নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিনগুলি বেশ ভালোই কাটছিলো আমার। কিন্তু হঠাৎ করেই মরে গেলাম। মরে যাওয়াটা একদম আকস্মিক। ভাবতেও পারি নি সুস্থ দেহের তরতাজা মনের এই আমি এত তাড়াতাড়ি মৃত্যুবরণ করবো। ঘটনার প্রথম ধাক্কাতে আমি খুব ভেঙে পড়ি। কারো সান্ত্বনাতেই কোন কাজ হয় না। এক দীর্ঘমেয়াদী বিষণ্ণকাল আমার সম্মুখে এসে দাঁড়ালো। মরে যাবার দুঃখটা ভুলতে আমি শিবরামের হাসির বই এবং জিম ক্যারির কিছু কমেডি সিনেমা কিনে নিয়ে আসলাম। কিন্তু বন্ধুবান্ধব আর স্বজনদের ক্রমাগত শোকবার্তামূলক ফোন আর ই মেইল পেতে পেতে বই আর সিনেমা দেখে মৃত্যুজনিত বিহবলতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা বিফলেই গেলো। যেমন এই মুহূর্তে ফোন করেছে আমার ঘনিষ্টতম বন্ধু আসিফ। নাহ, ফোনটা বন্ধ করেই রাখতে হবে দেখছি। মানুষের কোন কমনসেন্স নেই! বিরক্ত হয়ে ফোনটা ধরলেও কথাবার্তায় তা প্রকাশ হতে দেই না।
-হ্যালো!
-হ্যালো শিহাব, তুই নাকি মারা গেছিস?
-হ্যা দোস্ত। হঠাৎ করেই মরে গেলাম।
-কীভাবে মরলি?
-সেটা এখনো নিশ্চিত না। অনেক কারণেই হতে পারে। ভাবছি। ভেবে কোন কূলকিনারা পাচ্ছি না।
-ভেরি স্যাড। তুই আমার সাথে দেখা করতে পারবি আজকে?
-কেন?
-এই যে মরে গেলি হঠাৎ করে, তার কারণ অনুসন্ধান করবো দুজনে মিলে।
আমি ওর নির্দয়তায় মর্মাহত হলাম। একজন মৃত মানুষকে নিয়ে এত কিসের টানা হেঁচড়া! আমি ফোনটা বন্ধ করে দিয়ে ভাবতে বসি। কিজন্যে মারা গেছি তার জন্যে আসিফের সাথে বসে গবেষণা করার কোন মানে হয় না। শরীরটা ভীষণ অবসন্ন। কেন মারা গেলাম? কোন অপরাধে? সেই মফস্বলী মেয়েটা, যার সাথে দুই বছর প্রেমের অভিনয় করে সপ্তাহখানেক আগে ব্রেক-আপ করে ফেলেছি তার অভিশাপে? নাকি সেই রিকশাওলাটার, যে দুইটাকা বেশি চেয়েছিলো বলে তাকে থাপ্পড় মেরেছিলাম তার অভিযোগে? এই দুটো কি খুব বড় অন্যায়, যার জন্যে মৃত্যু অবধারিত?
যেদিন মারা গেলাম সেদিনের কথা মনে পড়লে এখনো শিউরে উঠি। ভালো মানুষ, অফিসে কাজ করছিলাম। একটা বিশাল ট্রান্সলেশনের কাজ গছিয়ে দেয়া হয়েছিলো আমাকে। দ্রুতহাতে টাইপ করতে গিয়ে হঠাৎ দেখলাম আমার হাত কাজ করছে না। একদম থেমে আছে। জলের গেলাশটা ঠিকই ধরতে পারছি, ঢকঢক করে পানিও খেলাম সেখান থেকে, কিন্তু অফিসের কোন কাজ করতে গেলেই স্থবির হয়ে যাচ্ছে সবকিছু। গলা শুকিয়ে শিরীষ কাগজ, হাত দুটোয় যেন একশ কেজি ওজন ভর করেছে। একটা বহুজাতিক কোম্পানিতে এ্যাপ্লাই করার জন্যে সিভি প্রস্তুত করেছিলাম। সেটি আমার দিকে তাকিয়ে ভেংচি কেটে হেসে জানালা দিয়ে উড়ে চলে গেলো। আর তখনই আমি বুঝতে পারলাম যে এটাই মৃত্যু। মুখ ম্লান করে বসের কাছে গেলাম। খবরটা শুনে তার কী প্রতিক্রিয়া হবে ভাবতেই ভয় করছে। মৃত্যু ব্যাপারটা সবসময়ই ব্যথাতুর, কিন্তু তিনি কি আর সেসব বুঝবেন? তার দরকার হলো কাজ। এই বিশাল সওদাগরী অফিসে থেমে যাওয়া মানেই মৃত্যু। কাঁচুমাচু মুখ করে তার রুমে ঢুকলাম।
-স্যার, আমি মারা গেছি।
এনে সুধালেন,
-দুঃখজনক ব্যাপার। কখন মারা গেলেন?
-এই তো কিছুক্ষণ আগে। ওভারিয়ান টিউমারের প্রবন্ধটা অনুবাদ করার সময়।
-তা কী কারণে মারা গেলেন বুঝতে পেরেছেন কিছু?
-হয়তো বা, তবে স্যার ব্যাপারটা পারসোনাল। আপনাকে বলতে চাচ্ছিলাম না।
-পার্সোনাল ব্যাপারের গুষ্টি মারি!
এবার স্বরুপে ফিরলেন তিনি। আমি এই ভয়ই করছিলাম!
-আপনারা অফিসের কাজ বাদ দিয়ে যা তা করে বেড়াবেন, আর কাজের মধ্যিখানে জরুরী অবস্থায় তেলতেলে মুখ করে এসে বলবেন যে “স্যার মারা গেছি” ফাইজলামি পেয়েছেন নাকি?
-যা হবার তা তো হয়েই গেছে। একটু যদি কনসিডার করতেন, হয়তো বা দ্রুতই অভিশাপ কেটে যাবে, আমি বেঁচে উঠবো। আমাকে পনের দিনের ছুটি দিন স্যার, এর মধ্যে দেখেন ঠিকই সামলে নেবো, স্যার!
-আপনাকে এক সপ্তাহের ছুটি দিলাম। এর মধ্যে অভিশাপ কাটিয়ে পুনর্জ্জীবিত হয়ে আসতে পারলে আসবেন নইলে ইউ আর স্যাকড। এখন যান তো... আপনার গা দিয়ে বোঁটকা গন্ধ বেরুচ্ছে, উহ হু!
ভগ্ন মনে অফিস থেকে বের হলাম আমি। বাসে উঠে আবার ঝামেলা লাগলো কন্ডাক্টরের সাথে। সে আমার কাছে পুরো ভাড়াই চাচ্ছে, কিন্তু আমি হাফ ভাড়ার বেশি দেবো না। মৃতদের জন্যে হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার। কিন্তু বাসমালিকেরা এখনো সেই পুরোনো নিয়মেই চলছে। এমন বিশৃঙ্খলা যেই দেশে, তার হবেটা কী! অগত্যা আমাকে পুরো ভাড়াই দিতে হলো। আমি গজগজ করতে করতে জানালার পাশের সিটে বসে আমার দ্বারা সংঘটিত সাম্প্রতিক পাপাচারের কথা ভাবতে লাগলাম। মফস্বলের মেয়েটা? নাকি বুড়ো রিকশাওলাটা?
মেয়েটা খুব কাঁদছিলো। আমাকে হৃদয়হীন বলে ভর্ৎসনা করছিলো। আমি এরকম আরো কত মেয়ের সর্বনাশ করেছি জানতে চাইছিলো। বড্ড সেকেলে তার কথাবার্তা। এই যুগে কেউ সতীত্ব বছরের পর বছর আগলে রেখে বাসর রাতে অপরিচিত কোন পুরুষকে বিলিয়ে দেয়ার মত অনগ্রসর চিন্তা করতে পারে? আসলে আমার ভাগ্যটাই খারাপ। কতজন এর চেয়ে ঢের বেশি সময় ধরে কত কত মেয়েকে প্রতারিত করছে, তাদের বেলায় কিছু হয় না, আর আমার ক্ষেত্রে সেটাই হয়ে গেল মৃত্যুর কারণ? অবশ্য মৃত্যু ব্যাপারটাই এরকম। বলে কয়ে আসে না। আমার ভাগ্যটাই খারাপ। এইসব অতি সংবেদনশীল মানুষের সাথে মেলামেশা করাটা বিপদজনক। কখন কে হৃদয়ে আঘাত পেয়ে বসে, আর আমাদের মতো আধুনিক মননের এই যুগের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সত্যিকারের মানুষেরা ঈশ্বরের দরবারে হৃদয়হীন বলে আখ্যায়িত হয়ে মৃত্যুবরণ করে!
