নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপ্রতিসম

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬



ওরা না আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। না হয় আমি ছিলাম ওদের অবজ্ঞার যোগ্য, না হয় আমি ছিলাম অনাদরে পড়ে থাকা পাপোষের মত পিষ্ট, তারপরেও আমাকে এভাবে ফেলে রেখে চলে যাবে? ওরা চলে গেলো বসন্ত উৎসবে আর আমি শীতে জীর্ণ ঝরাপাতার মত পড়ে রইলাম বিষাদনগরে। ওরা সমুদ্রতীরে গিয়ে শঙ্খের হাহাকার শুনে অনুরনিত হবে, ওরা সূর্য্যঅঞ্চলে গিয়ে প্রাণ ভরে বিশূদ্ধ হাওয়া টেনে নেবে ফুসফুসের ভেতর, আর রোদের রোজনামচা জেনে তার সাথে উষ্ণ সখ্যতা গড়বে। ওরা এমনই। ফূর্তিবাজ। জীবনটাকে যেন একটা তাওয়ায় বসিয়ে নেড়েচেড়ে দেখছে। জীবন, তুমি সুন্দর। জীবন, তুমি প্রাচুর্যে ভরা। জীবন, তোমার দম অফুরন্ত। ওরা এমনিভাবে জীবনকে পরিচালিত করতে পারে। ওরা যেন নরম মাটি দিয়ে কাজ করা কুমারের দল। জীবনটা নরম মাটি আর ওরা এই মাটিকে নিপুন দক্ষতায় নিজেদের ইচ্ছেমত আকার দিচ্ছে। আমি অবাক বিস্ময়ে দেখতাম ওদের। কীভাবে পেলো তারা এমন ঈশ্বরপ্রদত্ত ঐশ্বর্য! আমার একটুও হিংসা হতো না দেখে। তাদের সাথে আছি, হঠাৎ করে তাদের কারো স্পর্শ পাচ্ছি, তাদের সপ্তসুরে আমোদিত মেলোডিয়াস কথাবার্তা শুনছি এই আনন্দেই মাতোয়ারা হয়ে থাকতাম আমি। সন্ধ্যে হলে ওরা যেতো জোনাকের আবাসনে। হাজার হাজার জোনাকি ওদের গায়ে এসে বসতো, চারিধারে ঘিরে ধরতো, মাথায় বসতো মুকুট হয়ে। এমন সুন্দর আলোর মুকুট কে দেখেছে কবে? আমি দেখেছি, আমি দেখেছি! আমি আরো দেখেছি বর্ষাকালে তুমুল বৃষ্টির মধ্যে ওদের অবগাহন। পানির ফোঁটা নয়, যেন ঈশ্বরকণা ঝলকে উঠতো ওদের শরীরে। ওরা আরো উজ্জল হতো, সুন্দর হতো। অপরাজেয় মনে হতো ওদের। অবশ্য প্রতিপক্ষ থাকলে তবেই না জয় পরাজয়ের ব্যাপার আসে। তাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলে তবেই না অপরাজেয় বলা যেতো! তাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো না। কেউ তাদেরকে ঘাঁটাতে সাহস পেতো না। কারণ তারা জানে প্রাণোল্লাসে ভরপুর এই দলটির স্ফূর্তি নিমিষেই সহিংসতায় পরিবর্তিত হতে পারে। আর তা যদি হতো রক্তের ফোয়ারা ছুটতো, মাংসের পাহাড় জমতো, সবাই ঝাড়েবংশে বিনাশ হয়ে যেতো। কাদের এত সাহস তাদের সাথে লাগতে যাবে? তাদের দৈহিক গড়ন ছিলো একইসাথে সুন্দর এবং ভয়াল। তারা পরতো লম্বা ঝুল দেয়া জামা যা তাদের উচ্চদৈর্ঘ্যকে আরো বিকশিত করতো। মেদহীন পেটা শরীর আভিজাত্যের সূচক হয়ে থাকতো। আমি শুধু দেখতাম, মন-প্রাণ-চোখ ভরে দেখতাম। আমার এই কাঙালপনায় তাদের প্রচ্ছন্ন স্নেহের ইঙ্গিত পাওয়া যেতো। আমার মন ভরে যেতো এই দয়ার্দ্র আচরণে।



ওরা ছিলো আমার হিরো। সিনেমাতে সুপারহিরোদের দেখা মেলে। দর্শকরা উল্লসিত হয় এসব অতিমানবীয় কর্মকাণ্ড দেখে। তারা পয়সা খরচ করে টিকেট কিনে পপকর্ন আর কোমল পানীয় নিয়ে এসব দেখে কল্পনারাজ্যে বিচরণ করতো। আমার এসবের দরকার ছিলো না। আমি ঘরের এক কোণে গুটিশুটি মেরে পড়ে থাকতাম আর বিনা খরচে তাদের যাবতীয় অতিমানবীয় কার্যক্রম দেখতাম। ওরা সিনেমার চেয়ে অনেক বেশি ভালো। সিনেমায় তো যা দেখানো হয় ওগুলো সব মিছেমিছি, কিন্তু আমার সুপারহিরোরা ছিলো সত্যিকারের। ওরা অবশ্য পাতাল ফুঁড়ে বের হওয়া অথবা আকাশে দাপিয়ে বেড়ানোর মতো উদ্ভট কাজ করতে পারতো না, কিন্তু ওরা যা করতো তার সবই আমার কাছে ছিলো অনন্য এবং অসাধারণ। অন্তত আমি যে অবস্থায় আছি, বা আমার ক্ষমতা যতটুকু তার হিসেব করলে ওদের দৈনন্দিন কাজগুলো তুলনামূলক বিচারে অতিমানবীয় বলাই যেতে পারে আমার সাপেক্ষে। ওরা দৌড়োতো, ওরা খেলতো, ওরা সাঁতার কাটতো, আর আমি স্বপ্নালু চোখে মোহাবিষ্ট হয়ে ওসব দেখতাম।



