নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শব্দগুলোকে একটু শৃঙ্খলে বাঁধতে পারলে, নিজের মত করে গড়ে নিলে কত অদ্ভুত আকৃতিই না দেখা যায়! শব্দেরা অন্তহীন বৃষ্টির ধারায় আমার ডায়েরীর ছেড়া কাগজের পেয়ালায় বসত খুঁজে নেয়। শব্দ থেকে বিচ্ছুরিত আলোয় দেখতে পাই কত হাসি, গান, কান্না! কিশোরীর রিনিঝিনি হাসির শব্দে ভেঙে পড়ে নৈঃশব্দ্যের কাঁচ। বাতাসের হাহাকারে অস্ফুট শুনি অগুনতি মানুষের আর্তনাদ। ভালোবাসার নিঃসীম সমুদ্র থেকে ঢেউ এসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় আমার কাগজের পেয়ালায় জমে থাকা শব্দদল। তারা মিশে যায় শব্দের সাগরে কোন মহত্তর উদ্দেশ্যে। তাদেরকে হারিয়ে যেতে দিই আমি। শব্দের শৃঙ্খল মানেই হারিয়ে গিয়ে খুঁজে নেয়া নতুন করে। তোমার শব্দ। আমার শব্দ। কাঠঠোকরাটার ঠকঠকে অনুসন্ধান। বিড়ালশিশুর আদুরে ওমসুর। কলেজ পালিয়ে লেকের ধারে বসা ছেলেটার গিটারের টুংটাং। মহাবিশ্বের চারিপাশে ঘিরে থাকা শব্দের বলয়ে আবৃত থাকতে চাই আমি। তারা আমায় আহবান করে, তারা আমায় উদ্দীপনা যোগায়, আমি ডায়েরির পাতা ছিড়ে উড়িয়ে দিই। কাগজের পেয়ালা বানাই। আর তাতে টুপটাপ করে আশ্রয় নেয় শব্দধারা। আমি চুমুক দিই আয়েশে। সোহাগী বউয়ের মতো চকমকি পাথরের আলো জড়িয়ে ধরে থাকে আমায়। আমি স্পষ্ট দেখতে পাই শব্দনৃত্য। আমার চারিপাশে বেজে ওঠে অপার্থিব সঙ্গীত।
যখন আমি কাগজ আর কলম নিয়ে বসি, তখনই কেবল এই অপার্থিব শব্দতরঙ্গ দৃশ্যমান হয়। ওরা দস্যি ছেলের মতো দলবল ধরে চলে আসে বেশুমার। ছুটে বেড়ায় প্রজাপতির মতো। আমি ওদের বহুবর্ণা ডানা দেখি। আমি কাগজের পেয়ালা বানাই। একটু পরে মেঘ করবে। বৃষ্টি হবে। সেই বৃষ্টির সাথে ঝরে পড়বে বিশূদ্ধতম শব্দ। আমার অনুভূতির সপ্তসুর ভ্রমের ক্রম শোনাবে। আমি হারিয়ে যাবো গোলকধাঁধায়। শব্দের সাথে পথ চলতে চাইলে হারিয়ে যেতেই হয়। আমার এ পথচলা শেষ হবার নয়।
তুমি মোহময়ী তরুণী। সে বেকার যুবক। তোমাদের স্তব্ধতার গান শুনতে পাই আমি। কোন বেদনায় একাকী বসে থাকো বারান্দায় এলোচুলে, কোন হতাশায় এ্যাশট্রেতে ছাইমেঘ জমা করো সেসবের শব্দরূপ দিই আমি। তোমাদের অকথিত অনেক কথা, কান্না যা আমার কাছে অশ্রূত, টিপটিপ করে ফোঁটায় ফোঁটায় জমা হয় কাগজের পেয়ালায়। আমাকে একটু একলা সময় দাও, আমি তোমাদের সব গল্প লিখে ফেলবো। তোমাদের কারো কারো গল্প চটকদার, হাসিতে ভরপুর, কারো গল্পে অসীম শূন্যতা, কেউ বা ভাবে তার কোন গল্পই নেই! আসলে সবারই গল্প জমা থাকে পৃথিবীর চারিপাশে, জমা থাকে অনন্ত নক্ষত্রবিথীর মাঝে। আমি উড়াল দেই এসবের সন্ধানে আমার শব্দশকটে করে। কখনও কখনও পেয়ে যাই এমন সব অচেনা অনুভূতির খোঁজ, পৃথিবীতে যেগুলো যথেষ্ট স্থান না পেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে ছিলো। মহাশূন্যে বিলীন হয়ে যাবার মতো আনন্দ আর কোথাও নেই। এ যেন অনেক প্রাণের সমন্বয়ে গঠিত এক অশরীরী স্বত্বা। আমি নেই নেই, কোথাও নেই... আমি কোথাও যাই না তবুও শব্দরথে করে ঘুরে আসি আরেক পৃথিবী।
দরোজায় কে যেন কড়া নাড়ছে কর্কশভাবে। বাড়িভাড়া বাকি পড়েছে দুই মাসের। সেটার জন্যে তাগাদা দিতে এসেছে হয়তো। লোকটা রূঢ় ভঙ্গিতে কথা বলে। যেন আমি এক অনাহুত আপদ। অবশ্য বাসা ভাড়া বরাবর বাকি রেখে আমি তার কাছে চাঁদমুখ আশা করতে পারি না। পৃথিবীর চারিপাশে শব্দশিকার করে বেড়ানো এ্যাডভেঞ্চারাস আমি বাড়িঅলার রুদ্ররূপের মুখোমুখি হয়ে দ্রুত লুকিয়ে ফেলি কাগজের পেয়ালা, শব্দধনু, আর অব্যাখ্যনীয় সপ্তসুর। যেসব শব্দে নিঃসীম অনুভূতির ছোঁয়া নেই, যা কখনও শব্দাকাশে রঙধনু হয়ে উঠবে না, এমন সব পারিপার্শ্বিক বাস্তব শব্দাবলী বাড়িওলার কণ্ঠ নিঃসৃত হয়ে দুর্বৃত্তের মত ঢুকে পড়ে আমার মনের গোপন ঘরে। তল্লাশি করে কিছু পাবে না অবশ্য ওরা। আমি তাদেরকে লুকিয়ে রেখেছি অনেক অনেক গহীনে। এখন আমাকে যেসব শব্দের মুখোমুখি হতে হচ্ছে সেসবের সন্ধান পেতে হলে পরিব্রাজক হওয়া লাগে না। না চাইতেই ধরা দেয় তারা। চারিপাশে ঘুরঘুর করতে থাকে সস্তা মেকাপে সজ্জিত পতিতার মতো। ঘিরে ধরে তারা আমায়। আমি অসহায় দাঁড়িয়ে থাকি। হাতের নখ কামড়াই। নাক ঘেমে ওঠে। অথচ নিত্য ব্যবহারে ক্লিশে করে ফেলা এই লোকটার গতানুগতিক শব্দসম্ভারও বাঁধা আছে মহাশূন্যের মহান রশিতে। সেই টান সে অনুভব করতে পারে না। কিন্তু আমি চাইলেই তার বোধনের অতীত শব্দগুলোকে তল্লাশি চালিয়ে খুঁজে বের করতে পারি। একটু খালি সময় দরকার।