সেই বুড়ো রিকশাওলাটা, যাকে আমি চড় মেরেছিলাম, যার চোখ থেকে সবুজ অশ্রূ নির্গত হচ্ছিলো, সেই নোংরা লোকটার আর্জি কেন যে আমার মত ধোপদূরস্ত, ব্যস্ত, উন্নত প্রজাতির মানুষের সাময়িক রূঢ়তার সাথে জিতে গেলো, কিচ্ছু ভেবে পাই না। ঈশ্বর ইদানিং বড় বেশি খামখেয়ালী হয়ে গেছেন।
যাই হোক, এসব নিয়ে ভেবে আর কী হবে! সামনে অনেক কাজ। দাফন-কাফনের ব্যাপার আছে। একটা মিলাদ দিলে ভালো হয়। তারপর আবার চল্লিশার আয়োজন করা। আমি একলা মানুষ, সব আমাকেই করতে হবে। মিলাদে কোন আইটেমটা দিলে ভালো হয়? এই গরমে তেহারি বা কাচ্চি না দেয়াই ভালো। জিলিপি, খেজুড়, আর একটা করে আপেল-যথেষ্ট। পরিচিতজনদের খবর দিতে হবে।
-হ্যালো, মা? একটা খারাপ খবর আছে, মন শক্ত করো।
-কী হয়েছে বাবা?
ওপাশ থেকে মা’র উদ্বিগ্ন কণ্ঠ।
-আমি মারা গেছি।
-কী বলিস! কেমন করে? কবে? কীভাবে?
-এইতো আজ দুপুরেই, কাজ করতে করতে হঠাৎ মারা গেলাম। বাবাকে এখনই কিছু বলো না যেন! তিনি অসুস্থ মানুষ...আর শোন, কালকে বিকালে বাদ আছর একটা মিলাদের আয়োজন করেছি। চলে এসো তোমরা।
মা কোন কথার উত্তর দেন না। ওপাশ থেকে বিলাপ করে কাঁদেন। “আমার এত ভালো ছেলেটা! ও কারো সাথে অন্যায় করতেই পারে না। কে যে তাকে অভিশাপ দিলো! কোন সে নিষ্ঠুর লোক। তার ওপর গজব পড়ুক!”
এসব শুনতে শুনতে আমার মনও সিক্ত হয়ে গেলো। কিন্তু বাস্তবতা বড় কঠিন। যা হয়েছে তাকে মেনে নিতেই হবে। আমি ফোন রেখে দিয়ে অন্যান্যদের মিলাদে আসার আমন্ত্রন জানাতে থাকলাম। মাইকিং এর ব্যবস্থাও করতে হবে। এরপর কুলখানি, চল্লিশা...মরে গিয়েও হাঁফ ছাড়ার জো নেই। মিলাদে বাবা-মা আসেন নি। আমার মৃত্যুসংবাদ শুনে তারা এতই কাতর হয়ে পড়েছেন যে ধাঁই ধাঁই করে প্রেসার বেড়ে গেছে দুজনের। এখন তাদের কোন ক্ষতি না হলেই হয়! মিলাদ শেষ হবার পরে সবাই এসে মলিন মুখে শোক প্রকাশ করতে লাগলো। শোক প্রকাশের মাঝে অবশ্য পেট পুরে মালঞ্চের সুস্বাদু খিচুড়ি খাবার তুষ্টি অনেকেই গোপন করতে পারছিলো না। অনেকেই অবশ্য মিছে আশা দিচ্ছিলো এই বলে, আধুনিক আধ্যাত্মবাদ অনেক উন্নত হয়েছে, ঠিকমতো ধ্যাণ এবং প্রার্থনা করতে পারলে আবার জীবিত হওয়া যাবে। শুনে আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। সেই ভাগ্য খুব কম জনেরই হয়। একবার হৃদয়হীনতার দায়ে দোষী হয়ে অভিশাপের খপ্পরে পড়লে আত্মাশূচি করাটা বড্ড কঠিন। ঈশ্বরের এই নতুন হেঁয়ালী সাথে খাপ খাইয়ে চলাটা দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন। সরলা মফস্বঃলী কিশোরী, বুড়ো হাড় জিরজিরে রিক্সাচালক, ভীড়ের যেকোন একজন মানুষ, ঘুলঘুলিতে বাসা বাঁধা চড়ুই পাখি, পদতলে পিষ্ট হওয়া দোমড়ানো ঘাসফুল, কখন কার অভিযোগে মৃত্যুযোগ হয় কেউ বলতে পারে না। আর তাই সঠিক কারণটি ভেবে বুঝে বের করে আত্মশূদ্ধির চেষ্টায় রত হওয়াটা খুব কঠিন।
-কী এত ভাবছিস তখন থেকে?
আমার কাঁধে হাত রেখে আসিফ জিজ্ঞেস করলো।
-ভাবছি, কী অপরাধে এমন হলো।
-আরে বাদ দে ওসব ভাবাভাবি। কবর কোথায় হবে ঠিক করেছিস?
-মীরপুর বুদ্ধিজীবি গোরস্থানে গিয়ে কথা বলতে হবে।
-যা করার তাড়াতাড়ি কর ভাই! বলতে সংকোচ হচ্ছে, তবুও না বলে পারছি না, তোর গা দিয়ে বিকট বোঁটকা গন্ধ বের হচ্ছে।
-আচ্ছা চল দাফন কাফনের যোগাড়যন্ত্র করি।
মৃত্যু সংক্রান্ত ব্যবসায় নিয়োজিত বেশিরভাগ দোকানের নামই একরকম। শেষ বিদায় বা আলবিদা এরকম। আমরা শেষ বিদায় স্টোরে গিয়ে কাফনের কাপড় এবং খাঁটিয়া কিনলাম। সাথে কিছু আগড়বাতি আর গোলাপজল।
-মূর্দা কে? সঙ্গে আনছেন?
-জ্বী আমি।
-একদম ফার্স্টক্লাস খাঁটিয়া আর কাপড় সদাই করছেন। কবর খোড়ার লোকও চাইলে আমাদের এখান থিকা নিতে পারেন। মার্কেট প্রাইসের চেয়ে কম দামে রাখবো।
ঝানু ব্যবসাদার দোকানীর সাথে আমার আর কথা বলতে ইচ্ছে করে না। সারাদিন অনেক ধকল গিয়েছে। তবে দামাদামির সুযোগ পেলে আসিফ ছাড়ে না।
-আরে ভাই, বেচারা জীবনে প্রথমবারের মতো মারা গেলো, ওর মানসিক অবস্থাটা বিবেচনা করবেন না? আরো তো মরবে, আপনাদের সার্ভিস ভালো পাইলে এখানেই আসবো বারবার। একটু কনসিডার করেন না!
-নারে ভাই, ব্যবসা বানিজ্য ভালা না। আর আমাদের গোরখোদক স্পেশাল প্রশিক্ষণ পাওয়া। তারে এর চেয়ে কম দামে পাইবেন না।
বাদানুবাদ শেষ হলে পরে আমাকে খাঁটিয়ায় শুইয়ে দেয়া হয়। কাফনের কাপড়ের শুভ্রতায় যেন মেরু অঞ্চলের শীত হামলে পড়ছে। শোক সঙ্গীতের ধর্মীয় সংস্করণ এই শবযাত্রাকে আরো ভৌতিক আর গম্ভীর করে তুলেছে। মহাগ্রন্থ থেকে উৎসারিত মন্ত্রে জীবনতন্ত্রের বিদায়ী সুর।
আমি ভাবছি, ভেবেই চলেছি... কী অপরাধে এমন হলো? আমি চড়ুই ছানাদের আদর করি নি বলে? ঘাসফুল মাড়িয়ে গিয়েছিলাম বলে? আমি হৃদয় ভেঙেছি সরলা কিশোরীর, আমি পিতার বয়েসী রিকশাঅলাকে প্রহার করেছি, আমি গোপনে পাশের বাসার মেয়েটির স্নান দেখেছি, আমি সুন্দরবনের প্রাচীন বৃক্ষের গায়ে মূত্রত্যাগ করেছি, আমি...
