নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্ফুটনবিন্দু

২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:২৬





শাহীনের শরীরের মাংসগুলো ভীষণ তড়পাচ্ছে কদিন যাবৎ। যেন বেরিয়ে আসতে চায় শরীরের শৃঙ্খল থেকে। ব্যাপারটা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে শাহীনের মনে হলো সে এ কদিন বড্ড বেশি মাংস খেয়ে ফেলেছে ঘরোয়া আয়োজনে বা বিভিন্ন উৎসবে। সে জন্যেই হয়তো বা শরীরে কিছু বাড়তি মাংস যোগ হয়েছে। স্থান সংকুলানে সমস্যা হচ্ছে বলেই তারা এমন করছে। শরীর তার স্বাভাবিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় কদিন পরেই তা ঠিক করে নেবে। এই ভেবে সে দুশ্চিন্তা করা আপাতত স্থগিত করে দিয়ে আমিষজাত খাদ্য গ্রহণে সংযমী হবার কথা ভাবে। কিন্তু দিনকে দিন তড়পানি বেড়েই চলে। মনে হয় যে শরীর থেকে ছিটকে যাবে। এটাকে অবশ্য শক্তিমত্তার প্রকাশও মনে করা যায়, সে ভাবে। শক্তি বৃদ্ধির ফলে এই অনাস্বাদিত কিলবিলে মাংসল অনুভূতি। এই বাড়তি শক্তি, বাড়তি মাংস দিয়ে ফলদায়ক কী করা যেতে পারে এই চিন্তায় মগ্ন হয়ে পড়ে শাহীন। অপেক্ষাকৃত শক্তিধর কাউকে পাঞ্জাযুদ্ধে আহবান করবে? দেয়ালে ঘুষি মারবে? ভারী বস্তু উত্তোলন করবে? এসব ভাবতে গিয়ে শরীর অতিক্রম করে মনের মধ্যেও আলাদা জোশ চলে আসে তার। তার চিন্তাভাবনা হয়ে ওঠে ধ্বংসাত্মক এবং বেপরোয়া। সে ঠিক করে এরপরের সুযোগেই এই বাড়তি শক্তির একটা বিলিবন্টন করে ফেলবে। অপেক্ষা করতে থাকে হাইজ্যাকারদের কবলে পড়ার, বা পকেটমারকে হাতেনাতে ধরার যাতে সে ঝাঁপিয়ে পড়তে মুখিয়ে থাকা মাংসপেশীগুলোকে শান্ত করতে পারে।

তাকে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হলো না। নৈরাজ্যের শহরে শাহীনের কাঙ্খিত বস্তু একটু চোখ কান খোলা রাখলেই সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। বড় রাস্তার মোড়টা পার হতে গিয়ে সে একদিন দুজন রিকশাঅলার মধ্যে বেদম মারামারি দেখতে পেলো। জনতা খুশিমনেই বৃত্তাবদ্ধ হয়ে দেখছিলো নৃশংস এই লড়াই। আর এসব দেখে শাহীনের মাংসপেশিগুলো যেন চিৎকার করে উঠলো একযোগে, "আমাদের কাজে লাগাও, শান্ত করো, তৃপ্ত করো"। শাহীন তাদের কথাকে গুরুত্ব দিয়ে শার্টের হাতা গুটিয়ে চললো ব্যাপারটার একটা সুরাহা করতে। দৌড়ে তাদের কাছে পৌঁছুতে গিয়ে পায়ের এবং কোমড়ের পেশীগুলো ব্যবহৃত হবার উল্লাসে অশ্লীলভাবে হেসে উঠলো। ততক্ষনে একজন রিকশাঅলা অপরজনকে পেড়ে ফেলেছে। মাটিতে শুইয়ে কিল ঘুষি দিয়ে যাচ্ছে প্রবল। শাহীনের হাতের মাংসগুলো ততক্ষণে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। সামনে কর্মব্যস্ত সময়। তড়পাচ্ছে তারা খুব। এই ছিটকে পড়লো বলে!

অবিশ্বাস্য যে আশঙ্কাটা গত কয়েকদিন যাবৎ শাহীন পুষে রেখেছিলো তাকে সত্য প্রমাণিত করে গোড়ালি থেকে এক টুকরো মাংস খসেই পড়ে গেলো। ছিটকে পড়লো। কমে এলো শাহীনের চলার গতি। অপ্রস্তুত ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে রইলো বিবাদমান দুই শ্রমজীবির সামনে। তামাশা দেখতে ছেদ পড়ায় বিরক্ত জনতার ধমকে বাধ্য হয়ে শাহীনকে চলেই আসতে হলো সেখান থেকে। খুব ইচ্ছে ছিলো তার গোড়ালির মাংসটুকু নিয়ে আসবে। তা আর হলো না। ওটা ততক্ষণে ছোঁ মেরে নিয়ে গেছে একটা নেড়ি কুকুর।

মাংসেরা এখন তড়পানো বন্ধ করে নতুন খেলায় মেতে উঠেছে। তাদের মধ্যে এক নতুন ধরণের আন্তসংযোগ খেয়াল করছে শাহীন। খুব ধীরে ধীরে তরঙ্গায়িত হয়ে বার্তা চলে যাচ্ছে উরুর মাংসপেশী থেকে কাঁধ আর গলার সংযোগস্থলে, পুরুষাঙ্গ থেকে পেটে। তারা যেন ফিসফিসিয়ে কী বলছে, কীসের যেন ষড়যন্ত্র করছে। আরেকটু খেয়াল করে চাপা হাসির শব্দ শুনতে পেলো শাহীন। এইতো, এবার তাদের কথাবার্তাও বেশ শুনতে এবং বুঝতে পারছে সে।

-এই লোকটা একদম উজবুক, বুঝলি না? একটু গরম হয়ে উঠে স্লেজিং করলাম, কিছু এনজাইমের ক্ষরণ ঘটালাম আর সে ভাবতে শুরু করলো যে তার শরীরে অসীম শক্তি এসে ভর করেছে। সে সুপারম্যান হয়ে গেছে।

-এর কাছে থাকার কোন মানে হয় না। একে তো উজবুক, তার ওপর দুর্বল। গোড়ালির মাংসটা ভালোই করেছে সময়মত সঁটকে পড়ে। আমাদের যে কবে এই সৌভাগ্য হবে!

-সময়মতো ঠিকই সরে পড়বো দেখিস। ও বেচারা আর কতদিন গোপন রাখবে? গোড়ালির অর্ধেকটা তো গেছে। সেটা না হয় জুতো পরে ঢেকে রাখতে পারবে, কিন্তু মুখের মাংস যখন খসে পড়বে তখন কী করবে?

