নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"আমাকে যদি কেউ এভাবে ভালোবাসতো, তো আমি সন্তানের মা হওয়ার বাসনা পরিত্যাগ করতে পারতাম"।
আমার কাছে মনে হয়েছে এই লাইনটিই জঠর উপন্যাসের প্রাণভোমরা। বিচ্ছিন্নভাবে এই বাক্যটি পাঠ করলে একটা বড় রকমের ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যায়। প্রকৃতিমাতার অশেষ অনুগ্রহেই কেবল সন্তান লাভের মত অবর্ণনীয় সুখের অনুভূতি ধারণ করা সম্ভব। মাতৃত্ব একটি বিশাল অর্জন। মানবজাতিকে চলমান করে রেখেছে বংশপরম্পরায় নিজের বীজ ছড়িয়ে দিয়ে নশ্বর এই জীবনের ওপাড়ে মহিরুহ হয়ে টিকে থাকার প্রেরণা। মাতৃত্বের সাথে অন্য কোন অনুভূতির তুলনা হয় না। যে অকল্পনীয় ব্যথা সহ্য করে একজন নারী মা হয়ে ওঠেন, তার সাথে তুলনাযোগ্য কিছু নেই। আমি দেখেছি ছোট্ট শিশুকে তার পুতুলটিকে বাবু ডেকে যত্ন নিতে, মিছেমিছি ঔষধ দিতে, খাইয়ে দিতে, স্নেহানুভূতিতে আপ্লুত হতে । বাৎসল্যের এই অভাবনীয় বোধ সে কোথা থেকে পেলো? বলছিলাম আমার তিন বছর বয়েসী মেয়েটির কথা। যার মাঝে মাতৃস্বত্বা আবিষ্কার করে আমি হয়ে উঠেছি শিশিরভেজা সবুজ ঘাসের মত আর্দ্র, ঘরের আঙিনায় লতিয়ে ওঠা গুল্মটির মত হরিৎ। নারী জীবনের এই অসাধারণ উন্মেষপ্রক্রিয়া শৈশব, কৈশোর পেরিয়ে পরিণত বয়সে এসে উপনীত হলে তারা হয়ে ওঠেন কুসুমপেলব এবং একইসাথে চিনের মহাপ্রাচীরের মত দৃঢ় আর বিশাল। কিন্তু জঠর উপন্যাসে বিজয়া কুসুমকলি নামক নারী চরিত্রটি এ কী বললেন? আজকাল নানা ধরণের ঘটনা ঘটছে। পরকীয়া, নাগরিক জীবনের ক্লেশ, অশান্তি এসব বেড়েই যাচ্ছে। এমন কী মা পর্যন্ত হয়ে উঠছেন হন্তারক। জঠর উপন্যাসের বিজয়া চরিত্রটি কি তবে তেমন কোন মানসিক বৈকল্যে ভোগা অথবা ভোগের নেশায় একশটি যৌনতার দেবী ইশতার হয়ে ওঠা কোনো নিম্ফ? সে কেন মাতৃত্বের স্বাদ থেকে স্বেচ্ছায় নিজেকে বঞ্চিত করতে চাচ্ছে? সে ব্যাপারে আলোচনার পূর্বে জঠর উপন্যাসের কালপঞ্জিতে চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক।
উপন্যাসের শুরুতে সমতট নামক এক কল্পিত শহরে ঘুণে ধরা, ক্লেদাক্ত, অশূদ্ধ পরিবেশে বসবাসকারী একটি যুগলের দেখা পাই। মোম এবং সোমা। নানা সমস্যায় জর্জরিত, দূষিত, অর্ধমৃত সেই শহরে অসুস্থতা আর মৃত্যুই যেন পরম আকাঙ্খিত ধন! মানুষ বাঁচছে অথবা বাঁচছে না, মরছে অথবা মরছে না, ব্যবসা চলছে, চলছে খুব। ভুখানাঙ্গা মানুষের শরীরসেতু দলিয়ে মুচড়িয়ে বখতিয়ারের ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে চলে যাচ্ছে ধর্মোন্মাদদের দল, তাদের পিছু নিয়েছে কর্পোরেট মাফিয়ারা। এই বিপদসঙ্কুল বিরুদ্ধ পরিবেশে সবুজ হৃদয়ের, তাজা ফুসফুসের প্রাণবন্ত মানুষেরা দিনে দিনে হারিয়ে ফেলে তাদের তাৎপর্য। হয়ে ওঠে বিবর্ণ। খোয়াতে থাকে প্রাণশক্তি। এভাবেই চলে যেতে হয়, এমনটাই নিয়ম এখানে। মোম এবং সোমা যুগলের ক্ষেত্রেও এমন একটি আক্রমণ এলো। মোমের অর্ধাঙ্গিনী সোমা ফুসফুসের এক বিরল রোগে ভুগতে শুরু করলো। মোমের ভাষ্যে, "শহরের প্রবীণতম চিকিৎসকটি তার মৃত্যুপ্রহর ঘোষণা করে ফেললেন এরপর। শহরের অপরাপর অসংখ্য হতভাগ্য মানুষের তুলনায় সোমার অসুখটা হয়তো ভদ্রস্থ ছিল রীতিমতো। কিন্তু ওই 'অপর' মানুষগুলো নির্লিপ্ত স্বাভাবিকতায় মৃত্যুর পরোয়ানাকে মেনে নিয়ে থাকে। আমি মোম তা করতে পারি নি"।
দীর্ঘ প্রারম্ভিকার পর এই বোধনচিহ্নময় মনোলোগের মাধ্যমেই মূলত উপন্যাসটির যাত্রা শুরু হয়। এর পরের দৃশ্যকল্পে মোমের এক নিবিড় মায়াময় স্বপ্নের মাধ্যমে সে তার ভাবী যাত্রাটি শুরু করার ব্যাপারে একটি 'ঐশ্বরিক' ইঙ্গিত পায়। সে স্বপ্নে তারা একটি অরণ্যসংকূল নির্জন ভূখণ্ডের রুপালী নদী ধরে ডিঙি নৌকোয় করে কোথাও যাচ্ছিলো। সামনে অরণ্যের গহীন অন্ধকার, আর স্বচ্ছ জলের ভেতর বহুবর্ণী উদ্ভিদ এবং মাছ। বৈঠা চালিয়ে মোম যাচ্ছে কোথায়? হঠাৎ সোমা উঠে দাঁড়ালো টলটলায়মান পায়ে কোনমতে ভারসাম্য রক্ষা করে। নিঃসন্দেহে ঝুঁকিপূর্ণ। এমন একটা পলকা নৌকোয় করে অনির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছোনোর জন্যে যে পরিমাণ মানসিক এবং শারীরিক শক্তির প্রয়োজন তা কি এই দম্পতি বহন করতে পারবে?
