নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

অচিন পাখির ডাক

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৩


(১)
আজকে আমাকে নতুন সেলে নিয়ে আসা হয়েছে। বড় বিষণ্ণ এই আগমন। এখান থেকেই শুরু হবে মৃত্যুর কাউন্টডাউন। আর হয়তো কয়েকটা দিন মাত্র আমার আয়ু রয়েছে। তা ঠিক কখন ওরা নির্দিষ্ট করে কখনই বলবে না। এই কয়েকদিন আমার সাথে খুব ভালো ব্যবহার করবে, ভালো খেতে দেবে। কনডেম সেলের পাথর পাষাণ দেয়ালে আমার শেষ দিনগুলোর নিঃশ্বাস গচ্ছিত থাকবে। আজ দুপুরে ওরা আমাকে খেতে দিয়েছে ঝালঝাল, ঝোলঝোল করে রান্না করা পাবদা মাছ আর ভাত। অমোঘ মৃত্যু যখন দুয়ারে কড়া নাড়ে জৈবিক চাহিদাগুলো তখনও কী ভীষণ রকম প্রকট হয়ে ধরা দেয়! আমি বেশ আয়েশ করে চেটেপুটে সবগুলো ভাত খেয়ে বিছানায় গড়িয়ে নিলাম কিছুক্ষণ। সিগারেটের তৃষ্ণা অনুভব করছি । ঘুম পাচ্ছে খুব। তবে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি জেগে থাকবো। ঘুম তো এক ধরণের মৃত্যুই! অনিবার্য মৃত্যুর সম্মুখীন হবার আগে তার শাখা-উপশাখায় অসহায় আত্মসমর্পণ করার কোনো মানে হয় না। এই যে দেখছি পাথরদেয়াল, এই যে দেখছি সিলিং ফ্যানের ঘূর্ণন, এঁটো থালার ওপর উড়ছে মাছি, দেখার মতো কত কী আছে বাকি! এসব দেখতে দেখতে আমি আমার অতীতের স্খলন এবং তার প্রেক্ষিতে উদ্ভুত বর্তমান মৃত্যুমুখরতার কথা ভাবি। আমি একজন ধর্ষক এবং খুনী। অবশ্য খুন করার কোন উদ্দেশ্য আমার ছিলো না। মেয়েটা বড় চিৎকার করছিলো আর লাথি ছুড়ছিলো। ওকে থামাতে গিয়ে বেশ কয়েকটা চড়-থাপ্পর দেয়ার পর আমার মধ্যে জাগ্রত হয় কামজ অনুভূতির চেয়েও ভয়ানক নেশাতুর সহিংসতা। টানা কতক্ষণ তাকে মেরেছি মনে নেই। আমি তার মাথায়, বুকে, সংবেদনশীল যাবতীয় অঙ্গে প্রচণ্ড প্রহার করতে গিয়ে তার মধ্যে উপগত হবার কথা ভুলেই যাই। হঠাৎ খেয়াল করি তার দেহটা নিশ্চল, নিথর হয়ে আসছে। যাহ বাবা! এইটুকু প্রহার সইতে পারলো না মেয়েটা? অবশ্য মাত্র দশ বছরের একটি মেয়ে কতটুকুই বা সইতে পারে! আমার ভীষণ রাগ হচ্ছিলো। ধর্ষণ শেষ হবার আগেই মেয়েটি মারা গেলো! আমি তার মৃতদেহতে আরো দু ঘা বসিয়ে দিয়ে তারপর সঙ্গম শুরু করি। আমার মধ্যে যে নেক্রোম্যানিয়া আছে তা আগে কখনই বুঝতে পারি নি। সত্যি বলতে কী, এই নতুন অভিজ্ঞতা আমাকে অভূতপূর্ব এক আনন্দ দিলো। ধর্ষণ শেষে ফুরফুরে মনে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় রেখে ঢেকে সেদিনের সেই অভিজ্ঞতার কথা বয়ান করেছিলাম। তারা সবাই আমার পিঠ চাপড়ে দিয়েছিলো। কী সুন্দর ছিলো দিনগুলো! আমার কৃত অপরাধের জন্যে বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত ছিলাম না। কোনো দুশ্চিন্তাও ছিলো না সাজা পাবার ব্যাপারে। ক্ষমতাসীন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতা ছিলেন আমার বাবা। সুতরাং, আমাকে ধরে শাস্তি দেয় কার সাধ্যি! কিন্তু হঠাৎ করেই ক্ষমতার পালাবদল ঘটলো। মামলা হামলায় বিপর্যস্ত হলো আমাদের পরিবার। আমাকে গ্রেফতার করা হলো। তখনও ভাবি নি লো ক্লাস একটা বস্তির মেয়েকে খুনের দায়ে আমাকে এই শাস্তি দেয়া হবে। হাই সোসাইটির কত রুপসী আর শিক্ষিত তরুণী আমার পায়ের কাছে লুটোপুটি খেত, কখনও ভয়ে, কখনও বাধ্য হয়ে, কখনও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হয়ে! এদের মধ্যে ছিলো, বালিকা, গণিকা, প্রেমিকা, সমাজসেবী, নেত্রী, ড্রাগস ডিলার! তারা কেউ আমার কিছুই করতে পারলো না, শেষতক ধরা খেয়ে গেলাম সেই দুই পয়সার বস্তির বালিকার কাছে! এ দেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে জুতাপেটা করা দরকার। ভাবতে ভাবতে আমি উত্তেজিত হয়ে উঠি। অবাক হয়ে খেয়াল করি, ঐ মেয়েটার কথা মনে পড়ার ফলে আমার শিশ্ন উত্থিত হচ্ছে। অন্যসময় হলে আমি অবশ্যই হস্তমৈথুন করতাম। নিশ্চিত মৃত্যুর সম্মুখীন হবার পরেও কী ভীষণরকম জ্যান্ত আমি এবং আমার অনুভূতিরা! আমার মুখে এক চিলতে মৃদু হাসি খেলা করে। আমাকে ওরা ফাঁসি দিতে পারে, তবে আমি রেখে যাবো বিপুল পরাক্রমে বিজয়ী এক মহাজীবন। যার ছিঁটেফোঁটাও কখনও এই ছাপোষা জেলার, ম্যাজিস্ট্রেট, উকিল আর জল্লাদরা দেখে নি। ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি টেরই পাই নি।

