যাদের ঘুমের আবেশ কাটে না, তাদেরকে আমরা বিষবৎ পরিত্যায্য করলাম। শত্রুকে ত্যায্য করা যায় না, কারণ শত্রুর মুখোমুখিই হতে হয়। কিন্তু তথাকথিত নিরপেক্ষ শান্তিবাদীরাই সবচেয়ে ভয়ংকর। বন্ধুরা, দেশের এই পরিস্থিতিতে হয় তুমি আমাদের পক্ষে, নয়তো বিপক্ষে। এর মাঝামাঝি কোন অবস্থান নেই"।
যুদ্ধের আগে ও পরে ঘুমার্তরা
দয়া করে যুদ্ধকালীন অবস্থার কোন খতিয়ান আমাদের কাছে জিজ্ঞেস করবেন না। কোন দেশ হেরে গেলো, স্বদেশ না অন্যদেশ তাতে কিছু এসে যায় না। আমরা শুধু নিরাপদে থাকতে চাই। আরাম করে ঘুমোতে চাই। যুদ্ধের আগের অবস্থা যদি আমাদের ভাষ্যে শুনতে চান, তা খানিক বলা যাবে। আমরা ভালোই ছিলাম। আমরা আমাদের মেধা দিয়ে বিবাদমান দুই পক্ষের ভাষাই আত্মস্থ করেছিলাম। যেকোন একটা ভাষা হলেই আমাদের চলে যেতো। যেকোন একটা জাতীয় সঙ্গীত হলেই আমাদের চলতো। দেশের অন্যভাগের মানুষেরা চৌকস। তারা আমাদের মতো ভেতো না। তারা নিয়মিত রুটি খায়। তারা বলবান এবং সুদর্শন। তারা আমাদের ভাষার কবিতা এবং গানকে ধর্মপরিপন্থী বলে নাকচ করে দিতে চেয়েছিলো। তারা তাদের ভাষাকেই সবখানে প্রচলন করতে চেয়েছিলো। আরে বাবা, সেসব দাবী মেনে নিলেই তো হয়! খামোখা কার্ফিউ ভঙ্গ করে রক্ত বিলোনোর জন্যে ক্ষেপে উঠলে কেন বাপ! আচ্ছা, ক্ষেপে উঠেছিলে ভালোই করেছো। তোমাদের দাবীও প্রতিষ্ঠিত হলো। এখন তোমাদের পক্ষে গান গাইতে কোনো আপত্তি নেই। আমরা তোমাদের ভুলবো না। যাও, বললাম তো ভুলবো না! তো এটাই কি যথেষ্ট ছিলো না? তারপরেও কেন স্বাধিকার, আধা ডজন দফা ইত্যাদি নিয়ে জেল খাটা, আরো রক্ত, ঘাম এবং প্রাণ বিসর্জন? আমাদের দেখে শেখো বুঝলে? আমাদের ঘুমচোখে স্বাধীকারের অবাস্তব স্বপ্ন ধরা দেয় না। এর চেয়ে বরঙ সেইদিন যে সম্মিলিতভাবে স্বপ্ন দেখলাম পশ্চিম আকাশে সামরিক প্রভু সাঁজোয়া যানসহ উদিত হলেন, তা দেখে ভ্রাতৃত্ববোধের স্বপ্নদোষে ভোগা ভালো। সেই স্বপ্নের পর আমাদের সবারই অধিক উত্তেজনায় বীর্য নির্গত হলেও আমরা কেউ পরিষ্কার হবার অভিপ্রায়ে গোসল করি নি। কেউ যদি তোমার ওপর উপগত হতে চায়, এবং তাতে যদি প্রাণটা বাঁচে সেটাই কি শ্রেয় না? আবার কদিন পরে দেখলাম তোমরা ঘোড়দৌড়ের ময়দান দখল করে সমাবেশ করছো। কত মানুষ! হাজার তো ছাড়! লাখ পেরিয়ে নিযুতের ঘরে চলে গিয়েছিলো সংখ্যাটা। সেটা দেখেও আমাদের ভালো লেগেছিলো। নিরপেক্ষভাবে সবকিছু বিশ্লেষণ করতে না পারলে ক্ষান্ত দাও! উজবুকের মতো লড়াই করে প্রাণ খোয়াতে যাওয়া কেন? সেদিন কি বলা হয়েছিলো আমাদের স্পষ্ট খেয়াল নেই। তবে তোমাদের জমায়েত দেখে আশান্বিত এবং শঙ্কিত দুই'ই হয়েছিলাম। আশান্বিত এ কারণে, কোন পক্ষই কারো চেয়ে কম না, শঙ্কার কারণ, যদি এর ফলে যুদ্ধ বেঁধে যায়! আমাদের শান্তিকামী না বালে শান্তিকামুক বলতে পারো। একটু শান্তি পেলে আমরা বর্তে যাই। শান্তিকে দেখে আমাদের কামভাব জাগে। তাই আমরা শান্তিকামুক। এবং তোমাদের ভাষায় "অশ্লীলরকম নিরপেক্ষ"।
এখন...
যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো। আমরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চললাম মুখ গোমড়া করে। একটি নিরাপদ আশ্রয় পেয়ে উল্লসিত হলাম। জায়গাটা সরিসৃপদের শীতনিদ্রার মত যুদ্ধনিদ্রা দেয়ার জন্যে বেশ ভালো। কিন্তু ভালো ব্যাপারগুলো আর সর্বৈব ভালো থাকে কই! একদিন রাতে, আমরা যখন গভীর ঘুমে নিমগ্ন, তখন বিকট আওয়াজে ঘুম ভেঙে গেলো। উঠে দেখি আকাশে চাঁদ তারার বদলে গুলিবৃষ্টি। মর্টারের আলোক রোশনাই। দৃশ্যটা দূর থেকে দেখতে চমৎকার। কিন্ত বিপত্তি বাঁধালো যখন আচমকা একটা মর্টার শেল এসে আমাদের ছয়জনের মাঝে একজনকে ছিনিয়ে নিয়ে গেলো। পরবর্তীতে এই ঘটনা নিয়মিত ঘটতে থাকলো, এবং আমরা ছয়জন থেকে কমে তিনজন হয়ে গেলা। বাকি রইলাম আমি, সিরাজ আর পলাশ। যুদ্ধ সম্পর্কে আপাতত আমরা এই বলতে পারি, আমাদের তিনজন নিহত হয়েছিলো। কারা মেরেছে তা অবশ্য জানতে পারি নি। যদি যুদ্ধের পরাজিত পক্ষ হয়, তবে প্রতিশোধের নেশায় আমরা জয়ী দলকে উচ্চকন্ঠ শ্লোগান দিলেও দিতে পারি। আর যদি জয়ী দলের কর্ম হয় এটা... তাহলে কিছুই করার নেই। আমরা শান্তিকামুক মানুষ। যুদ্ধ বুঝি না, মায়ের ছেঁড়া কাপড়ের অপমান বুঝি না, ভাইয়ের কাফনের কাপড়ের খরচা দিই না, বোনের সম্মান রক্ষাও আড়ম্বর মনে হয়। শান্তি দেখলে আমাদের উত্থিত লিঙ্গ থেকে কামরস বের হয়। আমরা শান্তিকামুক।
যুদ্ধকালীন সময় সম্পর্কে আমরা আরো কিছু তথ্য দিতে পারি। আমাদের মধ্যে সিরাজটা ছিলো একটু বোকা ধরনের। নিরাপদ যুদ্ধনিদ্রার আশ্রয় ছেড়ে সে একদিন গেলো শরীরের আড়মোড়া ভাঙার জন্যে বাইরে হাঁটতে। আমরা নিদ্রালু কন্ঠে পইপই করে নিষেধ করলাম, বাইরে যেও না, যুদ্ধজুজু আছে। সে আর শুনলো কই! সে বাইরে বের হলো, তখন যুদ্ধের অন্তিম অবস্থা। কোন এক পক্ষ জিতে যাচ্ছে, কিন্তু কারা সেটা তা আমরা জানি না। সিরাজ বাইরে গেলো, এবং একদল ছাগলের শিঙের আঘাতে পর্যুদস্ত হলো। ছাগলের দল শুধু এই করেই ক্ষান্ত হয় নি, তাদের চাঁদ-তারা অঙ্কিত শিং নেড়ে তেড়ে এসেছিলো আমাদের ঘর পর্যন্ত। ভাগ্যিস আমাদের ছাগলের ভাষা জানা ছিলো! আমরা সসম্মানে তাদেরকে আমাদের গৃহে অভ্যর্থনা জানালাম। তারা আমাদের আকুল এবং করুণ ব্যা ব্যা শুনে সন্তুষ্ট হলেও সিরাজকে ফাঁসির দন্ড দিলো। ছাগলের দলকে আমরা চিনতাম না। তবে তাদের যুদ্ধংদেহী মনোভাব লক্ষ্য করে ঠিকই বুঝলাম তারা যুদ্ধের কোন এক পক্ষ, স্থানীয় এবং তারা চায়, আমরা যেন তাদের আদেশ অনুযায়ী আমাদের বন্ধুটিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হুকুম তালিম করি। শেষ পর্যন্ত বীরত্বের সাথে আমরা তা করেছিলাম। আমাদের বন্ধুটির শেষ আহারের জন্যে তারা যথেষ্ট পরিমান কাঁঠালপাতা দিয়ে গিয়েছিলো। ফাঁসি কার্যকর করার আগে তাকে খাইয়ে অনেকখানি বেঁচে গিয়েছিলো। যেটা খেয়ে আমরা আকালের সেই সময়ে ক্ষুধানিবৃত্ত করেছিলাম। এই হচ্ছে যুদ্ধ সম্পর্কে আমাদের সর্বশেষ স্মৃতি, এবং একমাত্র বীরত্বগাঁথা। এই সাহসিকতার পুরষ্কার স্বরূপ আমরা কাঁঠালপাতায় ছাগলায়িত বীরচিহ্ন পেয়েছিলাম। সেটা আমরা যত্ন করে রেখে দিই। ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে। আর যদি তারা পরাজিতপক্ষ হয়, যদি বাঘের দল জয়লাভ করে, তবে মধ্যবর্তী প্রাণী, ক্ষমতাবান প্রাণীদের কাছ থেকে সেটা কৌশলে ব্যাঘ্রায়িত করা যাবে খন।
যুদ্ধ শেষ এখন। কারা যেন আনন্দমিছিল করতে করতে এগিয়ে আসছে এখানে। যাক, অবশেষে মিটলো ব্যাপারটা। আমরা, শান্তিকামুকেরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে তাদের বিজয়রথে শামিল হই বন্ধুর লাশ নিয়ে। লাশের চেয়ে ভালো অবলম্বন আর কী আছে জয়ীদের সহানুভূতি পেতে! আমরা নিরপেক্ষ ছিলাম। সুতরাং যে কারো বিজয় মিছিলেই মিশে যেতে পারি।
৪২ বছর পর...
যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত মামলার রায় হয়েছে। তা আবার এক পক্ষের পছন্দ হয় নি। আবার সেই পুরোনো নাটকের মঞ্চায়ন। যুদ্ধের দামামা বেজে উঠলো। শহরের ব্যস্ততম এলাকায় জমায়েত হতে শুরু করলো আবালবৃদ্ধবণিতা। শান্তিকামুক আমরা ততদিনে অনেক পরিণত হয়েছি। আসন্ন সহিংসতার ক্ষতি থেকে বাঁচাতে আমরা তাদের নিবৃত্ত করতে চেষ্টা করি। তাদেরকে বোঝাতে চাই, একজনের অপরাধ প্রায় মওকুফ করা হয়েছে বলে সবাই ক্ষতি স্বীকার করতে পারে না। তাদেরকে প্রশ্ন করি, তারা শুধু এই রায়ের জবাবে একত্রিত হয়েছে কেন। দেশে কি আর কোন সমস্যা নেই? প্রশ্ন করতে গিয়ে মাতৃভাষাটা ভুলে গিয়ে বহুদিন আগে রপ্ত করা ছাগভাষাটা বেশ কাজে লাগে। এই প্রশ্নগুলো করার জন্যে এ ভাষাই সর্বোত্তম। প্রথমে একটু সমস্যা হলেও ছাগলের দল আমাদের সাহস যোগায়। যুদ্ধংদেহী মনোভাব পরিত্যাগ করে তারাও আজ আমাদের মতো নিরপেক্ষ শান্তিকামুক। তবে আমাদের শাণিত যুক্তিগুলো বেয়াদব আবেগের মুখোমুখি হলে আবারও নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে যেতে হয়। এবং পেয়েও যাই। ছাগলের দলের তৈরি বাঁশের কেল্লায় জমায়েত হয়ে সতর্ক নজর রাখি জমায়েত তরুণদের রাগী চোখে। তাদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চললে বিব্রত আমাদের কাছে গল্প এবং কলাম লেখার ফরমায়েশ নিয়ে আসে সুবিধাবাদী সর্বোচ্চ বিক্রীত এবং বিকৃত প্রভাবশালী খবরের কাগজ। দুই দিক থেকেই অবস্থা পোক্ত করে আমরা এবার নিজেদের মনমতো যুদ্ধ এবং প্রতিবাদের লিপি তৈরি করি। একদম নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে। যদিও বিয়াল্লিশ বছর আগেকার যুদ্ধের স্মৃতি ভুলে গিয়েছি আমরা স্টেডিয়ামে ভাতৃত্ববোধের প্রণোদনায় মেতে উঠে বাঘেদের পাশাপাশি পরাজিত ছাগলের দলকেও সমান সমর্থন দেয়ার ফলে।
গত যুদ্ধে অতি সাবধান থাকতে গিয়ে আমাদের বন্ধুদের প্রাণ গিয়েছে। এইবার, পরিণত মস্তিষ্কের আমরা আর তা হতে দেবো না। কখনও সর্বাধিক বিক্রীত এবং বিকৃত কাগজের ছত্রছায়ায়, কখনও বাঁশের কেল্লার কাঁঠালপাতার ছায়ায় বেশ নিরাপদেই থাকি আমরা, নিরপেক্ষ শান্তিকামুকেরা।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬
নিশাত তাসনিম বলেছেন: যে কাজটি একটি একসময় শুধু বাঁশের কেল্লা করতো সে কাজটি এখন মুক্তি যুদ্ধের স্বপক্ষের পরিচয় দেওয়া একটি গ্রুপ করছে।বলা হচ্ছে গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা রাজাকারের ফাঁসির নাম ভাঙিয়ে টাকা খাচ্ছে।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই গল্পে নেতাদের কথা বলা হয় নাই। জাগ্রত তারুণ্যের কথা বলা হয়েছে।
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।+
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ!
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১২
উদাস কিশোর বলেছেন: খুবই ভাল লাগলো
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ কিশোর।
৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৪
বোকামন বলেছেন:
লেখাটি তো পড়লাম। এখন ভাবছি, কতোটা নিরপেক্ষভাবে মন্তব্য করা যায় !
নিরোপেক্ষো !
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! নিরপেক্ষ শব্দটা ক্ষেত্রবিশেষে বেশ অশালীন হতে পারে।
৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
অনেক দিন পর আপনি আর আমি একই দিনে গল্প পোষ্ট করলাম হামা ভাই ! শেষবার গত বছরের জুলাই কিংবা আগস্টের দিকে হবে।
গল্পে গোটা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় থেকে এখনকার পর্যন্ত মীরজাফরপ্রেমী পাপিষ্ঠদের হালচাল খুঁজে পেলাম। তবে এটা সত্যি যে আজ তারা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আজ গল্প দিবস। মামুন ভাইও পোস্ট করেছে।
শুভরাত্রি।
৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৭
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বেশ মজা করেই পরেছি , কাঠালপাতা ভোজীদের দিক টা দুর্দান্ত ভাবে টেনেছেন !
ভালো লাগলো হাসান ভাই !
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অভি।
৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনার লেখা সবসময়ের মতই অসাধারণ। অনেক সময় নিয়ে যত্ন সহকারে লিখেছেন।
Thanks!
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৯
আরজু পনি বলেছেন:
আজ আসলেই গল্প দিবস মনে হচ্ছে !
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু, আপনিও একটা লিখে ফেলতেন!
১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১২
টুম্পা মনি বলেছেন: বরাবরের মতই অসাধারণ!!!!!!!
