নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যুমিতা

০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩


তার সাথে আমার দেখা হয়েছিলো বছরখানেক আগে। আমি রাস্তা পার হচ্ছিলাম, হঠাৎ করে সিগন্যাল অমান্য করে একটা ট্রাক দ্রুতবেগে আমার দিকে চলে আসতে লাগলো। সামনে বা পেছনে কোথাও যাবার সুযোগ নেই এই গতিদানবের কাছ থেকে মুক্তি পেতে। এই তাহলে মৃত্যু! আমি নড়াচড়া করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছি। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি যন্ত্রদানবের দিকে। ঠিক সেই সময় ট্রাকটি প্রচণ্ডরকম ব্রেক করে থেমে যায় আমার থেকে এক চুল দূরে। চেতনা হারানোর পূর্বে আমি একটা বিষণ্ণ মুখকে দেখি। তার বয়স অনুমান করা দুঃসাধ্য। এই গরমেও একটা লাল মাফলার পরা। খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি। খাড়া নাক, আর তার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে দ্রষ্টব্য হলো জ্বলজ্বল করতে থাকা দুটো চোখ। সে আমার কাছে এসে ফিসফিস করে বললো, "এই বেলা খুব বেঁচে গেলে মেয়ে! তবে তোমার সাথে আমার দেখা হবেই একদিন না একদিন। তৈরি থেকো।"

সেই প্রথম আমার মৃত্যুর সাথে দেখা। এতদিন জেনে এসেছি মৃত্যু একটা বিমূর্ত ব্যাপার, কিন্তু আমার এ ধারণা ভুল ছিলো। আমি তাকে কায়ারূপে দেখেছি। মৃত্যুর সাথে আমার সখ্যতা নতুন নয়। অভিমানী এক বালিকা আমি, সামান্য কারণে গাল ফুলিয়ে কাঁদতে কাঁদতে চোখ ফুলিয়ে ডেটল/স্যাভনল খেয়ে মৃত্যুপ্রচেষ্টা করেছি এর আগেও। কিন্তু তখন মৃত্যু আমাকে তার নিজ চেহারায় দেখা দেয় নি। অবশেষে যেদিন দেখা হলো, আমার ভেতর একটা আশ্চর্য অনুভূতির জন্ম নিলো। আমি তার প্রেমে পড়ে গেলাম। তার মাঝে রয়েছে একটা নাছোড় ভাব, সে কাউকে পরোয়া করে না। তার আশ্চর্য শীতল দুই চোখে তাকালে হুহু করে ওঠে বুক। সৃষ্টির আদি লগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত মৃত আত্মারা তার মুঠোর ভেতর থেকে এক ভীতিকর সুরে বীণা বাজাতে থাকে। তার খাড়া নাকের ঔদ্ধত্য আর তীক্ষ্ণ কানের বিচক্ষণতায় নৃশংস সুরে অর্কেষ্ট্রা বাজে। আমি মোহগ্রস্ত হয়ে পড়ি। অদ্ভুত এ সুর। ভয়ংকর এ সুর। সবাই এই সুরের মর্মার্থ অনুধাবন করতে পারে না। কিন্তু আমি পারলাম। মৃত্যুর সাথে জীবনের বন্ধনে হাজার আত্মার ক্রন্দন লীন হয়ে থাকে। যদিও বেশিরভাগ মানুষই জীবনের শেষ মুহূর্তে বেঁচে থাকার আকূল অণ্বেষায় আরো একটু সময় বেঁচে থাকার জন্যেই আকূল প্রার্থনায় মগ্ন হয়। মৃত্যু তাদের কাছে এক বিমূর্ত আতঙ্কলিপি। আমি সেই সৌভাগ্যবানদের একজন, যে মৃত্যুর নিষ্ঠুর সৌন্দর্যকে অবলোকন করতে পেরেছি। এজন্যে আমি প্রতিদিন সেই ভয়ংকর গতিতে ছুটে আসা ট্রাকটিকে মনে মনে ধন্যবাদ জানাই।

সেই দিনের পর থেকে আমার কেবল উন্মনা আর উদাস উদাস লাগে। কবে আবার দেখা পাবো মৃত্যুর? কবে তাকে জড়িয়ে ধরবো? কবে তাকে চুম্বন করবো? কবে তার হিমশীতল হাতটা নিজের হাতে ধরে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা অনুভবে তিরতির করে কাঁপতে থাকবো? এভাবে তার কথা ভাবতে ভাবতে আমি এতটাই মরিয়া হয়ে গিয়েছিলাম যে আবারও আত্মহত্যার চেষ্টা করি আমি। ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা কেটে দিই। কিন্তু এরপর অনেক রক্ত ঝরলো, প্রাণবায়ু প্রায় বের হয়ে যাবার উপক্রম হলো, কিন্তু তার দেখা আর পেলাম না। পরবর্তীতে এটা নিয়ে আমি অনেক ভেবেছি। ভেবে ভেবে এই উত্তর পেয়েছি যে, নিজেকে ধ্বংস করে দেয়া বা আত্মহত্যার চেষ্টা করলে সে দেখা দেয় না। ইচ্ছে করলেই তাকে ডেকে আনা যায় না, এমন অহম তার। তবে কেউ যদি নিজের অনিচ্ছায় মারা যেতে থাকে, এবং সে যদি মৃত্যুকে ভালোবাসা দিয়ে বরণ করার জন্যে প্রস্তুত থাকে, তবে সে দেখা দিলেও দিতে পারে। এসব ভাবি আর হতাশায় নুয়ে পড়ি ক্রমশ। কবে তার দেখা পাবো? শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেই তাকে চিঠি লেখার। সে হবে আমার পত্রমিতা। মৃত্যুকে পত্রমিতা করার চিন্তা কে কবে করেছে! কিন্তু আমার এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না। একদিন এক ঘোর লাগা রাত্তিরে তাকে আমি প্রথম পত্রটি লিখি,