শাহীন আতঙ্কিত হয়ে তাদের সমস্বরে হাসির শব্দ শুনতে পায়। সে চেষ্টা করে বিদ্রোহী মাংসদলের বিরুদ্ধে নিজের কর্তৃত্ব জাহির করে হুমকি দিয়ে কিছু বলতে। জবাবে আরো উচ্চস্বরে হাসির শব্দ আর টিটকিরির বাণ ছুটে এলে সে পিছু হটে। ঠিক কী কারণে মাংসদল এরকম ফাঁদ পাতলো এবং ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলো সে বুঝে উঠতে পারে না। নিজের দেহটা রক্ষা করতে এখন থেকে যথেষ্ট হ্যাপা পোহাতে হবে বোঝাই যাচ্ছে। শাহীন শুয়ে শুয়ে তার পরবর্তী প্রতিরোধব্যবস্থা সম্পর্কে ভাবতে থাকে। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে এটা একটা ফাঁদ ছিলো। প্রথমে টগবগ করে ফুটে উঠে তাকে উদ্দীপ্ত করে বা ক্ষেপিয়ে তুলে অতঃপর কোন বিশেষ ঘটনার সম্মুখীন করে যখন সে উত্তেজনার চরম সীমায় পৌঁছে যাবে সে সুযোগে দেহ থেকে ছিটকে যাওয়া। এভাবে ধীরে ধীরে তাকে মাংসশূন্য করা, এটাই তাদের মাস্টারপ্ল্যান। কী ভয়ংকর! তারা কেন এরকম করছে? ভাবতে গিয়ে মাংসগুলোর চরম অসহযোগিতায় তার দেহ শিথিল হয়ে আসে। সে ঘুমিয়ে পড়ে।

স্বপ্ন দেখে সে, তার মাথা থেকে মগজ বের হয়ে থলথলে পায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। আহবান করছে সমস্ত মাংসপিন্ডকে বের হয়ে আসার। তার দেহ যেন অতি উচ্চ স্ফূটনাঙ্কের একটি বস্তু। প্রচন্ড তাপ দেয়া হচ্ছে তার শরীরে। সূর্যটা যেন কেয়ামতের দিনের মতো মাথার এক হাত ওপর থেকে অগ্নিবর্ষণ করে যাচ্ছে। দেহ ফুটছে কিন্তু গলছে না। অসহনীয় উত্তাপ সহ্য করে তার দেহের মাংসগুলো টিকে আছে। অপেক্ষা করছে কোন অলঙ্ঘনীয় আহবানের। কে সেই পরাক্রমশালী সূত্রধর? মস্তিষ্ক। তার আহবানে ফেটে ফেটে পড়ছে শরীর, ছিটকে ছিটকে পড়ছে মাংস। বুকের একাংশ বিস্ফোরিত হয়ে হৃৎপিণ্ড উন্মুক্ত হয়ে গেছে। ধড়াস ধড়াস শব্দে প্রানস্পন্দন শুধু নয় ধ্বংসের সঙ্গীতও রচিত হচ্ছে। হৃৎপিন্ডটা যাবে না ওখান থেকে। সে মজে আছে খেলায়। প্রাণের সলতেকে কোনক্রমে জ্বালিয়ে রেখে ছুড়ে ফেলছে অন্যান্য সব রসদ। টানটান হয়ে আছে উরুর চামড়া, সামান্য স্পর্শেই তা ছিঁড়ে গিয়ে অন্ত্যস্থ মাংস, চর্বি, আর যাবতীয় স্নেহজাতীয় পদার্থ ছিটকে পড়ে শামিল হচ্ছে মাংসের মিছিলে। তারা সবাই শাহীনের অবশিষ্টাংশকে ঘিরে মিছিল করছে, নাচছে আর ব্যঙ্গাত্মক শ্লোগান দিচ্ছে। "আমরা তোমার নই আর, ছিলাম না কখনও", "মাংসহীন কদাকার, কী হবে তোমার এবার?" ধীরে ধীরে শাহীনের দেহ মাংসশূন্য হতে থাকে। বুকের ভেতর হাহাকার জাগানো শূন্যতায় হৃৎপিন্ডটা হাহা করে হাসতে হাসতে স্পন্দিত হতে থাকে।



ঘুম থেকে উঠে শাহীনের প্রথমেই মনে হয় তার গোড়ালির মাংসশূন্য অংশটা ঢেকে রাখতে হবে। কাউকে টের পেতে দেয়া যাবে না। ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করা বেশ ঝঞ্ঝাটের হবে। কারণ এটা কোন সাধারণ ক্ষতচিহ্ন না। এখানে স্রেফ একফালি শূন্যতা। এ যুগের মানুষ বড় বিটকেলে বুদ্ধির। তারা ঠিকই আঁচ করে নেবে আদতে কী ঘটেছে বা ঘটতে যাচ্ছে। শাহীনকে উজবুক আর দূর্বল ঠাওরে মাংসদল যে কী ভয়ংকর পরিকল্পনা করেছে তা বের করে নিতে খুব একটু সময় লাগবে না। ইদানিং তাদের ভয়ডর অনেক কমে গেছে। শাহীনকে তোয়াক্কাই করে না। নিজেদের মধ্যে নির্বিঘ্নে আলাপ চালিয়ে যায়। আজকে সকালেই তো বলছিলো, বেচারা গোড়ালির মাংসপিণ্ডটা অতি উৎসাহ দেখাতে গিয়ে কুকুরের উদরস্ত হলো। এবার আর তা হবে না। বাকিরা সুযোগ পেলেই আলোখেকো বোকা পোকার মত যেখানে সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়বে না। তারা আগে দেখে নেবে অবতরণের সুবন্দোবস্ত আছে কী না। যদি কোন সাহসী এবং দশাসই মানুষের শরীরে গিয়ে জমতে পারে তাহলে আর ঠেকায় কে! মাংসের দলের কেউ কেউ আবার সেবামূলক কার্যে আগ্রহ প্রকাশ করে। তাদের মতে, সত্যিকারের ক্ষতিগ্রস্ত কোন মানুষ যাদের মাংসের অভাবে কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে, তাদের শূন্যস্থান পূরণ করাটাই শ্রেয় হবে। তবুও এই অকেজো লোকটার শরীরে ঘাঁটি গেড়ে থাকা আর না। আর এজন্যে তাদেরকে যা করতে হবে তা হলো, তাকে যথেষ্ট পরিমাণ প্রণোদনা যুগিয়ে উদ্দীপ্ত করা এবং তার ধারাবাহিকতায় যথাযথ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে উদ্দীপনার চরম বিন্দুতে পৌঁছে গেলে ঝাঁপ দিয়ে কাঙ্খিত স্থানে চলে যাওয়া।

এতসব কিছু জেনে শাহীনও বেশ সতর্ক রেখেছে নিজেকে। যত যাই ঘটুক, কোনভাবেই চরম উত্তেজিত হওয়া যাবে না। কোন পরিস্থিতিতেই না। তাহলেই সর্বনাশ ঘটে যাবে। মাংসগুলি ঝাঁপতালে ছন্দিত হয়ে পুনঃস্থাপিত হবে অন্য কারো শরীরে। শরীর ঠান্ডা রাখার জন্যে শাহীন খুঁজে পেতে কদুর তেল লাগায় সারা দেহে আচ্ছামতো। স্নেহবহুল খাদ্য বর্জন করে যদ্দুর সম্ভব। তারপরেও মাঝেমধ্যে সে বিদ্রোহের আগমনধ্বনি শুনতে পায়। ফিসফিসিয়ে কারা যেন করে যায় তাকে মাংসহীন করে ফেলার অভিসন্ধি। তারা এখন আরো সতর্ক এবং চতুর। সামান্য কোন সুযোগ পেলেই তা লুফে নেবে। সুযোগ পেতে খুব একটু সময় লাগে না। শাহীনের এক বন্ধুর ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ভরপেট বিরানি আর সফট ড্রিংকস খেয়ে, সুন্দরী মেয়েদের দেখে সে ভুলতেই বসেছিলো তার জীবনের মাংসঘটিত প্রতিকূল অবস্থার কথা। প্রায় পিঠখোলা ব্লাউজ পরিহিত স্বচ্ছ শিফনের শাড়ী পরা একজনকে দেখে তার শরীরের একটা অংশ উত্থিত হবার কালেই বিড়ম্বনাটা ঘটে। সে টের পায় তার শরীরে অসহ্য তাপ। মাংসগুলো যেন মেইলট্রেনের ডেলি প্যাসেঞ্জার। পিক টাইমে ট্রেইনে ওঠার জন্যে হুড়োহুড়ি শুরু করেছে। তার শরীর কাঁপতে শুরু করে ভয়ংকর উত্তেজনায়। দাঁতে দাঁত বাড়ি খায় কম্পনসংযোগে। কন্ঠনালীর ভেতর থেকে কে যেন বুনোস্বরে চিৎকার করে উঠতে চায়। দেহের ভেতরের জমিনে ভূমিকম্পের মত প্রলয়। খোলাপিঠের মেয়েটি তাকে দেখে এগিয়ে আসে সহযোগিতার জন্যে,

"কী হয়েছে আপনার? শরীর খারাপ লাগছে?"