কেন যে ওরা চলে গেলো! আমাকে বলেছিলো ওরা একটু বাইরে যাবে আর আসবে। কিছুক্ষণের জন্যে। আমি এই স্যাঁতস্যাঁতে শ্যাওলাঘরে বসে অপেক্ষা করছিলাম, কখন ওরা আসবে। ঘড়ির কাঁটাটা এত আস্তে চলছে কেন! সেকেন্ড পেরিয়ে মিনিট, মিনিট পেরিয়ে ঘন্টা- কিন্তু ওদের তো আসার কোনো চিহ্নই নেই! তবে কি ওরা আমাকে ছেড়ে চলে গেলো? আমি সবসময় এই আশঙ্কাই করে এসেছি। আমার ভয়ঙ্করতম দুঃস্বপ্ন ছিলো ওদের এই চলে যাওয়াটা। চলে গিয়ে আর কতদিন থাকবে! ওদের হয়তো আমাকে কোনো কাজেই দরকার নেই, তারপরেও আশান্বিত হই আমি পূর্বে আমার সাথে ওদের করা দয়ালু আচরণের কথা ভেবে। আমি বাইরে যেতে পছন্দ করতাম না, একা একা যাবার তো প্রশ্নই ওঠে না। সেই সামর্থ্যই ছিলো না আমার। ওরা আমার গাল টিপে আদর করতো। এতে আমি স্নেহাপ্লুত হয়ে প্রায় নুয়ে যেতাম। ওরা আমার চুলে বিলি কাটতো, আমার জন্যে রঙচঙা কাপড় দিয়ে পোষাক বানিয়ে দিতো। যদিও আমাকে থাকতে হতো বাড়ীর একদম কোণায়, ছোট্ট একটা ঘরে, যদিও ওরা আমাকে অন্যদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে অস্বস্তি বোধ করতো, তারপরেও ওদের ওপর কখনও রাগ করি নি আমি। আমার মতো অকেজো, অথর্ব, অকর্মণ্য একজনকে ওরা যে স্নেহ দিয়ে আগলে রেখেছিলো সেটাই অনেক।



কেন যে চলে গেলো ওরা! এই ঘরটায় থাকতে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। ওরা কি বুঝতে পারছে না এই জানালাহীন ঘুপচি ঘরে আঁধার ওৎ পেতে আছে আমায় ভয় দেখাবে বলে? ওরা কি জানে না আমি একা একা থাকতে ভয় পাই? এ সমস্তকিছুই তো ওরা জানে। তাহলে কেন চলে গেলো? আর কি ফিরে আসবে না? এমনতর ভয়ঙ্কর সম্ভাবনার কথা ভাবতেই আমার গা কাঁটা দিয়ে ওঠে। ফিরে এসো, ফিরে এসো দেবদূতেরা! তোমাদের মখমলপেলব পোষাকে জোনাকির মুকুট পরে ময়ুরীঝুনঝুনি বাজিয়ে ফিরে এসো। তোমাদের বসন্ত উৎসব, অথবা বর্ষাবিলাস, কিংবা জোছনায় অবগাহন, ওসব কিছু আমি চাই না। ওসব তোমাদের জন্যে। পৃথিবী কেঁপে উঠুক তোমাদের আশ্চর্য উল্লাসে, তোমাদের হৃৎকম্পনে প্রোথিত হোক চড়ুইপাখির চঞ্চলতা। তোমরা কি অনেক দূরে চলে গেছো? তোমরা কি পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত মায়াবনে গিয়ে নৃত্যগীতরত পরী আর দেবতাদের সাথে তাল মিলাচ্ছো? আমি অতদূর যেতে চাই না। আমার শরীরে কুলোবে না। দুঃখ একটাই, আমি তোমাদের এই আনন্দ উদযাপন দেখতে পারছি না। তোমাদের আনন্দময় কর্মকাণ্ড অবলোকন করা আমার বেঁচে থাকার প্রেরণা, এটা কি জানো? আমি অপেক্ষা করবো, এই স্যাঁতস্যাঁতে ঘুপচি ঘরটার জানালা ঢেকে গেছে বিশাল এক ইমারতের বাধায়। এখানে আলো আসে না, বাতাস আসে না, শুধু একাকী বসে থেকে তোমাদের আগমনের প্রহর গোনা; এই তো আমার বেঁচে থাকার অবলম্বন।