প্রিয় মৃত্যুমিতা,

কেমন আছো তুমি? আমাদের এই অশ্লীল, অসাড় এবং ফূর্তিবাজ জীবন থেকে মুক্তি পেতে খুব ইচ্ছে করে আমার। তোমার শীতল চোখের ভেতর আমি যে অমোঘ আহবান দেখেছি তা নাকচ করার সামর্থ্য আমার নেই। কিন্তু তোমার কাছে যাবার উপায়টাও ভীষণ বিটকেলে। কবে না কবে আমার অসুখ হবে, অথবা দুর্ঘটনায় পতিত হবো তা কে জানে! আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে দেখেছি, তাতে তোমার সায় নেই। কেন যে এত দূরত্ব তৈরি করে রাখো! তুমিহীনা আমার প্রতিটি পল কাটছে অপেক্ষার অসহনীয় যন্ত্রণায়। কবে দেখা দেবে আমায়? আমি জানি পৃথিবীতে তোমার খুব ব্যস্ত দিন যায় সবসময়ই। যুদ্ধ, দুর্ঘটনা, অসুখ, আত্মহত্যা, কতরকম ভাবেই না মানুষ মারা যাচ্ছে! বর্ধিত হচ্ছে তোমার রাজপ্রাসাদ। সেই প্রাসাদের রাণী হয়ে থাকতে চাই আমি। আমাকে অবহেলা করো না প্লিজ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেখা দাও। আমাদের এখানে সবাই তোমাকে ঘৃণা করে, ভয় পায়। প্রেমে ব্যর্থতা, কর্মহীনতা, অভাব, ক্ষুধার তাড়নায় অনেকে তোমাকে কামনা করে। সুখের অসুখে ভোগা ঐশ্বর্যমণ্ডিত জীবন উপভোগ করা মানুষেরাও নানারকম মানসিক জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে তোমাকে কাছে পেতে চায়। তুমি রোজদিনের নিয়ম করে অফিস করা কেরাণীদের মত তাদের কাছে গিয়ে তোমার কর্ম সম্পন্ন করো। কিন্তু তাদের কাউকে তুমি ভালোবাসো না বা তারা কেউ তোমাকে আমার মত আপন করে দেখে না। সেদিনের সেই সর্বনাশা গোধূলির আলোয় তোমার চোখে আমি আমার সর্বনাশ দেখেছি। এখন পার্থিব বা জীবন্ত সবকিছুই আমার কাছে বিরক্ত লাগে। আমাকে নিয়ে যাও এখান থেকে, তা না করলে অন্তত একবার হলেও দেখা দাও! এক পলকের দেখার সুখে আমি কাটিয়ে দিতে পারবো বাকি জীবনটা।

ইতি
মৃন্ময়ী

চিঠিতো লেখা হলো, এখন পোস্ট করা যায় কোথায়? অনেক ভেবে চিন্তে আমাদের বাসার পাশের একটা শিউলি গাছে রেখে আসলাম চিঠিটা সকালবেলা। এর পরের কয়েকদিন আমার কাটলো কিশোরীসুলভ চপলতায়। মেয়েরা প্রথমবার প্রেমে পড়লে যেমন আচরণ করে, ঠিক তেমনই ছিলো তা। অধৈর্য্য, অস্থির, চিন্তাক্লিষ্ট, হাওয়াই মনোভাব! যে কেউ আমাকে দেখলেই আচরণের পার্থক্যটা বুঝতে পারতো এবং জিজ্ঞেস করতো, "কী হয়েছে মৃন্ময়ী? এত খুশী কেন? প্রেমে পড়েছো নাকি?"। আমিও কিছুটা রাঙা হয়ে তাদের প্রশ্নগুলিকে চাতুর্যের সাথে পাশ কাটিয়ে চলে যেতাম। এরপর হঠাৎ একদিন.... মৃত্যুমিতার কাছে চিঠি পাঠানোর মাত্র তিন দিন পরেই আমি তার জবাব পেলাম। রাতের বেলা বিছানা গোছগাছ করে যখন শোবার প্রস্তুতি নিচ্ছি, তখন বালিসটা সরাতেই একটা খাম বেরিয়ে পড়লো। কালচে খয়েরি রঙের একটা খাম, তার ভেতরে একটা চিঠি। আমার আর তর সইছে না পড়ার...

প্রিয় মৃন্ময়ী,

তোমার চিঠি পড়লাম। সত্যি কথা বলতে কী, সেদিন তোমার সেই ভীত হরিণীর মত চাহনি আমাকে একটা সম্পূর্ণ অন্যরকম অনুভূতির জন্ম দিয়েছে। আমি খুব করে চাচ্ছিলাম ট্রাকটা তোমাকে চাপা দিক, যেন আমি তোমাকে আমার রাজ্যে নিয়ে আসতে পারি। নারীর কারণে কতরকম প্রলয় ঘটে গেলো পৃথিবীতে! এখনও ঘটছে। আমি কখনও ভাবি নি এইসব আমাকে বিন্দুমাত্র স্পর্শ করবে। আমি তো আর রক্তেমাংসে গড়া মানুষ না! যদিও তুমি সেদিন আমাকে একটা অবয়বে দেখেছো। আমার নির্দিষ্ট কোনো চেহারা নেই। তোমার দেখাটাই তোমার কাছে ঠিক। আমি কখন কার কাছে কিভাবে আবির্ভূত হই তার কোনো ঠিকঠিকানা নেই। হাজার লক্ষ কোটি বছর ধরে আমার এই পথ চলায় মানবিক বোধে আপ্লুত হইনি কোনোদিন। হওয়ার কথাও ছিলো না। কিন্তু বিধাতার খেয়ালী আচরণে সেটাও সম্ভব হলো! হ্যাঁ, মৃন্ময়ী, আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি। আমি মৃত্যু, আমার কোনো অনুভূতি থাকতে নেই। আমি বসনিয়া, ফিলিস্তিন, সুদানে গিয়ে শিশু, নারী, যুবা সবার প্রাণ সংহার করেছি, গ্রাম থেকে গ্রামে কলেরা মহামারি ছড়িয়ে পড়লে সেখানে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছি, ভূমধ্যসাগরে জাহাজডুবির পর ডুবন্ত মানুষের ছটফটানি বন্ধ করে দিয়েছি নিমিষেই। তারা এখন কোন কবরস্থানে কঙ্কাল হয়ে শুয়ে আছে কে জানে! কিন্তু সেদিন তোমাকে কাছে থেকে দেখে আমার ভেতর একটা অন্যরকম অনুরণন তৈরি হয়েছিলো। তুমি ছিলে একটু বেখেয়াল, তোমার দিকে ছুটে আসছিলো দানবট্রাক। আমি মনেপ্রাণে চাইছিলাম ট্রাকটা তোমাকে ধাক্কা দিক। তারপর তুমি মারা গেলে আমি তোমাকে নিয়ে যাব আমার প্রাসাদে। সেখানে হাড্ডি,চামড়া, মাংসের সংগ্রহ আছে, নেই কোনো সদ্যমৃতা তরুণীর অভিমানব্যাকুল মুখ। তোমাকে দিয়ে আমি সেই ইচ্ছে পূরণ করতে চাইছিলাম। জানি, প্রকৃতি এমন হতে দেবে না। কিন্তু আমিও নাছোড়বান্দা। আমার কাছে তোমাকে নিয়ে আসবোই। আমি জানি তুমিও সেটাই চাও। তবে দয়া করে আত্মহত্যা করো না। ঈশ্বরের কাছে এসব ফন্দিফিকির চলে না। সে ঠিক বুঝে ফেলবে আর তোমাকে আমার থেকে অনেক দূরে নিয়ে রাখবে। আমাদের মাঝে অসংখ্য প্রতিকূলতা, আবার দেখা হতে চাইলে আমাদের খুব সাবধান থাকতে হবে। ভালো থেকো।

