নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনার কি কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা আছে? রাজধানীর ব্যস্ততম বানিজ্যিক এলাকায় সুরম্য ভবনে অভিজাত অফিস আছে? ঝকমকে পোষাক পরিহিত দক্ষ একদল কর্মী আছে? তাহলে আর কী, জ্যামিতিক হারে আপনার ব্যবসার উন্নতি হতে থাকবে এমনটাই তো হবার কথা, তাই না? এ কথা শুনে হয়তো তৃপ্তির হাসি হেসে চেয়ারে গা এলিয়ে দিয়ে প্রশ্নকারীকে চা বা কফি অফার করবেন আপনি প্রসন্ন মনে। তবে বাস্তবতা হলো, মার্কেটপ্লেস বড়ই বিচিত্র জায়গা। বিচিত্র এর চরিত্র, অননুমেয় এর পরিবর্তন। সুতরাং প্রচুর টাকা খরচ করলেই ব্যবসা ভালো হবে এমন ভাবার কোন কারণ নেই। কাস্টমার সাইকোলজি বুঝে প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনী আইডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের বদলে নিলে তবেই নিশ্চিত হবে সাফল্য।
সুতরাং, যদি আপনার কাড়ি কাড়ি টাকা, হাজার হাজার কর্মী, এবং বিশাল অফিস নাও থাকে, তাতে হতাশ হবার কোন কারণ নেই। উদ্ভাবনী ক্ষমতা ব্যবহার করুন, এবং শক্ত জায়গা করে নিন মার্কেটপ্লেসে!
আবিষ্কার (Invention), এবং উদ্ভাবন (Invention) এর মধ্যে পার্থক্য আছে। আবিষ্কার হলো নতুন চিন্তা। ইনোভেশন হলো এর ইমপ্লিমেন্টেশন। ব্যবসায় নতুন মাত্রা যোগ করাটাই হলো ইনোভেশন বা উদ্ভাবন। ছোট্ট একটি ভাবনা থেকে বিশাল পরিকল্পনা সবই ইনোভেশনের আওতায় পড়ে।
উদ্ভাবনী হবার মাধ্যমে আপনি কী কী উপকার পেতে পারেন?
১। প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানো।
২। খরচ কমানো।
৩। শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলা।
৪। ব্র্যান্ড ভেলু বাড়ানো।
৫। নতুন নতুন পার্টনারশিপ এবং রিলেশনশিপ গড়ে তোলা।
ইনোভেটিভ মার্কেটিংয়ের জন্যে অনুকূল পরিবেশ এবং দলবদ্ধতার চর্চা
উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে পরিচর্যা করে আপনার ব্যবসার জন্যে সর্বোচ্চ ফলাফল পেতে হলে চাই একটি অনুকূল পরিবেশ। অনুকূল পরিবেশ মানে কিন্তু শুধুই চাকচিক্য বর্ধন আর আরাম আয়েশের ব্যবস্থা বাড়ানো না। অনেক কোম্পানিই এই কালচারটা লালন করার চেষ্টা করে। তারা ফুজবল টেবিল, দেয়ালে রঙিন চিত্র, হালকা মিউজিক ইত্যাদির মাধ্যমে মহা উৎসাহে একটি সৃষ্টিশীল পরিবেশ অর্জন করতে চায়। ইনোভেটিভ আইডিয়ার জন্যে আকর্ষণীয় পুরষ্কার ঘোষণা করে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, হঠাৎ গজিয়ে ওঠা এই উৎসাহ মাস তিনেকের মধ্যেই মরে গিয়ে তারা অর্জন করে একগাদা বিরক্তিকর, ফাঁপা, কেতাদূরস্ত কর্মী। এক্ষেত্রে যে সমস্যাটা হয় তা হলো, যথাযথ জায়গায় যথাযথ কর্মীকে না বসিয়ে একটি জগাখিচুড়ি অবস্থা তৈরি করা। একটি কার্যকর উদ্ভাবনী মডেল তৈরি করতে 4P সম্পর্কে জানতে হবে। এগুলো হলো, profit models, processes, products, এবং policies. এগুলো বিশ্লেষণ করে যথাযথ জায়গায় কর্মীদের বসিয়ে উদ্ভাবনের জন্যে যথেচ্ছ স্বাধীনতা দেয়া উচিত।
