নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছেলেটা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে জানালার দিকে। ওখান থেকে একটা হোটেলের নিয়ন আলো দিয়ে তৈরি সাইনবোর্ড দেখা যায়। হোটেল গ্রিনভিউ। ঠিক সন্ধ্যা ছয়টার সময় সাইনবোর্ডের আলোগুলি জ্বলে ওঠে। সারারাত জ্বলতে থাকে। ছেলেটা বেশিরভাগ সময়েই তার রুমের ভেতর থেকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে হোটেলের লাইটের দিকে। ঘুমের সমস্যা হচ্ছে তার। তাই রাত জাগতে হয়। আর রাত জাগতে হয় বলেই একদৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে থাকা। রাতের বেলা, যখন সব শুনশান,তখন তার রুমের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে শূন্য রাজপথকে রাতের মেঘনার কালো পানি মনে হয়। অনুভূতিটা অনেকটা এরকম, সে লঞ্চে করে নদী পার হচ্ছে, সামনের বিল্ডিংগুলোও লঞ্চ বা ফেরি। আর চারিপাশের নিকষ অন্ধকার হলো নদী। ছেলেটা কল্পনাপ্রবন। তাই এই একাকীত্ব আর একঘেয়ে সময়কে সে নিজের মত কারে সাজিয়ে নিতে পারে। এজন্যেই তার সময় খুব একটা খারাপ কাটে না। বয়স কত হতে পারে ছেলেটার? সতের? কিংবা আঠারো। বিত্তশালী বাবা-মার কাছ থেকে দেদার পকেটমানি পেয়ে কনসার্টে উল্লাসনৃত্য করার পর ইয়াবা না হলে তার চলতো না? ইয়াবা সেবন করে হার্টথ্রব প্রস্টিটিউটদের এমন কী মিডিয়া জগতের নারীদের শরীরের সাথে শরীর মেলাতো। কী সব দিন ছিলো! উদ্দাম উল্লাস, টানা তিনরাত জেগে থেকে পার্টি, চেনা-অচেনা যেকোনো মেয়ে পেলেই আলিঙ্গন অথবা চুমু। হু কেয়ারস! ইয়াবাঘটিত উৎসব শেষ হলে টানা ঘুম। এভাবে বেশ কাটছিলো দিন। কিন্তু তার বাবা-মা বাধ সাধলেন। একবার মদ্যপ অবস্থায় বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর করার পর তারা প্রথমবারের মত বিষয়টির গুরুতর দিকটি দেখতে পেলেন। ছেলে উচ্ছন্নে গেছে এই বিলম্বিত বোধোদয়ের পর তারা তাকে দ্রুত একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে গেলেন। ছেলেটি তখন ছিলো নেশায় বুঁদ। তাই সে কোনো প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে নি। নিরাময় কেন্দ্রে আসার সময় সে অনেকটা ঘোরের মধ্যে ছিলো। ঘুমে চোখ ভেঙে আসছিলো। প্রথম তিনটা দিন সে ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেয়। চতুর্থ দিনে একটু বোধ ফেরার পর সে তার বর্তমান পরিস্থিতির শোচনীয় দিকটা দেখতে পায়। বহির্গমনের সব দরোজাই তালা দেয়া। তার সাধের আইফোনটাও বাজেয়াপ্ত করেছে তারা। কারো সাথে যোগাযোগের কোনো উপায় নেই। এখানে এই বদ্ধ ঘরে সময় কাটবে কীভাবে? থাকতে হবে কম করে হলেও একমাস। সে কি পাগল হয়ে যাবে? তবে মানুষের একটা গুণ হলো যেকোনো পরিস্থিতিতে অভিযোজিত হতে পারে। এক্ষেত্রে ছেলেটা তার এই দুঃসময়ে গ্রিনভিউ হোটেলের বাতি জ্বলা আর নেভা প্রত্যক্ষ করেই তার অভিযোজিত সময় কাটিয়ে দিতো। নিয়ন সাইনটা তার চোখাচোখি হবার ফলে সে ওটার ব্যবচ্ছেদ করতো আপন মনে। কোন অক্ষরের রঙটা কমে গেছে, কোনটা একটু দেরিতে আলো দেয় এসবই ছিলো তার সময় কাটানোর ব্যবস্থা। সময় বড় শক্ত জিনিস কিছু ক্ষেত্রে। তাকে কাটানো যেই সেই ব্যাপার না। তাই ছেলেটিও সময়ের টুঁটি চেপে ধরে কামড়ে, খামচে তাকে কাটার চেষ্টা করে। কষ্টেসৃষ্টে কিছু সময় কাটায়। এভাবেই সময় কাটছে ছেলেটির। অথচ আগে, আহা কী দিন ছিলো...