ইতি,
তোমার মৃত্যুমিতা

চিঠি পেয়ে প্রথমে যতটা আনন্দিত হয়েছিলাম, শেষ করার পর ঠিক ততটাই বিষণ্ণতা গ্রাস করলো আমাকে। এত বাধা আমাদের মিলনে! তবে আমিও হাল ছাড়ছি না। পার্থিব প্রেমে আমার অরূচি ধরে গেছে অনেক আগেই। খুব কাছ থেকে দেখেছি প্রেমের আবরণে লোভ, কাম, অবিশ্বস্ততা। দেখেছি ভীড়ের মাঝে সুযোগসন্ধানী যুবক, পাড়ার মাস্তান ছেলেদের লোভী চোখ, কামুক টিউটর, পারভার্ট আঙ্কেল, প্রবঞ্চক প্রেমিক। জীবনকে আমার অনেকভাবে দেখা হয়ে গেছে। তাতে কলুষতা প্রকট। মৃত্যুর মাঝে যে আশ্বস্ততা আছে, তা আর কোথাও নেই। এখন সময় শুধু অপেক্ষার। কবে আমার অসুখ করবে, কবে একটা দুর্ঘটনা ঘটবে যা মৃত্যুকে নিশ্চিত করবে, অপেক্ষার প্রহর আর ফুরায় না। এই অপেক্ষার সময়টা চিঠি লিখে কাটিয়ে দেয়াই ভালো। আমি আবার তাকে চিঠি লিখতে বসলাম,

প্রিয় মৃত্যুমিতা,

আমার সারাক্ষণ কাটে তোমার ভাবনায়। আমার শুধু ইচ্ছে করে সেই দিনটায় ফিরে যেতে, যেদিন আমি অল্পের জন্যে ট্রাক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাই। বেঁচে থাকার মতো কুৎসিত ব্যাপার আর কিছু নেই। সেদিন আমাদের ডিপার্টমেন্টের একটা ছেলে ইনিয়ে বিনিয়ে নানা কথা বলে আমাকে প্রপোজ করলো। জবাবে আমি বললাম, স্যরি, আই এ্যাম এনগেজড টু সাম আদার ওয়ান। ডিপার্টমেন্টের সবাই জানতো আমি সিঙ্গল, তাই আমার এনগেজড হবার ঘটনা দ্রুত চাউর হতে লাগলো। সবার মধ্যে কী দুর্দম উৎসাহ আমার জুড়ি কে সেটা জানার জন্যে! তাদেরকে আমি কী বলি বলো তো? তোমার ব্যাপারটা বললে তারা আমাকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জ্বালিয়ে একদম যা-তা একটা অবস্থা করে ফেলবে। তাই আমি মৌনব্রত পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভালো করেছি না বলো? আজকাল খবরের কাগজে মৃত্যুসংবাদগুলি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ি। বিশেষত তরুণী মেয়েদের মৃত্যুগুলি। তুমি আবার অন্য কারো ভেতর মজে যাবে না তো? সেরকম হলে কিন্তু খুব খারাপ হবে বলে দিচ্ছি! এই দেখো না! আমার কথার ভেতরে কেমন একটা অধিকারবোধের সুর টের পাওয়া যাচ্ছে না? তা অধিকার একটু যদি তোমার ওপর না ফলাই তো কার সাথে ফলাবো বলোতো? জীবনটা কেন যে এত দীর্ঘ! পালানোর সকল পথ রূদ্ধ হয়ে আসছে। ক্রুদ্ধ যন্ত্রণায় কাটে আমার দিন। এর পরের বার তোমার সাথে দেখা হলে তোমার মাথার চুল এলোমেলো করে দেবো আমি। তোমার হাত ধরবো শক্ত করে। খাঁমচে ধরবো কাঁধ। তোমার সবল কাঁধে সওয়ার হয়ে আমরা উড়ে যাবো আমাদের স্বপ্নশহরে...

