নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমার জন্যে নয়

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:১০


কোথায় যেন ঘন্টা বাজছে। ধীরলয়ে। থেমে থেমে। একটা গম্ভীর আবহ তৈরি হয়েছে। একটা বিশাল বিষাদী উৎসবের আয়োজন করছে কারা যেন। কোথায় ঘন্টা বাজছে? কেন বাজছে? শেষরাতের তন্দ্রা কেটে যায় আমার। অনেকদিন আমি ঘুমুতে পারি না রাতভর। শেষরাতের দিকে তন্দ্রামতন আসে, ব্যাস এটুকুই আমার ঘুম। এই মহা মূল্যবান তন্দ্রাটুকুও কেড়ে নিলো ঘন্টার মন্দ্র ধ্বনি। কিন্তু আমার মোটেও রাগ হচ্ছে না। কেমন যেন সম্মোহিতের মত শুনতে থাকি আমি, উঠে বসি। জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ঘন্টার দিক নির্ণয়ের চেষ্টা করি। কিন্তু ওপাশে কেবল অন্ধকার। অন্ধকারের আড়ালে ঘন্টাধ্বনিটা আরো রহস্যময় হয়ে ওঠে। মনে হয় কে যেন আমাকে ডাকছে। হঠাৎ করে আমার বুকটা কেমন যেন ফাঁকা হয়ে যায়। জানালা দিয়ে অসংখ্য অন্ধকার ঘুটঘুটিয়ে প্রবেশ করে। আমার ইনসমনিয়াগ্রস্ত রাত অন্ধকারের সাথে আঁতাত করে আমাকে ঠেলতে থাকে আরো গহীনে, যেখান থেকে ঘন্টাটা বাজছে। আমার শূন্য বুকের ফাঁকা জায়গা দখল করে নেয় দুর্বৃত্ত অন্ধকার। ওরা আমাকে জেঁকে ধরেছে। আর নিস্তার নেই। ঘন্টাধ্বনিটা এগিয়ে আসছে। আমি নিকষ কালো আঁধারের খোঁজে অভিযানরত এক মোহগ্রস্ত অভিযাত্রী। কেমন যেন নেশা নেশা লাগে আমার। এভাবে কেউ ডাকতে পারে? এভাবেও ডাকা যায়? এতদিন কেন ডাকে নি? নাকি ডেকেছে আমিই বুঝি নি? কে ডাকছে আমায়? পুরোনো শ্যাওলা ধরা পুকুরঘাটের সিঁড়িতে একবার পা পিছলে পড়ে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিলো। মৃত্যুকে খুব কাছে থেকে দেখেছিলাম। এখন কেন এসব কথা মনে পড়ছে? তবে কি আমার এই যাত্রা মরণের অভিমুখে? অনেকদিন আগে, আমার কিশোরবেলায় রক্তসম্পর্কের একজন আত্মীয় আমার সাথে কিছু অদ্ভুত আচরণ করেছিলো, তখন সেটা বুঝি নি, এখন জানি সেটাকে বলা হয় যৌন হয়রানি। এই ঘন্টার আওয়াজটা কেন মনে করিয়ে দিচ্ছে এসব? তবে কি আমার এই যাত্রা আরো একবার নিষ্পেষিত হবার জন্যে? ঘন্টার আওয়াজটা পরিবর্তিত হচ্ছে। এখন দুটি আওয়াজের মাঝখানের সময়টা আরো বর্ধিত হয়েছে। স্তব্ধ রাত্তিরে এই অতি স্লথ ঘন্টাবাদন মনের ওপর চাপ ফেলছে প্রচণ্ড। নানা দুর্বিপাকে ক্ষয়িষ্ণু আমার স্নায়ু আর কতক্ষণ সইতে পারবে এই ভুতুড়ে মেলোডি?

আমি যখন ঘন্টাটার কাছে পৌঁছুলাম, তখন প্রায় ভোর হয়ে এসেছে। ওটা টাঙানো ছিলো একটা প্রাচীন, পরিত্যক্ত বাড়ির সদর দরজায়। একজন বৃদ্ধ ঘন্টাটি বাজিয়ে চলেছেন নিরলস। কিন্তু আমি যখন পৌঁছুলাম, তখন সে ঘন্টাটি খুলে রাখার উপক্রম করছে। আমি ক্ষিপ্ত হয়ে বাধা দিলাম,
=এই যে জনাব, ঘন্টাটি খুলে রাখছেন কী মনে করে? আমি সেই কতদূর থেকে এসেছি এটার আহবানে।
=বাছা, তুমি কি এই প্রথম এই ঘন্টাধ্বনি শুনলে?
=হ্যাঁ!
=অপেক্ষা করতে হবে তোমাকে। এই ঘন্টাধ্বনি সবাই শুনতে পায় না। আর শুনলেও অনেকেই এর কাছে আসতে আসতেই হয়রান হয়ে যায়, অথবা হদীশ পায় না।
=কী আছে এই ঘন্টাধ্বনির ভেতরে? কেন এর আওয়াজে আমার মন এমন উচাটন হয়?
=ধৈর্য্য ধরো, সব প্রশ্নের উত্তর পাবে।