মোমের দরকার ছিলো একজন গার্ডিয়ান এ্যাঞ্জেলের। যে তাকে সঠিক পথ দেখাবে। প্রকৃতির কুটিল, নৃশংস এই পরিকল্পনাকে নস্যাৎ করে দিতে প্রজ্ঞাবান কারো পরামর্শ দরকার ছিলো তার। প্রকৃতির নির্মিত 'মায়াচক্র' একটা আশীর্বাদ হয়ে এসেছিলো মোম এবং সোমার জীবনে। মোম এবং সোমা, এক বৃষ্টির দিনে যাদের অকস্মাৎ একটি পার্কে দেখা হয়ে যায় একটি কদম গাছ খুঁজতে গিয়ে। এভাবেই সৃষ্টি হয় মায়াচক্র। তারা সানন্দে এই চক্রে নিজেদের অন্তরীণ করে রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় তুষ্ট প্রকৃতি তার উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে পরবর্তী পদক্ষেপ নেন। তাদেরকে বন্দী করেন মায়াশেকলে। যাবতীয় ধর্মীয় এবং সামাজিক নিয়ম কানুন নিষ্ঠার সাথে পালন করে তারা বিবাহ করেন। কিন্তু সুসময় সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আর তাই, সোমা আক্রান্ত হলো এক জটিল ব্যাধিতে।
পাঠ পরিক্রমায় আমরা আন্দাজ করতে পারি যে, মোম এবং সোমা ছিলো নি:সঙ্গ। তাদের আত্মীয়-স্বজন, শুভানুধ্যায়ী, বন্ধু বান্ধব খুব বেশি ছিলো না। তাই প্রকৃতির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আসন্ন মহা অভিযানের রসদ সংগ্রহ করতে মোম খুঁজে ফিরছিলো এমন কাউকে যিনি তাদেরকে একটা কার্যকর রূপরেখা প্রদান করতে পারেন। এমন অবস্থায় সহজাত প্রবৃত্তি বা বলা যায় ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের দ্বারা চালিত হয়ে মোম খুঁজে পায় পার্শ্ববর্তী টং এর দোকানের একজন নিয়মিত এবং নীরব খদ্দের, একজন শ্মশ্রুমণ্ডিত বৃদ্ধকে, যাকে সে তার বর্তমান সংকটকাল খুলে বলে। মোম এই বৃদ্ধের নাম দেয় বেদব্যাস। তিনি নীরবে সব শোনেন, কিন্তু কোন মতামত দেন না। এসময় মোমের মনে এক ধরণের দ্বৈরথ চলতে থাকে। সে কি ঠিক মানুষের কাছে গেছে, নাকি খামোখা একজন চালচুলোহীন ভবঘুরে বৃদ্ধ ভিখারীর পেছনে সময় নষ্ট করছে? পরবর্তী অধ্যায়ে আমরা জানতে পারি যে মোম সঠিক মানুষের কাছেই গিয়েছিলো। তার কাছ থেকে সে একটি "অচিন্ত্য উপহার" লাভ করে, যার নাম "প্রজ্ঞালিপির খাতা"।
এবং এই অংশে পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও অধ্যায়টি মাত্র দুই পৃষ্ঠা বিস্তৃত, তবে প্রজ্ঞালিপির খাতা সম্পর্কে বেদব্যাসের দীর্ঘ বয়ান, কার্যপ্রণালী, নানারকম তত্ত্ব এবং তথ্যের ব্যাখ্যা বিপুল জটিলতায় ভরপুর এবং অনেকাংশেই দুর্বোধ্য। এজন্যেই হয়তো লেখক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ বেশি করতে চেয়েছেন, যা জটিলতাটিকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। একদম সোজা সাপ্টা ভাষায় সরলীকরণ করে যা অবশিষ্ট থাকে তা হলো, প্রজ্ঞালিপির খাতায় আসন্ন অভিযান সম্পর্কে দিক নির্দেশনা রয়েছে। সাদা খাতাটিতে ধীরে ধীরে একটি মানচিত্র ফুটে উঠবে। একটি দ্বীপ, যার রং নীল, এবং চারপাশের পানির রং সবুজ। ধীরে ধীরে দ্বীপটির রং সবুজ এবং পানির রং নীল হয়ে উঠলে বেদব্যাসের প্রণীত নির্দেশনা অনুযায়ী মোম বুঝতে পারে রওনা দেবার সময় এসে গেছে।
এখান থেকে গল্প হয়ে ওঠে দারুণ গতিময়। নানারকম বাধা-বিপত্তি, সংশয়, বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচল, নানারকম মানুষ সব মিলিয়ে একটা টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ভ্রমণ শুরু হয়। তাদের কাছে কোনো পথপ্রদর্শক ছিলো না, মানচিত্র ছিলো না।"পথই চিনিয়ে দিবে পথকে" এই আপ্তবাক্য বুকে ধারণ করে আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে পথ চলতে থাকে এই সাহসী এবং দৃপ্ত যুগল। পথিমধ্যে তাদের দেখা হয় মোমের শিক্ষাগুরুর সাথে, বদ মতলবকারী ধুরন্ধর এক লোকের সাথে, যে তাদের অনিষ্ট করতে প্রস্তুত ছিলো। প্রজ্ঞা এবং শক্তির সমন্বয়ে তাকে পরাভূত করতে সক্ষম হয় তারা। দীর্ঘ গন্তব্যে পৌঁছুতে বারবার বাহন বদল করতে হয় তাদের। বাস থেকে ট্রেন, আবার নতুন ট্রেন, পথই চিনিয়ে দিচ্ছিলো নতুন পথ। তাদের গন্তব্য ছিলো নীলাভূমি নামক অঞ্চল। তবে তার আগে মনের ডাকে তারা নেমে পড়লো শপথনগরে। সেখানে মোমের বন্ধু অপু বসবাস করে। মেধাবী এই ছেলেটি পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। শপথনগরে পরবর্তীতে তারা আরো কিছু শুভানুধ্যায়ী পেয়ে যায়। অপুর প্রেমিকা বিজয়া, বিজয়ার বন্ধু নীপার, এবং অপুর মাসী।
