নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই আলোচনা: এ্যান হ্যান্ডলের "Everybody writes"

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৫:৪৫



এভরিবডি রাইটস বইটিতে মার্কেটিং জগতের অন্যতম প্রসিদ্ধ ব্যক্তিত্ব এ্যান হ্যান্ডলে কী বলতে চেয়েছেন? সাদা কথায়, তার উদ্দেশ্য ছিলো লেখক তৈরি করা। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, লেখালেখির মত একটি সৃজনকার্য কি বই পড়ে শেখা যায়? কবিতার পঙক্তির মাঝে যে বহুমাত্রিক ব্যঞ্জনা, অনুভব এবং নিগূঢ় অর্থ বিদ্যমান তা কি হাজারটা বই পড়েও ব্যাখ্যা করা সম্ভব? অথবা হাজারটা বই পড়েও কি জীবনানন্দ দাসের সেই বিখ্যাত দুর্বোধ্য লাইন, "মহীনের ঘোড়াগুলি ঘাস খায় কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তরে" এমন করে লেখা যায়? উত্তরটা হলো, একই সাথে হ্যাঁ, এবং না। লেখালেখি, তা যে কোন ধরণের হোক না কেন, গল্প, কবিতা, বিজ্ঞাপন;ভালোভাবে রপ্ত করতে হলে প্রচুর পড়ার বিকল্প নেই। হ্যাঁ, প্রচুর বই পড়া, লেখালেখি সম্পর্কে পরামর্শ নেয়া ইত্যাদি অবশ্যই একজন লেখককে সাহায্য করতে পারে, তবে ৪ বছর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে যেমন একটা বিএসসি সার্টিফিকেট অর্জন করা যায়, লেখালেখির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা মোটেও তেমন না। বছরের পর বছর লেগে থাকলেও অনেকের নির্বাণ লাভ সম্পন্ন হয় না, আবার কেউ ঈশ্বরপ্রদত্ত প্রতিভায় ভাস্বর হয়ে সমৃদ্ধ করেন সাহিত্যকে। এ্যান হ্যান্ডলের বইটি লেখার উদ্দেশ্য অতটা উচ্চাভিলাষী নয়। তার বই পড়ে লেখক বনে গিয়ে একেকজন বেস্টসেলার বই লিখে ফেলবেন, জুতোয় লাল কার্পেটের মখমল স্পর্শ অনুভব করে সদম্ভে পু্রষ্কার নিতে বিচারকদের কাছে যাবেন, এমনটি তিনি আশা করেন না। তার তত্বটা সহজ। আমরা সবাই প্রতিদিন কিছু না কিছু লিখছি। বাজারের লিস্ট থেকে শুরু করে ফেসবুক স্ট্যাটাস, ই-মেইল অথবা অফিসের কাজে কোন রাইটিং সফটওয়্যারে লিখছিই। সুতরাং, আমরা সবাই লেখক। এই অতি ব্যস্ত, প্রযুক্তিময় নাগরিক জীবনে লেখালেখির গুরুত্ব কিন্তু কমে নি মোটেই, বড়ং তা বেড়েই চলেছে। ব্লগ, ফেসবুক, টুইটার; মোদ্দাকথা এই অনলাইন পৃথিবীর নেটিজেনরা লিখেই চলেছেন কিছু না কিছু প্রতিদিন। আর যেহেতু আমরা সবাই লিখছি, তাহলে লেখাগুলোকে প্রোপার চ্যানেলের মাধ্যমে মডিফাইড করে একটা অর্থকরী কাজে পরিণত করলে মন্দ হয় না নিশ্চয়ই। এই বইয়ে এ্যান হ্যান্ডলে মূলত মার্কেটিং পেশায় জড়িতদের “কনটেন্ট রাইটিং” এর দক্ষতা কীভাবে বাড়ানো যায় তার ওপরেই আলোকপাত করেছেন।
কনটেন্ট রাইটিং মানে যে কেবল ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বা অনলাইনে বিজ্ঞাপনের জন্যে লেখা, তা নয়। এর গভীরতা এবং পরিসর আরো ব্যাপক। একজন কন্টেন্ট রাইটারকে আরো নানা জায়গায় বিচরণ করতে হয়। ফেসবুক এবং টুইটারের কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও লিংকেডিন, ব্লগ, ই-মেইল ইত্যাদি রয়েছে। কোন ওয়েবসাইটের হোমপেজ কীভাবে সাজাতে হবে, কীভাবে সার্থক ইন্টারভিউ নেয়া যেতে পারে, এ্যানুয়াল রিপোর্ট লেখার ক্ষেত্রে কীসব ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে এসবও বেশ বিস্তৃতভাবে বলা হয়েছে। সুতরাং, বলা যায় যে বইটি মূলত কন্টেন্ট রাইটারদের জন্যে হলেও শুধুই তাদের জন্যে না। বইটি আধুনিক কর্পোরেট নাগরিকদের জন্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লিখন সহায়িকা।
লেখালেখির ক্ষেত্রে এ্যান হ্যান্ডলের মনোভাব বেশ চাছাছোলা। আবারও উল্লেখ করা দরকার, এটা বানিজ্যিক লেখালেখির ক্ষেত্রে; সাহিত্যে নয়। তার কথা হচ্ছে, লেখাটা যাদের পেশা তারা প্রতিদিন লিখতে বাধ্য। “রাইটারস ব্লক” একটা বাজে কথা। কেন, কোন ট্রাক ড্রাইভারের তো “ড্রাইভিং ব্লক” হয় না। লেখালেখির ক্ষেত্রে তাহলে কেন এমন হবে? তিনি মনে করেন, কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম এবং পরামর্শ মেনে চললে সাচ্ছ্যন্দে লেখালেখি করা সম্ভব। এটা যতটা না শিল্প তার চেয়ে বেশি বিজ্ঞান। আর এই বিজ্ঞানটি আত্মস্থ করার জন্যে প্রয়োজন চর্চার। যেন এটি একটি অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায়। তবে তার মানে এই না যে প্রতিদিন কাজের বাইরে মানবিহীন জগাখিচুড়ি লেখা লিখে পৃষ্ঠা ভরাতে হবে। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, “Don’t write a lot, but write often”.
বইটিতে কন্টেন্ট রাইটিংয়ের জন্যে প্রচুর পরামর্শ এবং বিখ্যাতদের উক্তি আছে। এতসব কিছুর মধ্যে নিউক্লিয়াস হলো একটি পরামর্শ, বইটির দ্বিতীয় অধ্যায়েই যা বিবৃত আছে। তা হলো, “Brevity and clarity matter more than ever”.
লেখাকে হতে হবে সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট। অল্প কথায় যদি মূলভাবটি প্রকাশ করা যায়, তাহলে বেশি বকে লাভ কী! এমন তো না যে বেশি শব্দের জন্যে আপনি বেশি পারিশ্রমিক পাচ্ছেন! তাহলে কী দরকার খামোখা কষ্ট করার? অবশ্য ছোট করে লেখাটা যে খুব আয়াসসাধ্য তা নয়। বরঙ এটিই বেশি কঠিন এবং উচ্চদক্ষতার ব্যাপার। কেন লেখার দৈর্ঘ্য কমানোর কথা বলেছেন তিনি? উত্তরটা খুব ছোট্ট এবং সহজ। বড় লেখা কাস্টমারকে ধৈর্য্যচ্যূত করতে পারে, তিনি বিরক্ত হতে পারেন। ফলে, যত্ন নিয়ে লেখা কনটেন্টটি একদম জলে যাবে। এ তো গেলো Brevity’র ব্যাপারটা। এবার আসা যাক clarity’র প্রসঙ্গে।
একজন কন্টেন্ট রাইটারকে জাত সন্দেহবাদী হতে হবে। নিজেকে অনবরত প্রশ্ন করে যেতে হবে। কেন আমি এটা লিখলাম? কাদের জন্যে লিখলাম? তারা কী পড়বে? পড়ার পর কি/কী ভাববে? তাদের মনে কী কী প্রশ্ন জাগতে পারে? উত্তরগুলো কি লেখাতে আছে? লেখায় ভোক্তার জন্যে কী আছে? নিশ্চিত হতে হবে যে এসব প্রশ্নের যথাযথ এবং স্পষ্ট উত্তর লেখায় আছে। তবেই না একটা সার্থক কন্টেন্ট রাইটিংয়ের উদাহরণ হতে পারে তা! লেখার দক্ষতা বাড়ানোর জন্যে আরো একটি চমৎকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ঐ অধ্যায়েই। “What matters now isn’t storytelling; what matters is telling a true story well.”