বুড়ো অত্যন্ত রূঢ়ভাবে ঘন্টাটি নিয়ে ভেতরে গিয়ে দরোজা বন্ধ করে দিলেন।

ব্যর্থ এবং প্রত্যাখ্যাত আমি ভগ্ন হৃদয়ে বাসার পথে রওনা দেই। গোসল করে, দাড়ি কামিয়ে অফিসে যেতে হবে।

অফিসের কাজে মন দিতে পারি না। বারবার ভুল হয়ে যায়। সহকর্মীদের টিপ্পনি অসহ্য লাগে।

=কী মিয়া! এত অমোনোযোগী কেন? রাইতে ভালো ঘুম হয় নাই? আইচ্ছা, ভাবীরে অনেক রাত পর্যন্ত জাগায়া রাখেন নাকি? তা অবশ্য হবারই কথা। ইয়ং ম্যান...

চিঠি আর আমি এখন আর একসাথে থাকি না। সে কথাটা ওদেরকে বলা বৃথা। এদের সবগুলোর মাথায় আদিম প্রবৃত্তি কিলবিল করে। খালি সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। জানি তো, যদি বলি যে আমরা আর একসাথে থাকি না, তাহলে তাদের প্রতিক্রিয়া হবে এমন,
"ভাবী চইলা গেছে? কেন কোনো সমস্যা আছে নাকি আপনার?" বলে চোখ টিপ দিয়ে কদর্য একটা ভঙ্গি করবে। মাদারচোৎ সবগুলো।

দেখতে দেখতে লাঞ্চ আওয়ার হয়ে যায়। খেতে গিয়ে কিছুই ভালো লাগে না। রূচিটাই নষ্ট হয়ে গেছে। খাবারগুলো একটু নাড়াচাড়া করে রেখে দেই। আজ কেন যেন চিঠির কথা খুব মনে পড়ছে। এজন্যে অবশ্য পান খেয়ে দাঁত নষ্ট করা, আর পিক মুখে নিয়ে কথা বলা সেইসব প্রৌঢ় কর্মচারীদের ভূমিকা আছে। অনেকদিন চিঠির কথা ভাবি না। ভেবেই বা লাভ কী! যে সেচ্ছায় আমাকে ছেড়ে চলে গেছে, সে কি ফিরে আসবে আবার? মনে পড়ে...

যখন আমরা তরুণ ছিলাম, যখন আমাদের প্রাণশক্তি অনেক বেশি ছিলো, যখন আমরা লেকের ধারে বসে গোধূলিবেলায় অস্তগামী সূর্যের ছায়া দেখতাম তন্ময় হয়ে, যখন ট্যাক্সিক্যাবের ভেতরে বন্য চুম্বনে জাগ্রত হতো আমাদের শরীর, যখন আমরা নিজেদের বলতাম wildest couple of the city, সেই সময়টা আমাদের বৈবাহিক জীবনে অনুদিত হয় নি। কত কিছু নিয়ে খিটিমিটি লেগেই থাকতো। এলোচুল, এলোপ্যাথি, কাঁচপুতুল, হোমিওপ্যাথি, প্রেগনেন্সি, লোকে বলে ছিহ, কনডম, বোরডম, সবুজ পার্ক, ঘাতক ট্রাক, কত কিছু নিয়ে বাদানুবাদ! আপাত দৃষ্টিতে তুচ্ছ ব্যাপারগুলো ধীরে ধীরে জমতে জমতে সম্পর্ক ভাঙার বোমালয়ে অত্যন্ত বিপদজনক অবস্থানে চলে যায়। আর সেই সাথে কিছু জটিল এবং বড় সংঘাত বাড়তে থাকে।
=তুমি বর্ষার সাথে ছবি তুলতে গিয়ে ওর কাঁধে হাত রেখেছিলে কেনো?
=তুমি ফেসবূকে হেনতেন প্রভৃতি নারীর সাথে চ্যাট করেছো কেন?
=তুমি ছবি তোলার সময় মুখটা রোবটের মত করে রাখো কেনো?
=তুমি আমার মায়ের বানানো জর্দা প্রায় পুরোটা খেয়ে ফেললে কেন? অবশ্য এমনই হবার কথা, তোমার বাবাও এরকম খাওয়ার সময় কারো কথা বিবেচনা করে না।