"হ্যাঁ, মানে একটু বেশি খাওয়া দাওয়া হয়ে গেছে কী না অনেকদিন পর, আমার আবার গ্যাসের সমস্যা, আর তাছাড়া গরমটাও যা পড়েছে...হেহে হেহে হেহে"

শাহীনের অসংলগ্ন আচরণ এবং কথাবার্তায় মেয়েটি অবাক হলেও সবকিছু বুঝতে পেরেছে এমন একটা ভাব করে একমত হবার ভান করে ব্যাপারটা চুকিয়ে দিয়ে বিরক্তমুখে চলে যায়। তার ইচ্ছে ছিলো কিছুক্ষণ ফ্লার্ট করার। চলে যাওয়ার সময় সে বুঝতেও পারলো না শাহীনের পশ্চাদ্দেশ থেকে কিছু মাংস সন্তর্পণে বেরিয়ে গিয়ে তার স্তনে সেঁধিয়ে গিয়েছে। তার ব্লাউজ ফেটে যৌবন উপচে পড়ে। আর ছেলে ছোকড়ারা তা দেখে অশ্রূত সিটি বাজায়। সে না বুঝলেও শাহীন তার মাংসহীনতার নতুন অধ্যায়টা বেশ ভালোই বুঝতে পারে চেয়ারে বসতে গিয়ে পশ্চাতে ব্যথা অনুভব করে। সে ভাবে, "যাক, তাও পাছার ওপর দিয়ে গেছে। পেনিসের ওপর দিয়ে গেলেই তো গেছিলাম।"

অবশ্য তার পুরুষাঙ্গ কারণে অকারণে উত্থিত হওয়া আর প্রস্রাব করা ছাড়া কোন কাজেই আসে নি। ছাব্বিশ বছর বয়স হয়ে যাবার পরেও সে এখনও কারো সাথে সঙ্গম করে নি। খুব শীঘ্রই যে করবে সে সম্ভাবনাও নেই। ওদিকে সফল অভিযান শেষে তার মাংসদল একে অপরের সাথে আলোচনায় মেতে ওঠে। একাংশ বলে, এবারে আরো বেশি পরিমাণ মাংসের স্থানান্তর হওয়া উচিত ছিলো। আরেক অংশ জানায় যে মাংস পরিবহনের সাথে শারীরিক উত্তেজনার কোনরকম রৈখিক সম্পর্ক নেই বিধায় ঠিক কোনবার কতটুকু মাংস পরিবাহিত হবে এটা বলা দুষ্কর। তার পুরুষাঙ্গ কিছু বলতে চাইলে সবাই তাকে থামিয়ে দেয় এই বলে যে, পুরুষাঙ্গ না থাকলে সে আর কোনকিছুতেই আকুতি বা উল্লাস প্রকাশ করবে না, উত্তেজিত হবে না। ফলে অন্যান্য মাংসপিণ্ডরা অসুবিধায় পড়ে যাবে। তাই পুরুষাঙ্গের অবস্থান হবে সবার শেষে। সবাইকে চলে যাবার ব্যবস্থা করে দিয়ে তারপর সে যাবে। শাহীন এসব শুনে ভাবে "যাহ শালা, এখন থেকে পেশাব করা ছাড়া পেনিসকে দিয়ে কোন কাজই করাবো না। এই শালাকে অবলম্বন করেই বাকি মাংসগুলো চলে যাবার পাঁয়তারা করছে।“ কিন্তু ভাবলে হবে কী! কোন একজন জ্ঞানী ব্যক্তি না বলেছিলো "চামড়ার নলই সকল ক্ষমতার উৎস!" কথাটা একেবারে ফেলনা নয়, শাহীন বেশ বুঝতে পারে।



শাহীন ইদানিং শরীর গরম করে এমন খাবার একদম খায়ই না বলতে গেলে। তারপরেও সিনেমা দেখতে গিয়ে সে হারিয়েছে বুকের একখণ্ড মাংস, পাওনাদারের সাথে ঝগড়া করতে গিয়ে কনুই এর মাংস গাপ হয়ে গেছে। এখন তাকে এই গরমের মধ্যেও ফুলহাতা শার্ট পরে থাকতে হয় সবসময়। সে বুঝতে পারে না তার শরীরের মধ্যে কেন এসমস্ত কাণ্ড ঘটে চলেছে। সে বুঝতে পারে না তার কী এমন খামতি, যার কারণে মাংসেরা তাকে দুর্বল আর বেকুব ঠাউরে চলে যেতে চাইছে। সে ২৬ বছর বয়সের একজন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল যুবক। ভালো চাকুরি করে। তার গলদটা কোথায়! ডাক্তারের কাছে যাবার কথা ভেবেছে সে। তাতে ভয়ানক ফল হয়েছে। টের পেয়ে মাংসমণ্ডলী হুমকি দিয়েছে এমন করলে তারা শরীরের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে তাকে মৃত্যুবরণে বাধ্য করবে। এমনিতে তার শরীরের কলকব্জাগুলো ভালোই কাজ করছে। কোথাও কোন সমস্যা নেই। শুধু স্নেহজাত খাবার বেশি খেলে বা কোনকিছুতে উত্তেজিত হলে তবেই ফাঁকতালে মাংসগুলো সঁটকে পড়ার ধান্দা করে। শেষতক নাচাড় হয়ে সে মাংসদিগের কাছে অনুনয় করে বসলো, "কেন এমন করছো আমার সাথে? আমার কী দোষ? আমি কী অপরাধ করেছি যে তোমরা আমাকে ছেড়ে চলে যেতে চাইছো?"। মাংসদল বেশ দার্শনিক একটা উত্তর দেয়। "দেখো, তুমি আসলে কী? আমাদের সমষ্টিই তো তুমি। আমাদের থাকা না থাকার ওপর তোমার তুমিত্ব কিছু বদলাবে না। কারণ এখানে "আমরা" আর "তুমি" সমার্থক। কোন সুন্দরী তরুণীর বক্ষ বা মাঝবয়েসী পুরুষের পেটে তোমার মাংস-চর্বি লেগে থাকা মানে সেটা তো তোমারই একরকম স্থানান্তর! আমরা যাওয়া মানেই তোমার যাওয়া। আর কে না চায় বদল, হাওয়াবদলের মত দেহবদলও ভালো একটা অভিজ্ঞতা। হ্যাঁ, তোমাকে উজবুক বা দূর্বল বলাটা সাময়িক উত্তেজনার বশেই ছিলো। তবে একঘেয়েমি থেকে কত ভয়ংকর কিছুই না হতে পারে বলো?"

