নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার দেশের বাড়ি পাবনা। আমি জানি এটা শুনে আপনার প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে। ঠোঁটে একটি চিকন হাসি ঝুলিয়ে মিটিমিটি আমার দিকে তাকিয়ে প্রফুল্ল মনে সস্তা রসিকতা করবেন, “পাগলা গারদে সিট আছে নাকি?” অথবা সিরিয়াস ভঙ্গিতে জানতে চাইবেন, “হেমায়েতপুর কত দূর আপনাদের গ্রাম থেকে?” আবার কারো মনে প্রশ্ন জাগবে, আমি কখনো মানসিক হাসপাতালে ঘুরতে গিয়েছিলাম কি না! কেউ কেউ আবার অতি আগ্রহে, প্রফুল্ল চিত্তে বর্ণনা করবেন; তিনি কবে পাগলাগারদে গিয়ে কত রকম পাগল দেখেছেন, কে কেমন করে কথা বলেছে, কে কেমন অঙ্গভঙ্গি করেছে, কাকে দেখে তার ভয় লেগেছে, কাকে দেখে আমোদ পেয়েছেন ইত্যাদি। বাড়ির এত কাছে থাকা স্বত্তেও কেন সেখানে ঘুরতে না গিয়ে রসাত্মক বর্ণনা থেকে আপনাদের বঞ্চিত করেছি এ জন্যে অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করবেন। আপনাদের জন্যেই আমার এ লেখা।
আপনি কখনও ঢামেকের বার্ন ইউনিটে গিয়েছেন? কখনও ৮০% পুড়ে যাওয়া মানুষের চামড়া এবং মাংস দেখেছেন? আমি দেখিনি। কখনও পয়জন ওয়ার্ডে গিয়ে স্টোমাক ওয়াশ করা দেখেছেন? দেখেছেন কি বিষে নীল হয়ে যাওয়া মানুষের আতঙ্কিত দুটি চোখ এবং মুখ দিয়ে গড়িয়ে পড়া ফেনার প্রবাহ? দেখেননি? আমিও দেখিনি। তাহলে চলুন না একদিন সময় করে দেখে আসা যাক! একটা বিকেল ঢামেকে গিয়ে পোড়া-পচা-আধমরা-রক্তাক্ত মানুষ দেখে চমৎকার বিনোদন হবে। আমরা তাদের সাথে কথা বলবো, ঠাট্টা তামাশা করবো, চোখ ভরে দেখবো যন্ত্রণা, মন ভরে হাসবো, সেলফি তুলে ফেসবুকে আপলোড করবো! দারুণ না প্ল্যানটা?
আমি জানি আমার এমন প্রস্তাব শুনে যে কোন বিবেকবান মানুষ আহত হবেন। অসুস্থ মানুষের ভোগান্তি উপভোগ করার ঘৃণ্য বাসনাকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করবেন। অভিসম্পাত করবেন এই বলে যে এই কদর্য চিন্তার পরিপ্রেক্ষিতে আমিও একদিন অসুস্থ এবং মরণাপন্ন হব এবং সবার করুণার পাত্র হয়ে থাকবো। আপনাদের এ ধরণের মনোভাব আমাকে খুব বিস্মিত করবে। আমি বুঝেই উঠতে পারবো না সামান্য একটা সান্ধ্যকালীন বিনোদনের প্রস্তাবকে এভাবে এত সিরিয়াসলি নিয়ে কেন আমাকে দোষারোপ করছেন। তখন আমি যুক্তি হিসেবে দেখাবো যে মেন্টাল হসপিটালে যদি দল বেঁধে পিকনিক করার মুডে আনন্দ নেয়ার জন্যে যাওয়া যায়, তাহলে বার্ন ইউনিটে গিয়ে একই রকম মজা কেন নেয়া যাবে না! আমার যুক্তির অসারতা দেখে আপনারা হতাশ হবেন। বলবেন যে, বিভৎসভাবে আহত হওয়া ব্যক্তিগুলো অসুস্থ, আর পাবনা মেন্টাল হসপিটালের বাসিন্দারা তো পাগল! কিসের সাথে কিসের তুলনা করছি আমি! এ অবস্থায় গলা চড়িয়ে বলতে গিয়ে আপনাদের রক্তচাপ বেড়ে যাবে, গলার রগ ফুলে উঠবে। এক গ্লাস পানির প্রয়োজন হবে খুব। তখন আমি আপনাদের খুব মজার একটা গল্প শোনাবো। গল্প শুনতে কে না ভালোবাসে! সুতরাং, গ্যাঁট হয়ে বসুন।