মার্ক টোয়েন একটি চমৎকার কথা বলেছেন লেখালেখি প্রসঙ্গে। সেটি এই বইটিতেও অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবৃত হয়েছে। “Writing is easy, all you have to do is cross out the wrong words.” কত পুরোনো অথচ কী ভীষণ অর্থপূর্ণ একটি কথা! মার্ক টোয়েন মূলধারার সাহিত্যের লেখক ছিলেন। কন্টেন্ট রাইটার ছিলেন না। অথচ তার এই উক্তিটি এ্যান হ্যান্ডলের কর্পোরেট শাসিত লেখালেখির বইয়ের জন্যেও সমান গুরুত্ববাহী। অপ্রয়োজনীয় শব্দগুলো ছেটে ফেলে দিলে লেখার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় নিঃসন্দেহে। হয়তো বা সাধারণ পাঠকদের কাছে তা সেভাবে চোখেও পড়বে না, তবে এটি এবং এরকম আরো অনেক ছোটখাটো ব্যাপারের সমন্বয়েই একটি ভালো স্ক্রিপ্ট সৃষ্টি হয়, এবং পাঠক অথবা ভোক্তা তাতে আকৃষ্ট হন। কন্টেন্ট রাইটিং এর মূল ধারাটাই হলো ছোট বাক্যের ম্যাজিক তৈরি। ১০০ পৃষ্ঠার কাব্যনাট্য অথবা দশ লাইনের আধুনিক গদ্যকবিতার ক্ষেত্রে এটি কার্যকর নয়, তবে কনটেন্ট রাইটিংয়ের জগতে এটা নিঃসন্দেহে একটা অসাধারণ সূত্র।

এর আগে উল্লেখ করা হয়েছে লেখালেখির ক্ষেত্রে ‘ব্লক’ বলে কিছু নেই বা থাকা উচিত না। বোশেখ মাসের ঝড়-বিজলী নিয়ে লিখতে হলে একজন কবির হয়তো বা খোলা ছাদ আর মেঘের প্রাচীর দরকার পড়ে, কিন্তু কন্টেন্ট রাইটারের তো আর সে সুযোগ নেই! তাকে তার ডেস্কে বসে মাথা গুঁজে লিখে যেতেই হবে। এখানে ‘মুড’ আসার তেমন কোন বিষয় নেই। তবুও, মানুষ তো আর যন্ত্র না! শব্দখরা মাঝেমধ্যে পেয়ে বসতেই পারে। সেক্ষেত্রে কী করা যেতে পারে? বইটিতে এ ব্যাপারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেয়া হয়েছে। যথা,