এসব শুনে শাহীন বুঝতে পারে ব্যাপারগুলো বেশ ঘোঁট পাঁকিয়ে উঠেছে। এসব থেকে সহজে নিষ্কৃতি নেই। আর তাদের কথাও ঠিক তারা আর সে এখানে মিলেমিশে একাকার। তারা চাইছে দেহান্তরিত হতে, আর তাদের সমষ্টিই তো সে। তাহলে তার নিজের দেহের পক্ষে কেউ বা কারা আছে, যারা চাইছে না এই স্থানান্তর। কে বা কারা তারা?

শাহীন দিন দিন দূর্বল হয়ে পড়ছে। ইদানিং তার মাংসগুলো স্নায়বিক উত্তেজনা বা চর্বিজাতীয় খাবারের সৃষ্ট উত্তাপের মুখাপেক্ষী থাকে না। সুযোগ পেলেই ঝাঁপ দিয়ে চলে যায় অন্যের শরীরে। শরীরের অধিকাংশ অঙ্গই ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। অন্তস্থঃ বহিস্থঃ নির্বিশেষে সব অঙ্গই। এখন একটা মোক্ষম সময় অনুধাবনের। কারা দেহান্তরের পক্ষে আর কারা বিপক্ষে! মেথড অফ এলিমিনেশন প্রয়োগ করে সহজেই এর খোঁজ পাওয়া গেলো। সম্পূর্ণ অক্ষত আছে কেবল তার পুরুষাঙ্গ আর মস্তিষ্ক। তবে কি তারাই এতদিন যুঝে গেছে তার পক্ষে? মানুষের, বিশেষ করে বলতে গেলে পুরুষের জীবন কি তবে পুরুষাঙ্গ চালিত এক মগজযান? সে কি এই অনুসিদ্ধান্ত থেকে পরিচালিত দীর্ঘ ব্যবহারিক পরীক্ষার একটা গিনিপিগ? সঠিক প্রশ্নটি করতে পারে নি বলেই এতদিন সে সঠিক উত্তর পাচ্ছিলো না। প্রশ্নের সন্ধান পেয়ে এবার সে সাগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে উত্তরের জন্যে। মস্তিষ্ককে স্টিমুলেট করার জন্যে প্রচুর গাঁজা আর শিশ্নকে শাবল বানানোর জন্যে ভায়াগ্রা। সাথে প্রচুর মধু আর মাংস খাবে। তারপর দেখা যাবে...



মস্তিষ্কের ভেতর যেন অনেকগুলো রঙধনু ঢুকে গেছে। চোখ বন্ধ করেও সে কেবল রঙ আর রঙ দেখছে। ডিজে পার্টিতে এক হাজার টাকা দামের টিকেট কিনে নিয়ে প্রচুর হাসছে সে, নাচছে আর লাফাচ্ছে। ডিজে পার্টিকেই সে তার পরীক্ষার জন্যে শ্রেয়তর স্থান ভেবেছে, কারণ এখানেই যৌনতন্ত্র আর মগজ স্টিমুলেটরের প্রকৃত পরীক্ষা হয়। আর এখানে প্রায় সবাই ঘোরগ্রস্ত থাকে বলে তার মাংসিক শূন্যতা নিয়ে কেউ মাথা ঘামাবে না। হ্যাঁ, মাংস আর মধু কাজ শুরু করেছে। তার শরীর উত্তপ্ত হয়ে স্ফুটনবিন্দুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত গাঁজার প্রভাবে মস্তিষ্ক তড়পাচ্ছে। বন্ধু, তুমি ছিটকে পড়বে কী? ভায়াগ্রার প্রভাবে মহাউত্থান ঘটেছে তার। ঐ যে একজোড়া ছেলে-মেয়ে নাচছে, মেয়েটার পরনে যৌনাবেদনময়ী পোষাক। শিশ্ন, তুমি খসে পড়বে কী? সে ছুটে গিয়ে মেয়েটিকে চুমু খেলো। তার সঙ্গের ছেলেটা খিস্তি করে উঠে ঘুষি মারলো তাকে। ব্যস! এবার শুরু হবে আসল পরীক্ষা। প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে পাল্টা ঘুষি মারতে গিয়ে শাহীন খেয়াল করলো তার শরীর থেকে তীব্রগতিতে মাংস অবক্ষিপ্ত হচ্ছে। তার হাত, পা, উরু, পাছা, বুক, কাঁধ সবখান থেকে মাংস বুলেটের গতিতে ছিটকে পড়ছে এর ওর গায়ে। ডিজে ক্লাবের সদস্যেরা এমন মজার সঠিক সমঝদার। তারা কোন প্রশ্ন করলো না, তাদের মধ্যে কোন ভাবান্তর হলো না। মজা দেখবে বলে তাকে নগ্ন করে একটা খাঁচার মধ্যে পুরে রাখলো তারা। ততক্ষনে শরীরের সবখানের মাংসই ভীষণ রোষে নিক্ষিপ্ত হয়ে গেছে পুরো ক্লাবের সব সদস্যদের মাঝে। নতুন মাংসের সন্ধান পেয়ে ক্লাবের সদস্যরা মহা খুশি। তাদের মধ্যে হল্লা বেড়ে চলেছে। তারা আরো মাংসের দাবীতে গান ধরেছে নতুন। এখনও শাহীনের অস্থিসর্বস্ব দেহতে কিছু মাংস বাকি আছে। মাথার এবং পুরুষাঙ্গের। সবাই অপেক্ষা করছে কোনখান থেকে নতুন মাংস আসে। অনেক সময় পার হয়ে যায়। ডিজে ক্লাবের সদস্যরা নাচতে নাচতে ক্লান্ত। নতুন মাংসের আগ্রহে তাদের চোখ চকচক করছে। শাহীন তাদের দিকে তাকিয়ে কূটিল হাসি হাসে। সে তার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছে তখনই যখন তার হৃৎপিণ্ডটি উড়ে যায়। সেটা উড়ে খুব বেশিদূর যেতে পারে নি। এবং কেউ সেটার প্রতি কোন আগ্রহও দেখায় নি। সবাই শিকারীচোখে তাকিয়ে আছে তার মস্তিষ্ক আর পুরুষাঙ্গের দিকে। কোনটা আগে খসে পড়ে! ডিজে ক্লাবে তখন স্টয়িক ব্লিসের গান চলছে,

"দেখোনা এই যে আমি..."

ক্লাবের সব সদস্য তার দিকে তাকালে এই গানটার প্রতিধ্বণি হতে থাকে অবিরত সবার মাঝে।

"এই যে আমি..."

"এই যে আমি..."

"এই যে আমি..."

সবার হঠাৎ করে মনে হয় এই যে যৌনগ্রন্থি আর বিকারগ্রস্ত মস্তিষ্কের সমন্বয়ে তৈরি হৃদয়হীন এই পাষাণ কঙ্কাল এটাই মূল সে বা তারা। বাকি সব মাংসবিদ্যা, যা তারা এতদিন নিজের মত করে জেনেছে, সব ভুল। এর মাংস, তার মাংস, তাদের মাংস, ভোগবাদী সমাজে এই মাংস বিকিকিনির হাটে কোনটাই নির্দিষ্ট কারো নয়, শুধুমাত্র যৌনাঙ্গ আর মস্তিষ্ক ছাড়া। তবে জায়গাটা যদি ডিজেক্লাব না হয়ে টেলিভিশনের কোন টকশো হতো, কে জানে মস্তিষ্কটাও খসে পড়তো কী না! শাহীন তার উত্থিত পুরুষাঙ্গে হাত বোলাতে বোলাতে ভাবে এই পরীক্ষাটা পরে করে দেখতে হবে। আপাতত সে ডিজেক্লাবের হঠাৎ বেড়ে যাওয়া তাপমাত্রাটা নিয়ে ভাবে।



যাক, অন্যদের মাংসও স্ফুটনবিন্দুতে পৌঁছে যাচ্ছে তাহলে!