(২)

ঘুমটা ভালো হলো না। অজস্র দুঃস্বপ্ন আর অস্বস্তিকর শারীরিক অনুভূতি জাগিয়ে তুললো আমাকে। ঘুম থেকে ওঠার আগে মনে হচ্ছিলো কে যেনো আমার বুকের ওপর উঠে গলা চেপে ধরছে। আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছিলাম না। গোঁ গোঁ শব্দে আমার ভীতি প্রকাশিত হচ্ছিলো। একেই কি বোবায় ধরা বলে? স্বপ্নে দেখলাম সেই মেয়েটি ভয়ংকর দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর হাসছে। আমি প্রাণপনে দৌড়ুতে থাকি, আমার জীবনীশক্তি ফুরিয়ে আসতে থাকে, আমাকে ঘিরে ধরে পুলিস, জেলার আর জল্লাদরা, আমি তাদের তৈরি মৃত্যুবৃত্যের ভেতর ঘুরপাক খেতে থাকি, বের হবার কোনো উপায় নেই। মৃত্যু অনুভূতি যে এত ভয়ানক হতে পারে তা আমার জানা ছিলো না। ঘুম থেকে ওঠার পরে আমার প্রচণ্ড পানি পিপাসা পায়। ঢকঢক করে দুই গেলাস পানি খাবার পরেও আমার তৃষ্ণা মেটে না। প্রচণ্ডরকম আতঙ্কিত হয়ে পড়ি আমি। চারপাশে তাকিয়ে কোন একটা আশ্রয় খুঁজতে থাকি যা আমাকে এই অসহনীয় আতঙ্ক থেকে মুক্তি দিবে। মাকে খুঁজি।কিন্তু এই কনডেম সেলের মধ্যে মাকে পাবো কোথায়? দুচোখ বেয়ে অশ্রূধারা নির্গত হয়। আমি এদিক ওদিক তাকাতে গিয়ে দেখি একটা টিকটিকি নধর সাইজের একটা মাকড়শাকে ধরে আয়েশ করে খাচ্ছে। দুপুরবেলায় খাবার পরে মৃত্যুবিষয়ক যে দার্শনিক অবজ্ঞার অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছিলো, তা যেন ন্যাংটো হয়ে ধাওয়া খেয়ে ছুটছে ছুটছে ছুটছে! আমার নিজেকে খুব বিপন্ন মনে হয়। টিকটিকিটা ততক্ষণে তার উদরপূর্তি সম্পন্ন করে ফেলেছে। আমার অবস্থা যাচাই করেই হয়তো বা, সে দেয়ালে ঝুলে থেকে কুঁতকুঁতে দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে বলে ঠিক ঠিক ঠিক!