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পা। শুভকামনা।
১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৪
মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার সব রুপক আর সুররিয়েলিস্টিক বর্ণনায় আমাদের পুড়ে যাওয়ার গল্প । আমরা এখনো যুদ্ধের আগুনে পুড়ছি, এখনো লড়ছি শিঙওয়ালা ছাগল আর তাদের দোসর নির্বীর্য শান্তিকামীদের সঙ্গে বিয়াল্লিশ বছরের অসমাপ্ত যুদ্ধে ।
শত্রুপক্ষের অনুসারীদের মনোজগত থেকে দেখা এক অন্যরকম গল্প ।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই। শুভরাত্রি।
১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩২
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভয়াবহ ধরনের ভাল হয়েছে। তবে যত যাই বলো, ছাগুদের প্রকোপ কিন্তু আগের চেয়ে অনেক কমেছে, অবশ্য আমার পর্যবেক্ষণ শুধু মাত্র ব্লগ কেন্দ্রিক।
এই গল্পে সবচেয়ে ভালো লেগেছে শব্দ নিয়ে কারুকাজ, "ঘোড়দৌড়ের ময়দান, আধা ডজন দফা, শান্তিকামুক, "অশ্লীলরকম নিরপেক্ষ, যুদ্ধজুজু"-- আমি মুগ্ধ বরাবরের মতোই।
তোমার ৫/৬ টা গল্প অপঠিত রয়ে গেছে, একেএকে পড়ে ফেলতে হবে। শুভেচ্ছা রইল।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। ব্লগ থেকে তাদের খেদানো গেছে ঠিকই, তবে বাঁশের কেল্লার লাইক দেখেছেন! বাংলার অনলাইন রাখিব ছাগুমুক্ত।
আপনার পেন্ডিং কমেন্টগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।
শুভরাত্রি।
১৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৫
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
প্রাণটাকে খুচরো পয়সার মতো সস্তা করে বিকিয়ে দিতে প্রস্তুত হলো আমাদের গরিষ্ঠ অংশ।
কোমল ঘাসে গা এলিয়ে প্রিয়তমার সাথে খুনসুটি করতে গিয়ে তোমরা কি শুনতে পাওনা মাটির কান্না?
সত্যিই দারুন লিখেছেন ভাই ।
অনেক ভালোলাগা ।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
১৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৭
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন: ghum porbo ta darun interested ......abaro sundor akta golpo porlam.
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সকাল।
১৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৯
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
অসাধারণ।
উচ্ছারণগুলো প্রচন্ড রকম শক্তিশালী।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ দূর্জয়। শুভরাত্রি।
১৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৮
গোর্কি বলেছেন:
আমার মতে নিরপেক্ষতা হচ্ছে দুই নৌকায় পা দিয়ে চলা এবং অন্যায়'কে সমর্থন করা। ভিন্ন প্লটের ওপর লেখা আপনার আরেকটি অনবদ্য গল্প। ভালো লেগেছে পঠনে। শুভকামনা।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: নিরপেক্ষতা-অনেক ক্ষেত্রেই তাই।
শুভসকাল।
১৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২৯
মুহাম্মদ রাফিউজ্জামান সিফাত বলেছেন: একটু ভিন্ন আঙ্গিকে পরিস্থিতি বুঝানো হলেও মূল বক্তব্য বরাবরের মতোই তীক্ষ্ণ ধারালো ।
ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম হামা ভাই
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সিফাত।
১৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:০৫
অন্তরন্তর বলেছেন:
হ্যাটস অফ হাসান ভাই। আমি গল্প পড়ি নাই মনে হল
আমাদের মহান ভাষা এবং মুক্তিযুদ্ধের বাস্তবতা চোখে
দেখছি। ৪২ বছর হয়ে গেল এখনও জাতি হিসেবে
কলঙ্কিত রয়ে গেলাম। যুবসমাজ জাগছে ধীরে ধীরে এবং
তার একটা ঝলক আমরা দেখেছি। আরও একটা বড় জাগরণের
অপেক্ষায় দিন গুনছি। আসবে সেই দিন,আসতেই হবে কারন
এত রক্তের বিনিময়ে পাওয়া এই দেশে জাগরন না এসে
পারে না। হয়ত আমি দেখে যেতে পারব না কিন্তু আমার
পরবর্তী প্রজন্ম দেখবে।
পোস্ট প্রিয়তে নিলাম। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা
লিখা আমাদের উপহার দেবার জন্য। শুভ কামনা সর্বদা।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২০
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: উপস্থাপনের ভঙ্গীটি ভিন্নধর্মী। লেখাতে প্রবন্ধ ভাবও স্থানে স্থানে এসেছে। শক্তিশালী বুনট।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভদুপুর।
২০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: “কোন দেশ হেরে গেলো, স্বদেশ না অন্যদেশ তাতে কিছু এসে যায় না। আমরা শুধু নিরাপদে থাকতে চাই।”
-শুধু এটুকু নয়... এরপর যা বললেন, তা কবিতার মতো দগ্ধ করেছে। দগ্ধ করুক আরও অনেককে। আমাদের এবার দগ্ধ হবার পালা...
লেখাটি সুন্দর।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
২১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
অচিন্ত্য বলেছেন: +++
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অচিন্ত্য।
২২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪০
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ভাল লাগা বাটনে ২টা ক্লিক !
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগা বাটন আবার কি বস্তু?
২৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৩
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার!! অসাধারণ!! অনবদ্য!! খুব ভাল লেগেছে। কিছু কিছু জায়গায় খুব উপভোগ করেছি। কয়েকটা ব্যাপার উপরের মন্তব্যে এসেছে, আর এই জায়গাটা "কখনও সর্বাধিক বিক্রীত এবং বিকৃত কাগজের ছত্রছায়ায়" !!