ক্রিয়েটিভিটি খুবই ভালো জিনিস। তবে অধিক সৃষ্টিশীলতা কাজের গতি শ্লথ করে দিতে পারে। তাই কেমন আইডিয়া দরকার এবং কয়টি বাস্তবায়ন করা যাবে এ ব্যাপার স্বচ্ছতা থাকা খুবই জরুরী।
একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু ইনোভেটিভ পরিবেশ চালু করার জন্যে সবচেয়ে দরকারী হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এক্ষেত্রে যাই সাম্যবাদ! সবাই যেন নিজেদের মতামত নিঃসঙ্কোচে ব্যক্ত করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। হতে পারে কারো কাছ থেকে খুব হাস্যকর কোন আইডিয়া এলো। সেটাকে উড়িয়ে দিয়ে তার মনোবল নষ্ট না করে গুরুত্বের সাথে এর বিশ্লেষণ করে জানাতে হবে কেন এই আইডিয়াটা কার্যকর করা সম্ভব না।
কোন আইডিয়া সফল হতে পারে, কোনটা বিফল। কিন্তু ছাই থেকেও অনেক সময় রত্ন পাওয়া যায়। তাই ব্যর্থ আইডিয়াকে একদম ফেলে না দেয়াই ভালো। সেটাকে নাড়াচাড়া করে ভালো আইডিয়াতে কনভার্ট করা খুবই সম্ভব। আর এভাবেই কর্মীরা শিখবে। এভাবেই বাড়বে বিজনেস সেন্স, জন্ম নেবে মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা, আর কোম্পানি পেয়ে যাবে দুর্দান্ত কোন আইডিয়া।
মার্কেটিংয়ে ইনোভেশন একটি গভীর চর্চার ব্যাপার। অতি উৎসাহ নিয়ে শুরু করে তেমন কোন সফলতা না পেয়ে মাঝখানে খেই হারিয়ে ফেলা কোন কাজের কথা না। ঠিকঠাক প্রতি সপ্তাহে বা মাসে একবার ব্রেইন স্টর্মিং সেশন থাকা উচিত। প্রতিদ্বন্দী অন্য কোম্পানিগুলোর স্ট্রাটেজি অবজারভেশন করে প্রতিনিয়ত রিসার্চের মাধ্যমে নিজেদের আপগ্রেড করতে হবে । তবে নতুন নতুন চিন্তাধারা এবং উদ্ভাবন কতখানি ফলপ্রসূ হচ্ছে তা যদি আদ্যিকালের প্রাচীন মেট্রিকস দিয়ে মেজার করতে চান, তাহলে পিছিয়ে পড়বেন।
ব্যবহার করুন নতুন টুলস এবং টেকনোলজি। সবচেয়ে ভালো আইডিয়াও মার খেয়ে যেতে পারে সঠিক টুলের অভাবে। এর জন্যে ওয়ার্কশপ, ট্রেইনিং ইত্যাদির প্রয়োজন রয়েছে। কী করতে হবে এই ধারণাকে বিশ্বাসে রুপান্তরের জন্যে এমন কর্মকান্ড অত্যন্ত ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তবে শুধু এমপ্লয়িদের মতামত নিলেই হবে না। কাস্টমার এবং ড্রিস্টিবিউটর দের কথাও শুনতে হবে। ধরুন আপনার পণ্য সুপারশপ গুলোতে ভালো বিক্রী হচ্ছে না। তাহলে হোম ডেলিভারি অথবা টেলিমার্কেটিংয়ের মত বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবুন। অথবা যদি প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির আইসক্রিম স্বল্প খরচের কারণে আপনার পণ্যকে টেক্কা দিয়ে ফেলে, তাহলে আপনিও কি দাম কমিয়ে ফেলবেন? তা না করে যদি নতুন কোন ফ্লেভার যোগ করেন, অথবা লেস সুগার আইসক্রিম বাজারজাত করে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন তবে সেটাকে নিঃসন্দেহে একটি সফল ইনোভেটিভ আইডিয়া বলা যেতে পারে।
ইনোভেশনের জন্যে অন্যরা কী করছে তা নজরে রাখলে দারুণ কিছু পেয়ে যেতে পারেন। গুগল থেকে একটি চমকপ্রদ উদাহরণ দেয়া যায়। তারা তাদের কর্মীদের দিবানিদ্রার জন্যে একটি সময় বরাদ্দ রাখে। এমন সব ক্রিয়েটিভ চিন্তার জন্যেই তো তারা গুগল!