আমার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, খুব মেধাবী ছিলেন। পড়ালেখা করতেন একটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সবকিছু খুব ভালোভাবেই চলছিলো। হঠাৎ ভয়াল এক ঘটনা ঘটলো। তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং রুমমেট খুন হয়ে গেলো। তিনিও খুন হতে পারতেন, ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। এই ঘটনার পর তার মানসিক ভারসাম্য ভীষণ নাড়া খেলো। তিনি প্রায়ই অযথাই সবাইকে গালাগালি করতেন, মারতে যেতেন, অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতেন। ধীরে ধীরে তার অবস্থার অবনতি হতে লাগলো। পরিণত হলেন মানসিক রোগীতে, আপনারা সোহাগ করে যার নাম দিয়েছেন ‘পাগল’। তার জীবন, প্রেম, মেধা, শিক্ষা, উদ্যম সব শেষ হয়ে গেলো নিমিষেই। এক সময়কার ভীষণ তরতাজা সেই মানুষটি গত দুই যুগ ধরে চিকিৎসার অধীনে আছেন। তার মাঝে এখন আর কোন চাঞ্চল্য নেই, সৃজনী শক্তি নেই, চিন্তা-ভাবনা করার ক্ষমতা নেই। তিনি একজন ‘পাগল’। এই পাগলদের দেখতেই আপনারা পাবনা মেন্টাল হসপিটালে যান। আমোদ লাভ করেন। এই অভিজ্ঞতা বয়ান করে আড্ডার শিরোমনি হন। তাহলে আমি যদি মরা-ধরা-পোড়া রোগী দেখে এসে উচ্ছসিত হয়ে আমার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করি, তাহলে আপনারা ক্ষেপে যান কেন?
দাঁড়ান, আমাকে বলতে দিন। মেন্টাল হসপিটাল কোন দর্শনীয় জায়গা না। এটি একটি চিকিৎসালয়। এখানে যারা থাকেন, তারা সবাই অসুস্থ। কেউ খুব বেশি, কেউ কম। এখানে তারা দিনের পর দিন এক ভয়াবহ নিরানন্দ জীবন যাপন করছেন। তাদের অনেকেই আত্মীয় পরিজন দ্বারা প্রত্যাখ্যাত, ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত। আপনারা তাদের ট্রিট করেন চিড়িয়াখানার পশু-পাখিদের মত। ভুলে যান কী অসম্ভব ট্রমার মধ্যে দিয়ে গেলে একজন মানুষের টোটাল মেন্টাল কলাপস হয়। কতটা আঘাত পেলে একজন মানুষ ‘পাগল’ হয়ে যায়।
মানসিক আঘাত বাইরে থেকে দেখা যায় না। তাই বলে এর ভয়াবহতা কোন অংশেই কম নয়। এই যে আপনি হাসছেন, খেলছেন, ভাবছেন, পড়ছেন, লিখছেন; আপনার ব্যক্তিত্বকে উদ্ভাসিত করছেন, যদি কখনও আপনার অতি প্রিয় মানুষটি চলে যায়, অথবা চোখের সামনে যদি কোন ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে দেখেন, হয়তোবা তখন থেকে আপনি হাসবেন বিকারগ্রস্তের মত, কাঁদবেন অকারণে, ভাবতে গেলে মাথা আউলে যাবে, পড়ার নেশা উবে যাবে, তখন যদি এই দুরবস্থায় আগ্রহী হয়ে আমরা দল বেঁধে আপনাকে দেখতে এসে বিমলানন্দ লাভ করি, কেমন হবে ব্যাপারটা? অবশ্য তখন আপনার ভালো-মন্দ বোধটাও কাজ করবে না। আপনি অক্লেশে আমাদের বিনোদন দিয়ে যাবেন।
সে অবস্থায় উপনীত হবার আগে, চলুন না একদিন দল বেঁধে সবাই পাবনা মেন্টাল হসপিটালে পিকনিক করতে যাই!