দ্যা আগলি ফার্স্ট ড্রাফট- লিখতে থাকুন যেভাবে ইচ্ছে, যেমন খুশি তেমন। ব্যকরণগত ভুল, বানান নিয়ে সন্দেহ, বাক্যগুলো সুন্দর হচ্ছে কি না এসব নিয়ে না ভেবে লিখে যান। শুধু খেয়াল রাখবেন বাক্যগুলি সম্পূর্ণ হচ্ছে কি না। এই লেখার একমাত্র পাঠক হচ্ছেন লেখক। আর কেউ তা দেখছে না(স্টিফেন কিং এ সম্পর্কে বলেছেন, writing the door closed)। লেখা হয়ে গেলে থামুন। একটু সময় নিন। ঘুরে আসুন কোথাও থেকে। মানে ঠিক বাইরে গিয়ে ঘুরে আ্সা নয়! মনটাকে নিয়ে যান অন্য কোথাও! ভাবুন। “থিঙ্ক বিফোর ইউ ইংক”। কোথায় কী যোগ করতে হবে, কী বাদ দিতে হবে এসব নিয়ে ভাবুন এবং টুকে রাখুন। এডিটিং শেষে শব্দগুলোকে সাজান ঠিকমত।

ডিয়ার মম- ধরুন আপনাকে বলা হয়েছে এলইডি বাল্ব নিয়ে দুইশ শব্দের একটা স্ক্রিপ্ট লিখতে। মাথায় কিছু আসছে না। লেখার আগ্রহ বা উৎসাহও পাচ্ছেন না। দ্যা আগলি ফার্স্ট ড্রাফট নিয়মটাও ব্যবহার করতে চাইছেন না। তাহলে কী করা যায়? মনে করুন, আপনি মা’র কাছে লিখছেন এলইডি বাল্ব নিয়ে। তার কাছে লিখতে হলে কীভাবে লিখতেন? মনে করুন, এই ইট-কংক্রিটের পাথুরে বানিজ্যিক শহর, ফরমায়েশি লেখা সবকিছু থেকে পালিয়ে ফিরে গেছেন শেকড়ে, সেই প্রিয়তম আশ্রয়ে “প্রিয় মা, কেমন আছো? জানো আজকে একটা দারুণ জিনিসের সন্ধান পেলাম। এলইডি বাল্বের নাম শুনেছো? মনে আছে তোমার নিশ্চয়ই ছোটবেলায় লাইট জ্বালিয়ে রেখে ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্যে কত বকেছো আমাকে? বকবে নাই বা কেন! বিদ্যুতের যা বাড়বাড়ন্ত দাম! আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্যে সেটা এক অমার্জনীয় বিলাসিতা ছিলো...”
এভাবে লিখতে থাকুন। লেখা শেষে ঘষে মেজে এটাকে একটি কমার্শিয়াল শেপ দিন। শুধু যে মায়ের কাছেই লিখতে হবে এমন কোন নিয়ম নেই। কার কাছে আপনি সবচেয়ে কম্ফোরটেবল? ভাই,বোন, প্রেমিকা? অথবা একদম অপরিচিত কারো কথা ভেবে লিখতে চাচ্ছেন? চেষ্টা করেই দেখুন না! এটি বেশ কার্যকর পদ্ধতি।

এ তো গেলো ব্লক কাটানোর উপায় নিয়ে কথা। এছাড়াও লেখাকে গুরুত্বপূর্ণ এবং দক্ষ করে তোলার জন্যে উপায় বাৎলে দেয়া হয়েছে।

শুরুটা কীভাবে করছেন সেটাই সবচেয়ে জরুরি ব্যাপার। শুরুতে মূল বিষয় বা ভাবনার উপস্থিতি থাকলে ভালো হবে। কী নিয়ে লিখছেন? কোন বিষয় বা চরিত্রটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ? সেটি মাথায় রাখতে হবে। ধরুন আপনি প্রতি বছর বন্যায় পৃথিবীতে কত মানুষ মারা যায় সেটি নিয়ে লিখছেন। সেক্ষেত্রে যদি এভাবে লেখেন,
“বাংলাদেশ নদী গবেষণা পরিষদের ২০১৫ সালের বার্ষিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে প্রতিবছর আনুমানিক দুই হাজার মানুষ বন্যায় মারা যায়”
সেটি ঠিক হবে না। কারণ, আপনি লিখছেন বন্যায় মৃত মানুষদের নিয়ে। নদী গবেষকরা মূল বিষয় নয়। তাই এভাবে লিখলে ভালো হয়,
“প্রতিবছর আনুমানিক দুই হাজার মানুষ বন্যায় মারা যায়,বাংলাদেশ নদী গবেষণা পরিষদের ২০১৫ সালের বার্ষিক রিপোর্টে এ তথ্য পাওয়া গেছে”।

ভোক্তাদের সাথে কথা বলার ভঙ্গিতে লিখুন। মনে রাখতে হবে, তারা প্রডাক্টটি কিনবে না কি কিনবে না তার জন্যে আপনার ওপরেই নির্ভর করে আছে কাস্টমারেরা। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন, আর পাঠকদেরও প্রভাবিত করুন যেন তারা আপনার কাঁধে মাথা রাখতে পারে। মোদ্দা কথায়, ভরসার জায়গাটা যেন তৈরি হয়।

জনপ্রিয় গান, কবিতা বা শ্লোগান ব্যবহার করতে পারেন। পণ্যের বিপননের স্বার্থে লাইনগুলো বদলে নিতে পারেন। এটা বহুল চর্চিত একটি বিজ্ঞাপনাভ্যাস! মনে রাখতে হবে, “Art begins in imitation and ends in innovation.”

