নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোট্ট একটা নিউজ এজেন্সিতে বরাতজোরে চাকুরি মিলে গেছে আমার সম্প্রতি। কাজকর্মের চাপ প্রচণ্ড। দিনে আট ঘন্টা প্রায় বিরতিহীন কাজ করতে হয়। বেতন সে তুলনায় সামান্যই। তারপরেও একটা ঠাঁট বজায় রেখে চলতে পারি এই যা ভালো দিক! কেউ প্রশ্ন করলে গম্ভীরভাবে পকেট থেকে আইডি কার্ডটা বের করে দিয়ে বলি, সাংবাদিকতা পেশায় আছি। কথাটায় একটা শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। সাংবাদিকতা বলতে যা বোঝায়, খবরের খোঁজে দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘোরাঘুরি, অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে খবরের ভেতরের খবরের ব্যাপক তত্ত্বতালাশ, সেরকম কিছুই আমাকে করতে হয় না। আমার কাজটা নিউজ প্রেজেন্টারের নয়, নিউজ পাবলিশারের। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সাংবাদিকেরা মেইল করে খবর পাঠায়, সেগুলো পরিমার্জন করে প্রকাশ করি। অবশ্য আমার মূল কাজ এটা না। মূল কাজ হলো অন্যান্য জাতীয়, স্থানীয় সংবাদপত্র, বিবিধ অনলাইন নিউজ এজেন্সি প্রভৃতি থেকে খবর একটু এদিক ওদিক করে পাবলিশ করা। বেশিরভাগ সময়ই পারলে কপি পেস্ট করে দিই। আমার বসের কাছে খবরের কোয়ালিটির চেয়ে কোয়ানটিটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। তাই আট ঘন্টায় শতাধিক খবর প্রকাশ করে তাকে খুশি করতে পারলেই সেদিনটা একদম বৃথা যায় নি বলে মনে করি। অবশ্য মাঝেমধ্যে কিছু খবর আমি নিজেই লিখি। স্পোর্টস বা গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড এর আমার পরিচিত তারকা বা দল উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন করলে আবেগাপ্লুত হয়ে নিজেই লিখি মনের মতো করে। যেমন সেদিন মোহামেডান স্বাধীনতা দিবস গোল্ডকাপ এর শিরোপা জেতার পর এমনভাবে সংবাদটি পরিবেশন করেছিলাম, যেন আমি নিজেই উপস্থিত ছিলাম মাঠে। সাথে ছোটবেলার স্মৃতিচারণা, ফুটবল ঐতিহ্যের বিলীন দশা নিয়ে হাপিত্যেশ; সব মিলিয়ে বেশ মনগ্রাহী খবর হয়েছিলো একটা। এসব খবর যখন নিজের নামে প্রকাশ করি এবং পাঠকের প্রশংসা পাই, বেশ ভালো লাগে। অপেক্ষা করি, কবে এই পরিমাণকে মানের মাপকাঠি হিসেবে গণ্য করা বাজে নিউজ এজেন্সিটা থেকে চলে গিয়ে ভালো জায়গায় নিজের স্থান পোক্ত করতে পারবো। তবে তার আগে এই মেছোবাজারের হল্লাময় অফিসরুমে বসে কাট-কপি-পেস্ট এর মাঝে নিজের নামের সুলিখিত কিছু খবর প্রকাশ করতে হবে রেফারেন্স হিসেবে। এসব খবরের স্বত্ত্ব শুধুই আমার। ভবিষ্যতের হিসেবী পরিকল্পনার সাথে যাতে জড়িয়ে রয়েছে বিশুদ্ধ আবেগ।
এমনিতে কী ধরণের খবর বেশি চাউর হয়, পঠনের শীর্ষে থাকে তা অবশ্য আপনারা জানেন, কারণ আপনারাই তো পাঠক! এত গুরুত্বপূর্ণ সব খবর আমার মাধ্যমে পাবলিশড হয়, অথচ পাঠের শীর্ষে থাকে পর্ন তারকার অন্তর্বাস বিচ্ছেদ, কী করিলে যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতি হইবে, কার উলঙ্গ ছবি বা ভিডিও বের হয়েছে, কোন তারকা অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেছে এসব। আর আছে খুন, অপঘাতে মৃত্যু, দুর্ঘটনা ইত্যাদি। মৃত্যু যে এমন মারমুখো হয়ে চতুর্মুখে ধেয়ে আসছে, এত রকমভাবে, ভাবতেই কেমন একটা ভয়ার্ত অনুভূতি হয়। হবিগঞ্জে কেউ ব্রিজের দেয়াল ধ্বসে পড়ে গেলো তো ধানমণ্ডিতে ইলেক্ট্রিক মিস্তিরি হাই ভোল্টের শক খেয়ে মরলো। চরফ্যাশনে জমির দখল নিয়ে মারামারি করতে গিয়ে কেউ কোপ খেলো তো দামুড়হুদায় কারো মাথায় গাছের ডাল ভেঙে পড়লো। সারাদিনে যতরকম সংবাদ পাবলিশ করি তার বেশিরভাগই এমন মৃত্যু সম্পর্কিত। কিছু কিছু মৃত্যু খুব করুণ, কিছু মৃত্যু অদ্ভুত, কিছু নৃশংস। আমার অবশ্য অতসব যাচাই করে সমব্যথী হবার ফুরসৎ নেই। তার চেয়ে ভাবা ভালো কোন মৃত্যুটির খবর মানুষে বেশি পড়বে। আমি বেশিরভাগ সময় কপি-পেস্টে কাজ সারতে চাইলেও আমার বস তুহিন ভাইয়ের তাগাদায় মাঝেমধ্যে মর্মস্পর্শী বা আহাজারিমূলক লাইন, যেমন "এখন কে দেবে অনাথ সন্তানদুটোকে বেঁচে থাকার নিরাপত্তা?" অথবা "আমাদের দেশ আজ পরিণত হয়েছে নরখাদকদের ভোজসভায়" এমন কিছু যুক্ত করে দিতে হয়। এতে করে তিনি বেশ সন্তুষ্ট হন।
আজকে একটার পর একটা অদ্ভুত আর বিষণ্ণ মৃত্যুর খবর আসছে।
ময়মনসিংহে বয়লার বিস্ফোরণে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু ,বগুড়ার সোনাতলায় পুকুরে ডুবে ভাইবোনের মৃত্যু, বালাগঞ্জে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত, কুড়িগ্রামে বিদ্যুতায়ীত হয়ে মেকানিকের মৃত্যু ,সিলেটে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, চালক নিহত ,হবিগঞ্জে নৌকাডুবিতে মা-ছেলেসহ নিহত...