(৩)
টিকটিকিটাও আমার বর্তমান অবস্থা কীটপতঙ্গের মতো গলাধকরণ করে উপহাস করছে যেনো। আমি ধাতস্থ হবার চেষ্টা করি। হয়তো বা আজ রাতেই আমার ফাঁসি হয়ে যেতে পারে। জার্মানি থেকে নিয়ে আসা ফাঁসির দড়িতে নিয়মিত সবরি কলা আর মাখন মেখে সেগুলোকে চকচকে আর শক্ত করা হচ্ছে নিশ্চয়ই। আজ রাতেই যদি আমার ফাঁসি হয় তাহলে সন্ধ্যার দিকে আমার আত্মীয়স্বজনের সাথে দেখা করতে দেয়ার কথা। আমি মনেপ্রাণে প্রার্থনা করা শুরু করি তারা যেন না আসে। কনডেম সেলের প্রায়ন্ধকার ঘরে দিন-রাত-দুপুর-সন্ধ্যা ঠিক ঠাহর করা যায় না। আমি এই অনির্দিষ্টতাকে অনুমান দিয়ে বুঝবার চেষ্টা করি। সম্ভবত এখন বিকেলের শেষভাগ। আমি মনে মনে প্রার্থনা করতে থাকি, মা যেন না আসে, বাবা যেন না আসে, ভাইবোনেরা কেউ যেন না আসে। আমি বাঁচতে চাই অন্তত আরো একটা দিন বেশি। বেঁচে থাকার মত আশ্চর্য সুন্দর আর কী হতে পারে? প্রকৃতিপ্রদত্ত এই আশ্চর্য সুন্দর উপহার আমি আর বেশিদিন বা বেশিক্ষণ উপভোগ করতে পারবো না ভাবতেই আমার শরীর ঠান্ডা হয়ে আসে। যেকোন কিছুর বিনিময়ে হোক আমি আরো একটা দিন বেশি বাঁচতে চাই। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে গিয়ে হঠাৎ আমার খেয়াল হয়, আমি একজন নাস্তিক। আমি নাস্তিক বলেই কি ঈশ্বর ক্ষেপে উঠে আমার জন্যে এই পরিণতি নির্দিষ্ট করে রেখেছেন? আমার মনে পড়ে যায় প্রাচীন বিশ্বাস আর ধূলো জমা ধর্মগ্রন্থের কথা। একটা সময় তো আমি বিশ্বাসী ছিলাম, সেই সময়ের বরাতে আমাকে কি আরো কটা দিন বেশি আয়ু দেয়া যায় না হে মহাপ্রভু? তোমার নগন্য এই সৃষ্টিকে দয়া করো! আমি তোমার কাছে ফাঁসি মওকুফ করার অবাস্তব প্রার্থনা করছি না। শুধু আমাকে আর কটা দিন বেশি বাঁচতে দাও!

(৪)
যাক, আজকে বাসা থেকে কেউ আসে নি। শেষ মুহূর্তে আমি কিছু খেতে চাই কী না তাও জিজ্ঞেস করে নি সেন্ট্রিরা। আমি তাহলে আরো একটা দিন অন্তত বেশি বাঁচতে পারছি! এই মাত্র একটা দিনের বেশি আয়ূ পাওয়াটা আমাকে কিছুটা স্থির এবং স্বচ্ছন্দ করে তোলে। এরকম আর এক এক করে কয়টা দিন বেশি বাঁচা সম্ভব সর্বোচ্চ? এক সপ্তাহ? দশ দিন? পনের দিন? যদিও এই কনডেম সেলের ভেতর টিকটিকি, মাকড়শা আর নোনা ধরা দেয়াল আর আদ্যিকালের একটা সিলিং ফ্যান ছাড়া আর কিছু নেই, তবুও এই জায়গাটিতে আরো কিছুদিন গ্যাঁট হয়ে বসে থাকতে আমি উন্মুখ হয়ে আছি। এই দুদিনে সেলের ভেতর থাকতে গিয়ে এর সবখানের সবকিছু একদম মুখস্ত হয়ে গেছে। টিকটিকিটার সাথী জুটেছে একটা। তারা বেশ রোমান্স করছে মনের সুখে। ওদের দিকে তাকিয়ে আমার মনে হলো আমি যদি একটা টিকটিকি হতে পারতাম! তাহলে আর এই মৃত্যুফাঁদে আটকা পড়ে ভীতিকর ক্ষণ গণনা করতে হতো না। দেয়ালের একপাশে কিছুটা ফাটল আছে। ওটা ভেদ করে যদি চলে যাওয়া যেতো সুড়ঙ্গ খুঁড়ে! এসব অবাস্তব চিন্তাই এখন আমাকে বেঁচে থাকার রসদ যোগায়। আজকেও আন্দাজ করছি সন্ধ্যা হয়ে গেছে। এই সময়টা সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের। কখন না কখন চলে আসে আমার স্বজনেরা কে জানে! ওরা তো আমার প্রাণ বাঁচাতে পারবে না, খামোখা এখানে এসে একটা সিনক্রিয়েট করা। আচ্ছা, হঠাৎ যদি একটা কারাবিদ্রোহ শুরু হয় তাহলে কেমন হবে? এটা কি খুব অসম্ভব কিছু? আগের সেলে থাকার সময় দেখেছি কত দুঁদে আর বিপদজনক অপরাধীরা আছে এখানে! তাদের অপরাধ বিষয়ক সৃজনশক্তি অসীম! টিফিন ক্যারিয়ারে করে খাবার দেবার নাম করে যদি তাদের দলের লোকেরা অথবা আত্মীয়রা বোমা তৈরির সরঞ্জাম সরবরাহ করে? তাহলে কী আমার পক্ষে পলায়ন সম্ভব? আশা ছাড়ি নি এখনও।
(৫)
মাঝখানে আমার নার্ভাস ব্রেকডাউনের মতো হয়েছিলো ঘুমের মধ্যে আজেবাজে স্বপ্ন দেখে। ওগুলো এখন কাটিয়ে উঠেছি। মৃত্যুর জন্যে নিজেকে প্রস্তুত করছি ধীরে ধীরে। পরিবার পরিজনেরা শেষ দেখা করতে আসবে কবে? আফসোস জাগে, কেন যে তাদেরকে আরো বেশি সময় দিলাম না! নিহত মেয়েটার কথা মনে পড়ে। জীবনে এই প্রথমবারের মতো তার জন্যে আমার দুঃখ হয়। তবে কি আমি পিশাচ থেকে মানবে উত্তীর্ণ হচ্ছি? এই যে আমার অপরাধবোধ এবং অনুশোচনা, পিশাচ থেকে মানবে পরিণত হবার যাত্রায় উত্তরণের সেতু করে আমাকে কেন মৃত্যুর দিকেই যেতে হবে? প্রবাহটা বিপরীতমুখী করে দাও না হে ঈশ্বর! মানবিকতার বোধে ঋদ্ধ হয় আমি জীবনের কাছেই ফিরে যেতে চাই। দয়া করো হে ঈশ্বর! আমি গভীরভাবে শ্বাস নিয়ে ধ্যানে মগ্ন হই। একটি প্রশান্ত অনুভূতি আমার ভেতর গভীরভাবে প্রোথিত হয়। আমি ভাবতেই পারি নি ঈশ্বরের কাছে নিজেকে সমর্পণ করার মধ্যে এত প্রশান্তি আছে। এখন আমি মৃত্যুর জন্যে নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত বলে মনে করি।

ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। বেশ ভালো এবং গভীর ঘুম। কোন দুঃস্বপ্ন নেই, শারীরিক অস্বস্তি নেই। ঘুম ভাঙলো সেন্ট্রির ডাকে। আমার স্বজনেরা এসেছেন। তাদের সাথে দেখা করতে হবে। অর্থাৎ আজকেই সেই দিন! আজ রাতেই আমাকে ফাঁসিতে ঝোলাবে ওরা? হঠাৎ করেই আমার মাথাটা ভীষণ চক্কর দিতে শুরু করে। শরীর ঠান্ডা হয়ে আসে। পেটের ভিতর সবকিছু যেন দলামচড়া পাঁকিয়ে যেতে থাকে। আমার ধ্যানার্জিত মৃত্যুবিষয়ক উদাসীনতার গালে কারা যেন ঠাসঠাস করে চড় লাগিয়ে দেয়। তলপেট থেকে জলের ধারা প্রবাহিত হতে থাকে আরো নীচে। কোথায় গেলো আমার শান্তভাবে মৃত্যুকে বরণ করে নেবার প্রস্তুতি, কোথায় গেলো আমার জীবনকে বিদায় জানানোর সাহস? পেচ্ছাপের ধারায় সব ভেসে গেলো।

(৬)
"আম্মা, বিশ্বাস করেন আমি কিছু করি নাই। আর কিছু করলেও সেটার শাস্তি আল্লায় দিসে আমারে। আপনেরা আমার জন্যে কিছু করেন না! আমারে মরার হাত থিকা বাঁচান। আব্বায় এহনও জেলে? আব্বা মুক্তি পাইলে আমারে ঠিকই ছাড়ায় নিতে পারবো। তার জন্যে কিছুদিন অপেক্ষা করতে কন না ওগোরে। আপনে কাইন্দেন না আম্মা। দেইহেন শেষতক আমার ফাঁসি হইবো না। কোন একটা মিরাকল ঘটবোই। পৃথিবীতে কতরকম অদ্ভুত ঘটনা ঘটে আপনে তার দিশা পাইতেন না। এবারও সেইরকম কিছু ঘটবো। আপনেরা খালি একটু দোয়া করেন আমার জন্যে। ফাঁসি হইবো না আমার। আমি মরতে চাই না আম্মা। আমারে বাঁচান..."

