নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ছিমছাম, কোলাহল বিবর্জিত ছোট্ট শহরে খুব দ্রুত রাত নামে। গোধূলির ধূসর অন্ধকারে মিলিয়ে যায় মরা রোদ্দুরের বিষণ্ণতা। বিকেল বেলায় লেকের ধারে কিছু মানুষ আসে। আসে প্রেমিক প্রেমিকারা বিকেলের পড়ে আসা রোদে নিজেদের উষ্ণতা ভাগাভাগি করতে। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষেরা জগিং করে দম বাড়িয়ে নেন। কেউ কেউ আসেন পুরো পরিবার সহ। ছোট্ট ছেলেটা বাবার হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে হাওয়াই মিঠাই খাওয়ার আবদার করে। পরিবারের সকলে মিলে হাওয়াই মিঠাই খেয়ে বৈকালিক ভ্রমণের শেষ পর্যায়ে উপনীত হয়ে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নেয়। আমরা নিয়মিত এখানে আসি সপরিবারে। আমি চন্দ্র, আমার স্ত্রী বসুন্ধরা, এবং আমাদের একমাত্র সন্তান রকেট। এই শহরের অন্যান্য পরিবারদের মতো আমরাও একটি নিরাপদ একঘেয়ে জীবন কাটাতে অভ্যস্ত। আমি এবং আমার স্ত্রী, দুজনেই একটি চেইনশপে কাজ করি সপ্তাহে পাঁচদিন। যে দুইদিন ছুটি পাই আমরা সাধারণত ঘুমিয়েই কাটাই। রকেটের বয়স ছয় হবে এই মাসে। ওর সাথে খুনসুটি করি মাঝেমধ্যে। শহরের একমাত্র সিনেমাহলে বাইরের দেশের উচ্চ প্রাযুক্তিক সাই-ফাই বা এ্যাকশন জাতীয় ছবি চললে দেখি। মোটামুটি বলা যায় এই আমাদের জীবন। এর বাইরে কিছু ঘটে না, বা বলা যায় আমরা ঘটতে দেই না। এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব ভালো। শুধু যে প্রশাসনিক সুব্যবস্থায় এমন একটি প্রায় অপরাধবিহীন সচ্ছল শহর গড়ে উঠেছে তা নয়, এখানে সবার মধ্যে প্রোথিত আছে নৈতিকতা এবং ভালো-মন্দ নিরুপনের শিক্ষা। তাই এখানে রাতের বেলায় নির্জন রাস্তায় একটি মেয়ে নির্ভয়ে চলাচল করতে পারে। বহুদিন আগে এখানে টুকটাক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিলো, প্রশাসন সজাগ হয়ে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। এমনই কঠিন এই শহরের বিচার ব্যবস্থা। খুন বা ধর্ষণের ঘটনা তো ঘটার প্রশ্নই আসে না। এইখানে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নাশকতা হলো সিনেমার টিকেটের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃদু বচসায় লিপ্ত হওয়া।
শহরের এই ভীষণ নিরাপদ আর একঘেয়ে জীবনে আমরা প্রায়ই হাঁপিয়ে উঠি। তখন ইচ্ছে করে কারো কলার ধরে মাথাটা দেয়ালের সাথে ঠুকে দিয়ে হিংস্র গলায় শাসিয়ে দেই, "এই একঘেয়ে জীবন থেকে পালাও, নইলে সামনে সমূহ বিপদ। রক্ষা পাবে না কেউ।" জানি না এমন ক্ষ্যাপাটে চিন্তাভাবনা শুধু আমাদেরই আসে নাকি অন্য কারোও এমন মনে হয়। অপরাধহীনতায় ভুগতে ভুগতে শহরের গায়ে তেল-চর্বি জমে বড্ড মন্থর হয়ে গেছে। এখানে স্বাস্থ্যবান বৃদ্ধদের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমশ, বাড়ছে গড় আয়ু। এখানে সবারই আছে কাজ, সবাই ভালো মাইনে পায়, নেই বেকারত্বের অভিশাপ, নেই দুর্ঘটনা। এমন কী প্রেমে ব্যর্থ হবার ঘটনাও নাকি এখন আর ঘটছে না। আর তেমন কিছু ঘটলেও সেক্ষেত্রে সবাই নিজ নিজ নিয়তি মেনে নিয়ে ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে যার যার কাজে সে সে মগ্ন হয়ে পড়ে। এসব দেখি, আর আমাদের মনের ভেতর রাগ পুঞ্জিভূত হতে থাকে। একদিন আমরা এই বলয় ভেঙে বেরিয়ে আসবো ঠিকই। তবে অধৈর্য্য হলে চলবে না। খুব ধীরে ধীরে এই অশ্লীলরকম নিরাপদ আর পরিতৃপ্ত শহরকে একটা বিশাল ঝাঁকি আমরা দেবই ঠিকঠিক।
এক শনিবারে বৈকালিক ভ্রমণ শেষে বসুন্ধরা আমাকে প্রস্তাব দিলো সিনেমাহলে নতুন যে সুপারহিরো এ্যাকশন সিনেমাটি এসেছে সেটি আমরা দেখতে পারি। আমি সাগ্রহে মাথা নাড়লাম। হ্যাঁ, অবশ্যই দেখা যেতে পারে। এখন বাজে সাড়ে ছয়টা। ম্যাটিনি শো'র টিকিট পাওয়া যাবে না। অগত্যা আরো তিন ঘন্টা অপেক্ষা করা ছাড়া আর গতি নেই। এই সময়টায় কী করা যায়? ছোট্ট শহরে ঘুরে বেড়ানোর মত জায়গা খুব বেশি নেই। আর আমাদের টাকাও খুব বেশি নেই সাথে। মাসের শেষে একটু টানাটানি থাকেই। আর এই মাসে অনেক বেশি খরচ করা হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। রকেটের জন্যে নতুন জামা-কাপড় কিনতে হলো, নতুন স্কুলব্যাগ আর টিফিন বক্স কেনা হয়েছে।
-এই তিন ঘন্টা কীভাবে কাটানো যায় বলো তো?