ওরা আসছে না। ওরা তাহলে চলেই গেলো? আমাকে আর নিতে আসবে না? আমি আর ওদের আনন্দ উদযাপন দেখতে পাবো না? জীবন যতই কঠিন হোক, মানুষকে মানিয়ে নিতে হয় একটা সময়। এই ছোট্ট আমি, আর কত যুঝবো বলো? আমি শেষতক ঠাঁই দিলাম তোমাদেরকে আমার কল্পনার জগতে। একা একা বসে থেকে তোমাদের নিয়ে ভাবি আমি। সেই সাথে নিজের দিকেও এক ঝলক চোখ বুলিয়ে নেই। আমি কদাকার, আমি খর্বকায়, আমি কালো; তোমাদের ঠিক বিপরীত। ঈশ্বরের অদ্ভুত খেয়ালীপনায় আমি শুধু বিকৃত, কুৎসিত চেহারা নিয়ে আসি নি আরো অনেক প্রতিবন্ধকতায় সংকীর্ণ আমার জীবন, চলন। ঈশ্বরের প্রতিও আমার রাগ নেই। আমি আসলে রাগ করতেই পারি না। রাগ করতে যে সাহস, মনের জোর লাগে সেটা আমার নেই। রাগ করতে গেলে আমার হৃৎপিণ্ডটা সজোরে ঘাঁই মারতে থাকে বুকের ভেতর। চিনচিনে একটা ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে বুক জুড়ে। তাছাড়া আমার মতো একজন ঊনমানুষের কি রাগ করা শোভা পায়?



অনেক কষ্টে আমার শরীরটাকে টেনে হিঁচড়ে হামাগুড়ি দিয়ে জানালার কাছে যাই। একটা ভূমিকম্প হয়ে বিল্ডিংটা ভেঙে গেলে কেমন হতো? আমি প্রাণভরে আকাশ দেখতে পারতাম। এখানকার খাবারটাও খুব বিচ্ছিরি। নুন-ঝাল-তেল ছাড়া বিস্বাদ উৎকট চেহারার স্যুপ। আর কতই বা ভালো লাগে খেতে? এখানকার মানুষগুলো খুব নিষ্ঠুর। কোন একটা কাজ ঠিকমত না করতে পারলেই বকুনি। এই যেমন, এখন স্যুপটা খেয়ে শেষ করে ঢেকে রাখতে হবে। কিন্তু আমার ইচ্ছে করছে না একদম। আবার অত দূর যাওয়া হাঁচড়ে পাঁচড়ে, দম ফুরিয়ে যাবে।



এ জায়গাটাকে আমি প্রথমে ভেবেছিলাম হাসপাতাল। আমার মন খুশি খুশি হয়ে উঠেছিলো। আমি কি তবে এবার সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরবো? ওরা আমার জন্যে এমন আয়োজন করছে ভেবে গর্বে আর পুলকে আমার মাথাটা ঘুরে উঠলো যেন! কিন্তু যতই সময় যেতে লাগলো, আমি বুঝতে পারলাম এটা হাসপাতাল না। এখানে সাদা ধবধবে চাদর আর বালিসে আরামে শুয়ে থাকা যায় না। খটখটে একটা চৌকিতে করেই দিনযাপন। এখানে শুশ্রী চেহারার নার্সরা এসে প্রেসার মাপে না, পাহাড়ের মত বিশাল একটা লোক এসে কঠোর মুখে খাবার দিয়ে যায়। তার সাথে কথা বলতে গিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ভীষণ অপমানিত হয়েছি। ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম, এটা একটা অনাথ আশ্রম। এখানে পরিবারের বোঝা হয়ে আছে যারা তাদেরকে রেখে চলে যায় "দেবদূতেরা"। এখানে কেউ কারো সাথে দেখা করতে আসে না। এলেও খুব বেশিক্ষণ থাকে না। আমাকে এভাবে এখানে ফেলে রাখার জন্যে আমি "দেবদূতদের" প্রতি রাগ করি নি মোটেও। বলেছি না, রাগ করাটা আমার ধাঁতেই নেই। ঠিকই তো, আমি পরিবারের জন্যে বিশাল এক বোঝা হয়েই ছিলাম। বাবা রিটায়ার্ড করেছেন, বড়ভাইয়া ব্যবসায় লোকসানের সম্মুখীন হয়েছেন, এমতাবস্থায় আমার মত একজনের জন্যে বাড়তি খরচ করাটা মোটেও সমিচীন নয়। আমার ঘরটাকে ঠিকঠাক করে কাকে যেন সাবলেট দেয়া হবে এমন কথাও আমি শুনেছি। এখানে চলে এসে পরিবারের জন্যে বাড়তি উপার্জনের পথ করে দিয়েছি, ভাবতেই আমার গর্ব হয়। অবশেষে আমি পরিবারের জন্যে কিছু একটা করতে পারলাম! এখন শুধু কেউ যদি একটু দেখা করতে আসে, তাহলেই আমার এখানে থাকাটা আনন্দময় হয়। কিন্তু কেউ আসে না। অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে আমি একটা চিঠি লিখতে বসি পরিবারের সবার কাছে,