মনে পড়েছে... বুঝতে পেরেছি... কেন এমন হলো আমি বুঝতে পেরেছি! এখন কিছুদিন ধরে অনুশোচনা আর প্রার্থনায় সময় কাটালেই আবার জীবিত হয়ে উঠবো। কিন্তু ওরা আমাকে কবরে শুইয়ে দিয়েছে। আমার শরীরে মাটি পড়ছে ঝুরঝুর করে। আমি ওদেরকে থামাতে চাই, কিন্তু পারি না। আমি ডুবে যাচ্ছি, গেঁথে যাচ্ছি আরো গভীরে, আমার চিন্তাশক্তি হ্রাস্ব পাচ্ছে, ঘোলাটে হয়ে আসছে সবকিছু। আমার খুব ঘুম পাচ্ছে, চিন্তা করতে পারছি না কিছু। একটু আগে যেন কী ভেবে প্রায়শ্চিত্তের বুনিয়াদ গড়তে গিয়েছিলাম? মনে পড়ছে না, কিছুতেই মনে পড়ছে না। থাক, আর মনে করে কাজ নেই। কালকে সকালে উঠে পরিস্কার হয়ে অফিসে যেতে হবে। হৃদয়ের ঈশ্বরের অনেক বায়নাক্কা দেখলাম ধৈর্য্য ধরে। সে বড়ই অভিমানী। তার অভিমান কাটতে সময় লাগবে অনেক। ততক্ষণ বরং সওদাগর ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করি নিজেকে, এটাই সুবিবেচনার কাজ হবে!
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৯
না পারভীন বলেছেন: দারুন লাগলো। মনে হল আরো বড় জলে আরোও ভাল লাগিতো। শেষ পর্যন্ত কি হল এই প্রশ্ন থেকে গেলো
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: শেষে একটু রহস্য রেখে দিলাম। পাঠক নিজের ইচ্ছেমত শূন্যস্থান পূরণ করে নেবেন।
শুভেচ্ছা।
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৫
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা নিজের মৃত্যুর সব কাজ নিজেই করল! এমন বাস্তবে করা গেলে ভালোই হত।
চমৎকার গল্প। শুভকামনা।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পা। একটু ব্ল্যাক কমেডির চেষ্টা আর কী!
৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৪
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: মৃত্যু পরবর্তী উপলদ্ধি !!
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: মৃত্যুর পূর্বাপর!
৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৭
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
স্যামুয়েল বাটলার আক্ষেপ করেছিলেন- সে নিজের মৃত্যুখবর কখনোই জানতে পারবেনা। আপনার গল্পের ইমাজেনেটিভ সেটিংস-এ মৃত্যানুষ্ঠান বেশ দেদীপ্যমান ছিলো। কিন্তু অন্তরকলনে যতই টালবাহানা করি না-কেন; মৃত্যু নিয়তি-নির্দিষ্ট ...
শুভ কামনা, হাসান।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: মৃত্যুর মত রহস্যময় আর কিছুই নেই। মানুষ কখনও জানতেই পারবে না। তবে বেঁচে থেকে মরে যাওয়া, হৃদয়কে বিক্রীত এবং বিকৃত করে শবানুগমন চলতেই থাকবে।
শুভেচ্ছা।
৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৯
In2the Dark বলেছেন: গল্পটা ভাল লাগল কিন্তু রহস্যটা মিলাতে পারলাম না।
অনেকবার পড়ে পড়ে মিলানোর চেষ্টা করেও ব্যার্থ হলাম।
মরে যাওয়ার মাঝে কিছু একটা লুকিয়ে আছে মনে হয়।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: কিছু রহস্য থাক না অমিমাংসীত!
শুভরাত্রি।
৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৫
কলমের কালি শেষ বলেছেন: ...ঝুরঝুর মাটি পড়ার আগে আত্মস্বমর্পন করতে হবে । না হয় পরজীবনের নিষ্ঠুরতা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না ।
পড়ে অনেক ভালো লাগলো । দারুন অনুভূতির লেখা ।..
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।
৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৮
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ঘোরগ্রস্থ পাঠ। কেমন যেন লাগতেছে
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখো আবার মরে টরে যেও না!
৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: কারনটাতো জানা গেল না। কার অভিশাপে মারা গেল?
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: সেটা আমিও জানি না। তবে সে যে মরার আগে আরো অনেকবার মরবে হৃদয়হীনতার জন্যে, তা জানি।
১০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:০৯
সেলিম তাহের বলেছেন: Satire সাহিত্যের একটি আদর্শ উদাহরণ। খুব ভালো লাগলো বাহে : )
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
১১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:৩৩
আমিনুর রহমান বলেছেন:
ঘোর লাগানো রহস্যময় গল্প। মৃত্যুর পর আমিও কি এমনটি ভাববো। পড়েছি আর ভেবেছি।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি ইদানিং মৃত্যু নিয়ে খুব ভাবছি। ভেবে কোনো কূলকিনারা পাচ্ছি না।
১২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৩৫
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ব্যাতিক্রমধর্মী। চমৎকার!
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৪
ইমিনা বলেছেন: গল্পের শুরু থেকেই খুব কেীতুহল ছিল তার মৃত্যুর কারনটি জানার। প্রায় এক নিঃশ্বাসে গল্পটি পড়ে যখন শেষের দিকে এসে দেখলাম সে তার মৃত্যুর সম্ভাব্য কারনটি বুঝতে পেরেছে তখনই সব শেষ। নাহ্, বড্ড দেরি হয়ে গেছে তার উপলব্ধির। আর আমরা পাঠকরা হতাশহয়ে ফিরে যাই
অথচ এই ফিনিশিং পয়েন্টই প্রমাণ করে এটা হামা ভাইয়ের গল্প যেখানে তার লেখনির সমাপ্তি সেখানে আমাদের ভেবে নেওয়ার পথ শুরু ...
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্প যদি পাঠককে ভাবায়, সেটা এক পরম প্রাপ্তি। অনেক ধন্যবাদ ইমিনা।
১৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৭
আমি বাংলাদেশের বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার সাথে আমিও একমত। এ সম্পকর্ীয় আমার লেখা দেখতে পারেন।
১.http://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/vabnay/29945913
২. Click This Link
৩.http://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/vabnay/29975099
৪.http://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/vabnay/29973792
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: হুশ হুশ!
১৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪
আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: একদিকে হৃদয়হীনতা, অন্যদিকে কিছুটা মনুষ্যত্বের টানাপড়েন, বাস্তবতার দারুণ দৌড় আর বাণিজ্যবাদের কাছে নতিস্বীকার..... সত্যিই এমন মৃত্যু অজস্রবার আমাদের মৃত করে দিচ্ছে...
দারুণ লেগেছে ভাবনাটা।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আফসানা।
১৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ৮ম ভালোলাগা ভ্রাতা +++++
গ্লানিগুলো নির্যাতন মাঝে মাঝে মৃত্যুর চেয়েও ভয়াবহ মনে হয়
ভালো থাকবেন সবসময়
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা অপূর্ণ।
১৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মৃত মানুষের জবানীতে লেখা গল্প। পরাবাস্তবতা, ব্যতিক্রমী সংলাপ এবং সূক্ষ্ম হিউমারসমৃদ্ধ বাক্য গঠনের মধ্যে দিয়ে পাঠকের কাছে গল্পটির আবেদন বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ, ভাই হাসান মাহবুব।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ হেনা ভাই।
১৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
সোহানী বলেছেন: নি:সন্দেহে ভালো লেগেছে... বাট আমার মত মোটা মাথার গল্পের প্লট ধরতে অনেক সময় লেগেছে। তবে মৃতের ডায়ালোগ চরম হয়েছে.....++++
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোহানী।
১৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: কিছুদিন ধরে অনুশোচনা আর প্রার্থনায় সময় কাটালেই আবার জীবিত হওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু না থাকলেই ভালো ছিল। কারণ শেষমেশ হৃদয়ের ঈশ্বর নয়, সওদাগরের ঈশ্বরের কাছেই ধরা খেতে হতো। আফসোস!