ভালো থেকো, চুমু নিও

মৃন্ময়ী

আজ কলেজ থেকে ফেরার পথে কিছু বখাটে ছেলে আমার পিছু নিয়েছিলো। তারা অশ্রাব্য সব খিস্তি করছিলো আমায় দেখে। আমি দ্রূতপায়ে হাঁটতে লাগলাম। কিন্তু তাদের সাথে পেরে ওঠা সম্ভব ছিলো না আমার পক্ষে। রাস্তাটি ছিলো বেশ নির্জন। তারা আমাকে রাস্তার শেষপ্রান্তে গিয়ে ঘিরে ধরলো। আমার শরীরে হাত দিলো...
-কী খবর মৃন্ময়ী, একা একা কই যাও? আমাদেরও সাথে নাও!
-আমরা তোমাকে অনেক সুখ দিবো, চলো না সেই পোড়োবাড়িটায়! আমাদের যন্ত্রগুলো কিন্তু সেইরকম লম্বা আর মোটা, চলো চলো!

লজ্জায়, অপমানে সেই মুহূর্তে আমার মনে হচ্ছিলো মরে যাই। আমি তখন কাতর হয়ে কার কথা মনে করছিলাম বলোতো? বাবা-মা নয়, ভাই-বোন নয়, উপকারী প্রতিবেশী কিংবা উপযাচক হয়ে এগিয়ে আসা একদল অপরিচিত মানুষ নয়, হ্যাঁ, আমি তোমার কথা ভাবছিলাম। শুধু তোমাকেই ভাবছিলাম। তুমি কেন আসছো না ঘাতক বাস-ট্রাক হয়ে চাপা দিতে, অথবা নির্মানাধীন ভবন থেকে ইট-সুড়কি হয়ে পড়ে আমার মৃত্যু নিশ্চিত করতে? ওরা আমাকে হেনস্থা করছিলো, ওরা আমাকে শ্লীলতাহানি করছিলো, আর আমি কায়মনে তোমাকে ভাবছিলাম। কেন আসছো না তুমি? আমাকে ওরা এইভাবে অসম্মানিত করছে আর তুমি চেয়ে চেয়ে দেখছো? প্লিজ আসো, প্লিজ! হঠাৎ দূর থেকে একটা পুলিশের গাড়ি এখানে চলে আসছে দেখে ওরা কেটে পড়লো। আমি বেঁচে গেলাম। কিন্তু এই বেঁচে থাকা তো আমি চাই নি। ওরা কেন আমাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেললো না? ওরা কেন আমার গলায় ছুরি ঢুকিয়ে দিয়ে একটা সুন্দর রক্তপ্রপাত তৈরি করলো না? কেন তোমার কাছে যেতে এত অপেক্ষা আর প্রতিবন্ধকতা? কেন!

তিনদিন হয়ে গেলো, চিঠির কোনো উত্তর দিলে না। ভালো লাগছে না কিছু।

পাঁচদিন হয়ে গেলো তোমার চিঠি নেই। আমি রীতিমত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছি।

সাতদিন হয়ে গেলো কোনো খবর নেই তোমার। আমার নাওয়া খাওয়া বন্ধ। অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। বাড়ির সবাই আমাকে বড়-বড় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের দেয়া কত্তরকম টেস্ট! সবকিছুই নাকি ঠিক আছে। এসব দেখে এই এত দুর্বল শরীরেও আমার হাসি পায়। কী বোকা ওরা সবাই! ওরা যদি জানতো আমার অসুস্থ হবার আসল কারণ, তাহলে যে কী করতো আমি তাই ভাবছি!

দুই সপ্তাহ হয়ে গেলো তোমার চিঠি নেই। আমার শরীর খুব খারাপের দিকে। আমার নাকে নল বসিয়ে ওরা খাইয়ে দিচ্ছে আমায়। সবরকম চিকিৎসাই বিফলে যাচ্ছে। এই কদিনে আমি জেনেছি, মন যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে, সে মারা যাবে, তখন কোনো ঔষধ-পথ্যেই কাজ হয় না। হঠাৎ করে আমি তোমার এই অবহেলার আসল কারণ বের করে ফেললাম! এটা তোমার এক সূক্ষ্ণ চাল! তুমি জানতে, যদি আমায় চিঠি না দাও, তবে আমার এই পরিণতি হবে, আমি ধীরে ধীরে এগিয়ে যাবো মৃত্যুর দিকে। তারপর তোমার আমার দেখা হবে, আর কোনো বাধা থাকবে না।

তিন সপ্তাহ কেটে গেলো। হাসপাতালের বেডে প্রায় মিশে গিয়ে শুয়ে আছি আমি। হঠাৎ বালিসের নিচে একটা ছোট্ট চিরকূট আবিষ্কার করলাম। "সে" লিখেছে।

মৃন্ময়ী,

ওরে বোকা, গাধী মেয়ে, তোর সাথে আমার সম্পর্ক শেষ। মৃত্যু আর সাপকে কখনও বিশ্বাস করবি না। তুই হাবলার মতো বিশ্বাস করেছিলি যে আমি তোর সেই উদ্ভট সম্পর্কের কল্পনায় মিশে রবো? অনেক হয়েছে, আর না। যেদিন ট্রাকের নীচে চাপা পড়ে তুই মরতে নিয়েছিলি, সেদিন আমার সুন্দর, আকর্ষণীয় চেহারা এবং ভাবভঙ্গি দেখে তুই আমার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলি। হাহাহা! আমি একটু ফ্লার্ট করেছিলাম আর কী তোর সাথে। একটা চিঠিও দিয়েছিলাম তোকে বিভ্রান্ত করতে, একটু পরীক্ষা করে দেখতে। তোর মতন ভাবনাবিলাসী কিম্ভূত মেয়ে, যারা কিছু হলেই আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে, তারা আমার কাছে অবর্ননীয় রকম হাস্যকর এক বস্তু। মৃত্যুকে নিয়ে রোমান্টিসিজমে ভোগা, না? সবকিছু থাকা স্বত্ত্বেও জীবনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যারা আয়েশী মৃত্যুবিলাসিতায় ভোগে, তাদের জন্যে বিন্দুমাত্র অনুকম্পা নেই আমার। তুই মরতে চেয়েছিলি, না? মৃত্যুকে দেখতে চেয়েছিলি, না? তবে তাই হোক! তাকা তোর বিছানার পাশে।