বসুন্ধরা সুধোয় আমাকে।
-কিছুই করার নেই ইতস্তত ঘুরে বেড়ানো ছাড়া।
-টাকা পয়সা কেমন এনেছো সাথে?
-খুব বেশি না।
-হু, বেশি আনার মত অবস্থাও তো নেই। চলো বাসায় চলে যাই।
-আরে নাহ! বাসায় গিয়ে একবার সটান হয়ে শুলে আর আসতে ইচ্ছা করবে না। এর চেয়ে চলো ঘুরে বেড়াই।
আমরা হাঁটতে থাকি। কিছুক্ষণ হাঁটার পর আমাদের ক্ষুধা লেগে যায়।
-এই চলো না কিছু খেয়ে নেই।
দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা দাঁড়িয়েছিলাম শহরের সবচেয়ে অভিজাত এবং দামী রেস্তোরার সামনে। সেখান থেকে ভাজা মুরগীর লোভনীয় গন্ধ এসে আমাদের ক্ষিধেটা চাগিয়ে দিলো। কিন্তু ওখান থেকে কিছু খেলে সিনেমা দেখার টাকা থাকবে না। তাই আমি তার প্রস্তাব বাতিল করে দেই। ওদিকে রকেট অস্থির হয়ে গেছে।
-বাবা! ক্ষুধা লেগেছে তো! চলো না কিছু খাই এখান থেকে!
-না বাবা, তাহলে আর সিনেমা দেখা হবে না।
-সিনেমা কখন শুরু হবে?
-এই তো বাবা, আর কিছুক্ষণ পরে!
-বাবা! কোলে উঠবো। আর হাঁটতে পারছি না।
ছেলেটা বড় বিরক্ত করে। আমি চোখ রাঙিয়ে তাকালাম তার দিকে।
-এত বড় ছেলে কোলে ওঠে নাকি?
-আমি উঠবো! কোলে উঠবো! কোলে নাও!
-এ্যাই চুপ! একটা থাপ্পড় দিবো কিন্তু।
বসুন্ধরাও তার দিকে চোখ রাঙিয়ে বলে। কিন্তু আমাদের আদর বা শাসন কোনোটাকেই তোয়াক্কা না করে সে কাঁদতে থাকে। বোওওওরিং! এই একঘেয়ে শহরে ছিচকাঁদুনে ছেলের ক্রমাগত একঘেয়ে কান্নায় আমরা বিরক্ত হই। আমাদের ভেতর হঠাৎ করে শহরের প্রতি ঘনীভূত রাগটা ফুঁসে ওঠে। আর এই ফুঁসে ওঠার ফলাফলে আমি আর বসুন্ধরা দুজনেই ক্ষেপে গিয়ে রকেটের গালে চড় মারি চটাস চটাস করে। এটা করার পর আমাদের আশ্চর্যরকম হালকা লাগতে থাকে। যেন একগাদা লেক্সোটানিল খাইয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা মজা পেয়ে দুইজন মিলে ওকে বেদম প্রহার করতে থাকি। আহা কী সুখটাই না অনুভব করছি! এই শহর আমাদের নিয়ে অনেক খেলেছে। ধৈর্য্যের চুড়ান্ত পরীক্ষা নিয়েছে। আমরা কত সন্ধ্যেবেলা নিপাট ভদ্রলোকের মুখোশ পড়ে গাবদা-গোবদা সন্তানকে নিয়ে লেকের পাড় ধরে হেঁটেছি খামোখাই, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট উদযাপন করার আনন্দে পার্টি দিয়ে আমাদের চেয়েও ভদ্দরলোকদের সাথে সম্ভাষণ বিনিময়ের পর কথা খুঁজে না পায়ে জানলার বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার ভান করেছি, প্রতিদিন সকালে শহরের খবরের কাগজে একঘেয়ে উন্নয়নের বিবরণ পড়ে, প্রশাসন এবং অপরাধিদের পিণ্ডি চটকিয়েছি নতুন কিছু ঘটছে না বলে। আমরা এতদিন সুযোগ খুঁজছিলাম এই বেড়াজাল ভেঙে বেরিয়ে এসে কিছু একটা করতে, যেন সবাই অন্তত একবারের জন্য হলেও চক্ষু কপালে তুলে ঈশ্বরকে স্মরণ করে ঘটনার ভয়াবহতা উপলব্ধি করে ভুলবার বৃথা চেষ্টা করে। আজকে সে সুযোগ এসেছে। এই সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না। আমরা এমন কিছু করবো যা সবার কল্পনাকে ছাড়িয়ে যাবে, একঘেয়ে এই শহরে আতঙ্কতরঙ্গ সৃষ্টি করে কাঁপিয়ে দেবে সবাইকে!
আমি আর বসুন্ধরা রকেটকে মারতে মারতে ক্লান্ত হয়ে যাই। কিল, ঘুষি, চড়-থাপ্পড়, কোনকিছুই বাদ থাকে না। রকেট প্রথমে ভ্যা ভ্যা করে কাঁদছিলো। অল্পবিস্তর চড়-থাপ্পড় খেয়ে তার অভ্যাস আছে, তাই ভেবেছিলো এটাও তেমন কিছুই হবে। কিন্তু যখন তাকে ক্রমাগত এবং আরো বলপ্রয়োগ করে মারতে থাকলাম, সে আতঙ্কিত চোখে আমাদের দিকে তাকিয়ে মুহূর্তের জন্যে কান্না ভুলে গিয়েছিলো, সেখানে ছিলো নিখাঁদ অবিশ্বাস। অবস্থার ক্রমাবনতি দেখে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে, দৌড়ে আবার সে ভীষণ পাকা। আমরা দুইজন স্থুলকায়া মানুষ অল্প একটু দৌড়ে হাঁপিয়ে যাই। তবে আমাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিলো। কিছুক্ষণ পর সে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে গোঙ্গাতে থাকে। আমরা তখন ধীরে সুস্থে গিয়ে তাকে পাকড়াও করি।
-খুব বেড়ে গিয়েছিলে তুমি বেয়াদব! বাবা-মার শাসন তোমার পছন্দ হবে কেন হারামজাদা! তোর মত ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলা উচিত।
-মারো! আরো মারো ওকে!