সেই দিনটা, যেদিন সে ঠিক করেছিলো লাস্ট স্টেশন অফ ড্রাগে পৌঁছাবে, এই দিনটার কথা কখনও ভুলতে পারবে না সে। ফেনসিডিল, ইয়াবাতে তার নিরাশক্তি ধরে গিয়েছিলো। বোতল বোতল ফেনসিডিল খেতো, পঞ্চাশ-ষাটটা করে ইয়াবা নিতো তারপরেও যেন আরো কিছু দরকার ছিলো। অবশেষে পেয়েই যায় এলএসডি;লাস্ট স্টেশন অফ ড্রাগ বলে যার সুপরিচিতি আছে। তারপর তিনটা দিন কী যে কাটলো তার! রিকশায় করে এ্যারাম বারের কাছে নামার সময় তার মনে হচ্ছিলো সে যেন একজন হেলিকপ্টারের পাইলট। তার কানে যেন ঢাউস আকৃতির হেডফোন লাগানো। হেলিকপ্টারের ডানা ঘুড়ছে, প্রচন্ড শব্দ। আর রিকশা থেকে নামার সময়টা যেন প্যারাসুটে করে অনেক উঁচুতে থাকা বিমান থেকে লাফ দেয়া! এইতো জীবন! মাদকের রঙে রাঙানো উড্ডয়নশীল উদ্দাম জীবন। এ যেন এক সমান্তরাল জীবন। নেশাবিহীন জীবনটা তখন শুষ্ক, শুকনো, পরিত্যাগকৃত একটি নিরামিষ বেঁচে থাকা। সমান্তরালে চলা নেশাগ্রস্থ জীবনের কাছেই সে বেঁচে থাকার অবলম্বন খুঁজে পায়। অনেক উঁচুতে উঠছে সে এখন। সাত আসমান পার হয়ে যাবে বোধ হয়। আরে এইতো, চলে এসেছে! জলমেঘ, শব্দমেঘ, মিথ্যা মেঘ, হাওয়াই মিঠাই মেঘ, গম্ভীর মেঘ, চপল মেঘ, মেঘেদের রাজ্যে তার অলীক উড্ডয়ন। তবে এই আনন্দ বেশিক্ষণ থাকলো না। শুরু হলো পতন। সে নামছে, নামছে, অভিকর্ষজ ত্বরণের সূত্র মিথ্যা প্রমাণিত করে তার চেয়েও তুমুল জোরে নামছে। পতন কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পাদিত হবার পর সে নিজেকে আবিষ্কার করে তার শোবার ঘরে। ঘরটা কেমন যেন দুলছে! দুলছে টেবিলল্যাম্প, টেবিল, চেয়ার, বই, কম্পিউটার। দুলুনিটা তার ভালোই লাগে। সে নিজেকে কুঁকড়ে হাঁটুটা মাথার কাছে এনে হাত দিয়ে গিঁট দিয়ে দেয়। এভাবে থাকতে বেশ লাগছে তার। চোখ বন্ধ করলেই আলোর বর্ণালী আর সিডি প্লেয়ারে বাজতে থাকা গানগুলো যেন ঠিক ঠিক তার মস্তিষ্কের মধ্যে পৌঁছে গেছে। তার মাথার ভেতর গান বাজছে। প্রতিটা শব্দ সে আলাদাভাবে বুঝতে পারছে। শব্দগুলো যেন জ্যান্ত! তাদের প্রত্যেকের আলাদা চরিত্র এবং বৈশিষ্ট্য আছে। রিনিঝিনি শব্দ, মাতাল শব্দ, দুঃখী শব্দ, দুষ্ট শব্দ, সেক্সি শব্দ, গম্ভীর শব্দ। তার মস্তিষ্কটাকে যেন প্লেগ্রাউন্ড বানিয়ে ইচ্ছেমতো ছোটাছুটি করছে শব্দেরা। তার মাথাটা হালকা লাগতে থাকে। সে শুয়ে পড়ে। একটু চোখ বন্ধ করেছে কী করে নি নতুন এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা তার জন্যে অপেক্ষা করে থাকে। শব্দগুলো হঠাৎ করে চলে যায়। আর তাদের স্থানে হুড়মুড় করে আসতে থাকে স্মৃতিরা। ভালো স্মৃতি, মন্দ স্মৃতি, যেন টাইম ট্রাভেলে বের হয়েছে সে। মায়ের বকুনি, বাবার শাসন, দুজনের সাথে সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে যাওয়া, বন্ধুর সাথে মারামারি, গলাগলি, আড়ি, ভাব, প্রেমিকা, প্রথম চুম্বন, তারপর ব্রেকআপ...তারপর ব্রেকআপ...তারপর ব্রেকআপ! এলএসডি পুরোনো স্মৃতি গভীর গহন থেকে তুলে আনতে পারে জানে সে। কিন্তু হঠাৎ করে দুঃখের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে গ্যাঁট হয়ে বসে থেকে যন্ত্রণা দেয়ার কাজটা যে এমন অবর্ণনীয় কষ্টের হবে তা ছেলেটি জানতো না। এখন তার মাথার মধ্যে ঘুরছে, শুধু ঘুরছে তার প্রাক্তন প্রেমিকার কথা। চিৎকার করে কাঁদতে থাকে সে। কেন তুমি চলে গেলে? আর আমিই বা কেন মাসখানেক পরে একটা মেয়ের সাথে ফ্লার্ট করা শুরু করলাম? আমি কি তাহলে লোফার? লুচ্চা? হায় খোদা! আমি এত খারাপ কেন? হুহু করে কাঁদতে থাকে সে। আর তারপর! অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে মস্তিষ্কের স্মৃতির এ্যালবাম থেকে। এখন সে আছে শহরের প্রসিদ্ধ একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে।
সে এখানে এসেছে দশদিন হলো। কমপক্ষে নাকি তিনমাস থাকতে হবে, এটা কল্পনা করতেই তার ভয় লাগছে। এতদিন এখানে থাকবে কীভাবে? নিরাময় কেন্দ্রের অন্যান্য রোগীদের সাথে তার তেমন একটা মেলে না। মিশ খায় না। সে প্রায় সারাক্ষণ জানলা দিয়ে উদাস নয়নে হোটেল গ্রিনভিউয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। বিশেষ করে রাতের বেলা। যেন বিশাল সাগরে সে একজন জাহাজযাত্রী আর হোটেল গ্রিনভিউ একটা বাতিঘর যার আলো আসছে দশতলার ছাদের একটা নিয়ন সাইন থেকে।