ইতি,
মৃত্যু।

অকল্পনীয় রকম নিষ্ঠুর এবং অবজ্ঞা করা লেখাটা পড়ে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ। বিছানার পাশে তাকিয়ে দেখি, একজন বুড়ো থুত্থুরে, শকুনচোখা, নোংরা একজন লোক আমার দিকে তাকিয়ে আছে ক্রুর হাসি হেসে। হঠাৎ করে আমার ভীষণ খারাপ লাগতে থাকে। নিঃশ্বাস নিতে পারছি না আমি, হৃৎপিণ্ডটা বাচ্চা খরগোশের মতো লাফাচ্ছে, আমি বুঝতে পারছি এটাই মৃত্যু। আমি বুঝতে পারছি আর বেশিক্ষণ আমার দম নেই। একটু নিঃশ্বাসের জন্যে আমি হাঁচড়-পাঁচড় করতে থাকি। আশেপাশে তাকিয়ে কোনো প্রিয়মুখের খোঁজ করতে থাকি, যে আমাকে রক্ষা করবে মরণের হাত থেকে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে। ভয়ংকর চেহারার বৃদ্ধের রূপে আসা মৃত্যু আমার দিকে তাকিয়ে হাহা করে হাসে। হাসতেই থাকে।

মন্তব্য ১১২ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (১১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩

ভারসাম্য বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের 'ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী' এর 'মরণ রে, তুঁহু মম শ্যামসমান ...' এর ছোঁয়া পাচ্ছিলাম প্রথম দিকটায়। একদম শেষে এসে বদলে গেল খানিকটা। কোন পুরুষ চরিত্রের ক্ষেত্রে এমন প্রেমের গল্প কেমন হতে পারে সেটা ভাবতে ইচ্ছে করছে।

+++

০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের লেখাগুলো পড়া হয় নি। পড়ে দেখতে হবে। শুভেচ্ছা রইলো।

২| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫০

রিকি বলেছেন: Suicidal ভালো লাগা রইল..২য় লাইক. :)

০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস রিকি।

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

মিনাক্ষী বলেছেন: আপনার লেখা-গুলো দিন দিন সহজবোধ্য হচ্ছে :D আমার মতো অজ্ঞ পাঠকের জন্য এই ভালো :) ভালো লাগলো, তবে একটা লাইনে খটকা লাগলো। "তাকা তোর বিছানার পাশে" শেষ চিঠিটার এই লাইনটায় বোধ হয় ভুল আছে।

০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মিনাক্ষী। লাইনটা ঠিকই আছে, বিছানার দিকে পাশে তাকাতে বলা হয়েছে তুই সম্বোধনে।

শুভেচ্ছা।

৪| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

ক্থার্ক্থা বলেছেন: দারুন ভালো লাগলো ।

০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৫| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিস্ময় !!

দারুন ঘোরলাগা এখনো কাটেনি!

মৃত্যু নিয়ে চমৎকার বিশ্লেষন!

যখন মৃত্যুকে দেখে ফেলে সবাই বাঁচতে চায়-----মৃত্যু এমনই ;)
হা হা হা

+++++++++++++++++++++

০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঘোরগ্রস্থতার জয় হোক। শুভকামনা।

৬| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

প্রামানিক বলেছেন: দারুণ ভাল লাগল। ধন্যবাদ

০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ প্রামাণিক ভাই।

৭| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ভাল লাগল

০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রায়ান। শুভকামনা রইলো।

৮| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ভালো লাগা রেখে গেলাম হাসান ভাই ।

০৩ রা জুন, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মাসুদ ভাই।

৯| ০৩ রা জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

কাজী রায়হান বলেছেন: আপনার লেখা অসাধারন

০৩ রা জুন, ২০১৫ রাত ৮:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। অনুপ্রানিত হলাম।

১০| ০৩ রা জুন, ২০১৫ রাত ৮:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আরেকবার আসতে হল- মৃত্যু বিষয়ক এক অদ্ভুত অনুভব শেয়ারের লোভে :)

মনে পড়ে গেল লেখা পড়ে...

গ্রাজুয়েশন শেষে রেজাল্টের অপেক্ষায়- কুষ্টিয়া মেজ দা ওখানে বেড়াতে গেছিলুম! ওখানেই ঘটে অদ্বুত ঘটনাটা! ঘুম, তন্দ্রার মাঝে অথচ পুরো ষ্পষ্ট দেখছি অনুভব করছি দুটো হাতে দিয়ে মৃত্যু যেন আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে! মাথাটা ধরে টানছে। খাট থেকে যেন মাথার আর্ধেক বেরিয়ে গেছে!!! আবার সব নিজেই দেখতে পাচ।ছি! হাতটা অনুভব করছি ভয়াবহ রকম শিতল! সেই শিতল স্রোত সারা শরীরে বইছে!!! এরপর হঠাৎই যেন আল্লাহর জিকর স্মরনে এল - আর জেগে উঠলাম!

এরপর- বিলিভ ইট অর নট! নিজের শরীরে হাত দিয়ে চমকে উঠেছিলাম। এত্ততততত ঠান্ডা! লেপ কম্বলের ভেতর গিয়েও উষ্ণতা পাচ্ছিলাম না! পরদিন ভর দুপুরে কড়া রোদে পিঠ মেলে বসে আছি- রোদকে মনে হচ্ছে কেমন চাঁদের মতো উত্তাপহীন!
নীচে এসে ডিপ ফ্রিজে হাত ঢুকিয়ে অনুভব করি গরম!!!!!!!!!!!!!! ঐ ঠান্ডার কাছে এটা যেন আরাম দায়ক গরম!!!!!

কি ভয়ানক বলুন! ৩/৪ দিন পর দেহে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ফিরেছিল!

