নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(১)
বৃহস্পতিবার রাতটা রক্সির জন্যে অনেক আকাঙ্খিত, এবং পয়া। সপ্তাহে একদিন ছুটির চাকুরিতে অফিসের এত্ত এত্ত কাজ করে একমাত্র বৃহস্পতিবার রাতটাতেই সে লেখালেখি করার জন্যে কিছু সময় পায়। অন্যান্যদিন সে ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লেও এদিন সে রাত জাগে আর দুপুরবেলায় ঘুম থেকে ওঠে। রাতভর লিখে এক ধরণের প্রশান্তি নিয়ে সে ঘুমিয়ে যায় আর নানারকম লোভনীয় স্বপ্ন দেখে। যেমন, তার নতুন লেখা উপন্যাসটা বিনা খরচে প্রকাশ করার দায়িত্ব নিয়েছে কোন একটা প্রকাশনা সংস্থা, এবং বইমেলায় সেটার দুই-তিনটি সংস্করণ বের হয়ে গেছে। ললনাকুল আকূল হয়ে তার কাছে অটোগ্রাফের জন্যে আসছে। সেও গম্ভীর মুখে, কখনও বা মৃদুহাস্যে তাদের আবদার মেটাচ্ছে। স্বপ্ন নামক জিনিসটার আসলে কোনো মাথামুন্ডু নেই। এ পর্যন্ত তার বই বের করার আগ্রহ কোন প্রকাশনী দেখায় নি। আর টাকা দিয়ে বই প্রকাশ করাটাও তার সামর্থ্যের বাইরে। তাই বিমর্ষ পান্ডুলিপিগুলা একটা প্রাচীন রঙ ক্ষয়ে যাওয়া ব্যাগের ভেতর হাঁসফাঁস করতে থাকে। অধিকাংশ ব্যর্থ লেখকের মতো তার স্ত্রীই তার বইয়ের মূল সমঝদার, শুভাকাঙ্খী এবং সমালোচকও বটে। কী লিখলে আরো ভালো হতো, অথবা কি না লেখার ফলে লেখায় তাড়াহুড়োর ভাব চলে এসেছে, এসব সে বেশ নিখুঁত ভাবে দেখিয়ে দেয়। রক্সির স্ত্রী জেনিও একসময় ডাকসাইটে লেখিকা ছিলো। বিয়ের পর সব বাদ দিয়েছে। রক্সি জানে মেধা, মনন, এবং সৃজনশীলতায় জেনি তার চেয়ে অনেক এগিয়ে। লেখালেখি চালিয়ে গেলে সে এতদিনে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে পারতো সাহিত্যের মহাসড়কে। তাই জেনির কাছ থেকে পরামর্শ নিতে তার মাঝমধ্যে বেশ কুণ্ঠাই লাগে। ইনফিরিয়রিটি কমপ্লেক্সে ভোগে সে। জেনির অবশ্য এদিক দিয়ে কোন সমস্যা নেই। সে নিজেকে রক্সির চেয়ে ভালো লেখক, সমালোচক ভাবলেও কিচেনে তরিতরকারি আর আর মাছ মাংস কেটে ভালো ভালো খাবার বানিয়ে রক্সিকে আপ্যায়িত করতেই সে বেশি ভালোবাসে। পুরোনো দিনগুলি তাকে নস্টালজিক করে তুললেও সে আর লেখার কথা ভাবে না, বা ভাবতে চায় না। এই যে তেল-নুনে আঁটকে পড়া সংসার, এসব নিয়ে তারা বেশ আছে বলেই তার অনুধাবন।
যেমন আজকে বৃহস্পতিবার, রক্সি নতুন একটা গল্পের থিম পেয়ে গেছে নাকি। এখন সারারাত ধরে লিখবে। রাত জাগার সুবিধার্থে তার জন্যে কড়া এক্সপ্রেসো কফি বানিয়ে দিয়ে সে শুয়ে শুয়ে এরিখ মারিয়া রেমার্ক পড়ছে। লেখা শুরু করার আগে রক্সি বেশ উত্তেজিত থাকে। বারবার থিমটা বলে জেনিকে। থিমের মধ্যে কোন খামতি আছে কী না, তার আগের লেখাগুলোর সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে কী না এসব বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করে তবেই রক্সি লেখাতে হাত দেয়। এ কথা বলা বাহুল্য যে জেনির মাথার ধূসর পদার্থের পরিমাণ রক্সির চেয়ে বেশিই। তার মগজের গলি ঘুঁপচিতে জড়িয়ে আছে ইতিহাস, বিজ্ঞান , সাহিত্য খেলাধুলা ইত্যাদি নানারকমের ব্যাপার। রক্সি অত কিছু জানে না। তাই কোন বিষয় নিয়ে তর্ক করতে থাকলে অল্পতেই কিছু গঁৎবাধা বুলি আউড়ে সে পরাজয় শিকার করে নেয়। রক্সি তার বর্তমান গল্পের থিম সম্পর্কে এখনও জেনিকে জানায় নি। ব্রেইনি জেনি! কত খুঁত যে সে বের করে ফেলবে! তবে এটাও ঠিক, যে রক্সির লেখালেখির জন্যে সে সবসময়ই অনেক উৎসাহ দিয়ে এসেছে। রক্সি কখনও তার গল্পে, সে ব্লগে বা খবরের কাগজ যেখানেই হোক না কেন জেনির অবদান সযতনে এড়িয়ে গেছে। জেনির অবশ্য সে নিয়ে কোন ক্ষোভ নেই। অন্যান্য বাঙালি মেয়ের মতো সেও রসুঁইঘরে বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে নিজের পূর্বজনমের কথা নিশ্চিত ভুলে গেছে। এখন জেনি উদীয়মান লেখক হিসেবে শিল্পকলা বা বাংলা একাডেমির শর্টলিস্টে নেই। এখন তার কাজ, তার মোটামুটি মেধার, তবে লেখার ব্যাপারে প্যাশিওনেট স্বামী রক্সির দেখভাল করা। রক্সি তাকে প্রায়ই জিজ্ঞেস করে "তুমি এখন আর লেখো না কেন? আগে ব্লগে তোমার লেখায় ১০০ কমেন্ট থাকতো। যে দুটি বই বের করেছো সেগুলোরও সেকেন্ড সংস্করণ বেড়িয়ে গেছে। তুমি তো ঐসব মেয়েদের মধ্যে ছিলে না, যারা বিয়ের পর সকলরকম এক্সট্রা কারিকুলাম ওয়ার্ক থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবে?" জেনি কোন উত্তর দেয় না, অথবা মিষ্টি হাসি দিয়ে ব্যাপারটা লঘু করার চেষ্টা করে। রক্সি হাল ছেঁড়ে দেয়, এমন মেয়ের কাছ থেকে কোন কথা বের করাই কঠিন, অসম্ভবও বলা চলে।
(২)
আজ বৃহস্পতিবার রাত। রক্সি তার গল্প লেখার থিম জেনিকে বোঝাতে শুরু করলো, "বুঝলে, গল্পটা অনেকটা আমাদের মতই, চরিত্র দুটি, ধরে নাও আমি আর তুমি, স্বামী হলেন লেখক, তিনি তার স্ত্রীকে গল্পের থিম শোনাচ্ছেন; একজন লেখক, রাতের বেলায় লিখতে বসবেন, কিন্তু কোনরকম থিম আসছে না তার মাথায়। তখন তার একটা মজার কথা মনে হলো। সে তার স্ত্রীকে বললো, "ধরো আমি আজকে রাতে একটি গল্প লিখবো, থিমটা বলবোনা তোমায়। আমি সারারাত জেগে লিখবো আর সকালে ঘুম থেকে উঠে তুমি সম্পূর্ণ নতুন একটা গল্প পাবে। এর আগে সব গল্পের থিম তোমাকে বলে দিয়েছিলাম। এবার আর বলবো না। তুমি সম্পূর্ণ নতুন একটা গল্প পাবে।"
-কিরকম গল্প হবে এটা? মানে Genre কী?