দম ফেলবার জো নেই। একটানা কাজ করে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে যখন ভাবছি তুহিন ভাইকে বলে একটু চা খেতে যাবো নীচে, ঠিক তখনই আশীর্বাদের মতো আমাদের অফিসের নেট সংযোগ গেলো বিচ্ছিন্ন হয়ে। খবর পেলাম, আগামী আধা ঘন্টার মধ্যে আর ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। খোশমেজাজে আমার খুপড়ি রুমটা থেকে বের হয়ে তুহিন ভাইয়ের অপ্রসন্ন মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে সহকর্মী শফিককে নিয়ে চা খেতে বেড়ুলাম। শফিক ছেলেটা চা খাবার সঙ্গী হিসেবে বেশ ভালো। বয়স কম, কল্পনাপ্রবণ। নানারকম আজগুবী কথা বলে পরিবেশটাকে হালকা রাখে। যেমন আজকেই চা খেতে খেতে বলছিলো,
-বুঝলেন ববি ভাই, খবরের কাজ করতে গিয়া মাঝখান থিকা মনে হয় নিজেই খবর হয়া যাই।
-কেমনে খবর হইবা?
-আরে খবর হওয়া কোন বিষয় নাকি! রাস্তা দিয়া হাঁটতে গিয়া একটা ট্রাকের লগে ধাক্কা খায়া অক্কা তুললেন, আপনি হয়া গেলেন খবর!
এই হলো শফিক! অম্লানবদনে এমন সব নির্মম কথা বলে যেগুলো বাস্তবে রূপদান করা কঠিন!
-কিংবা মনে করেন বাসার কাজের মেয়েটারে ধর্ষণ কইরা তার চোখ দুইটা উপড়ায়া দু... স্যরি বড়ভাই আই মিন ব্রেস্ট কাইটা কাবাব বানায়া খাইলেন, আপনি তো টক অফ দ্যা কান্ট্রি হয়া যাবেন ভাই!
আমি বেশ বিরক্ত হবার ভান করি ওর এসব নির্মম রসিকতায়। তবে অংশগ্রহণের লোভটাও সামলাতে পারি না,
-তুমি না বড্ড বেশি ফাল পাড়ো। সাইকো জাতীয় চিন্তা ভাবনা সব। এর চেয়ে এক কাজ করি আসো, তুহিন ভাইকে গুম কইরা ফালাই। হালার কাছে দুই মাসের বেতন বাকি।
-এইটা একটা ভালো আইডিয়া দিছেন বড় ভাই। গাধার মতো খাটাইবো, সাপ্তাহিক ছুটি বইলা কিছু নাই, কইলে আবার বড় বড় কথা, "সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। সাংবাদিক আর ডাক্তারদের কোন ছুটি নেই। ভালো সাংবাদিক হতে হলে তোমাকে সর্বক্ষণ সৃজনশীল চিন্তা করতে হবে। ইভেন আমি যখন কমোডে বসি, তখনও ট্যাবটা সাথে নিয়ে যাই নিউজ সম্পর্কে আপডেটেড থাকার জন্যে"
নিখুঁতভাবে তুহিন ভাইয়ের বাচনভঙ্গি নকল করে বেশ একটা হাস্যমুখর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটায় সে। আমিও ফোড়ন কাটি,
-হ! সে ট্যাব নিয়া ইয়ে করতে যায়, আর আমগো আদ্যিকালের মোবাইলে নেটের কানেকশনই নাই। বড় বড় কথা কয় খালি, বাল!
এভাবে চা খেতে খেতে আমরা তুহিন ভাইয়ের বড় বড় কথা বলার নিন্দে করি, এবং তাকে কীভাবে শায়েস্তা করা যায় তা নিয়ে বিশাল সব পরিকল্পনা আঁটি। ইতিমধ্যে খবর এসে যায় যে নেটের লাইন ঠিকঠাক হয়েছে। কাজে নেমে পড়তে হবে। চাপান এবং কথার বাণে আমরা বেশ সতেজ অনুভব করে কাজ করতে বসে যাই ফের।
কাজে মন বসে না আমার। নানারকম ভুল করতে থাকি। শফিক ছেলেটার প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা প্রবল। ওর সাথে কিছুক্ষণ কথা বললেই তার বাকপটুতার সাথে এক ধরণের সন্ধি সৃষ্টি হয়। মনে হয় যে তার কথাটাই সঠিক, এবং এমনটাই হওয়া উচিত। এই যেমন গত আধা ঘন্টার চা-পানকালীন সময়ে সে তুহিন ভাইকে গুম করার কথা হাস্যচ্ছলে বলেও জাগিয়ে তুলেছে আমার অপরাধী স্বত্ত্বা। ধর্ষণের পর বিকৃত খাদ্যরূচি চারিতার্থ করার কথা বলে জাগ্রত করেছে আমার ভেতরের পশুটাকে। আমার বারবার ইচ্ছে করে এমন কোন খবর লিখতে, "প্রভাবশালী সংবাদব্যক্তিত্ব তুহিন আহমেদ গুমঃ নেপথ্যে বেতন নিয়ে কর্মচারীদের সাথে গোলযোগ"। শফিকের যে কথাটি আমাকে সবচেয়ে আলোড়িত করেছিলো, তা হলো খবর করতে গিয়ে নিজেরই খবর হয়ে যাওয়া। যেকোন ভাবে! গুম, খুন, ধর্ষণ...উপায়ের তো অভাব নেই। নিজে মরো, অথবা অন্যকে মারো। কোথাকার কোন কুলিয়ারচড়ের শ্রমিক ট্রাকের ধাক্কায়, সাতকানিয়ার গৃহবধু গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে, কুলাউড়ার কিশোরী প্রেমে বঞ্চিত হয়ে সারাদেশের মানুষের কাছে আকর্ষণীয় নিউজ আইটেম হিসেবে পৌঁছে যাচ্ছে, আর আমি! আমি কবে এই কপি-পেস্টের অসৃজনশীল চৌখুপি থেকে বেরুতে পারবো? নাহ, যেসব উপায়ের কথা ভাবছি সেসব করার মতো হিম্মত নেই আমার। নিজের নাম প্রকাশের সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে নিজে নিজে কোন আর্টিক্যাল লেখা। বার্সেলোনা-এ্যাটলেটিকোর মহারণ আজকে। এই খেলা নিয়ে আমার কত আগ্রহ! কিন্তু মনমতো লিখতে হলে তো সময় দরকার কিছু। তুহিন ভাইয়ের বেঁধে দেয়া প্রতিদিন কমপক্ষে একশটা নিউজ পাবলিশ করতে গেলে সে সময় কদাচিৎ পাওয়া যায়। ঠিক আছে, আমিও দেখে নেবো... সময় তো আর ফুরিয়ে যায় নি। একদিন নিজেই একটা নিউজ এজেন্সি খুলে বসবো। তখন দেখা যাবে...
-ববি!
তুহিন ভাইয়ের রাগত স্বর ফোনে। হকচকিয়ে গেলাম। আমি আবার কী দোষ করলাম!
-জ্বী তুহিন ভাই বলেন!