আরেকটা গল্প হয়ে যাবে নাকি!!!! :)

০৩ রা জুন, ২০১৫ রাত ৮:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আবার ফিরে এসে মন্তব্য করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। আপনার অভিজ্ঞতাটি সত্যিই অসাধারণ। আমারও মৃত্যু নিয়ে অন্যরকম অভিজ্ঞতা আছে, তাই লেখায় বারেবার মৃত্যু ফিরে আসে। আপনার অভিজ্ঞতাটি নিয়ে গল্প হবে না, তবে গল্পাংশ হতে পারে।

শুভকামনা।

১১| ০৩ রা জুন, ২০১৫ রাত ৮:৩০

একলা চলো রে বলেছেন: মোহগ্রস্ততার গল্প। মুগ্ধততা নিয়ে পড়লাম।

০৩ রা জুন, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মুগ্ধতা অর্জন করতে পেরে আনন্দিত হলাম। ভালো থাকবেন।

১২| ১০ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

কাবিল বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো ।

১০ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ কাবিল। শুভবিকেল।

১৩| ১০ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার লাগলো, সহজবোধ্য লেখনী (আমার মত অধম পাঠকদের জন্য), ব্যতিক্রমী প্লট আর শেষের অসাধারণ ফিনিশিং এর জন্য। অনেক অনেক ভালো লাগলো। +++ সাথে অষ্টম ভালো লাগা।

অনেক অনেক ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার।

১০ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

১৪| ১০ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মৃত্যু চরম ভীতিকর আবার তাই পরম কামনার।। (প্রেমিক/প্রেমিকাে বেলায় আর হতাশায় নিমগ্নদের)।।
ভেবে দেখুন মানুষ বিশেষ করে চাকুরীজীবিদের বেলায়তো আরো বেশী কাম্য।। বেতনটা পাওয়ার সাথে সাথেই মনে হয় মাসটা কবে ফুরাবে!! আসলেই কি আমরা আমাের মৃত্যুর শেষ দিনটি এগিয়ে আনতে চাচ্ছি না,প্রকারান্তরে??

১১ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: একটা দিন খরচ মানর মৃত্যুর দিকে আরো এক কদম এগিয়ে যাওয়া। এ এক অপার রহস্যময় জগৎ। ভয়ও পাই, আবার কৌতুহলেরও সীমা নাই। একটু যদি মারা গিয়ে আবার ফিরে আসা যেতো!

১৫| ১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:০৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মন্ত্রমুগ্ধ| শেষের টুইস্টটা ভাল লেগেছে| জানিনা ওটা টুইস্ট কিনা| তবে এটা ঠিক আপনার লেখার ধরন আর আগের মত নেই| আগেরটাই বেশি ভাল লাগত| যেমন ক্রিপ,ব্লেডটা দাও নিহিলা ইত্যাদি| ওগুলোর স্টাইলটা দারুন আর আপনার গল্পের সাথে বেশি যায়| তবে এটাও ঠিক গল্পকার সারাজীবন একভাবে লিখবেন না নিশ্চয়ই

১১ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আগের ঐ লেখাগুলো এখনও আপনার মনে আছে জেনে আনন্দ পেলাম। লিখবো, আমার নিজেরও পছন্দ ঐ স্টাইলটা। তবে সাম্প্রতিক কালে আমার লেখায় ঐসব বস্তুর পুনরাবৃত্তির অভিযোগ তোলায় স্টাইলটা একটু চেঞ্জ করলাম।

শুভকামনা।

১৬| ১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ৩:৩৮

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: মোহগ্রস্ত মৃত্যুবিলাস।

গল্পে ৯ নং ভালো লাগা।

১১ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে ব্লগে দেখে ভালো লাগলো।

১৭| ১১ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:১৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার লেখা। মৃত্যুকে নিয়ে লেখা কঠিন ব্যাপার আমার কাছে। মৃত্যু বড় ভয়ংকর জিনিস, ওটা নিয়ে কাব্য করা আমার কাছে আরো কঠিন। মৃত্যু মানুষের মর্যাদা কেড়ে নেয়।

১১ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা ঢাকাবাসী।

১৮| ১১ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৫১

সুফিয়া বলেছেন: খুব ভাল লেগেছে।

১১ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সুফিয়া।

১৯| ১১ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

আমি মিন্টু বলেছেন: দশ নং ভালো লাগা ।
কিন্ত এটা কি জিনিছ ভাই আমাদের যন্ত্রগুলো কিন্তু সেইরকম লম্বা আর মোটা, চলো চলো! ?

১১ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: বুঝলাম না।

২০| ১১ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০

সুমন কর বলেছেন: চিঠিগুলোর কথা ভালো লেগেছে। বাস্তবতা মেশানো।

শেষটা চমৎকার।
+।

কেমন আছেন?

১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর। ব্লগ সহচর। আমি ভালো আছি। আশা করি আপনিও।

২১| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১:৪৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কি বলবো বুঝতে পারছিনা হামা ভাই!! কেমন আছেন?

১২ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো আছি অভি। শুভেচ্ছা।

২২| ১২ ই জুন, ২০১৫ ভোর ৬:১৬

নস্টালজিক বলেছেন: দূর্দান্ত থীম, হাসান।

ভালো থেকো নিরন্তর।

১২ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: থেংকু নিগা!

২৩| ১২ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: কাফকার প্রেমের চিঠির মতো ভালো লেগেছে ....

১২ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: বলেন কী!

২৪| ১২ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

জেন রসি বলেছেন: মৃত্যুর সাথে বন্ধুত্ব কিংবা মৃত্যু নামক শত্রুকে আলিঙ্গন।

গল্প ভালো লেগেছে।

১২ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৫| ১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:০০

পার্থ তালুকদার বলেছেন: খুব ভাল লাগলো। একটু অন্যরকম অনুভূতি পেলাম।
শুভকামনা ভাই।

১৩ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৮:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৬| ১৩ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৫০

কলমের কালি শেষ বলেছেন: মৃত্যুর সাথে প্রেম হাহ !!