-এই ধরে নাও রোমান্টিক কমেডি টাইপ।
-ভালো। তুমি অনেকদিন রোমান্টিক কমেডি লেখো না। লিখে ফেলো। আমি শুতে গেলাম। তোমার চা-কফি কিছু লাগবে? রাত জাগবে কী না তাই জিজ্ঞেস করছিলাম।
-একটা বড় মগে কফি দাও।
-আচ্ছা।
কফি পান করার পর বেশ চনমনে অনুভব করলো রক্সি। এবার গল্পটাতে হাত দেয়া যায়।
-তুমি তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ো। আমি তোমার জন্যে একটা সারপ্রাইজিং গল্প লিখবো। আশা করি এতে তোমার আর সম্পাদনার ছুরি-চাকু ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়বে না।
-তোমার সেল্ফ কনফিডেন্সটা ভালো লাগছে। চালিয়ে যাও। গুডনাইট।
(৩) গল্পের ভেতরের গল্প
"গল্পটা মূলত আমার স্ত্রীকে নিয়েই। আমি গল্প লেখি, আর সে এগুলোর সম্পাদনা করে। তার কাছ থেকে আমি নানাভাবে ঋণী। গল্প লেখার ব্যাপারে তার উৎসাহ এবং বিশ্লেষণ সবসময়ই আমাকে সামনে এগিয়ে যাবার প্রেরণা দিয়েছে। এই যে গল্পটা লিখছি, তার আগে তার সাথে এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। অল্পবিস্তর আলোচনা থেকেও মহান সব লেখা তৈরি হয়েছে এই শতাব্দীতে। আমি তাকে বলেছিলাম একটা রোমান্টিক কমেডি গল্প হবে এটা। সে রোমান্টিক কমেডির বেশ মনোযোগী পাঠক। আমাকে লেখার ব্যাপারে সবসময় সহযোগিতা করে এসেছে। সে আমার থেকে সব দিক দিয়েই চৌকস। কোনো ইংরেজি থ্রিলার সিনেমা দেখার পর অনেকসময় দেখা যায় যে আমি অনেককিছুর মানে বুঝিনি। কিন্তু জেনি ঠিকই সব বোঝে, আমাকে বোঝায়। আমিও বুঝে আপ্লুত হই। আমার বই প্রকাশিত হবার ব্যাপারে কোন প্রকাশক কেন এখনও তাগাদা দিচ্ছে না তা নিয়ে আমি খুব বিমর্ষ। জেনি আমাকে বলে সারা শহর ঘুরে প্রকাশনীগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে। কিন্তু আমি বড্ড অলস আর ঘরকুনো। জেনির ঠিক বিপরীত। মাঝেমাঝে একটু শঙ্কাও জাগে, জেনি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না তো? সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। সে উচ্চ বুদ্ধিমত্তার অফুরান প্রানশক্তির একজন নারী। আমার সাথে এভাবে ঘর-রান্না-ঘুম এসব নিয়ে আর কতো?"
-লেখা এগুচ্ছে কেমন?
জেনি তন্দ্রালু চোখে জিজ্ঞেস করে।
-ভালোই এগুচ্ছে জেনি। তুমি ঘুমাও।
"জেনিকে যেদিন প্রথম দেখি, সেদিন ওকে বড্ড অনাকর্ষনীয় লাগছিলো। শুকনো খটখটে শরীর। চোয়াল ভাঙা। কিন্তু গলার জোর অনেক। ছাত্র ইউনিয়ন বা এরকম কোনো সংস্থার আহুত এক মিছিলে তাকে শ্লোগান দিতে দেখেই আমি তার প্রেমে পড়ে গেলাম। এত পলকা একটা মেয়ে, অথচ কী ভীষণ শক্তি তার ভেতরে! যেচে পড়ে তার সাথে কথা বললাম। সে গল্প লেখে জেনে আরো উৎসাহিত হলাম। এরপর টিএসসিতে আড্ডা চললো দিনকতক। তারপর সেই গতানুগতিক কাহিনী। প্রেম, বিয়ে, সংসার। নতুন সংসারে আসার কিছুদিনের ভেতর তার স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটলো। আর সেই সাথে আমিও ধীরে ধীরে জেনির অন্য একটা রূপ আবিষ্কার করলাম। জেনির অনেক ছেলেবন্ধু। এবং সে বিভিন্ন সময়ে তাদের সাথে দেখা করে। এটুকু পড়ে আবার আমাকে মৌলবাদী বা হেফাজতি ভেবে বসবেন না। আমি একজন মডারেট মুসলিম ।সমস্যাটা হলো, তার বন্ধু বান্ধবের সংখ্যা অনেক বেশি। এবং বিয়ের পরেও সে বন্ধুদের সাথে সমানতালে চলতে চায়। এ নিয়ে আমাদের পরিবার থেকে বেশ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়েছিলো। কিন্তু জেনি বলে কথা! তার অসাধ্য কিছু নেই। ছবির হাটে গিয়ে সিগারেট টানতে টানতে বন্ধুদের সাথে আড্ডায়ও যেমন স্বতুস্ফর্ত, বাসায় এসে নানাপদের রান্না করে সে ওখানেও একটা প্রিয়মুখ হিসেবে গণ্য হলো।
জেনিকে প্রমিজ করেছি সকালে ঘুম থেকে উঠলেই সে একটা তরতাজা নতুন গল্প পাবে। সে ভাবনা নিশ্চয়ই তাকে বেশ আপ্লুত করেছিলো। খুব আরাম করে ঘুমুচ্ছে সে। কিন্তু আমি ঠিক যেন স্বস্তি পাচ্ছি না। জেনির সম্পর্কে বলতে গেলে শুধু ভালোবাসার কথাই বলা যায়। মুঠো মুঠো ভালোবাসা উড়িয়ে দেই আমরা হাওয়াই মিঠাই এর মত করে। তারপর আর কিছু বলার থাকে না। আমি বরঙ আমার গল্প করি। আমার সবসময়ই মনে হয়েছে জেনি আমার চেয়ে অনেক ধারালো আর তীক্ষ্ণ বুদ্ধির অধিকারী। এরকম একটা মেয়ে কেন যে আমার সাথে জুটে গেলো এ এক অপার রহস্যময় ব্যাপার আমার কাছে।"
-কতদূর লিখলে?