#প্রোফেসর শঙ্কুর গল্পভাবনা থেকে অনুপ্রানিত হয়ে।

মন্তব্য ১১০ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (১১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৮

চানাচুর বলেছেন: ইহা একটি অতীব কঠিন লেখা!! বুঝিতে না পারিয়া হতাশ :(

২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রোফাইল পিকচার চেঞ্জ করো তাহলেই সব বুঝতে পারবে!

২| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৮

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ভালো হয়েছে।

অপু ভাইয়ের পর আপনি। আশা করছি সবগুলি গল্পই লেখা শেষ হবে।

শুভ কামনা প্রিয় ব্লগার :)

২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অপুও লিখেছে নাকি? দারুণ! পড়তে হবে।

শুভকামনা।

৩| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪০

অপু তানভীর বলেছেন: আমি জানতাম ঐ থিম টা নিয়ে একমাত্র আপনি ছাড়া আর কেউ লিখতে পারবে না !
পড়ে মাথাটা খানিকটা হ্যাং হয়ে গেল ! :D :D :D


প্রোফেসর শঙ্কুর গল্পভাবনা থেকে অনুপ্রানিত হয়েতিন টা লিখেছি আরেকটা লিখতেছি তবে এটার দিকে হাতও বাড়াই নাই ! দুই নাম্বারটাও লিইখেন ! আপনে ছাড়া আর কেউ ঐ টা পারবে না !

২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই থিমটা নিয়ে না লিখে উপায় ছিলো না। প্রোফেসরের কাছে পুরা খনি পাইছি। বেশ কটা থিম মাথায় আছে। দেখা যাক।

তোমারটা কালকে পড়বো। শুভরাত্রি।

৪| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: তিনটা লেখার চেষ্টা করেছি মাত্র ! থিম ৩ থিম ৮ থিম ৯

থিম ৫ নিয়ে লেখা শুরু করেছি !

শুভ রাত্রি ! :)

২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: বিশাল ব্যাপার! কালকে কমেন্ট পাবে।

৫| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৫

আমি সাজিদ বলেছেন: ওই প্লটে কেউ এর চেয়ে ভালো লিখতে পারতো বলে মনে হয় না।

দূর্দান্ত

২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাজিদ। গল্পটা নিয়ে অনেক ভেবেছি। ভালো লাগায় আনন্দিত।

৬| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১:০৩

মশিকুর বলেছেন:
অসাধারণ!

"বিশেষ করে বলতে গেলে পুরুষের জীবন কি তবে পুরুষাঙ্গ চালিত এক মগজযান? সে কি এই অনুসিদ্ধান্ত থেকে পরিচালিত দীর্ঘ ব্যবহারিক পরীক্ষার একটা গিনিপিগ?"

'প্রোফেসর শঙ্কু'র থিম আর আপনার লেখনি গল্পের গভীরতার দারুন এক মাত্রা দিয়েছে।

মাংসের এই অসুস্থ খেলা চলছে... চলবেই :(

শুভরাত্রি।

২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মশিকর। শুভরাত।

৭| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৩৭

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ক্ষয়িষ্ণু সমাজ ব্যাবস্থায় মগজের চেয়ে যৌনাঙ্গের চাহিদাই হয়তো বেশী ।
জানলাম কিভাবে? ঐ ডি জে ক্লাবে আমিও ছিলাম কিনা!
গল্পে ভালো লাগা।

২৭ শে মে, ২০১৪ ভোর ৫:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: মন্তব্যে ভালো লাগা আবির। শুভেচ্ছা।

৮| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৪৭

শুঁটকি মাছ বলেছেন: লেখাটা পড়ে মাথার ভিতর ঝিমঝিম করতে শুরু করছে।

২৭ শে মে, ২০১৪ ভোর ৫:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: কন্কি বলেন্কি!

৯| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৪৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: লেখাটা পড়ে ভীষণ উদ্দীপ্ত হলাম। অসাধারণ। সাজিদের কমেন্টের সাথে একমত।

মাংসিক শূন্যতা
শব্দটা পছন্দ হল। ৪র্থ প্লাস!

শুভরাত্রি, প্রিয় হা_মা। ভাল থাকুন।

২৭ শে মে, ২০১৪ ভোর ৫:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ প্রোফেসর। হলদে বাতির কারাগার থেকে আরো কিছু কয়েদীকে ছিনতাই করবো ভাবছি!

১০| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গল্পটা পুরাই আপনার লেখার মত হইছে হাসান ভাই।
চমৎকার।

২৭ শে মে, ২০১৪ ভোর ৫:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: কেমন হয়েছে জানি না, তবে লিখে আমারও মনে হচ্ছিলো পুরোনো আমার মতো করে লিখছি। ধন্যবাদ কাভা।

১১| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ২:২৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
লেখাটা বেশ অগোছালো লাগলো পড়তে; দুর্বল গাঁথনি। তবে ভাবনায় প্লাস বাটন চাপছি। ভোগবাদী সমাজের পলিটিক্স অফ সেক্স এবং এর নৈতিক বিবেচনার প্রতি উত্থিত প্রশ্নের বিন্দুতে বিস্মযোক্তি আমিও রাখতে চাইছি।

হাইপোথ্যালামাসকে দিয়ে ঠিকঠাক কাজ করানো হচ্ছে যদিও সিম্পেথেটিক নার্ভাস সিস্টেমে পরিকল্পিত টিউনিং চলছে কারণ বিকিকিনির হাট-বাজার জমাতে হবে তো নাকি :-0

শুভ কামনা, হাসান।

২৭ শে মে, ২০১৪ ভোর ৫:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু। গল্পটা যত্নের সাথেই লিখতে চেষ্টা করেছি। সীমিত সাধ্যে কিছু গলতি সবসময় থেকেই যায়।

আপনার কমেন্টের দ্বিতীয় অংশ মাথার উপর দিয়ে গেলো। গতবার এসেছিলেন দৌর্মনস্য নিয়ে এবার হাইপোথ্যালামাস, কী বিপদ!