ভাবুন, ভাবান এবং জিতুন!
এই একটু অফিস করলাম, দুটো মিটিং ছিলো, কফি আর স্যান্ডউইচ খেতে খেতে আকর্ষণীয় গেট-আপের স্লাইড শো দেখলাম, দুটো জিনিস নোট করলাম, তারপর বাসায় এসে সব ভুলে গেলাম। এই যদি হয় আপনার কর্মপন্থা, তাহলে হয়তো বা একটা সম্মানজনক স্ট্যাটাস বজায় রেখে স্বচ্ছল জীবন যাপন করতে পারবেন, তবে উন্নতির শীর্ষ চূড়ায় উঠতে পারবেন না। যদি শীর্ষে উঠতে চান, আপনার থিংকিং লেভেলটাকেও বদলে ফেলতে হবে। না, বাসায় একগাদা ফাইলপত্তর নিয়ে এসে পরিবার-পরিজনকে উপেক্ষা করে কাজে ডুবে থাকার মত নিষ্ঠুর ব্যাপার নয় এটি মোটেও। এই ধরুন টোস্ট বিস্কুট দিয়ে সন্ধ্যার কফিটা খেতে খেতে মেয়েটাকে কোলে নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “বলো তো মামনি, কোন রঙের স্কুল ব্যাগ তোমার সবচেয়ে পছন্দ”, অথবা চরম ইন্ট্রোভাট ছোট ভাইটার সাথে দু মিনিট কথা বলে জেনে নিলেন সে কেন খেলার পাতায় সিমেন্টের বিজ্ঞাপন পছন্দ করে না। বাসে যাওয়ার সময় গভীর মনোযোগে পত্রিকা পড়তে থাকা সহযাত্রীটা কেন এমন চোখ মুখ কুঁচকে বিড়বিড় করে কাউকে গালি দিচ্ছে সেটা জেনে নিলেন, এমন ভাবেই অনেক অনেক ধারণা পেয়ে যেতে পারেন মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে। বিষয় গুলো খুব জটিল না, অনেক শ্রম দিতে হয় না, কিন্তু খুব কার্যকর এবং ইন্টারেস্টিং। শুধু যদি আপনার ঐকান্তিক ইচ্ছা এবং প্যাশন থাকে তাহলে এই জটিল জগতের চ্যালেঞ্জ গুলো আপনার জন্যে হবে আনন্দের।
ঠিকভাব চিন্তা করতে পারলে আপনার প্রশ্নগুলোও হবে ইন্টারেস্টিং এবং কার্যকরী। আর ঠিকভাবে প্রশ্ন করলে উত্তরটিও হবে যথাযথ। পেয়ে যাবেন ভাবনার নতুন রসদ, উদ্ভাবিত হবে নতুন কোন পলিসি। যেমন, “বেচা-বিক্রি বাড়ানো যায় কীভাবে?”, অথবা “কাস্টমার চায়টা কী?”, এর বদলে যদি জিজ্ঞাসা করেন, “বিক্রির ক্ষেত্রে কি আমরা সঠিক পদক্ষেপ অনুসরণ করছি?”। অথবা, “এমন কিছু কি আছে, যা আমাদের কাস্টমার চাচ্ছে, অথচ আমরা বুঝতে পারছি না?”