ঘুমজড়িত কণ্ঠে জেনির জিজ্ঞাসা।
-লেখা কেবল শুরুর দিকে। আজ মনে হয় সারারাতই জাগতে হবে। তুমি ঘুমাও জেনি।
"কিছুক্ষণ আগে জেনি আমাকে আমার লেখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলো। ওর ঘুম খুব ঘন। তবুও বারবার জেগে উঠছে আর আমার গল্পের খোঁজ নিচ্ছে , কী কেয়ারিং একটা মেয়ে! জেনিকে ভালো না বেসে পারা যায় না।
গল্পটা মোটেও এগুচ্ছে না ঠিকভাবে। আমি জেনিকে কথা দিয়েছিলাম একটি রোমান্টিক কমেডি লিখবো, তা আর হচ্ছে কোথায়!"
(রোমান্টিক)
"নিস্তব্ধ রাতে তারাদের আলোকশয্যা থেকে কিছু আলো এনে তোমায় সাজিয়ে দিতে ইচ্ছে করছে। তুমি পরবে জোনাকির ঝিকমিকে দুল, পায়ে পড়বে শুকনো পাতার নুপুর। তোমার হাসিতে উদ্ভাসিত হবে গোলাপের সুঘ্রাণ। আর পেলব হাতের বন্ধনীতে আমাকে নিয়ে তুমি চলে যাবে দিকশূন্যপুর, যেখানে ইউটোপিয়ান ঈশ্বর তার বান্দাদের জন্যে তৈরি করে রেখেছেন সবুজ মখমল বিছানো জৌলুসপূর্ণ কারুকাজের পাটি। সেখানে আমরা দুজনে একত্রিত হবো। স্বর্গের সুধারস পান করে, ফেরেশতাদের আপ্যায়নে তুষ্ট হয়ে আমরা মিলিত হব অনন্তমৈথুনে।"
(৪) গল্প নয়
এখানে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। জেনি স্বর্গ-নরক-স্রষ্টা, এসব বিশ্বাস করে না। মোদ্দাকথায় সে একজন নাস্তিক। আমি বিশ্বাসী মানুষ। নাস্তিকরা আমার শত্রু। নসিম হিজাজীর লেখা মুসলমানদের গৌরবমণ্ডিত লেখাগুলো পড়ে আমি রীতিমত চনমনে অনুভাব করতাম। জিহাদী জোশ চলে আসতো। ইচ্ছে হতো ইসলামবিদ্বেষীদের ধরে ধরে জবাই করতে। জেনি অবশ্য ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক নয়। সে হলো মডারেট নাস্তিক। বিয়ের আগে এসব ব্যাপার আমি কিছুই জানি নি। এখন, এই মাঝরাতে ঘুটঘুটে অমাবস্যায় আঁধারে অবগাহন করতে করতে আমার ভেতরের "ঈমানদার" অংশটা জেগে উঠছে। নিশ্চিন্ত মনে ঘুমিয়ে থাকা জেনিকে দেখে আমার রীতিমত ইচ্ছে করছে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তার সমস্ত কাপড়-চোপড় খুলে ফেলে ধর্ষণ করি, আর গলা টিপে ওকে মেরে ফেলি। আমার ভেতরের ক্রোধ পুঞ্জীভুত হয়ে উদগীরণের ব্যবস্থা প্রায় করে ফেলেছে, ঠিক তখনই আমার মানসপটে ভেসে উঠলো জেনির সাথে আনন্দের দিনগুলো। একসাথে রিকশায় করে সারা ঢাকা শহরে ঘোরা, পুরান ঢাকায় গিয়ে নানারকম ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ নেয়া , বসন্ত এবং বৈশাখের প্রারম্ভে চারুকলায় গিয়ে পুতুল নাচ দেখা, চড়কিতে উঠে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করা- এতসব স্মৃতি কি ভোলা যায়? নাহ, আমার দ্বারা ওকে খুন করা সম্ভব না। আমি একজন মডারেট মুসলমান। যারা খোদাকে বিশ্বাস করে না তাদেরকে যদি কেউ কুপিয়ে মেরে ফেলে, আমি মোটেও দুঃখিত হবো না। নাস্তিক নিধনে আমি খুশি হই। তবে অনেকসময় সেটা চেপে ধরে আহা উহু করি মাঝে মাঝে বটে, করবো না কেন? আমি মডারেট মুসলিম। জেনির শরীরটার দিকে লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকাই। ওকে খুন করলে আল্লাহ কি আমাকে অনেক সোয়াব দেবেন? দেবেন তো বটেই, দেখা যাবে এই একটা সুকর্মের খাতিরেই আমি তরতরিয়ে পুলসিরাত পার হয়ে বেহেশতে চলে যাবো। এত প্রলোভন, তবুও জেনিকে হত্যা করতে আমার হাত উঠছে না। পাপের ব্যাপার হচ্ছে আমি তার প্রতি এখনও ভালোবাসা অনুভব করছি। মাঝরাত বড়ই বিভ্রান্তিকর একটা সময়। এসময় অনুভূতিগুলো প্রচণ্ড ফ্ল্যাকচুয়েট করতে শুরু করে। এই মনে হয় ভালোবেসে সব ছাড়খাড় করে দিই তো পরের মুহূর্তেই জন্ম নেয় ঘৃণা।
কোথা থেকে কোথায় চলে এলাম! লিখছিলাম জেনির জন্যে একটা ভালোবাসার গল্প, সেখান থেকে একটা শব্দের দৌরাত্মেই বেশামাল হয়ে গিয়ে মধ্যরাতের জিহাদী জোশ চলে এলো। আজ রাতে সত্যিই আমার গল্পটা লেখা খুব প্রয়োজন। জেনির তো আর কোন খারাপ দিক নেই এই নাস্তিকতা ছাড়া। তাহলে ওকে নিয়ে ভালোবাসার গল্পটা শুরু করে দেয়া যাক আবার!
(ভালোবাসা)
"জেনি, মনে পড়ে তোমার সেই প্রথম হাত ধরার দিনের কথা? কী সংকোচ! কী সংকট! মনে পড়ে? প্রথম চুমুর কথা? প্রায় পনের মিনিট ধরে আমরা ফ্রেঞ্চকিস করেছিলাম। কি পাগল ছিলাম আমরা তাই না? এখন আর কতটুকু বাকি আছে আমাদের মধ্যে বলোতো? সংসার করতে গিয়ে কত উদ্দমতা হারিয়ে ফেলেছি তাই না? চলো না আগের দিনগুলিতে ফিরে যাই? কাঁধে বোচকা আর পকেটে একটিও টাকা না নিয়ে শহর পরিভ্রমণ কেমন হবে বলোতো? মনে আছে আমার সেই কবিতাটার কথা?