১২| ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:০০

ঢাকাবাসী বলেছেন: হৃদয়ংগম করা আমার ক্ষমতার বাইরে মনে হয়। তবে অনেক উঁচুদরের লেখা, মোটামুটি লাগল। ধন্যবাদ।

২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ার জন্যে ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।

১৩| ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫১

মামুন রশিদ বলেছেন: বিদ্রোহী মাংসদলের বিগরে যাওয়া (থিউরি অব এলিমিনেশন) আর পুরুষাঙ্গ চালিত পুরুষের মগজযান (থিউরি অব ফ্রয়েড )- খুব ভালো একটা এক্সপেরিমেন্ট হয়ে গেলো । মনে হচ্ছিলো ঘটনাগুলো আসলেই ঘটছে কিংবা এরকম ঘটে যাওয়া যৌক্তিক । যাদু বাস্তবতার অসামান্য প্রয়োগ ।


গল্পে ভালোলাগা+

২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই।

১৪| ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:০১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: লেখাটা পড়লাম --- আমার কাছে ভাল লেগেছে --যদিও একটু কঠিণ---যত্ন করে পড়লেই বোঝা যায় এর অন্তর্নিহীত বস্তু। যাইহোক এই বয়সটা সব সময় ঘটন অঘটন পটয়সী ---- এর জন্য দরকার একজন ভাল বন্ধু যাকে বিশ্বাস করা যায়--যাকে ভরসা করা যায়--যে তার জন্য কোন ক্ষতি বয়ে আনবে না-------।

অনেক দিন পর একটু ভিন্ন ধর্মী গল্প কিন্তু বাস্তবতার সাথে মিলে যায়-- এমন গল্প পড়ে ভাল লাগলো ----

২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠের জন্যে। শুভেচ্ছা।

১৫| ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:১৫

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: দেওয়ালে মাথা ঠুকে মগজ গলিয়ে ফেলার মতো সুন্দর হয়েছে লিখাটা ।

২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার তো শুনে দেওয়াল বেয়ে স্পাইডার ম্যানের মতো উঠতে ইচ্ছা করতেসে! থিংকু!

১৬| ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:১২

এহসান সাবির বলেছেন: হলদে বাতির কারাগার থেকে আরো কিছু কয়েদীকে ছিনতাই করুন, অবশ্যই ভালো কিছু পাবো।

এক গুচ্ছ + হামা ভাই।

ইয়ে মানে অন্ধবিন্দু'র কমেন্টের দ্বিতীয় অংশ আমারও মাথার উপর দিয়ে গেলো :P

২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। উনি ব্যাখ্যা করেছেন নিচের এক কমেন্টে।

১৭| ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হামা ভাই তার লেখায় আবারও রাজকীয়ভাবে প্রত্যাবর্তন করেছেন। দুর্দান্ত +++



২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কান্ডারি ভাই!

১৮| ২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
মস্তিষ্কের ভেতর যেন অনেকগুলো রঙধনু ঢুকে গেছে/ যৌনতন্ত্র আর মগজ স্টিমুলেটরের প্রকৃত পরীক্ষা হয়/ অনুসিদ্ধান্ত থেকে পরিচালিত দীর্ঘ ব্যবহারিক পরীক্ষা

যৌন অনুভূতি তৈরিতে মস্তিষ্কের দুটো আলাদা অংশ প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে থাকে একটি হাইপোথ্যালামাস এবং অন্যটি হচ্ছে সেরিব্রাল কর্টেক্স। দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে হাইপোথ্যালামাস। মন এবং দেহ দুটির মধ্যে সরল যোগাযোগ রাখতে হাইপোথ্যালামাসের ভূমিকা অনন্য।

হাইপোথ্যালামাসের বিশদ বর্ণনা দিয়ে বিপদ বাড়াতে চাই না। মন্তব্যের দ্বিতীয় অংশটিতে নিউরোবিজ্ঞান এবং এতদ সম্পর্কিত অপটোজেনেটিকসের ইঙ্গিত দেওয়ার ইচ্ছে ছিলো। গল্পকারের ফিকশনকে সহায়তা করার জন্য কিঞ্চিৎ বিজ্ঞান ...

হাসান, বুঝতে পরলাম; এক শব্দে মন্তব্য করাই শ্রেয় ;)
হাহ হাহ হা।

২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: যেভাবে আপনি স্বস্তি বোধ করেন। তবে আপনার জ্ঞানের ভাণ্ডার থেকে আমাদেরও কিছু দিতে পারেন বস :-B

১৯| ২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমার তো মনে হয় প্রফেসর শঙ্কু সার্থক। কেমন কৌশলে কাহিনীগুলা বের করে নিলো।

টাকা-পয়সা ধার-দেনা আর টেলিভিশন ক্রু ব্যাপারগুলা আইলে মনে হয় গল্পের এমন টান টান ভাবটা থাকতো না।

হামার জন্য শুভেচ্ছা।

২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ জুলিয়ান ভাই। আপনি যে থিমটা চুজ করসেন সেটা নিয়েও গল্প দেখতে চাই। ওটা অবশ্য অনেক বিশাল থিম। সময় নেন। দরকার হলে পর্বাকারে লেখেন।

২০| ২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩

সুমন কর বলেছেন: প্রোফেসরের থীম থেকে দারুণ দারুণ গল্প হচ্ছে। প্রথমের দিকে বুঝতে কষ্ট হচ্ছিল, আস্তে আস্তে গল্পের ভিতরে প্রবেশ করার পর, বুঝা যাচ্ছিল গল্পের গভীরতা। আগে একবার পড়তে এসেছিলাম, তাড়া ছিল বলে একটু পড়ে, বুঝলাম ঠাণ্ডা মাথায় এ গল্প না পড়লে কিছু বুঝা যাবে না। গল্প এগুচ্ছিল, আর ভাল লাগছিল।

অসাধারণ চিন্তার, অসাধারণ গল্প।

২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গল্পটায় সময় দেবার জন্যে। শুভবিকেল।

২১| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:০১

বিভীষণ বলেছেন: আপনার গল্প পড়ার পর মনে হল আমার এ দেহখানি যেন আমার দেহ নয়!কত কত ওষ্ঠ,কত কত হাত,কত কত হৃৎপিণ্ড,কত কত বুক দিয়ে আমার পুরা শরীর গড়ে উঠেছে!
অদ্ভুত সুন্দর গল্প!এমনভাবে যে কেউ গল্প লিখতে পারে তা আপনাকে না দেখলে সত্যি বুঝতে পারতাম না।
আমি নিজেই আমার দেহকে এখন ঘৃণা এবং একইসাথে ভালোওবাসতে পারছি।কারন আমার এই দেহে আমার প্রিয় মানুষগুলো জড়িয়ে আছে!অদ্ভুত!সত্যিই অদ্ভুত!
লেখায় ভালো লাগা!

২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার লেখায় কেউ এতটা প্রভাবিত হতে পারে সেটা অভাবনীয় ব্যাপার। অনেক উদ্দীপ্ত হলাম। আপনাকে সবসময় স্বাগতম আমার ব্লগবাড়িতে।

শুভরাত্রি।

২২| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৩১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লাগলো।

একঘেয়েমি থেকে রিটার্ন। চট করে আমার মাথায় থীম আসে না। যাই হোক গল্পের জন্য আপনাকে আর থীমের জন্য শংকুকে শুভেচ্ছা

২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু অপর্ণা। শুভরাত্রি।

২৩| ২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ২:৪৫

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
চমৎকার, হাসান ভাই।
অনেকদিন পর দূর্দান্ত এক গল্প পড়া গেল।

২৮ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস দূর্জয়।

২৪| ২৮ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫৭

সানজিদা হোসেন বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে

২৮ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সানজিদা।

২৫| ২৮ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

ফয়সাল হুদা বলেছেন:
ওয়াও!!
গল্পভাবনার একটির সুন্দরোম পরিস্ফুটন......