গল্পে চমৎকার লেগেছে ।

১৩ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৭| ১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,


মৃন্ময়ীর প্রথম চিঠিতে মৃত্যুকে মিতা হিসেবে চেয়ে মানুষের সহজাত কতোগুলো বিমর্ষ কামনা যেমন - প্রেমে ব্যর্থতা, কর্মহীনতা, অভাব, ক্ষুধার তাড়না ইত্যাকার কারনগুলো ঠিকঠিক লেখায়িত (চিত্রায়িত) করেছেন । এসব কারনে বাস্তবে মানুষ মৃত্যুকে মিতা হিসেবে কামনা করে ঠিকই কিন্তু আরও কঠিন বাস্তব হলো - মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভূবনে ।

১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত্রি।

২৮| ১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:২২

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: শেষটা ভাল্লাগছে। শুভকামনা রইলো। :)

১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ৩:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভকামনা।

২৯| ১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩০

কালের সময় বলেছেন: বাহ মৃত্যুকে স্বরণ করে অসাধারণ গল্প । ভালো লাগলো হামা ভাই ।

১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ৩:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভভোর।

৩০| ১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:১৪

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অদ্ভুত ভালো লিখেছেন!!

মুগ্ধতা!!

এবং শ্রদ্ধা প্রিয় কথাসাহিত্যিক।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক ভালো।

১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার জন্যেও অজস্র শুভকামনা/

৩১| ১৭ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

সাদরিল বলেছেন: আপনার ডেথ সিরিজের আরেকটি মাস্টারপিস। আপনার গল্পগুলো এতদিন পড়েছি রাতের বেলায় নিজের রুমে লাইট নিভিয়ে। তখন অন্যরকম একটি আবহ তৈরী হতো। আজকেরটা পড়লাম অফিসের কাজের ব্যাস্ততায়। নতুন ধরণের পাঠ পরিস্থিতি কি প্রভাব ফেললো সেটি বোঝার চেষ্ট করছি।

১৭ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ডেথ সিরিজটা আমারও খুব প্রিয়। তবে অনেকেই পছন্দা করে না। বলে যে পুনরাবৃত্তির দায়ে দোষী আমি। তাদের কথা আমি গুরুত্বের সাথে নিয়েছি আমি। শুভেচ্ছা সাদরিল।

৩২| ১৭ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

আমি বন্দি বলেছেন: মিত্যু নিয়ে অসাধারণ লেখা । ভালো লাগলো ।

১৭ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৩৩| ১৭ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: দারুন এক লেখা। মুগ্ধতায় মন ভরে উঠলো।

১৭ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ময়ুরাক্ষী।

৩৪| ২০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: বাব্বা! কি ভয়ঙ্কর ভাইয়া! পড়তে পড়তে কেমন যেন সবকিছু গুলিয়ে যাচ্ছিল! মৃত্যু নিয়ে চমৎকার বিশ্লেষন! যখন-ই ডাক আসে তখন-ই বুঝি বেঁচে থাকার আকুলতা বাড়ে!

২০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ঈপ্সিতা। শুভেচ্ছা রইলো।

৩৫| ২২ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮

লালপরী বলেছেন: অসাধারন লাগলো হাসান মাহবুব ভাই

২২ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লালপরী। স্বাগতম আমার ব্লগে।

৩৬| ২৪ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: বাহ, সুন্দর তো!

২৪ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ার জন্যে ধন্যবাদ আবির।

৩৭| ২৫ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৪:১২

মশিকুর বলেছেন:
ভাই আপনার বলিউডের মুভি "Karthik Calling Karthik" দেখা আছে? দেখা না থাকলে দেখে নিতে পারেন। আমি অবশ্য দেখিনি, কাহিনী মোটামুটি শুনেছি। অনেক দিন যাবৎ দেখার অপেক্ষায় আছি। আপনার গল্প পড়ে কিছুটা সে রকম ফ্লেভার পেলাম। প্রথম কমেন্ট পড়ে 'ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী' পড়ার ইচ্ছাও জাগল। দেখা যাক...

তবে একটা কথা বলতেই হবে যে, আপনার বাংলা শব্দ কালেকশন প্রচুর। গল্পে অনেক সমার্থক শব্দ ব্যবহার করেছেন যা বাক্য গুলোকে আরও স্পেসিফিক করেছে। জানি না এটা পরিকল্পিত, নাকি না? আপনার শব্দ ভাণ্ডার আরও অনেক অনেক সমৃদ্ধ হোক... :)

গল্পের স্টাইলের জন্য +

নতুন ভোরের শুভেচ্ছা।।

২৫ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: বলিউডের সিনেমাটা দেখা হয় নি। অনেকদিন পরে আপনাকে দেখে ভালো লাগলো মশিকুর।

শুভকামনা রইলো।

৩৮| ২৫ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২১

রোদেলা বলেছেন: আবারো মুগ্ধ হলাম,আপনার পোস্টে এলে যেটা আমাকে বার বার পরাজিত করে ,তার নাম অবাক মুগ্ধতা।আপনি এমন করে কিভাবে নারী চরিত্রটিকে বিশ্লেষন করলেন।তার অপমান,মৃত্যু কামনা-এমন উপলব্ধি করতে পারেন কেবল বড় বড় লেখকরাই।আমি ম্যাক্সিম গোর্কির মা পড়ার সময় ভেবেছিলাম একজন পুরুষ লেখক কিভাবে নারীর ভেতর অবস্থান করতে পারে...আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হৈমন্তী পড়ে নির্বাক হয়ে ছিলাম।
আজ আবার পুনরায় সেই একি উপলব্ধি আমার ---কিভাবে?
আপনাকে ইফতারীর দাওয়াত দিয়ে খাওয়ালেও আমার মুগ্ধতা কমবে না,তা বেশ বুঝতে পারছি।
(তার মানে কিন্তু দাওয়াত দেব না তা বলি নাই,দেখা হবে- https://www.facebook.com/ratri.nijhum

২৫ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: এত বড় বড় লেখকদের সাথে আমাকে তুলনা করাতে লজ্জিত, এবং অনেকটা বিস্মিত হলাম। আপনার মত একজন বিদগ্ধ পাঠকের মুগ্ধতা পাওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। ফেসবুকে রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছি। কথা হবে।

৩৯| ২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩২

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেকদিনপর ব্লগে এলাম আপনার লেখা পড়তে এলাম।
সাবলীল লেখা। বরাবরের মতন। তবে আপনার লেখায় ঘুরে ফিরে ভয়ংকর নির্যাতন চিত্র, মৃত্যু, নৃসংশতা থাকবেই।
কেন বলুনত?