নেই প্রয়োজন
টাকার থলে
পারলে হতে বসন্তজন।
চারিদিকে বসন্তের সুবাস, ফুলে ফুলে শোভিত এই শহর, কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায় বসে আমরা জিরিয়ে নেবো, তারপর আবার হন্টন! বসন্তের রঙে রাঙাবো নিজেদের, ভুলে যাবো নিজেদের মতদ্বৈরথ এর কথা। হুডতোলা রিকশায় চড়ে তোমাকে জোর করে চুমু খাবো। তুমি আমার মাথায় গাট্টা মারবে রাস্তাঘাটে এসব অসভ্যতার জন্যে। আমি খুব মনমরা হয়ে পাশে সরে বসলে তুমিই আবার আমাকে জড়িয়ে ধরে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দেবে।"
(৫) গল্প নয়
জেনি বিছানা ছেড়ে উঠলো। বাথরুমে যাবে মনে হয়। আমার খুব ইচ্ছে করছে ওকে আমার এ পর্যন্ত লেখা গল্পটা দেখাতে। তবে ওর সাথে তো চুক্তি হয়েছেই যে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই কেবল গল্পটা দেখানো হবে। বাথরুম থেকে ফিরে স্বাভাবিকভাবেই জেনি জিজ্ঞেস করলো গল্প কেমন এগুচ্ছে। আমি উত্তর দিলাম যে এগুচ্ছে ভালোই, তবে একটু ধীরগতিতে। ধীরগতি হবার কারণটা আর ওকে বললাম না। লিখেছি যতটা তার চেয়ে বেশি ভেবেছি জেনির নাস্তিকতা সম্পর্কিত জটিলতা।
জেনির ফোনটা বাজছে। কে ফোন করলো এত রাতে? জেনিও দেখছি দিব্যি ঘুমজড়ানো কণ্ঠ আস্তাকূড়ে ফেলে দিয়ে বেশ চনমনে গলায় কথা বলছে। বেশিক্ষণ অবশ্য তারা কথা বলে নি। তবে তার কণ্ঠের প্রগলভতা আমাকে যেন অন্যকিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। ফোনটা রেখে জেনি আবার ঘুমিয়ে গেলো।
এমন না যে জেনির কাছে তার ছেলেবন্ধুরা ফোন করে না। আমি ওটাতে কিছু মনে করি না। কিন্তু আজ রাতটা খারাপ। আমি ক্রমশ যেন জেনির ভুলগুলিকে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের দ্বারা বিবর্ধিত হতে দেখছি। জেনিকে ভালো লাগছে না আমার। ভালো লাগবেই বা কেন? তার নাস্তিকতা, ছেলে বন্ধুদের সাথে অবাধ বিচরণ এসব কেন আমি সহ্য করবো? তবে আসল কারণটা মনে হয় অন্য। তার উচ্চবুদ্ধিবৃত্তি। সবসময় আমার থেকে কয়েকধাপ এগিয়ে থাকে সে সব ব্যাপারেই। আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম এই গল্পে জেনির কাছ থেকে কোন পরামর্শ নেবো না। কিন্তু আমার মনের বিক্ষিপ্ততা কিছুতেই গল্পটার মাঝে থিতু হতে দিচ্ছে না। আমি শেষ চেষ্টা করে দেখি, ভালোবাসার গল্পটা শেষ করা যায় কী না। সকালে উঠে জেনি পড়বে।
(ভালোবাসা)
"দেখ জেনি, বসন্তবাদ্য শ্রবণ আর রঙিন পোষাক পরে উৎসব অনেক হয়েছে। এবার একটু ক্ষান্ত দাও দেখি! চলো নির্জন কোনো জায়গায় গিয়ে বসি। ঘাসফুল ছিঁড়ি, বাদাম খাই, লেকের ধারে বসে থাকলে চমৎকার বাতাস পাওয়া যায়। আমার মনটা এখন কিছুটা বিক্ষিপ্ত। ভালোবাসার কথা মুখে আসছে না। আর তুমিও এখানে রয়েছো ঘুমে। দুটি সমান্তরাল জগতে তোমার বিচরণ, আমার গল্পে আর বাস্তবিক তোমাতে। আমি ঠিক বুঝতে পারছি না, কার সাথে এই নিশিডাকা রাতের একাকীত্ব ভাগ করে নেবো, কাকে জীবন্ত করে তুলবো। আমার কলমের আছে ঐশ্বরিক ক্ষমতা। এখানে আমি যা খুশি তাই লিখতে পারি। এই ঈশ্বুরেপনাটা বেশ লাগছে আমার। বাস্তবের জেনি ঘুমাক, আমি বরং আমার কলমের তৈরি জেনির সাথে কথা বলি।
-জেনি, সকালের আজান প্রায় দিয়ে দিয়েছে। ওঠো নামাজ পড়ো সোনা।
-উঠি, তোমার গল্প লেখা শেষ হয়েছে?
-না এখনও হয় নি। তবে প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছি।"
(কলমের বিদ্রোহ)
এক নাগাড়ে অনেকক্ষণ লেখার পরে কলমটাকে একটু জিরোনোর জন্যে লেখার পাতার ওপর শুইয়ে রেখে দি। কী আশ্চর্য কাণ্ড! কলমটা একা একাই কী যেন লেখা শুরু করেছে। আমি বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে দেখা শুরু করলাম। জেনি আমাকে লিখছে,
-তুমি আমাকে ফজরের নামাজ পড়ার জন্যে ডেকেছো কেন? জানো না, আমি নাস্তিক?
-আমাদের ফ্যামিলিতে থেকে ওসব নাস্তিকতা চলবে না।
-তাহলে বিয়ে করেছিলে কেন?
-তুমি গোপন করেছিলে কেন?
-আমি মোটেও গোপন করি নি। আমার এমন অনেক আচরণ ছিলো, যা তুমি একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারতে। কিন্তু তুমি তা করবে কেন ? মাথায় ঘিলু বলতে কিছু আছে তোমার? নেই। কিচ্ছু নেই। তুমি অসাড়, অমৌলিক আর মিডিওকার একজন লেখক। আমি সাহায্য করেছি বলেই না কিছুটা পরিচিতি পেয়েছো। তোমার আগের লেখাগুলোর কথা ভাবো। ছ্যা ছ্যা ছ্যা! ওগুলো কী মানুষকে দেখানো যায়?
কলমরূপী জেনির এহেন আচরণ দেখে রক্সি রীতিমত থতমত খেয়ে যায়। ওদিকে আবার বাস্তবের জেনিও উঠে আসছে বিছানা থেকে। বিছানা থেকে উঠে সে কলমের আশ্চর্য কাজকারবার দেখতে লাগলো মহা আগ্রহে। ততক্ষণে দুই পক্ষের দুটো কলমের মাঝে ভালো বচসা শুরু হয়েছে।
-জেনি, তুমি নাস্তিক। তওবা করে ভালো হয়ে যাও। নইলে কখন কি হয়ে যায় বলা মুশকিল। এইতো গত পরশুই টিএসসিতে এক নাস্তিক দম্পতিকে কুপিয়ে মেরে ফেললো।
এবার জেনির কলমটি কোনো উত্তর না দিয়ে পাতা উল্টিয়ে ঘ্যাষ ঘ্যাষ করে লিখতে শুরু করলো,
-আপনি যদি সাধারণ মানুষ হন তাইলে আপনার জন্যে অপেক্ষা করছে পেট্রল বোমার অনল। অসাধারণ হবেন? না, সেটা হতে দেয়া যাবে না। ধর্ম ও স্রষ্টা নিয়ে নানারকম প্রশ্ন আসে মনে? তাহলে আপনি এই দেশে থাকার যোগ্য না। চাপাতি-রামদা নিয়ে আমরা প্রস্তুত। আপনি সাধারণ আর অসাধারণের মাঝের শূন্য জায়গাটায় বসে ভাবছেন কোন দিকে যাওয়া যায়? কোথাও যাওয়া হবে না আপনার। আপ্নি যদি শূন্য মস্তিষ্কের ভেড়ার পালের গোদা হন, প্রশ্ন না করে দিনে কয়েক বেলা সোয়াব কামানোর বাসনায় অদৃশ্য শক্তির দিকে তাকিয়ে ম্যাৎকার করেন, তবে জেনে রাখুন, আপনার মধ্যে একটি হিংস্র নেকড়ে তার ধারালো নখর সহ আক্রমনে প্রস্তুত। ভেড়াদের এই হঠাৎ হঠাৎ নেকড়ে হওয়ার অলৌকিক ক্ষমতা নিশ্চয়ই ঈশ্বরের কৃপাধন্য। তাহলে ভেড়া এবং নেকড়েরাই জয়ী হোক। আপনার নখের যত্ন নিন। কখন যে আমাদের সাথে আপনাদের দেখা হয়ে যায়! আমাকে ক্ষতবিক্ষত করুন। এই দেশটার মতো।
-এনাফ ইজ এনাফ!