প্রিয় বাবা-আপু-ভাইয়া,



আমি জানি তোমরা আমাকে নিয়ে খুব অস্বস্তি বোধ করতে। তারপরেও তোমরা আমাকে দীর্ঘ ষোলটা বছর লালন পালন করেছো এজন্যে আমি কৃতজ্ঞ। এখন যে জায়গাটাতে তোমরা আমাকে এনে রেখেছো, সেটা মোটেও ভালো নয়। আলো-বাতাস নেই, ছাঁরপোকা আর মশাদের অত্যাচার, প্রাণ ওষ্ঠাগত। না না, ভেবো না আমি তোমাদের কাছে নালিশ করছি, তোমরা আমার এবং পরিবারের ভালোর জন্যে যা হবে তাই করেছো। অবশ্য মা বেঁচে থাকলে কি এটা করতে দিতেন? জানি না। যাকে কখনও দেখি নি, তার সম্পর্কে কিছু না বলাই শ্রেয়।



তোমরা কি জানো, তোমাদের এতটুকু স্নেহ, ভালোবাসার জন্যে আমি কতটা প্রতীক্ষা করে থাকতাম? তোমাদেরকে আমি সুপারহিরো ভাবতাম। তোমাদেরকে আমি দেবদূত ভাবতাম। আমাকে বাসায় বন্দী করে রেখে যখন তোমরা কোন পার্টিতে বা সিনেমা দেখতে যেতে, সেই সময়টায় আমি তোমাদেরকে কল্পনা করতাম এভাবে, যেন তোমরা চলে গেছো নক্ষত্রবাগিচায়, আকাশের শেষ স্তরে, সূর্য যেখানে আলপনা এঁকে দিতো তোমাদের চোখেমুখে। তোমরা যখন দলবেঁধে আউটিংয়ে যেতে, আমি কল্পনা করতাম মেঘের দালানকোঠায় তোমরা শুয়ে-বসে-গা এলিয়ে দিয়ে সেতার বাজাচ্ছো। তোমাদেরকে কোনো মালিন্য, কোনো কপটতা গ্রাস করবে তা আমি ভাবতেই পারতাম না। দেবদূতেরা এসবকিছুই জয় করে মেঘ থেকে সূর্য থেকে মহাবিশ্বে ঘুরে বেড়ায়। শুনলে হয়তো তোমাদের হাসি পাবে, কিন্তু বিশ্বাস করো আমি এটাই আমার জীবনের অবলম্বন ভেবে বাঁচতে চেয়েছিলাম। বড় আপা যখন মুখ ঝামটা দিয়ে বলতো "এ মরে না কেনো!" আমি দুঃখ পেতাম না, কারণ মাঝে মধ্যে সে আমাকে আদরও করতো, অবশ্য সেটা বাড়িতে থাকা হুলোবিড়ালটাকে করা আদরের চেয়ে কমই ছিলো, যাকগে, অতকিছু ভেবে কী হবে! বড় ভাইয়া যখন ধমক দিতো অকারণেই তখনও আমি মন খারাপ করতাম না। দেবদূতদের ওপর কি রাগ করা যায়! বাবা, তুমি বরাবরই আড়ালে থেকেছো। তারপরেও তুমি যখন ভাই-বোনদের কাছে আমার কথা জিজ্ঞেস করতে তখন আমি আনন্দে আপ্লুত হতাম। আর মা... এই চিঠিটা হয়তো লেখারই দরকার হতো না যদি মা বেঁচে থাকতো! আমি আমার বিকৃত হাত, অপ্রতিসম পা দিয়ে হামাগুড়ি দিতে দিতে ঠিকই তার কাছে পৌঁছে যেতাম। তার বুকের মাঝে মুখটা গুঁজে দিয়ে যাবতীয় নালিশ জানাতাম। মা নিশ্চয়ই আমাকে আদর করে জড়িয়ে ধরে রাখতো, তার কাছ থেকে কোথাও যেতে দিতো না। এর বেশি কিছু চাওয়ার ছিলো না এই জীবনে। দেবদূতদের সাথে কি আর ঊণমানুষদের তুলনা চলে? আর লিখতে পারছি না। হাঁপিয়ে উঠছি। অনেক কসরৎ করতে হয়েছে এতদূর লিখতে। তোমরা ভালো থেকো...



মনে মনে এতদূর লিখে ফেলেছিলাম। সম্বিৎ ফিরে পেলাম খাবার দিতে আসা লোকটার কর্কশ আওয়াজে। লোকটাকে খাতা আর কলম দিতে বলেছিলাম চিঠি লেখার জন্যে। এনেছে কি?