ডায়েরি
"ওরা আমাকে এখানে পাঠিয়েছে, বেশ ভালো কথা। তিন মাসের আগে এখান থেকে যাওয়া যাবে না এটা খুব খারাপ কথা। এখানকার খাবার-দাবার অবশ্য বেশ ভালো। নিয়মের নিগড়ে বেঁধেছে দিন। সকাল নয়টায় নাস্তা। সকাল এগারটায় আবার হালকা নাস্তা এবং প্রেসার মাপা। দুপুর দুইটায় ভাত। বিকেল পাঁচটায় নাস্তা। সাতটায় প্রেসার মাপা। নয়টায় রাতের খাবার। এখানে বেশ কিছু ইন্টারেস্টিং ক্যারেকটার আছে। একজন কথা নাই বার্তা নাই হঠাৎ করে মুরগী ডিম পাড়ার সময় যেমন শব্দ ব্যবহার করে তেমন করে কককককককক ডাকতে থাকে। আরেকজন আছে, কথাপ্রসবা। দুইটা মিনিট সে চুপ করে থাকতে পারে না। অনবরত কথা বলেই যাচ্ছে, বলেই যাচ্ছে, কীভাবে যে পারে! আরেকজন মাদার সুপ্রিম! দশ বছর ধরে সে এমন কোন নেশা নাই যা করেনাই। হেরোইন, পেথেডিন, কোকেইন, মরফিন... অথচ সে দিব্যি ভালো স্বাস্থ্যের একজন প্রাণবন্ত মানুষ। আমি এত নেশা জীবনেও করতে পারবো না। নির্ঘাৎ মারা পড়বো। আমার জন্যে ফেন্সিডিল আর ইয়াবাই ভালো। এলএসডি নিয়ে সেবার যা অবস্থা হয়েছিলো না! পুরো তিনদিন ধরে অতীতের দুঃখের কথা মনে করে শুধু কেঁদেছি। মানসম্মান আর থাকবে না। সেদিন ডাক্তার এসেছিলেন গ্রুপ কাউন্সেলিংয়ের জন্যে। সবার সাথেই তিনি আলোচনা করলেন। আমার সাথে কথা বলার সময় আমিও খুব আবেগ দিয়ে বলে ফেললাম ড্রাগসের কারণে আমার কী কী ক্ষতি হয়েছে, এবং এসব অনুধাবন করে আমি কী পরিমাণ অনুতপ্ত, এইসব হাবিজাবি। শালারা আমাকে ছাড়ুক না, বের হয়ে প্রথমেই যাবো ইয়াবার পিনিক নিতে।"
সন্ধ্যা ছটা বাজে। এখনই গ্রিনভিউ হোটেলের নিয়ন সাইনটা জ্বলে উঠবে। ছেলেটা নিবিষ্ট নয়নে তাকিয়ে থাকবে সেদিকে। এতটুকু আলো না পেলে কি চলে!
_____________________________________________
একদিন হঠাৎ! হোটেলটির ছাদে একটা পরী দেখতে পেলো ছেলেটা। অদ্ভুত ব্যাপার! এখানে পরী আসবে কোথা থেকে! শুভ্র দুটি ডানা আর হরিণচোখের পরীটি কি ছেলেটার দিকেই তাকিয়ে আছে? নাহ, হ্যালুসিনেশন হবার তো কথা না। ওসব সাইকোডেলিক ড্রাগস নেয়া হয় না এখন আর। ধুর ছাই! কোনো মেয়ে হয়তো ডানা লাগিয়ে ছাদে উঠে মজা করছে। কিন্তু...আরে আরে এ কী! পরীটা উড়ছে! সত্যি পরী! উড়ে তার জানলার কাছেই আসছে। আরো বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, অন্য কেউ তাকে দেখছে না। পরীটা ক্রমশ তার দিকে আসছে। এসেই গেলো শেষতক! মিষ্টি করে হাসলো পরী ছেলেটির দিকে চেয়ে।
-এই ছেলে, বলোতো আমি কে?
-তুমি... পরী! এখানে আসলে কীভাবে?
-তোমরা তো পরীরাজ্যের নিয়মকানুন জানো না। কখনও কখনও কোন পরীকে মর্ত্যের মানবদের সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয়। আমি সুযোগটা পেয়ে গেছি! আর তোমাকেই পছন্দ করলাম। আশা করি আমরা খুব ভালো বন্ধু হবো।
-ভালো বন্ধু হবে ভালো কথা। কিন্তু আমার ওপর ওসব খবরদারী করতে যেয়ো না যেন। ড্রাগস আমি অত সহজে ছাড়ছি না।
-আরে বোকা আমি তো জানিই তুমি এমন। তোমার ড্রাগস তোমার কাছেই থাকুক। আমার কী। পরীদের সম্পর্কে তোমাদের ধারণা যে ওরা খুব ন্যাকা-বোকা হয় আর বিড়ালের মত মিউমিউ করে আহ্লাদী কথা বলে, তাই না?
-হাহা! বিড়ালের মত মিউমিউ! তোমাকে অবশ্য অমন লাগছে না।
-এই আমি যাই। তোমার ছুটি কবে?
-এই তো সপ্তাহখানেক আছে আর।
এই সপ্তাহটা ওদের খুব ভালো কাটে। সবাই ঘুমিয়ে পড়লে পরী চলে আসে ছেলেটার জানলায়। তারপর তারা গল্পে মেতে ওঠে। অফুরান তাদের গল্পের সম্ভার, পরীরাজ্য থেকে চাংখারপুল, ফুচকা থেকে আপেল, ফুটবল থেকে ইচিং বিচিং কত গল্প! গল্পের আর শেষ নাই। এক সপ্তাহ পরে যখন ছেলেটি ছাড়া পেলো রিহ্যাব থেকে পরীটি আকাশ থেকে তাকে ছুড়ে দিলো উড়ন্ত চুম্বন, যা শুধু ছেলেটিই দেখতে পেলো।
পরী বিষয়ক ফ্যান্টাসি বা হ্যালুসিনেশন যাই হোক না কেনো, ছেলেটা এসব নিয়ে তেমন ভাবে নি আর। এত মাদক তার শরীরে ঢুকেছে, তার ওপর আবার হাইডোজের ঔষধ! হ্যালুসিনেশন তো হতেই পারে। এখন এই কথা কাউকে বললেও সমস্যা। নির্ঘাৎ পাগল ঠাউরে বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানীর কাছে পাঠিয়ে দেবে। অত ঝামেলার কী দরকার! পরীকে নিয়ে তো ভালোই চলছে, চলুক!