২৬ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: মানুষের মনের কালো গহীন বনে পদচারণা করতে আমার খুব ভালো লাগে রোকসানা। সেজন্যেই।

শুভেচ্ছা।

৪০| ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ৩:৫৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভিন্ন আঙ্গিকে আপনার অন্যতম সেরা লেখা । বহুমাত্রিক পাঠের দাবী রাখে।
চমকে দেয়ার ক্লাজটা আপনি অনেক ভালো পারেন ।
শুভেচ্ছা রইল।

২৬ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ। অনুপ্রানিত হলাম।

৪১| ২৭ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

জেআইসিত্রস বলেছেন: মৃত্যু প্রতিনিয়তই ডাকছে, আলিঙ্গনে।
পথের বাকে, আড্ডায়, গল্পের আসর, মৃতু্য হয়ে ছায়া সঙ্গী।
ধন্যবাদ।

২৭ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যের জন্যে।

৪২| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:১৬

ডি মুন বলেছেন: মাহমুদ ভাই বলেছেন - চমকে দেয়ার কাজটা আপনি অনেক ভালো পারেন ।

আমিও উনার সাথে পুরোপুরি একমত।

আপনার গল্পে চমক থাকে, তবে এমন নয় যে পরবর্তী পাঠে তা ক্লিশে মনে হবে। আপনার শব্দচয়ন, বাক্যতৈরি, টোন, পরিমিতিবোধ, পাঠককে ধরে রাখার ক্ষমতা সত্যিই প্রশংসনীয়।

চমৎকার গল্প।
++++

শুভকামনা রইলো হাসান ভাই।

২৮ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুন। শুভকামনা রইলো।

৪৩| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:৫০

নাসরীন খান বলেছেন: শুভ কামনা অনেক।

২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৪৪| ২৯ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লিখার বিষয়বস্তু অভিনব ! চমৎকার ! লিখায় অনেক গুলা প্লাস +++++++++++++++

২৯ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৪৫| ৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২

আলোরিকা বলেছেন: মরণ রে, তুঁহুঁ মম শ্যামসমান।
মেঘবরণ তুঝ, মেঘজটাজূট,
রক্তকমলকর, রক্ত‐অধরপুট,
তাপবিমোচন করুণ কোর তব
মৃত্যু‐অমৃত করে দান॥
আকুল রাধা‐রিঝ অতি জরজর,
ঝরই নয়নদউ অনুখন ঝরঝর—
তুঁহুঁ মম মাধব, তুঁহুঁ মম দোসর,
তুঁহুঁ মম তাপ ঘুচাও।
মরণ, তু আও রে আও। ....... আমারও এই কবিতার কথাই মনে এল ...... প্রেমে পড়ে রাধা মৃত্যুর কালরুপের মাঝেও খুঁজে পেয়েছে শ্যামের রুপ !! হায় প্রেম !!! গল্পে ভাল লাগা :)

৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ আলোরিকা।

৪৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

বিষের বাঁশী বলেছেন: ভাল লাগলো লেখাটা।

০১ লা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।

৪৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৫

ইনকগনিটো বলেছেন: মাইয়াটা চ্রমকারে লুতুপুতু। কি সব চিঠি লিখে!!

গল্পের শেষটা জমজমাট। শেষে এসে গল্পটা তার আসল চেহারায় প্রকাশ পায়। এই জিনিসটাই ভাল্লাগসে বেশি।

(y)

০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু।

৪৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

♥কবি♥ বলেছেন: "মৃত্যুমিতা" চমৎকার সহজবোধ্য এবং অতি অবশ্যই হাসান মাহাবুবীয় ঘোর। অসাম!!!!!!!!!! ++++

০২ রা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৪৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১১

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
ডার্ক ট্রাজিক ৷ এই থিম নিয়ে আগে থেকেই আপনার লেখার অপেক্ষা ছিল ৷ চিরসখা চিরন্তন নিয়তিকে দৃশ্যত উপলব্দিতে প্রয়োগ নানাজন নানাভাবে আনেন নিজ ভাবনায় ৷ গভীর বোধের গভীরতার অক্ষরায়নে হয়ত নেড়েছেন তবে প্রবিষ্ট হতেও কোথায় মনঃপ্রবেশ থমকে গেল ৷ নগণ্য পাঠকের মনযোগের খাটতি হতে পারে ৷

সমৃদ্ধ হোক জীবনের মুহূর্তগুলো ৷

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৫০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দারুণ। এই রকম থিম আমার পছন্দ। সৌন্দর্য, চাতুর্য এবং রোমান্টিসিজমের একটা মেশ তৈরি হয়েছে। চিঠি গুলো তার ওপরে নতুন রোমান্টিক পোঁচ দিয়েছে।

ভাল লেগেছে হামা। ঊনবিংশতম প্লাস।

শুভরাত্রি।

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ প্রফেসর। অনেকদিন আপনার কোন লেখা পাই না। ফিরছেন দেখে ভালো লাগলো।

শুভরাত্রি।

৫১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:২০

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: অদ্ভুত এক মায়াজালে বন্দি করে রেখেছিলেন আপনি। যতই পড়লাম ততোই গভীরে গেলাম। অসাধারণ কল্পনা।
শুভকামনা রইল।

০৫ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৫২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

এহসান সাবির বলেছেন: মৃত্যু আর সাপকে কখনও বিশ্বাস করা যায় না........!!


গল্পে লাইক।

০৫ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু।

৫৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১৭

ইলুসন বলেছেন: চরম! মৃত্যুর প্রতি মানবীয় প্রেম! এমন থিম এই প্রথম দেখলাম।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত।

৫৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০২

জাফরিন বলেছেন: এমন অদ্ভুত থীম কোথায় পান? কিচ্ছু বলার ভাষা নাই!

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: এসব কিছু না, অলস মস্তিষ্কের বিরস চিন্তাভাবনা :(

৫৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৪

মিমমা সুলতানা মিতা বলেছেন: চমৎকার লেখা, কল্পনাবিলাসী মন

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।শুভকামনা রইলো।

৫৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লাগল লেখাটি।
++++

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.