বেশিরভাগ সময় আমি চুপচাপ শুনতাম, কিন্তু আমার বাবাকে নিয়ে, আমার পরিবারকে নিয়ে কটুক্তি করার পর আমি আর চুপ থাকতে পারলাম না। এভাবেই শুরু। তারপর ব্যক্তিত্বের সংঘাত, এবং আরো, আরো অনেক ছোটখাটো বিষয়ের সম্মিলনে আমাদের এই সেপারেশন।

অফিস থেকে বাসায় ফিরে শাওয়ারটা নিয়ে বিছানায় শুয়েছি কি শুই নি, গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম আমি। আহা! কী নিশ্চিন্ত, প্রশান্ত একটা ঘুম! অনেকদিন পর এমন ঘুমোতে পারলাম আমি। ঘুমের মাঝে নানারকম স্বপ্ন দেখলাম, আজগুবি। তবে একটা স্বপ্ন ঘুরেফিরে বারবার আসছিলো, সেই ঘন্টা বাজানো বুড়োটি। তার খ্যানখ্যানে স্বরে আমাকে বলছিলো, তোমার সময় হয়ে আসছে বাছা, প্রস্তুত হও!"
রাত বারোটার দিকে ঘুম ভেঙে গেলো আমার। হু, এইবার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলা যায়। ঘন্টা বাজতে আরো কয়েক ঘন্টা দেরী আছে বোধ হয়। ততক্ষণ কী করবো? চিঠির কথা ভাবা যাক বরঙ। এটা ঠিক, আমার মধ্যে অনেক দোষ ছিলো। আমি ছিলাম দায়িত্বজ্ঞানহীন একজন পুরুষ। ভবিষ্যতের কথা মোটেও ভাবতাম না। পানাসক্তি ছিলো। কিন্তু আমি চেষ্টা করছিলাম এগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে। যখন আমি ভাবতে শুরু করেছি যে আবার সেই নিষ্কলুষ দিনগুলোতে ফিরে যাচ্ছি, ঠিক তখনই আমার একটা সামান্য ত্রুটিকে কেন্দ্র করে যাচ্ছেতাই আচরণ করলো। সবার সামনে অপমান করলো আমাকে। আমি তখন...
ভাবনায় ছেদ পড়লো ঘন্টাধ্বনিতে। সেই মাতাল , বিবশ করা সুর! আমি জানলা খুলে দিলাম অন্ধকারদের প্রবেশ তরান্বিত করতে। কিন্তু এ কী! জানলা খোলার সাথে সাথেই আমার এই ক্ষুদ্র ঘরে শুরু হলো আলোর নাচন। কোথায় যেন বাজছে মাউথঅর্গান, সুমধুর। আমি চোখ ভর্তি করে দেখতে শুরু করলাম আলোর নৃত্য। কখনও তারা অশ্বারোহী, কখনও তারা সপ্তর্ষি, কখনও উর্বশী, কখনও ধ্যানী ঋষি। আমি থই খুঁজে পাচ্ছি না। এত আলো আমার এই ভাঙা ঘরে! কেন! ওদিকে ঘন্টাটাও বেজে চলেছে বিরামহীন। আজ আর ঐ ঘন্টা নিয়ন্ত্রক খনখনে বুড়োকে চালাকি করতে দেবো না। চড়ে বসি আলোকঅশ্বতে। দ্রুত ছুটতে থাকে সে। মেজাজটা বেশ ফুরফুরে আমার। একে তো ঘুমটা ভালো হয়েছে, তারপর সেই রহস্যময় ঘন্টার স্বরূপ উন্মোচিত হতে চলেছে। তারপরেও মনে শঙ্কা জাগে। সবকিছু ঠিকঠাক মত হবে তো? তবে এমন আনন্দভ্রমণে সেইসব উৎকণ্ঠা তৎক্ষনাৎ উবে যায়। ঘন্টাঘরে এসে পৌঁছেছি আমি। বুড়োটা হাঁপাচ্ছে, তবুও এক মুহূর্তের বিরাম নেই। আমাকে দেখে সে তার থ্যাবরানো দাঁত দেখিয়ে হাসে।
=তুমি তো সৌভাগ্যবান বাছা! দ্রুতই ঘন্টাঘরে আসতে পারলে। অনেকেই বছরের পর বছর চেষ্টা করেও পারে না।
=সেদিন তো ভাব দেখিয়ে চলে গেলেন। এখন বলেন তো এর রহস্যটা কী! দয়া করে বলবেন না যে সময় হলেই জানতে পারবো। আমি এখনই জানতে চাই!
=হাহাহা! আরে বাপু, একটু অপেক্ষা না হয় করলে! ক্ষতি কী তাতে! তবে এবার নিশ্চিন্ত হতে পারো যে তোমার জন্যে ভালো খবর আছে।
=ও তাই? তা আপনারা কবে থেকে মানুষদেরকে এই ঘন্টা বাজিয়ে সম্মোহন করে ভালো খবর দেয়ার দায়িত্বটা নিয়েছেন?
=যখন থেকে মানুষের সৃষ্টি, তখন থেকেই। কেউ শোনে, কেউ শোনে না। কেউ সারাজীবন খুঁজে মরে, কেউ না চাইতেই পেয়ে যায়।
=বাই দ্যা ফাকিং ওয়ে, আমার কেন যেন মনে হচ্ছে আপনারা আমার ম্যারেজ কাউন্সেলিংয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার সন্দেহটা কি সত্যি?
=বাহ! বেড়ে বুদ্ধিমান ছেলে তো তুমি! হ্যাঁ অনেকটা সেরকমই। আমরা লটারি করে খুব অল্প সংখ্যক জুটিকে বেছে নেই। তোমরা সুখী হও, এই আমাদের প্রত্যাশা। তোমাদের...
আমি তার কথা শেষ করতে দিলাম না।
=আগে জানলে আমি আসতামই না। যত্তসব ন্যাকামী!
=বলছো বটে, তবে তুমি খুব ভালো করেই জানো যে এটা পুরোপুরি সত্যি না। তোমার মনের কোথাও না কোথাও এখনও কিছু লুকিয়ে আছে, না থাকলে তুমি আসতেই পারতে না। না থাকলে তুমি ঘন্টাধ্বনি শুনতেই না।
তার কথা শুনে আমি নিরুত্তর থাকি। সে কি ভুল বলছে? নাকি আমার চিন্তাই ভুল? তবে কি চিঠি আসবে আজকে?