বসুন্ধরা আমাকে উৎসাহ দেয়।
-বাবা! মা! আমি আর কাঁদবো না। আমার ভুল হয়ে গেছে। আমাকে মাফ করে দাও! আমি আর তোমাদের ডিস্টার্ব করবো না। প্লিজ আমাকে আর মেরো না। মেরো না!
আমি ওর মাথাটা ধরে জোরে জোরে রাস্তার সাথে ঠুকে দেই। একবার...দুইবার...তিনবার! প্রথমবার সে প্রবল আর্তচিৎকার করেছিলো, কিন্তু ধীরে ধীরে তার শক্তি ক্ষয়ে যেতে থাকে। সে মৃদু ঘরঘর শব্দে কী কী যেন বলতে থাকে। এবার এগিয়ে আসে আমার প্রিয়তমা স্ত্রী বসুন্ধরা। সে রকেটকে উল্টিয়ে চিৎ করে শুইয়ে দিয়ে গলায় পেন্সিল হিল দিয়ে আঘাত করতে থাকে।
-তুই মর! মর! মর হারামজাদা! তোকে আর কোনো দরকার নেই আমাদের।
একসময় রকেটের মৃদু ঘরঘর শব্দটা মিইয়ে যেতে থাকে। তার মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়। এবার আমি তার কাছে গিয়ে গলা টিপে ধরি। এমনিতেই সে অনেক দুর্বল হয়ে গিয়েছিলো। তাই এতে তার মৃত্যু তরান্বিত হয়। আমি আর বসুন্ধরা দুইজনে আনন্দিত হয়ে হাই ফাইভ করি! ইয়েয়েএএ! এতদিনে একটা কাজের মত কাজ করেছি। এই শহরকে জীবন দান করার জন্যে এমন কিছুরই প্রয়োজন ছিলো। এমন সব ত্যাগের কারণেই তো গড়ে ওঠে সভ্যতা। আমরা না হয় নিজেদের সন্তানকেই ত্যাগ করলাম বৃহত্তর স্বার্থে। একটা মহত্তর অনুভূতি আমাদেরকে আপ্লুত করে।
এতক্ষণ যে হ্যাঁপাটা গেলো! বেশ ক্লান্ত আমরা দুজনেই। ক্ষিধেও পেয়েছে বেশ। তবে এখন আর কোনো দামী হোটেলে গিয়ে ডিনার করার কোনো দরকার নেই। বিনামূল্যেই খাওয়া যাবে। রকেটের টাটকা লাশ। আমার কাছে একটা সুইস নাইফ ছিলো। সেটা দিয়ে ধীরে ধীরে তার মাথা কাটতে থাকি। যদিও হিউম্যান ব্রেইন যথেষ্ট কোলেস্টরেল যুক্ত খাবার, আমার আবার লিপিড প্রোফাইলটা খুব একটু ভালো না। তাই হাই কোলেস্টরেল এ্যাভয়েড করি। তবে বসুন্ধরার জোরাজুরিতে খেতেই হলো।
-এই খাও না সোনা! তুমি আজ সারাদিন কিছুই খাও নি। একটু খেয়ে দেখো, শরীরে বল পাবে।
আমরা যথেষ্ট বল অর্জন করার পর রকেটের লাশটা একটা পরিত্যক্ত ব্যাগের ভেতর ঢুকিয়ে ফেলি। বাসায় গিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে আরাম করে খাওয়া যাবে। সিনেমা শুরু হতে এখনও দুই ঘন্টা বাকি। এখন সাড়ে সাতটা বাজে। এই সময়টায় এই নিঝুম মফস্বলের একঘেয়ে মানুষেরা ড্রয়িংরুমে বসে টিভি দেখে। রাত দশটার মধ্যেই সবাই ঘুমিয়ে যায়, এবং কোনোরকম ঘুমের ঔষধ ছাড়াই তাদের বেশ ভালো ঘুম হয়।
আমাদের বর্তমান চিন্তা, প্রয়াত সন্তানের লাশ নিয়ে সিনেমা দেখতে যাওয়া ঠিক হবে কি না। ওখানে ঢোকার সময় চেক করে, সুতরাং ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। প্রায় চারফুট লম্বা একটা মৃতদেহকে কোনোভাবেই ভালোমত প্যাকেটস্থ করে সন্দেহের ঊর্ধে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। তাই অনিচ্ছা সত্তেও আমাদের বাসায় যাবার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেখানে লাশটা রেখেই আমরা নগর পরিভ্রমণে বেরুবো।
বাসা থেকে বের হয়ে আমাদের চক্ষু চড়কগাছ। এত মানুষ এলো কীভাবে এই রাত্তিরে! সবার মুখে আনন্দের আভা। কেউ হেড়ে গলায় গান গাইছে, কেউ নাচছে, কেউ শ্লোগান দিচ্ছে, একটা উৎসবমুখর পরিবেশ সবখানে। আমাকে দেখে তাদের উচ্ছাস বেড়ে গেলো। তারা আমাদের জড়িয়ে ধরলো, অভিনন্দন জানালো, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলো। আমরা কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না এর কারণ। তাদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় একজন আমাদের সাথে করমর্দন করে কারণটা খোলাসা করলেন,