পরী ইদানিং ঘনঘন আসে তার কাছে। এসে সেই ফালতু আলাপ, খাওয়া দাওয়া হয়েছে না কি, আজকের আবহাওয়াটা কেমন, নতুন পোষাক... খুব ধীরলয়ে সে মাঝেমধ্যে ছেলেটির মাদকাসক্তি ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ দেয়। তেমন করে বলা হয়না দেখে ছেলেটাও তেমন গা করে না। তবে দিনদিন পরীর চাহিদা বাড়তে থাকলো। সে ছেলেটির হাত ধরতে চায়, তাকে চুমু খেতে চায়, আলিঙ্গন করতে চায়। এসবই অবশ্য তার মনের কথা। মুখ ফুটে বলা হয় নি কখনও। তবে সে বলবে একদিন নিশ্চয়ই। সাহস করে সে একদিন বলেই ফেললো,
-এই যে ছেলে, তোমার সামনে সবার আরাধ্য একটা আস্ত পরী দাঁড়িয়ে আছে অথচ তোমার কোন ভ্রুক্ষেপই নেই। তোমার কি ইচ্ছা করে না আমার হাত ধরতে?
-ওহ, আসলে হয়েছে কী... তোমাকে খুলেই বলি। আমার সেক্সুয়াল আর্জ অনেক কমে গেছে ড্রাগস আর ঔষধের প্রভাবে।
-শুধু সেক্সটাই কী সব? একটু হাত ধরলে কী হয়?
-কিছুই হয় না। দাও ধরি।
-এরকম মরাকাঠের মত ধরে আছো কেন? যাকগে, থাক। লাগবে না।
ছেলেটির এখন আর এসব ন্যাকামি ভালো লাগে না। রিহ্যাব থেকে ফেরার পর সে মাদকের প্রতি আরো আকৃষ্ট হয়েছে। নতুন নতুন ড্রাগস নিচ্ছে দেদারসে। এসব দেখে পরীটার ইচ্ছে হয় তাকে নিষেধ করতে। কিন্তু সাহস পায় না। আর বলেই বা লাভ কী! সে শুনবে এই কথা? তারপরেও একদিন সে সবকিছু তাকে খুলে বলার সিদ্ধান্ত নেয়। দীর্ঘ বক্তব্য হবে। ছেলেটির কাছে যাবার আগে সে বেশ কয়েকবার আউড়ে নেয়।
ছেলেটি তখন কোকেইন স্নিফ করছিলো। বিমর্ষ মনে তা দেখে পরী বললো,
-তোমার সাথে কিছু কথা ছিলো।
-বলে ফেলো।
-তুমি কি বুঝতে পারো, তুমি কি পেয়েছো? আমি কে জানো তো? আমি পরী। সত্যিকারের পরী। আমি তোমার কোন হ্যালুসিনেশন বা অন্যান্য মানসিক রোগের দ্বারা সৃষ্টি হইনি। আমি নিখাঁদ পরীরাজ্যের পরী। কখনও কখনও কোন পরীকে পৃথিবীতে পাঠানো হয় কারো ত্রাতা হতে, অথবা স্রেফ খেলাচ্ছলে উড়ন্ত অবস্থায় কাউকে দেখানোর জন্যে, যার এই অভিজ্ঞতা বর্ণনের অভিজ্ঞতা হাসি তামাশার বিষয়ে পরিণত হয় অন্যদের কাছে।। কিন্ত কখনও কখনও কোন পরী মর্ত্যে এসে কোন এক যুবকের প্রেমে পড়ে যায়। পরীদেরও মন আছে। তারা শুধু ফেইরি টেলের ঝকঝকে ছবি না, অথবা পরীরাজ্যে নৃত্য-স্নান-গানের মাধ্যমে মাতোয়ারা হয়ে জীবনের সার্থকতা খোঁজে না। পরী আর মানুষের মধ্যে মিলন সম্ভব না, তবু পরীরা কাউকে বেশি ভালোবেসে ফেললে তার প্রতি আজীবন ভালোবাসা বজায় রাখে। যেমন আমার তুমি। তুমি প্লিজ আর নেশা করো না।
ছেলেটির তখন হেরোইনে ওভারডোজড হয়ে টালমাটাল অবস্থা। সে জেনেছে নেশাই তার প্রকৃত, বিশ্বস্ত প্রেমিকা। তার কাছে পরী বা নারী কোনকিছুরই মূল্য নেই।
-কী বললে তুমি?
ভয়ংকর রক্তাভ চোখে তাকিয়ে আছে সে। পরী ভয় পেয়ে যায়। নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,
-তুমি নেশা ছেড়ে দাও।
-নেশা ছাড়লে তোমার কী? পরী-নারী এসব কিস্যু না আমার কাছে।
-ভুল ভেবো না ছেলে! তোমার প্রথম প্রেমিকা তোমাকে ছেড়ে গিয়েছিলো তোমার মাদকঅভ্যাসের জন্যে। সে ছিলো একজন নারী। তোমাদের মর্ত্যের নারীদের মন বোঝা আসলেই দায়। তবে পরীরা কিন্তু যাকে একবার ভালোবাসে, তাকে কখনই ছেড়ে যায় না। বলতে কুণ্ঠাবোধ হচ্ছে, তবুও মিলিয়ে দেখো। তোমার আশেপাশের যেসব সুন্দরী মেয়ে আছে তাদের চেয়ে আমি কতগুণ সুন্দরী। আমার মুখের দিকে তাকাও। একবার। পূর্ণদৃষ্টিতে।
ছেলেটির চেহারায় একটা বুনোভাব ফুটে উঠেছে। পরী-নারী, নারী-পরী কেউ কি এলএসডির এক হাজার ভাগের একভাগ আনন্দ দিতে পারবে? এসব ফালতু কথা অনেক শুনেছে। এখন এটার একটা সমাপ্তি দরকার। পরীটাকে সে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। পরীটা ভগ্ন হৃদয়ে উড়ে চলে যায়। অনেক দূরে, ওপরে।
ছয় মাস পর। ছেলেটির খুব উড়তে ইচ্ছে করছিলো। উড়তে চাইলে ওড়া অবশ্য কোন ব্যাপার না তার জন্যে। গাঁজা, মদ, ফেন্সিডিল, কোকেইন... কত কী আছে! কিন্তু ইদানিং আর তার ওরকম ওড়াউড়ি ভালো লাগে না। ফুটো হওয়া লিভার আর নষ্ট হয়ে যাওয়া একটা কিডনি প্রপেলার হিসেবে মোটেও উপযোগী না। আর তাই সে ফিরে যায় উৎসমুখে। গ্রিন ভিউ হোটেলের দিকে যেতে থাকে সে। এই সেই হোটেল, যেখানে সে দেখেছিলো একটা সত্যিকারের পরীকে। দেখেছিলো নিয়ন সাইনের বাতিঘর। এখানে যাবে সে। একদম ছাদে উঠে গিয়ে একটা লাফ। ব্যাস, শেষ!