এসব ভাবতে ভাবতেই চিঠি চলে এলো। আমার মতোই এক আলোকযানে চড়ে। আমার মতো সেও খানিকটা উদভ্রান্ত, দ্বিধাগ্রস্ত। আমাকে দেখে সংকোচ জড়ানো কণ্ঠে বললো,
=কেমন আছো তুমি?
=ভালো। তুমি ভালো তো?
=এই তো...

অনেকদিনের অনভ্যাসে আমাদের কথা আর এগোয় না।

=তারপর...লেখালেখি করো না কি এখনও?
=এই তো টুকটাক। তোমার টেইলারিং শেখার কদ্দুর?
=চলছে আর কী...খারাপ না।

আমরা দুজনেই বুঝতে পারি হবে না, এইভাবে হবে না। আদৌ কি হবার দরকার আছে? এই প্রশ্নটাও মাথায় ঘোরে। হঠাৎ এক চিৎকারে আমাদের সম্বিত ফেরে। ঘন্টাধ্বনি থেমে যায়। বুড়ো ঘন্টাবাদক বুক চেপে ধরে বসে আছে। চারিদিকের সব আলো নিভে যাচ্ছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চড়ুই পাখির টুইটকার, আর অজানা বাদকের মাউথঅর্গান। চারিপাশের সবুজ প্রকৃতি শীতকালের রূক্ষ মরণ থাবায় রঙ হারিয়ে ফেলছে।