-গত তিনদিনে তোমার কাজের রেকর্ড শোনো, সোমবার কাজ করেছো সাত ঘন্টা উনপঞ্চাশ মিনিট, নিউজ দিয়েছো ৮৭ টা। মঙ্গলবার সাত ঘন্টা সাতান্ন মিনিটে ৮১ টা, বুধবার আট ঘন্টায় ৯৮ টা। অর্থাৎ মোট চৌদ্দ মিনিট কম কাজ করেছো, নিউজের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৩৪ টা দূরে। একটা মিনিট বেশি কাজ করতে চাও না তোমরা। তোমাদের দিয়ে হবেটা কী?
-তুহিন ভাই, নেটের লাইন স্লো থাকে, তারপর ধরেন যাচাই বাছাই করতে গিয়ে...
আমি মিনমিনিয়ে অস্পষ্ট স্বরে কথা অসম্পূর্ণ রাখি।
-নেটের লাইন ঠিকই আছে। আর যাচাই বাছাই করার জন্যে যে স্পিড সেটা তোমাকে অর্জন করেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছুতে হবে। তোমাদের আসল সমস্যা হলো গিয়ে মোটিভেশনের অভাব। এমন মহৎ একটা পেশায় নিয়োজিত হবার সুযোগ পেয়েছো আমার মাধ্যমে অথচ এই যে লেইজি বোনস...
শুরু করে দিয়েছে আবারও জ্ঞানগর্ভ কথাবার্তা! আমার ইচ্ছে করে তাকে চিবিয়ে চিবিয়ে বলি, "মিস্টার তুহিন, দু মাসের টাকা বাকি রাখলে মোটিভেশনটা আসবে কোথা থেকে শুনি?" কিন্তু সবেধন নীলমনি চাকুরিটা হারাবার শঙ্কায় আমার কিছু বলা হয়ে ওঠে না। আমি ফোন রেখে দ্রুত কাজ করতে থাকি।
যা হয় হোক! পঞ্চগড়ে দু মাথা অলা বাছুর হোক, ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্ষিত তরুণী কে দোররা মারা হোক, ময়মনসিংহের মার্কেটে চাঁদাবাজী, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বজ্রপাতে মৃত্যু, তামাবিল সীমান্তে মৃত্যু, পর্নস্টারের সাবানের ব্র্যান্ড পরিবর্তন, পাঁচতারা হোটেলে পাঁচমিশালী মানুষ মিলে দেশের উন্নয়নের অলীক প্রবন্ধ পাঠ, হোক! আমার তাতে কী! আমি অর্ধযন্ত্র অর্ধমানবের মতো কাজ না করতে পারলে আমাকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বের করে দেয়া হবে। তখন শালা ফকিরারপুল থেকে লিভারপুল কোথাও একটা শোর উঠবে না। আমার কী! ভীষণ ক্ষেপে গিয়ে কাজ করতে করতে খেয়াল করি ১০০টা খবর পাবলিশ হয়ে গেছে! আরো আধাঘন্টা বাকি আমার কর্মঘন্টার। আহ! এই সময়টা শুধুই আমার। এখন আর তুহিন ভাইয়ের রোষকষায়িত লোচনের ভয়ে তটস্থ থাকতে হবে না। এবার আমি লিখবো খবর আমার মনের মতন করে। অন্তর্জালের কোন এক ক্ষুদ্র পরিসরে জ্বলজ্বল করে জ্বলবে আমার নাম। এই তো আমার স্বপ্নপূরণের সিঁড়ি দেখতে পাচ্ছি। যদিও এটা কেবল একটামাত্র ধাপ, তবে শুরু করলেই শেষ করা যাবে, একদিন পৌঁছে যাব স্বপ্নসিঁড়ির শীর্ষে। কী নিয়ে লেখা যায়!
ভাবছি আমি। ভাবতে গিয়ে বেশি সময় যেন নষ্ট না হয় আবার সে চিন্তাও অবশ্য ধর্তব্যের মধ্যে রাখতে হচ্ছে। জ্যাম ঠেলে বাসায় গিয়ে আবার রান্না করা... সে যাক। কী নিয়ে লেখা যায়? আজকের বার্সা এ্যাটলেটিকোর মহারণ? কে হবে চাম্পিয়্যান? আমার প্রিয় গীতিকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কোথাও কোন লেখা দেখলাম না। তাকে নিয়ে অবশ্যই লেখা যায়। ওহ...না, সেদিন একটা সিনেমা দেখে খুব উদ্বেলিত হয়েছিলাম। ডাস্টিন হফম্যানের রোমান্টিক কমেডি, টুটসি। এটা নিয়ে চমৎকার একটা মুভি রিভিউ হতে পারে। আর এই লেখাটা যদি সুধীমহলে প্রশংসিত হয় তাহলে তো কথাই নেই! দুই মাসের বেতন গচ্চা দিয়ে তুহিন মিয়ার সামনে দিয়ে গটগট করে হেঁটে যাবো সৃজনোন্নত কোন প্রতিষ্ঠানে।
হঠাৎ...
তীব্র তাপে আমার শরীর শিউরে উঠলো। প্রচণ্ড শব্দ আর আলোর ঝলকানিতে আমি যেন এক টুকরো নরকে নিক্ষিপ্ত হলাম। আমার কাপড় পুড়ছে, শরীর পুড়ছে, ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে আসছে, সাহায্য করার মতো কেউ নেই। সবাই চলে গেছে। পাশের ঘর থেকে শফিকের ব্যাকুল চিৎকার শুনতে পাচ্ছি,
-ববি ভাই, আপনে কই? ঠিক আছেন?
ঠিক থাকি কীভাবে যখন শরীরের চামড়া পুড়ে বারুদে গন্ধ বেরোয়? আমার চামড়া যেন গলে গেছে, এখন হাড্ডির ভেতর ঢুকছে আগুন। কী কষ্ট! কী কষ্ট! হাড্ডিও যেন গলিয়ে ফেলবে। শরীরের সবখানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ছোট ছোট অগ্নিমিছিল মৃত্যুর শ্লোগান নিয়ে অগ্রসর হয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে জীবনের স্থাপনাসমূহ। ভেঙে পড়ছি আমি, এতক্ষণ ছোটাছুটি করছিলাম নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে, বুঝে গেছি ও পাওয়া সম্ভব হবে না আমার আর। নেতিয়ে পড়ছি, শুনতে পারছি মৃত্যুর বারতা।
ফোনটা বাজছে। আগুন নিভে গেছে। আমি পুড়ে গেছি। হয়তো বা মারা গেছি, বা যাবো। ফোনটা কী করে বেঁচে থাকলো কে জানে!
-ববি! তুমি নাকি শর্ট সার্কিটের আগুনে পুড়ে মারা গেছো?
ওহ তাহলে ওটা শর্ট সার্কিটের আগুন ছিলো? ওহ, আমি মারা গেছি শেষ অবধি!