আমরা নিজের কর্মপন্থা দ্বারা বায়াসড হই এবং এটাকেই শ্রেষ্ঠ ভাবতে পছন্দ করি। কম্ফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে অন্যের চিন্তাভাবনা অনুশীলন করলে অনেক নতুন উদ্ভাবন এবং ভাবনা বৈচিত্র সৃষ্টি হওয়া সম্ভব। নিজেকে প্রশ্ন করুন, অন্যেরা যা দেখছে, আপনিও কি তা দেখছেন? এটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো, অন্যেরা কী দেখছে না, সেটা দেখতে পারা।
চাই স্টিমুলেশন
তবে হাজার হলেও আপনি মানুষ, রোবট নন। তাই আপনার চাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং স্টিমুলেশন। নইলে “কাজকে প্যাশন হিসেবে নিতে হবে” অথবা “চিন্তার স্ট্রাকচার ডিফারেন্ট হতে হবে” এমন সুগভীর বাক্যাবলী খুবই বিচ্ছিরি এবং নিরর্থক ঠেকতে পারে। সুতরাং কাজ ভালো না লাগলে ফাইলপত্তর ড্র্য়ারে ঢুকিয়ে রেখে কিছু রিলাক্সিং মিউজিক শুনুন, অথবা দিবাস্বপ্ন দেখুন, বা মেডিটেশন করুন। কী আপনাকে স্টিমুলেট করে? এক কাপ কফি? একটা গিটার? তাহলে তো এসব অবশ্যই আপনার হাতের কাছে থাকা উচিত। এবার চার্জড আপ হয়ে Dull জিনিস গুলোকে শার্প করুন। এই ধারটা খুব দরকার।
তবে সবচেয়ে বড় স্টিমুলেটর হলো জ্ঞান। পড়াশোনার মধ্যে থাকলে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে, এবং আপনি ভোঁতা জিনিস গুলো ধার করার উপায় আরো ভালো ভাবে শিখবেন। উপলব্ধিকে যুক্তিতে পরিণত করতে পারবেন।
৭টি ভোক্তাভ্যাস
এই যে সুবিশাল পণ্যবাজার, এটি নিয়ন্ত্রিত হয় মোটে সাতটি ভোক্তাভ্যাসকে উপলক্ষ্য করে। এগুলো হলো-
১। বায়োলজিকাল- ক্ষুধা, তৃষ্ণা, ঘুম, সুখ এবং ব্যথা। এ সংক্রান্ত পণ্যগুলি হলো, খাদ্য, পানীয়, ঔষধ, পোষাক ইত্যাদি।
২। সেক্সুয়াল- বিপরীত লিঙ্গকে আকৃষ্ট করার অভিপ্রায়।
এ সংক্রান্ত প্রোডাক্ট গুলি হলো, পারফিউম, কসমেটিকস, মেকআপ, গহনা, হেয়ার ড্রেসিং ইত্যাদি।
৩। সিকিউরিটি- নিজেকে এবং পরিবারকে নিরাপদে রাখতে কে না চায়!