পরিচিত লোকের সুপারিশের সুবাদে সে হোটেলটির ছাদে উঠতে সক্ষম হয়। রেলিংয়ে উঠে দাঁড়ায়। আশেপাশে দেখে, কোথাও পরীটাকে খুঁজে পাওয়া যায় কী না। নাহ, নেই সে। হয়তোবা পরীরাজ্যে অন্য কারো জন্যে বীণা বাজাচ্ছে। হায় নেশা! নারীরুপ পরী, পরীরূপ নারীর সম্মিলিত ভালোবাসাও যখন তাকে ঠেকাতে না পারে তাহলে আর তার পতন ঠেকাবে কে? রেলিংয়ের ওপর টলোমলো পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে সে। জীবনের সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ পিনিক; মৃত্যু, এই গন্তব্যে নিয়ে আসার জন্যে বস্তগুলো; এলএসডি,ইয়াবা, ফেন্সিডিল সোৎসাহে তার পেছনে এসে দাঁড়িয়ে থাকে। ছেলেটাকে একটা আলতো ধাক্কা দিয়ে তারা মরণের উদ্দেশ্যে চিয়ার্স করে। আর ছেলেটি পড়তে থাকে, তার লেদার জ্যাকেট, কব্জির ব্রেসলেট, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঁকা নানারকম ট্যাটু সব একসাথে থেবড়ে লেপটে চুবড়ে গ্ল্যামারাস বা ‘কুল’ নেশাখোড়ের বায়োগ্রাফির শেষ অংকে পৌঁছে খুব বিচ্ছিরিভাবে নাড়ি-ভুড়ি আর মল-মূত্রের সাথে মিশে যায়।
আর তখন, কোন একজন মমতাময়ী তরুণী, যার সাথে ছেলেটার ভীষণ ভাব ছিলো, নতুন প্রেমিকের সাথে চুম্বনে ব্যতিব্যস্ত, আর সেই পরীটা? গোলাপ ফুলের পোষাক আর মাথায় সবুজ ঘাসের টুপি পড়ে নৃত্যরত অবস্থায় ভাবতে থাকে, ছেলেটার সাথে কী আদিখ্যেতাই না করেছিলো সে!
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলে ঠিক তাড়াহুড়া না। রিহ্যাবের কথা বলতে গেলে এক বিশাল গল্প লাগবে। সেটা না হয় অন্য কোনদিন করবো। অনুচ্ছেদগুলা আলাদা করার আইডিয়াটা ভালো। দাঁড়াও...
আরো কিছু এডিটিং হয়তো করা লাগবে।
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৩
নেক্সাস বলেছেন: নেশা, বিশেষ করে ড্রাগের নেশা মানুষ কে সব সুন্দর থেকে দুরে সরিয়ে রাখে।নেশাগ্রস্থরা যেমন সুন্দর কে হত্যা করতে বিন্দুমাত্র কুন্ঠিত হয়না তেমনি সুন্দরও অমানবিক ভাবে নেশাগ্রস্থ কে এড়িয়ে চলে। সুস্থ মানুষেরা নেশাগ্রস্থ মানুষকে দুরে সরিয়ে রাখাটাই তাদের পরম ধর্ম মনে করে। নিজের সুস্থতা বিলিয়ে দিয়ে নেশাগ্রস্থ কে ফিরিয়ে আনার রিস্ক কেউ খুব একটা নিতে চায়না।
ফলে নেশার অবশ্যম্ভাবী ফল পতন। সে পতনা টা হয় ট্র্যাজিক এবং মিশ্র অনুভুতিময়।
সুন্দর লিখেছেন মাহবুব ভাই।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নেক্সাস। নেশাগ্রস্তরা খুব কমই ফিরে আসতে পারে। আর যারা পারে না, তাদের পরিণতি গল্পে উল্লিখিত ছেলেটির মতই হবে।
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৫
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভালো লাগছে গল্প।
অনেকদিন পর এসে ব্লগে মন্তব্য দিলাম, অটো লগ আউট হলো সব লেখা নিয়ে।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ দূর্জয়। শুভকামনা।
৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: দুর্দান্ত তবে আরেকটু গুছালে ভাল হয় ।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: মূল্যবান মতামতের জন্যে ধন্যবাদ বন্ধু।
৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
এত বড় হলেও পুরাটা পড়লাম !! যদিও আরেকবার পড়া দরকার
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: কেন? এটাতো জটিল কিছু না!
৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪০
ইলুসন বলেছেন: নেশাগ্রস্থ হবার অনুভূতি খুব চমৎকারভাবে উঠে এসেছে। নেশার কাছে নারী-পরী কিছুই না।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: একদম ঠিক! মাদককে না বলুন। ধন্যবাদ।
৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫
আবু শাকিল বলেছেন: গল্পটা ভাল জমিয়েছেন তবে আপ্নার পূর্বের গল্পের চেয়ে ভাল ভাল পাইনি
ধন্যবাদ মাহবুব ভাই
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ শাকিল।
৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
জটিলের জন্য নাহ । ভাল লাগছে সেজন্য
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: সেইডা আগে কৈবা না!
৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭
কলমের কালি শেষ বলেছেন: পরী কি তাইলে শুধু মাদকাসক্তদের কাছেই আসে । কত সখ আমার একটা পরীর লগে প্রেম করবো ।
গল্প ভালো লেগেছে ।++++
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: পরীদের মতিগতি বোঝা বড় দায়!