বইয়ের ভূমিকায় লেখক লিখেছেন তার স্ত্রীর দুরারোগ্য অসুখের চিকিৎসা করতে গিয়ে যেসব অভিজ্ঞতা এবং মানসিক টানাপোড়েনের সম্মুখীন হতে হয়েছে দেশে এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে, তারই রূপকরূপ এই উপাখ্যান। তাই এই উপন্যাসে যখন অপুর মাসি জিজ্ঞেস করেন "তোমরা কি বাংলা থেকে এসচো?" তখন আমরা জ্ঞাত হই নতুন দেশে এসে গেছে মোম এবং সোমা। শপথনগরের রহস্যময় ভূখণ্ডে উন্মোচিত হবে তাদের অভিযানের নতুন মাত্রা।
এই পর্যায়ে মূল কাহিনীর সমান্তরালে কিছু সাবপ্লট ধরে এগিয়েছেন লেখক। মিঠাইবুড়ো, শৈলশিরার সাধিকা এসব অধ্যায় বেশ বৈচিত্র এনে দিয়েছে লেখাটিতে।
আড্ডা, ভোজন, নগর পরিভ্রমণ, এভাবে বেশ কেটে যাচ্ছিলো তাদের দিন। মোম এবং সোমা জানতো তাড়াহুড়োর কিছু নেই। সময়মতই তারা সংকেত পেয়ে যাবে নীলাভূমিতে যাত্রা করার। এর মাঝে বিজয়া কুসুমকলির সাথে বেশ সখ্যতা হয়ে যায় তাদের। বিজয়া এবং অপু। তারা বুদ্ধিমান, প্রাজ্ঞ এবং ঋদ্ধ। এই অভিযানের জন্যে মানসিক রসদ যোাগাতে তারা ছিলো আকূলপ্রাণ। মোম এবং সোমার মত তারাও কোন তাড়াহুড়ো করে নি। জানতো, সময় হলেই তাদের সব প্রশ্নের জবাব দেবে তারা। অবশেষে যখন মোম বুঝতে পারলো যে আবারও তাদের যাত্রা শুরু করার সময় উপনীত, তখন সব খুলে বললো তাদেরকে। আর এই পর্যায়েই বিজয়া সেই অসাধারণ উক্তিটি করলো, যা এই লেখার শুরুতেই ব্যবহার করেছি, এবং উপন্যাসটির প্রাণভোমরা হিসেবে আখ্যা দিয়েছি। পুনরাবৃত্তি করা যাক,
"আমাকে যদি কেউ এভাবে ভালোবাসতো, তো আমি সন্তানের মা হওয়ার বাসনা পরিত্যাগ করতে পারতাম"।
উপন্যাসটিতে এমন হেঁয়ালি ভরা বাক্যের অভাব নেই, তবে তার মধ্যে এটাই সেরা, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ; যা শুনে শ্রোতারা হকচকিয়ে গিয়েছিলেন। বিজয়া এর ব্যাখ্যা প্রদান করলে এক আশ্চর্য প্রাকৃতিক দুর্নীতি এবং জিঘাংসার স্বরূপ উন্মোচিত হয়।
বিজয়া এবং অপুর সম্পর্ক, আর মোম এবং সোমার সম্পর্কের তুলনা এই পর্যায়ে আবশ্যিক হয়ে পড়ে। বিজয়া এবং অপু ছিলো প্রকৃতির বাধ্যগত সন্তান। হ্যাঁ, তারা ছিলো একে অপরের প্রাণেশ্বর। তারা ছিলো বিশ্বস্ত এবং অদম্য। প্রকৃতিমাতার বেঁধে দেয়া পাণ্ডুলিপি অনুসারেই মসৃণ গতিতে অগ্রসর হচ্ছিলো তারা। পরিচয়-পরিণয়-বন্ধন-সঙ্গম এই চেনাপথেই তাদের নিয়তি বাঁধা ছিলো। প্রকৃতির গুডবুকে আরো অন্যান্য অসংখ্য মানুষের মতই তারা সগর্বে বিরাজমান ছিলো। আর অন্যদিকে মোম এবং সোমা! প্রকৃতির অবাধ্য সন্তান। শাারীরিক প্রবৃত্তি যে তাদের ছিলো না তা নয়। কিন্তু হৃদয়বৃত্তিক অনুভূতির অনুরণনেই তারা কম্পিত ছিলো সবসময়। নিজের অস্তিত্বের স্বার্থে প্রকৃতি তাদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলে। বিজয়ার ভাষায়, এ প্রকৃতির এক ভয়ানক দূরভিসন্ধি। এই নিয়মের ব্যত্যয় যারা করে তাদের প্রতি নির্মম হয়ে ওঠে প্রকৃতি। এই যে মানুষের বেড়ে ওঠা, অজস্র সঙ্গম করে বংশধর রেখে যাওয়া, সবই প্রকৃতির পাঠ্যসূচী অনুযায়ী কৃত। সঙ্গম ক্ষমতা হারালে মানুষের চামড়া কুঁচকে যায়, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস্ব পায়, ক্রমশ অথর্ব হয়ে উঠে মৃত্যুর জন্যে অপেক্ষা করতে থাকে তারা। নিষ্ঠুর প্রকৃতি তাদেরকে বুঝিয়ে দেয়, "এবার চলে যাও বাছা, তোমার প্রয়োজন ফুরিয়েছে!"। মোম এবং সোমার মাঝে এক অদ্ভুত অসামাঞ্জস্য লক্ষ্য করে প্রকৃতি। তারা মানসিক ঘনিষ্টতায় এতই তৃপ্ত, যে শরীরের কথা তাদের কদাচ মনে পড়ে। এর ফলে প্রকৃতি বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, এবং সবশেষে এক বিপুল চক্রান্তের পরিকল্পনা করে। মোম এবং সোমার মধ্যে যেকোন একজনকে ছিনিয়ে নিতে হবে। এর ফলে একজন নিঃসঙ্গ হয়ে যাবে, এবং সে নতুন একজন সঙ্গী খুঁজে নিয়ে অত্যন্ত 'প্রাকৃতিক' ভালোবাসবে সঙ্গীকে। আর এভাবেই জয়ী হবে তার কূট পরিকল্পনা।
রহস্য গল্পের ঝানু ডিটেকটিভ যেমন সমস্ত কার্যকারণ বিশ্লেষণ করে একটি চমক জাগানিয়া উপসংহার টানেন, তেমনি বিজয়ার এই বিদায়ভাষণ নিঃসন্দেহে পাঠকহৃদয়কে চমকিত করবে, ভাবনার খোরাক জুটোবে, অনেকদিন স্মৃতির চিলেকোঠায় জোৎস্না ছড়াবে।