এ সংক্রান্ত প্রোডাক্ট গুলি হলো এ্যাক্সিডেন্টের ঝুঁকি কমানো, তালা, হেলমেট, এ্যালার্ম, ইনসুরেন্স ইত্যাদি।
৪। কন্ট্রোল- জীবনধারাকে সময় এবং পরিস্থিতির সাপেক্ষে আপডেট করা।
যেমন, ডায়েরি, ঘড়ি, সেলফোন ইত্যাদি।
৫। সোশ্যাল- সমাজে নিজেকে আন্তরিক এবং মিশুক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। ভালোবাসা এবং সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখা।
উদাহরণ- সেলফোন, উপহার, কার্ড ইত্যাদি।
৬। আইডেনটিটি- নিজের ব্যক্তিত্বকে প্রতিষ্ঠিত করা।
যেমন, পোশাক, মিউজিক, আর্ট, সেলফোন ইত্যাদি।
৭। স্টিমুলেশন- নিজেকে উদ্দীপ্ত করে তোলা।
ফিল্ম, মিউজিক, খাবার ইত্যাদি।
তবে একটি নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট একাধিক ডিজায়ারও ফুলফিল করতে পারে। যত বেশি ডাইভার্সিটি, তত বেশি সাফল্যের সম্ভাবনা। যেমন সেলফোন। এটি দিয়ে চ্যাটিং করা যায় (সোশ্যাল), বিজনেজ এ্যারেঞ্জমেন্ট করা যায় (কন্ট্রোল), বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে ইমপ্রেস করা যায় (সেক্সুয়াল), রিং টোন এবং ওয়ালপেপার দ্বারা নিজের আইডেনটিটি প্রকাশ করা যায় (ইনডিভিজুয়ালিটি), গেম খেলা এবং মিউজিক শোনা যায় (স্টিমুলেশন)।
আর এইজন্যেই সেলফোন এত বেশি জনপ্রিয়। বোঝা গেছে না বিষয়টা?
রিস্কফ্যাক্টর কমানো
তবে যতই ভালো ভালো কথা বলা হোক, আত্মবিশ্বাস একদিনে তৈরি হয় না। আর অনর্থক ঝুঁকি নেয়ারও কোন মানে হয় না। তাই ঝুঁকি কমানোর উপায়গুলোও জানা থাকা উচিত।
(১) পেশাদার কনসালটেন্ট এবং মার্কেটিং এ্যানালিস্টদের পরামর্শ নিতে পারেন।
(২) যথাযোগ্য বিজনেস পার্টনার খুঁজে নিয়ে জয়েন্ট ভেনচারে কাজ করতে পারেন। এতে ঝুঁকি কমে যায়। আইডিয়ার সুষ্ঠু সিনক্রোনাইজেশনে সফলতার সম্ভাবনা বাড়ে।
(৩) আইডিয়া ডেভেলপ এবং ইমপ্লিমেন্ট করার দায়িত্ব অন্য কাউকে দিতে পারেন।
(৪) অনুদানের জন্যে চেষ্টা করতে পারেন। এতে ফাইনেন্সিয়াল রিস্ক কমে যাবে।
এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, (যা আগেও বলা হয়েছে এবং বারবার বলে যেতে হবে)
(৫) কাস্টমার ফিডব্যাক, ডিস্ট্রিবিউটরদের অভিযোগ এবং এমপ্লয়িদের মতামত গুরুত্বের সাথে নিয়ে মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে রিসার্চ করতে হবে।
পণ্যবাজারে আপনার পথচলা সর্বাঙ্গীন শুভ হোক।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: নেমন্তন্ন রইলো। আসবেন আবার।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আর আইলেন না?
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১৩
কালীদাস বলেছেন: ক্রিয়েটিভিটির অভাব লক্ষ্যণীয় বাংলাদেশি মার্কেটিং এক্সপার্টদের মধ্যে, মাঝে মাঝে মনে হয় যে আশি/নব্বইয়ের দশকের ব্রেইনগুলোর মার্কেট ধরার বিচার-বু্দ্ধি কম্পারেটিভলি বেটার ছিল এখনকারগুলোর চেয়ে। ইনোভেশনের জন্য এই স্টেপগুলো ফলো করার কথা, তবে বাঙালির অচেনা পথে হাঁটতে বড়ই অনীহা ছকবাঁধা গন্ডির বাইরে যাওয়ার সাহস (আরেক অর্থে খেটে পাওয়া ক্রিয়েটিভিটি)/এক্সপেরিমেন্ট চালাতে পাবলিক সাহস পায় না।