রক্সি বিরক্ত হয়ে কলম দুটোকে পকেটে পুরে নেয়।
-কথাগুলো খুবই কর্কশ শোনায় তাই না? কিন্তু এসবই সত্যি। বাদ দাও না এসব এখন। রোমান্টিক গল্পটা লেখা শেষ হয়েছে? দাও না পড়ি।
-রাখো তোমার রোমান্টিক গল্প! রাখো তোমার সারপ্রাইজ! তোমার মতো ছেলেঘুরানো, নাস্তিক, অহংকারী মেয়ের সাথে আমার কিছুতেই বনবে না। আর আমি তোমাকে হত্যা করবো এখন।
রান্নাঘর থেকে একটা ধারালো বটি নিয়ে আসে রক্সি।
-ছিহ, এসব কী করছো? তুমি না মডারেট মুসলমান? নিজেকে জঙ্গি বানিয়ে ফেললে চলবে?
-ওহ স্যরি, ভুলেই গিয়েছিলাম। আমি তো মডারেট মুসলিম। খুন খারাপি করা পাপ।
-কিন্তু নাস্তিকদের মৃত্যুতে উল্লাস করাটা খুব সওয়াবের তাই না?
-এই প্রশ্নের উত্তর আমি দেবো না। তোমার তো অনেক বুদ্ধি, বুঝে নিও যা হোক একটা।
-বটিটা রেখে আসো। আজকে চল আমরা একটি গান গাই, যে গানে রয়েছে মানবতার সুর, হীনমন্যতার দূর, দুজন মিলে একসাথে গাই চলো, তারপর তোমার ভালোবাসার গল্পটা আবার নতুন করে লেখা শুরু করবে, আমাকে দেখাবে। ভালোবাসা আর মানবতা যদি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়া যায়, কত ভালো হয়, তাই না?
রক্সি ভাবছে, এই কাফির, নাফরমান,মুরতাদ মেয়েটির সাথে আর সম্পর্ক রাখা উচিত কি না। এতকাল যে কেন মনে হয় নি! আসলে হুইস্কির প্রভাব। বিকেলে পুরো এক বোতল জ্যাক ড্যানিয়েলস সাবাড় করে দিয়েছে সে। নেশাটা কাটুক, তারপর সিদ্ধান্ত নেবে, ভাবে সে।
সে ধীরপায়ে হাঁটতে হাঁটতে বটিটা রান্নাঘরে রেখে আসে এমন একটা জায়গায়, যেখানে অন্যদের খুঁজে পাওয়াটা প্রায় অসম্ভব!
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকাছে। শুভভোর।
২| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ ভোর ৪:০৯
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার গল্প এভাবে পড়লে হবে না । আরও মনযোগ দিয়ে পড়তে হবে । কাগজের উপরে কালো হরফে না পড়লে ঠিক মজা পাইনা !
প্রিন্ট দেওয়া হয়ে গেছে । এখন শুয়ে শুয়ে আরেক বার পড়তে হবে !
শুভ ভোর !
০১ লা মার্চ, ২০১৫ ভোর ৪:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ ভোর।
৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৪১
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সকালেই আপনার পোস্ট--- কিছুদূর পড়লাম-- পড়ে পড়তে হবে ---তবে যতটুকু পড়েছি অসাধারণ ভাবার্থ আর বাক্যবিন্যাস
০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।
৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:০০
জাফরুল মবীন বলেছেন: মডারেট মানসিকতা ও মনের উদারতার মোড়কের মাঝেও যে উগ্রতা ও সংকীর্ণতা কাজ করতে পারে সেটা আপনার গল্প পড়ে বুঝা গেল।
সুন্দর ও অর্থবহ গল্পটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।
০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা।
৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:০৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ঘুম থেকে উঠেই সুন্দর একটা গল্প পড়লাম| শুভ সকাল
০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪
সানজিদা হোসেন বলেছেন: গল্পটা অনেক সুন্দর। কিন্তু পরে মনটা খারাপ হয়ে গেল
০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: মন খারাপের গল্পগুলোই হয়তো বেশি ছুঁয়ে যায়। শুভেচ্ছা।
৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:২৬
সোহানী বলেছেন: হাঁ এ টানাপোড়ায় আছে কিছু মানসিকতার মানুষ.... নাস্তিকের পক্ষে চিৎকার দিবে নাকি অভিজিতের মৃর্ত্যুতে উল্লাস করবে........ কিন্তু এ বিভাজন থেকে কি আমরা বের হতে পারবো না....
গল্পের মাঝে অসাধারন বক্তব্যে +++++++
০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোহানী। ভালো থাকুন।
৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:২২
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আস্তিকতা আর নাস্তিকতার আপেক্ষিক পার্থক্য একটা বলয়ের সৃষ্টি করেছে। যেটি অস্পষ্ট কিন্তু সুদৃঢ়। ক্ষনস্থায়ী কিন্তু তীব্র। আজ দেশ জাতি এই এক বলয়ে আটকে গেছে। ঘুরছে দিকহীন। গল্পটা দুবার পড়লাম। সসমসাময়িকতা আর আপনার স্বভাবসুলভ দক্ষতা গল্পকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। ভালো থাকবেন।
০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজপুত্র। ভালো থাকবেন।
৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৩১
মামুন ইসলাম বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম পরে আরেকটু মনযোগ দিয়ে পড়মু ।
০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকাছে।
১০| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪
তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার গল্প। অনেক ভালো লাগলো।
মানসিক এবং সামাজিক দৈন্য দুটোই ফুটে উঠেছে সুন্দরভাবে ।
০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
১১| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১৬
মিন্টুর নগর সংবাদ বলেছেন: ভালো হয়েছে গল্পটি
০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।
১২| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অসাধারন গল্পকথা , ভাললাগা + ।
০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু।
১৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৩
বিদগ্ধ বলেছেন: সাম্প্রতিক থিম নিয়ে লেখতে পারাটা এক বিরাট বড় দক্ষতা।
০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আনন্দিত হলাম শুনে। শুভেচ্ছা নেবেন।
১৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: তাহলে ভেড়া এবং নেকড়েরাই জয়ী হোক। আপনার নখের যত্ন নিন
সেই।
০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: নখ এবং দাঁত।
১৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩
লিমন আজাদ বলেছেন: কেমন জানি বিষাদমাখা। আমাদের জীবনের মতই অসম্পুর্ন। এই গল্পের শেষ নেই...