একটু সময় পেলেই আমি রগচটা বাড়িঅলার মহাশূন্যে গচ্ছিত শব্দগুলো একত্রিত করে সুন্দর একটা গল্প বানাতে পারি। সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে ছিপিখোলা শিশিতে রক্ষিত বায়ুর মতো। শব্দকে ধরে রাখা যায়, সময়কে যায় না। অথচ আমার গহীন শব্দগুলো সময়ের সাথে সম্পর্কিত। এভাবেই সময়ের পরিক্রমায় কত শব্দ হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছি আমি! আমার জানলা খোলা যায় না। নর্দমাটা ভরাট হয়ে গেছে। সেখান থেকে ধক করে গন্ধ আসে। বন্ধ জানলার কপাট চিবিয়ে ধরে পাশের নির্মাণাধীন ভবনের জন্যে কাজ করে যাওয়া মিক্সচার মেশিনটা ভেতরে আসতে চায়। পাশেই বস্তিতে ঝগড়া হচ্ছে খুব। আজকেও কড়া নাড়ছে বাড়িঅলা। প্রতিদিন তার আসবার কী প্রয়োজন! আমি তো এক সপ্তাহ সময় চেয়ে নিয়েছি। এসবের মধ্যে থেকে মহাজাগতিক শব্দ পরিভ্রমনের জন্যে গচ্ছিত সময় প্রবল ঝড়ের ঝাপটায় আমার শব্দসাম্রাজ্য চুরমার করে দিয়ে চলে যায়।
আমি সময়ের বিচ্ছিরি তৈলাক্ত হাত ধরি। বারবার ফসকে যেতে চায়। তবে অব্যাহত প্রচেষ্টায় একদিন তাকে ঠিকই পাকড়াও করে ফেলি। তার পিছে ছুটতে ছুটতে পিষে ফেলি শব্দের বাড়িঘর। তারা আমার এমন আচরণে অবাক তাকিয়ে থাকে। এই আমাকে তারা চেনে না। তারা চোখ মুছতে মুছতে আমাকে নিঃস্ব করে চলে যায়। হতভাগা এই আমি বুঝতেই পারি না কী হারালাম!
এখন আমি কয়েকটি শব্দের পুনরাবৃত্তিক প্রয়োগেই বেশ বেঁচে থাকি। অফিসের কাজ শেষ হয়ে এলে সহকর্মীকে বলি ‘যাই’। মাসের প্রথমে বেতন পেয়ে বাড়িঅলাকে বলি ‘ভাড়াটা’। আরো যেসব শব্দ প্রয়োজন পড়ে সেগুলো হলো,
কেমন আছেন?
আমি ভালো
ও আচ্ছা
থ্যাংকিউ
স্যরি
স্যার স্যার স্যার
সময়ের পিচ্ছিল তৈলাক্ত হাত এখন আমি সাবান, কয়লা আর ছাই দিয়ে ঘষে মেজে পরিষ্কার বানিয়ে ফেলেছি। সময়ের বহুল ব্যবহারে তার হাতটা হয়ে উঠেছে কড়া ওঠা শক্ত এবং কর্কশ। এখন আর ছুটে যাবার ভয় নেই আমার কাছ থেকে।
সারা সপ্তাহের ক্লান্তি আমার চোখে। পরদিন ছুটি। সপ্তাহে এই একটা দিনই ছুটি আমার। কিন্তু আজ কিছুতেই কেন যেন ঘুম আসছে না। এপাশ ওপাশ করি। উঠে গিয়ে পানি খাই। কোলবালিশটা জড়িয়ে ধরি। হঠাৎ করে দরোজায় মৃদু শব্দ হয়। কারা যেন খুব কুণ্ঠিতভাবে কড়া নাড়ছে। কারা হতে পারে? কীসের এত ভয় তাদের? নাকি অধিক পরিশ্রমের ফলে আমার অডিটরি হ্যালুসিনেশন হচ্ছে? এত রাতে কারা আসবে? সতর্ক হয়ে কান খাড়া করি আমি। হ্যাঁ শব্দটা স্পষ্টতর হচ্ছে! খুব চেনা চেনা লাগছে। কে যেন গান শুনছে। সেই হারিয়ে যাওয়া গান,
বিটলস এর Across The Universe,
Words are flowing out like endless rain into a paper cup
They slither wildly as they slip away across the universe
Pools of sorrow, waves of joy are drifting through my opened mind
Possessing and caressing me
এই গানটা একসময় আমার কতো পরিচিত ছিলো! কত আপন ছিলো! এর দ্বারা অনুপ্রানিত হয়ে আমি বানিয়েছিলাম আমার শব্দসাম্রাজ্যের মেঘলা আকাশের বৃষ্টিধারা ধরে রাখার জন্যে কাগজের পেয়ালা, পেপার কাপ! নিঃসীম বৃষ্টি। অবিরল ধারা। আমার কাগজের পেয়ালায় ছলকে ছলকে পড়তো অশ্রূনদী, আনন্দতরঙ্গ! আমার ঘুমহীন রাতের নৈঃশব্দ্যকে নৈকট্য ভেবে প্রতিবেশীর ঘর থেকে বাজানো গান শব্দাণু হয়ে ভীড়তে চাইছে আমার কাছে।
Images of broken light which dance before me like a million eyes
They call me on and on across the universe
Thoughts meander like a restless wind inside a letter box
They tumble blindly as they make their way across the universe
লক্ষ চোখ থেকে আলো এসে এক অদ্ভুত রংধনু তৈরি করেছে। আমাকে ডাকছে তারা। আমি শুনতে পাচ্ছি অনন্তের সেই আহবান। আমার ভাবনাগুলো আঁকাবাঁকা পথে হেচড়ে চলছে। জট খুলছে, জট খুলছে! খুব কষ্ট হচ্ছে ওদের সরিসৃপের মতো বুকে গড়িয়ে চলতে। এতদিনের অনভ্যাস! ওরা উড়বে একটু পরেই। ওদের ডানা গজাবে। ওরা মেঘ ছোঁবে। ওরা পরী হবে। ওরা পাখি হবে। আর ক্ষণকাল এই সরিসৃপ দশা!