ফিডব্যাক কালেক্ট করা হয় বলেই আমার ধারণা, কিন্তু এগুলো আদৌ এনালাইজ করা হয় কিনা সন্দেহ আছে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: হেহে! আসলে কখন যে কোনটা লাইগ্যা যায় বলা কঠিন। বিচিত্র এই জায়গা। নব্বইয়ের দশকে এ্যারোমেটিক যখন তাদের ১০০% হালাল সাবানের এ্যাড দিলো, তখন তাদের এতই লাভ হইসিলো যে অন্যান্য সাবান কোম্পানির মাথায় হাত দেয়ার দশা। অনেক অনেক গবেষণা আর মগজ ঝাঁকানি কইরা হয়তো বা একটা লাইন মাথায় আইলো, সেইটা কোটি টাকার বিজনেস ধরায়া দিলো। একটা লণ্ড্রির নাম দেখসিলাম "বাংলা ওয়াশ"। কী মারাত্মক ক্রিয়েটিভ আইডিয়া খেয়াল করসেন? এই জিনিস মগজ থেইকা বাইর করতে হয়তো বা বাঘা বাঘা মার্কেটিং এক্সপার্টদের কয়েকটা সেশনের সাধনা লাগতো। বিচিত্র এই জায়গা।
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪৬
কালীদাস বলেছেন: ঐ সময় কিন্তু মার্কেটিং এক্সপার্ট এখনকার মত মাল্টিমিলিয়নের প্রফেশনাল ছিল না বাংলাদেশে। নিম্ন আয়ের মানুষের সাধ্যের মধ্যে সেন্সিটিভ পয়েন্টগুলো টাচ দেয়ার চিন্তা করত কেবল। মার্কেট এনালাইসিস এতটা ছিল এখনকার মত? মনে হয় না!
আরেকটা ইন্টারেস্টিং টার্ম মনে করিয়ে দিলেন, "হালাল"। এই শব্দটা ইউজ করে সারা দুনিয়াতেই কি পরিমাণের ব্যবসা যে হয় বলার মত না। ইউরোপের বেশ কয়েকটা দেশে দেখেছি, মাংস কেনার সময় হালাল হালাল করে জান কয়লা করে ফেলে কিছু মুসলিম জনতা। অথচ হালালভাবে জবাইয়ের যে প্রসেস সেটা এশিয়ার স্পেসিফিক কয়েকটা দেশ ছাড়া আদৌ করা সম্ভব না বাদবাকি দুনিয়ায়, পশু জবাইয়ের জন্য প্রত্যেকটা শহরের সেন্ট্রাল জবাইখানায় যাওয়া মাস্ট, পুরাই প্রসেসটাই মেশিনে হয় জবাই এবং কনজিউমার লেভেলে বিক্রির শেপে আনার ব্যাপারটা আরকি (শুনেছিলাম মিডলইস্টে নাকি ক্যাসেটে আজান বাজায় জবাইয়ের সময়, হা হা)। সিম্পলি হালাল স্টিকারটা লাগিয়ে মুরগী আর গরুর দাম দেড়গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়, ডিমান্ডও সেরকম, সবার আগে ঐ শেলফগুলো খালি হয়ে যায়।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: মার্কেটপ্লেস, সোশাল ট্রেন্ড এসব সময়ের সাথে সাথে চেঞ্জ হয়। এই যেমন ধরেন যে সময়ের কথা বললেন সেসময় মূল টার্গেট গ্রুপ ছিলো গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষেরা। আর এখন ফেসবুক এসে বহুৎ কিছু উল্টায়া দিছে। এফ-কমার্স নামক নতুন টার্মও সৃষ্টি হয়েছে। ফেসবুকের মার্কেটপ্লেস নিয়ে এখন রীতিমত গবেষণা হয়। হ্যাঁ, প্রযুক্তির অগ্রগামীতার সাথে সাথে গবেষণার সুযোগ এবং ধরণ বদলেছে, ব্যাপকতা পেয়েছে, তবে মার্কেট রিসার্চ সবসময়ই ছিলো।
৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৫৫
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: পড়লাম ভাইয়া। মোটামুটি বুঝেছি।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অনু। শুভেচ্ছা রইলো।
৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৬
ইমন তোফাজ্জল বলেছেন: টাকা পাইয়া লেখেন নাকি ?