আমাকে অবাক করে দিয়ে সে সত্যিই কাগজ আর কলম নিয়ে এসেছে। মুখে মৃদু হাসি। মন ভালো হয়ে গেলো আমার। বেঁচে থাকার আকূল অন্বেষণে এই লোকটাকে দেবদূত হিসেবে আখ্যায়িত করতে আর দ্বিতীয়বার ভাবতে হলো না আমার।



মন্তব্য ১০৮ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (১০৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬

জাফরুল মবীন বলেছেন: কনজেনাইটাল অ্যানোম্যালি নিয়ে জন্মানো কারো অনুভূতি নিয়ে কোন লেখা আমার পড়া হয়নি।আপনার গল্পের মাধ্যমে সেটা পূরণ হলো তবে গভীর বিষাদে।

দক্ষ শিল্পীর মতই অনুভূতিগুলোকে ফুটিয়ে তুলেছেন।

অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার গল্পটি উপহার দেওয়ার জন্য ।

শুভকামনা জানবেন।

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা নেবেন।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

নেক্সাস বলেছেন: ভীষন ভাবে হৃদয় ছুঁয়ে গেল

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

সুমন কর বলেছেন: প্রথম প‌্যারাটা দীর্ঘায়িত মনে হয়েছে। বাকিটুকু অসাধারণ অনুভূতির প্রকাশ। একজন ঊণমানুষের গোপন কষ্ট, না বলা কথার অাকুতি বেশ সুন্দর ভাবে ফুঁটিয়ে তুলে ধরেছেন।

৪+।

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন।

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ইটস এ টাফ ওয়ান ফর মি। তাই পুরা না বুঝার কারনে নো কমেন্ট।

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা। তবে লেখাটা তো জটিল কিছু ছিলো না।

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

এম এম করিম বলেছেন: ভালো লাগলো।

+++

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:



প্রথমে অনেক কিছুই ধারণা করেছিলাম...

জটিল একটি বিষয়কে উপজীব্য করেছেন।
এজন্যই ভাষার সাবলীলতাকে আরও কাম্য করে তুলেছেন।
শুভেচ্ছা :)

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা মইনুল ভাই।

৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:০৭

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: থিম এক্কেবারে ক্লিয়ার, কিন্তু শুরুটা না। শুরুটা গল্পের মত না, একটু কঠিন ধাচের মুক্তগদ্যের মত। শুরুটা একটা আলাদা পার্ট, আবার ওই পার্টে কয়টা কয়টা লাইন মিলে সাব পার্ট যা আলাদা আবহ আনে। আমি আবার সস্তা দরের পাঠক, তাই হালকা এদিক ওদিক কিছু বললেই আর কয়টা কঠিন শব্দ গিললেই নিজেরে হারায় ফেলি। এইজন্য এইটা আমার জন্য টাফ।

পরে আসলে যেখান থেকে গল্প বুঝতে অথবা ধরতে পারছি সেইখান থেকে গল্পটা ভালোই। শেষটায় ভালোলাগা। আমি সবসময় এমন গল্প পড়তে চাই যেটা হতাশার বদলে জীবনে একটু হলেও আশার কিছু দেখাবে, ভালো কিছু দেখাবে। জীবনটা খুব একটা খারাপও না কিন্তু।

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুরুতে মুক্তগদ্যধর্মী লেখা এটা আমার বহুল ব্যবহৃত একটা স্টাইল বলতে পারেন। আসলে লেখাটা কোথায় যাবে সেই চিন্তা নির্দিষ্ট করা ছিলো না। লিখতে লিখতেই কলমের টানে একটা গল্প দাঁড়িয়েছে আর কী।

শুভেচ্ছা।

৮| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হৃদয়স্পর্শী ঊনমানুষের গল্প ।
আহারে ! আহারে !!

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। শুভকামনা রইলো।

৯| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:২৯

সকাল রয় বলেছেন:
লেখার ঘোরটা কেটে যাচ্ছে না
চলছে...
চলবে

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: চলতে থাকুক। শুভকামনা।

১০| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

তাশমিন নূর বলেছেন: চমৎকার লাগল। প্রকাশটা অনবদ্য ছিল। আমি প্রথমে অনুগদ্য ভেবেছিলাম।

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ার জন্যে ধন্যবাদ তাশমিন।

১১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:২৮

কলমের কালি শেষ বলেছেন: পুরো গল্পে অভিমানের সুরে ধিক্কার বেরিয়েছে । অগোচরে থাকা বিস্বাদময় জীবনের চিত্র ।

+++

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত।

১২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: শুরুতে অন্য কিছু ভেবেছিলাম, শেষে দেখি অন্যরকম| ভালো লাগল| গল্পের থিমে ভিন্নতা আছে

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রাখাল। শুভরাত্রি।

১৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

টুম্পা মনি বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর গল্প। সমাজের যেই গল্পগুলো অহরহই আমাদের চোখের সামনে থাকে,কিন্তু চোখ এড়িয়ে যায়।

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পা। শুভরাত্রি।

১৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:০৪

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: বরাবরের ন্যায়ই মুগ্ধতা।
+

ভালো থাকবেন।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রাজপুত্র।

১৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৪

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
মনোলগের ধরনে প্রারম্ভ হলেও হৃদয়ঘেষা ৷ কিছু শব্দ চয়ন আশাজাগানিয়া ৷ মার শূণ্যতা হয়ত পূর্বে অনুভূত হচ্ছিল ৷ ঘোরপাঠে তোমরা ভালো থেকো... লাইনে কথককে উচ্চমার্গীয় স্থানে রাখবে পাঠক ৷ প্যারাডক্সের সংমিশ্রনগুলো কল্প ও মন বিশ্লেষণী অনেকখানি ৷ ধীরে ধীরে আমরাও তার মতন হয়ে উঠছি ৷