০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই গল্প আর শুনতে বা শোনাতে চাই না।
১৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: লাস্ট দুইটা লেখার মধ্যে আমার এই লেখাটা অনেক বেশি ভালো লাগছে হামা ভাই। লিখতে পারছি না কিছুই। সময় নাই।
০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: মডু হয়া কী বিপদেই না পড়সো! আহারে।
শুভকামনা রইলো।
১৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২০
আমি বন্দি বলেছেন: ভালোই লেখছেন
০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ দুপুর।
১৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩
পাপতাড়ুয়া বলেছেন: সময়ের গল্প।
এভাবেই আমাদের কোমল চোখের পেছনে বেড়ে হায়েনা। কিন্তু আপনি সেটা নিয়া কিছু বলতে পারবেন না। বললেই চাপাতি। এমনকি আপনার এইসবগল্পের মত নির্দোষ সৃষ্টি নিয়েও।
গতকাল আমার এখানে স্পোর্টস ডের অনুষ্ঠানে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের সাথে পরিচয় হল। আমি উনাকে জিজ্ঞেস করলাম, আংকেল, এইখন এইদেশকে আপনার কেমন লাগে? যে বাংলাদদেশ চেয়েছিলেন, সেইরকম কী লাগে?
উনি শূন্য চোখে চেয়েছিলেন।
আরো অনেক কথা হল। ভাবছি দীর্ঘ আলাপে যাবো উনার সাথে।
০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: সবাই বড্ড বেশি এক্সট্রিমিস্ট হয়ে উঠছে। প্রিয়জনেরা বাসায় না ফেরা পর্যন্ত বড্ড টেনশন হয়।
১৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
নাস্তিকরা তীক্ষ্ণ বুদ্ধির অধিকারী । সহমত কারন তারা গতানুগতি চিন্তার বাইরে চিন্তা করে।
আস্তিকতা ও নাস্তিকতার থিম নিয়ে দারুণ গল্প।+++
০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ/
২০| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬
নস্টালজিক বলেছেন: ভালো। এবং অহেতুক বড়।
চারপাশের বিক্ষিপ্ততা ভালো আসছে লেখাটায়। গল্প-র এই বিক্ষিপ্ততাকে যখন চারপাশ ভেবে নিলাম, পড়তে ভালো লাগছিলো। তখন আর জেনির এই নাস্তিকতা বা লেখকের হঠাৎ জেহাদী জোশে ডাইভার্ট হওয়া মন্দ লাগছিলো না।
আমার কাছে কিছু ভার্স পড়ে মনে হয়েছে, সেগুলো না থাকলেই বরঙ লেখাটা আর একটু টাইট হতো। গল্পটা শক্তিশালী হতো। লেখকের পরিমিত বোধ খুব জরুরী। লেখক শুধু না, সবারই।
কলমের বিদ্রোহ- ভার্সটার কথা উল্লেখ করে গেলাম। এটা দূর্দান্ত ছিলো।
শুভেচ্ছা, হাসান।
ভালো থাকা হোক নিরন্তর।
০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ডিটেইিং করতে ভালোবাসি। তবে কতটুকু ডিটেইলিং করলে পাঠকের বিরক্তির কারণ হবে না এটা এখনও শিখছি।
থ্যাংকস দুর্বল অংশটা ধরিয়ে দেবার জন্যে।
২১| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭
সোজা কথা বলেছেন: অসাধারণ লাগলো। এক নিমিষে পড়ে ফেললাম। পড়তে পড়তে সাংঘাতিক অনুভূতি হয়েছিল আমার।
সবই ভাল লেগেছে। তবে ঐযে, জেনির বেশি বেশি বন্ধু বান্ধব এটা আমাকে বেশ যাতনা দিয়েছে। মনের কথাটা বলে ফেল লুম কিন্তু!
০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: খবরদার! জেনি আমার
২২| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৩২
মিনাক্ষী বলেছেন: আপনার লিখা আমি সাধারনত পড়িনা, কঠিন লাগে। আজকের টা পড়ে ফেললাম এক বসাতেই। অনেক ভালো লাগলো
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মিনাক্ষী।
২৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৫১
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার ! সাম্প্রতিক ঘটনাকে গল্পে তুলে আনাটা এবং মডারেট নাস্তিক/ধার্মিকের বিশ্বাস-চিন্তা-ভুলগুলো প্রকাশ করাটা অামার ভাল লেগেছে।
কলমের বিদ্রোহের পার্টটাও দারুণ।
৭+।
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন।
২৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:০১
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
মাই গুডনেস, ব্যাপক! +++
এতো দারুণ সব গল্প, কিভাবে সময় পান
তবে আরেকটু জিষ্টেড করলে পড়ার জন্য ভালো হয়!
অনেক ভালোলাগা রইল, ভাবনায় আলোড়ন তোলা লেখায়।
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১২
মহান অতন্দ্র বলেছেন: অফ লাইনে আগেই পড়েছি। লেখকের সবচেয়ে বড় শক্তি ইমাজিনেশন। আপনার ইমাজিনেশন দেখে বরাবরের মত আমি এবারও মুগ্ধ। আপনার লেখায় মন্তব্য করার মত যোগ্যতা রাখিনা বলেই আমার বারবার মনে হয়।
ভাল থাকুন আপনি। ভাল থাকুক আমার প্রিয় গল্পকার।
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: এভাবে বললে বড় বিব্রত হই যে!
শুভেচ্ছা তন্দ্রা।
২৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:২০
শুভ্র শৈশব বলেছেন: লেখাটা এত ভাল লাগল যে বলে বুঝান যাবে না! আপনার জন্য অন্তহীন আকাশসম শুভ কামনা!
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।
২৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫০
সাদরিল বলেছেন: পোস্ট ফেভারিটে। লেখাটি পড়েছি। অনেক কিছু বলতে চাইছি কিন্তু সব একসাথে আসতে গিয়ে আটকে যাচ্ছে। যদি সম্ভব হয় চিন্তা ভাবনা করে তারপর যা বলতে চাইছি তা গুছিয়ে কমেন্টে দিয়ে যাবো।
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাদরিল। অপেক্ষায় থাকলাম।
২৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০২
হামিদ আহসান বলেছেন: আপনার শেষ তিনটা লেখার মধ্যে এটাকে আমি সেরা বলব। ভাল লেগেছে। পরিণত শিল্পবোধের পরিচয় পাওয়া যায় আপনার লেখায়। শুভেচ্ছা রইল
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৩
ইস্কান্দার মীর্যা বলেছেন: অসাধারন লাগলো .............. থ্যাংক ইউ +++++++++++++++
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।
৩০| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৭
আহসানের ব্লগ বলেছেন: আপনি বরাবরই ভাল লেখেন +
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: সত্যি? ধন্যবাদ।
৩১| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪৫
অর্ক হাসনাত কুয়েটিয়ান বলেছেন: পুরো এক বোতল জ্যাক ড্যানিয়েলস সাবাড় করাটা মোটেও ভাল কিছু হয় নাই।
হইলেও সেইটা বলোগে লেখা ঠিক না, আমার অনুভুতি আহত হচ্ছে।
০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: কালে কালে আর কতরকম অনুভূতি দেখপো!