ন্যায় অন্যায়ের প্রশ্নে যারা নিরপেক্ষ থাকে, তাদের জন্য করুণাও জাগে না!!
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঐ লাইনটা আমারও খুব প্রিয়। থেংকু!
২৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯
অদৃশ্য বলেছেন:
লিখাটি পাঠের পর দেখতে পাচ্ছি লেখকের শূন্যে ছোড়া তীরগুলো ঠিক জায়গামতোই আঘাত হানছে... আর যার যেভাবে ব্যাথা পাবার কথা ঠিক সেভাবেই ব্যাথা পাচ্ছে...
বড়দের কাছ থেকে শুনেছি যে মানুষ বুঝে এবং না বুঝে ভুল করে... তবে যারা বুঝে ভুল করে তারা সবসময়ই মারাত্বক হয়... তাদের থেকে যতটা সাবধান থাকা যায় ততই মঙ্গল...
লিখাটি খুব ভালো লেগেছে হাসান ভাই...
শুভকামনা...
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকমতো আঘাত করতে পেরেছে যেনে ভালো লাগলো। অনেকে আঘাত পেয়ে চলে গেছে, কোন মন্তব্য করে নি
শুভবিকেল।
২৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: নিরপেক্ষ শান্তিকামুকেরা নিপাত যাক!
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধ্বংস হোক!
২৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭
হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: মাগার একখান কথা মনে হয় ভুইলা গেছেন
বোবার কুনু শত্রু নাই
কিছু কইলেই এক পক্ষ কইব নাস্তিক,আরেক পক্ষ কইব রাজাকার ।
যার যখন যেইটা খারাপ লাগে আর কি ।
আমি আর কি কইতাম ।
একটা কথা বইলা যায়
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: নিরপেক্ষ শান্তিকামুকেরা নিপাত যাক!
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভুইলা যাই নাই। তয় বোবা থাকতে চাই না। আপনি চাইলে থাকতে পারেন।
ধন্যবাদ।
২৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২২
হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: মেলা দিন আগে একটা গল্প লিখছিলা এই যুদ্ধ নিয়া,
সময় থাকলে পড়তে পারেন ২ লাখো মা-বনের ইজ্জত ও ব্যবসা পাগল এক জাতির গল্প ।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়লাম। নির্মম সত্য নিয়ে লেখা গল্প।
২৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২২
এরিস বলেছেন: মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার সব রুপক আর সুররিয়েলিস্টিক বর্ণনায় আমাদের পুড়ে যাওয়ার গল্প । আমরা এখনো যুদ্ধের আগুনে পুড়ছি, এখনো লড়ছি শিঙওয়ালা ছাগল আর তাদের দোসর নির্বীর্য শান্তিকামীদের সঙ্গে বিয়াল্লিশ বছরের অসমাপ্ত যুদ্ধে ।
শত্রুপক্ষের অনুসারীদের মনোজগত থেকে দেখা এক অন্যরকম গল্প
তীক্ষ্ণ ফলা নিয়ে এই গল্পের সারমর্ম দাগ কাটুক অনেকের মনে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ এরিস।
২৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: অশ্লীলরকম নিরপেক্ষ, মৃত্তিকাস্তন, শান্তিকামুক, যুদ্ধজুজু-এর মত শব্দ ব্যাবহার সুন্দর লেগেছে।
জন লেননের ইউটোপিয়ান আদর্শের এলিউশানটাও চিত্তাকর্ষক।
চিত্তাকর্ষক আরও অনেক কিছু, কিন্তু হাসান ভাই, আমার একটা ব্যাক্তিগত অভিমত হল – আপনার এই গল্পের স্টাইলটা আত্মঘাতী। আজকাল অনেকেই কিন্তু খুব মগজ খাটিয়ে পড়ার ঝক্কি নিতে চায় না ।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আবির।
সেক্ষেত্রে তাদেরকে বাধ্য করতে চাই আমি।
৩০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩১
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: বরাবরের মতই একটা ব্যতিক্রমী নামকরণ গল্পের।
এই নিরপেক্ষ শান্তিকামুকেরা কিন্তু আসলে নিরপেক্ষ নয়। এরা কোন কিছু অর্জন করার জন্য যে কষ্ট, ত্যাগ-তিতিক্ষা; এইসবের ঝামেলা এড়িয়ে চলতে চায়। আর এর জন্য যাদের পক্ষ নিতে হবে, তাদের পক্ষেই চলে যায়।
তাই তো অবাক হয়ে দেখি চোখের সামনেই রাজাকারের নাম পালটে যায়। হয়ে যায় নিপাট একজন ভদ্রলোক যার সাথে কোন এক ব্যক্তির নামের খুউউব মিল থাকে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। যুদ্ধ মানুষকে চেনার একটা বড় নিয়ামক।
শুভরাত্রি।
৩১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪২
এহসান সাবির বলেছেন: আপনার লেখা মান নিয়ে বেশি কথা বলবার দরকার নাই আমার তারপরও লিখি
ব্যতিক্রমী লেখা.....!! অনবদ্য লেখা..!!
হামা ভাই আঘাত টা জায়গা মতনই হইছে....... চিরতে চিরতে যাবার কথা....
''কখনও সর্বাধিক বিক্রীত এবং বিকৃত কাগজের ছত্রছায়ায়, কখনও বাঁশের কেল্লার কাঁঠালপাতার ছায়ায় বেশ নিরাপদেই থাকি আমরা......''
মাইরাফালাইছেন পুরা......!!
ফাগুনের শুভেচ্ছা ভাই।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: রূপকীয় বাঁশ দেয়ার মজাই আলাদা। কিছু কৈতেও পারবে না সৈতেও পারবে না
শুভরাত্রি।
৩২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৫৮
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
= পিলাচ !!