-জ্বী তুহিন ভাই।
-নিউজ কই? আরে এমন একটা নিউজ হাতের কাছে পেয়ে তুমি কভার করতে পারলা না? নিজের মৃত্যু, নিজে সংঘটিত হতে দেখলা অথচ একটা নিউজ বানাইতে পারলা না? তোমাদের দিয়ে হবে টা কী? খামোখা আইডি কার্ড দিছিলাম। আর তোমরা কোন কিছু ঘটতে দেখো না, খালি কপি পেস্ট করতে হবে বলে হাহাকার করো, এখন কী! শিগগীর নিউজ করো! রাখি।
তুহিন ভাই ফোন রেখে দেয়। পোড়াকাঠের মত হাতটা নিয়ে জীবিত অথবা মৃত অথবা জীবন্মৃত আমি কম্পিউটারের কিবোর্ডটা খুঁজে ফিরি। আমি সম্ভবত মৃতই। তুহিন ভাইয়ের কাছ থেকে পাওয়া খবর, নির্ভরযোগ্য নিঃসন্দেহে। এতদিনে তুহিন ভাইয়ের কথার সাথে আমার মনোভাব মিলে যায়। নিজের সামনে নিজেকে মরতে দেখলাম, আর এত বড় খবরটা পাবলিশ না করেই চলে যাবো! আমার ফোনের ক্যামেরাটা ছাই নষ্ট। না হয় একটা সেলফি তোলা যেতো বেশ। খবরের সাথে ছবি এ্যাটাচ করলে তা বিকোয় ভালো। আর আমার এখনকার যা চেহারা, নিঃসন্দেহে বিভৎস। মানুষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হবে সহজেই। আমার ছবি ছাপা হবে, আমার নাম ছাপা হবে, আমি নিজে থেকে সৃজনশীল কিছু করতে পারবো, কিন্তু সে সুযোগ কোথায়! কাঠপোড়া হাত দিয়ে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া কম্পিউটারের নাগাল পাওয়া কঠিন ব্যাপার। ওদিকে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি চলে এসেছে আমায় বাঁচাবে বলে। আমার জীবনপাত্রে জোর চুমুক দিচ্ছে কারা? আমি নেই আমি নেই আমি নেই। চলে যাও ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি, চলে যাও শব সংকীর্তণকারী, জীবন মৃত্যুর মত বড় বড় ব্যাপার একজন পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া মানুষের কাছে কোন অর্থ বহন করে না। তবে জীবন থেকে মরণে চলে যাবার পরের মুহূর্তের রিফ্লেক্সে কারো শরীর যদি নড়ে উঠে নিজের মৃত্যুসংবাদকে পণ্য হিসেবে বিকোনোর, নিজের নাম এবং ছবি প্রচারের সুযোগ পায়, তবে তোমরা বাধা দাও কেন?
ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির সাইরেন উপেক্ষা করে কর্কশ শব্দে আবার আমার ফোন বেজে ওঠে।
তুহিন ভাই।
১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
২| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৩২
বৃতি বলেছেন: ভাল লাগলো
১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি।
৩| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪১
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: +
১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ প্লাসের জন্যে।
৪| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১১
মামুন রশিদ বলেছেন: জীবন থেকে মরণে চলে যাবার পরের মুহূর্তের রিফ্লেক্সে কারো শরীর যদি নড়ে উঠে নিজের মৃত্যুসংবাদকে পণ্য হিসেবে বিকোনোর, নিজের নাম এবং ছবি প্রচারের সুযোগ পায়, তবে তোমরা বাধা দাও কেন?
নিউজ এজেন্সিগুলোর মুখোশ ভালো করেই উন্মোচন করেছেন । আমার ভালো লেগেছে গল্পের দ্বিতীয় দিকটি, অবচেতনেও আমরা বাস্তবের চাপকে এড়াতে পারি না । আর তুহিন ভাইরা মৃত্যু দেখেনা, মৃত্যুকে উপজীব্য করে খবর কতটা পাঠকপ্রিয় হলো তা দেখে ।
ভালো লেগেছে গল্প ।
১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই। আপনার কমেন্টে পুরো গল্পটাই উঠে এলো।
শুভেচ্ছা।
৫| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:২৩
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ২য় ভালোলাগা
১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৪১
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: লেখার স্টাইল তো পুরো ঝাঁকি দিয়ে বদলে ফেলেছেন, হাসান ভাই!
ডি এল রায় কে শুধু গীতিকার হিসেবে কিন্তু উল্লেখ করাটা ঠিক হবে না। তিনি নানামুখি প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তার চাটুকারেরা গোঁড়ার দিকে রবীন্দ্রনাথের সাথেও তার তুলনা করে উনার মাথা বিগড়ানোয় ভাল ভুমিকা রাখে।
আর গল্পের মধ্যে আরও খানিকটা জটিলতা আশা করেছিলাম। তবে সাংবাদিকতার যে নোংরা বিপণনমনস্কতা তুলে ধরতে চেয়েছেন , সেটা ফুটে উঠেছে ভাল ভাবেই।
শুভ রাত্রি।
১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পের প্রয়োজনেই স্টাইলটা বদলাতে হলো। অতি কাব্যিকতা কাহিনী নির্ভর গল্পকে অনেক সময় ঝুলিয়ে দেয়। তবে পরের গল্পগুলোতে দেখা যাক পুরোনো আমিকে ফিরিয়ে আনতেও পারি।
ডি এল রায়কে আমি মূলত গীতিকার হিসেবেই জানি যে!
গল্পে ইদানিং জটিলতা কম হচ্ছে। হু। দেখা যাক পরের গল্পে...
শুভদুপুর।
৭| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৫
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
গল্পের প্রথমদিকটা সাধারণ এক মানুষের সামান্যতম মর্যাদাবোধ নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই, কেন জানি না এটা খুব টানছে। এই বিষয়গুলো, এরকম জীবনযাপনের গল্পগুলো নাড়া দিয়ে যায় অজান্তেই। আর আপনি এতো সহজাত বর্ণনা করেছেন, অসাধারণ।।
১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দূর্জয়।
৮| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: চালিয়ে যান...
১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: জ্বী চেষ্টা করবো।
৯| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১:৩৮
মুহামমদল হািবব বলেছেন: ভালো লেগেছে।
১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ হাবিব।
১০| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ২:৩৩
আমি ভাল আছি বলেছেন: আল্লাহ! এত লম্বা লেখা! কপি পেস্ট নাকি
১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ ওয়ার্ড ফাইল থেকে কপি পেস্ট করে ব্লগে দিয়েছি।
১১| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৩:৫৯
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: বহুদিন বাদে লাইক বাটন কাজ করলো আমার হাতে
১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমারটাও কাজ করলো। ঠিক হয়ে গেছে নাকি!