৩২| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:০৫
আহসানের ব্লগ বলেছেন: অর্ক হাসনাত কুয়েটিয়ান বলেছেন: পুরো এক বোতল জ্যাক ড্যানিয়েলস সাবাড় করাটা মোটেও ভাল কিছু হয় নাই।
হইলেও সেইটা বলোগে লেখা ঠিক না, আমার অনুভুতি আহত হচ্ছে।
০২ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আহসান।
৩৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ২:১৮
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: রক্সির চরিত্রে মৌলবাদের মুখোশটা পুরোটাই সেঁটে দিয়েছেন। ধার্মিক আর মৌলবাদীর মধ্যে যে পার্থক্য সেটা আপনার এই গল্পে রক্সির চরিত্রের মধ্যে সম্পূর্ণ উঠে এসেছে।
সে ধীরপায়ে হাঁটতে হাঁটতে বটিটা রান্নাঘরে রেখে আসে এমন একটা জায়গায়, যেখানে অন্যদের খুঁজে পাওয়াটা প্রায় অসম্ভব!
মৌলবাদী মানুষের ভিতরে যে পশুটা বাস করে, সেটা সাধারণ মানুষের চোখে সহজে ধরা পড়ে না। কারণ তাদের উপরের লেবাস একজন ধার্মিকের। ফলে সহজেই মানুষ বিভ্রান্ত হয়। তারা পশুটাকে নিজেদের প্রয়োজনে বের করে নিয়ে আসে; কাজ শেষ হয়ে গেলে আবার নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখে।
গল্প অনেক ভালো হয়েছে হাসান। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।
০২ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ। শুভকামনা রইলো।
৩৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২১
আলম দীপ্র বলেছেন: ওয়াও ! বরাবরের মতই অসাধারণ ! চমৎকার জ্বলজ্বলে বক্তব্য !
০২ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ দীপ্র।
৩৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:২২
এনামুল রেজা বলেছেন: দুর্দান্ত..
আর কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না। গল্পটা স্টিকি হবার মত।
শুভকামনা হামা ভাই। ++
০২ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রেজা। ভালো থাকুন।
৩৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লিখায় সমসাময়িক বাস্তবতার প্রতিফলন ।
শক্তিমান লিখক হাসান মাহবুবের জন্য শুভ কামনা ।
০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
৩৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩০
রোদেলা বলেছেন: গল্পকার হিসেবে আপনার নামটা অনেক আগেই দখল হয়ে আছে,তবে আজকের লেখাটা আমকে আরো একবার পড়তে হবে।
০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ সকাল রোদেলা।
৩৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৪
প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর গল্প।
০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক।
৩৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬
এম এম করিম বলেছেন: থিম ভালো, উপস্থাপনা অনন্য।
নস্টালজিক (মন্তব্য ২০) - এর সাথে একমত।
শুভকামনা সতত।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।
৪০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪
এহসান সাবির বলেছেন: যখন পড়েছিলাম তখন মনে হইছিল অনেক কথাই লিখব, কিন্ত এখন লিখতে এসে সব গুলে খেয়েছি....!!
ভালো লাগা রইল ১০ম...
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা এহসান।
৪১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: শেষ রক্ষা হলো। আমি তো ভাবছিলাম আজই জেনীর জীবনের শেষ দিন। গল্পে ভালো লাগা। ভালো থাকুন।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ময়ূরাক্ষী। শুভদিন।
৪২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১৯
কলমের কালি শেষ বলেছেন: বিভ্রান্তিতে আসা যাওয়ায় মোড়ানো ফুরফুরে একটা গল্প । সাথে আছে বাস্তব খন্ডচিত্রের প্রলেপ । সব মিলে গল্পটা ফুটে উঠেছে বেশ ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।
৪৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৯
আরজু পনি বলেছেন:
লেখাটা পড়ার আগে মডারেটর শব্দটা নিয়ে ভাবছিলাম।
একটা বিষয় ভালো লাগলো এই ভেবে যে সবদিকই এনেছেন।
পেট্রলবোমা থেকে শুরু করে ... নাস্তিকতা।
শুভকামনা রইল, হাসান।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত্রি পনি আপা।
৪৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১১
ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আগে আপনার গল্পের প্যাটার্ন ধরতে আমার খবর হয়ে যেত। এতবার বোধয় টেক্সটবুক পড়া হয়না একজন স্টুডেন্টের। আপনার লেখা এক ফ্রেন্ড কে সাজেস্ট করসিলাম। সে বলল আগে মাথাটা তৈরি হোক। চার পাচ বছর লাগতে পারে বুঝতে। তবে ভালবাসি আপনার লেখা। ভাল থাকবেন ভাল লেখার জন্য।
০৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো।
৪৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:১৩
শবদাহ বলেছেন: পাপের ব্যাপার হচ্ছে আমি তার প্রতি এখনও ভালোবাসা অনুভব করছি।
তবে আসল কারণটা মনে হয় অন্য। তার উচ্চবুদ্ধিবৃত্তি।
চমৎকার বর্ণনা করেছেন। জেনির নাস্তিকতার সংবাদটিও অত্যন্ত সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন রোমান্সের মধ্য থেকে। সব করতে পারি, হুডতোলা রিকশায় চড়ে জোর করে চুমু খেতে পারি। কিন্তু নাস্তিকের সাথে ঘর করতে পারি না।
টিপিক্যাল সেন্টিমেন্টকে সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন রক্সির চরিত্রের মধ্য দিয়ে।
তবে গল্পের নামটা লেখনীর মতো সার্থক মনে হয় নি বলে দুঃখিত।
শুভকামনা রইলো।
০৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শবদাহ। স্বাগতম আমার ব্লগে।
৪৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: মডারেট মুসলমানদের ইমানদার অংশ মাঝ রাতে জাইগা উঠলে খুন খারাবি আর ধর্ষনের নেশা চাপে নাকি ? হেহেহেহ। মডারেট মুসলমান শব্দটার মতো আরও কতো যে শব্দ নতুন নতুন শব্দ আমরা শিখুম!
শেষ অংশে রক্সি কলম পকেটে ঢুকাইয়া ফেলার পর জেনির সাথে যে কনভারসেশন অংশ সেখানে ডায়ালগ কমাইয়া রক্সির মানসিক অন্তর্দ্বন্দটা মাঝের অংশগুলোর মতো হইলে আমার মনে হয় পড়তে ভালো লাগতো।
( বর্তমানে জবে নতুন দায়িত্ব এতো বেশি যে হিমশিম খাচ্ছি। ব্লগের কারো লেখা আগের মতো মন দিয়া পড়তে বা কমেন্ট করার সুযোগ পাই না। এজন্য লেখকদের কাছে দুঃখিত।)
০৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলে আমরো মডারেট বলে যাদের আখ্যা করি, সে শুধু মুসলমান নয়, সবাই একইরকম। এখানে ইসলামের কথা বলা হয়েছে সমসাময়িক ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করে।
শুভদুপুর।
৪৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০২
শিপন মোল্লা বলেছেন: বেশ অনেক অনেক দিনপর ব্লগে এসেই দারুন একটি লিখা পড়লাম। এতো ভাল লাগজে লিখে আপনাকে বুঝাতে পারবো না ভাই। খুব ভাল লাগ্লো ।
ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন আর এরকম চমৎকার লিখা আমাদের উপহার দিন সেই আশাই করি । শুভ কামনা অফুরন্ত।
০৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
৪৮| ১০ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
শুরুটা যেন কারো জীবনের গল্প আর তাকে ঘিরে বাকীটুকু গল্পের গল্প ।
১০ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক তাই। শুভেচ্ছা রইলো।
৪৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪
আকাশচুরি বলেছেন: দুর্দান্ত, হামা ভাই!