-তোমরা আজকে যা করেছো তার জন্যে আমরা গর্বিত, উপকৃত, কৃতজ্ঞ। তোমরা নিশ্চয়ই ভেবেছো যে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী ছিলো না, ভুল! একজন ঠিকই তোমাদের কর্ম অবলোকন করে সবাইকে জানিয়েছে। আমরা সবাই তখন প্রতিদিনের একঘেয়ে ড্রামা সিরিজ দেখছিলাম। আমাদের মধ্যে অনেকেই আক্ষেপ করতো এই অতি নিরাপদ, অতি নৈতিক, অতি যৌক্তিক সমাজব্যবস্থা আখেরে কোন সুফল বয়ে আনবে না। ভয়াবহ কিছু একটা ঘটবেই, আমরা সেই ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতাম কবে আমাদের একঘেয়ে জীবনপ্রণালীতে তুমুল আঘাত হানতে এগিয়ে আসে ইবলিশের চর! না জানি কতো প্রাণহানি ঘটে! কিন্তু না! তেমন কিছুই ঘটে নি। তোমাদের সন্তান উৎসর্গ নিঃসন্দেহে সেই মহামানবের স্বপ্নপ্রাপ্ত আদেশ পালনের সমতূল্য। তোমরা মহান, তোমরা আধুনিক যুগের মহামানব-মানবী। এখন থেকে পরম নিরাপদ শহরের ধারণাটা বদলে যাবে। নৈতিকতা নামক ঠুনকো আবেগের প্রকাশটা বিলুপ্ত হবে। এখন থেকে খুন হবে, ধর্ষণ হবে। খুন হবে কলেজ শিক্ষক, রিকশাঅলা, দোকানদার, ব্যবসায়ী, কন্ট্রাকটর, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার... ধর্ষিতা হবে তোমার আমার মা-বোন-কন্যা, বুড়ি-ধুরি-ছুড়ি, তিন থেকে পাঁচ, পাঁচ থেকে পঞ্চান্ন, মোটা, সরু, সেক্সি, বেঁটে, লম্বা, কালো, ফর্সা.. সবাই। তথাকথিত পরম মাত্রার নৈতিকতার অসাড়তা প্রমাণ করেছো তোমরা, জানিয়েছো সবাইকেই। তোমরা নমস্য, তোমাদের অভিবাদন!
আমরা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখন একটা লম্বা মিছিল আমাদের দিকে এগিয়ে আসলো। তারা আমাদের নড করে সম্মান জানিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়লো বসুন্ধরার ওপর। তাকে টেনে হিঁচড়ে ছেঁচড়ে নিয়ে গেলো আমার কাছ থেকে। আমাকে পিছমোড়া করে হাত দুটো বেঁধে ফেললো। বসুন্ধরার জামা-কাপড় ছিড়তে লাগলো তারা। দানবীয় শক্তিতে মুহূর্তের মধ্যে তাকে নগ্ন করে ফেললো। তার যোনী এবং পায়ুপথে মিলিত হলো দুজন। আরেকজন ক্রমাগত চড় মারতে লাগলো তার গালে। তার স্তনে সেফটিপিন দিয়ে ফুড়ে দিচ্ছিলো একজন, আরেকজন এসে প্লায়ার্স দিয়ে স্তনবৃন্ত উপড়ে নিলো। রক্তে স্নাত বসুন্ধরার চিৎকারে তারা আরো আমোদিত হলো। ততক্ষণে একজনের যৌনকর্ম সম্পন্ন হলো, আরেকজন তার মধ্যে প্রবিষ্ট হবার আগে একটি বড়সড় ডিল্ডো দিয়ে তারা যোনী ক্ষতবিক্ষত করে ফেললো। আমাকে এসব দেখতে বাধ্য করছিলো তারা। আমার কানের ভেতর সুঁই ঢুকিয়ে দিলো একজন। আরেকজন অন্ডকোষে প্রচণ্ড লাথি মেরে বসলো। একটা বেসবল ব্যাট দিয়ে আমাকে পেটাতে থাকলো তারা সবখানে, নির্মমভাবে। ওদিকে তখন আরো একটা দল আসছে আমাদের নামে শ্লোগান দিতে দিতে। এই ছোট্ট শহরে এত মানুষ আছে আমি জানতাম না!
জ্ঞান ফিরলে আমরা নিজেদের আবিষ্কার করি সিনেমাহলের অভিজাত আসনে। আমাদের সর্বাঙ্গ রক্তাক্ত, ব্যথায় এক চুলও নড়ার সামর্থ্য নেই। স্ক্রিনে ভেসে উঠলো সেই নেতৃস্থানীয় লোকটির চেহারা, যিনি আমাদের সবকিছু খোলাসা করে বলেছিলেন। তার সেই বক্তব্য রেকর্ড করে এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে। আর সেই সাথে আমার আর বসুন্ধরার নিপীড়িত হবার দৃশ্য। সিনেমাহল জুড়ে হাজারো মানুষ আমাদের নির্যাতন করার দৃশ্য দেখে উল্লাসে ফেটে পড়ছে। আমি কোনক্রমে বসুন্ধরার দিকে হাত বাড়াই তাকে ছোব বলে। তার হিমশীতল হাত আমাকে জানিয়ে দেয় সে মৃত। বসুন্ধরা মৃত, চন্দ্র আলোহীন। কারা যে আমাদের এত বাহারি নাম দিয়েছিলো! আমরা কখনও পৃথিবীর ছিলাম না, চন্দ্রেরও না। পরম নিরাপত্তা আর নৈতিকতার তত্বে গঠিত একঘেয়ে মফস্বলের ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবার অবশ্যম্ভাবী পরিণতিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্যে আমরা কার খেলার গুটি ছিলাম?