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনুধাবনের জন্যে ধন্যবাদ।
২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
জানিনে হঠাৎ করে এমন একটা লেখা আপনার কেন লিখতে ইচ্ছে হলো !
সম্ভবত , সামাজিক কোনও মিডিয়াতে অমন অমানবিক অভিজ্ঞতা বয়ান করে আড্ডার শিরোমনি হওয়া কাউকে দেখেছেন ।
মানুষের বিবেক জাগ্রত হোক ।
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা অবশ্য বেশ আগের লেখা। হ্যাঁ, অমন একটা পরিস্থিতি থেকেই উদ্ভূত ।
৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
"এই পাগলদের দেখতেই আপনারা পাবনা মেন্টাল হসপিটালে যান। আমোদ লাভ করেন। "
-আপনি এখনো ব্লগে আছেন তো? ব্লগারেরা আপনাকে নিয়ে চিন্তিত হতে পারেন।
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: তা আপনার চিন্তাটা কী কন দেহি?
৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পাবনা মেন্টাল হসপিটাল দেখার অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। তবে রোগী হিসাবে নয়, দর্শক হিসাবে। স্বাধীনতার আগের অভিজ্ঞতা। আমার আব্বার সাথে গিয়েছিলাম। এই অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর ছিল না। পরে অনেকদিন ওখানকার অনেক রোগীর চেহারা ও আচরণ আমার মানসপটে ভেসে উঠতো। তখন একটু অস্থিরতায় ভুগতাম।
ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই।
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: পোস্টের ছবিটি দেখুন হেনা ভাই, কী শকিং না!
৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বড় বেদনাময় কথাগুলো। অনেকেই হয়তো তাই করে, পাগলদের দেখেও আনন্দ কুড়তে চায়! কেউ কৌতূহল হয়ে যায়।
আমি লেখবো পোষ্ট পড়ে! কিছুই লিখতে পারছিনা!
আপনার পোষ্টটি পড়া উচিৎ সকলের।
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও মনে করি সকলের পড়া দরকার।
৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১২
আহা রুবন বলেছেন: পাগল দেখে যারা বিনোদিত হয় তারা সুস্থ নয়। অথচ এরাই দেশটাকে ভরে ফেলেছে।
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন।
৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩১
উম্মে সায়মা বলেছেন: আসলেই আমরা কত নির্মম। অন্যের দুঃখে আনন্দ পাই।
আমার এক কলিগ ছিল পাবনা বাড়ি। ঈদের ছুটিতে তিনি তার ১০ বছরের ছেলেকে নিয়ে মেন্টাল হসপিটালে গিয়েছিলেন। বিনোদনের জন্য না অবশ্যই। সাথে কিছু খাবারও নিয়ে গিয়েছিলেন ছেলে নিজ হাতে কয়েকজন কে দেবে বলে। শুনে খুব ভালো লেগেছিল।
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার কথা শুনে সালমা।
৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই গুরুত্বপুর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন । এমন লোকদের সাথে একটু ভাল ব্যাবহার করলে তারা সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন । আমি নীজেও ফিরিয়ে এনেছি দুএক জনকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভালো কাজ করেছেন। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখবেন আশা করি।
৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৫
সুমন কর বলেছেন: নির্মম সত্য বর্ণনা।
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন:
১০| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৮
ক্লে ডল বলেছেন: আপনার এই লেখাটি এগিয়ে চলো তে পড়েছি। আমি শুধু ভেবেছি, যখন কোন রোগীর পরিবারের লোক জানতে পারেন, যে তার অসুস্থ সন্ত্বান অথবা আত্মীয়কে দেখে কেউ বিনোদন নিতে এসেছিল, তাদের মনের অবস্থা কই হয় !