(৭)
রাত আনুমানিক দশটার দিকে জেলখানার মসজিদ থেকে ইমাম আনিয়ে আমাকে তওবা পড়ানো হয়। শেষ ইচ্ছা হিসেবে ইলিশ মাছের তরকারি এবং ভাত খেতে দেয়া হয়। যতই ফাঁসির সময়টা কাছিয়ে আসছে আমার ভেতর নানারকম উদ্ভট চিন্তা খেলা করতে শুরু করছে। নিজেকে কখনও মনে হয় জীবন্মৃত জোম্বি, মৃত্যুভয় যাকে কখনই কাবু করতে পারে না। এর মুহূর্ত পরেই প্রচণ্ড ভয় আমার ওপর জেঁকে বসে। আমি শেষ মুহূর্তেও কোন একটা অলৌকিক ঘটনার অপেক্ষা করতে থাকি। যদিও জানি এসব সম্ভব হবার নয়। সেই বালিকার ছায়া আমার পিছু পিছু আসতে থাকে। হাহা করে হাসতে থাকে সে, হাসতে থাকে পুরো কারাগার। হাসতে থাকে ভিকটিমের স্বজনেরা, জেলার, ইমাম, জল্লাদ সবাই। এত বিরূদ্ধস্রোতের বিরুদ্ধেও কিছু একটা ঘটবেই, অলৌকিক কিছু। কারা বিদ্রোহ, শেষ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা, জেলারের হাত থেকে সাদা রুমাল মাটিতে পড়বে না, অথবা ফাঁসি দেয়ার যন্ত্রের মেকানিজমে কোনো গোলমাল ঘটবে। সমর্থনের আশায় ডুবন্ত মানুষের খড়কুটো আঁকড়ে ধরার মতো আমার সেলের একমাত্র বন্ধু টিকটিকিটার দিকে তাকাই।

সে তখন তার সঙ্গীর সাথে রোমান্সে ব্যস্ত। ঠিক ঠিক ঠিক বলার সময় নেই তার।

মন্তব্য ১০২ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (১০২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

কলমের কালি শেষ বলেছেন: একজন ফাঁসির আসামীর অনুভূতি মনে হয় এর থেকেও ভয়াবহ ।তবে গল্পে অনুভুতিগুলো চরম ছিল । নিজেকে কয়েদি বানিয়ে উপভোগ করলাম । খুবই নিথর এবং দুঃসহ অনুভুতি ।

ভাল লেগেছে অনেক । +++

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫০

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: জনসম্মুখে খোলা মাঠে ফাঁসিটা হলে আরো আরাম পেতাম গল্পটা পড়ে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমারও ওরকম লিখতে পারলে ভালো লাগতো।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫১

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

বরাবরের মতোই ভাল লাগল হামা ভাই।

আসামীর মনস্তাত্তিক দ্বন্ধ, বেঁচে থাকার আকুলতা অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

অপরাধ যত বড় বা ছোটই হোক তার শাস্তি হবেই। আমরা ভুলে যাই দিনের পরই রাত আসবে।

ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সবসময়।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

জেন রসি বলেছেন: অচিন পাখির ডাকে মানুষের মনে বিচিত্র আবেগের খেলা চলে।

অমানুষের মনেও চলে!

গল্প ভালো লেগেছে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ জেন রসি। শুভকামনা।

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: অনুভূতিগুলো বেশ তীব্র।
চতুর্থ প্লাস।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রাজপুত্র। শুভরাত্রি।

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৯

সুমন কর বলেছেন: অনুভূতির চমৎকার প্রকাশ। সমসাময়িক ঘটনাগুলো ফুঁটে উঠেছে। নতুন কিছু শব্দ জানলাম।

গল্পে ভালো লাগা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যের জন্যে।

৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

প্রেতরাজ বলেছেন: অসাধারণ একটা লিখা পরলাম।
খুব ভাল লাগা রইল

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৪:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রেতরাজ।

৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:১২

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: নিশ্চিত মৃত্যুর মুখোমুখি সময়ে মানুষ খড় কুটা আকরে ধরেও বাঁচার আশা করে। ফাঁসির দণ্ড প্রাপ্ত আসামীর শেষ সময়ের অনুভূতিগুলো চমৎকার ভাবে উঠে এসেছে গল্পে।

মৃদুল ভাইয়ের মন্তব্যে সহমত। এদের জন সম্মুখে ফাঁসি দেয়া উচিত।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৪:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।

৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার লিখেছেন হামা ভাই! এই গল্পের প্রচ্ছদ আর গল্পের বাক্যচয়নগুলো আসলেই দারুন লেগেছে। গল্প পড়ে আনন্দ পেলাম।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ কাভা। আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হোক।

১০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৫

সানজিদা হোসেন বলেছেন: সুন্দর লেখনী

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সানজিদা।

১১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: এরকম একজন কারো অনুভূতি শুনতে ইচ্ছে অনেক দিনের। আপনার গল্পে কিছুটা তৃপ্ত হলাম।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: যদি আমার একদম প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থাকতো তাহলে তোমাকে পুরাপুরিই সন্তুষ্ট করতে পারতাম।

১২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪

মামুন ইসলাম বলেছেন: আরেকটি চমৎকার গল্প হয়েছে সুপ্রিয় গল্পকার । পোস্টে ৮ম ভালো লাগা । ভাই একটু প্রেম রোমান্টিক টাইপের কিছু একটা লেখেন ভাল লাগবে ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন। আমার আগের লেখাটি কিন্তু প্রেমবিষয়কই ছিলো।

১৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: অসাধারণ একটা লেখা, এক বারে পড়লুম, দারুণ লাগল্ ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০১

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লাগলো গল্পটা।
চমৎকার গল্প !