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আবার ক্যা!
৩৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: প্রথমে একটু সমস্যা হলেও ছাগলের দল আমাদের সাহস যোগায়
নিরপেক্ষতার চেহারা ! ভালো লেগেছে আর ছাগলীয় চরিত্রাংকন পড়তে মজা লেগেছে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অপর্ণা।
৩৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯
বৃত্তবন্দী শুভ্র বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে বলতে গেলে নিরপেক্ষ বলে কিছু নেই, হয় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নাহলে বিপক্ষে। সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ্র।
৩৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৩
সানজিদা হোসেন বলেছেন: রূপকীয় বাঁশ বালা পাই।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪১
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
খুব ভালো লাগলো লেখাটি! দারুণ ++++++
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৯
আমিজমিদার বলেছেন: কাব্যিক পুন্দানি দিসেন দেখা যায় ভালা পাইলাম।
আরও কিছু কইতাম, কিন্তু বাংলাদেশের হার দেইখা মনমেজাজ বেশি ভাল নাই। পরের গল্পে কমুনে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আইচ্ছা।
৩৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৫
দি সুফি বলেছেন: অসাধারণ লেখা। +++
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
৩৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
কাঁঠাল পাতা সরবরাহ করা হোক বাঁশের কেল্লায়
হাসান ভাই, এই প্রথম সত্য গল্প লিখলেন এবং এই সুবাধাভোগীদের গদাম
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই প্রথম সত্য গল্প মানে? নিরপেক্ষ শান্তিকামুকদের গদাম।
৪০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৪
ইখতামিন বলেছেন:
অসাধারণ লাগলো..
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকু ইখতামিন।
৪১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১১
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: কিছু কিছু লিখা নিয়ে কিছু বলার থাকে না। ইচ্ছেও করে না । এটা তেমন একটা লিখা । বারবার শিহরিত করে, রক্ত গরম করে । আলোচনা সমালোচনা পরের গল্পগুলোর জন্য থাক । এখানে শুধুই শান্তিকামুকেরা নিজেদের অবৈধ কামরসে পিছলে পতিত হোক কাঁঠালবাগানের নিঃসীম অশ্রাব্য গর্ভে ।
শুভেচ্ছা, ভালো থাকবেন ভাইয়া ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আদনান।
৪২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:৫৮
নস্টালজিক বলেছেন: গল্পের পটভূমি এত সুন্দর করে গোছগাছ করসো, শুরুর পর থেমে যাওয়ার সুযোগ নাই আর!
এটাই তোমার সিগনেচার টিউন
আর ,
আর একটা মাস্টারপিস!
টুপি খোলা অভিনন্দন!
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্যাপক উৎসাহিত হইলাম। থ্যাংকিউ মেইট।
৪৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনি সবসময়ই অসাধারণ লেখা উপহার দেন।
ধন্যবাদ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। শুভবিকেল।
৪৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: অসাধারণ লাগলো হামা ভাই!
নিরপেক্ষ শান্তি কামুকরা আর সুবিধাবাদীরা ধ্বংস হোক। তারা আসলে বাংলার সেই জন্মলগ্ন থেকেই “নিরপেক্ষ” ছিলো এবং আজকের “নিরপেক্ষরা”ও তাদেরই বংশধর! এবং আরো একদল আছে “মীরজাফরের” আত্মিক বংশধর!
অসাম রাইটিং। প্রিয়তে নিলাম।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি আশা করেছিলাম এই লেখাটি আপনার ভালো লাগবে। কারণ আমরা যে একই চেতনা ধারণ করি। শুভেচ্ছা মহুয়া।
৪৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪৪
সাদরিল বলেছেন: গল্পটি পরে নিরপেক্ষ নয়, পক্ষপয়াতদুষ্ট হতে ইচ্ছে করছে। থিম ভালো লেগেছে। তবে আপনার আগেকার গল্পগুলোর মতো একটি দুইটি শক্তিশালী সংলাপের অভাব বোধ করেছি
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: সংলাপ লিখতে আমার বেশ ভালো লাগে, তবে এই গল্পটা লিখতে গিয়ে দেখলাম যে সংলাপ আসছে না। তাই ফ্লোয়ের ওপর চালায় দিলাম। একটা গল্প থাকুক সংলাপবিহীন।
ধন্যবাদ সাদরিল।
৪৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:১৩
অনাহূত বলেছেন:
‘রঙানুপাতিক’ও ‘চন্দ্রছাদ’ - এই দুইটার শিরোনাম খুবই পছন্দ আমার। তারপর আসলো ‘নিরপেক্ষ শান্তিকামুকেরা’। প্রত্যেকটা পর্বের একেকটা নাম দিয়েছেন। আপনার লেখার ধাঁচে কিছুটা ভিন্নতা এই লেখায়।
বাট ভেরী শার্প। অন্য গল্পের সাথে তুলনা করে এটাকে বিচার করলে হবে না। শান্তিকামুকরা আলাদা সারিতে থাকুক।
ভাল্লাগসে হাসান ভাই।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকু অর্ণব।
৪৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:১৪
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: আপনি সত্যি জিনিয়াস! ! পড়ে ত শেষ করলাম কিন্তু মন্তব্য দেবার মতো শব্দ ভাষা আমার জানা নাই , এটাকে গল্প হিসেবে নিতেও আমি রাজি নই