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্যে।

১৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:০৩

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: যারা প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে কিংবা জন্মের পর প্রতিবন্ধী হয়, দুটোর কোনটার জন্যই প্রতিবন্ধী মানুষগুলো দায়ী নয়। তবুও তারা পরিবারের ভালোবাসা বঞ্চিত হয়ে করুণার পাত্রে পরিণত হয়। ফলে তাদের দুর্বিষহ জীবন আরও বেশী দুর্বিষহ হয়ে উঠে। পরজীবী মানুষে রূপান্তরিত হয় তাদের জীবন চক্র। গল্পের প্রতিবন্ধীর করুণ আহাজারি হৃদয়স্পর্শী আবেগের বাক্য বিন্যাসে আরও বেশী করুণ হয়ে ধরা দিয়েছে।
ভালো লাগলো আপনার এই ভিন্ন প্রেক্ষাপটের গল্পটা। প্রতিবন্ধীদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো দরকার। একজন স্বাভাবিক মানুষের চাইতে বরং তাদের আরও বেশী পারিবারিক এবং সামাজিক সাহচর্য ও ভালোবাসা দরকার। তাতে তাদের জীবনটা হয়তো আনন্দময় হয়ে উঠতে পারে এবং ভুলে থাকতে পারে তাদের অসহায়ত্বের কথা। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার জন্যেও শুভকামনা।

১৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১৮

বৃতি বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি।

১৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

বিদগ্ধ বলেছেন: শুরুতে একটু গোলমেলে লেগেছিল, যা পরে ঠিক হয়ে গেছে। বিষয়গুণে সুন্দর গল্প।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বিদগ্ধ।

১৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯

আলোরিকা বলেছেন: গল্পটা পড়তে গিয়েই মনে হচ্ছিল কার দিনলিপি পড়ছি....কেমন যেন একটা চেনা ভঙ্গি.... কেন যেন মনে হচ্ছিল কিছু একটা মনে পড়বে .... কেন যেন ছোটবেলার গল্প পড়ার কথা মনে পড়ে গেল .... আর সবমিলে এসব কারণেই লেখাটি ভাল লাগল ..... :)

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আলোরিকা। আপনার নিকটা চমৎকার।

২০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: চমৎকার। এই গল্পটা আমার কাছে অনেক বেশি ভাল লেগেছে আপনার অন্যান্য গল্পের চেয়ে। যদিও মনে হয়েছে শেষের চিঠিটা হয়ত অন্যভাবে লেখা যেতে পারত (চিঠিটায় অভিযোগের তীব্রতা বেশি)। কিংবা মনেমনে আরও অনেক চিঠির খসড়া সে করতে পারত, যেখানে অভিযোগের তীব্রতা অনুধাবন করেই সে মনেমনেই চিঠিগুলো ছিঁড়ে ফেলত। কিংবা আরও অন্য কোনোরকম একটা চিঠি; কী রকম তা অবশ্য আমিও জানি না। কিন্তু অন্যরকম। অন্যরকম একটা চিঠি। মোট কথা চিঠিটা ভাল লাগেনি।
শুভেচ্ছা জানবেন।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। হ্যাঁ, চিঠিটা আরো ভালো হওয়া উচিৎ ছিলো।

শুভকামনা।

২১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৫

আলম দীপ্র বলেছেন: হৃদয়ে টোকা দেয়া গল্প !
অনেক ভালো লাগল হামা ভাই !

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ দীপ্র। শুভদুপুর।

২২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: বেশ!

কিন্তু শেষে এসে দেবদূতদের পরিচয় খোলাসা করবেন একটা ভাবিনি :)

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: না করলেই মনে হয় ভালো হতো, তবে সেক্ষেত্রে দুর্বোধ্যতা থেকে যেতো।

ধন্যবাদ ইমরান।

২৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: প্রথম দিকে একটু কঠিন মনে হচ্ছিল পরে পড়ে ভাল লাগল্ ।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।

২৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: একটু অন্যরকম গল্প।

শুরুটা উপভোগ করেছি। শেষটায় 'দেবদূত'দের পরিচয় পেয়ে একটা ডিসফাংশনাল ফ্যামিলি- তাদের ভুল, তাদের সমস্যা, তাদের স্বার্থপরতার ভেতরে ঢুকে গেলাম যেন।

ভাল লাগল নতুন দেবদূতকে দেখে। আশার মৃত্যু ঘটে নি এখনও।

শুভরাত্রি।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত প্রফেসর। আপনি মাঝেমধ্যে কোথায় যেন হাওয়া হয়ে যান!

২৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: গল্পের মজাই আলাদা ।

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: সিরাম মজা বন্ধু :-B

২৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৪

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অসাধারণ লেখা ভাইয়া, পরীক্ষার কারনে ব্লগে আর আসা হয় না। শুধু আপনার লেখায় মন্তব্য করতেই লগ ইন করলাম।

ভালো থাকবেন।

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তন্দ্রা।

২৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পড়তে যেয়ে মনে হলো এটা আমাদেরই অসুস্থ সমাজের গল্প।। আমরা আজ অনাদৃত,ঠিক গল্পের নায়কের মতই।।
ভালবাসা বা এর মানুষগুলি হারিয়ে গেলে আর ফিরে না।।

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ।

২৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
প্রথম দিকে বুঝতে সমস্যা হলে পরে বুঝতে পারলাম।

দারুণ লাগল +++

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

ডি মুন বলেছেন:
শুরুটা ভালো লেগেছে। তবে গল্পের বর্ণনা অনেক জায়গায় অহেতুক দীর্ঘায়িত মনে হয়েছে।

গল্পটা পড়তে পড়তে 'মেটামরফোসিস' এর কথা মনে পড়ছিল খুব।

" পানির ফোঁটা নয়, যেন ঈশ্বরকণা ঝলকে উঠতো ওদের শরীরে। "

এই লাইনটা খুব সুন্দর লাগল।

শুভকামনা হাসান ভাই

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুন। শুভদুপুর।

৩০| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার গল্প পড়লাম, ভালো লেগেছে।

ওরা দৌড়োতো, ওরা খেলতো, ওরা সাঁতার কাটতো, আর আমি স্বপ্নালু চোখে মোহাবিষ্ট হয়ে ওসব দেখতাম।

বাকরুদ্ধ....আবেগি কথন।

শুভকামনা জানবেন। ভালো থাকুন সবসময়।

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

৩১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: উপভোগ্য একটা গল্প। শুরুটা আমার কাছে আকর্ষনীয় লেগেছে। এই স্টাইলটা বেশ প্রভাব বিস্তার করছে আমার নিজের মাঝে।

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ কাভা। শুভদুপুর।

৩২| ২০ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২

জেন রসি বলেছেন: মনোজগতের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

২০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ার জন্যে ধন্যবাদ জেন রসি।

৩৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৭

এহসান সাবির বলেছেন: ভালো লাগা হামা ভাই।


অফ লাইনে পড়লে পরে মন্তব্য করতে এসে সব ভুলে যাই। অফ লাইনে আর পড়ব না ভাবছি..

২১ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ সকাল।

৩৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪০

মাটিরময়না বলেছেন: আপনার লিখা যতবার পড়লাম ততোবারই মুগ্ধ হলাম। একটা ভিন্ন মাত্রা আছে লিখায়। ইউনিক বলা যায়।

ভীষণ ভালো লেগেছে।

২১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

৩৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: শুরুটার সাথে শেষটা আরও চমৎকার।

২২ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।

৩৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

দীপংকর চন্দ বলেছেন: বৈচিত্র্য আপনার লেখার অন্যতম অনুষঙ্গ!!!

কবিতার মতো গল্প, অথবা গল্পের মতো কবিতা!

এবং বিষণ্ন শব্দের সারি!

অনিঃশেষ শুভকামনা।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

২২ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার জন্যেও অনেক শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

৩৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

এহসান সাবির বলেছেন: হামা ভাই একটা মিষ্টি প্রেমের গল্প লিখেন তো... বিরহ না কিন্তু... :) :) :)

২৩ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার লেখা বড় তিতা সবসময়। কোনো গল্পেই মনে হয় প্রেমে সফলতা দেখাই নাই। তবে চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে মিষ্টি প্রেমের গল্প লেখার।

৩৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

শবদাহ বলেছেন: পড়া শুরু করে ভেবেছিলাম আজ বুঝি কোন রুপক নয়, কোন অনুভূতির প্রকাশের দেখা পাবো হাসান মাহবুব-এর রচনাশৈলীতে।
কয়েক চরণ পড়ার পরই দ্বিধান্বিত হয়ে গেলাম রচনার ইতি নিয়ে।
কেউ তাদেরকে ঘাঁটাতে সাহস পেতো না। কারণ তারা জানে প্রাণোল্লাসে ভরপুর এই দলটির স্ফূর্তি নিমিষেই সহিংসতায় পরিবর্তিত হতে পারে।
তারা পরতো লম্বা ঝুল দেয়া জামা যা তাদের উচ্চদৈর্ঘ্যকে আরো বিকশিত করতো।

এ পর্যন্ত পড়ার পর মনে হল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ছাত্র-সংগঠনগুলোকে নিয়ে লেখা কোন মর্মান্তিক রচনা হবে হয়তো।
আরও কয়েক চরণ পড়ার পর বুজতে পারলাম ইতি কোন দিকে যাচ্ছে।

আমি কি তবে এবার সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরবো?
ওরা দৌড়োতো, ওরা খেলতো, ওরা সাঁতার কাটতো, আর আমি স্বপ্নালু চোখে মোহাবিষ্ট হয়ে ওসব দেখতাম।

এ বাক্যগুলোর মাধ্যমে অনুভূতিগুলো চমৎকারভাবে বর্ণনা করেছেন। আর আমাকে বলেছিলো ওরা একটু বাইরে যাবে আর আসবে। কিছুক্ষণের জন্যে। বাক্যের মতো করেই বুঝি অপূর্ণাঙ্গ মানুষগুলোকে আমরা সংকীর্ণমনা, পূর্ণাঙ্গ মানুষ বলে দাবিদার সকলে ধোঁকা দিই।
অনেক ভাল লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।

৩৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

রোদেলা বলেছেন: খুটিয়ে খুটিয়ে প্রতিটা উপলব্ধির এমন চমৎকার উপস্থাপন কেবল আপনার হাতেই সম্ভব,আমি মুগ্ধ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রোদেলা। শুভদুপুর।

৪০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

আরজু পনি বলেছেন:

পড়ার শুরুতে বুঝিনি...
তারপর মন খারাপ হয়ে গেল।

শেষে দীর্ঘশ্বাস !