মাথার মধ্যে সবসময় গল্প চালু রাখুন। চারিপাশে খেয়াল রাখুন। রাস্তার পাশের ল্যাম্পপোস্টের গায়ে সাঁটানো বিজ্ঞাপনগুলো পড়ুন। বিলবোর্ড, সার্ভিসিং সেন্টারের দরজার বিজ্ঞাপন এবং ট্যাগলাইনগুলো পড়ুন। কীভাবে আরো ভালো করা যেতো সেগুলো, তা ভাবুন। এমন চর্চায় রাখলে প্রয়োজনীয় সময়ে মগজের ধুসর কোষগুলো থেকে সৃষ্টিশীল গল্পগুলো আসতে সময় নেবে না। এ প্রসঙ্গে এ্যান হ্যান্ডলে তার ব্যক্তিগত একটি অভিজ্ঞতার কথা বয়ান করেছেন। সেসময় তিনি ছোট্ট একটি নিউজ এজেন্সিতে কাজ করতেন। একবার তার নিউজরুমে যেতে দেরী হলো, এবং তিনি এই বলে উষ্মা প্রকাশ করলেন যে, লেখার মতো কোন ‘স্টোরি’ই নেই। তার ঊর্ধতন এ কথা শুনে বললেন,
“There’s always a story there, he said, even if it’s not the one you were expecting to write.”
এই পরামর্শটি পরবর্তীতে তার কর্মজীবনে অনেক কাজে এসেছিলো।

নিজস্বতা বজায় রাখুন। মনে রাখবেন আপনার চেয়ে ভালো অনেক লেখক আছেন, সবসময়ই থাকবেন। কিন্তু আপনি, আপনিই! আপনার কোন তুলনা নেই। “The more personal you are, the more universal you become,”
মানুষের আবেগকে স্পর্শ করুন। স্কাইপির একটি বিজ্ঞাপনে দুজন হাতবিহীন মেয়েকে কথা বলতে দেখা যায়। ওই বিজ্ঞাপনে ব্যান্ডউইথ, ভিওআইপি, ডাটা প্যাকেট এসব কঠিন কঠিন টেকনিক্যাল টার্মের কথা কিছুই লেখা নেই। কিন্তু বিজ্ঞাপনটি বেশ সফল হয়েছিলো তবুও। মানুষের কাছাকাছি আসুন।

“Assume that your customer doesn’t know anything. But don’t think he is a village idiot”

কাস্টমার আপনার ওপর নির্ভরশীল, তাই তাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আপনার নখদর্পনে রাখতে হবে। হ্যাঁ, তারা হয়তো বা আপনার প্রডাক্ট সম্পর্কে কিছুই জানে না, আপনার দায়িত্ব তাকে সব জানানো। তবে এই জানানোর মধ্যে যেন কোনরকম আত্মগরীমা বা তাচ্ছিল্য প্রকাশ না পায়।

উপমার ব্যবহার আপনার লেখাকে আরো সুন্দর এবং শক্তিশালী করে তুলতে পারে। তাই যথাস্থানে উপমা ব্যবহার করুন। যেমন “তরমুজটি গোলাকার এবং প্রায় ছ ইঞ্চি ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট” এভাবে না লিখে লিখতে পারেন “তরমুজটি গোলাকার ,ফুটবলের মত”।

বইয়ের রিভিউ লিখতে গেলে ভালো ভালো কথা লেখার পাশাপাশি কিছু সমালোচনাও করাও দস্তুর! এত বিখ্যাত এবং টেকনিক্যাল বইয়ের সমালোচনা আমার মত আনাড়ীর জন্যে বিশেষ সাহসের ব্যাপার! তবে বইটির মাধ্যমেই সে সাহস অর্জন করেছি। যেহেতু পৃথিবীতে আমি একজনই, তাই আমার কথারও মূল্য আছে অবশ্যই। আমার পাঠ, আমার লদ্ধজ্ঞান, আমার সমালোচনা কারো সাথে মিলবে না, এ বিশ্বাস তৈরি হয়েছে।
প্রথমেই যেটা বলতে হচ্ছে তা হলো, বইটির ভাষা সহজ নয় খুব একটু। এই ধরণের বইয়ে সহজিয়া ভাবটা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজিভাষীদের কাছে এটা হয়তো বা কোন ব্যাপারই না, তবে আমি পড়তে গিয়ে হোঁচত খেয়েছি প্রায়শই। ডিকশনারিটা কাজে লেগেছে।
দ্বিতীয়ত, একই কথার পুনরাবৃত্তি হয়েছে বেশ অনেক জায়গাতেই। বিশেষ করে লেখার ভাষা সহজ এবং সংক্ষিপ্ত করা, নিজেকে বারবার প্রশ্ন করা, অডিয়েন্সের সাথে কথা বলা, এসব বিষয় বেশ কয়েক জায়গাতে প্রায় একইভাবে উপস্থিত, যা অপ্রোয়জনীয় মনে হয়েছে।
আর যে বিষয়টির অভাব অনুভব করেছি তা হলো, উদাহরণ। বইটিতে বর্ণনার প্রাধান্য রয়েছে, সে তুলনায় সংলাপ, উদাহরণ এসব অপ্রতুল। এগুলো থাকলে বইটি প্রাঞ্জলতর হতে পারতো।
সবশেষে বলতে হয়, এই বই পড়েই যে রাতারাতি দক্ষ কন্টেন্ট রাইটার হয়ে উঠবেন, তা নয়। তবে বইটি আপনাকে সাহস যোগাবে নিঃসন্দেহে।
বইটি কিনে নিতে পারেন আমাজন ডট কম থেকে। আমি একজনের কাছ থেকে গিফট পেয়েছি।

মন্তব্য ৭৮ টি রেটিং +৩২/-০

মন্তব্য (৭৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:০৫

মোঃ আমানউল্লাহ বলেছেন: দারুন রিভিউ...
অসংখ্য ধন্যবাদ....