আমরা বুঝে ফেলি আমাদের হবে না। তবুও চিঠি একটা শেষ চেষ্টা করে। কিভাবে যে ওর মনের মধ্যে এমন প্রেমভাব জেগে উঠলো তা আমার বাকি জীবনে একটা রহস্য হয়ে থাকবে। আমাকে সে দেখেছে পাঁড় মাতাল, দায়িত্বজ্ঞানহীন, নোংরা, অগোছালো, এলোমেলো হিসেবে। আমার পরিবারকে সে তুচ্ছ করেছে তার পরিবারের সাথে মেলাতে গিয়ে। তারপরেও সে কেন যেন বললো, "দেখো, আরেকটা সুযোগ নেই আমরা। আমার হাতটা ধরো"
হাত ধরাতে আমার কোন আপত্তি নেই, তবে এই হাত আমাকে কতদূরে নিয়ে যাবে তা নিয়ে আমি সন্দিহান।
=কিছু বলবে না তুমি?
আমার চোখে চোখ রেখে সে সুধোলো। আমি বললাম,
=দেখো চিঠি, একসময় ভাবতাম আমাদের সম্পর্কটা নিয়তি নির্ধারিত। আমরা অতীত ভুলে এই মন্ত্রে দিক্ষিত হয়েছিলাম, "তুমি প্রথম, বলি না এমন/ শেষ হতে পারো কি? তাই নিয়েছি শেষবিকেলে নিঃস্ব হবার ঝুঁকি"। কখনও ভুলেও ভাবতাম না আমাদের মধ্যে কোন দেয়াল তৈরি হতে পারে। হ্যাঁ এটা সত্যি, তোমার অনেক চাওয়া আমি পূরণ করতে পারি নি। তোমার নিশ্চুপতা আর স্তব্ধ অভিযোগ মাথা কুটে ঠুকড়ে মরেছে আমার মনের দেয়ালে। কিন্তু যখন আমি ফিরতে শুরু করেছি তোমার কাছে, তখনই তুমি আমাকে মস্ত আঘাতটা দিলে। সবার সামনে আমাকে অপমান করলে, আমার পরিবারকেও ছাড়ো নি। তাই, বলি কি, থাক! "আমাকে আমার মতো থাকতে দাও, আমি নিজেকে নিজের মাঝে গুটিয়ে নিয়েছি"। আমি ছাপোষা মানুষ, আমাকে তুমি অপমান করতেই পারো, তার পাল্টা দেয়ার সময় এখনই। দেখো,গত দুইরাতের ঘন্টাধ্বনি এখন উইন্ড চাইমে পরিণত হয়েছে। এভাবেই শব্দেরা হারিয়ে যায়, শোকাতুর শব্দের শবদেহ নিয়ে লাল পিঁপড়ের দল মার্চপাস্ট করে পৌঁছে দেয় ভিমরুলদের কাছে। ওরা হুল ফোটায়। যা বলছিলাম, পাল্টা দেয়ার কথা, আমার এই ছন্নছাড়া জীবন, ঘরের কোণে একাকী বসে আজগুবী চিন্তাভাবনা করা, দুঃস্বপ্ন দেখে চমকে ওঠা, নতুন কোন গান লেখা, আর নিজেই সেটা সুর করে শোনানো, স্নিকার্স চকলেট ভাগাভাগি করে খাওয়া, বসুন্ধরা সিটিতে থ্রিডি মুভি দেখা, মোহামেডান, বার্সেলোনা, আর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে মাতামাতি, পহেলা বৈশাখে টিএসসি, চারুকলা, শাহবাগ, বইমেলার জন্যে ম্যালা বই কেনা হবে বলে টাকা জমানো, কোনকিছুই আর তোমার জন্যে না। ধন্যবাদ তোমাকে ভালোবেসেছিলে বলে, প্রশংসা করি তোমার আমাকে ছেড়ে যাওয়ার বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নিয়েছো বলে। এখন আমি যাই, কেমন?

চিঠি নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকে। হয়তো বা দুই এক ফোঁটা অশ্রূ ঝরে তার চোখ থেকে। আমি নিশ্চিত নই অবশ্য। রাত এখনও অনেক বাকি। কী মনে করে যেন ঘন্টাবুড়োটা উঠে পড়ে পাগলের মতো ঘন্টা বাজাতে থাকে। আমার চারিপাশ আলোয় আলোয় ভরে যায়। একটা প্রচণ্ড টান অনুভব করি আমি। তবে সৌভাগ্যের ব্যাপার এই যে, আমি জেনে গেছি এই টান অগ্রাহ্য করার শক্তি আমার আছে। আমি এগিয়ে যাই। ঘন্টাধ্বনি ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হতে থাকে।

মন্তব্য ১০৬ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (১০৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:২০

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: সকাল টা সুন্দর একটা গল্প দিয়ে শুরু হল।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো কাটুক সারাদিন।

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:০৭

কালের সময় বলেছেন: ল্প ভালো লাগলো । শুভ সকাল

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ সকাল।

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:২৩

কালের সময় বলেছেন: সরি হাসান ভাই গল্প হবে

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্যাপার না।

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ২য় ভাল লাগা রেখে গেলাম মাহবুব ভাই ।
ভাই আমারে গল্প লেখার থিমটি শেখাবেন । আমার খুব ইচ্ছে গল্প ও কবিতা লেখা শেখার ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মাসুদ ভাই। প্রচুর পড়ুন এবং চর্চা করুন।

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

মিনাক্ষী বলেছেন: আগে আপনার গল্পে মাঝ বরাবর'ই থেমে যেতাম, ইদানীং সহজবোধ্যতা বাড়ায় পুরোটা শেষ করতে পারি। গল্প বেশ লাগলো। শেষে মিলটা হলে ভালো হতো :( ছেলেরা অগ্রাহ্য করার সাহস দেখাতে পারে, মেয়েরা বোধহয় পারেনা।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: মেয়েরাও পারে। ভালোভাবেই পারে। ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মিনাক্ষী বলেছেন: আগে আপনার গল্পে মাঝ বরাবর'ই থেমে যেতাম, ইদানীং সহজবোধ্যতা বাড়ায় পুরোটা শেষ করতে পারি। কথা সত্য। হাসান মাহবুব ভাই এখন আর শুধু সাহিত্য সমালোচকদের লেখক নন, এখন আমাদের মত সাধারণ পাঠকদেরও লেখক।