গল্পের ছলে মানুষের ভেতরে ঘুমিয়ে বা জেগে থাকা কদর্যতা আপনার মতো খুব কমই আর কেউ বের করে নিয়ে আসতে পারে। এটা খুবই কঠিন একটা কাজ, আমরা সব সময় স্বরচিত অলিক ইউটোপিয়ার মধ্যে থাকতে চাই, কিন্ত আপনার গল্প বা তার চরিত্ররা সেটা হতে দিতে চায় না, নাছোড়-বান্দা দগদগে ঘা এর মতো লেগে থাকে আমাদের আয়নায়, যেখানটায় খুব বিভৎস দেখায় নিজেদের!!
১১ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় গল্পকার।
শুভেচ্ছা।
৫০| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২৫
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার একটা গল্প হাসান ভাই। সমসাময়িক ব্যাপারগুলো দারুণ ভাবে ফুটে উঠেছে, দ্বন্দ্ব আর অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রতিফলন। ভালো লাগলো।
বটিটা কেউ খুঁজে না পাক, মনের শুদ্ধতা মননে আসুক।
১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
৫১| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১২
ডি মুন বলেছেন: আগেই পড়েছিলাম অফলাইনে। আজ ভালোলাগা জানাতে মন্তব্য করছি।
গল্পটা পড়ার সময় কেবলই মনে হচ্ছিল, যারা নিজেদের মডারেট দাবী করে উচ্চবাচ্য করে তারা কি আদৌ মডারেট ?
দুর্দান্ত গল্প, সমসাময়িকতার ছোঁয়ায় আরো বেশি অর্থবহ হয়েছে গল্পটা।
শুভেচ্ছা প্রিয় গল্পকার।
১১ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুন।
৫২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪৮
রোদেলা বলেছেন: পড়লাম আবার,এবার ঘুমোতে যাবার আগে ,ভালোবাসার অংশ গুলোই আমাকে বেশি মোহিত করলো।কেন করলো কে জানে,আপনার লেখার ধরন নিয়ে নতুন করেতো কিছু বলার নাই।শুভ রাত্রি।
১৪ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ সকাল রোদেলা। ভালো কাটুক দিন।
৫৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
গোর্কি বলেছেন:
দিন কে দিন মনুষ্যত্বের সন্মান হারাচ্ছি। জাগ্রত হচ্ছি জিহাদী জোশে। এমনটি তো হবার কথা ছিল না। সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে গল্পরূপে দারুণ এক বার্তা। শুভকামনা রইল।
১৪ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৫৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৭
টুম্পা মনি বলেছেন: হুম! ভাবনার পোষ্ট। আমাদের দেখার দৃষ্টিভঙ্গি স্বচ্ছ হওয়া চাই। রঙ্গিন চশমায় অনেক সময় আকাশের নীলকেও নীল মনে হয় না।
কি যেন! অত ভাবতে চাই না। আমি সাধারণ নাগরিক।
ভালো পোষ্ট। ধন্যবাদ।
১৪ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পা। শুভদুপুর।
৫৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭
ইখতামিন বলেছেন:
রক্সি একজন মডারেট মুসলিম (!)
জেনিকে বিয়ে করার সময় তার খেয়াল থাকে না যে, ও নাস্তিক। অথচ মাঝরাতের নির্জনতায় ঠিকই তাকে জবাইয়ের তৎপরতায় ব্যস্ত হয়ে ওঠে। কারণ, তখন রক্সির ঈমানদার অংশ জেগে যায়। কিন্তু স্কচ গেলার সময় তার ওসব ভাবার সময় হয়ে ওঠে না।
অনেক ভালো লাগলো পড়ে। একটু অন্য রকম। গল্পের ভেতরে গল্প। তার ভেতরে আরও একটা গল্প। দারুণ। +
২৪ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যের জন্যে।
৫৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২৪
ইলুসন বলেছেন: সুন্দর স্যাটায়ার। গল্পের আকারে সমাজের অনেক বড় একটা সমস্যা তুলে ধরেছেন। হীনমন্যতা আধুনিক পুরুষের জাতীয় সমস্যা। আর মডারেট মুসলমানদের সমপর্কে বলতে গেলে বলা যায়, এরা এখন নাস্তিক মরার আনন্দে চুপ করে আছে। কয়েক বছর পর যখন এদের বোন, এদের মেয়ে ভয়ে স্কুল-কলেজে যেতে পারবে না, তখন মজা বুঝবে। হঠাত করে কোন সামাজিক পরিবর্তন হয় না। আস্তে আস্তে হয়। দেশের মানুষের মনোভাব আর রাজনৈতিক গতিবিধি বিশেষ সুবিধার না। এভাবে যদি তেঁতুল হুজুরদের তৈল মর্দন করা হয় তাহলে দেশের ভবিষ্যত ভয়াবহ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ ইলুসন।
৫৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫২
কালীদাস বলেছেন: অনেকদিন আসা হয়না, সবগুলো লেখা পড়ে শেষ করতে পারব কিনা জানিনা। এইটার টাইটেলটা খুব ইন্টারেস্টিং লাগল, পড়লাম। ডাইভারসন/এক্সপেরিমেন্ট ভাল হয়েছে।
আছেন কেমন, হাসান ভাই?
১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো আছি ভ্রাতা। শুভরাত্রি।
৫৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১১
আমি তুমি আমরা বলেছেন: পড়লাম।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো করেছেন।
৫৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮
জেন রসি বলেছেন: চমৎকার গল্প।
মডারেটরগণ নিরাপদ দুরুত্বে বসে বিভ্রান্তির চাঁদরে নিজেদের ঢেকে রাখেন!
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ জেন রসি।
৬০| ২৬ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:০০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: গল্পের বিন্যাস এভাবে না হয়ে অন্যভাবে হলে এমন করে বলা যেত না, সেদিক দিয়ে ভাল লেগেছে। অপরিহার্য ছিল।
মগজের বিক্ষিপ্ত ভাবনাগুলোকে আপনি প্রেজেন্ট করতে চেয়েছেন - সেভাবে বিবেচনা করলে পরিমিতি বা আঁটসাঁট আশা করা যায় না। তা হয়নি বলে ভালো লেগেছে। বিশেষ করে গল্প নয় অংশটাটাই গল্পের ক্রিম ।
বটিটা কেউ খুজে না পাক ।
শুভকামনা হাসান ভাই ।
২৬ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নিবিড় পাঠ এবং মন্তব্যে। শুভ গোধূলি মাহমুদ/
৬১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৬
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: ভালো লেগেছে । শব্দের বুনন ঝরঝরে একটা ভাব দিয়ে গেছে, গল্পটাও সুন্দর!
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো।
৬২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: লেখখটা ভাল লাগল তুমি ভাল লেখ
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:৩৭
চটপট ক বলেছেন: আরেকবার পড়তে হবে ! বক্তব্য টা ঠিক বুঝতে পারলাম না !!