শুভেচ্ছা।
১০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২
আহসানের ব্লগ বলেছেন: খাড়ান আমিও মাদক খামু।
পরি পামু
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: বেস্ট অফ লাক!
১১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
সোহেল মাহমুদ বলেছেন: দারুণ লিখেছেন হাসান ভাই।+++++++
তবে রিহ্যাবের ব্যাপারটা আর বিস্তারিত লিখলে ভাল হতো মনে হয়।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মতামতের জন্যে। রিহ্যাবের ব্যাপারটা লিখতে গেলে অনেক বেশি বড় হয়ে যেতো। তাই লিখি নি।
১২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০১
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: নেশার পরিনতি নিয়ে দারুণ শিক্ষনীয় একটি গল্প।++++++++++++++++
ধন্যবাদ হামা ভাই।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।
১৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩
ডট কম ০০৯ বলেছেন: নিষিদ্ধ পতন!!
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।
১৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯
এনামুল রেজা বলেছেন: এল,এস,ডির ব্যাপারটা আমার নিজের পরখ করে দেখতে ইচ্ছে যায় মাঝে মাঝে..
একটা বিষণ্ণ আর চমৎকার গল্প পড়া হলো।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমারও ইচ্ছে হয়। তবে সাহস নাই অত। ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
১৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ছেলেটার মনোজাগতিক দ্বন্দ্ব , ভাবনাটা উপভোগ্য। এরকম ফিলিংস গুলো ( নেশা অবস্থায় ) কিংবা শুন্যে উড্ডয়ন বা পতনের বর্ণনাটা ভালো লাগছে। স্বর্গের পরীরাও তাহলে ন্যাকামি করতে পারে নাকি
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: স্বর্গের পরী মর্ত্যের পরী সবই এক। মন কী যে চায় বলো/ যারে দেখি লাগে ভালো!
১৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭
বলেছেন: ++++
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
১৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৮
শের শায়রী বলেছেন: হামা ভাই আপনার গল্পের ওপর কমেন্ট করার দুঃসাহস আমার নাই তবে একজন ভক্ত হিসাবে দাবীর জোড়ে বলছি আপনার আগের লেখা গুলায় যেমন কিছুক্ষন পর পর টুইষ্ট আসত সেগুলোর অভাব বোধ করি। আমি নিজে লিখতে পারিনা কিন্তু ছোট গল্পের টুইষ্ট গুলো উপভোগ করি।
ভক্তের দাবী নিয়ে সাহস করে লিখলাম।
ভালো আছেন ভাই?
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো আছি ভাই। সব গল্পে কি আর টুইস্ট দেয়া যায়? অনেকদিন পর আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকুন। কিপ ইন টাচ।
১৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮
মামুন রশিদ বলেছেন: 'নেশা সর্বনাশা' ম্যাসেজটা তো আছেই । কিন্তু শুধু ম্যাসেজের জন্যই না, চমৎকার প্লট চিত্রণ আর ডিটেইলিং গল্পটাকে নিয়ে গেছে অন্যরকম উচ্চতায় ।
মুঘলদের মসলিন বুনা মেয়েশিল্পীদের উস্তাদ কারিগরেরা উপদেশ দিত মন নরম রাখতে । মনটা আকাশের মেঘের মত, ভেজা তোলার মত নরম হলেই কেবল মসলিনের সুতো সূক্ষ্ণ হয়ে উঠতো । গল্পটা পড়তে গিয়ে মনে হলো লেখকের মন অসম্ভব আর্দ্র আর সফট ছিলো ।
ভালোলাগা++
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: এমন চমৎকার মন্তব্য আপনার ট্রেডমার্ক। অনেক ভালো লাগা জানবেন মামুন ভাই।
১৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সো স্যাড! ড্রাগের কাজই নাকি অবশেষে স্যাডনেসকে ডেকে আনা; বসতে দেওয়া এবং তাকেই স্থায়ি করা....
অনেক সুন্দর করে লিখেছেন গল্পটি।
//মানুষের একটা গুণ হলো যেকোনো পরিস্থিতিতে অভিযোজিত হতে পারে।//
-'অভিযোজিত' শব্দের প্রয়োগে 'লাইক' দিলাম
গল্পকার হাসান মাহবুবকে অনেক শুভেচ্ছা!
এলএসডি’র প্রকৃত অর্থ লাস্ট স্টেশন অভ্ ড্রাগ নয়
LSD (Lysergic acid diethylamide) /psychedelic drug
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: এল এস ডির প্রকৃত অর্থ তা না হলেও নেশাখোরদের মধ্যে চালু আমার দেয়াটা।
অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই।
২০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৭
ডি মুন বলেছেন: অফুরান তাদের গল্পের সম্ভার, পরীরাজ্য থেকে চাংখারপুল, ফুচকা থেকে আপেল, ফুটবল থেকে ইচিং বিচিং কত গল্প! গল্পের আর শেষ নাই।
দারুণ। পঞ্চম ভালো লাগা ++++
আশেপাশে দেখে, কোথাও পরীটাকে খুঁজে পাওয়া যায় কী না। নাহ, নেই সে। হয়তোবা পরীরাজ্যে অন্য কারো জন্যে বীণা বাজাচ্ছে। হায় নেশা! নারীরুপ পরী, পরীরূপ নারীর সম্মিলিত ভালোবাসাও যখন তাকে ঠেকাতে না পারে তাহলে আর তার পতন ঠেকাবে কে?