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভরাত,

১৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৪৫

নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: অসাধারন গল্প। দারুন। গল্প শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো লেগেছে। তবে গল্পের শেষে ইলিশ এনে মনটা খারাপ করে দিলেন। ১৪ তারিখের বিস্মৃতি মনে পরে গেল :'( হাহাহাহাহা। শুভকামনা ভাই।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা নাহিদ। ভালো থাকুন।

১৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৪:০২

মাতাল্রংবাজ বলেছেন: চমৎকার গল্প । অসাধারন লাগলো ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।

১৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫

পার্থ তালুকদার বলেছেন: অসাধারণ । ঘোর লাগা অনুভূতি।
শুভকামনা জানবেন।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পার্থ তালুকদার। ভালো থাকুন

১৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

তাসজিদ বলেছেন: নানান ঝামেলার কারণে সামু তে আশা হয় না নিয়মিত। আর পূর্বেকার সামু স্বাদ পাই আপনার লেখার মাঝে।

কিছুটা হয়ত নস্টালজিয়াতেও ভুগি।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ নস্টালজিয়া। ভালো থাকুন।

১৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: অসাধারণ একটাগল্প।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩

ডি মুন বলেছেন: আপনার বাক্যনির্মান আমাকে ভীষণ মুগ্ধ করে। এই যেমন এই বাক্যটা ' তাদের অপরাধ বিষয়ক সৃজনশক্তি অসীম! ' এবং এরকম আরো অনেক।

চমৎকার গল্প হাসান ভাই
ভালো থাকুন।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মুন। অনেকদিন আপনার কোনো লেখা পাচ্ছি না.

২১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: যাক, অন্ততঃ ফাঁসি হয়েছে।

জঘন্য ধর্ষক-খুনি শেষ সময়ে এক টিকটিকির কাছে সমর্থন চায়, কিন্তু সে তখন রোমান্সে ব্যস্ত--এই ব্যাপারটার আইরনিক কমেডি মুগ্ধ করল।

শুভ রাত্রি।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ প্রফেসর। শুভ রাত্রি।

২২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,




বহু ধিকৃত বর্তমানের ঘটনাটি আপনাকে দিয়ে গল্পটা লিখিয়ে নিয়েছে মনে হলো । এটা একজন লেখকের দায়বদ্ধতা ।

.....মানবিকতার বোধে ঋদ্ধ হয় আমি জীবনের কাছেই ফিরে যেতে চাই।..... আপনার এই কথাটুকু যদি ধিকৃতদের ও মাঝে ফাঁসির দড়ির মতো তাড়া করে ফিরতো !!!!!!!!!!!!!

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মন্তব্য ভালো লাগলো আহমেদ। ভালো থাকবেন।

২৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮

আমি সামুর ভ্ক্তু বলেছেন: খুব উপভোগ করে পড়েছিলাম গল্পটা বিদু বেটায় ফুট করে চলে যাওয়া্য় তখন মন্তব্য করতে পারিনি তাই এখন আবার করলাম ।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভসকাল।

২৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

মোঃ তামিম হাসান বলেছেন: আপনার লেখায় প্রাণ আছে । পড়তে পড়তে বাস্তব থেকে কল্পনাতে প্রবেশ করা যায় । নতুন একটা অনুভূতি কাজ করে ,যেখান থেকে হয়তো আমি অনেক দূরে আছি ।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ তামিম।

২৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

টুম্পা মনি বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন। অনেক দিন পর আপনার গল্প পড়লাম। কেমন আছেন? আশা করি খুব ভালো গল্প কবিতাদের সাথে।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো আছি টুম্পা। অনেক ধন্যবাদ।

২৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

২৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মনস্তাত্তিক দ্বন্ধ,আহা এটা যদি আসে ভাবতাম।। আর এটাও মাঝারী মানের অপরাধীর দ্বন্ধ।।আমি এমন অনেককেই দেখেছি সন্ধ্যের দিকে জোড়াখুন করে রাতে স্ত্রীর সাথে ঘুমাতে।। দেখেছি জোড়া মানুষকে ৬ টুকরা করেও ফাংসনে গান গাইতে।।
লেখকে অন্তরে তো প্রবেশ করা সম্ভব না তবুও কেন যেন মনে হলো বর্তমান ঘটনাবলীর প্রেক্ষীতে যদি আপনার এই লেখা।। এরা তো মানুষের পর্যায়েই পড়ে না।। সুতরাং.......।।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপট থেকেই লেখার ইচ্ছা জেগেছিলো।