অবশেষে তারা পৌঁছোয় লৌকিক দ্যুলোকে। তাদের কাঙ্খিত গন্তব্যে। এ পর্যায়ে কাহিনীটা দারুণ থ্রিলিং এবং এ্যাডভেঞ্চারাস হয়ে ওঠে। যেমনটি অনেক সিনেমা বা বইয়ে দেখেছি আমরা, প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকার, শত্রুকে পরাভূত করার এক অসম দুঃসাহসিক অভিযান শুরু হয়। প্রকৃতির পক্ষ থেকে হত্যাচেষ্টা করা হয় সোমাকে। কখনও বিশাল উল্কাপিণ্ড পাঠিয়ে, কখনও সাগরজলে ডুবিয়ে। বারংবার ধ্বংস হয় তাদের ভিটে। প্রেরণ করা হয় ভৌ্তিক শিশুদের। যারা ভয়াল ফিসফিস করে ওঠে "আমাকে নাও, আমাদের নাও।" প্রেরণ করা হয় শ্যাওলাবাহিনী, যারা এক প্রতীকী যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়, বংশবিস্তার করেই ছাড়বে। সোমা এবং মোম প্রাণপনে লড়তে থাকে নিজেদের সমস্ত শক্তি এবং কৌশল প্রয়োগ করে। ঠান্ডামাথার একেকটি চালে পরাভূত করতে থাকে প্রকৃতিকে।
কিন্তু তারা কি জয়ী হয়েছিলো? নাকি সেটা ছিলো একটা ভ্রান্তিযজ্ঞ? অপুর জবানীতে, "এই যে যুদ্ধটা অংশ আর উৎসের, এটা কি আদৌ কোন জয় পরাজয় নির্ধারক যুদ্ধ? মানুষ এমনই এক শক্তি,যেটা বারবার প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে জিতেই ছেড়েছে। মানুষের জিৎই তো প্রকৃতির জিৎ। নিজের ভেতরেই তো প্রকৃতি লীন হে থাকে।"।
সোমের ভাবনাও খুব ব্যতিক্রম কিছু না। সে ভাবে, "কী আশ্চর্য দেখো! তোমাকে হারাতে এসে তোমারই কাছে চাইছি। এতেই প্রমাণিত হয়, এই তুমি কত প্রকটভাবে আমি নিজেই!"।
উপন্যাসটির এর পরেও আরো সাত/আটটি পৃষ্ঠা রয়েছে। সেখানে আছে নতুন চরিত্র, নতুন ঘটনা, নতুন বাঁক, নতুন তত্ত্ব, নতুন ভাবনা। সেটুকু বলে পাঠকের রসাস্বাসদনে ব্যাঘাৎ ঘটাতে চাই না।
জঠর উপন্যাসটি কতটুকু ভালো তার চেয়ে আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এটি কতটা নতুন। অনেক প্রাজ্ঞ ব্যক্তি বলেন সব গল্প নাকি বলা শেষ। তাই বলে কি গল্প উপন্যাস লেখা থেমে থাকবে? মোটেও না। পুরোনো, ক্লিশে, চর্বিত চর্বন কাহিনীকে সৃজন আল্পনায় রাঙিয়ে নতুন করে বলতে হবে। হামিম কামাল তার জীবনে সংঘটিত সঙ্কটকালকে রূপকের নক্সায় আবৃত করে আমাদের কাছে যা উপস্থাপন করেছেন, তা সম্পূর্ণ নতুন একটি গল্প হয়ে গেছে। এটা পড়ে যে আনন্দ আমি পেয়েছি তা অনুসন্ধিৎসু শিশুর বাবার হাতঘড়ি ভেঙে ফেলে তার কলকব্জা নিয়ে খেলার আনন্দের সমতূল্য। সুররিয়াল ছোটগল্প অনেক পড়েছি। কিন্তু আস্ত একটা উপন্যাস, তাও আবার বাংলা ভাষায়? আমার জন্যে এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। ছোটগল্পে অধিবাস্তবতা ধারণ করা যতটা সহজ উপন্যাসে তা মোটেও নয়, আর এক্ষেত্রে একটি বা দুটো দৃশ্যকল্প নয় পুরো উপন্যাসটিই তেমন, এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তা বহাল থেকেছে। বিচ্যুতি নেই বললেই চলে, আরোপিত মনে হয় নি কোথাও। সংলাপগুলো ভারী, দীর্ঘ এবং মর্যাদাময়। মঞ্চনাটকের মতো। কিছু কিছু দৃশ্যকল্প ভায়োলেন্ট, ভীতি উদ্রেককারী এবং আনকোরা। পড়তে পড়তে বইটি রেখে চোখ বন্ধ করে সেসবের দৃশ্যায়ন করতে ইচ্ছে জাগে।
বইটিতে অজস্র ছোট ছোট অধ্যায় আছে। নামগুলোও অভিনব। যেমন,জিভকর্তন, মিত্রসঙ্গম, মানপর্ব, মায়াপর্ব, ভ্রান্তিযজ্ঞ, যুগলাবশেষ প্রভৃতি। এটা পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখার জন্যে চমৎকার কৌশল নিঃসন্দেহে।
উপন্যাসটির নির্মাণে লেখক অত্যন্ত যত্নশীল ছিলেন। কোথাও সুর কেটে যায় নি। আগাগোড়াই নিচ্ছিদ্র এবং পাঠকের নিবিড় মনোযোগ প্রার্থী এই উপন্যাসটিতে পাঠক তার ভাবনার আকাশে নতুন একটি নক্ষত্র খুঁজে পাবেন এই আশাবাদ আমার যৌক্তিক বিশ্বাস।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। বই কিন্তু হারিয়ে যায় নি। কাঁটাবনের কনকর্ড এম্পোরিয়ামের বেজমেন্টে অনুপ্রাণনের অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। শুভেচ্ছা।
২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:২৩
আবু শাকিল বলেছেন: কাল্কা পড়মু - ঘুমাতে যাইগা
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত।
৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৩২
তানজির খান বলেছেন: অসম্ভব বড় রিভিউ। কিছুটা তারাহুরা করে পড়েছি শেষের দিকে। ভাল লাগলো রিভিউ। শেষে আপনার গাঢ় বিশ্লেষণ ভাল লাগলো।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলে বইটা এত বেশি মেটাফরিক এলিমেন্ট দিয়ে ভরা, যে সবকিছু আলোচনায় আনতে গেলে মূল বইয়ের দ্বিগুণ আকৃতির হয়ে যাবে। আমি চেষ্টা করেছি সংক্ষেপ করতে।
শুভ রাত জাগরণ।
৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৩৪
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কিন্তু আমি যে চলে এসেছি কর্মস্থলে!!