নেশার গর্তে পতিত জীবন পরীর ছোঁয়ায় ফিরে দাঁড়াক। নিঃসঙ্গ একাকী আর প্রতারিত ছেলেগুলো ভালোবাসার মতো একটা করে পরী খুঁজে পাক। এবং তাঁর মূল্য বুঝতে শিখুক।
মাদকমুক্ত হোক তারুণ্য।
অটঃ ডায়েরীর অংশটা অপেক্ষাকৃত দুর্বল মনে হয়েছে। বাকী সবটুকুই দুর্দান্ত।
রাতের বেলা, যখন সব শুনশান, খন তার রুমের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে শূন্য রাজপথকে রাতের মেঘনার কালো পানি মনে হয়। --------- সম্ভবত "তখন" হবে।
শুভকামনা হাসান ভাই।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মুন। টাইপোটা ঠিক করে নিচ্ছি। শুভেচ্ছা।
২১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩১
দীপংকর চন্দ বলেছেন: আপনার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ দিন দিন বাড়ছে ভাই।
ভীষণ সুক্ষ উপলব্ধি উঠে এসেছে লেখায়।
আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ। সবসময়।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
২২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৭
ইমিনা বলেছেন: আমার যখন জ্বর হয় কখন আমারও মাথাটা কেমন যেন হয়ে যায়। মনে হয় আমি উড়ছি, গভীর বনে পথ হারিয়ে মনের সুখে হাটছি। সবগুলো মানুষ থেকে আমি আলাদা হয়ে পড়ছি, অনেক অনেক দূরের পথটা আমি একা হেটে অতিক্রম করে ফেলছি .............
তাই আপনার বর্ণিত ছেলেটার নেশার অনুভূতিটা আমার কাছে অাপন আপন লাগলো
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: জ্বরেও তাহলে পিনিক আছে! হাহাহা। শুভেচ্ছা ইমিনা।
২৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৯
এহসান সাবির বলেছেন: পরী-নারী, নারী-পরী কেউ কি এলএসডির এক হাজার ভাগের একভাগ আনন্দ দিতে পারবে?
কঠিন প্রশ্ন......
গল্পে দারুন ভালো লাগা।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান। শুভেচ্ছা।
২৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৫৮
অন্তরন্তর বলেছেন:
সর্বনাশী নেশা। গল্পের মধ্যে ডুবে থাকার মত লিখা।
চমৎকার। আচ্ছা হাসান ভাই আমার মত সিগারেটখোরদের কি হবে?
সিগারেট নেশা ড্রাগ থেকেও বড় নেশা। এত বছর চেষ্টা করেও ছাড়তে
পারলাম না।
শুভ কামনা।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: সিগারেট হলো সমস্ত ড্রাগসের মূল। এমন কোন এ্যাডিক্টেড পাবেন না যারা সিগারেট খায় না।
শুভকামনা।
২৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
সেইইই পিনিকের গল্প!!
(ভারী কথা না বলে হাল্কা কথায় বললাম, হা হা হা)
তবে হাসান ভাই, আপনার গল্পে সব সময় একটা গতি থাকে, সেই তুলনায় আমার কাছে কিছুটা স্লো মনে হয়েছে। এটা কোন ভাবেই গল্পের নেতিবাচক দিক নয়, বরং পাঠক হিসেবে গল্পের মূল স্বাদটা অনুধাবন করার গতির প্রসঙ্গে বলেছি।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ কাভা। চেষ্টা থাকবে পরের গল্পগুলোতে গতিময় করার।
২৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ৬ষ্ঠ ভালোলাগা +
যার যার পরিনতি সেই বয়ে আনে। কোন পরী কোন নারী অন্য কোন কেউ, তার কথা ভুলে যাবে সবাই। নিয়তি এমনই হয়।
খুব ভালো লাগলো গল্পটা।
ভালো থাকবেন ভ্রাতা।।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা ভ্রাতা।
২৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৩
এহসান সাবির বলেছেন: ৬ বছর.... শুভেচ্ছা।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! যাক, কেউ ব্যাপারটা খেয়াল করলো!
২৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৯
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: যথেষ্ট জমজমাট হয়েছে , আপনার অন্য গল্পের মতো হয়নি মনে হচ্ছে শুধু শেষ টা ! খুব দ্রুতই শেষ হয়ে গেলো মনে হলো আমার কাছে !
হয়তো আমিও পিনিকে পরে গিয়েছিলাম বলে হয়তো
শুভেচ্ছা হামা ভাই !
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্চা অভি।
২৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৯
সুমন কর বলেছেন: আপনার গল্প মানে, সময় নিয়ে পড়তে এবং বুঝতে হবে। তাই দেরী করি।
আমার কাছে চমৎকার লেগেছে। বাক্যবিন্নাস, প্লট, কল্পনাবিলাস, পরী, নেশা সব মিলিয়ে এক মিশ্র অনুভূতি। কিছু লাইনে একই শব্দ ব্যবহারটি ভাল লেগেছে।
জলমেঘ, শব্দমেঘ, মিথ্যা মেঘ, হাওয়াই মিঠাই মেঘ, গম্ভীর মেঘ, চপল মেঘ ....
ব্দগুলো যেন জ্যান্ত! তাদের প্রত্যেকের আলাদা চরিত্র এবং বৈশিষ্ট্য আছে। রিনিঝিনি শব্দ, মাতাল শব্দ, দুঃখী শব্দ, দুষ্ট শব্দ, সেক্সি শব্দ, গম্ভীর শব্দ।.........
ভাল লাগল। +
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা সুমন
৩০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
একটা বক্তব্য আছে , সচেতনতার ।
ভালো লাগলো ।
শুভেচ্ছান্তে ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
৩১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১১
আলম দীপ্র বলেছেন: হায় নেশা ! হায় মাদক !