... এবং তার পর থেকে বসুন্ধরা আর চন্দ্রের প্রয়ান দিবসে ফুলে ফেঁপে ওঠা মেট্রোসিটিটা তাদের একঘেয়ে, পাপমুক্ত, পরম নিরাপদ মফস্বলের অভিশাপ থেকে বেরিয়ে আসার বিসর্জনের দিনটি উদযাপন করে গর্ভপাত করা অথবা আস্তাকূড়, বা নর্দমা থেকে প্রাপ্ত শিশুদের মাংস ভক্ষণ করে।
০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৯
পাপতাড়ুয়া বলেছেন: আজকে অনলাইনে একটা ছবি দেখলাম, একটা মেয়ে স্টীলের পাইপ হাতে নিয়ে ফার্মগেট ওভারব্রীজ পার হচ্ছে। কয়েকদিন আগে এখানেই সে শীস শুনেছে।
আপনার গল্প পড়ে কেন জানি ছবিটার কথা মনে হল। অপ্রাসঙ্গিক বোধহয়।
০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু, আমারও তাই মনে হয়।
৩| ০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৫৯
ইলুসন বলেছেন: প্রথম দিকে কেউ বুঝতেই পারবে না এমন কিছু হতে যাচ্ছে। রকেটের উপর করা অত্যাচারের বর্ণনা পড়ে কেমন যেন গা ঘিন ঘিন করে উঠল!
০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখার সময় আমারও খারাপ লাগছিলো।
শুভরাত।
৪| ০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:০৬
প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ
০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৫| ০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
জেন রসি বলেছেন: চরিত্রগুলোর নৃশংসতা একটু বেশী কড়া ডোজের হয়ে গেছে।
আসলেই মুখোশের আড়ালে মানুষের মনে লুকিয়ে থাকে নিষ্ঠুর ভাবে বাঁচার ইচ্ছা।তাই চারপাশের নিষ্ঠুরতা দেখে আমরা কখনও নির্লিপ্ত হই কিংবা কখনও তা উপভোগ করি।
একটু কড়া হলেও গল্প ভালো লেগেছে।
০৬ ই মে, ২০১৫ ভোর ৫:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ জেন। শুভ সকাল।
৬| ০৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১:০৬
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: Civilization and Its Discontents -- Sigmund Freud
ভালো লাগলো
০৬ ই মে, ২০১৫ ভোর ৫:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ নাভিদ।
৭| ০৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:২৯
ঘনায়মান মেঘ বলেছেন: ভালো লাগল…
শুভ কামনা…
০৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।
৮| ০৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪০
রিকি বলেছেন: ++++++++++
০৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রিকি।
৯| ০৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
পাঠক যখন নিজেই শিরোনাম হয়ে উঠে উপড়ে ফেলে শেকড়টুকুও ৷ ভঙ্গুর সুখের মায়াবী অসুখ ৷ সভ্যতার আয়নাগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে খুব দ্রুত ৷ প্রাপ্ত জীবন এখন রিয়েলিটি শো ৷ পুঁজিবাদের চূড়ান্ত রূপ অপেক্ষমাণ ৷
মঙ্গল হোক ৷
০৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা রইলো।
১০| ০৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:০৬
বৃতি বলেছেন: খাঁটি প্যারানয়েড গল্প!
০৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ইয়েস!
১১| ০৬ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:০০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বহুমাত্রিক অর্থ বহন করে গল্পটা। +++
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা জানবেন।
০৬ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার জন্যেও শুভকামনা রইলো।
১২| ০৬ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯
কাবিল বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ
০৬ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
১৩| ০৬ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩
সুমন কর বলেছেন: বর্ণনায় বিভৎসতা চরমভাবে প্রকাশ পেয়েছে। লেখকের রাগ-ক্ষোপ-হিংসা-বিদ্বেস-ঘৃণা-অপারগতার বহি:প্রকাশ।
লেখা চমৎকার লেগেছে। +।
প্রশাসনিক সুব্যবস্থায় এমন একটি প্রায় অপরাধবিহীন সচ্ছল শহর গড়ে উঠেছে তা নয়, এখানে সবার মধ্যে প্রোথিত আছে নৈতিকতা এবং ভালো-মন্দ নিরুপনের শিক্ষা। তাই এখানে রাতের বেলায় নির্জন রাস্তায় একটি মেয়ে নির্ভয়ে চলাচল করতে পারে। বহুদিন আগে এখানে টুকটাক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিলো, প্রশাসন সজাগ হয়ে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। এমনই কঠিন এই শহরের বিচার ব্যবস্থা। খুন বা ধর্ষণের ঘটনা তো ঘটার প্রশ্নই আসে না।
আমাদের দেশে তা কবে হবে !!!
১০ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা কোথাও কখনও সম্ভব না। আর যদি কোথাও এমন কিছু হয়ও সেটা হবে জীবনের মূল সূত্রগুলোর লঙ্ঘন। সর্বোচ্চ নিরাপদ অবস্থার কল্পিত ইউটোপিয়ান জগৎ এর খুব কাছাকাছিই ওৎ পেতে বসে থাকে চরমতম নৈরাজ্য বা ডিসটোপিয়া।
শুভকামনা রইলো।
১৪| ০৬ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আপনের বেশিরভাগ গল্পগুলাই একটু অথবা চরমমাত্রায় সাইকো টাইপের হয় ক্যান? এই ধরনের গল্প লেখার পিছনের গল্প কি? অথবা ব্যক্তিগত পছন্দের কিছু ব্যাপার তো থাকেই। সেইটাও জানতে মন চায়। যদিও খুব বেশি গল্প পড়িনাই, কিন্তু যে কয়টা পড়ছি কোথাও না কোথাও চরিত্রগুলার দুনিয়া অদ্ভুতভভাবে নিষ্ঠুর অথবা নৃশংস। কিন্তু দুনিয়ায় ভালো ব্যাপারই তো বেশি। গল্প নাকি জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই উঠে আসে। জীবনের কোন পর্যায়ে কি খুব বাজে সময় পার করছেন? অথবা জীবনের কদর্যরুপের কিছু কি দেখছেন গল্পে যেমন পাই?