লেখায় অনেক ভালো লাগা রইল, হাসান।

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পনি আপা। শুভরাত্রি।

৪১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

নাসরীন খান বলেছেন: অসাধারণ লেখা।।মনটা খারাপ হয়ে গেলো।

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৪২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫

♥কবি♥ বলেছেন: হাসান ভাই আমি আপনার একজন একনিষ্ঠ পাঠক অনলাইনে/অফলাইনে আপনার নিত্য নতুন লেখা আমাকে লিখতে অনুপ্রাণিত করে প্রতিনিয়ত। আপনার প্রতিটি লেখা একটা ঘোর থেকে আর একটা ঘোরে নিয়ে ছেড়ে দেয় পরবর্তী লেখা না পাওয়া পর্যন্ত। এটাও সেরাম একটা মাস্টারপিস আরো লিখুন অনুপ্রেরণা অব্যহত থাকুক। ধন্যবাদ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। অনুপ্রানিত হলাম আপনার কথায়।

৪৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: জটিল কিন্তু বিষাদে ঘেরা সমাজে ঘটে যাওয়া কিছু গল্পের কথা...... ছবি দেখে ভয় পেয়েছিলাম পুরোটা পড়ে মন বিষাদে ভরে গেল...

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৪৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

বিজন রয় বলেছেন: কঠিন এবং আকর্ষক।

২৮ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বিজন রয়। স্বাগতম আমার ব্লগে।

৪৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

টুম্পা সাড়া বলেছেন: আপনার গল্প হয়ত অনেকের জীবনের বাস্তবতা ..ভালো থাকুন আপনি ..আরো সুন্দর হোক আপনার প্রচেষ্টা...

৩১ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পা। শুভকামনা রইলো।

৪৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

ইখতামিন বলেছেন:
প্রতিবন্ধী মানুষগুলোর আত্ম:করণ ধোঁয়া বোধ হয় এভাবেই চারদেয়ালের ভেতর ঘুরতে থাকে

অনেক ভালো লাগলো। অসাধারণ ++

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভবৃষ্টি সন্ধ্যা।

৪৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৪৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: অসাধারন একটি লেখা । পড়ে ভাল লেগেছে । যদিও সময় কম থাকায় পুরোটুক পড়তে পাড়িনি তাই প্রিয়তে নিয়ে রাাখলাম ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ সকাল।

৪৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লিখেছেন। ভালো লাগলো গল্পটা।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ তাহসিনুল। শুভেচ্ছা রইলো।

৫০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৫৮

আমি সাজিদ বলেছেন: জমাট শব্দমালা আর বাক্যের শক্তি কত বেশী যে আরেকবার টের পেলাম।একটানে পড়তে পারি নাই। থেমে থেমে, ভেবে ভেবে, অনুভব করে পড়তে হইসে। শেষ চোখ ভিজে যায় নাই কিন্তু মনটা ভিজে গেছে একেবারে !

গল্প নিয়ে এরচেয়ে বেশিকিছু বলার সাহস আর বয়স এখনো আমার হয় নাই।

এই রাতদুপুরে শুভকামনা ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাজিদ। ভালো কাটুক দিন।

৫১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০৫

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: মুগ্ধ হয়েছি হাসান ভাই। দুটো কারণে পুরোপুরি মুগ্ধ হয়েছি। আপনার লেখার শৈলী নিয়ে মুগ্ধতা অবশ্য নতুন কিছু নয়। তবে বিষয়টা যেভাবে তুলে ধরেছেন তাতে মুগ্ধতা না জানিয়ে উপায় নেই।



অনেক অনেক শুভকামনা রইল। শুভ রাত্রি :)

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো। শুভরাত্রি।

৫২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:২০

নোমান নমি বলেছেন: শুরুটা বেশী ভালো ছিলো। একটা পর্যায়ে গিয়ে শুরু এবং শেষ দুইটা আলাদা লেখা হয়ে গেছে? মানে স্টাইলে। প্রথমে যে গতি ছিলো পরে গতিও কমে গেছে মনে হয়। শেষটা কিছুটা অনুমেয় হইছে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৫:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ নোমান। শুভভোর।

৫৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০৫

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: চমৎকার ! একেবারেই অন্যরকম ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নুসরাত। ভালো থাকবেন।

৫৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৫১

স্বপ্নচূড়ায় আমি বলেছেন: অনেক ভালো লাগল...........

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.