শান্তিকামি + নিরপেক্ষ = অশ্লীল রকম নির্লজ্জ
লিখতে থাকুন আজীবন
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: লিখতে চাই আজীবন। ধন্যবাদ সোহেলী।
৪৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪১
একলা চলো রে বলেছেন: গল্পটা আপনারী আর দশটা গল্পের জন্য ডিফ্রেন্ট। আমার অনেক বেশিই ভালো লেগেছে।
জানেন আপনার গল্প পড়তে গেলে আমার একটা ডিকশনারি লিখতে ইছে হয়।
রবীন্দ্রনাথ শেক্সপিয়ারও বোধহয় এত এত নতুন শব্দ তৈরি করেনি।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে শেষের তুলনাটা করে আমাকে বিব্রত করা ঠিক হয়নি আপনার।
৪৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৮
মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: হেই হামা ডিয়ার, অনেক লেখাতে কমেন্ট করা মিস করে ফেল্লাম, কিন্তু পড়া মিস করেনি। এটাও ভালো লেগেছে। টপিক গুলোর বিভাজন স্টাইলটা ভালো লেগেছে।
ভালো থাকো
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস সোনিয়া। নিয়মিত হউ।
৫০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৩
আরিফ রুবেল বলেছেন: " আমাদের শান্তিকামী না বালে শান্তিকামুক বলতে পারো। একটু শান্তি পেলে আমরা বর্তে যাই। শান্তিকে দেখে আমাদের কামভাব জাগে। তাই আমরা শান্তিকামুক। এবং তোমাদের ভাষায় "অশ্লীলরকম নিরপেক্ষ"। ..... আমরা শান্তিকামুক মানুষ। যুদ্ধ বুঝি না, মায়ের ছেঁড়া কাপড়ের অপমান বুঝি না, ভাইয়ের কাফনের কাপড়ের খরচা দিই না, বোনের সম্মান রক্ষাও আড়ম্বর মনে হয়। শান্তি দেখলে আমাদের উত্থিত লিঙ্গ থেকে কামরস বের হয়। আমরা শান্তিকামুক। "
অদ্ভুত সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে তথাকথিত শান্তিবাদীদের চরিত্র।
" ...... শান্তিকামুকেরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে তাদের বিজয়রথে শামিল হই বন্ধুর লাশ নিয়ে। লাশের চেয়ে ভালো অবলম্বন আর কী আছে জয়ীদের সহানুভূতি পেতে! আমরা নিরপেক্ষ ছিলাম। সুতরাং যে কারো বিজয় মিছিলেই মিশে যেতে পারি। "
মুই কি হনুরে ঘরানার সুবিধাবাদীদেরকেও নগ্ন করে ছেড়েছেন
" তাদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চললে বিব্রত আমাদের কাছে গল্প এবং কলাম লেখার ফরমায়েশ নিয়ে আসে সুবিধাবাদী সর্বোচ্চ বিক্রীত এবং বিকৃত প্রভাবশালী খবরের কাগজ। "
যেন এক টুকরো ইতিহাস !!!
তবে সবচেয়ে ভালো হয়েছে শেষ প্যারাটা। অনেক দিন পর আপনার গল্প পড়লাম। অনেক ভালো লেগেছে।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: বিস্তারিত মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। আপনিও গল্পে ফিরুন।
৫১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৪
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
বরাবরের মতই দুর্দান্ত।
ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার
একুশের প্রথম প্রহরটা দারুণভাবে শুরু করার সুযোগ দেয়ার জন্য
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। একুশের চেতনা বুকের ভেতর থাকুক সবসময়।
৫২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪২
আরজু পনি বলেছেন:
শুক্রবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারলাম না । তার আগেই নিয়ে এলাম বইটি, অটোগ্রাফের আশায় জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনারা কেউ যাবেন কি না... চারজন দারুণ লিখিয়ের অটোগ্রাফ এক বইতে পেলে সত্যিই ব্যাপারটা দারুণ হতো ...হায় !
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: কোনভাবেই সময়ের টিউনিংটা হচ্ছে না। কী আর করা পনি আপা!
৫৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৫৮
নোমান নমি বলেছেন: দারুণ হামা ভাই। আপনার সেরা লেখাগুলোর একটা হয়ে গেলো এটা।
ভাগ্যিস আমাদের ছাগলের ভাষা জানা ছিলো! আমরা সসম্মানে তাদেরকে আমাদের গৃহে অভ্যর্থনা জানালাম। তারা আমাদের আকুল এবং করুণ ব্যা ব্যা শুনে সন্তুষ্ট হলেও সিরাজকে ফাঁসির দন্ড দিলো। ছাগলের দলকে আমরা চিনতাম না। তবে তাদের যুদ্ধংদেহী মনোভাব লক্ষ্য করে ঠিকই বুঝলাম তারা যুদ্ধের কোন এক পক্ষ,
এখানে প্রথম লাইনে ছাগলের ভাষা জানা ছিলো লেখার পর একদম শেষ লাইনটা " ছাগলের দলকে আমরা চিনতাম না। তবে তাদের যুদ্ধংদেহী মনোভাব লক্ষ্য করে ঠিকই বুঝলাম তারা যুদ্ধের কোন এক পক্ষ"-দেয়াটা কেমন যেন মনে হইছে। একটু দেইখেন।
প্রিয়তে নিলাম
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকু। এখানে আসলে ছাগলের ভাষা জানা ছিলো কথাটা একটা বিদ্রুপ। সুবিধাবাদী নিরপেক্ষরা নিম্নস্তরের জীবদের সাথে সহজেই কমিউনিকেট করতে পারে, নিম্নতম আচরণ, নীতি বিসর্জন দিয়ে; তাদেরই মানায়। এজন্যে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ছাগলের দলকে তারা চিনুক বা না চিনুক তাদের ভাষাটা ঠিকই রপ্ত করতে পারে।
৫৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: শান্তিকামুকদের ঘুম ভাঙ্গুক।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: যারা জেগে জেগে ঘুমায় তাদের জাগানো কঠিন!