Sounds of laughter, shades of life are ringing through my open ears
Inciting and inviting me
Limitless undying love which shines around me like a million suns
It calls me on and on, across the universe
শুনতে পাচ্ছি! আমি কিশোরীর সেই গুমোট গম্ভীর কাঁচভাঙা রিনঝিনে হাসি শুনতে পাচ্ছি! জীবনের ছায়াশরীরেরা আমার কানে ফিসফিস করে বলছে "বেঁচে ওঠো, জেগে ওঠো"। এই আমন্ত্রণ কি আমি প্রত্যাখ্যান করতে পারি! প্রত্যাখ্যান করা সম্ভব, লাখো জীবনের সম্মিলিত স্বতস্ফূর্ত ফূর্তিতে বাঁচার আহবান? তাদের চোখে নক্ষত্রের আলো, জোনাক পোকার ঝিকিমিকি। আমি যাবো, আমি যাবো এই আলোকউৎসবে, হে ঈশ্বর আমার মনকে কেন্দ্রীভূত করতে সাহায্য করো। তোমার কাছে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করছি...
Jai Guru Deva OM
Nothing's gonna change my world
Nothing's gonna change my world
Nothing's gonna change my world
Nothing's gonna change my world
হে ঈশ্বর আমার আজকের এই মহান অনুভূতি, চর পড়ে যাওয়া মনে গজিয়ে ওঠা সবুজ পৃথিবী ধ্বংস করো না, পরিবর্তিত করো না। আমি এখনও ফুরিয়ে যাই নি। আমার রসদ শেষ হয়ে যায় নি। আমি সূর্য থেকে আলো নিয়ে নিহারীকা থেকে মায়া নিয়ে ধূমকেতুর মত হঠাৎ চমকের ঠমকে মহাজাগতিক শব্দ, অব্যাখ্যনীয় অনুভূতিকে ধরবো। গানটা শেষ হয়ে যাচ্ছে, শব্দেরা চলে যাচ্ছে, ঘুমে আমার চোখ ভারী হয়ে আসছে, সময় নেই। সময় নেই একদম। এরই মধ্যে আমাকে তারকাখচিত শব্দের সমন্বয়ে তৈরি করতে হবে মহান বেদনার গান, অপ্রাপ্তির কাব্য। আমার বুকটা হুহু করে ওঠে হাহাকারে। শব্দরা ধরা দিচ্ছে, তারা আসছে আমার কাছে, তারা জড়িয়ে ধরছে প্রেমিকার মতো। আমার ঘুমোনো চলবে না। কিছুতেই না। সময় নেই। প্রবঞ্চক সময় চতুরতার সাথে আবারও আমাকে নিঃস্ব করে দিয়ে চলে যেতে পারে। শব্দের খোঁজে আমি ইতিউতি তাকাতে থাকি, খাঁমচে ধরার চেষ্টা করি... আমার ঘুম পাচ্ছে, ভীষণ ঘুম! ঘুমোনোর আগেই লিখে ফেলতে হবে। পেয়েছি! পেয়েছি আমি! একসময় যা প্রাসাদ ছিলো এখনকার সেই জীর্ণ শব্দঘরের অভাবী সংসার থেকে গুটিকয় শব্দ চুরি করে নিয়ে আসি চাতুরতার সাথে। আমারই ঘর, অথচ আমিই তস্কর! হায় সময়ের খেয়ালীপনা! টেবিল ল্যাম্পটা জ্বালিয়ে অফিসের প্যাড থেকে একটা কাগজ ছিড়ে নিয়ে খসখস করে লিখে ফেলি আমি আমাদের মহাব্যবস্থাপক বরাবর, লিখে ফেলি যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতার নিকুচি করে অল্প কয়টি শব্দ।
"আমি আর চাকুরী করবো না। আমি শব্দ পরিভ্রমনে বের হবো পৃথিবীর চারিপাশে। আমি শব্দের শৃঙ্খলে নিজেকে আবদ্ধ করে পান করবো চিরমুক্তির অমীয় পানীয়। তারপর আমি হারিয়ে যাবো। হারিয়ে যাওয়াটাই আমার নিয়তি"
আজ রাতের জন্যে এর চেয়ে সুন্দর কাব্য আর রচিত হতে পারতো না। যদিও এটা কখনও উদ্দিষ্ট স্থানে না পৌঁছোনোর সম্ভাবনাই বেশি। তারপরেও, কে বলতে পারে!
সে রাতে, সেই মায়াময় রাতে আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম শব্দশকটে করে মহাপৃথিবীর চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছি। সেই রাতটা!