শুভকামনা রইলো।
০৬ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্যক্তিগত জীবনে আমি খুবই নিরীহ, হার্মলেস একটা মানুষ। জীবনে খারাপ সময়, ভালো সময় দুটোই এসেছে, কিন্তু খারাপ সময়ের ছাপ যেভাবে থেকে যায়, ভালো সময় সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। আমি সুখী জীবনকে ভয় পাই। কোনো সময় খুব বেশি সুখে থাকলে দেখা যায় তার পরেই খারাপ সময় এসেছে। সমস্যার মূল আসলে অনেক পেছনে। মাত্র তের বছর বয়সে ভয়াবহ ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হয়েছিলাম। মৃত্যু বিষয়ক চিন্তায় সবকিছু বিস্বাদ ঠেকতো। তারপরেও মানিয়ে নিয়েছিলাম ধীরে ধীরে। কিন্তু আবার বিশ বছর বয়সে একবার ভয়াবহ প্যানিক এ্যাটাক হয়। এরপর থেকে স্বাভাবিক জীবন অথবা চিন্তাভাবনা থেকে আমি দূরে সরে যেতে থাকি।
শুভবিকেল।
১৫| ০৬ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আমিওতাই ভাবছিলাম। কিছু একটা ব্যাপার আপনার নিজের মধ্যেও আছে। কোন গল্পই জীবনের একেবারে বাইরে নয়।
০৬ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু।
১৬| ০৬ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৩৭
দীপংকর চন্দ বলেছেন: জগৎ-মনোজগতে কতো ধরনের বাস্তবতা যে বসবাস করে!!
কখনো প্রকৃতঅর্থে কখনো রূপক অর্থে!!
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
০৬ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১৭| ০৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:২৮
টুম্পা মনি বলেছেন: আপনার লেখা সব সময়ই অসাম। আপনার লেখনীর শব্দের খেলা সব সময়ই উপভোগ্য।
০৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পা। শুভরাত্রি।
১৮| ০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ২:১৪
এম এম করিম বলেছেন: ভালো লাগলো।
শুভকামনা জানবেন।
+++
০৭ ই মে, ২০১৫ সকাল ৮:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভসকাল।
১৯| ০৭ ই মে, ২০১৫ সকাল ৮:১৮
ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ভালো লাগলো মাহবুব ভাই গল্পে ++++++
০৭ ই মে, ২০১৫ সকাল ৮:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২০| ০৭ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: লেখাটি যতক্ষণ পড়লাম, মনে হল একটা ঘোরের মধ্যে আছি।
ভাল লাগল শান্তি ভংের অশান্ত দারুন বর্ননা।
শুভকামনা।
০৭ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভদুপুর।
২১| ০৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বিদ্রোহ করার ব্যাপারটা মানবজাতির বৈশিষ্ট্যগত দোষ, কিংবা গুণ; নির্ভর করে পরিস্থিতির ওপর। যেকোন পরিস্থিতিতে, হোক তা খারাপ, ভাল, চরম কিংবা মাঝারি- একশ জনের মাঝখানে একজন ঠিক খেপে উঠবে।
মানুষ এবং অমানুষের মাঝখানের হিংস্র, অশ্লীল, ভয়কামুক লাইন নিয়ে স্যাটায়ার লাগল বেশ।
শুভ বিকেল হামা।
০৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ প্রফেসর। শুভবিকেল।
২২| ০৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৭
আমি মিন্টু বলেছেন: ভালো হয়েছে ১০০ ভেতরে ১০০ মার্ক ।
০৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
২৩| ০৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ৮:০৬
আমি বন্দি বলেছেন: সুন্দর
০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৪| ০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:২৮
নক্ষত্রচারী বলেছেন: ভালো লাগলো বেশ!
নামগুলোও অদ্ভুত! চন্দ্র আর বসুন্ধরার ছেলে রকেট
যাই হোক, শুভকামনা রইল ।
০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রাফি।
২৫| ০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
একঘেয়ে মফস্বলের চালচিত্রকে যে ভাবে বদলে দিয়ে পাপমুক্ত করেছেন তা বহু পুরোনো গপ্প ।
আমাদের বাস্তবের এই মেট্রোসিটিটা সহ গোটা দেশই অনেক আগেই তাদের একঘেয়ে, পাপমুক্ত, পরম নিরাপত্তার অভিশাপ থেকে বেরিয়ে নিত্য নতুন পাপমুক্তিতে হাত পাঁকিয়ে ফেলেছে । তাতে চন্দ্র আর বসুন্ধরাদের মফস্বলটিকে মনে হচ্ছে -"বাচ্চা -বাচ্চা" ।
এ গপ্পো তাই পানসে লাগছে !!!!!!!!!
( বেশ সুন্দর এ্কটি স্যাটায়ার বলবো এটাকে )
০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।
২৬| ০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৩৩
কলমের কালি শেষ বলেছেন: গল্পজুড়ে বিষাক্ত চাপ । অসাধারণ বর্ণনায় আরো বিষাক্ত হয়ে উঠেছে ।
০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।
২৭| ০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ২:৫০
একলা ফড়িং বলেছেন: বুঝতে দ্বিতীয়বার পড়তে হলো! কঠিন স্যাটায়ার!! আর একটু বেশিই নৃশংস।
নৃশংস ভালো লাগা!
০৯ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: নৃশংস প্রশংসায় ধন্যবাদ
২৮| ১০ ই মে, ২০১৫ রাত ২:৫৯
অপ্রতীয়মান বলেছেন: পরম প্রাপ্তিতেও তবে মুক্তি নেই আমাদের। সেখানেও কেউ না কেউ বিশৃঙ্খলার তৈরি করবে। তবুও আক্ষেপ থাকে সেই পরম প্রাপ্তির অবস্থানে পৌঁছোবার, যদিও জানি তা সম্ভব নয়।
তবে আপনার কল্পনাশক্তি প্রবল। অনেক ভেতরের কথা সহজেই বলে দিতে পারেন।
১০ ই মে, ২০১৫ ভোর ৪:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভভোর।
২৯| ১১ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩
পাজল্ড ডক বলেছেন: পড়ছিলাম আগেই, কমেন্ট পইড়া তারপর গল্পের মুল ব্যাপারটা ধরতে পারলাম,নৃশংসতা মানুষের স্বাভাবিক গ্রহনযোগ্যতার উপরে দিয়া গেছে
১১ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।
৩০| ১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৫২
নক্ষত্রচারী বলেছেন: ভালোই উপভোগ করলাম লেখাটা ।
শুভকামনা
১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা।
৩১| ১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:০৫
নক্ষত্রচারী বলেছেন: উপস! ঐদিন পইড়া যে মন্তব্য করসিলাম ভুইলা গেসি
কি যে হইল ইদানীং । ভুলে যাই সবকিছু
১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালোই হৈসে। ফাও কমেন্ট পাইলাম এই আকালে
৩২| ১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:০৮
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: অসাধারণ লেখেছেন ভাই, খুব ভাল লেগেছে।
১২ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।
৩৩| ১৩ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮
প্রামানিক বলেছেন: নতুন লেখা কই?