৫৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৪
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপন আর বর্ণনা। দারুণ লাগল।
আসলেই এটি আপনার অন্যতম একটি লেখা।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন কর। শুভরাত্রি।
৫৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৫৫
রাসেলহাসান বলেছেন: ভালো লাগলো। সুন্দর পোষ্ট।।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
৫৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯
আবু সালেহ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট......আছেন কেমন????
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। এই তো আছি। আপনি ভালো আছেন আশা করি।
৫৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩
সুদীপ্ত কর বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য লগিন করলাম। আপনার ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট....
ভালো লাগসে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুনে খুব ভালো লাগলো। নিয়মিত লগ ইন কইরো।
৫৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪০
কাফের বলেছেন: এরা কি আসলেই নিরপেক্ষ? যুদ্ধের সময় ছাগল পালের সামনে তো তারা নিরপেক্ষ ছিলনা!
এরা আসলে গিরগিটি পক্ষ বুইঝা রংটা পালটাইয়া নেয় আরকি!
অনেকে অভিযোগ করতে পারে আপনে শুধু গল্পই লেখেন বইলা।
আমার কথা আপনার গল্পেইতো সব থাকে!
আর বাঁশেরকেল্লার লাইক আসে মাদ্রাসা থেকে, তারা বাঁশেরকেল্লায় লাইক দেওয়াটা ঈমানি দ্বায়িত্ব মনে করে!
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। গল্প লেখা তাইলে চালায় যাই কী কন!
শুভবিকেল।
৬০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪
সায়েম মুন বলেছেন: চমৎকার প্লট। নিরপেক্ষ শান্তকামুকেরা বরাবার কোন না কোন ছত্রছায়ায় থাকে। এন্ডিংটাও পারফেক্ট।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ চন্দ্রসায়েম। শুভবিকেল।
৬১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫
আরুশা বলেছেন: চমৎকার! অসাধারণ পোস্ট ।++++্
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরুশা।
৬২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: এইসব শান্তিকামুকদের নিয়েই যত জ্বালা
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু! ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
৬৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:৩১
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: আমরাই আসলে নিরপেক্ষ শান্তিকামুকেরা.......................বসে থাকি, ভাবি,শুয়ে থাক, কাম করি,কাজ করি, কিন্তু আসলেই আমরা শান্তিকামুক অশান্তিতে আছি,,,,,,,,,,,
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠের জন্যে ধন্যবাদ তুহিন।
৬৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪
মায়াবী ছায়া বলেছেন: দারুন শক্তিশালী লিখা। উপস্থাপনা অসাধারন,,,,,,,, অনেক ভাল লেগেছে পড়ে,,,,।।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মায়াবী। শুভবীকেল।
৬৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১৫
কালীদাস বলেছেন: মাস্টারপিস।
আমি মডারেটর হলে স্টিকি করতাম লেখাটা। অসাধারণ।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভুল জায়গায় ভুল লোক। মডারেটরদের জায়গায় কেন যে আপনি থাকলেন না!
৬৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৮
ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: পোস্ট নিয়ে কিছু বলার নাই,অনেক ভালো ছিল!
কিন্তু বস ছবিখান কই পাইসেন?এপিক ছিল!!!
০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: টিহি! গুগলে সঠিকভাবে সার্চ করলে কই না পাওয়া যায়!
৬৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ রাত ১:২২
আমি সাদমান সাদিক বলেছেন: চমৎকার , হামা ভাই ।।
০২ রা মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সাদিক। শুভসকাল।
৬৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:৪২
আফ্রি আয়েশা বলেছেন:
অসাধারণ!
চমৎকার লিখেন
০২ রা মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আয়েশা।
৬৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭
অর্ক হাসনাত কুয়েটিয়ান বলেছেন: দুর্দান্ত।
০৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকিউ।
৭০| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমার একয়দিনে পড়া অন্যতম সেরা গল্প এটা। দুর্দান্ত বিদ্রূপ আর কাহিনি বর্ণনের সমন্বয়। তবে আপনার অন্যতম বেস্ট বলব না।
মুগ্ধতা।
১৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রফেসর। শুভরাত্রি।
৭১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
একজন সচেতন মানুষের গল্প । খেদ এর গল্প ।
৩০ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।
৭২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৬
বৃতি বলেছেন: গল্পটা আগে পড়েছিলাম, মন্তব্য করা হয়নি তখন। খুব সুন্দর লিখেছেন।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বৃতি। শুভদুপুর।
৭৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৬
আমার আমিত্ব বলেছেন: আগেই পড়েছিলাম। তখন মন্তব্য করবার সুজোগ ছিল না।
খুব প্রিয় একটা লেখা।
০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ।
৭৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯
In2the Dark বলেছেন: "গত যুদ্ধে অতি সাবধান
থাকতে গিয়ে আমাদের বন্ধুদের প্রাণ
গিয়েছে। এইবার, পরিণত মস্তিষ্কের
আমরা আর তা হতে দেবো না। "
ভাল লাগলো।
১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৭৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:২৩
জেন রসি বলেছেন: আমরা মনে হয় আবার ঘুমিয়ে যাচ্ছি।
পোষ্ট প্রিয়তে নিলাম।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জেন। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭
অদিব বলেছেন: বরাবরের মতই আপনার লেখা অসাধারণ লাগলো! শুভকামনা থাকলো হাসান ভাই।