১২| ১৮ ই মে, ২০১৪ ভোর ৫:০৮
নোমান নমি বলেছেন: ভাল্লাগছে হামা ভাই
১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকু নোমান।
১৩| ১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:৪০
ঢাকার কুতুব বলেছেন: খুব ভাল লাগলো। জীবনবোধের চিত্র সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৪| ১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:০৪
ইমিনা বলেছেন: একটা নতুন লেখা, আমার ভাবনার জন্য অনেকটুকু ভালোলাগা, ভেবে নেওয়ার জন্য শব্দভান্ডারের অনেকটুকু ঐশ্বর্য্য
১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার গল্প থেকে এতকিছু পান আপনি জেনে আনন্দিত।
১৫| ১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩
ডি মুন বলেছেন: ভাল লাগলো হাসান ভাই
১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মুন।
১৬| ১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩০
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ!, গল্পের গতি আর নির্মোহতাটা চমৎকার হামা।+।
১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ শরৎ।
১৭| ১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:০৬
না পারভীন বলেছেন: অন্যন্য গল্প আমি বলবো একটি সেরা গল্প। খবরের ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বলেই আরো ভাল লাগলো। আহা ববির জন্য মন খারাপ হল।
১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পারভীন আপা।
ববি খালি সবার মন খারাপ করিয়ে দেয়।
১৮| ১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
ক্যাপস্টেন বলেছেন: এই প্রথম আপনার কোন লেখায় আমি মন্তব্য করতে পাচ্ছি। আমার খুবই আনন্দ লাগছে। গল্পটা দারুন হইছে।
১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। স্বাগতম ব্লগিংয়ের জগতে।
১৯| ১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:০১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব ইচ্ছা করছে এই গল্পটা দেশের কিছু নিউজ এজেন্সীর সম্পাদকদের কাছে পাঠাই। তারা গল্পটা আমার সামনে বসে পড়বে আর তাদের চেহারা আমি দেখব। সুন্দর একটা অনুভূতি হবে নিশ্চয়।
জীবন থেকে মরণে চলে যাবার পরের মুহূর্তের রিফ্লেক্সে কারো ..............তবে তোমরা বাধা দাও কেন? এই লাইনটা খুবই টাচি একটা লাইন।
১৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু কাভা। শুভেচ্ছা।
২০| ১৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬
সময়ের ডানায় বলেছেন: ভালোলাগা রইল।++++
১৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভবিকেল।
২১| ১৮ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: আমার কাছে মনে হয় , সংবাদপত্র বা মিডিয়া সাধারণত দুই ধরনের সংবাদ পরিবেশন করে । এক, যে নীতি তাদের মালিকপক্ষ প্রতিষ্ঠা করতে চায় । দুই, যা পাঠক পড়তে চায় । নীতি আদর্শ কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে পাওয়া যায় । কয়েকদিন ধরেই এটা নিয়ে আমি লিখার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আপনার তীব্রতা তো আমার নেই । দুইটা ব্যাপারকেই আপনি এমন নির্মোহ ভঙ্গিতে তুলে এনেছেন বারাবার পড়তে ইচ্ছে করে । বাস্তব চিত্র ধরে শেষে এসে যে ইমোশনাল টানটা দিয়েছেন সেটা গল্পকে সার্থক বিদ্রুপে নিয়ে গেছে । আপনার পরিচিত স্টাইলটা হয়তো এখানে নেই কিন্তু কখনও এমন কশাঘাতেরও দরকার আছে, নিষ্ঠুর আর ঠাণ্ডা ।
ভালো থাকুন ভাইয়া ।
১৮ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আদনান। শুভেচ্ছা।
২২| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:০৬
বোকামানুষ বলেছেন: ভাল লাগলো
১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৩| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৪৫
সাদরিল বলেছেন: তবে জীবন থেকে মরণে চলে যাবার পরের মুহূর্তের রিফ্লেক্সে কারো শরীর যদি নড়ে উঠে নিজের মৃত্যুসংবাদকে পণ্য হিসেবে বিকোনোর, নিজের নাম এবং ছবি প্রচারের সুযোগ পায়, তবে তোমরা বাধা দাও কেন?
ফেসবুকে আপনি লিখেছেন নিজেকে ভুলে থাকার জন্য এই গল্পটি লেখা। আমিও নিজেকে ভুলে থাকার জন্য আপনার ব্লগে আসি। এসে একসাথে কয়েকটি গল্প পড়ে যাই। আজকের গল্পটার প্লট একটু ভিন্ন কিন্তু বর্তমান সময়ের কাছে এরকম একটু গল্পের দাবী ছিলো অনেক দিনের।
১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: নিজেকে ভুলে থাকা মাঝেমধ্যে খুব প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আসবেন। বারবার। শুভেচ্ছা।
২৪| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০৬
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: নিউজ এজেন্সিগুলোর মুখোশ উন্মোচন ভালো লেগেছে।
ফিনিশিংটাও চরম
আমার ফোন বেজে ওঠে।
তুহিন ভাই।
১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
২৫| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৩৮
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: নিউজ এজেন্সি গুলোর কোয়ান্টিটির জ্বালাতনে অস্থির আছি !
দ্বিতীয় অংশে কিছু বলার নাই , মুগ্ধতা রইলো হামা ভাই !
১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অভি। শুভরাত্রি।
২৬| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১:০১
জুবায়েদ হোসেন বলেছেন: +++
১৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ জুনায়েদ।
২৭| ১৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:১৮
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
সময়কে ধরার প্রচেষ্টা ভাল লাগল ৷ অন্য গল্পগুলো থেকে ভিন্নধারার নিঃসন্দেহে ৷ জীবন শেষেও জীবনের কথা থেকে যায় ৷ পরাবাস্তবতার চম্বুকীয় প্রকাশভঙ্গি ৷ বর্ণনায় ধীরে ধীরে গল্পের ভিতরে গিয়ে শেষে এসে পাঠককে শুধু নাড়া দিয়েছেন নয় প্রচন্ড ধাক্কাও দিয়েছেন ৷
আমাদের কর্পোরেট কৃতদাসের কথা তুলে মনে করিয়ে দিলেন ৷ প্রিয় ববিকে দেখে আসলেই মায়া লাগে ৷ অসহায় ববি...
ভাল থাকবেন ৷
১৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্যে।
২৮| ১৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আমরা সবাই ববি, কোথাও না কোথাও, কখনো না কখনো! যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের কারখানায় আগুন লাগলেও তালা মেরে রাখার যে মুনাফা অবরোধ, সেই একই ধারার একই শোষন- নিজের মৃত্যুর খবরটাও নিজেকেই করতে হবে!
ববিদের জন্য ভালোবাসা!
১৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকই ইফতি। আমরা সবাই কোন না কোনভাবে চরম লুজার, ববি।
শুভেচ্ছা।
২৯| ১৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:১৭
সঞ্জীবনী বলেছেন: ভালো লেগেছে
১৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সঞ্জীবনী।
৩০| ১৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩
নীল ভোমরা বলেছেন: জটিল!...খুব ভাল লেখা!
১৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভদুপুর।
৩১| ১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: নিউজ এজেন্সি গুলোর মামদোবাজি নিয়ে উপরে কয়েক্টা কমেন্ট দেখে সেদিকে আর গেলাম না। গল্প চমৎকার হয়েছে। বিশেষ করে শেষ অংশে এসে আমার প্রিয় ফ্লেভারটা খুঁজে পেলাম।
শুভেচ্ছা হামা ভাই।
১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মহুয়া।
৩২| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫০
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: বেশকিছুদিন পর আবার ব্লগে একটু সময় দিতে পারছি। সেই সূত্রে আপনার ব্লগেও অনেকদিন পর এলাম। আশা করি ভালো আছেন।
গল্প খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া। কিছু জায়গায় পড়ে দারুণ মজা পেয়েছি, যেমনঃ
আমি অর্ধযন্ত্র অর্ধমানবের মতো কাজ না করতে পারলে আমাকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বের করে দেয়া হবে। তখন শালা ফকিরারপুল থেকে লিভারপুল কোথাও একটা শোর উঠবে না।
ভালো থাকুন। অনেক শুভ কামনা রইল
১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
৩৩| ২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫১
এহসান সাবির বলেছেন: তারপরেও একটা ঠাঁট বজায় রেখে চলতে পারি এই যা ভালো দিক! কেউ প্রশ্ন করলে গম্ভীরভাবে পকেট থেকে আইডি কার্ডটা বের করে দিয়ে বলি, সাংবাদিকতা পেশায় আছি।
আমার এই রকম একটা আইডি কার্ড দরকার।
২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: যোগাড় করে ফেলেন। দেশে এখন সাংবাদিকদের বাম্পার ফলন।
৩৪| ২০ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সুপার লাইক।
এই গল্পটা তুহিন ভাই দেখলে খবর আছিলো ববির। নিউজ করা ছুটাইয়া দিতো । গল্পের মর্মার্থ আমি খুব ভালো মতোই অনুধাবন করলাম।
যাই হোক, গুম এর পরিকল্পনা খারাপ ছিল না কিন্তু। লেটস ডু ...
২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই গল্পটা ছাপায় দেন না পাঠক লেখা বিভাগে
৩৫| ২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমার চাকরী টা যাইব আর কি ! অবশ্য লেখক নাম দেখলে উনার ছানাবড়া চোখ চশমার আড়াল থেকেও দেখা যাবে
২০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: প্ল্যানটা তাহলে তোলা থাক, সময়মত ব্যবহার করা যাইবো
৩৬| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১:১৮
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আমি কি কমু বুঝতে পারছি না! টেকা কম খাটনী বেশি আর বাজারের চুলকানীর খবর দিয়ে নিউজ পোর্টালকে জ্যান্ত রাখার চেষ্টা!
হা-মা ভাই, তাহলে পাবলিশিং-এর কাজে ত্যাক্ত বিরক্ত
এটা উচ্চমার্গীয় পেশা কিন্তু এ থেকে জীবন চলবে ভাবলে ভুল করবেন!
গপ বলা ঠিক হবে না সত্যি বলা উচিত। গপে লাইক, সুপার লাইক
২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: সত্যি নাকি? তাহলে ববিকে মেরেই ফেললে? না না এটা গল্প। স্রেফ বাজে গল্প।
৩৭| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১:২০
শুঁটকি মাছ বলেছেন: গল্পটা পছন্দ হইছে
২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: কিন্তু শুঁটকি মাছ আমার জীবনেও পছন্দ হবে না!
৩৮| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৪২
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
স্নাফ, স্নিফ পড়ে জড়তা কাটাইছি আর সন্তর্পণীকা লিখে কাটাকুটি শিখছি! মারা তো ঘটনাই না!
২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: দাঁড়াও আমিও পাল্টা মার দেবো। অনেকদিন সাইকো টাইপ লিখছি না!
৩৯| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ২:১২
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
লিখে ফেলেন। তবে স্নাফ সেরা
হা-মা ভাই, অফটপিক বিষয় নিয়ে কথা বলি একটা। সেটা হলো আপনি যখন কোন গানকে গদ্যে রুপ দিতে যান তখন কোন ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেন??
২১ শে মে, ২০১৪ রাত ২:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি সুরের অনুবাদ করার চেষ্টা করি। সুরের রঙ আছে। রঙগুলোকে অনুভব করি। তারপর খালি ক্যানভাসে এলোমেলে লেপে দিয়ে যে দুর্বোধ্য লিপি সৃষ্টি হয় তার অনুবাদ করি। কখনও কখনও একটা লাইন মাথায় গেঁথে যায় ওটাকে কেন্দ্র করে এগুই। বৃত্ত বানাই।
৪০| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ২:২৩
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আমি একটা অনুবাদ নিয়ে বসেছি। গানের রিলিক বাদ দিয়ে কেবল দৃশ্যপট নিয়ে এগুচ্ছি! এখন আমি যেটা ফেস করছি সেটা হলো লেখাটা দূর্বোধ্য হয়ে যাচ্ছে। মানে গতি হারিয়ে ফেলছি। কী করি বলেন তো?
২১ শে মে, ২০১৪ রাত ২:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: লিরিক অনুবাদ করা খুব কঠিন। অনুবাদ করতে চাইলে মূল অর্থের পাশাপাশি থাকাই ভালো।
৪১| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ২:৪০
মশিকুর বলেছেন:
সাংঘাতিক কাহিনী থুক্কু সাংবাদিক কাহিনী ঝাঁকে ঝাঁকে অনলাইন সাংবাদিক, রংচটা নিউজ এবং মনগড়া এডিটিং পেশাটাকে বীভৎস করে তুলছে।
+
২০০! দাঁড়ান আমি আসতেছি
২১ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু! ব্যাট উঁচু করলাম!
৪২| ২১ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৯
একলব্যের পুনর্জন্ম বলেছেন: ভালো লাগলো হামা।
কি খবর আপনার? মেয়ের কত বয়স হইলো?