০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: হু। প্রতি পোস্টের জন্যে পাঁচ হাজার টাকা পাই। এইবারের বিলটা এখনও পাইলাম না। কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।
৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩
ইমন তোফাজ্জল বলেছেন: বলতে চাইছি লেখাগুলো ফরমাইশি টাইপের ।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকই কইছো।
৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৯
ইমন তোফাজ্জল বলেছেন: আপনেরে ইদানিং সুখি মনে অয় । আপনি শেষ ........
০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: শেষ হইলে শেষ। নো রিগ্রেটস।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি ভালাচি।
৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
শুরুটা চটকদার । টানবে পাঠককে ।
দিন দিন মানুষের হাতে জমছে টাকা । বাড়ছে অহেতুক চাহিদা । চাঁদে একখন্ড জমি পেতেও লাইন দিয়ে আছে না কি মানুষ । এতো এতো টাকা । উড়তে থাকা সেই টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্যে দিন দিন মানুষও চালাক হচ্ছে । অন্যের টাকা নিজের পকেটে আনা তো চাট্টিখানি কাজ নয় ! তাই উদ্ভাবন হচ্ছে পকেট খালি করার নিত্য নতুন ফু....স মন্তর । মার্কেট সমৃদ্ধ হচ্ছে নয়া নয়া চটকদার "টার্ম" দিয়ে । যেমন এফ-কমার্স এর উল্লেখ করেছেন আপনি ।
এর পরে হয়তো দেখবো "এ টু জেড কমার্স" বা "এ্যাট দ্য বেড সাইড কমার্স "
সবকিছু মিলিয়ে উদ্ভাবনী মার্কেটিং আইডিয়ার জনক হলো - চিচিং ফাঁক । হাউ আর্টিষ্টিক্যালি য়্যু ক্যান ফাঁক দ্য পকেট ।
দ্য মোর য়্যু আর আর্টিষ্টিক , দ্য মোর য়্যু ক্যান পেনিট্রেট ।
সুন্দর লেখা । মার্কেটিং এর ঢাউস ঢাউস বই থেকে আংরেজী নামানো সবার পক্ষে সম্ভব নয় । আপনার এমন সহজ পাচ্য করে লেখা অনেকেরই কাছেই আদরনীয় হবে ।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্যবসার প্রতি আমাদের এক অদ্ভুত নাক সিঁটকানো ভাব আছে। কিন্তু আমরা সবাই কোন না কোন ভাবে এই ব্যবসা চেইনের অন্তর্গত। এখানে ক্রিয়েটিভিটি কম নেই। ধন্যবাদ জীএস ভাই। লেখায় কমেন্ট করেছেন মাত্র ৫ জন। কেমন আদৃত হইছে বুঝতেই পারতেছেন! সমস্যাটা সামুর নাকি আমার বুঝতে পারতেছি না।
শুভরাত্রি।
৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১৮
নীলপরি বলেছেন: ইনারেস্টিং পোষ্ট । অনেক কিছু জানতে পারলাম । ধন্যবাদ ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা নীলপরি।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক দিন আপনার ব্লগে যাওয়া হচ্ছে না
১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
ব্যবসার প্রতি নাক সিঁটকানো ভাব আছে কিনা, জানিনে । ব্যবসা করিনে বলে হয়তো বুঝিনে । তবে এটা বুঝি , ব্যবসা উন্নয়নের জন্যে আমাদের বেশির ভাগ ব্যবসায়ীদেরই তেমন গরজ নেই বোধ হয় । "চলে তো যাচ্ছে" এরকম একটা মনোভাবই দেখি । এটা হয়তো প্রচলিত ব্যবসাগুলোর জন্ম প্রাচীনপন্থীদের হাতে বলেই। তারপরে একপুরুষ হয়তো গেছে । আধুনিক ধারা আর চিন্তায় ঝকঝকে প্রজন্মের হাতে এখনও মনে হয় ব্যবসার হাল ছেড়ে দেয়া হয়নি সম্পূর্ণটা । কিছুটা হলেও দড়িটা কিন্তু রয়ে যাচ্ছে বাপ-দাদাদের (প্রাচীনপন্থীদের) হাতে । আর নতুন যারা হাল ধরছেন তাদের বেশিরভাগই আবার মার্কেটিংয়ের "ম" জানেন কিনা সন্দেহ হয় ।
এখানে ক্রিয়েটিভিটি আছে হয়তো তবে তা মুষ্ঠিমেয়র দখলে । সে ক্রয়েটিভিটি বোঝার মতো কনজ্যুমারও তো থাকতে হবে , না কি ?