হতাশ করে দিলেন হাসান মাহবুব ভাই। মরেও কি তাহলে শান্তি নাই? শালার সওদাগর!
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাদের মতো পাপীদের কোথাও শান্তি নাই!
২০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০
লিরিকস বলেছেন: এখন আর শেষ করতে পারলাম না ভাইয়া
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওকে! পরে এক সময় পড়ে নিলেই হবে।
শুভসন্ধ্যা।
২১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মরে গিয়েছি এটাই জরুরী খবর… এই আমি মুল্যহীন হলেও, আমার মৃত্যুটা অনেক মুল্যবান খবর… তাই না হামা ভাই…
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, মৃত্যুর বিপনন!
২২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪৭
ফা হিম বলেছেন: শেষ তিন লাইনে কি যেন ম্যাসেজ আছে, ঠিক ধরতে পারতেছি না। আমি আবার কম বুঝি কি না। তবে আইডিয়াটা বেশ! মৃত্যুও কি কর্পোরেট জগতের বস্তু হয়ে গেল?
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: শেষ তিন লাইনে আমাদের অজস্রবার মরে যাবার কথা বলেছি। আমরা মারা যাই আমাদের হৃদয়হীনতার দায়ে, আমরা বেঁচে থাকি কর্পোরেট এনথেম মুখস্ত করে। হৃদয়ের ঈশ্বর মেরে ফেললেও কর্পোরেট ইশ্বর ঠিকই বাঁচিয়ে তুলবে। আমাদের বেঁচে থাকাটা এখন এরকমই।
২৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৫
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
২৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৯
নুসরাতসুলতানা বলেছেন: গল্পের রহস্যটা কি ধরতে পেরেছি ? পড়তে ভাল লেগেছে।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: পেরেছেন হয়তো! ফাঁস করার দরকার নেই। শুভরাত!
২৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৬
আবু শাকিল বলেছেন: গত কাল রাতে ঘুমানোর আগে পোষ্ট দেখেছি।দেখলাম মৃদুল শ্রাবন ভাই এর কমেন্টস...ভাবলাম মাথা টা আউলাইয়া লাভ নাই,সারাদিন কামলা দিছি ঘুম যাই।কালকে পড়মু।
এখন সেই মাথা আউলাইয়া গেল।কি কি গোনাহ করলাম ভাবিয়ে দিলেন।...!!!
আমিও আপনার মত মৃত্যুর পূর্বাপর ভাবছি
কী অপরাধে এমন হলো? আমি চড়ুই ছানাদের আদর করি নি বলে? ঘাসফুল মাড়িয়ে গিয়েছিলাম বলে? আমি হৃদয় ভেঙেছি সরলা কিশোরীর, আমি পিতার বয়েসী রিকশাঅলাকে প্রহার করেছি, আমি গোপনে পাশের বাসার মেয়েটির স্নান দেখেছি, আমি সুন্দরবনের প্রাচীন বৃক্ষের গায়ে মূত্রত্যাগ করেছি, আমি..."
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: মরতে তো একদিন হবেই, তার আগে হৃদয়ের মৃত্যু যেন না হয়। শুভেচ্ছা।
২৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: জ্যান্ত মরার কাহিনী পড়লুম।
আমরা কি আজকাল সবাই একই রকম, যেটা শুনি সেটা নিয়া ব্যস্ত হইয়া পড়ি; এর পেছনে কিছু আছে কিনা বা বাস্তবতা নিয়া ভাববার বিষয়টা ভুইলা গেছি? সামনের দুনিয়া কি তাইলে গুগল নির্ভর হইয়া যাবে সত্যিই?
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ইতিমধ্যেই তো হয়ে গেছে!
২৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মৃত্যু পরবর্তি অনুষ্ঠান নিজেরটা নিজের, ব্যাপারটা পড়তে ভালো লেগেছে। কিন্তু এক্টা ব্যাপার দেখেন মরনের পরের আয়োজন নিজে নিজে করা গেলেও হয়তো আপ্নার অবচেতনেই চলে আসছে মৃত্যু না বলে কয়েই আসে! সেটার প্রস্তুতি কারোই নাই। মা -বাবার স্নেহশীল সত্তা কর্পোরেট জিবনেও উকি মেরে গেছে, ভালো লেগেছে বিষয়টা।
অনেক দিন গ্যাপের পর লেখা দিলেন! যদিও এখন খুব অল্পই সময় পাই লেখার আর পড়ার।
শুভ রাত্রি
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অপর্ণা। লেখা এবং পড়ার সময় বাড়ুক। শুভদুপুর।
২৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫১
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বরাবরের মতোই চমৎকার লেখভঙ্গি। শেষে এসে একটু কনফিউশন, আসলে কি লোকটা মরেইনি নাকি?
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: মরেছে কিংবা বেঁচে আছে দুইটাই সত্যি আবার দুইটাই মিথ্যা
২৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:১০
মনের গহীনে বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে।
হাসিও পেলো খুব। নিজের মৃত্যু সংবাদ নিজেই দিচ্ছেন ! হাঃ হাঃ হাঃ
৩০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//-তুই আমার সাথে দেখা করতে পারবি আজকে?
-কেন?
-এই যে মরে গেলি হঠাৎ করে, তার কারণ অনুসন্ধান করবো দুজনে মিলে।
আমি ওর নির্দয়তায় মর্মাহত হলাম। একজন মৃত মানুষকে নিয়ে এত কিসের টানা হেঁচড়া! //
...........................................................................
//-স্যার, আমি মারা গেছি।
-দুঃখজনক ব্যাপার। কখন মারা গেলেন?
-এই তো কিছুক্ষণ আগে। ওভারিয়ান টিউমারের প্রবন্ধটা অনুবাদ করার সময়।
-তা কী কারণে মারা গেলেন বুঝতে পেরেছেন কিছু?
-হয়তো বা, তবে স্যার ব্যাপারটা পারসোনাল। আপনাকে বলতে চাচ্ছিলাম না।
-পার্সোনাল ব্যাপারের গুষ্টি মারি!...আপনারা অফিসের কাজ বাদ দিয়ে যা তা করে বেড়াবেন, .......
আপনাকে এক সপ্তাহের ছুটি দিলাম। এর মধ্যে অভিশাপ কাটিয়ে পুনর্জ্জীবিত হয়ে আসতে পারলে আসবেন নইলে ইউ আর স্যাকড।//
প্রথমে অনেক হাসলাম।
অনেক ভেবে দেখলাম, আপনার লেখাটি একদমই অবাস্তব নয়। এভাবে প্রতিদিন মরে চলেছি আমরা। কোনটা যে আসল মরণ, বুঝা মুশকিল।
আপনার লেখায় নতুন উপলব্ধি আছে। নিউ ইনসাইট!
আরেকটু ঘনঘন লেখেন। আমরা পড়ে অন্তত পড়াটা শিখি
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই। চেষ্টা করবো নিয়মিত লেখার।
৩১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
আলম দীপ্র বলেছেন: হামা ভাই । আপনার লেখার অপেক্ষাওই ছিলাম । লেখা অপূর্ব লাগল ।এত কম লেখেন কেন ? আরও লিখবেন ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: লিখতে চাইলেই কি লেখা যায়? কতরকম ব্যস্ততা ঘরে বাইরে! অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
৩২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯
অচিন্ত্য বলেছেন: শুভ প্রত্যাবর্তন হামা ভাই। আপনি একটা কাজ করেন। মাঝে সাঝে আজে বাজে লেখা টেখা দেন। না হলে বার বার আপনার লেখায় একই মন্তব্য করতে করতে আমরা বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার সব লেখাই তো আজেবাজে নতুন করে আর কিতা দিমু?
৩৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬
বাঙ্গাল অ্যানোনিমাস বলেছেন: আরো একটা চমৎকার লেখা ....