আচ্ছা, ভাবী কি ব্লগার? আমি তো এত বেশি অনিয়মিত ব্লগে, মাঝে কি হইছে কিছুই জানি না। আরেকজনের কন্যার নাম আর আপনার কন্যার নাম এক দেখে মনে হইলো---এখন মেয়ের ব্লগে তো আর লেখা যায় না, ভাই আপনি কি আমাগো হামার বউ--তাই আপনারে জিগাইলাম :পি
ভালো থাকেন
২১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: একু, তুমি কি এর কথা বলছো? তাইলে ঠিকাছে। আমাদের দুইজনের কন্যার নামই মিতিন। তুমি তো যোগাযোগের কোন ব্যবস্থা রাখো নাই। ফেসবুকে এ্যাড করো। আর সম্ভব হলে ব্লগে ফেরো। পুরান কেউ নাই। একা লাগে।
৪৩| ২১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: চৌখুপি শব্দে ভাল লাগা ।
সাংঘাতিকদের নিয়ে সাংঘাতিক গল্প ।
ভাল লাগা রইল ।
ভাল থাকুন প্রিয় হাসান ভাই ।
শুভকামনা ।
২১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকিউ মাহমুদ। শুভকামনা।
৪৪| ২১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৩
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: ভালো হয়েছে। মহৎ গল্প হয় নাই ববি চরিত্র আরেকটু ডিটেইলস হইলে ভালো হইতো, দুই মাস বেতন না পাওয়ার পরেও সে চাকরি করতেছে, কেন করতে হচ্ছে? এইসব! এই ববি চরিত্রের যে মিয়ম্রাণ অবস্থা, এইযে না - মানুষ একজনের বেদনা সেগুলো আরেকটু আসলে বেশি ভালো লাগত। খুব দ্রুত গল্প শেষ হয়ে গেলো মনে হইলো!
প্লাস দিলাম। :>
২১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: মহৎ গল্প কেমনে লেখে?
৪৫| ২১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩০
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: আপনার সেরা বিশটা গল্পের তালিকা করলে এই গল্প থাকবে না। ঐ অর্থে মহৎ হয়নাই বলেছি।
২১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আইচ্ছা খাড়াও ব্যাপারটা আমি দেখতাসি
৪৬| ২১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪
বৃত্তবন্দী শুভ্র বলেছেন: অনেক ভাল্লাগছে লেখাটা
২১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভদুপুর।
৪৭| ২১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: //আমার বসের কাছে খবরের কোয়ালিটির চেয়ে কোয়ানটিটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।//
//মৃত্যু খুব করুণ, কিছু মৃত্যু অদ্ভুত, কিছু নৃশংস। আমার অবশ্য অতসব যাচাই করে সমব্যথী হবার ফুরসৎ নেই। তার চেয়ে ভাবা ভালো কোন মৃত্যুটির খবর মানুষে বেশি পড়বে।//
//এর চেয়ে এক কাজ করি আসো, তুহিন ভাইকে গুম কইরা ফালাই। হালার কাছে দুই মাসের বেতন বাকি।//
//ভালো সাংবাদিক হতে হলে তোমাকে সর্বক্ষণ সৃজনশীল চিন্তা করতে হবে। ইভেন আমি যখন কমোডে বসি, তখনও ট্যাবটা সাথে নিয়ে যাই নিউজ সম্পর্কে আপডেটেড থাকার জন্যে।//
//তখন শালা ফকিরারপুল থেকে লিভারপুল কোথাও একটা শোর উঠবে না। আমার কী!//
//নিউজ কই? আরে এমন একটা নিউজ হাতের কাছে পেয়ে তুমি কভার করতে পারলা না? নিজের মৃত্যু, নিজে সংঘটিত হতে দেখলা অথচ একটা নিউজ বানাইতে পারলা না? তোমাদের দিয়ে হবে টা কী? খামোখা আইডি কার্ড দিছিলাম।//
//আমি সম্ভবত মৃতই। তুহিন ভাইয়ের কাছ থেকে পাওয়া খবর, নির্ভরযোগ্য নিঃসন্দেহে।//
গুণীজন গুণের কদর করুক। সাহিত্যিকরা সাহিত্য মানের মূল্যায়ন করুক। নিপাত যাক বিরস নৈতিকতাবিবর্জিত সাংবাদিকতা! আপাতত আমি একে একটি উচ্চমানের রস-রচনা হিসেবে মেনে নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
রসাত্মক, ব্যঙ্গাত্মক, ক্যাচালত্মক লেখার খুব অভাব বোধ করছি আজকাল।
সেলাম জানাই জনাব হাসান মাহবুবকে। অসাধারণ!
২১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই। উৎসাহিত হলাম।
৪৮| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:১৫
নাসরীন খান বলেছেন: ভাল লাগল।
২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু।
৪৯| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:২৭
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
স্টোরিলাইনে দৌর্মনস্য চমৎকার ধরেছেন। সাইকো জাতীয় চিন্তা ভাবনা প্রকাশে ইদানীং গল্পকারদের বাফিলিং হতে দেখি। শেষটায় ম্যাচিউরড টার্ন ! ওয়েল-ডান, হাসান। তুহিনদের দিয়ে ভাবছি নতুন একটা পত্রিকা খুলবো ! হাহ হাহ হা।।
২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ প্রাজ্ঞ পাঠক। শুভরাত্রি।
দৌর্মনস্য...?
৫০| ২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্পের শুরুটা আমার খুব পছন্দ হল। সাধারণ অথচ জমাট একটা ভাব আছে। শেষটা পরাবাস্তবের দিকে ঝুঁকে যাবে এটা ধরেই নিয়েছিলাম, তবে বাস্তব আর অবাস্তবের সুতো হাতে রেখে কচকচ কাঁচিতে কেটে গেল সবটা শেষে- ব্যাপারটা সন্তোষজনক।
শুভরাত্রি।
অ.ট.- দৌর্মনস্য শব্দটার এই শতাব্দীর কোন লেখায় এই প্রথম ব্যবহার দেখলাম
২৩ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ প্রফেসর। আমার লেখাতে দৌর্মনস্যের আগমনে বড়ই প্রীত হয়েছি
৫১| ২৩ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:১১
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: অসাধারণ সূচনা। শাহাদুজ্জামানের দুই-একটা গল্পে এইরকম ইন ডিটেইলস ইন্ট্রো ছিলো, মনে করিয়ে দিলো। সেইরকম একজন ববি কে তুলে ধরেছেন।
গল্পটাও চমৎকার। যদিও পাঠক হিসেবে আমি খুব চাচ্ছিলাম, কিছুই যেনো না ঘটে। তুহিন ভাইয়ের প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও জিঘাংসা নিয়েই যেনো ববি লেপ্টে থাকে ... বাস্তবতার শিকার।
তারপরও খুব অসাধারণ হয়েছে, বিশেষ করে ববির শেষ সময়ের চিন্তাগুলোর প্রতিফলন।
২৪ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস মেইট। শাহাদুজ্জামানের সাথে তুলনা করে মনটাই ভালো করে দিলা।
শুভ সকাল।
৫২| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫
আলম িসিিদ্দকী বলেছেন: অনেকদিন পরে এলাম। এবং ভালো লাগা নিয়ে ফিরে গেলাম। আপনার লেখা বরাবরই ভালো। নতুন করে কিছু বলার নেই।
২৪ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ বিকেল। আপনাকে অনেকদিন পর দেখে ভালো লাগলো।
৫৩| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৫৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ভাল লাগলো।
২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।
৫৪| ২৬ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪
কালের সময় বলেছেন: পুর গ্লপ পরে ও কমেনড গুলো পড়া শেষ করলাম
খুবই জতীলতায় পরে গেছি আমি কি কমেন্ড করব তবে এমন গ্লপ শেষ হওয়ার নয় ধন্যবাদ
লেখক আপণাকে এবং শুভেচ্ছা রইল ।
২৬ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। শুভকামনা।
৫৫| ০১ লা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
বকুল০৮ বলেছেন:
স্যাটায়ার স্টাইলে শুরু আর পরাবাস্তবতা দিয়ে শেষ- দারুন গতিতে বলে গেলেন সংবাদ ব্যবসায়ীদের জটিল-কুটিল-মনস্তাত্বিক গল্প, আর তা ভীষণ নির্মোহ ভঙ্গিতে। আমার অনুভূতিতে গল্পটি এক কথায় অসাধারণ!