এই ক্রিয়েটিভিটির পেছনেও কিন্তু পয়সা ঢালতে হয় । এটা অনেকরই কলিজায় কুলোয় না । হয়তো ক্রিয়েটিভ মার্কেটিংয়ের অভাব একারনেই ।
আর লেখায় কমেন্ট কম ? আমার মনে হয় ব্লগে ওজনওয়ালা , দামী লেখা পড়ার লোকজন কমে যাচ্ছে । হালকা - চটুল লেখা পড়ার দিকেই ঝোঁক বেশি ।
সামুর সমস্যা মনে হয় না । এখনও তো আমার সমস্যা হচ্ছে , ব্লগের ধীরগতির কারনে; তবুও তো আমি এটা পড়ছি, মন্তব্য করছি । হোক, মন্তব্য লোড হতে অনেক সময় লাগছে, লাগুক তবুও তো বেশ কয়েকজন এটা পড়েছেন ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: নতুন মেধা আর মাথা যোগ হচ্ছে। সেকেলে রীতি পাল্টে যাচ্ছে। একটু সাহস আর স্বদিচ্ছা বদলে দিতে পারে অনেক কিছুই।
শুভেচ্ছা জীএস ভাই।
১১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগল বিজনেস ক্রিয়েটিভিটি নিয়ে তথ্যপুর্ণ লিখাটি । বৈশ্বিক বানিজ্যিক করনের এ যুগে 4 P এর সাথে আরো তিনটি Extended 3P যথা পরিবেশ, জনবল ও ব্যবসায়িক দৃস্টিভঙ্গীর প্রচ্ছন্য বিবরণ দিয়ে লিখাটিকে করে তুলা হয়েছে
আরো বেশী অর্থবহ , শুধু কি তাই identification of market niches in the age of big data আবহে ব্যবসায়িক সাফল্য লাভের প্রত্রিয়ার কিছু ধারনাও লিখাটিকে দিয়েছে একটি ভিন্ন মাত্রা ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্যে।
১২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪
জেন রসি বলেছেন: এমবিএর মেজর ছিল মার্কেটিং। তবে স্টাডি করে যেটা বুঝেছি তা হচ্ছে এই দুনিয়ার সব মানুষই আসলে কোন না কোন ভাবে মার্কেটার।
আমাদের দেশের মানুষ ফলো করে বেশী। নিজেরা গবেষনা করে কম। সফল মার্কেটাররা নিজেরাই নিজেদের পলিসি মেক করেছে। আমার টিচারদের দেখেছি, তারা ইউরোপ আমেরিকার মার্কেট সম্পর্কে যতটা ধারনা রাখে, এদেশের মার্কেট নিয়ে ততটা ভাবেনা। যদিও তারা উপদেষ্টা!
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: "দুনিয়ার সব মানুষই আসলে কোন না কোন ভাবে মার্কেটার।"
যথাযথ।
মার্কেটিংয়ের নতুন নতুন ধারা তৈরি হচ্ছে দিন দিন। যেমন ধরেন ডিজিটাল মার্কেটিং। এই জিনিস ঠিকমত কাজে লাগাতে পারলে তরুণ সমাজ বিশাল লাভবান হবে। বেকারত্ব সমস্যা কমবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:০৫
সুমন কর বলেছেন: ভাইজান, আমি কিন্তু আজোও এড়িয়ে গেলাম...... [ এ বিষয়গুলো পড়ে পড়বো, তখন আপনার ব্লগে চলে আসবো। ]
প্রথম প্যারাটুকু পড়লাম।