১৩ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: এত তাড়াতাড়ি? এই মাসে মনে হয় না আর লেখা দিতে পারবো।
৩৪| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৫১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আগে সাহসি তারপর লেখা
ভাবছি ব্লগ ছেড়ে দেব কিনা
বুঝতে পারছিনা জান ধড় পড় করে বন্ধু ।
১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু! ব্লগ ছেড়ে দিবেন কেন?
৩৫| ১৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:৪২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হেব্বি কড়া লাগল। ভালো লেগেছে। তবে মাঝে মাঝে বেশি বেশি লাগছিল। সব শেষে ভাললাগা
১৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যের জন্যে।
৩৬| ১৬ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
শুরুটা ঠিক ছিল।
কিছু মার খেয়ে রকেটর দৌড়ায়ে পলায়ন অবধি থিক ছিল; এরপর আপনি কি লিখেছেন, আপনি বুঝতে পারছেন না; গল্পটা একদিন আপনি নেই বদলাবেন; তখনো অনেক পাঠক হবে।
১৬ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
৩৭| ১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৫৯
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: অসাধারণ, হাসান ভাই! বেতিক্রমি টুইস্ট !
১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস সাজিদ। ভাবি নাই এটা তোমার ভালো লাগবে।
৩৮| ১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬
সুফিয়া বলেছেন: ভাল লেগেছে। তারচেয়েও বড় কথা ছবিটাতে অদ্ভূত ধরনের ভাল লাগা আছে।
১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সুফিয়া। আপনি সম্ভবত এই প্রথম আমার ব্লগে কমেন্ট করলেন। শুভকামনা রইলো।
৩৯| ১৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮
আরজু পনি বলেছেন:
বিভৎসতার বর্ণনায় শেষ পর্যন্ত গা গুলিয়ে উঠলো ।
বাচ্চাটাকে মারার সময় নিজের বাচ্চাদের জন্যে মায়া লাগছিল।
খুব ঘিনঘিনে একটা শহরে আছি...ভাবতেই কেমন লাগে ইদানিং
গল্পে ভালো লাগা রইল, হাসান ।
১৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পনি আপা।
৪০| ২৪ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:০১
রোদেলা বলেছেন: গল্পের অসাধারন গাঁথুনী -নতুন করে আপনাকে কিছু বলার নাই।ছোট গল্প আমার কাছে সব চেয়ে কঠিনতম উপাদান,যা আপনার কাছে তরল পদার্থ মাত্র।
২৪ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রোদেলা।
৪১| ২৪ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: পরম নিরাপত্তা আর নৈতিকতার তত্বে গঠিত একঘেয়ে মফস্বলের ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবার অবশ্যম্ভাবী পরিণতিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্যে আমরা কার খেলার গুটি ছিলাম?
গল্প ভালো লাগলো ফিনিশিং টাও ।
শুভকামনা হাসান ভাই
২৪ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মাহমুদ। শুভদুপুর।
৪২| ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:১৩
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: ভাল লাগল । কিন্তু মনে হচ্ছে কি বুঝলাম ? কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে আছি ।ভাল থাকুন সব সময় ।
২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন। শুভকামনা।
৪৩| ২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ১:৩২
তুষার কাব্য বলেছেন: একটা ঘোরের মধ্যে টেনে নিয়ে গেল গল্প টা !
শুভকামনা ভাই।
২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যের জন্যে।
৪৪| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:৩৮
হার্ড নাট বলেছেন: ভাল লেগেছে ভাই।
২৮ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠের জন্যে। ভালো থাকবেন।
৪৫| ৩১ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৩৬
টুম্পা মনি বলেছেন: কাল থেকে গল্পটাতে কমেন্ট দেয়ার ট্রাই করতেসি। কখনো নেট চলে যায়,কখনো কারেন্ট যেয়ে ল্যাপটপ বন্ধ হয়ে যায়। তাই সংক্ষেপেই বলি বরাবরের মতই চমৎকার।
৩১ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পা সবসময় সাথে থাকার জন্যে।
৪৬| ০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ১২:৩৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আগেই পড়েছিলাম কিন্তু একটু ম্যানয়্যাক টাইপের বলে মন্তব্য না করে নিঃশ্চুপে বিদায় নিয়েছিলাম।।
ব্যাক্তিগত ভাবে আমি বলবো এটা সবার ভিতরেই থাকে,কারোটা হয়,কারোটা না।।
অযথাই মানুষ যেখানে অহরহ খুন হয়েছে বা হচ্ছে,সেখানে এরকম একটা গল্প মনয়ে নিতেই পারে।।
০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যের জন্যে। শুভেচ্ছা।
৪৭| ০২ রা জুন, ২০১৫ রাত ১০:১১
মিশু মিলন বলেছেন: অসাধারণ লাগলো গল্প। এভাবে টার্ন করবে শুরুতে বুঝতেই পারিনি। আপনার উপস্থাপন, বাক্যগঠন পাঠককে সহজেই কাছে টেনে নেয়।
সমাজ থেকে বিলুপ্ত হোক সমস্ত হিংস্রতা।
ভাল থাকুন। শুভকামনা নিরন্তর........
০২ রা জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মিশু মিলন। শুভরাত্রি।
৪৮| ০৩ রা জুন, ২০১৫ রাত ১:০৩
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: ডার্ক।
চন্দ্র, বসুন্ধরা। আর তাদের সন্তান রকেট। নাইস ওয়ান!