মুগ্ধপাঠ্য!!
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৩৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন:
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: কী রে?
৩৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩০
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: হাসান ভাই -- আমি এত গভীরভাবে কারো গল্প পড়ি না ---- কিন্তু আপনার গল্প প্রতিটি শব্দ প্রতিটি বাক্য পড়েছি -- উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছি --- এত সুন্দর মোহনীয় করে তুলে ধরেছেন --- মাঝখানে মৃত্যু নিয়ে একটু ভয়ে ভয়েই ছিলাম ---- তারপরও এখনও কেন যেন মনে কষ্ট রয়ে গিয়েছে -----
শুভকামনা রইল
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাকে এত সময় দেয়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ!
৩৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভাল লাগল
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু
৩৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৬
পাজল্ড ডক বলেছেন: ''-মূর্দা কে? সঙ্গে আনছেন?'' ------হা হা!
গভীর উপলব্ধি আর অভিমানবোধ থেকে লিখা লিখেছেন বোঝা গেল।
এই রকমটা হলে পৃথিবী বেহেশত্ এর কাছাকাছি হয়ে যেত।
ভালো লাগলো।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
৩৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৮
ডি মুন বলেছেন: ফোনটা বন্ধ করেই রাখতে হবে 'দিচ্ছি' -- এটা সম্ভবত 'দেখছি' হবে।
সেই মফস্বলী মেয়েটা, যার সাথে দুই বছর প্রেমের অভিনয় করে সপ্তাহখানেক আগে ব্রেক-আপ করে ফেলেছি তার অভিশাপে? নাকি সেই রিকশাওলাটার, যে দুইটাকা বেশি চেয়েছিলো বলে তাকে থাপ্পড় মেরেছিলাম তার অভিযোগে? এই দুটো কি খুব বড় অন্যায়, যার জন্যে মৃত্যু অবধারিত?
এখান থেকেই বেশ টের পাওয়া যাচ্ছিলো আমাদের প্রতিদিনকার টুকরো টুকরো মৃত্যু নিয়েই গল্পের অলিগলি নির্মিত। তারপর আরো স্পষ্ট হলো
এই বিশাল সওদাগরী অফিসে থেমে যাওয়া মানেই মৃত্যু। - এই লাইনটিতে এসে।
আপনার ভাবনার অভিনবত্ব সবসময় পাঠককে চমকিত করে। ঘোরলাগা ভালোলাগায় আচ্ছন্ন হই।
এই গল্পটা পড়তে পড়তে বারবার আপনার লেখা ''দয়া করে বৃহস্পতিবারে মরুন'' গল্পটার কথা মনে আসছিলো। কেমন যেন গ্রামে/ প্রকৃতিতে ফেরার , মোটাদাগে 'শুদ্ধতায় প্রত্যাবর্তনের'' আকুতি আছে শেষটায়।
আমি ভাবছি, ভেবেই চলেছি... কী অপরাধে এমন হলো? আমি চড়ুই ছানাদের আদর করি নি বলে? ঘাসফুল মাড়িয়ে গিয়েছিলাম বলে? আমি হৃদয় ভেঙেছি সরলা কিশোরীর, আমি পিতার বয়েসী রিকশাঅলাকে প্রহার করেছি, আমি গোপনে পাশের বাসার মেয়েটির স্নান দেখেছি, আমি সুন্দরবনের প্রাচীন বৃক্ষের গায়ে মূত্রত্যাগ করেছি, আমি...
তবে আমার কাছে গল্পের শেষটুকু অনাবশ্যক মনে হয়েছে।
কালকে সকালে উঠে পরিস্কার হয়ে অফিসে যেতে হবে। হৃদয়ের ঈশ্বরের অনেক বায়নাক্কা দেখলাম ধৈর্য্য ধরে। সে বড়ই অভিমানী। তার অভিমান কাটতে সময় লাগবে অনেক। ততক্ষণ বরং সওদাগর ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করি নিজেকে, এটাই সুবিবেচনার কাজ হবে!
এটুকু ছাড়াই গল্পটি নিজেকে সম্পূর্ণরুপে প্রকাশ করতে সক্ষম। অর্থাৎ আমাদের প্রাত্যহিক মৃত্যুর ব্যাপারটি এটুকু ছাড়াও খুব ভালোভাবেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে পুরো গল্পজুড়ে। অন্ত্যত আমার সেরকমই মনে হয়েছে।
যদিও , লেখক বলেছেন: শেষ তিন লাইনে আমাদের অজস্রবার মরে যাবার কথা বলেছি। আমরা মারা যাই আমাদের হৃদয়হীনতার দায়ে, আমরা বেঁচে থাকি কর্পোরেট এনথেম মুখস্ত করে। হৃদয়ের ঈশ্বর মেরে ফেললেও কর্পোরেট ইশ্বর ঠিকই বাঁচিয়ে তুলবে। আমাদের বেঁচে থাকাটা এখন এরকমই।
যাহোক, শেষমেশ গল্পকারের বিবচনাই চূড়ান্ত বলে বিশ্বাস করি।
শুভকামনা হাসান ভাই।
গল্প পাঠে মুগ্ধতা।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুন। দিচ্ছি- দেখছি, ঠিক করে নিতে হবে। গল্পে যে অংশটায় বাহুল্য বলেছেন, সেটা আসলে ব্যাখ্যা করার অভিপ্রায়ে এসেছে। ইদানিং চাই পাঠকের খুব কাছাকাছি থেকে গল্পের থিমের মধ্যে তাকে অংশীদার করে নিতে। আরেকটা জিনিস খুব ভালো লাগলো, পুরোনো গল্পের সাথে তুলনাটা। আমার পাঠকের এই মনোযোগ লেখকের জন্যে তৃপ্তিকর।
ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
৩৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪২
ডি মুন বলেছেন: শুভরাত্রি
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: স্বপ্নশোভিত ঘুম হোক!
৪০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ভালোলাগায় মার্ক করে গেলাম ...
ভাবছিলাম পোস্ট করা কমিয়ে দিলেন কিনা একেবারেই পুরানো অনেকের মতোই...
সামহোয়্যারের প্রতি আপনার ডেডিকেশন আমাকে বিস্মিত করে বরাবরই ...
প্লাস!!
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: সামু যতদিন আছে, আমি থাকবো আশা করি।
শুভদিন নাসিফ।
৪১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
যা দিনকাল পড়েছে তাতে ঈশ্বরের সওদাগরী দোকানের ক্যাশ কাউন্টারে নিজেকে সমর্পণ করাই সুবিবেচনার কাজ হবে ! তাতে কিছু ক্যাশ ম্যানেজ করা গেলে দাফন-কাফনে একটা জৌলুস আনা যেতে পারে । শুধু মাটি চাপা দেয়ার হাত থেকে তো বাঁচা যাবে ।
প্রেষ্টিজ বলে তো একটা ইস্যু আছে !!!!!!!!
শুভেচ্ছান্তে ।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো বলেছেন। যদিও নিষ্ঠুর শোনাচ্ছে কথাগুলো।
শুভদুপুর।
৪২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাল লিখেছেন । এটা পড়ে মানুষ মৃত্যু সংক্রান্ত ব্যাপার স্যাপার নিয়ে ভাববে । +
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভকামনা।
৪৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫
যাযাবর বেদুঈন বলেছেন: এমন কিছু নিয়ে আমি প্রায়ই ভাবি। একেবারে আমার ভাবনার বাস্তব প্রতিফলন পেলাম আপনার গল্পে। আমি ঠিক এভাবে গুছিয়ে নিজের মধ্যে মাঝে মাঝে ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে যেয়েও পারিনি কিন্তু আপনার এই গল্পটা সেই সাধ পূর্ণ করে দিল।
আমার কাছে মাঝে মাঝেই মনে হয় আমার মৃত্যুর পর যদি দেখতে পেতাম কাছের মানুষগুলো কি করছে, কেমন আছে ? কিংবা নিজের মৃত্যু নিয়ে নিজেই সংগ্রাম করে যাচ্ছি....