গল্প বরাবরের মতই ভালো লেগেছে ।
শুভেচ্ছা ।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: Thanks dipro
৩২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮
আরজু পনি বলেছেন:
গতকাল অফলাইনে পোস্টটি মন্তব্য সহ পড়েছিলাম ।
লেখা পড়তে যেয়ে আশিকি-২ এর কথা মনে পড়ে গেল...যদিও মাত্র ২/৩ দিন আগে দেখলাম।
যদি নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ রক্ষা করা সম্ভব না হয় তবে নেশার কাছে সবই হার মানে ।
৬ষ্ঠ বর্ষপূর্তির অভিনন্দন রইল ।।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধণ্যবাদ আপা।
৩৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: হাসান ভাই, সাইকোডেলিক ড্রাগস নয়, শব্দটা সাইকাডেলিক হবে।
সমাপ্তিটা বাস্তব ও মানবিক লেগেছে।
যেখানে খটকা রয়ে গেল, তা হচ্ছে আপনার গল্প পড়ে মনে হল, মাদকাসক্ত ছেলেটা রিহ্যাব থেকে ফেরত আসার সঙ্গেসঙ্গেই আবারও কঠিন মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়ে। মোটামুটি নিরাময়ের নিদর্শন পাওয়ার আগেই কি রিহ্যাবওয়ালারা কোন মাদকাসক্তকে ছেড়ে দেয়? আর রিহ্যাব থেকে ফেরত আসার পর তার পরিবারের কেউ ও ধরতে পারলো না যে তাদের ছেলে এখনও এতটা পাড় নেশাখোর- এটাও কেমন লাগলো যেন।
আর নেশার হাই লেভেলে সে বোতল বোতল ফেন্সিডিল আর পঞ্চাশ-ষাটটা করে ইয়াবা গিলত- এতটাও কি সম্ভব আদৌ? আমার আইডিয়া নাই। সংখ্যাটা নিয়ে আর একবার ভাবতে পারেন।
শুভকামনা।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: সাজিদ ভাই, খটকার কোন উপায় নাই। আমি এরকম মানুষ দেখেছি
শুভেচ্ছান্তে...
৩৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: গল্পটা আগেই পড়ে গিয়েছি, দারুন লিখেছেন!
(এইটা স্রেফ লেখার সাথে থাকা টাইপের মন্তব্য!)
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ইফতি। শুভবিকেল।
৩৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ডিটেলিং ভাল লেগেছে।
শেষটায় বিষাদ ছুল ।
ভাল থাকবেন হাসান ভাই ।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো থাকবেন মাহমুদ।
৩৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০
নাসরীন খান বলেছেন: বাস্তবতায় অার কল্পনায় মিশেল .ভাল লাগল।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ নাসরীন।
৩৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯
টুম্পা মনি বলেছেন: হাহাহা অসাধারণ লিখেছেন। একদম রিয়েল মাদকসেবীদের জীবনী। এরা আসলে স্বেচ্ছায় ভালো না হলে কেউ ভালো করতে পারে না। নারী,পরী সব কিছুই এদের দুদিনের খেয়াল।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক তাই টুম্পা। শুভেচ্ছা।
৩৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৯
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
এক মন্তব্যে উঠে এসেছে তাড়াহুড়োর ব্যাপারখানি ৷ বিস্তৃতি নিয়ে ভেবে দেখতে পারেন ৷ তবে অন্যান্য লেখা অপেক্ষা অনেক মানবিক লাগল ৷ হৃদয়ঘেষা ৷ যা ব্যতিক্রমী নিঃসন্দেহে ৷
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখি লেখাটা এডিট করা যায় কী না! ধন্যবাদ।
৩৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০১
আরমিন বলেছেন: মৃত্যুর চেয়ে বড় পিনিক আর কিছুতেই নাই! এইটা পছন্দ হইছে!
কেমন আছেন হামা ভাই? ছয় বছর পূর্তির শুভেচ্ছা !
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো আছি আরমিন। শুভেচ্ছা।
৪০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৯
তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: বেশ একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। ভালো লাগলো গল্পটা ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ তাহসিন।
৪১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
ভুল উচ্ছাস বলেছেন: হামা ভাই সমালোচনা করবো না, আমি ছোট গল্প পছন্দ করি খুব। তবুও আপনার কাছ থেকেই বুঝতে চাই পরী রূপী এই রমনীকে কি আক্ষরিক অর্থেই ব্যবহার করেছেন? আপনার লেখার ধরন তো কখনোই এরকম নাহ, তাই জিজ্ঞেস করা। আর যদি তা না হয় তাহলে পরীটা আসলে কি ফিডব্যাক দিচ্ছে? সুখ কল্পনা বা অন্যকিছু। কি আসলে?
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: পরীটা একটা ফ্যান্টাসি। ছেলেটা তার প্রেমিকার কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পর তেমন কাউকে খুঁজছিলো। এবং শেষতক তার কল্পনায় পরী ধরা দেয়। ধীরে ধীরে ছেলেটার কাছে পরীটা বাস্তব হতে থাকে। কিন্তু ছেলেটা আবারও নেশায় ডুবে যায়। ছেলেটার চূড়ান্ত শোচনীয় অবস্থায় কল্পনার পরীটাকে বাস্তবের পরীদের রূপ দেয়া হয়, যারা ভাবে যে নেশাগ্রস্ত যুবকের সাথে ভাব করার বিষয়টা খুব বাজে রকম আদিখ্যেতা। বলতে চেয়েছি কীভাবে একজন পরম মাত্রার নেশাখোর তার বাস্তব এবং কল্পনার সমস্ত প্রিয় বস্তুর কাছ থেকে বিতাড়িত হয়।
৪২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২০
ইব্রাহিম বিন আজিজ বলেছেন: আপনার লেখার ফ্যান হয়ে যাচ্ছি ভাই! অনেক ভাল লেখেন।। মন্তব্য করার মত খুঁজে পাচ্ছিনা কিছুই।।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি নগন্য লেখক। উৎসাহিত হলাম আপনার মন্তব্যে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০১
নস্টালজিক বলেছেন:
ভালো হয়েছে লেখাটা। আবহটা জমে গেছে। কিন্তু তবু তুমি তাড়াহুড়ো করেছো কোথাও কোথাও!
রিহ্যাব এর আবহটা আর একটু লাগতো।
ভার্সগুলো আলাদা করে দিলে কি হতো! যেমন ডায়েরি-র একটা ভার্স। রিহ্যাব এর একটা ভার্স। এল এস ডি এর একটা ভার্স। পরীর একটা ভার্স আর উড্ডয়ন এর একটা ভার্স। পতন তার পর। অমোঘ নিয়তি!
ওয়েল, ইদানিং আমার কিছু একটা হয়েছে। সম্ভবত মিউজিক ভিডিও নিয়ে কাজ করতে যেয়ে। তোমার এই গল্পের দূর্দান্ত একটা শর্ট ফিল্ম হয় কিন্তু!