ছেলেরা পারে, কারণ ছেলেদের পারতে হয়। আর মেয়েরা পারে না, কারণ তারা না পারার মাঝেই সুখ খুঁজে পেতে চায়।

গল্পে ভালো লাগা, ভালো থাকুন, শুভকামনা।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: "ছেলেরা পারে, কারণ ছেলেদের পারতে হয়। আর মেয়েরা পারে না, কারণ তারা না পারার মাঝেই সুখ খুঁজে পেতে চায়। "

সুন্দর বলেছেন। শুভকামনা।

৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,


সেই টুইষ্টিং হাসান মাহবুবকে এখানে খুঁজে পেলুম না ।
তবে "চিঠি" নামটি দুলিয়ে দিয়ে গেল ।

ভালো থাকুন ।


২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ইদানিং একরৈখিক লেখা লিখতেই ভালো লাগছে। তবে পাঠকের আবদার তো অবশ্যই মাথায় থাকবে।

শুভকামনা।

৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

লাবনী আক্তার বলেছেন: যার জন্য এত টান স্বপ্ন বলেই হয়ত গল্পের নায়ক অগ্রাহ্য করতে পেরেছে। বাস্তবে অগ্রাহ্য কয়জনেই বা করতে পারবে?

গল্পে ভালোলাগা রইল হাসান ভাই।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ লাবনী।

৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

আমি বন্দি বলেছেন: অসাধারণ প্লট ভালো লাগো পড়ে । তবে ভাই এখানে বুড়ো অত্যন্ত রূঢ়ভাবে ঘন্টাটি নিয়ে ভেতরে গিয়ে দরোজা বন্ধ করে দিলেন।
হবে নাকি দৃঢ়ভাবে ।
হবে বুঝতে পারলাম না ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার তো মনে হচ্ছে রূঢ় (কর্কশ অর্থে প্রকাশিত) ঠিকই আছে। ধন্যবাদ পাঠের জন্যে।

১০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

সুমন কর বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন, হাসান মাহবুব ভাই এখন আর শুধু সাহিত্য সমালোচকদের লেখক নন, এখন আমাদের মত সাধারণ পাঠকদেরও লেখক।

ভালো লাগল।

।+।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর।

১১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বিয়ে হল প্রেমের সমাধি| সে যাই হোক, গল্প ভাল লেগেছে| রোম্যানটিক ঘরনার লেখাতো আপনি খুব বেশি লিখেননা

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: লিখলাম, লিখতে হলো বলে! শুভকামনা।

১২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

কাবিল বলেছেন: গল্পে অনেক অনেক ভাল লাগা রইল।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ কাবিল। শুভেচ্ছা রইলো।

১৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

সুফিয়া বলেছেন: অন্যরকম একটা গল্প পড়লাম। ভাল লাগল। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সুফিয়া। আপনাদের সাথে শেয়ার করাতেই তো আনন্দ।

১৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেকগুলো সাইকো থ্রিলার গল্পের পরে অন্যরকম সরল সহজ একটা গল্প। শেষটায় মিল হলে খুব ভালো লাগত কিন্তু গল্পে বাস্তবতাটাই উঠে এসেছে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: একটা বিকল্প এন্ডিং দিয়ে ফেলবো নাকি? নাহ থাক, ওটা অন্য কোন গল্পে হবে।

১৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০৪

রিকি বলেছেন: গল্পে ভালো লাগা রইল (ধন্যবাদ আবার আসবেন আর বলেন না যেন ভাই) !!!! :D

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: তো কী কমু? বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না #:-S

১৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২০

রিকি বলেছেন:

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না !!!!! B-))

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্যবহারে বংশের পরিচয় :-B

১৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: -----
আমার চারিপাশ আলোয় আলোয় ভরে যায়।
একটা প্রচণ্ড টান অনুভব করি আমি।
তবে সৌভাগ্যের ব্যাপার এই যে, আমি জেনে গেছি
এই টান অগ্রাহ্য করার শক্তি আমার আছে।
আমি এগিয়ে যাই।

ক্লাসিক! দারুনসসসসস............++++

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

১৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সহজবোধ্য , চমৎকার !! গল্পে ভাল লাগা ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

১৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:০৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: একজন আত্মসন্মানী ব্যাক্তিই পারে এভাবে নিজ ভালবাসাকে অগ্রাহ্য করতে।। প্রথম দিকে ভালবাসাটাই প্রাধান্য পেলেও আত্মসন্মানে যেদিন লাগে,সেদিন থেকে সবকিছুই তার কাছে তুচ্ছ হয়ে পরে।। হোক না সে ছেলে অথবা মেয়ে।।
ঈদ-শুভেচ্ছা।।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো।

২০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:১৮

মহান অতন্দ্র বলেছেন: ও পুরো লেখাটা এখানে ছিল। অনেকদিন পর ব্লগে। সুন্দর লেখা পড়ে শুরু হল। ভাল থাকবেন ভাইয়া।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থেকো।

২১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪

বৃতি বলেছেন: সুন্দর গল্প :) ভালো লাগলো।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি।

২২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

জেন রসি বলেছেন: হামা ভাই, গল্প ভালো লেগেছে।

:)

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ জেন রসি। শুভেচ্ছা।

২৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫১

দীপংকর চন্দ বলেছেন: আমি নিশ্চিত নই অবশ্য। রাত এখনও অনেক বাকি।

অনেক ভাল লাগলো।

শুভকামনা প্রিয় কথাসাহিত্যিক।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ এবং শুভরাত্রি।

২৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: ভালো লিখেন আপনি,

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভ বৃষ্টি বৃষ্টিরাত।

২৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:১৭

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: আমি নিচু শ্রেণির পাঠক;আপনার গল্পের অলংকরণ আমার কাছে প্রায়ই কঠিন লাগে।
সমাপ্তি ভাল লেগেছে :)

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত।

২৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

বাবুই_পাখি বলেছেন: এভারেজ লাগলো। তবে " ধন্যবাদ আবার আসবেন" এটা ভাল লাগছিল।

-- ছেলের আইডি দিয়ে কমেন্টাইলাম ! :(

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আইডি বিষয়ক ঝামেলা মিটে যাক। শুভকামনা।

২৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ভালোই লাগলো পড়ে। সাইকো ঘরনা থেকে বের হইয়া কিছু লিখছেন দেইখা আরো ভালোলাগলো। :)

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: সব ধরণের লেখাই চেষ্টা করবো লিখতে। সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।

২৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৫

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার গল্প। খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত।

২৯| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৩৩

আমি মিন্টু বলেছেন: আপনি একজন সাধারন ব্লগার
এখন থেকে আপনি অন্য যে কোন প্রকাশিত লেখায় মন্তব্য করতে পারবেন। আপনার লেখা প্রথম পাতার সকল পোস্ট অংশে প্রকাশিত হবে না। তবে সম্পাদকের বিবেচনা সাপেক্ষে আপনার লেখা নির্বাচিত পাতায় প্রকাশিত হতে পারে। :)

২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাপি ব্লগিং।

৩০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: ভাল লাগল ।

২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

সোনালী ডানার চিল বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়া হলো!
দারুন অনুভূতি আবারও...

২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভকামনা কবি।

৩২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৪:৩৭

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: আমার চারিপাশ আলোয় আলোয় ভরে যায়। একটা প্রচণ্ড টান অনুভব করি আমি। তবে সৌভাগ্যের ব্যাপার এই যে, আমি জেনে গেছি এই টান অগ্রাহ্য করার শক্তি আমার আছে। আমি এগিয়ে যাই।

আরে! এই ব্যাপারটা তো আমার দরকার! আপনি জানলেন কিভাবে? :)
মুগ্ধপাঠ!

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু ইমরান।

৩৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার প্লট সুন্দর লাগল ।

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর স্টাইলে লেখা গল্পটি ভাল লাগল।

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০৪

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার গল্প । বেশ লেগেছে । ++

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠ এবং মন্তব্যের জন্যে।

৩৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

সিনথেসিস

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:৫৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ?

৩৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২৭

গোর্কি বলেছেন: আপনার গল্প সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। বরাবরের মতোই মুগ্ধপাঠ।। ভাল থাকবেন।।।

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ/

৩৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫১

আজমান আন্দালিব বলেছেন: ভালো লাগা...

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ দেয়া...