তবে মৃত্যু সংক্রান্ত ব্যবসার অংশটুকু নিদারুণ বাস্তবতা। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমরা এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করে নীরবে বেঁচে আছি ঠিক যেন মৃত্যুর মত করেই।
ভাল থাকুন আপনি।
শুভ সকাল।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভদুপুর।
৪৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় হামা, মৃত্যু নিয়ে আপনার চিন্তাভাবনার বিষয়টি তাহলে ঠিক সাময়িক নয় দেখা যাচ্ছে! অথচ আমি ভেবেছিলাম, বিষয়টা হয়ত সাময়িক!
আপনার গল্প বরাবরই অনবদ্য এবং সুলিখিত! তাই আর নতুন করে কিছুই বললাম না! শুভ বিকেল!
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ বিকেল কাভা।
৪৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩২
নস্টালজিক বলেছেন: চমৎকার একটা ভাবনা আর স্বার্থক তার রুপায়ন।
গল্পের নামটাও ভালো হয়েছে, হাসান।
গুড ওয়ান!
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: তেংস বাডি।
৪৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: -আরে ভাই, বেচারা জীবনে প্রথমবারের মতো মারা গেলো, ওর মানসিক অবস্থাটা বিবেচনা করবেন না? আরো তো মরবে, আপনাদের সার্ভিস ভালো পাইলে এখানেই আসবো বারবার। একটু কনসিডার করেন না!
এই একটা ডায়ালগ পরিষ্কার করে দিল গল্পের প্রকৃত মনোভাব।
প্রথম অংশটুকু পড়ে হাসলাম। অনেকদিন পর মুক্ত মনে হাসলাম। এরকম খোলাখুলি স্যাটায়ার আর রসবোধ এখন দুর্লভ। উপভোগ করেছি প্রিয় হাসান।
শুভেচ্ছা।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রফেসর। আপনাকে মিস করছিলাম।
৪৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৩
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: দারুণ গল্প হাসান ভাই!! কারো অভিশাপে মরে যাওয়া আবার বেঁচে ওঠার সম্ভাবনা, আসলেই চমৎকার
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৪৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৪
সাাজ্জাাদ বলেছেন: ebabe amra protodin-i morci. karo nissas-e, karo kanna te,
amra bujte pari na.
khub valo legece.
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৪৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২৪
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ++++++++++
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ সকাল।
৫০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৪
গোর্কি বলেছেন:
কাল্পনিক বা স্বপ্নে মৃত্যু উপলব্ধি এবং তার আত্মাবমাননা স্বীকারের সান্ত্বনা সমন্বয়ে রচিত প্লটটি মুগ্ধপাঠ।
বরাবরের মতই অসাধারণ। শুভকামনা রইল।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গোর্কি!
৫১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২
সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: নামকরণটা যেমন অদ্ভুত, গল্পটাও। লেখকের নাম না জানলেও গল্পটা পড়ে আমি ঠিক বুঝে নিতাম এটা কার লেখা।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক খুশি হলাম শুনে। শুভরাত সাদিয়া।
৫২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬
ডট কম ০০৯ বলেছেন: গল্পের শেষে টুইস্ট আশা করেছিলাম। পাই নাই।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার লেখাতে টুইস্ট বড় একটা থাকে না। ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।
৫৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৪
সুমন কর বলেছেন: ইদানিং, অামারও মৃত্যু নিয়ে চিন্তা অাসছে। অাপনার গল্পের নায়ক বা চরিত্রের মতো চুপ করে মরে গেলে, অ--নে--ক খুশি হতাম।
গল্প ভাল লেগেছে। শেষ প্যারায় গল্পের মূল বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
একটি প্রশ্ন "সবুজ অশ্রূ" বলতে কি বুঝাতে চেয়েছেন?
১৯তম ভাল লাগা।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: সবুজ অশ্রূ-যাদের হৃদয়টা এখনও মরে যায় নি। যারা এখনও ইট কংক্রিটের এই অরণ্যে সবুজ ধারণ করে।
ধন্যবাদ এবং শুভরাত।
৫৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:১০
জাফরুল মবীন বলেছেন: গল্পের মূল ভাবনা ও লেখনি দুটোই অসাধারণ লেগেছে।
“সওদাগর ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করি নিজেকে,এটাই সুবিবেচনার কাজ হবে!”-এ কথাটা হৃদয়ে গেঁথে গেল।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! শুভদুপুর।
৫৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৬
মৌসুমী বায়ু বলেছেন: কাব্যিক মৃত্যু মনে হচ্ছে ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: নাহ। কর্পোরেট মৃত্যু বলতে পারেন!
৫৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
এহসান সাবির বলেছেন: হামা ভাই সেদিন বাসে করে ঢাকার একটু বাইরে যেতে যেতে গল্পটা পড়ে ফেললাম। মোবাইলে পড়ে বা লিখে কেনো জানি আমি কোন মজা পাইনা আমার আবার পুরানো আমলের মোবাইল , নতুন স্মার্ট ফোন গুলি আবার ভালো। যাই হোক...
গল্প পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম শেষটা কি হবে......!!
''হৃদয়ের ঈশ্বরের অনেক বায়নাক্কা দেখলাম ধৈর্য্য ধরে। সে বড়ই অভিমানী। তার অভিমান কাটতে সময় লাগবে অনেক। ততক্ষণ বরং সওদাগর ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করি নিজেকে, এটাই সুবিবেচনার কাজ হবে!''
শেষ লাইন গুলি পড়ে বেশ তৃপ্ত বোধ করলাম।
ভালো লাগা রইল।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৫৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
ভীষণ ধাক্কা ৷ আয়নায় নিজেকে অবলোকন ৷
ব্ল্যাক কমেডি হলেও মাঝে মাঝে আবসার্ড ধারার প্রভাব বেশ ৷ অনেকদিন পর লিখলেন ৷ তবে লেখার গভীরে বা মূল দর্শনের শিকড়ে যাওয়ার মুহূর্তে মনে হল যবনিকা টেনেছেন ৷ কোথায় যেন দ্রুত টানা বা অনির্দিষ্ট করার প্রয়াস মনে হলো ৷ হয়ত অতৃপ্তিতেই স্বার্থক ৷
ভাল থাকুন আপনি ও আপনার কলমটি ৷
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: তাড়াহুড়ো ছিলো না, তবে আমার আলস্য ক্ষমার যোগ্য নয়। শুভেচ্ছা।
৫৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪
মামুন ইসলাম বলেছেন: -যা হবার তা তো হয়েই গেছে। একটু যদি কনসিডার করতেন, হয়তো বা দ্রুতই অভিশাপ কেটে যাবে, আমি বেঁচে উঠবো। আমাকে পনের দিনের ছুটি দিন স্যার, এর মধ্যে দেখেন ঠিকই সামলে নেবো, স্যার
অসাধার লেখা হয়েছে ভাইয়া ।
তবে এভাবে মৃত্যুর আগে সব গুছিয়ে নিতে পারলে ভালো হোতো ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।
৫৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯
মামুন রশিদ বলেছেন: মৃত্যুবোধ আমাকে আকর্ষণ করে । যেহেতু ব্যাপারটা টেস্ট করে দেখার সুযোগ নাই, তাই আমাকে নির্ভর করতে হয় লেখকদের কল্পনার উপর । আপনার লেখা মৃত্যু বিষয়ক বেশ কয়েকটি গল্পের নাম মনে পড়ছে- মৃতবৎসা জোছনার কাল, এই খবরটা আমায় নিয়ে, কিংবা দয়া করে বৃহষ্পতিবারে মরুন । প্রতিটা আলাদা গল্পে মৃত্যুবোধ বিচিত্রতা নিয়ে এসেছে । এই গল্পে যেমন মৃত্যুটাকে পজিটিভ ভাবে দেখিয়েছেন । মৃত্যু যদি আমাদের মনে অতীতের কোন ভুল বা পাপের জন্য অনুশোচনা জাগায়, তাহলে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যুই শ্রেয় । কারণ যে অনুশোচনা করেনা, সে এমনিতেই মৃতবৎ ।
চমৎকার গল্পে দ্বাবিংশতম ভালোলাগা । সপ্তাহ খানেক নেটে না থাকায় পেছনের পাতা ধরে পড়ে যাচ্ছি । এক সপ্তাহের জমে থাকা পোস্ট পড়ে কবে শেষ করবো জানিনা ।
ভালো থাকবেন, শুভকামনা ।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: মৃত্যু নিয়ে আমার কৌতুহল সাম্প্রতিককালে চূড়ায় চলে গেছে। তাই ইদানিংকালের লেখায় মৃত্যু বিষয় হিসেবে বেশি আসছে। গল্প নিয়ে আপনার ভাবনা ভালো লাগলো।
শুভ দুপুর মামুন ভাই।
৬০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৬
সাদরিল বলেছেন: কিছুদিন আগে আপনার আরেকটি গল্প পড়েছিলাম "বৃহস্পতিবার মরুন"।এটা কি ওই গল্পেরই প্রিক্যুয়াল টাইপ কিছু??? মৃত্যু নিয়ে আপনার আলাদা কিছু ফিলোসফি আছে দেখা যায়। এটাকে কি আমি ডেথ ফিলোসফি বলতে পারি??? তবে এই গল্পটির আলাদা দিক হলো এখানে ডেডবডিটি জীবন্ত, ঠিক যেন গল্পটির মতো, গল্পটা মরে যাব যাবো করতে করতেই বেশ জীবন্তভাবে শেষ হলো।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখার সময় খেয়াল ছিলো না। এখন আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে আসলেই এই গল্পটি বৃহস্পতিবার এবং আরো কিছু গল্পের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটাকে মৃত্যু সিরিজ বলা যেতে পারে।
ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।
৬১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৪৯
মৌ রি ল তা বলেছেন: কাহিনী কি?? আজ আপনার ব্লগে যা ই পড়ছি সবই দেখি মৃত্যু বিষয়ক !!