২৮ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ফয়সাল। শুভবিকেল।

২৬| ২৮ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: রেলওয়ের পুরানা তথ্য অনলাইনে খুব একটা নাই। এখন ভাবতেছি ইতিহাসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার চেষ্টা বাদ দিয়া পুরা কাল্পনিক কিছু একটা খাড়া করে ফেলবো। কিছুটা দেরি হলেও লেখাটা শেষ হবে আশা করি।

ততদিন ভালো থাইকেন।

২৮ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা রইলো।

২৭| ২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৫

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এর মাংস, তার মাংস, তাদের মাংস, ভোগবাদী সমাজে এই মাংস বিকিকিনির হাটে কোনটাই নির্দিষ্ট কারো নয়, শুধুমাত্র যৌনাঙ্গ আর মস্তিষ্ক ছাড়া। তবে জায়গাটা যদি ডিজেক্লাব না হয়ে টেলিভিশনের কোন টকশো হতো, কে জানে মস্তিষ্কটাও খসে পড়তো কী না! শাহীন তার উত্থিত পুরুষাঙ্গে হাত বোলাতে বোলাতে ভাবে এই পরীক্ষাটা পরে করে দেখতে হবে। আপাতত সে ডিজেক্লাবের হঠাৎ বেড়ে যাওয়া তাপমাত্রাটা নিয়ে ভাবে।


অনবদ্য হামা ভাই ! সবাই তো বলেই দিয়েছে আমি আমার কথা বলি , এই গল্পে হামা ভাইকে পাওয়া গেছে পুরো মাত্রায় ! দেখি শঙ্কু সাহেবের ওখান থেকে কিছু পাই কিনা , সব যে খালি গল্পকাররাই নিবে তা কি ঠিক !!

২৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস অভি। প্রফেসরের কারখানায় কবিদের জন্যেও রসদ আছে। পেয়ে যাবে কিছু আশা করি। শুভকামনা।

২৮| ২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ২:৪২

আকিব আরিয়ান বলেছেন: অইত্তেরি গল্পটা কই থেকে কই নিয়ে গেলেন!!! #:-S
গল্পের লাস্ট প্যারাটা অস্থির হইছে, শুরুর দিকে আমার কাছে বেশ কঠিন লেখা হবে বলে মনে হচ্ছিল, কারন আপনি খুব কঠিন করে লেখেন ইদানিং। /:)
তবে মজা পাইছি,
যাক, তাও পাছার ওপর দিয়ে গেছে। পেনিসের ওপর দিয়ে গেলেই তো গেছিলাম।" =p~ =p~
কোন একজন জ্ঞানী ব্যক্তি না বলেছিলো "চামড়ার নলই সকল ক্ষমতার উৎস!" :-B :-B
তবে ভালো লাগা দিয়ে গেলাম গল্পে। জায়গার জিনিস জায়গায় সুন্দর, তাই আবার কমেন্টটা করতে আসলাম। ভালো থাকবেন।

২৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরিয়ান। ভালো লাগলো এখানেও মন্তব্য পেয়ে। শুভকামনা।

২৯| ২৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

এহসান সাবির বলেছেন: অন্ধবিন্দু'র লেখা উত্তর পড়লাম।

বেশ লিখেছেন।


২৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: কোনটা বেশ লিখেছি গল্প নাকি রিপ্লাই, কনফিউজড হয়ে গেলাম!

৩০| ২৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:১৭

এহসান সাবির বলেছেন: গল্পটার কথা তো আগেেই বলেছি এক গুচ্ছ +,

অন্ধবিন্দু সাহেব উত্তরটা...........

২৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: উত্তরটা... :|

৩১| ২৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩২

এহসান সাবির বলেছেন: হাসান, বুঝতে পরলাম; এক শব্দে মন্তব্য করাই শ্রেয় ;)
হাহ হাহ হা।

২৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি অবশ্য বেশিরভাগ সময় তাই করি!

৩২| ২৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: বার হঠাৎ করে মনে হয় এই যে যৌনগ্রন্থি আর বিকারগ্রস্ত মস্তিষ্কের সমন্বয়ে তৈরি হৃদয়হীন এই পাষাণ কঙ্কাল এটাই মূল সে বা তারা। বাকি সব মাংসবিদ্যা, যা তারা এতদিন নিজের মত করে জেনেছে, সব ভুল। এর মাংস, তার মাংস, তাদের মাংস, ভোগবাদী সমাজে এই মাংস বিকিকিনির হাটে কোনটাই নির্দিষ্ট কারো নয়, শুধুমাত্র যৌনাঙ্গ আর মস্তিষ্ক ছাড়া।

দূর্দান্ত ফিনিশিং :)

২৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভদুপুর।

৩৩| ৩০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: যৌনগ্রন্থি আর বিকারগ্রস্ত মস্তিষ্কের সমন্বয়ে তৈরি হৃদয়হীন এই পাষাণ কঙ্কাল এটাই মূল সে বা তারা বা আমরা

আমরা বরং ডিজে ক্লাবের হঠাৎ বেড়ে যাওয়া তাপমাত্রাটা নিয়ে ভাবতে থাকি । কি গরম !

প্রোফেসরের ভাবনাকে চোলাই করে যে শিল্পশস্য আপনি উপহার
দিলেন - অসাধারণ ।
এমন কিছু আপনার হাতেই সম্ভব ।
আপনার গল্পের ভেতর
লুকিয়ে থাকা উইট টা সবসময়েই উপভোগ্য ।

অনেক পাওয়ারফুল একটা রাইটিং ।
বাক্যবিন্যাসে অনেক ভাল লাগা থাকল । অনেক মুগ্ধতা ।
ভাল থাকুন প্রিয় হাসান ভাই ।
শুভেচ্ছা ।








৩০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ। শুভসন্ধ্যা।

৩৪| ৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:১৫

ফা হিম বলেছেন:
একজনের আইডিয়া আর আরেকজনের লেখনী থেকে গল্পটা পেলাম অবশেষে। পড়তে কেমন গা ঘিন ঘিন করছিল। কিন্তু এটাই তো সত্যি। এগুলোই তো আসল আমি বা আমরা! একটা অপ্রিয় সত্য।

৩১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: পাঠের জন্যে ধন্যবাদ ফাহিম। শুভেচ্ছা।

৩৫| ৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৮

চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়লাম হামা ভাই , বেশ ভালো লাগল ।
মিতিন সোনার জন্য আদর।লিখে যা্ন শুভকামনা,।

৩১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস চেয়ারম্যান সাহেব।

৩৬| ৩১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯

ইমিনা বলেছেন: আমি কিচ্ছু বুঝি নি :( :(

৩১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: দুর্বোধ্যতার একটা আশঙ্কা ছিলো। তাই শেষ প্যারাটায় খোলাসা করে বলার চেষ্টা করেছিলাম। আমি ব্যর্থ। আফসোস।

৩৭| ০২ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪৮

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
আমার মনে হল গল্পে শাহীনের ট্রান্সফরমগুলো ব্যতিক্রমী ৷ অনেকবেশী থিউরিটিক্যাল পারস্পেকটিভ নিয়ে কাজ হয়েছে ৷ সেজন্য হয়ত অনেক পাঠক গল্পের মেরিট বুঝতে খটকা লাগবে ৷ আরো একটু সময় দেওয়া উচিৎ ছিল গল্পের কাঠামোর পিছনে ৷

আপনার গল্পের প্রচেষ্টার জন্য সাধুবাদ ৷ আরো ঘষামাজার দরকার ৷ আর থিম, ভিউ ও গভীরতার জন্য প্লাস ৷

০২ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সুচিন্তিত মতামতের জন্যে। শুভকামনা।

৩৮| ০৩ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯

রোদেলা বলেছেন: প্রিয়তে।

০৩ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আনন্দিত!