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: তাহলে কী আর করা!
৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৪৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অনেক দিন পর একটা দীর্ঘ রাত জাগা সার্থক হইছে। মনের মত একটা রিভিউ পড়লাম। বইটা কেনার প্রতি আগ্রহ জন্মেছে।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ কাণ্ডারি ভাই। বইটি পড়ে আপনার মতামত জানালে ভালো লাগবে।
৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:১৬
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: প্রিয়তে রেখে দিলাম , কাল পড়বো ।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওকে। শুভভোর।
৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:২২
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আমার এখানে শুভরাত রাত ১০ : ২০
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আগায় আছেন নাকি পিছায় আছেন বুঝতাসি না।
৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫৯
উল্টা দূরবীন বলেছেন: রিভিউটা বড় হলেও একদম যথার্থ। খুব ভালো লাগলো।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০৯
সুমন কর বলেছেন: প্রাণভোমরা লাইনটি পড়েই রিভিউ পড়া শুরু করলাম। দারুণ রিভিউ হয়েছে। যদিও একটু কঠিন..
উপন্যাসটির নির্মাণে লেখক অত্যন্ত যত্নশীল ছিলেন। কোথাও সুর কেটে যায় নি। আগাগোড়াই নিচ্ছিদ্র এবং পাঠকের নিবিড় মনোযোগ প্রার্থী এই উপন্যাসটিতে পাঠক তার ভাবনার আকাশে নতুন একটি নক্ষত্র খুঁজে পাবেন এই আশাবাদ আমার যৌক্তিক বিশ্বাস। - লেখকের নাম শুনিনি। বইটির নাম মনে রাখলাম। পেলে নিয়ে নেবো।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন।
অনুপ্রাণন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হামিম কামাল-এর "জঠর" উপন্যাসটি পাওয়া যাচ্ছে অনুপ্রাণন প্রকাশনের প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্রে (বি-৬৪/বি-৫৩ কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স, কাঁটাবন, ঢাকা)।
অথবা ঘরে বসে ক্যুরিয়ারের মাধ্যমেই অনুপ্রাণন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত আপনার পছন্দের বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। তালিকা থেকে আপনার পছন্দের এক বা একাধিক বই বেঁছে নিন। তালিকায় লেখা মূল্য হিসাব করে বিকাশ করুন আমাদের বিকাশ একাউন্টে ( বিকাশ একাউন্ট নম্বর- ০১৯১৯-৫২০৪৭৩, ০১৬১৯-৮০৯২৩৫) এবং বিকাশে পাঠানো টাকার পরিমান, TrxID, বইয়ের নাম, সংখ্যা এবং টেলিফোন নম্বরসহ প্রাপকের পূর্ণ ঠিকানা এসএমএস করে পাঠিয়ে দেন এই নম্বরে- ০১৭৬৬৬৮৪৪৩৬। কোন ক্যুরিয়ার খরচ ছাড়াই বইটি/বইগুলো আপনার কাছে পৌঁছে যাবে সুন্দরবন ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে।
বইয়ের তালিকা ও মূল্যের জন্য দেখুন- Click This Link
১০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৪
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
marattok anaLysis hoise! ✌
chapter names guLa purai unique.
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: এরকম প্রায় পঞ্চাশটার ওপর অধ্যায় রয়েছে। সবগুলো দেয়া গেলো না। হাতে প্রচুর সময় থাকলে বইটা পড়তে পারো। যদিও ১১২ পৃষ্ঠার বই পড়তে দুই ঘন্টার বেশি লাগার কথা না। তবে আমি ছয় ঘন্টা লাগায়া পড়ছি।
১১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমাকে যদি এই উপন্যাসের রিভিউ লিখতে বলা হতো, আমি ফেল করতাম নির্ঘাত। কোন এক দুর্বোধ্য কারণে লেখকের প্রতি ভীষণ রকম মায়ায় আপ্লুত তাই তার বইয়ের রিভিউ লিখলে সেখানে অন্ধ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশই ঘটতো হয়ত। এই উপন্যাসতি কিনেছি কিন্তু এখনো পড়া ধরিনি। দেখেছি এক একটি অধ্যায়কে লেখক বিভিন্ন নামকরণে ভাগ করেছেন। লেখকের লেখা এবং চিন্তাশীল মন্তব্যের, তার ভাবনার ভক্ত বা পাঠক হয়েছিলাম চতুর্মাত্রিক ব্লগ থেকে। লেখককে একবার জিজ্ঞেসও করেছিলাম সে প্রায়শই জটিলভাবে তার " সৃষ্টি"কে কেন উপস্থাপন করেন? সব পাঠকের গ্রহণক্ষমতা বা ধারণক্ষেত্র এতোটা রিচ নাও হতে পারে, সাবলীল লেখার পাঠকরা যদি তার লেখা পড়তে গিয়ে দুর্বোধ্যতার কারণে তার লেখাকে দূরে সরিয়ে রাখে তাহলে এমন একজন " সুলেখক"কে পাঠক চিনতেই পারবে না। সে শুধুই হেসেছে আর বলেছে " বুবু, সব লেখার পাঠকই আছে, অল্প পরিমাণে হলেও আছে।"