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। শুভসকাল।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:১৫

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: হামা ভাই, বই এর কভার পেজ দেখে পোষ্টে ঢুইকা পড়ছি ঢাকা শহরের মতিঝিল-ফার্মগেট ৬ নম্বর বাসের চির চেনা ডায়লগ "এই বই পড়িলে আরও জানিতে পারিবেন ..............হো মো এরশাদ কবে কয় জনের সাথে ...........ইয়ে.........." ;) অথবা এই পড়িলে ............... হামা এর মতো লেখক হইতে পারিবেন ......... =p~ হতাশায় হতাশিত হইলাম লেখার মধ্যে খুঁজিয়া পাওয়া যায় নাই হামা কিভাবে গল্পের পলট খুঁজিয়া পায় B:-)

"“Brevity and clarity matter more than ever”.
লেখাকে হতে হবে সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট। অল্প কথায় যদি মূলভাবটি প্রকাশ করা যায়, তাহলে বেশি বকে লাভ কি! এমন তো না যে বেশি শব্দের জন্যে আপনি বেশি পারিশ্রমিক পাচ্ছেন! তাহলে কি দরকার খামোখা কষ্ট করার? অবশ্য ছোট করে লেখাটা যে খুব আয়াস সাধ্য তা নয়। বরং এটিই বেশি কঠিন এবং উচ্চ-দক্ষতার ব্যাপার।"

এই স্টেজের মধ্য দিয়া যাইতেছি। আমি লেইখা নিয়া যাই ২০ পৃষ্ঠা তারা কয় আইজকা বাসায় যাও বাছাধন পরের বার আসার সময় পিছনের শূন্যটা বাদ দিয়ে আইসো হে হে হে। মনে মনে কই পরের বার গেলে লেখার সাথে ১ টা চা-পাতি নিয়া যামু আর কমু লেখা নিবা নাকি গলায় বসাইয়া দিমু B-))

আপনি হয়ত জানেন তার পরেও তথ্যটা দিলাম Theory of cooperative games এর জনক গণিতবিদ জন ন্যশ এর পিএইচডি থিসিস ছিলো মাত্র ২৭ পৃষ্ঠার। যে থিসিস পৃথিবীর মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ব্যবস্হাকে উলট-পাটল করে দেয়। ২৭ পৃষ্ঠার ঐ পিএচডি থিসিস এনে দেয় নোবেল পুরষ্কার।

লেখাটা অসাধারণ হয়েছে হামা ভাই। প্রিয়তে রেখে দিলাম।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: জন ন্যাশ? যাকে নিয়ে আ বিউটিফুল মাইন্ড নির্মিত হয়েছিলো? হু, বস পাবলিক। পোস্টটি আপনার প্রিয়তে গেছে জেনে ভালো লাগলো। আরো অনেক কিছুই লেখর ছিলো। ৩২০ পৃষ্ঠার বই। তবে আমিও ব্রেভিটি মেইনটেন করেছি ;)

শুভেচ্ছা।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:০২

বিজন রয় বলেছেন: কি বলবো।

এত সংক্ষিপ্ত সময়ে কথা বলা ঠিক না।
আপনার এই লেখা ও বইটি পড়লেই না কথা বলা যাবে।

দেখা যাক........

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: সময় করে পড়ে ফেলুন। শুভেচ্ছা।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৪১

সুমন কর বলেছেন: পরে...

শুভ সকাল।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা।

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:১২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
marattok Likha hoise.
LED BuLber bepar ta comotkar Lagse!

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, আসলেই চমৎকার টেকনিক সেটা।

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫

তাসলিমা আক্তার বলেছেন: গুরুত্বপুর্ন এবং প্রয়জনিয় পোস্ট। প্রিয়তে রাখলাম মাঝেমাঝে পড়তে হবে।

লেখালেখি জন্য পড়াপড়ির কোনো বিকল্প নেই। ব্যাকরন ধরে লেখা যায় না, কিন্তু ব্যাকরনটা জানতে হবে।

রাইটার্স ব্লক কিন্তু আমারো হয়। কেউ সাবজেক্ট দিলেই আমার ব্লক শুরু হয়ে যায়। নাকি এটাকে সাবজেক্টস ফোবিয়া বলে।

যা হোক, ভালো লাগল।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ফরমায়েশি লেখা আসলেই ঝামেলার ব্যাপার। আমার এই লেখাটিও একজনের ফরমায়েশ ছিলো।

শুভেচ্ছা তাসলিমা।

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পেশাগত কাজে মাঝে মধ্যেই কন্টেন্ট রাইটিংয়ের দরকার পড়ে যায়। বইটি কাজে লাগবে সন্দেহ নাই। বইটি পাওয়ার জন্য একটু ঘাটাঘাটি করতে হবে।

এমনিতে আমার কিছু আইডিয়া আছে যেগুলো নিজে থেকেই বের করা। অবাক হয়ে দেখলাম, আপনার বইয়ের পরামর্শ/টিপসের সাথে একদম ম্যাচ হয়ে গেছে। :| :|


(পোস্টে +)

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: মজার ব্যাপার হচ্ছে আমাকেও কন্টেন্ট রাইটিংয়ের কাজ করতে হয়, এবং বইটিতে উল্লেখিত কিছু কর্মপদ্ধতির সাথে আমার ভাবনাও মিলে গেছে!

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩১

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার রিভিউ। বইটি পড়তে ইচ্ছা করছে। সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

কল্লোল পথিক বলেছেন: সুন্দর রিভিউ।
বইটি পড়ার ইচ্ছা আছে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: পড়ে দেখতে পারেন। শুভেচ্ছা।

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

কালনী নদী বলেছেন: “Don’t write a lot, but write often”. মনের মতন একটা রিভিউ দিয়েছেন, ভাল লেগেছে!
আপনাকে যে বইটা গিফট করেছেন তিনি আপনাকে অনেক পছন্দ করেন। হুমম প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম বইটি টরেন্ট করে সংগ্রহ করতে হবে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাটি উপকারে লাগলে খুশি হবো। অনেক ধন্যবাদ।

১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

ফেরদৌস প্রামানিক বলেছেন: অসম্ভব ভালো একটি রিভিউ। লেখালেখির জন্য এরকম একটি বই আমি অনেক আগে থেকেই খুজছিলাম। কৃতজ্ঞতা আপনাকে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে। ভালো থাকুন। শুভ বিকেল।

১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অসাধারণ কয়েকটি লাইন...

//মনে রাখতে হবে, “Art begins in imitation and ends in innovation.” // হাহাহা!