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: মৃত্যু নিয়া গবেষণা করি।
৬২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৮
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: সবাই প্রশংসা করলো, আমিও বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে তাদের সাথে একমত। আমি তাইলে ভিলেন হয়া যাই, গল্প সংক্রান্ত আমার কিছু অভিযোগ কই।
ম্যাজিক রিয়ালিজম প্রয়োগের শর্তই হইলো যে আধিভৌতিকতা ও পরাবাস্তবতা এমনভাবে আমাদের প্রত্যেকদিনের জীবনে আইসা মিশা যাবে, যাতে এইটারে কোন ভিন্ন বিষয় মনে হবে না। একজন মৃত মানুষরে নিয়া মিলায়া দিলেন রোজকার নগর জীবনে, ঠিক আছে। কিন্তু মৃত্যুর থিমে একটা গল্পের ভাষার তলায় একটা শীতল আবহ প্রবহমান হইলে মনে হয় ভালো হইত।
শবযাত্রার বর্ণনাটা আরও একটু ডিটেলসে দিলে মনে হয় প্রয়োজনীয় আবহটা তৈরি হইত।
আর দুইটাকার জন্যে এখন কি কেউ থাপ্পর মারে রিকশাওয়ালারে? ৫ বা ১০ টাকা হইলে কি আরএকটু বিশ্বাসযোগ্য হইত না? মফস্বলের মেয়েরে কিন্তু আপনে স্টিগমাটাইজ কইরা ফেলাইলেন। শরীরী খেলা তারও পছন্দ হইতে পারে। তবে আপনার গল্পের চরিত্র, আপনিই ভালো বুঝেন।
পরিশেষে, আপনার ইদানিং গল্পগুলা থেকে মনে হইসে আমার যে আপনি একটা ঘেরাটোপে আটকা পড়ছেন। স্ট্রিম অফ কনশাসনেস বা চৈতন্যপ্রবাহ রীতি, বা গল্পের চরিত্রের চিন্তাভাবনায় গল্পের মুল প্লট অগ্রসর হওয়া, অল্প স্বল্প কইরা এই আধুনিক বর্ণনারীতিরও বয়স প্রায় একশ বছর হইতে চলল বইলা। এইটাও আর তাই এখন আর আধুনিক নাই। কিন্তু আপনার বেশিরভাগ গল্পই ইদানিং এইটার উপর দাঁড়াইতেছে, আলটিমেটলি , লং রানে এইটা আপনার লেখক সত্ত্বার জন্য শুভ কিছু না
নিজের কমফোরট জোনের বাইরে কিছু কাজ করেন, আশা করি নিজেরে নূতন ভাবে আবিষ্কার করতে পারবনে। আমরাও নূতন কিছু পাব।
মন্তব্যে রাগ কইরেন না ভাই!
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: মন্তব্যে রাগ করার কোন প্রশ্নই ওঠে না। এভাবে খোলাখুলি বলবেন। এতে আমার উপকারই হবে।
অশেষ শুভেচ্ছা।
৬৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: 'মৃত্যু'র মত এমন বিভৎস অভিজ্ঞতা নিয়ে এমন চটুল লেখা সত্যিই উৎসাহব্যাঞ্জক ।
আমার কেন জানি মরে যেতে ইচ্ছে করে মাঝেমাঝেই । এটাকে যান্ত্রিক একঘেয়েমির ফল বলবো নাকি ব্যাখ্যাতীত বিষন্নতার মোড়কে জড়িয়ে পড়ার ইমপ্যাক্ট, বুঝিনা ।
ভালো লাগলো হামা ভাই । ভালো থাকবেন ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৬৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৫
মশিকুর বলেছেন:
এক টাকার জন্য মানুষ মানুষকে মেরে ফেলে!!! আর এক টাকার জন্য বাসের হেল্পারকে মারার দৃশ্যও তো কমন। ...তাছাড়া দুই টাকার জন্য রিকশাওয়ালাকে থাপ্পর মারছে দেইখাইতো তার মৃত্যুর সম্ভাব্য কারন হিসেবে এই ঘটনাটাকে মনে করতেছে। তাই আমি মনেকরি ২ টাকার জন্য থাপ্পর মারাই বরং প্রাসংগিক।
গল্পের দৃষ্টিকোন অভিনব + কয়েকদিন ধরে মৃত্যু নিয়ে চিন্তা করতেছি। গতকাল ফেসবুকে মৃত্যুর আগে বহুবার মৃত্যু নিয়ে একটা স্ট্যাটাসও দিয়েছিলাম। সেটা এখানে দেয়ার লোভ সামলাতে পাত্তেছি না...
"যান্ত্রিকতার শহরের কোলাহলে মৃত যন্ত্রমানবেরা নিরবতা পছন্দ করে; নিঃশ্বাসের দূরত্বে নিরবতা! যন্ত্রমানবেরা আত্নহত্যাপ্রবন; তারা কখনই দুর্ঘটনাপ্রবন নয়। তারা কোলাহলে মারা যায়; আর নিরবতায় বেঁচে উঠে। তারা আত্নহত্যার মাধ্যমে জীবিত হয়; বিষ খেয়ে পিপাসা মিটায়; কষ্টে হাসে আর আনন্দে কাঁদে। তারা মারা যায় শুধু কেবলই নিরবতার জন্য; নিঃশ্বাসের দূরত্বের নিরবতার জন্য..."
ধন্যবাদ
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুণ লিখেছেন। খুব ভালো লাগলো। শুভরাত্রি।
৬৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৮
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: আপনার লেখা যত পড়ি তত মুগ্ধ হই। এখনো পর্যন্ত আপনার কোন গল্পের বই বের হইসে?
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। একটি বই বের হয়েছে। "প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত"
৬৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫২
খাটাস বলেছেন: গল্প টা তে কিছু টা সাইফাই এর ছোঁয়া আছে আত্মা ফিরে কনসেপ্ট টা তে মনে হল। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতের আধুনিকতার ছোঁয়া টা সেই অর্থে রিক্সাআলা, আর মফঃস্বলের মেয়েটা তে একটু অনুপস্থিত।
তবে যে মেধায় পাঠকের আবেগ কে উল্টে দিয়ে অসাধারণ দৃশ্য পট আর সংলাপ গুলোর মিশ্রণ করেছেন- তার মুগ্ধতা অনেক ক্ষণ থাকবে।
অসাধারণ।
আমি ও একটা প্লট ভেবেছিলাম, যার সাথে কিছুটা মিলে গেছে। এখন পাল্টাতে হবে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনারটা লিখুন না আপনার মত করেই! আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করে থাকবো।
৬৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৯
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
গল্পটা যেদিন পোষ্ট করছিলেন সেদিনই পড়ছিলাম মোবাইল থেকে। গল্পের স্টার্টিং আপনার আরেকটা গল্পকে মনে করিয়ে দেয়। এখন যদি বলেন কোন গল্প তাহলে কিন্তু বিপদে পড়ে যাবো। খুঁজে বের করতে হবে।
গল্পে ভালো লাগা।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু!