৩৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৫০

ডি মুন বলেছেন:
চমৎকার গল্প। খুব সুন্দর সমাপ্তি।
আর সারা গল্পজুড়ে চড়ুইয়ের টুইটকারের মতই ভালোলাগা শব্দের ছড়াছড়ি।

+++
গল্পের শিরোনাম দেখে একটা গানের লাইন মনে পড়ে গেল ' তোমার জন্যে নয় / আমার কোনো কিছু '। [সুমনের বোধহয় গানটা]


আপনার গল্পের সাথে সংযুক্ত ছবিগুলো দেখেও বরাবর মুগ্ধ হই,
শুভরাত্রি হাসান ভাই

৩১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত্রি মুন। হ্যাঁ, শিরোনামটা সুমনের ঐ গানটা থেকেই নিয়েছি।

৪০| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪

আবু শাকিল বলেছেন: আমি এমনিতেই আপনার লেখা গল্পের ভক্ত। দারুন গল্প ।
ভাল লেগেছে হাসান ভাই :)

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৪১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১৬

এস কাজী বলেছেন: খুব সুন্দর। ভাইয়া আপনার প্রায় লেখা আমি পড়ি যখন ভিজিটর ছিলাম তখন থেকে। প্রশ্নটা করা লজিক্যাল হবে কিনা জানিনা তারপরও করি এত সুন্দর করে গল্প লিখতে পারার পেছনে কারন কি? এভাবে কেউ লিখতে চাইলে কি করা উচিত? ধন্যবাদ

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ এস কাজী। ভালো লিখতে চাইলে অনেক পড়তে হবে, ভাবতে হবে, লেখার চর্চার মধ্যে থাকতে হবে।

শুভকামনা।

৪২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

এহসান সাবির বলেছেন: আমার কাছে মনে হল গল্পটার কোথায় যেন কি একটা গ্যাপ রয়ে গেছে...... জানি না.... হয়ত আমারই ভুল....

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: থাকতেই পারে। আমার বেশিরভাগ গল্পেই যেমন থাকে।

শুভেচ্ছা।

৪৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:১৭

তানজির খান বলেছেন: শুভ কামনা ও শুভেচ্ছা রইলো।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।

৪৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

ইলুসন বলেছেন: আহারে! ছেঁকা খাইচে! :D

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: এইডা কি হাসির বিষয়? :||

৪৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩০

আরুশা বলেছেন: আপনার গল্প দিয়ে আপনি সব সময় যেন পাঠককে মুগ্ধ করে রাখেন হাসান ভাই ।
ভালোলাগা দিয়ে গেলাম

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরুশা।

৪৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:২২

তুষার কাব্য বলেছেন: চমৎকার গল্পে দ্বাদশ তম ভাললাগা।
ভালো থাকা হোক হামা ভাই ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৪৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:১৭

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
হৃদয়ের সম্পর্ক অনেকটাই অসজ্ঞায়িত রয়ে যায় ৷ মাঝে মাঝে কথককে বড্ডো বেশি পুরুষলি নয়ত একমুখি লেখার স্রোত ৷ উপলব্দির গভীরতা আরো কল্পনার প্রকটে স্থায়ী হলে কিরূপ নিতো সূররিয়েল ভাষ্যে তা হয়ত ভাবনায় থাকল ৷ সুখি হোক স্বপ্নদৃষ্টি ৷

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৪৮| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২১

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: উপ্সসস! টান থাকা সত্ত্বেও নায়ক চলে গেল... পড়ছিলাম মুগ্ধতায় কিন্তু শেষে এসে চিঠির জন্য খারাপ লাগল ...

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত্রি ঈপ্সিতা।

৪৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

ব্ল্যাক_ডাইমণ্ড বলেছেন: ফেরার ইচ্ছে থাকলেও অনেক সময় ফেরা যায় না। ভাল লাগা :(

২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।

৫০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: শুরুর প্যারাটা আরেকটু ভালো হইতে পারত মনে হয়

২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: পুরো গল্পটাই আরো অনেক ভালো হতে পারতো যদি যোগ্যতর কেউ লিখতো।

৫১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪২

জাফরিন বলেছেন: " ধন্যবাদ তোমাকে ভালোবেসেছিলে বলে, প্রশংসা করি তোমার আমাকে ছেড়ে যাওয়ার বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নিয়েছো বলে"
"তবে সৌভাগ্যের ব্যাপার এই যে, আমি জেনে গেছি এই টান অগ্রাহ্য করার শক্তি আমার আছে। আমি এগিয়ে যাই।"-
এই দুটো উক্তি বিশেষ ভাল লাগল। মনে রাখার মত।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত।

৫২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: এই লেখা মিস করে গেলাম কিভাবে? মিল আছে খানিকটা আমার শেষ দৃশ্যের কথাগুলোর সাথে। হয়ত আপনার মত অসাধারন ভঙ্গিতে নয়। তবে পেছনে ফিরে তাকাইনি। ভাল লাগল।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো।

৫৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৪৩

এমডি এআর মুবিন বলেছেন: মনের দোলাচলকে রূপকভাবে খুব চমৎকার করে ফুটিয়ে তুলেছেন, ভালো লাগলো গল্পটা।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.