শুভসকাল।

২৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০৫

নক্ষত্রচারী বলেছেন: শক্ত একটা লেখা!
অনুভূতিগুলো বেশ তীব্র ছিলো ।
ভালো লাগলো বেশ ।

শুভকামনা ভাইয়া :)

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা রাফি।

২৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৮

ডি মুন বলেছেন: হ্যাঁ, অনেকদিন হলো কোনো পোস্টই দেয়া হয়নি। অনলাইনে খুব একটা আশা হয় না এখন। তাই একটা গ্যাপ পড়ে গেছে ব্লগিং এ।

তবে শীঘ্রই একটা কবিতা পোস্ট করার ইচ্ছে আছে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা ডি মুন।

৩০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

জিএম শুভ বলেছেন: আপনার লেখার হাত অসাধারান। যদিও সবসময় ব্লগে আসি না, তবুও মাঝে মাঝে আপনার লেখাগুলো পড়ি। অন্যরকম গল্প বলার ভঙ্গি আপনার। এই গল্পটাও দারুন।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস, কিপ ইন টাচ।

৩১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

হার্ড নাট বলেছেন: লেখাটা ভাল লেগেছে। +++

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৫২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খুব ভাল লাগল গল্পটা। একজন খুনির ভাবনা সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।
একটা প্রশ্ন হামা ভাই, অপরাধিকে নাস্তিক বানালেন কেন?

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আরণ্যক। অপরাধীকে নাস্তিক বানানোটা আসলে একজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মানুষের জীবনের লোভে খড়কূটো আঁকড়ে ধরে বাঁচার আকুলতা।

শুভরাত্রি।

৩৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১১

নিমা বলেছেন: ভভয়ংকর :|

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: হয়! কী খবর নিমা?

৩৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৪৪

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: হাসান ভাই , নূতন কিছু পেলাম না।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: হয়তো অভিজ্ঞতার অভাবে লেখাটি পূর্ণভাবে প্রস্ফুটিত হয়নি।

শুভরাত আবির।

৩৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আমি বিষয়বস্তুর বইচিত্রের দিকে ইঙ্গিত করছিলাম ভাই। মাস দুই তিন পরপর এসে আপনার গল্প পড়ি এবং সেই সাইকো থ্রিলারের, বা সাইকোলজিক্যাল এক্সপ্লানেশানের বাইরে গিয়ে কিছু খোঁজার চেষ্টা করি। না পেলে হতাশ হই।

শুভরাত্রি।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ওহ আচ্ছা। আসলে এটা আমার কমফোর্ট জোন। এরপর চেষ্টা থাকবে নতুনত্ব আনার।

ধন্যবাদ আবির।

৩৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

আকাশচুরি বলেছেন: টুপি খোলা অভিবাদন, হামা ভাই:)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তারিক ভাই। ইন্সপায়ার্ড হলাম।

৩৭| ০২ রা মে, ২০১৫ ভোর ৪:২০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অসাধারন লাগলো। শুভেচ্ছা।

০২ রা মে, ২০১৫ ভোর ৬:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তনিমা।

৩৮| ০২ রা মে, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪

ইখতামিন বলেছেন:
সাময়িক একটি অসাধারণ লেখা। আগের মতোই বাক্যনির্মাণ শৈলী গল্পে মুগ্ধতার ছোঁয়া ফেলেছে। +

আমার বড়োই হাসি পায় যখন দেখি অমানুষরাও জীবনের শেষ মুহূর্তে এসে কোনও মিরাকলের স্বপ্ন দেখে।


শুভসকাল

০২ রা মে, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইখতামিন। ভালো কাটুক দিন।

৩৯| ০২ রা মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে। অনেকদিন আগেই মোবাইল থেকে পড়েছিলাম কিন্তু কমেন্ট করা হয়ে ওঠেনি।

৬ নাম্বার এ এসে মনে হলো ছেলেটার মানসিক যে অবস্থা সে কাকুতি মিনতি করে তার আম্মারে যা যা বলতাছিল পাশাপাশি এই অবস্থাটাও দেখাইতে পারতেন একই সময়ে মুহূর্তে মুহূর্তে ছেলেটা রাগও হয়ে যাচ্ছিলো ক্যান তারা তারে দেখতে আসলো!

কিন্তু সব মিলিয়ে গল্পটা পড়ে ভালো লাগছে।

০২ রা মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অপর্ণা। ভালো থাকবেন।

৪০| ০৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

সাইফুল ফরিদপুর বলেছেন: খুব বেশি ভালো লাগেনি।

০৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

৪১| ০৫ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: + + + + + ।শুভ কামনা ।

০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার জন্যেও শুভকামনা।

৪২| ০৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

ইলুসন বলেছেন: সবচেয়ে মজা লাগছে শালায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নিজেকে নির্দোষ দাবি করছে, হয়ত ফাঁসির পরে তাকেও শহীদ বলে দাবি করা হতে পারে!

০৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! হ্যাঁ।

৪৩| ০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৪১

মহামতি আইভান বলেছেন: অনুভূতিগুলো বেশ তীব্র। অনেক উপভোগ করেছি লেখাটা। আর আপনার লেখার এই ভঙ্গিটা আমার খুবই ভালো লাগে।

ভালো থাকবেন ভাই :)

০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত।

৪৪| ১২ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

আলোরিকা বলেছেন: অনেকদিন ধরেই ( কয়েকটি ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর ) আমার মনে এই বিষয়টি নিয়ে অস্থিরতা শুরু হয় ..... মনেমনে আমি তাদের শেষ অনুভূতি গুলো উপলব্ধি করার চেষ্টা করি .. .... আর কি আশ্চর্য শাস্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত এদেরকে কোন মানুষই মনে হয়না , শুধু মৃত্যু যখন অনিবার্য তখনই মনে হয় এরাও মানুষ ছিল !( যদিও আমার মনে হয় ফাঁসির মত এত আরামের মৃত্যু এদের হওয়া উচিৎ নয় ! ) আর আশ্চর্য যে আপনার গল্পের চরিত্রটিও মৃত্যুর স্বাদ উপলব্ধি করতে গিয়েই তার মানব সত্ত্বাটি ........ 'তবে কি আমি পিশাচ থেকে মানবে উত্তীর্ণ হচ্ছি?' কিছুক্ষণের জন্য হলেও ফিরে পেয়েছিল !

ভাল লেগেছে ..... আরও ভাল লিখুন এ প্রত্যাশা :)

১২ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আলোরিকা। পাশেই থাকুন।

৪৫| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৫৯

জাফরিন বলেছেন: ফাঁসির আসামির শেষ দিনগুলিতে তার মানসিক অবস্থা জানার আমার খুব আগ্রহ ছিল। আপনার লেখাটা পড়ে কিছুটা ধারণা পেলাম। কিছু মনে করবেন না, লেখাটা কি গবেষণা করে লেখা? কোনো বই/ সাক্ষাৎকার পড়ে?

১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ জাফরিন। হ্যাঁ, কিছুটা পড়াশোনা করতে হয়েছে বটে। ব্লগে একজন পোস্ট দিয়েছিলো ফাঁসির আসামীর শেষ দিনগুলো কিভাবে কাটে তা নিয়ে। এই লেখাটি থেকে অনুপ্রানিত হয়েছিলাম।
শুভরাত।

৪৬| ০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ১:৪৭

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: হুম!

০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভুম!

৪৭| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সকাল ৭:৩৩

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: সামুর নতুন এই ইন্টারফেসটা একটু আজব লাগতেছে।

০৩ রা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক হয়ে যাবে।

৪৮| ২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

একলা চলো রে বলেছেন: কি চমৎকার বিশ্লেষণ! কি চমৎকার বর্ণনা। মনে হচ্ছিল শেষ না হোক।

২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ৩:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৪৯| ২৬ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯

এহসান সাবির বলেছেন: আমি মরতে চাই না আম্মা। আমারে বাঁচান...

আচ্ছা একজন ধর্ষক এবং খুনী ছেলের জন্য আম্মা কি ভাবছিলেন?
সেই ভাবনা টা কেমন?

ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

আপনার এই পোস্টে মন্তব্য করবার জন্য আমি ১৫ বার ট্রাই করেছি আগে, আপনার কোন পোস্টে আমাকে মন্তব্য করতে দেওয়া হয় না। আমি জানি না এটা পোস্ট হবে কিনা।

২৬ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: মায়ের কাছে সন্তান তো সন্তানই। খুনী বা ধর্ষক না। আমার মনে হয় খুব কম মা'ই সন্তানের অপরাধ বিবেচনা করে তার মৃত্যুদণ্ড চাইতে পারে।

শুভেচ্ছা এহসান।

৫০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৪

নবাব চৌধুরী বলেছেন: ভ্রাতা আমার অনুরোধ রইলো এবার আপনার গল্পের বিষয় বস্তু করেন ইউরোপের বর্তমান প্রেক্ষাপটকে,হাজার হাজার শরনার্থীদের বিজয় দেখতে চাই।
আর আপনার গল্পটা বিশেষ এক ভালো লেগেছে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শরনার্থীদের বিজয় আমিও দেখতে চাই।

৫১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: যতক্ষণ লেখাটা পড়ছিলাম ততক্ষণ একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। মনে হচ্ছিলো আমার সাথেই এমনটা ঘটছে। এই বিষয়ে জানার আগ্রহ অনেকদিন থেকেই ছিলো। যা আজ আপনি পূরণ করে দিলেন। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.