০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক বুঝলাম না। শুভেচ্ছা।
২| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৪৩
সেলিম তাহের বলেছেন: নাইস রীড!
০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে। ভালো আছেন আশা করি।
৩| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৪৮
মামুন রশিদ বলেছেন: শব্দবন্ধ ঘোর!
বেহাগ হাওয়ায় উড়ে আসা মায়াবি শব্দের রিনি রিনি মিহিসুরে গাঁথা পড়ে শতদল, মালার শৃঙ্খলে । পাপড়ির চোরাগলি পারি দেয় দিকবিদিক শূন্য মাতাল মধুকর । চৈতন্য নিউরন বোধ হারায় জমাটবদ্ধ শব্দের স্তুপীকৃত অন্ধকারে ।
পাঠে ঘোরলাগা মুগ্ধতা ।
০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মন্তব্যেও মুগ্ধতা মামুন ভাই। শুভকামনা।
৪| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫৫
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
আমি সময়ের বিচ্ছিরি তৈলাক্ত হাত ধরি। বারবার ফসকে যেতে চায়। তবে অব্যাহত প্রচেষ্টায় একদিন তাকে ঠিকই পাকড়াও করে ফেলি।
ভালোলাগার মতো অনেক উপাদান আছে পুরো লেখা জুড়ে ! ++
০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভসকাল।
৫| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫৯
আহসানের ব্লগ বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল ।
০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার জন্যেও শুভেচ্ছা।
৬| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৪১
উদাস কিশোর বলেছেন: চমত্কার লেগেছে । পড়তেও খুব মজা পেয়েছি
০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: জেনে আনন্দিত হলাম।
৭| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:২৩
ডি মুন বলেছেন: আমি সময়ের বিচ্ছিরি তৈলাক্ত হাত ধরি। বারবার ফসকে যেতে চায়। তবে অব্যাহত প্রচেষ্টায় একদিন তাকে ঠিকই পাকড়াও করে ফেলি।
সময়ের বিচ্ছিরি তৈলাক্ত হাত ধরতেই হয়, এড়ানো যায় না ।
শুভকামনা।
০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা মুন।
৮| ০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৮:১৮
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: আসলে সবারই গল্প জমা থাকে পৃথিবীর চারিপাশে, জমা থাকে অনন্ত নক্ষত্রবিথীর মাঝে।
ঠিক বলছেন ।
০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা নাজমুল।
৯| ০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৩৭
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ!!
০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।
১০| ০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:১৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার! আপনার লেখার সাথে পরিচয় না থাকায় জানতাম না যে আপনি এত ভালো লেখেন।
ধন্যবাদ, ভাই হাসান মাহবুব।
০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে ভালো লাগলো হেনা ভাই। স্বাগতম।
১১| ০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:০২
সুমন কর বলেছেন: এতসতো বুঝি না, পড়তে ভাল লাগল। শব্দজট বেশ লাগল।
০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা সুমন।
১২| ০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১৮
বৃতি বলেছেন: "আমি আর চাকুরী করবো না। আমি শব্দ পরিভ্রমনে বের হবো পৃথিবীর চারিপাশে। আমি শব্দের শৃঙ্খলে নিজেকে আবদ্ধ করে পান করবো চিরমুক্তির অমীয় পানীয়। তারপর আমি হারিয়ে যাবো। হারিয়ে যাওয়াটাই আমার নিয়তি"
সুন্দর।
০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি।
১৩| ০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২২
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
আত্মকথন বা শব্দকরের শব্দ শিকার ৷ প্রারম্ভিকে নিবিড় পাঠ কোনদিকে মোড় নেয় তাই খোঁজছিলাম ৷ জাগতিক পতন ৷ গানের কথাকে নিয়ে ঘোরলাগা শব্দিক পরিভ্রমণ ৷ নস্টালজিক ৷ শিরোনামটি ‘কাগজের পেয়ালা’ দিলে কেমন হয় যা আপনি উল্লেখও করেছেন ৷ অটঃ আপনি কি রহস্য পত্রিকায় লেখেন ?
০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আলজাহাঙ্গীর। কাগজের পেয়ালা নাম রাখার কথা ভেবেছিলাম, তবে পেপার কাপ পছন্দ হলো বেশি।
আমি রহস্য পত্রিকায় লিখি না।
১৪| ০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গতকাল রাতে পড়েছিলাম। মন্তব্য করতে গিয়ে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। আর মন্তব্য করতে পারিনি। এখন তাই মন্তব্য করে গেলাম।
শব্দ নিয়ে মনের এমন ক্ষুধা ভাল লাগল হামা ভাই। +++
০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাণ্ডারি ভাই। শুভেচ্ছা।
১৫| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৪২
ঢাকাবাসী বলেছেন: কঠিন শব্দের ঠাস বুনুনীতে সুন্দর গল্প।
০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ার জন্যে ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।
১৬| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৫৩
শুঁটকি মাছ বলেছেন: সময়ের পিচ্ছিল তৈলাক্ত হাত এখন আমি সাবান, কয়লা আর ছাই দিয়ে ঘষে মেজে পরিষ্কার বানিয়ে ফেলেছি। সময়ের বহুল ব্যবহারে তার হাতটা হয়ে উঠেছে কড়া ওঠা শক্ত এবং কর্কশ। এখন আর ছুটে যাবার ভয় নেই আমার কাছ থেকে
গল্পটা ভাল্লাগছে!!!!!
০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ শুঁটকি।
১৭| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩৭
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এ যেন কোন শব্দবালকের নৈঃশব্দে আত্নকথন !
শব্দেরা ডানা মেলুক , সে রাত ধরা দিক রোজ রাতে !
একেবারেই অন্য রকম ভালোলাগা হাসান ভাই !