লেখকের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
আর হাসান মাহবুব, আপনার রিভিউটা চমৎকার হয়েছে। প্রিয়তে রাখলাম।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: যাক...আপনার তাগাদায় কাজ হয়েছে ধরে নিতে পারেন। অবশ্য এটা নিয়ে রিভিউ লেখার কথা মিড ফেব্রুয়ারি থেকেই ভাবছিলাম। বইমেলার সময় রিভিউটা দিলে খুব ভালো হতো। গল্প লিখতে লিখতে একঘেয়েমী লেগে গেছে। এখন প্ল্যান আরো কিছু বইয়ের (সবগুলোই ব্লগারদের) রিভিউ লিখবো। আমি জানতাম আমার কেনা বইগুলোর মাঝে জঠর সবচেয়ে জটিল হবে। তাই আগেভাগে পড়ে নিলাম। এর ফলে অপেক্ষাকৃত সহজপাচ্য বইগুলি পড়তে বাড়তি মনোযোগ দেয়া লাগবে না।
শুভেচ্ছা অপর্ণা।
১২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০৭
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: অনেক প্রাজ্ঞ ব্যক্তি বলেন সব গল্প নাকি বলা শেষ। তাই বলে কি গল্প উপন্যাস লেখা থেমে থাকবে? মোটেও না। পুরোনো, ক্লিশে, চর্বিত চর্বন কাহিনীকে সৃজন আল্পনায় রাঙিয়ে নতুন করে বলতে হবে। একদম মনের কথা বলেছেন।
চমৎকার রিভিউ।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০২
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
রিভিউ তে যেভাবে আটকে ছিলাম জঠরেও বোধহয় আটকে যাবো।
হা হা!!! একলাইন। অনেককাল যথেষ্ট সময়। প্রথম লাইনটাতেই অসাধারণত্ব। +
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা রাজপুত্র। ভালো থাকুন।
১৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এমন উপন্যাস নিঃসন্দেহে অভিনব। কতোটা গ্রহণ করতে পারবো সেটাই বড় ব্যাপার।
চমৎকার রিভিউ
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু। একটা ট্রাই নিয়ে দেখতে পারো।
১৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩০
বিজন রয় বলেছেন: অতুলনীয় রিভিউ। লেখার প্রতি আপনার কমিটমেন্ট ভাল লাগে।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো।
১৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: চমৎকার রিভিউ। যদিও বা তুলনামূলক ভাবে বই রিভিউটা একটু বড়। তবে প্রথম ও শেষ অংশটুকু পড়েছি। এটুকু যতক্ষণ পড়ছিলাম এক মোহনীয়তায় আটকে ছিলাম।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: বইটি পড়ে ফেলেন। ভাতের স্বাদ কি আর চিড়ায় মেটে!
১৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৬
তাসলিমা আক্তার বলেছেন: রিভিউ পড়ে উৎসাহিত হলাম। বই কেনা নাই। কিনে পড়ে ফেলবো। রিভিউই এতো ভালো না জানি মূল উপন্যাস কেমন! আমার কাছে অবশ্য লেখার স্টাইল অনেক বড় ব্যাপার। নিশ্চয়ই ভালো লেখনি।
আপনার এবং লেখক দুজনের জন্যই শুভেচ্ছা।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
অনুপ্রাণন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হামিম কামাল-এর "জঠর" উপন্যাসটি পাওয়া যাচ্ছে অনুপ্রাণন প্রকাশনের প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্রে (বি-৬৪/বি-৫৩ কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স, কাঁটাবন, ঢাকা)।
অথবা ঘরে বসে ক্যুরিয়ারের মাধ্যমেই অনুপ্রাণন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত আপনার পছন্দের বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। তালিকা থেকে আপনার পছন্দের এক বা একাধিক বই বেঁছে নিন। তালিকায় লেখা মূল্য হিসাব করে বিকাশ করুন আমাদের বিকাশ একাউন্টে ( বিকাশ একাউন্ট নম্বর- ০১৯১৯-৫২০৪৭৩, ০১৬১৯-৮০৯২৩৫) এবং বিকাশে পাঠানো টাকার পরিমান, TrxID, বইয়ের নাম, সংখ্যা এবং টেলিফোন নম্বরসহ প্রাপকের পূর্ণ ঠিকানা এসএমএস করে পাঠিয়ে দেন এই নম্বরে- ০১৭৬৬৬৮৪৪৩৬। কোন ক্যুরিয়ার খরচ ছাড়াই বইটি/বইগুলো আপনার কাছে পৌঁছে যাবে সুন্দরবন ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে।
বইয়ের তালিকা ও মূল্যের জন্য দেখুন- Click This Link
১৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৭
কল্লোল পথিক বলেছেন:
অনেকটা বড় কিন্তু চমৎকার রিভিউ।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো কষ্ট করে পড়ার জন্যে।
১৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৯
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: হুম! কোথায় পাব তারে?