//“The more personal you are, the more universal you become, মানুষের আবেগকে স্পর্শ করুন।// এটি বাণিজ্যিক/সাহিত্যিক সকলের জন্যই প্রযোজ্য।

//“রাইটারস ব্লক” একটা বাজে কথা। কেন, কোন ট্রাক ড্রাইভারের তো “ড্রাইভিং ব্লক” হয় না।// :)
একই বিশ্বাস এই ব্লগারেরও। তবুও রাইটারস ব্লক কাটাবার কৌশলগুলো মন্দ না।

//কন্টেন্ট রাইটিং এর মূল ধারাটাই হলো ছোট বাক্যের ম্যাজিক তৈরি।// এই বাক্যটি সত্যিই ছোট ছিল ;)


চমৎকার রিভিউ। বইটি সার্বজনীন হবে কিনা জানি না, তবে রিভিউটি হয়েছে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: বইটি সার্বজনীন হবে না, তবে মার্কেটিং প্রফেশনালদের বেশ কাজে লাগতে পারে। কিছু কিছু লাইন আসলেই খুব ইন্সপায়ারিং। আরো ছিলো, সব দেয়া গেলো না। সোয়া তিনশ পৃষ্ঠার বই, বুঝতেই পারছেন!

শুভবিকেল মইনুল ভাই।

১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার একটি রিভিউ পড়লাম ।এ্যান হ্যান্ডলের ভরসা পেয়ে নিজেকেই লিখক লিখক মনে হচ্ছে । :D
বইটি প্রকাশকাল , মুল্য ????

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুরু করে দিন কনটেন্ট রাইটিংয়ের কাজ! সিভি দিতে থাকেন এ্যাড ফার্মগুলিতে।

বিস্তারিত জানতে এখানে দেখুন Amazon

শুভবিকেল।

১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

জেন রসি বলেছেন: মানুষের মনোযোগ সরে যাওয়ার মত উপাদান এবং উপায় দুটোই দিনদিন বেঁড়ে যাচ্ছে। তাই কাউকে নিজের লেখায় ধরে রাখতে চাইলে অপ্রয়োজনীয় অনেক কিছু বাদ দিয়ে দেওয়াই উত্তম উপায়। রিভিউ চমৎকার হয়েছে। মনোযোগ একবারও সরে যায়নি। :)

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জেন।

১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

শামছুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার বুক রিভিউয়ে চমৎকৃত কিছু খুঁজে পেলামঃ

//তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, “Don’t write a lot, but write often”. // -- ভাল পরামর্শ, না মানলে আখের ঝরঝরা !!!

//“Brevity and clarity matter more than ever”.
লেখাকে হতে হবে সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট। অল্প কথায় যদি মূলভাবটি প্রকাশ করা যায়, তাহলে বেশি বকে লাভ কী!//

-- অনেক জ্ঞানের কথা বলে নিজেকে জাহির করতে না পারলে কিসের লেখালেখি, কিসের সুখ?

//Writing is easy, all you have to do is cross out the wrong words.”//
-- অপ্রয়োজনীয় কথা, বাক্য খুঁজে বের করে বাদ দেওয়া- কঠিন কাজ। তবে করতে পারলে খুব ভাল।

//১০০ পৃষ্ঠার কাব্যনাট্য অথবা দশ লাইনের আধুনিক গদ্যকবিতার ক্ষেত্রে এটি কার্যকর নয়, তবে কনটেন্ট রাইটিংয়ের জগতে এটা নিঃসন্দেহে একটা অসাধারণ সূত্র।// ---- ভাল বলেছেন।

//writing the door closed)। লেখা হয়ে গেলে থামুন। একটু সময় নিন। ঘুরে আসুন কোথাও থেকে। মানে ঠিক বাইরে গিয়ে ঘুরে আ্সা নয়! মনটাকে নিয়ে যান অন্য কোথাও! ভাবুন। “থিঙ্ক বিফোর ইউ ইংক”। কোথায় কী যোগ করতে হবে, কী বাদ দিতে হবে এসব নিয়ে ভাবুন এবং টুকে রাখুন। এডিটিং শেষে শব্দগুলোকে সাজান ঠিকমত।// -- অসাধারণ বলেছেন ।

//শুধু যে মায়ের কাছেই লিখতে হবে এমন কোন নিয়ম নেই। কার কাছে আপনি সবচেয়ে কম্ফোরটেবল? ভাই,বোন, প্রেমিকা? অথবা একদম অপরিচিত কারো কথা ভেবে লিখতে চাচ্ছেন? চেষ্টা করেই দেখুন না! এটি বেশ কার্যকর পদ্ধতি। // -- বেশ ভাল পদ্ধতি তো !!!

//“Art begins in imitation and ends in innovation.”

মাথার মধ্যে সবসময় গল্প চালু রাখুন। চারিপাশে খেয়াল রাখুন।//
-- গল্প .. চারিপাশ ....।

//“There’s always a story there, he said, even if it’s not the one you were expecting to write.”// --- দারুণ কথা, গল্পের শেষ নেই।

//“The more personal you are, the more universal you become,”
মানুষের আবেগকে স্পর্শ করুন।//
--- আমি আমিই, আমার মত কেউ নাই। সুতরাং আমাকে পড়ুন।

//তবে বইটির মাধ্যমেই সে সাহস অর্জন করেছি। যেহেতু পৃথিবীতে আমি একজনই, তাই আমার কথারও মূল্য আছে অবশ্যই। আমার পাঠ, আমার লদ্ধজ্ঞান, আমার সমালোচনা কারো সাথে মিলবে না, এ বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। //
-- হ্যা হামা ভাই, আপনি আপনিই। তাই অশেষ শ্রদ্ধা নিয়ে বুক রিভিউটা শেষ করলাম।
এবং মুগ্ধ হলাম, প্রতিবারের মত এবারও !!!!!

ভাল থাকুন। সবসময়।






২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমরা সবাই স্বকীয় এবং অনন্য। যেমনটা আপনি, নিজস্ব ধারার মন্তব্যের ক্ষেত্রে।

অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৩

আমিই মিসির আলী বলেছেন: রিভিউ অসাধারণ হইছে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: দূরে গিয়া মরেন।

কারণ?

১. ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৭ ০ আমিই মিসির আলী বলেছেন: যুদ্ধটা কি পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ করছিলো নাকি? পেইড হানাদার বাহিনী করছিলো??? এত ভাবা ভাবির কাজ নাই। এত ঘৃনা এই যুগে পুষে রাখার কোন মানে হয় না।

১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৯

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: পড়ার ইচ্ছা জাগিয়ে তোলার মতো একখানা রিভিউ।
প্রিয়তে নিলাম। :)

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা জনাব ভূত।

১৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,



হ্যা ........ সবাই-ই লেখেন । বইতে যে ভাবে লেখার ধরন বলা হয়েছে তেমন করেই লেখেন । কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তার মোদ্দাকথা হলো KISS করতে হবে । Keep It Short n Straight ।

যদিও আপনি এই পোষ্টে সাহিত্য কি ভাবে লিখতে হবে আলোচনায় আনেন নি, তবুও বলি -- এই থিয়রী কিন্তু সাহিত্য রচনার বেলাতে বোধহয় খাটবেনা । সাহিত্যে বিশদ বর্ণনার একটি আলাদা আমেজ আছে । পুরোনো সব লেখক যেমন মানিক বন্দোপাধ্যায়, বঙ্কিম চট্টোপাধ্যায়, শরৎ চন্দ্র, মুজতবা আলি ইত্যাদিরা এবং একালের সুনীল, শীর্ষেন্দু, সমরেশ মজুমদার , আবুল বাশার , সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ প্রমুখের গল্প - উপন্যাসে যে কোনও বর্ণনা যেন দৃশ্যপটকে চোখের সামনে জ্যান্ত করে তোলে ।
অবশ্য আপনি মার্ক টোয়েনের অপ্রয়োজনীয় শব্দ বর্জনের কথা বলেছেন । অনেক সময় কারো কারো হাতে অপ্রয়োজনীয় শব্দগুলিই অনেক সময় ধ্বনিময় হয়ে ওঠে । অবশ্য তখন তা আর অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হয়না ।

লেখার বিষয়ের বাইরে গিয়ে বলছি একারনে যে, হাসান মাহবুব কনটেন্ট রাইটার নন , আগা পাসতলা একজন সাহিত্যিক । তাই সাহিত্যে বর্ণনারও যে একটা বাঙ্ময়তা আছে সেটা তার এই লেখা পড়ার বিপরীতে মনে হলো ।

রিভিউটি যথেষ্ট হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে স্বীকার করতেই হবে । তবে এভাবে শুধু রিভিউতে মেতে থাকা নয় , হাসান মাহবুব যে গল্পও লিখতে জানে তা যেন তার মনে থাকে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, তা তো অবশ্যই। সাহিত্য কোন সূত্র বা মডেল দিয়ে চলে না। আমি কিন্তু এখানে বেশ কয়েকবার উল্লেখ করেছি যে এটা একান্তই পেশাগত এবং বানিজ্যিক লেখালেখির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে সব জায়গা থেকেই শেখার কিছু আছে। মার্ক টোয়েনের মতবাদ কাউকে প্রভাবিত করতেই পারে! এটা যার যার চর্চা।
গল্প লেখালেখি আপাতত বন্ধ আছে ব্যস্ততার কারণে। লিখবো, শিগগীরই। এই লেখটা কিন্তু ব্লগের জন্যে ছিলো না। আমার একটা পেশাগত এ্যাসাইনমেন্ট ছিলো। ভাবলাম ব্লগেও দিয়ে দিই!

শুভরাত জীএস ভাই।

১৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বইয়ের রিভিও বই লেখকের সূত্রধরেই হয়েছে। সেই রকম ভাবে বইটিকে উপস্থাপন করেছেন । ধন্যবাদ আপনার আহরিত জ্ঞান শিয়ার করার জন্য।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো কিছু জেনে শেয়ার করলে আনন্দটা বেড়ে যায়। ধন্যবাদ সুজন।

২০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১০

ডি মুন বলেছেন:
বাহ, বইটির সারসংক্ষেপ তো জানিয়েই দিলেন :) দারুণ

প্রিয়তে নিলাম।

খুব ভালো লেগেছে এটা জেনে যে, বইটা পড়েই আপনি রিভিউ লেখার সাহস করে কাজটা সম্পূর্ণও করেছেন। দ্যাট মিনস , বইটার প্রভাব অনস্বীকার্য।

ভালো থাকুন হাসান ভাই
শুভরাত্রি

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুন। প্রচেষ্টা সার্থক!

২১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩০

এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার রিভিউ হামা ভাই।

পড়ব আশা করছি।

শুভেচ্ছা।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভরাত এহসান

২২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: গল্প এবং ব্লগের ব্যাপারে দু'মত।। একটায় পুরো বর্ননা, অন্যটায় মূল কথা।। কারন পাঠকও দুই ভূবনের।।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: হু। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

আলোরিকা বলেছেন: “The more personal you are, the more universal you become,”----------- অসাধারণ একটি উক্তি ! জীবনের সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য । কষ্ট করে এমন একটি বই পড়েছেন , সেই সাথে রিভিউ ----- এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ । কারণ , পাঠক বিনাশ্রমেই পেয়ে গেছে অসাধারণ সব টিপস ! :)

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা আলোরিকা। পাঠকের প্রয়োজনে এলেই লেখাটি সার্থক।

২৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

টোকাই রাজা বলেছেন: প্রয়োজনীয় পোষ্ট প্রিয়তে নিলাম।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ টোকাই রাজা।

২৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: কার কাছে কি রকম লেগেছে আমি জানিনা তবে আমার কাছে এখনো পযর্ন্ত এটাই আপনার সেরা লেখা। পেশাগত ব্যাপার হলেও এমন অনেক কিছু এই লেখাটিতে ছিলো যেটি আমার অনেক অতীতের সাথে মিলে গেছে। লেখাটি পড়ে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছি। কারণ লেখালেখি সম্পর্কে এমন অনেক কিছুই এখানে বলা হয়েছে যেগুলো আমার মতো এমন অনেকেই না বুঝেই অনুসরণ করেন। আমি যখন কবিতা লিখি তখন অন্ত্যমিল ঠিক রাখতে অনবরত আবোল তাবোল শব্দ আওড়াই। এরপর একসময় ঠিকই আমি আমার প্রয়োজনীয় শব্দটি পেয়ে যাই। একটি সুনির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে এক হাজার লেখক বা একলক্ষ পৃষ্ঠা লেখার পরও কিন্তু সেই বিষয় নিয়ে লেখা হয়। তাই জৈনক মন্তব্য কারীর মতো কি উঠে আসেনি সেটা না বলে বরং কি উঠে এসেছে সেটা আলোচনা করাই আমার কাছে অধিক যুক্তিক।
পরিশেষে বলবো, আপনার লেখা গুলো এই ব্লগের অমূল্য সম্পদ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শামীম। অনুপ্রানিত হলাম।

২৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

নাসরীন খান বলেছেন: চমৎকার।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা নাসরিন।

২৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮

সোমহেপি বলেছেন: কে দিয়েছে ,এমাজান.কম ?

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: বস।

২৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩১

চন্দ্ররথা রাজশ্রী বলেছেন: দারুন রিভিউ।
এতো বড় পোষ্ট সাধারণত পড়া হয় না। ভয়কে জয় করে পড়েই ফেললাম এবং মনে হয় কাজেও লাগতে পারে।

ব্লক কাটানোর কৌশলটা শিখানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ, মাথায় সেইভ করে রাখলাম।

ভাল থাকবেন।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

২৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রিয় তে :)

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু! :#)

৩০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনার রিভিউটাও পেশাদারদের মতোই হয়েছে। মারমার কাটকাট! জোস

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু! B-)

৩১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫১

নীলপরি বলেছেন: দারুন লাগলো রিভিউটা পড়তে । অনেক কিছু জানলাম । ধন্যবাদ ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা নীলপরি।

৩২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভিন্নধাচের একটা বই নিয়ে রিভিউ বেশ ভালো লেগেছে হাসান ভাই।

আমরা যারা তেমন ভালো লিখতে পারিনা তাদের "গাইতে গাইতে গায়েন হতে হবে"। সময় ও শ্রম দিতে হবে।

একজন কন্টেন্ট রাইটারকে জাত সন্দেহবাদী হতে হবে। এই কথাটা বেশ ভালো লেগেছে।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল :)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইলো।

৩৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মনে রাখবেন আপনার চেয়ে ভালো অনেক লেখক আছেন, সবসময়ই থাকবেন। কিন্তু আপনি, আপনিই! আপনার কোন তুলনা নেই। “The more personal you are, the more universal you become,” Don’t write a lot, but write often”.

সত্য কথা। ভালোর চেয়েও ভালো থাকে। কিন্তু লেখালেখির জগতে কেউ কারো মতো নয়। কেউ কারো বিকল্পও নয়।

খুব বেশি লেখালেখি প্রকৃতপক্ষে লেখার মান কমিয়ে দিতে পারে। প্রবাদ আছে, মানিকের খানিক ভালো।

ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইলো।

৩৪| ০১ লা মে, ২০১৬ ভোর ৪:৩৯

ক্লান্ত রিয়াদ বলেছেন: যেহেতু পৃথিবীতে আমি একজনই, তাই আমার কথারও মূল্য আছে অবশ্যই। আমার পাঠ, আমার লদ্ধজ্ঞান, আমার সমালোচনা কারো সাথে মিলবে না, এ বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। --এইটা পড়লেই লেখার সাহস বেড়ে যাবে, দেখেন সাহস করে মন্তব্য লিখে ফেলেছি! B-)

(স্টিফেন কিং এ সম্পর্কে বলেছেন, writing the door closed)। লেখা হয়ে গেলে থামুন। একটু সময় নিন। ঘুরে আসুন কোথাও থেকে। মানে ঠিক বাইরে গিয়ে ঘুরে আ্সা নয়! মনটাকে নিয়ে যান অন্য কোথাও! ভাবুন। “থিঙ্ক বিফোর ইউ ইংক”। কোথায় কী যোগ করতে হবে, কী বাদ দিতে হবে এসব নিয়ে ভাবুন এবং টুকে রাখুন। এডিটিং শেষে শব্দগুলোকে সাজান ঠিকমত। -----ফলো করার চেষ্টা করি। ভাল কাজ দেয়। লেখা পরিচ্ছন্ন হয়।
রিভিউ টা খুব ভাল লাগল, অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ

০১ লা মে, ২০১৬ ভোর ৪:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রিয়াদ। শুভভোর।

৩৫| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:০০

হুকুম আলী বলেছেন: আপনার লেখা রিভিউ খুব ভাল হয়েছে।

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।

৩৬| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অসম্ভব ভালো লিখেছেন!!!

প্রিয়তে থাকছে।

অনিঃশেষ শুভকামনা প্রিয় কথাসাহিত্যিক।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

৩৭| ০৩ রা মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫

জহিরুল ইসলাম (রেহান) বলেছেন: ভাল হইছে

০৩ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩৮| ১০ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: অসাধারণ রিভিউ! উক্তি গুলো খুব পছন্দ হয়েছে।

১০ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, আরো ছিলো। সব দেয়া গেলো না।

শুভেচ্ছা।

৩৯| ১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১:৪৩

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অসাধারন।রিভিউ খুব ভালো লেগেছে।নতুন নতুন ভাবনা সৃজন ক্ষমতার সাথে পরিচিত হচ্ছি

১৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.