০৩ রা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস ইমরান!
৪৯| ২৬ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
এহসান সাবির বলেছেন: হুররে..!
পরীক্ষামূলক মন্তব্য...
টেস্টিং ১,২,৩,৪....
২৬ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: কিসের পরীক্ষা?
৫০| ২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪৪
এহসান সাবির বলেছেন: মন্তব্য করতে পারা না-পারা'র পরীক্ষা......!!
আমি পাশ করেছি...... এ প্লাস...!!
মিস্টি..
২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: খামু।
৫১| ২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫৯
এহসান সাবির বলেছেন: আমিও তো খামু..... তয় খাওয়াবে কেডা?
৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ৩:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে আমি খাওয়াবো, আর আমাকে আপনি!
৫২| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: নৃশংসতার ভয়াবহ বর্ননা একটু কম থাকলেই ভালো হতো মনে হয়। গল্প ভালো হয়েছে।
০২ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ তনিমা। গল্পটা একটু শকিং করতে চেয়েছিলাম আর কী! যেন আপনারা ধাক্কা খান। যেন মনে থাকে। হেহে।
৫৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬
এহসান সাবির বলেছেন: বড় বেশি নৃশংস!!
গল্পের গাঁথুনী চমৎকার।
০৩ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান।
৫৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পটা আগেই পড়েছিলাম। কমেন্ট করা হয়নি।
আমাদের যান্ত্রিক জীবনে বৈচিত্র্যতা এক অর্থে কমও না। না হলে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে ক্যানো নতুন নতুন নৃশংস ঘটনা ঘটবে!
বসুন্ধরার নির্যাতনের তুলনায় ওর হাসব্যান্ডের নির্যাতনের বর্ণনা কম হয়ে গেছে। রকেটের কথা, কাতর অনুনয়, কান্না এসব পড়তে গিয়ে নিজের ছেলেটার কথা মনে পড়ে গেলো!
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভশীতসন্ধ্যা।
৫৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৬
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: ব্যক্তিগত জীবনে আমি খুবই নিরীহ, হার্মলেস একটা মানুষ। জীবনে খারাপ সময়, ভালো সময় দুটোই এসেছে, কিন্তু খারাপ সময়ের ছাপ যেভাবে থেকে যায়, ভালো সময় সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। আমি সুখী জীবনকে ভয় পাই। কোনো সময় খুব বেশি সুখে থাকলে দেখা যায় তার পরেই খারাপ সময় এসেছে। সমস্যার মূল আসলে অনেক পেছনে। মাত্র তের বছর বয়সে ভয়াবহ ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হয়েছিলাম। মৃত্যু বিষয়ক চিন্তায় সবকিছু বিস্বাদ ঠেকতো। তারপরেও মানিয়ে নিয়েছিলাম ধীরে ধীরে। কিন্তু আবার বিশ বছর বয়সে একবার ভয়াবহ প্যানিক এ্যাটাক হয়। এরপর থেকে স্বাভাবিক জীবন অথবা চিন্তাভাবনা থেকে আমি দূরে সরে যেতে থাকি।
লাইনগুলো আমার সাথে যে কতটা মিলে যায় এটা যদি আপনাকে বোঝাতে পারতাম !!! ইভেন ল্যাক্সোটেনিল ওসুধটাও আমার জীবনের কিছু দুর্বিসহ স্মৃতির সাক্ষী হয়ে আছে। থেমেছি তিনটে গিয়ে, ব্যাগে এখনো তিনটে ল্যাক্সোটেনিল পড়ে আছে। ডিপ্রেশানের দিন গুলো যেন না ভুলি, সেজন্য সযত্নে রেখে দিয়েছি।
ভালো থাকবেন।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: লেক্সোটানিল। ব্রোমাজিপাম গোত্রের সচেয়ে জনপ্রিয় ঔষধ। খেতাম একসময়। এখন দাম বেড়ে গেছে। যিওনিল খাই। শুনেছি ব্রোমাজিপাম উইথড্র করাটা নাকি ভীষণ কঠিন। আমি তাই আর চেষ্টা করি না ছেড়ে দেবার। আমার মানিব্যাগে সবসময় ব্রোমাজিপাম থাকবেই।
আপনারও কি প্যানিক এ্যাটাক হয়েছিলো? মৃত্যু বিষয়ক ডিপ্রেশনে জর্জরিত হয়েছিলেন? ডিটেইলস জানতে ইচ্ছে করছে। অন্য কারো মাঝে এমন মিল খুঁজে পাই নি। তাই জানতে ইচ্ছুক।
ফেসবুকে এ্যাড করে নিয়েন। https://www.facebook.com/Paranoidteen
শুভেচ্ছা।
৫৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: না হাসান ভাই, আমার সমস্যা অতটা কমপ্লেক্স না। বেশি বেশি টেনশন করাটা আমাদের বংশ গত সমস্যা। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে টেনশানের পাশাপাশি ডিপ্রেশন টাও কাজ করে, যে কোন বিষয়ে।
যে সমস্যা সমাধানে ব্রোমোজেপাম খেতে নেমেছিলাম সেটাকে বয়সের দোষও বলতে পারেন। রাজপুত্র না হয়ে রাজকন্যার দিকে হাত বাড়িয়ে ছিলাম আর কি । একদম silly ম্যাটার হয়ত শুনতে লাগছে, কিন্তু এসব ব্যাপারই গোল পাকিয়ে লাইফটাই চেঞ্জ করে দিছে।
আমার সাত বছর পুরোনো ফেসবুক একাউন্ট টা নিজ হাতে ডিলিট কর্লাম, সিমকার্ডটা খুলে রাখলাম .... আর সাথে ল্যাক্সোটেনিলের ডোজ।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওকে। শুভকামনা রইলো। জীবন হোক কেমিক্যাল মুক্ত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৫২
ঢাকাবাসী বলেছেন: একটু বড় তবে ভাল লেগেছে।