৩৯| ০৩ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: লেখাই বলে দেয় , এটা হাসান ভাইয়ের গল্প ! ++++++++++++

০৩ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তিতির। শুভদুপুর।

৪০| ০৩ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: দুর্দান্ত ডেলিভারি হামা ভাই। খুবই দুর্দান্ত। আরেকবার পড়ি :)




০৩ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু নাহোল। ওল্ড মেইট।

৪১| ০৩ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:০০

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: রাতে আরেকবার পড়তে হবে। নাইলে বুঝবোনা :|

০৩ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়েন। মাথা ঠান্ডা কইরা।

৪২| ০৩ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

জাফরিন বলেছেন: আরিব্বাস! খুব উঁচুদরের একখানা লেখা মনে হল! দার্শনিকতায় ঠাসা। এই টাইপ লেখা পড়তে দারুন উপভোগ করি । সবসময়ের মতই আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার লেখার জন্য :)

০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ জাফরিন। শুভকামনা।

৪৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ১২:২১

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: কি ভয়ঙ্কর! শ্বাস আটকে মেরেই ফেলছিলেন তো। উফ আপ্নি পারেন বটে... /:)

০৪ ঠা জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আর পারি না আর পারি না
আমার ক্লান্তি আমায় কাঁদায়...

৪৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১৩

ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: অসাধারণ। যতই হৃদয়, মস্তিষ্ক সুশীলপনা দেখাক না কেন, শরীরের সবচাইতে ইম্পোর্টেন্ট অঙ্গ সম্ভবত শিশ্নই।
শাহীনের চিন্তা চেতনা, চলন বলন খুবই সুন্দর তুলেছেন। নামটাও খুব চমৎকার।

( আপনার মনে আছে কিনা জানি না, ডিসেম্বরে আপনি বলেছিলেন, শিশ্নের কর্তৃত্ত্ব নিয়ে একটা ত্রিভূজ গল্প লিখতে, দু-চার লাইন খসড়া করে রেখে দিয়েছি, বুঝলাম, ব্যাপারটা শেষ করা দরকার)

০৪ ঠা জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকু মেইট। তোমার গল্পটা চেখে দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

৪৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ১০:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,



উত্তেজনার বশে মন্তব্য করতে গিয়ে আঙ্গুলের মাংশগুলো আর কীবোর্ডের নাটবল্টু যদি ছিটকে যায় সেই ভয়ে ....... ক্ষেমা ( না কি খেমা ?) দিলুম ।

সেরেছে.........অন্ধবিন্দুর লেখা হাইপোথ্যালামাসের কগনিটিভ এরিয়ার নিউরোনগুলো বোধহয় ছিটকে গেলো এতোক্ষনে !

০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! সরস মন্তব্যে ভালো লাগা।

৪৬| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৩

আমার আমিত্ব বলেছেন: সেরা একটা গল্প পড়লাম।

প্রোফেসর শঙ্কুর গল্পভাবনা থেকে অনুপ্রানিত হয়ে খুব সুন্দর একটা লেখা উপহার দেবার জন্য সাধুবাদ জানাই।

০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

৪৭| ০৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

লিরিকস বলেছেন: +

০৫ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ লিরিকস। স্বাগতম আমার ব্লগে।

৪৮| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:২২

নক্ষত্রচারী বলেছেন: ভিন্নধর্মী গল্প!

শেষে এসে খোলাসা হলো; মাংসের বিকিকিনির হাটে এই দুটো ছাড়া বাদবাকি সবই বাহুল্য ।

০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকদিন পর রাফি! ভালো আছো আশা করি।

৪৯| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩২

আরুশা বলেছেন: অনেক দিন পর ব্লগে এসে অন্যরকম গল্প পরলাম । বুঝতে একটু কঠিন লাগলো হামা ভাই।
+++++্

০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা আরুশা।

৫০| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩২

নক্ষত্রচারী বলেছেন: জি ভাইয়া, ভালোই আছি :)

ব্লগে আবার নিয়মিত হতে ইচ্ছে করতেসে /:)
কিন্তু গ্যাপ পরে গেসে অনেক!

ভালো থাকবেন ।
শুভকামনা ।।

০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: গ্যাপ পড়া সমস্যা না। নিয়মিত হয়ে যাও। শুভরাত্রি।

৫১| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

আরজু পনি বলেছেন:

পড়েছি...বুঝেছি কি না জানি না ।

তবে প্রফেসর শঙ্কুর লেখাগুলি পড়েছিলাম,

তারপর অপুর দুটো (সম্ভবত) পড়েছি, আজকে আপনারটা পড়লাম ।

উপসংহারে যা বুঝলাম... থিম যার মাথা থেকেই আসুক...বর্ণনা যার হাত থেকে, মাথা থেকে আসে গল্প তারই ।

উপভোগ করছি থিম গবেষণার ....

০৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস পনি আপা। শুভেচ্ছা।

৫২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:১৯

শান্তির দেবদূত বলেছেন: গল্পটা পড়ার সময় মাথার মধ্যে ঝড় বয়ে চলছিল, কিছুতেই থিমটা ধরতে পারছিলাম না, শেষের দিকে এসে, "সম্পূর্ণ অক্ষত আছে কেবল তার পুরুষাঙ্গ আর মস্তিষ্ক। তবে কি তারাই এতদিন যুঝে গেছে তার পক্ষে? মানুষের, বিশেষ করে বলতে গেলে পুরুষের জীবন কি তবে পুরুষাঙ্গ চালিত এক মগজযান?"-এই অংশটা পড়ার পর থিমটা কিছুটা ধর্তব্যের মধ্যে এসেছে। বাদবাকী কমেন্ট থেকে উদ্ধার করতে হয়েছে।

হুম, প্রফেসর শঙ্কুর থিম! কিন্তু ক্ষুণাক্ষরেও মনে হয়নি, সম্পূর্ণ হাসান মাহবুবিয় থিম ও লেখা। গ্রেট। আর কিছু বলার নাই। এক কথা আর কত বলা যায়!

প্রফেসর শঙ্কুতো দেখছি মাঝে ব্লগে বেশ ঝড় তুলে ফেলেছিল! মিস করলাম পুরাটাই! যাই হোক, অনেক শুভেচ্ছা রইল।

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। শঙ্কুর ঐ পোস্টে কিন্তু আপনার জন্যেও দারুণ রসদ রয়েছে। একটা সাইফাই কমেডি। আপনি একটা ট্রাই নেন প্লিজ!

৫৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৫৩

নীল কষ্ট বলেছেন: আপনার কথা ভাবছিলাম, অনেক
দিন দেখি না যাই একটু ঘুরে আসি।

আছেন কেমন, জীবন যাচ্ছে কেমন?
যা লিখলেন না, আপনার কথা মনে না থেকে পারে না বস

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: মনে রেখেছেন বলে অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে নিয়মিত হতে জোর করবো না, তবে মাঝেমধ্যে দেখা দিয়ে যায়েন। খুশি হবো।

শুভেচ্ছা।

৫৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: দারুণ লেখা হাসান ভাই। পড়ে মুগ্ধ হলাম, সাথে আনলাকি ভালোলাগা। মনেই হয়নি থিমটি প্রোফেসর শঙ্কুর!!

মাংসহীন কদাকার, কী হবে তোমার এবার?


শ্লোগানের নতুনত্বে বিমোহিত :)

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস ব্রো। শুভদুপুর।

৫৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: ফ্যাসিনেটিং!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস ব্রো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.