০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: গানটা শুনে আচ্ছন্ন হয়ে ছিলাম। ওটাই আমাকে গল্পটা লিখিয়ে নিয়েছে। মূল গানটা বিটলস এর। তবে এই ভার্শনটা আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে। শুনে দেখো, http://gucao.net/mp3/across_the_universe.mp3
১৮| ১০ ই জুন, ২০১৪ ভোর ৫:৫৪
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
অসাধারণ শব্দখেলা।
গল্পের চেয়ে শব্দের মেলোডি আমাকে আচ্ছন্ন করেছে!
শুভকামনা ভাই।
১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ কবি। শুভকামনা।
১৯| ১০ ই জুন, ২০১৪ ভোর ৬:৩৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ঘোর লেগে গিয়েছিলো, হাসান মাহবুব
আপনার লেখায় ঢুকলে যা হয়।
গানের সাথে গল্পকে বেঁধেছেন, নাকি গল্পের সাথে গানকে বেঁধেছেন...
যা-ই হোক অনেক ভালো লাগলো...
শুভেচ্ছা জানবেন!
১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই।
২০| ১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০৭
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: গল্প বরাবরের মতই অসাধারণ। শব্দশৈলী ঈর্ষণীয়। কিন্তু এবারে আমি বেশি খুশি হয়েছি গানকে সাথী করে গল্প এগোনোতে।
''অ্যাক্রস দ্য ইউনিভার্স'' আমার খুব প্রিয় একটা গান, বলতে গেলে এটা লুসি ইন দ্য স্কাই উইথ ডায়মন্ডস - এর পাশাপাশিই আছে পছন্দের তালিকায়। মন শান্ত করার জন্য রিপিটে ছেড়ে প্রায়ই শুনি। গল্পে গানটার যথাযথ ব্যবহারের জন্য একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য আপনার। পড়ে আনন্দিত হয়েছি।
শুভ দুপুর।
১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই গানের শিরোনামে একটা সিনেমাও আছে। দেখবো দেখবো করে দেখা হয় নি। অভির মন্তব্যের উত্তরে গানটির একটা কভার দিয়েছি। শুনে দেখেন। ঠান্ডা ঠান্ডা সুন্দর অনুভূতি হবে।
শুভ দুপুর।
২১| ১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫২
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
দুর্দান্ত
১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ঘূণপোকা। শুভদুপুর।
২২| ১০ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পরে পড়মু
১০ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ফাউ কমেন্ট পাইলাম একটা এই আকালে
২৩| ১০ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হেহহহে। নেন কমেন্ট বেগার আরেক টা দিলাম। আর আরেকটা দিমু এটা পড়ে
১০ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। আবার আস্পেন।
২৪| ১০ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: খুব সুন্দর লাগলো হাসান ভাই।
একটা গল্প বলি।
বাংলাদেশে যারা আণ্ডারগ্রাউনড মেটাল মিউজিক করে , তারা মূলত হেভি মেটাল ( যেমন আয়রন মেইডেন) অথবা থ্রাশ মেটাল ( মূলত মেগাডেথ, মেটালিকা) কাভার করে।
ছোট একটা ব্যান্ড করতাম কলেজ লাইফে। বন্ধুদের মাথায় এলো এই সময়ের সবচেয়ে ক্লাস মিউজিক করে যে ব্যান্ড তাদের কাভার করব , প্রোগ্রেসিভ মেটাল ব্যান্ড ড্রিম থিয়েটার।
বহু কষ্টে ওদের গোটা দুই গান কাভার করে ষ্টেজে উঠে ধুমিয়ে বাজানো শুরু করেছি দেখলাম অভূতপূর্ব দৃশ্য!
আরসিসির অডিয়েন্স হেড ব্যাঙ্গিং বন্ধ করে সব ভদ্র মানুষের মত বগলের তোলে হাত গুঁজে গান শুনছে মনোযোগ দিয়ে। গান শেষেই হাততালি! আমরা নেমে এসেছিলাম মাথা নিচু করে।
বিষয় কি, ক্লাস গান, ক্লাস মিউজিক, ক্লাস লেখার পাঠক বরাবরই কম। ভাল কাজ করলে হাত্তালি পাওয়া জায় ঠিকই, কিন্তু মাতালের মত হেড ব্যাংগিং, বা উদ্বাহু প্রশংসা, ওসব পাওয়া জায় না। কনসার্টে এবং ব্লগে উভয় জায়গায়ই দেখছি একই অবস্থা।
ভাল থাকুন।
যেতে যেতে প্রিয় ব্যান্ডের প্রিয় একটা গান উপহার -
Click This Link
১০ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাজিদ। আপনার অভিজ্ঞতাটার কথা শুনে বেশ লাগলো। গানটা বাসায় যেয়ে শুনবো।
২৫| ১০ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আগের লিঙ্ক কাজ করছে না
https://www.youtube.com/watch?v=jbwBsAGCMLE
১০ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভসন্ধ্যা।
২৬| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৭
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: শব্দমুগ্ধ হয়ে পড়লাম!
আমারো একটা কাব্য লেখার আছে। আমারো শব্দ ভ্রমণে যেতে হবে।
শুভসন্ধ্যা হামা ভাই।
১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ফিরে আসুন লেখায়। শুভেচ্ছা।
২৭| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৪৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পের নাম পেপার কাপ সুন্দর হয়েছে এবং ভালো লেগেছে।
শব্দের রিনিঝিনি শুরুতে ভালো লেগেছে। তবে পুরোটা মিলিয়ে স্লো লেগেছে গল্প। আমি ভেবেছিলাম বাড়িওয়ালা সংক্রান্ত কিছু হবে বোধ হয়। আমার ধারণার সাথে মিলেনি বলে এমন লেগেছে ব্যাপারটা সেরকম নয় যদিও।
লিরিকস খুবই সুন্দর। আর আজ রাতের সবচেয়ে সুন্দর কথামালা এটাই " আমি আর চাকুরী করবো না " ! শেষের এ অংশটা সুন্দর। আমি মনে মনে অনেকবার এ কথাটা রিহার্সেল দেই, একদিন আমিও বলবো।
অফ টপিক -- আপনাকে দুইটা কমেন্ট বেশি দিছি এই পোস্টে, আমি দুইটা পাওনা রইলাম
১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পটা একটু স্লো হয়ে গেসে এটা ঠিক। তবে ভাবের জিনিস এটা। বুঝতে হবে!