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনুপ্রাণন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হামিম কামাল-এর "জঠর" উপন্যাসটি পাওয়া যাচ্ছে অনুপ্রাণন প্রকাশনের প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্রে (বি-৬৪/বি-৫৩ কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স, কাঁটাবন, ঢাকা)।
অথবা ঘরে বসে ক্যুরিয়ারের মাধ্যমেই অনুপ্রাণন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত আপনার পছন্দের বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। তালিকা থেকে আপনার পছন্দের এক বা একাধিক বই বেঁছে নিন। তালিকায় লেখা মূল্য হিসাব করে বিকাশ করুন আমাদের বিকাশ একাউন্টে ( বিকাশ একাউন্ট নম্বর- ০১৯১৯-৫২০৪৭৩, ০১৬১৯-৮০৯২৩৫) এবং বিকাশে পাঠানো টাকার পরিমান, TrxID, বইয়ের নাম, সংখ্যা এবং টেলিফোন নম্বরসহ প্রাপকের পূর্ণ ঠিকানা এসএমএস করে পাঠিয়ে দেন এই নম্বরে- ০১৭৬৬৬৮৪৪৩৬। কোন ক্যুরিয়ার খরচ ছাড়াই বইটি/বইগুলো আপনার কাছে পৌঁছে যাবে সুন্দরবন ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে।
বইয়ের তালিকা ও মূল্যের জন্য দেখুন- Click This Link
২০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৭
নাজমুস সাকিব রহমান বলেছেন: উপন্যাসের নামটি আমাকে আকর্ষণ করেছিল। সুন্দর নাম। বইমেলাতে অনুপ্রাণনে ঢুঁ মেরেছিলাম। প্রচ্ছদও চমৎকার। বইটি সংগ্রহ করেছি। এখনো পড়া হয় নি। আপনার রিভিউ চমৎকার হয়েছে। শুভেচ্ছা।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো।
২১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৯
মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: এটা পড়ে যে আনন্দ আমি পেয়েছি তা অনুসন্ধিৎসু শিশুর বাবার হাতঘড়ি ভেঙে ফেলে তার কলকব্জা নিয়ে খেলার আনন্দের সমতূল্য।
সমগ্র বইটির মাহাত্য বুঝাতে এই একটি বাক্যই যথেষ্ট। অসম্ভব চমৎকার রিভিউ ছিলো।
০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।
২২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৪
রোদেলা বলেছেন: অনুপ্রানন থেকে বইটা আগে নিতে হবে,না হলে আমি কিছুই বুঝবোনা।
০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: তা ঠিক।
২৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৬
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: আপনার রিভিউটাই তো এক অনবদ্য সৃষ্টি । এর থেকেই তো বোঝা যায় উপন্যাসটি কতটা উপভোগ্য হবে । কারণ অমনটা যদি না হতো তবে আপনার এমন অলঙ্কার মাখানীয় রিভিওটাও হতো না !
০৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, এটা ঠিক যে উপন্যাসটি অসাধারণ বলেই রিভিউটা ভালো হয়েছে, চেষ্টা করেছি আর কী। ভালো কিছু পড়লে সবার সাথে শেয়ার করার আনন্দটাই অন্যরকম।
ভালো থাকবেন।
২৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:০৫
আদ্রিতা বলেছেন: বাহ্! দারুণ রিভিউ।
"আর অন্যদিকে মোম এবং সোমা! প্রকৃতির অবাধ্য সন্তান। শারীরিক প্রবৃত্তি যে তাদের ছিলো না তা নয়। কিন্তু হৃদয়বৃত্তিক অনুভূতির অনুরণনেই তারা কম্পিত ছিলো সবসময়।"
রিভিউর প্রথম লাইন পড়ে মনে হয়েছিলো লেখক খুব সহজে এতো ভারী একটা বিষয় নিয়ে নিজের মতো করে একটা লানটা লিখে ফেলেছেন। পরবর্তিতে বিশ্লেষণ আর প্রাসঙ্গিকতা পড়ে চমকে গিয়েছি। পাঠককে এভাবে চমকে দেয়ার ক্ষমতা খুব কম লেখকের থাকে।
০৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক আদ্রিতা। অনেক ভালো থেকো।
২৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৭
আরজু পনি বলেছেন:
দারুণ রিভিউ...পুরাই ক্লাসিক্যাল
পড়তে পড়তে ভাবছিলাম কিনবো...
অনুপ্রাণন-এর বই শুনে সেই আগ্রহ আরো বেড়ে গেল।
দারুণ একটা কাজ করেছেন ।
খেলা দেখতে যাই...
০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু পনি আপু। খেলা মনে হয় হারুম। মাহমুদুল্লাহর মত আর কেউ দুইডা বাড়ি দিতে পারলো না
২৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩২
শায়মা বলেছেন: এই লেখককে আমি কি চিনি? মানে আমাদের ব্লগে লিখেন? বুঝতে পারছি না। তবে হামা বেবিভাইয়ু তোমার রিভিউ পড়ানোর জন্য আর তাকে চেনানোর জন্য থ্যাংকস!
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: মূলত চতুর্মাত্রিকে লিখতো। এই ব্লগেও একাউন্ট আছে, তবে খুবই অনিয়মিত।
কী আশ্চর্য, তাকে খুঁজতে গিয়ে প্রথম যে পোস্টটা পেলাম তাতে করা একমাত্র মন্তব্যটা আপনারই
হামিম কামাল এর লেখা-সেক্যুলারিজম
২৭| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪০
জেন রসি বলেছেন: মেটাফোরিক মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান মনে হলো। আমাদের দেশে মায়াবাস্তব কিংবা জাদুবাস্তবতার নিরিখে খুব কম লেখকই কাহিনীকে সাজাতে পছন্দ করেন। আপনার রিভিউটা চমৎকার হয়েছে হামা ভাই।
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জেন রসি। বইটা আপনার ভালো লাগবে বলে মনে করি।
২৮| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭
শায়মা বলেছেন: হায় হায় সেই কবেকার কথা!!!!!!!!!!!!!!!!
তুই কত দূরে চলে গেলি বনগোলাপের বনভূমে.....
~~ তাহাদের কথা~~
আমার এসব পোস্টেও দেখছি ভাইয়াটার কমেন্টস আছে।
আমাকেও মনে হচ্ছে চতূর্মাত্রিকে যেতে হবে।
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: চতুর্মাত্রিক একটা দারুণ ব্লগ ছিলো। এখন ধুধু মরুভুমি
২৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: পড়দে গিয়ে দেখি বেশ বড় রিভিউ, পড়লুম, ভাল লাগল। বইটা কিনব।
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।
৩০| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫১
মহান অতন্দ্র বলেছেন: ফেবুতেই পড়েছিলাম ভাইয়া। লিংক দিয়েছিলেন। ভাল লেগেছিল।
০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ তন্দ্রা। শুভেচ্ছা রইলো।
৩১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৭
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: সঙ্গম ক্ষমতা হারালে মানুষের চামড়া কুঁচকে যায়, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস্ব পায়, ক্রমশ অথর্ব হয়ে উঠে মৃত্যুর জন্যে অপেক্ষা করতে থাকে তারা। নিষ্ঠুর প্রকৃতি তাদেরকে বুঝিয়ে দেয়, "এবার চলে যাও বাছা, তোমার প্রয়োজন ফুরিয়েছে!