৬৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:২২
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার!
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ!
৬৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: গল্পে রথী-মহারথী অনেকেই চমৎকার সব মন্তব্য করেছেন। এরপর আমার বলার কি কিছু থাকে? থাকে।
প্লেটো তার ফিডো বইতে সক্রেটিস কে বলিয়েছেন, 'দার্শনিকরা মৃত্যুকে পছন্দ করে। কেননা, কেবল মৃত্যুতের মহাজ্ঞানের সাথে মিলিত হওয়া যায়।' এই কথাটা আমার খুব পছন্দ।
কালকে সকালে উঠে পরিস্কার হয়ে অফিসে যেতে হবে। হৃদয়ের ঈশ্বরের অনেক বায়নাক্কা দেখলাম ধৈর্য্য ধরে। সে বড়ই অভিমানী। তার অভিমান কাটতে সময় লাগবে অনেক। ততক্ষণ বরং সওদাগর ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করি নিজেকে, এটাই সুবিবেচনার কাজ হবে!
পুরো গল্পটা এই কথাগুলো বলার জন্যই গড়ে উঠেছে। কিন্তু হৃদয়ের ঈশ্বর আর সওদাগর ঈশ্বর এই ধারণটা আমার পছন্দ নয়। ঈশ্বরকে অনুভব করুন আরো গভীর ভাবে। তাকে আর দুই মনে হবেনা। নিজের দ্বিত্বতাকে দুই ঈশ্বরে প্রকাশ কি ঠিক বা বেঠিক এই তর্কে নয় বরং ঈশ্বর কে এক রেখে নিজের ভেতরের নিজের সাথে বাহ্যিক নিজের যে টানা-পোড়েন তাকে দেখালে আমার আরো ভালো লাগতো।
যা লিখলাম এ আদৌ লেখার বিষয়ের সাথে গেলো কিনা বা আপনার ভাবনার বাইরে দিয়ে গেলো কিনা জানিয়েন। গল্পে আপনার অনেক বিস্তারিত বর্ণনা থাকলেও মন্তব্যে আপনার অনেক কার্পন্য। হাঃ হাঃ হাঃ এর কারণ নিয়ে একদিন কথা হচ্ছিলো মামুন রশিদ ভাইয়ের সাথে। সে কথা না হয়, অন্য একদিন হবে।
ভালো থাকবেন। সব সময়।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঈশ্বরের ধারণা নিয়ে আমরা সবাই কমবেশি আলাদা। এর আগে নরকের রাজপুত্র Click This Link নামক একটা গল্প লিখেছিলাম, সেটা পড়লে আমার এ বিষয়ক দর্শন পরিষ্কার করে বুঝাতে পারতাম।
শুভেচ্ছা।
৭০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:২৬
এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।
৭১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার গল্প, বেশ লাগল। শুভেচ্ছা রইলো।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।
৭২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪৭
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: পড়লাম। আপনার ঈশ্বর সম্পর্কি্ত ধারনাটি বুঝলাম। চরিত্রে কিছু ঘাপলা আছে।
১ বেহেশতের লোভ নাই ভালো, কিন্তু পরশ্রীকাতরতা আছে। তাই খুন করতে উদ্যত হওয়া।
২ ঈশ্বর ঘুষ খায় এটা কি প্রতিষ্ঠি্ত সত্য? উত্তর হলো না। তবে কেউ অসৎ পথে উপার্জন করলে আর উপাসনালয় বানালেই নরকে ঠাঁই হবেনা এই তত্ত্ব/ যুক্তি কই পেলেন?
৩ যেহেতু তিনি অসীম দয়ালু। এটা যদি মেনেই নেন তবে সেই দয়ার যোগ্য আপনি নন এটা মনে করাটা আপনার হী্নমন্যতা ঈশ্বরের নয়।
৪ আনুগত্যলোভী ঈশ্বর, এটাও ভুল ধারনার উপর প্রতিষ্ঠিত। ঈশ্বর কারো মুখাপেক্ষি নন। আপনি ঈশ্বরকে ডাকেন নিজের প্রয়োজনে, ঈশ্বরের প্রয়োজনে নয়।
আরো কিছু পয়েন্ট ছিল, কিন্তু ঘুম পাচ্ছে।
বি দ্রঃ ১ মন্তব্য কেবল গল্পের চরিত্রকে উপলক্ষ্য করে বলা হয়েছে। ব্যক্তি হাসান ভাইকে নয়। এটা নাদান বাচ্চাদের জন্য সতর্কীকরণ।
২ ঐ পোষ্টে আর মন্তব্য নিচ্ছেনা। তাই এখানেই মন্তব্য করলাম।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন:
ঈশ্বর ঘুষ খায় এটা কি প্রতিষ্ঠি্ত সত্য? উত্তর হলো না। তবে কেউ অসৎ পথে উপার্জন করলে আর উপাসনালয় বানালেই নরকে ঠাঁই হবেনা এই তত্ত্ব/ যুক্তি কই পেলেন?
- ঈশ্বর আছে কী না এটাইতো এখনও প্রতিষ্ঠিত সত্য না। থাকলে তবেই না ঘুষের ব্যাপার আসে। ধরে নিলাম ইশ্বর আছেন। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার আগে নামাজ পড়া মৌসুমী ধার্মিকদের আচরণ দেখে মনেই হতে পারে যে তারা ঘুষ দিতে চাইছে ইশ্বরকে। তবে ঈশ্বর কী আর এসবে ভুলবে?
যেহেতু তিনি অসীম দয়ালু। এটা যদি মেনেই নেন তবে সেই দয়ার যোগ্য আপনি নন এটা মনে করাটা আপনার হী্নমন্যতা ঈশ্বরের নয়।
-ধর্মগ্রন্থগুলোতে দেখা যায় লেখা আছে তিনি অসীম দয়ালু। আবার তিনিই লক্ষ বছর মানুষকে পোড়ান নামাজ না পড়ার কারণে। কন্ট্রাডিক্টরি ব্যাপার না? আমি মেনে নেই নাই যে তিনি অসীম দয়ালু। তাই তার দয়া পাবো কি পাবোনা এসব ভেবে আমি উৎকণ্ঠিত না।
আনুগত্যলোভী ঈশ্বর, এটাও ভুল ধারনার উপর প্রতিষ্ঠিত। ঈশ্বর কারো মুখাপেক্ষি নন। আপনি ঈশ্বরকে ডাকেন নিজের প্রয়োজনে, ঈশ্বরের প্রয়োজনে নয়।
মন্তব্যের দ্বিতীয় অংশটা ভালো বলেছেন। তবে প্রথম অংশটা নিয়ে তর্ক হতে পারে।
৭৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১৮
সজীব বলেছেন: ++++++++++++++
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ!
৭৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪৪
মহান অতন্দ্র বলেছেন: ++++ অনেক ভাল লাগা ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৭৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:১৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ব্লগে আসি গল্পের খোঁজে। এখন গল্প পাওয়া যায় না বেশি। অফলাইনে আপনার গল্প অনেক পড়েছি। তাদের মধ্যে অন্যতম সেরা গল্পটায় ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৫:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভভোর।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৪
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: এইডা কি লিখলেন ভাই? সবকিছু গুলিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ঘুমের ঘোরে নিজের অজান্তে মরে টরে গিয়ে এখন আপনার এই পোষ্টটি পড়ছি নাতো???
আরে ভাই, বেচারা জীবনে প্রথমবারের মতো মারা গেলো, ওর মানসিক অবস্থাটা বিবেচনা করবেন না? আরো তো মরবে, আপনাদের সার্ভিস ভালো পাইলে এখানেই আসবো বারবার। একটু কনসিডার করেন না!
এই সুপারিশটা চরম হইচে