সাংবাদিকদের নিয়ে গল্প বলেই আমার হিন্দি সিনেমা রাম গোপালের পরিচালিত অমিতাভের অভিনীত 'রণ' এর কথা মনে পড়লো- ফ্লপ সিনেমাটি দারুন ছিল - সংবাদ বিক্রেতাদের আসল রূপ দেখিয়েছে !
এই গল্পটিতে অনেকগুলি লাইন আছে যা কোট করা যায়- ব্লগার মাঈনুল তার অনেকগুলিই উল্লেখ করেছেন - আমার সেরা লেগেছে এই অংশটুকু -
"ওদিকে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি চলে এসেছে আমায় বাঁচাবে বলে। আমার জীবনপাত্রে জোর চুমুক দিচ্ছে কারা? আমি নেই আমি নেই আমি নেই। চলে যাও ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি, চলে যাও শব সংকীর্তণকারী, জীবন মৃত্যুর মত বড় বড় ব্যাপার একজন পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া মানুষের কাছে কোন অর্থ বহন করে না। "
অনেক ভালো থাকুন হামা ভাই!
০১ লা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মন্তব্য অনুপ্রানিত করলো। নিবিড় পাঠক আপনি। অনেক শুভকামনা।
৫৬| ০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩১
কালীদাস বলেছেন: চেন্জটা আমার ভাল লাগছে
০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকু মেইট। একটা সেইরম গানের পোস্ট দিয়া দেন।
৫৭| ০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪১
কালীদাস বলেছেন: মেলা ঝামেলায় আছি, আবার কবে আসার বা পুস্টানোর টাইম পামু জানি না। আপনেরে রিসেন্টলি শোনা একটা ঠান্ডা গান দিয়া যাই-
http://www.youtube.com/watch?v=XgEfYGzojcA
০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার। মিঠা একটা গান। থ্যাংকস।
৫৮| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ৩:২০
আকিব আরিয়ান বলেছেন: ভাল্লাগছে ভাই, তবে চাকরীটা আপনি পাইছেন কিনা তা নিয়া কনফিজড আছি, আপনি পেয়ে থাকলে শুভকামনা
০৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভকামনা নিলাম!
৫৯| ০৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে এসে আপনার লেখা পড়লাম; ভালো লাগল
০৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভদুপুর।
৬০| ১৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪২
রেজোওয়ানা বলেছেন: ভাল্লাগসে
বাই দ্যা ওয়ে--ববি আগে তোমার নায়িকার না্ম ছিল না?
১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস রেজু আপু। একটা গল্পে নায়ক আর নায়িকা দুইজনের নামই ছিলো ববি!
৬১| ২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:১৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অসাধারন। জীবনের গল্প।
২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ তনিমা।
৬২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:১২
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অসাধারন লেগেছে। খুবই চমৎকার করে আমাদের বর্তমান নিউজ এজেন্সিগুলোর বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছ।
যথারীতি খুব ভালো লেগেছে ফিনিংসটা, তোমার অন্যান্য লেখার মত শেষের প্যারাটায় যেমন সমগ্র গল্পের সারমর্ম ফুটে উঠে এ লেখাটাতে সেই রকম। তবে এটার ক্ষেত্রে আগে ভাগেই ফিনিংসিটা অনুমান করতে পেরেছিলাম। মনে হয় গল্পের নামের কারনেই।
মাঝে চা বিরতির সময় ঐ কলিগের সাথে ববির আলাপচারিতা ভালো লেগেছে। বেশ হাস্যরসাত্মক ছিল।
সব মিলিয়ে বেশ ভালো লেগেছে। অনেক দিন পর গতকাল থেকে আবার ব্লগ পড়া শুরু করলাম, মাঝে কয়েক মাস শুধু ঢুঁ মেরেই চলে যেতাম, তোমার অনেক লেখা অপঠিত জমে গেছে দেখছি, পড়ে ফেলতে হবে সিগগিরই। শুভেচ্ছা রইল।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার উপস্থিতি সবসময়ই প্রেরণা যোগায়। অপঠিত অন্যান্য গল্পেও মন্তব্য চাই। শুভবিকেল।
৬৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:১৫
সোলায়মান সুমন বলেছেন: অনেক দিন পর একটি ভাল রলখা পড়লাম
২২ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৬৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:১৩
রাজিব বলেছেন: গল্পটা যে জগত নিয়ে লেখেছেন তার সঙ্গে আমার অনেক বছরের পরিচয়। সেই ২০০২ সালের প্রথম দিকে আমি আর কয়েকজন তরুন মিলে একটা নিউজ ওয়েবসাইট তৈরির চেষ্টা করেছিলাম। কয়েকমাস প্রতি সপ্তাহে আপডেটও দিয়েছিলাম। ২০০৪ সালে আবার আরেকজনের সঙ্গে একই চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। তখন অনলাইনে বিজ্ঞাপনের ব্যাপারটা বাংলাদেশে বুঝত না। আর কপি পেস্ট আমরা করতাম না। সব নিজের ভাষায় লেখা।
তবে একটা জিনিস আমি ঠিক বুঝতে পারিনি- ৮ ঘণ্টা কাজ করে কপি পেস্ট এর মাধ্যমে ১০০ টা নিউজ দেয়া তো খুব কঠিন কিছু নয়।
নিউজ ওয়েবসাইট গুলোর ৯৯% তৈরি হয়েছে হুজুগে পড়ে। টাকা পয়সা তো দূরের কথা, এগুলোর সমাজে কোন প্রভাব রয়েছে কিনা আমার সন্দেহ আছে।
৩১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা বর্ণনার জন্যে ধন্যবাদ রাজীব। আট ঘন্টায় ১০০টা নিউজ কপি পেস্ট করা খুব সহজও না। কপি পেস্ট করার আগে খবরটা পড়তে হয় ভালো করে। অন্য পত্রিকার বরাতে খবর দেয়া থাকলে সেটা কাটতে হয়। তারপর আরো কিছু ব্যাপার আছে।
শুভসকাল।
৬৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১
ইনসোমনিয়াক দাঁড়কাক বলেছেন: চমৎকার!!!
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ!
৬৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: ভাবালো খুব!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভদুপুর।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:১৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুণ লাগল!