এটা পড়ে যে আনন্দ আমি পেয়েছি তা অনুসন্ধিৎসু শিশুর বাবার হাতঘড়ি ভেঙে ফেলে তার কলকব্জা নিয়ে খেলার আনন্দের সমতূল্য।
সংলাপগুলো ভারী, দীর্ঘ এবং মর্যাদাময়। মঞ্চনাটকের মতো।
সুররিয়াল মঞ্চ নাটক দেখেছি মণিপুরি নাটকের দল রতন থিয়ামের হাত ধরে। উপন্যাসটির পর্যালোচনা ভালো লাগলো হাসান ভাই। কিন্তু যতটুকু বুঝতে পারছি জঠর উপন্যাসটির গল্প আর রতন থিয়ামের নাটকের গল্প বেশ অনেকটা কাছাকাছি।বিশেষ করে মুল গল্পের থিমটা। যদিও নাটকটির নাম এই মুহুর্তে মনে পরছেনা। তবে মনে পরবে আর উপন্যাসটিও আমি পড়ব আপনার ব্লগীয় হাত ধরে। ধন্যবাদ।
০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: কতদিন মঞ্চনাটক দেখা হয় না! নাটকটির নাম মনে পড়লে অবশ্যই জানাবেন। শুভেচ্ছা রইলো।
৩২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪
নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: বই পড়ি নি । তবে রিভিউটাই বেশ লাগল । আপনার লেখার স্টাইল এখনও বদলালো না । সেই অদ্ভুত হেয়ালীতে ভরা । কেমন যেন পরাবাস্তবতার ছোঁয়া থাকে ।
০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: পরাবাস্তব বই নিয়ে লিখতে গেলে তো সেই আদলটা চলে আসবেই!
অনেক ধন্যবাদ।
৩৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার রিভিউ। খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ
০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।
৩৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৭
আমিই মিসির আলী বলেছেন: রিভিউটা মেলা থাকা কালীন সময়ে পেলে ভালো হইতো।
০৯ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: তা হতো, কিন্তু বইটা আপনি সহজেই সংগ্রহ করতে পারেন। ১৯ নং এর উত্তর দেখুন।
৩৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১৩
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অত্যন্ত আকর্ষণীয়ভাবে সম্পন্ন করেছেন পুস্তকালোচনার মতো একটি বেশ কঠিন কর্ম!
অনিঃশেষ শুভকামনা প্রিয় কথাসাহিত্যিক।
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
১১ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৩৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
কি কারনে জানিনে, সাধারনত বই বা মুভি রিভিয়্যু আমার পড়তে ইচ্ছে করেনা ।
তবে এই রিভিয়্যুটির সাথে আপনার নামটি জড়ানো দেখে কৌতুহল হলো ।
শুধু কৌতুহলই মেটেনি , দেখলুম রিভিয়্যুটি নিজেই যেন একটি গল্প হয়ে উঠেছে । নিপুন চাষীর মতো জঠরের ভেতরে আর একটি সৃষ্টির বীজ বপন করে গেলেন যেন। সে বীজটি থেকে যে চারাগাছটি জন্মেছে তা বেড়ে উঠেছে মূল "জঠর" গল্পটিকে খানিকটা আঁকড়ে , খানিকটা কঞ্চির বেড়ার গা বেয়ে , খানিকটা মিহিন বাতাসে মাথা তুলে তুলে ।
হামিম কামাল যদি জঠরের ভেতরে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা ভ্রুণের কথা বলে থাকেন তবে আপনার এই রিভিয়্যুটি তাকে জরায়ুফুলের নির্যাস দিয়ে গেছে ।
১৩ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জী এস ভাই। কী সুন্দর করেই না বললেন!
৩৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫
দিয়া আলম বলেছেন: আমার বুঝতে সমস্যা হয় তবুও আপনার গল্প অনেক ভালো হয়, কাজে যাওয়ার পথে প্রায় পড়ি আপনার গল্প
ভালো থাকবেন ভাইয়া
অনেক অনেক ধন্যবাদ
১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৩৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৭
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অসাধারন রিভিউ।বইটার নাম জানা ছিল।কিন্তু এত্ত সুন্দর একটা বই তা জানা ছিল না।প্রিয় লেখক-ব্লগারের অসাধারন রিভিউ পড়েতো এখনই পড়ে ফেলতে ইচ্ছে হচ্ছে।সংগ্রহ করে পড়ব
২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অবশ্যই পড়া উচিত বইটি। অনেক ধন্যবাদ।
৩৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩০
শামীম আরেফীন বলেছেন: হামীম কামাল ভাই আমার প্রিয় মানুষ এবং প্রিয় লেখকদের একজন। "জঠর" পড়া আরম্ভ করেছি, এখনও শেষ হয়নি।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ে জানায়েন কেমন লাগলো।
৪০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৪
এহসান সাবির বলেছেন: নামটি টুকে নিলাম সাথে টুকে নিলসম কাঁটাবনের কনকর্ড এম্পোরিয়ামের বেজমেন্টে অনুপ্রাণনের অফিসের নাম।
ধন্যবাদ।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ে দেখেন। ভালো লাগবে আশা করি।
শুভেচ্ছা।
৪১| ০৯ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫
বিতার্কিক সাধু বলেছেন: বাহ বেশ লাগলো!
০৯ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব সাধু।
৪২| ১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:০৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: রসায়ে রসায়ে পড়েছিলাম। ভাগ্য খারাপ লেখকের অটোগ্রাফ নেওয়া হয় নাই। নেক্সট মেলায়...
২০ শে মে, ২০১৬ রাত ২:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখা হবে আশা করি। শুভরাত।
৪৩| ২৮ শে মে, ২০১৬ রাত ২:৫৩
নাহোল বলেছেন: দারুণ রিভিউ।
২৮ শে মে, ২০১৬ সকাল ৭:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:১৬
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: প্রকৃতিমাতার অশেষ অনুগ্রহেই কেবল সন্তান লাভের মত অবর্ণনীয় সুখের অনুভূতি ধারণ করা সম্ভব, প্রকৃতির এই খেয়ালে অনেকে নীরবে হারিয়ে যায়,অব্যক্ত যন্ত্রনায়।। বড্ড দুর্বল স্থানে আঘাত করেছেন লেখক।।
আপনার ৩ বছরের আর আমার ২৫ বছরের মেয়েও সেই ছোটবেলায় কিনে দেয়া কাঁশার হাড়ি-পাতিলে রেধে খাইয়েছে।।
দুঃখিত বইমেলার প্রথমদিকে বইটির খোজ পাই নি।।