লেখেন আগে। কমেন্ট একশটা দিবো।
২৮| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৩
ইনকগনিটো বলেছেন: আমি জানি! আমি জানি! এই নেশার কোনো তুলনা নেই। নিশ্চিতভাবেই।
১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: তোমারে ধরসে গানটা? ধরারই কথা।
২৯| ১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৪১
রোমেন রুমি বলেছেন:
পড়ে শেষ করতে পারিনি
আবার আসছি
১১ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আসুন আসুন!
৩০| ১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪৬
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আমিও আবার আসলাম
গানটা সিরিয়াসলি সুন্দর হাসান ভাই !
১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: নেশাগ্রস্ত করে ফেলেছিলো আমাকে। মিউজিকের নেশা সেরা নেশা।
৩১| ১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৪৫
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: ভিন্ন ধরণের উপস্থাপনা।
১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত্রি।
৩২| ১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৩৭
সাদরিল বলেছেন: আমার বোঝায় ভুল হতে পারে তবে পড়ে অনে হলো এই গল্পে আপনার নিজের সাথে চারপাশের জগতের সম্পর্কে দেখাতে চেষ্টা করেছেন শব্দের কারুকার্য দিয়ে। এর ফাকেই একটি প্যারা পড়ে মনে হলো, সেটি শুধু আপনার জন্যই না, আমরা যারা বর্তমান সমাজে বাস করছি সবার জন্যই প্রযোজ্য
এখন আমি কয়েকটি শব্দের পুনরাবৃত্তিক প্রয়োগেই বেশ বেঁচে থাকি। অফিসের কাজ শেষ হয়ে এলে সহকর্মীকে বলি ‘যাই’। মাসের প্রথমে বেতন পেয়ে বাড়িঅলাকে বলি ‘ভাড়াটা’। আরো যেসব শব্দ প্রয়োজন পড়ে সেগুলো হলো,
কেমন আছেন?
আমি ভালো
ও আচ্ছা
থ্যাংকিউ
স্যরি
স্যার স্যার স্যার
১২ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন সাদরিল। ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।
৩৩| ১২ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯
অচিন্ত্য বলেছেন: ওহ, কী পদ্যময় গদ্য! মনে হচ্ছিল ঘর গোছাতে গিয়ে পুরনো ডায়েরি হাতে পড়েছে; নিজের লেখা ডায়েরি পড়ছি। ("এসবের মধ্য থেকে... চূরমার করে দিয়ে চলে যায়।" বাক্যটি একবার রিভিউ করে দেখবেন নাকি?)
১২ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস অচিন্ত্য। লাইনটা আসলেই কিছুটা বিটকেলে। তবে
এসবের মধ্যে থেকে মহাজাগতিক শব্দ পরিভ্রমনের জন্যে গচ্ছিত সময় প্রবল ঝড়ের ঝাপটায় আমার শব্দসাম্রাজ্য চুরমার করে দিয়ে চলে যায়
এই বাক্যে
মহাজাগতিক শব্দ পরিভ্রমনের জন্যে গচ্ছিত সময়
এই পুরো বাক্যটাকে একটা বিশেষ্য হিসেবে ধরলে মনে হয় অর্থটা ঠিক থাকে।
৩৪| ১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১০
ফা হিম বলেছেন:
কাব্যময় জগতে ভেসে গেলাম।
গানটা ভালোই।
১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: গানটা শুধু ভালোই! আমার লেখাটাকে খারাপ বললেও এত কষ্ট পাইতাম না। গানটা শুনলে আমি পুরাই হারায়া যাই।
৩৫| ১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১১
চড়ুই বলেছেন: ভালো।
১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ চড়ুই। স্বাগতম আমার ব্লগে।
৩৬| ১৩ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২৫
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: প্রথম দুই প্যারা পড়ে মনে হচ্ছিল মুক্তগদ্য পড়ছি। ৩য় প্যারা থেকে গল্প শুরু হল তারপর আবার শেষের দিকে মুক্তগদ্যের ছাপ।
চমৎকার কিছু বাক্য আছে লেখাটায়। সবকিছু মিলিয়ে লেখাটা খুব উপভোগ্য এবং শ্রুতিমধুর হয়েছে। শ্রুতিমধুর বললাম কারণ লেখাটা পড়ে মনে হল কাউকে লেখাটা পড়ে শুনালে অথবা কেউ আমাকে লেখাটা পড়ে শুনালে সাউন্ডটা খুব মিষ্টি লাগবে!
১৩ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
৩৭| ১৩ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ঘোর লাগা মুগ্ধতা ।
ভাল থাকুন হাসান ভাই ।
১৩ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ। শুভসন্ধ্যা।
৩৮| ১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৩:২৫
রাহি বলেছেন: বিটলস এর গান শুনার ইচ্ছে হলো। গুগলে সার্চ দিচ্ছি। মাথা-ধরা নিয়ে আপনার গল্প পড়া সম্ভব নয়। প্রথম অংশ পড়লাম। বরাবরের মতই শব্দচয়ন চমৎকার।
১৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: বিটলস এর গানটা শুনে দেখেন। ভালো লাগবে। শুভ বিকেল।
৩৯| ১৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯
এহসান সাবির বলেছেন: রাতে পড়ব আশা করছি।
তারপর মন্তব্য করব।
অবশ্য খেলা দেখার চাপে সব ভুলে যাচ্ছি......!!
১৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভবিকেল।
৪০| ১৫ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার নিজস্ব স্টাইলেই লেখা আপনার অন্য লেখার চাইতে কিছুটা ভিন্নধর্মী গল্প। শব্দের শৈল্পিক ব্যবহারে যেমন মুগ্ধতার বিকাশ ঘটেছে তেমনি নিজের আসেপাশের চিরচেনা জীবনের অপ্রদর্শিত চিত্রকেও আবার নতুন ভাবে দেখেছি।
আগেও বলেছি সাধারন ঘটনার পিছনে দেখার দৃষ্টি সবার থাকে না, যা আপনার খুব দারুন ভাবে আছে।
চমৎকার গল্পে ভালো লাগা রইল।
১৫ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাভা। শুভ বৃষ্টিবিকেল।
৪১| ১৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৩৯
এহসান সাবির বলেছেন: কাল খেলা দেখার আগে পড়েছিলাম।
একাকিত্বের সুন্দর একটি ছবি।
আমি হারিয়ে যাবো। হারিয়ে যাওয়াটাই আমার নিয়তি.................!!
ভালোলাগা।
১৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান। শুভসকাল।
৪২| ১৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভিন্ন এবং সুন্দর।
১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ দূর্জয়। শুভকামনা।
৪৩| ২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫
ইমিনা বলেছেন: ভৌতিক কিন্তু প্রতিশোধমূলক গল্প লিখেন না ভাইয়া?
২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: থিম পেলে লিখবো।
৪৪| ২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩
ইমিনা বলেছেন: আমার কাছে হাজার হাজার থিম। ভাবছি একটা পোস্ট দেবো এই হাজার হাজার থিমগুলোকে উল্লেখ করে। আমি তো লিখতে পারছি না, তাই যারা পারবে তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে থিমগুলোকে ভেবে দেখার জন্য। আপনাকে ও দিয়ে দিব কিছু গল্পের থিম
২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: দেন দেন, খুব ভালো হবে। এর আগের গল্পটাতো লিখলাম প্রফেসর শঙ্কুর অমন একটা থিম থেকেই।
৪৫| ২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৮
রোদেলা বলেছেন: মুগ্ধতা ছুয়ে গেলো সময়ের সাথে তাল মেলানো আত্মকথন।
২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা রোদেলা।
৪৬| ২৪ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:২১
নস্টালজিক বলেছেন: আগেই পড়সিলাম এই লেখাটা, ব্লগে বোধহয় আর একটু পরিবর্ধন করে দিসো।
শুরুর সুররিয়াল আবহটা চমৎকার। আসলেই তাই-
শব্দগুলোকে একটু শৃঙ্খলে বাঁধতে পারলে, নিজের মত করে গড়ে নিলে কত অদ্ভুত আকৃতিই না দেখা যায়!
শুভেচ্ছা নিও হাসান।
২৪ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ফেসবুকে অল্প কিছু দিসিলাম। প্রথম প্যারাটা খালি। থেংকু। শুভসন্ধ্যা।
৪৭| ২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো সাবলীল সুগ্রথিত শব্দ ভ্রমণ।+
২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ তনিমা। শুভদুপুর।
৪৮| ২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫১
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: মুগ্ধ জাগানিয়া শব্দবুনট! এইরকম গল্প পড়তে সবসময় ভালোবাসি।
২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস নাহোল। শুভরাত্রি।
৪৯| ২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বেশতো ...
পোস্টটা দেরীতে চোখে পড়লো , দুঃখিত ...
ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম ...
সংগে শুভকামনা .. সবরকম ..
২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা। ভালো থাকবেন।
৫০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১৫
আরজু পনি বলেছেন:
একই শব্দের বানান দুই জায়গায় দুই রকম ছিল।
হাসানের লেখায় আমি শব্দ ধরে পড়ি...পড়ার পর মনে হচ্ছিল লেখায় প্রজাপতিরা উড়ছে...অথচ হাসানের লেখায় থাকবে রক্তের চাপ চাপ গন্ধ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: গানস এ্যান্ড রোজেস। দুটোই চলে পনি আপা। দুটোই পাবেন।
৫১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১৮
আরজু পনি বলেছেন:
প্রথম মন্তব্য করে ১০১নং মন্তব্য করার ইচ্ছে ছিল... এই কমেন্টটা করে ইচ্ছা পুরণ করলাম ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন:
৫২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪০
শান্তির দেবদূত বলেছেন: শব্দের কারুকাজ দেখে পড়ে মুগ্ধ হলাম, পুরাই ম্যাজিকে লেখা। বাংলা ভাষার উপর তোমার দখল ঈর্ষনীয় পর্যায়ের। ভবিষ্যতে একদিন তোমার এই সব লেখা নিয়ে গবেষণা হবে নিশ্চিত।
তবে একটু খটকা লাগছে, এটাকে কি ঠিক ছোট গল্প বলা যায়? পড়া শেষ করার পর কেন যেন গদ্যের চেয়ে পদ্যই মনে হয়েছে বেশি।
ভালো থাক,আরও এমন গদ্য/পদ্য লিখে আমাদের মুগ্ধ করতে থাক নিরন্তর। শুভকামনা রইল।
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্প বলা যেতে পারে। ক্ষীণ হলেও কাহিনী রেখা আছে। গানটা আমাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিলো।
শুভরাত্রি দেবদূত ভাই।
৫৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১০
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: অসাধারণ হাসান ভাই, শব্দঝড়, সলিলোকি, আবার একই সাথে বাস্তব বাড়িওলা, বস্তি, গানের মাঝে হারিয়ে যাওয়া, অসাধারণ উপস্থাপনা।
এরকম আরো চাই।
২৫ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: সব কৃতিত্ব গানটার। এরকম আরো গানের সন্ধান দাও!
৫৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০১
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: ঠিক কোন গানটা আপনাকে ক্লিক করবে এটা তো ভাই বলা মুশকিল। আমাকে কোনটা ক্লিক করে সেইটাই আমি বুঝতে পারি না। বিশ্বাস করতে পারেন- গতকালকে কেটি পেরির একটা গান শুন্সি দশবার !! :O
আপনার গান শোনার অভিজ্ঞতা তো হিংসা করার মত। ঐগুলা থেকেই লেখা বের করেন না ভাই !! অস্থির হবে।
২৫ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: সঞ্জীবদার সানগ্লাস গানটা খোঁচাচ্ছে খুব ইদানিং। দেখি এই গানটা নিয়ে কিছু করা যায় কী না!
৫৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০২
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: - যে কোন ভাল লাগা কিছু। নতুন শব্দকে টানতে জানে। শব্দের একটা ঘোরগ্রস্ততা থাকে যথারীতি।
--------
গল্পের একজন মানুষের জন্য মহকুমা সদর থেকে রেললাইন উপড়ে ফেলা হতে পারে। পাশা পাশি সব কাগজ স্বেচ্ছায় স্টেপলারের বড়শিতে বেদনার্ত বন্ধন করতে পারে।
ভালবাসতে বাসতে অজস্র পার্বত্য নগরে বাতি নিভে যেতে পারি। কেউ যদি বলে, হাসি কোথায়? কি করে হাস্যোজ্জল কালোরাত্রিতে মুন্সী বাড়ির মেয়েটি একা বেরিয়ে গেল। তাকে অন্ধকারের ছায়া থেকে নারকেলের মত কুড়ে নিয়ে
ঈদসংখ্যা হতে পারে। কাগজের ভিতর একটা উষ্ণ চা, এডিটরকে সতেজ রাখে। সেই কাপ, তার কাপের গোলে গোলচত্বরের জনসমাবেশ! হাসি তার মামাতো বোন, এক চোখ অন্ধ বলে সেলাই বন্ধ করে দিয়েছিল। অভিমানে হাতের ভিতর
কিছু শব্দ জড়ো হয়। মিছিল এখনো জন্মেনি, শুধু অবিবাহিত সব পুরুষেরা কৈশোরে এসে নতুন নেশায় গোপনে মেতেছে। সার্কাসের জন্য হাতি কিনে রাখলে কতবছর তাকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে সে কথা আমাদের আরজের জানা নেই। তবু চিনির হাতির গল্পটা করেছিল
আমি ঠিক দূরালাপানীর ক্ষু্দ্র চালুনির মত কান মেলে রাখি। একটা বিড়ালের মত কষ্ঠস্বর। অতীত অতীত।
আব্বা তুই আমাক সাদা হাতি কিনবার দিবা। গজমতির হাতি। বকের মতন সাদা তার দেহখানি।
বাবা তাকে কাঁধে করে নিয়ে যায়। হাসানুদৌলা তার বাপের সখের নাম যেন পানের বরজ, সিরাজ কতল হবার হাজার বছর পরে যদি রাজসিক গর্জনে কেউ বলে আমি যাবো না! সেই তার বাচ্চা।
গল্প শুনবিক। কাঁচা বাজারের গাধাকে যাদু করিয়া হাতি করে দিয়েছিল কমলা ভগবান।
একটা চিনির দলা বাচ্চার মুঠ থেকে নিয়ে বাপ যেমন গোপনে চুষে ফেলে।
চিনির হাতি মুখে পুরে কিশোরের আকাঙ্খ্যা নিবৃত্ত হয়। এক মুঠো স্বপ্নের ভিতর গোয়ার্নিকার লম্ফঝম্প।
আজকে ফেঁসে গেল প্যান্টের একটা অংশ। অভাবের কথা বাদ দিয়েছিলাম কিন্তু একটা কথা ইউফেমিজমে বলি - সুতো পরে এসেছেন। কাল সেলাই হবে। মন দিয়ে কাজ করুন। সব ঠিক হবে।
সময়ের নষ্ট চাওয়া সেকেন্ডগুলো ভ্রূণ হত্যার শামিল হয়েছে। তুমি অনেক বড় হয়ে গেছ? আমাকে লিখতে ইচ্ছে করে না।
করে তো, খালা। এই কয়টা দিন শুধু বাড়িভাড়ার জন্য ধার খুঁজছি কিন্তু নগরীতে পর্বত ভেঙে বৃষ্টি নামে। আমি সিঁড়ির ঘরের তলায় হারবারনেশানে। এই জাতীয়তা বাদ আমাকে সক্রিয় রাখে।
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আবারও আপনার সেই মুক্তগদ্যের কমেন্টে ফিরে এসেছেন অনেকদিন পর। খুব ভালো লাগলো।
৫৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬
In2the Dark বলেছেন: বাপিরে :o একটানে পড়ে গেলাম।
ভালো লাগলো
১১ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে ব্লগ মাতাতেই এসেছেন। শুভ হোক পথচলা।
৫৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বরাবরের মতোই সুন্দর ভাষার বুনোট। শুভেচ্ছা।
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা তনিমা।
৫৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১৩
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম। আপনার কিছু কিছু লেখা কেমন কবিতার জাদু বিকিরণ করে। পড়তে ভাল লাগে খুব। ঘুমিয়োনা দীপ্তিময়ীতে সবচেয়ে প্রবলভাবে ছিল। জাস্ট অসাধারন।
২২ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৫৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৯
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: ঘোরগ্রস্থ একজন মানুষের আত্নকথন পড়লাম, শব্দগুলোকে বন্দি করে ফেলবার আকূতি পড়লাম! আমার কাছে অবশ্য ওনাকে একটু প্যারানয়েড মনে হলো! এনিওয়ে! এই অনুভূতি গুলো আপনি ভাষায় তুলে আনতে পেরেছেন দেখে খুব অবাক হচ্ছি, ঈর্ষান্বীত তো বটেই! একজন লেখক সম্তবত এভাবেই সাধারণ মানুষ থেকে ঈশ্বরে পরিণত হন!
এই অনূভুতির সাথে আমার পরিচয় আছে। মাঝে মাঝে কথাবার্তা হতো আগে! আহা, কী সব রাত, কী সব দিন!
প্রথম প্যারাটুকু শুধুমাত্র মুক্তগদ্য হিসেবে পড়লে সাহিত্যমানে উৎরে যাবার কথা নিশ্চিতভাবেই!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস ব্রো।
৬০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৭
আলম দীপ্র বলেছেন: সুখপাঠ্য !
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:১৯
আরজু পনি বলেছেন:
আপনি সম্ভবত এবার আপনার লেখার নিবিড় পাঠক হতে পারেন নি ...
শুভেচ্ছা হাসান ।