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: নিজে না ভুগলে কজন'ই বা বোঝে!
১১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৯
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: স্যাটায়ারটা সুন্দর হয়েছে হামা ভাই!
ঐরকম চরিত্রের অধিকারীদের এটা পড়ে লজ্জা পাওয়া উচিৎ!
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: চলুন, তাদের লজ্জা দেই।
১২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩১
সুলতানা সালমা বলেছেন: শিরোনাম দেখে তো রীতিমত আতকে উঠেছিলাম।
বাঙালি সব জায়গায় বিনোদন খোজে,
কি করলে হয় ফান, আর কি করলে যায় মান
সেটা যদি বুঝত!
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আসুন তাদের বুঝাই।
১৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পাগলের পাগলামি দেখে আমরা অনেকেই আমোদিত হই, অনেকে পাগলের প্রতি নির্দয় আচরণও করেন। এর প্রতিকারে দেশে আইন রয়েছে, কিন্তু কখনো এর বাস্তবায়ন হতে দেখিনি।
০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: "মানুষের বিবেকই হলো সর্বশ্রেষ্ঠ আদালত"।
১৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১৫
পথে-ঘাটে বলেছেন: আসুন আমরা লজ্জিত হই।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: এবং অনুধাবন করি।
১৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:২৮
কলমের কালি শেষ বলেছেন: আমাদের বিল্ডিং এ একটা ছেলে আছে । তার সবই ভালো, শুধু মাঝে মাঝে সে একটু পাগলামী করে । প্রায় প্রতিদিনই সে আমার বাসায় আসে । তার সাথে আমি কথা বলি, গল্প করি, চা খাই একসাথে। খুব ট্যালেন্ট একটা ছেলে । সে বাসায় এসেই বলে ভাই ভাল আছেন ? ভাল লাগে আমার। সে হয়তো অতটা অসুস্থ না যে পাগলাগারদেই থাকতে হবে । আমার কাছে পাগলাগারদ শব্দটাই শুনতেই বেশ খারাপ লাগে । আমরা অন্যের অসামর্থতা নিয়ে তামাশা করতে ভালোবাসি যতদিন না নিজেরা এমন কিছুর সম্মুখীন হই। এইদিক থেকে আমরাও কী ততটুকু মেন্টাল নই ? যেসব ব্যাপারে মন খারাপ হওয়ার কথা তা নিয়ে হাসি তামাশা করি !
আপনার লেখাটুকু ভাল লেগেছে ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মন্তব্যও ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ!
১৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৩৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মানুষের মাঝেই অমানুষদের বাস।। আসলে আমাদের হৃদয়ের নরম অনুভূতিগুলি দিন দিন হারিয়েই যাচ্ছে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: হারাতে দেবো না, এই প্রতিজ্ঞা করুন।
১৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১:১৭
কালীদাস বলেছেন: ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে ৮০ভাগ পুড়ে মারা যাওয়া রোগী দেখেছি, মারা যাওয়ার আগে ডাক্তারদের প্রাণান্তকরণ চেষ্টাও দেখেছি রোগীর কষ্ট একভাগ কমানো যায় কিনা। সমাজ যাদের মানসিক রোগী/পাগল বলে সেটা নিয়ে কিছু সুকঠিন কষ্টকর স্মৃতি আছে, যেগুলো ব্লগে শেয়ার করব না কখনও।
কয়েকদিন আগে এক পোস্টে বলেছিলাম, কিছু কিছু মানুষ আছে এদের মুখে কিছুই আটকায় না, যা মুখে আসে ঠাস করে বলে বসে কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই যে এটার কনসিক্যোয়েন্স কি হতে পারে যাকে উদ্দেশ্য করে বলা বা রটানো তার। সিরিয়াসলি এরকম কিছু মানুষের মুখে ছিরছির করে পেশাব করে দিতে ইচ্ছা করে; কম ভুগিনি জীবনে এদের কারণে।
পোস্টের টপিকটা ভাল চুজ করেছেন
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: সবার মতের সম্মিলন ভালো লাগছে।
১৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১:২০
কানিজ রিনা বলেছেন: কনছেন দেহি পাগলা গাড়দে পাগল থাহে।
তয় মাতালরা কেন ঘরে থাহে।
ও তয় ঘরের মাতাল রাইতে যতই বউ
ফিডাক আর ভাঙচুর করুক, রাইতে
ফাগল দিনে কোট টাই পড়া সাহেব ছাগল
সাইজা বাহির। আবার পান্জাবী পইড়া তজবি
হাতে মচছিদে ডইকা নমাজ ফরে হেতাগো
কি মেন্টালে যাওন ফরে। তয় আমার এরিম্মে
উগ্গা স্বামী আচিল। হেতার মুখোশ খুইলা
গিয়ে। আই ইতিরে কয়বার টুকাইতে যাইয়া
চিনিত নো ফারি।
এরিম্মে ফাগল কডে ভত্তি করে আন্নে
কইতে ফারবেননি।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: হেতের মুখোশ খুলচেন বালা করচেন। একোন চিহারাটা দেকান হজ্ঞলরে।
১৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১:২২
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: নাহ এমন করে ভাবতে চাইনা। মানুষের কষ্ট দেখে বিনোদন চাইনা। সবাই ভাল থাকুক।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন অনু।
২০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:২৩
ওমেরা বলেছেন: মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে ফান করা উচিত না যারা করে তারা অমানুষ । ধন্যবাদ
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ওমেরা।
২১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:০৭
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
শিক্ষা সফরে যাওয়াটা অন্যায় নয়। তবে যারা এটা নিয়ে বিনোদন করে তারা নির্বোধ, তাই ফেসবুকে এমন অানন্দের স্টাটাস দিয়েছে।
ভাই, অাপনি যাদের উপর রাগ করেছেন তাদের এই জ্ঞান ও বিবেকই নেই। তাই রাগ ও অভিমান করা অনর্থক।
সকল জায়গাই মানুষের যাওয়া উচিত। বিপদে পাশে দাড়ানো দরকার। তবে কুৎসিত অানন্দো নয়। যারা অানন্দো করে এদের জ্ঞান বুদ্ধি লোপ পেয়েছে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: সেই মানুষ গুলা গেলো কই? কাউরে দেখতাসি না পুস্টে।
২২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এমন মানুষও হয়!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
তারা মানুষ নয়- দুপেয়ে জীব!
ধন্যবাদ হামা ভাই +++++
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
২৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২৫
সঞ্জয় নিপু বলেছেন: আমাদের বিবেক বোধ জাগ্রত হোক এই কামনা করি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ নিপু। ভালো থাকবেন।
২৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭
রক বেনন বলেছেন: এর থেকেও খারাপ ব্যাপার কি জানেন হাসান ভাই? রাস্তাঘাটের পাগলীদের প্রেগন্যান্ট করে দেয়া!!
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: পৃথিবী খুব নির্মম একটা জায়গা।
২৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সুন্দর একটি বিষয় আপনার লেখায় উপনস্থাপন করেছেন।
লেখাটি পড়ে মনটা সত্যি খারাপ হয়ে গেল।
আমাদের সমাজে চারপাশের মানুষের কান্ডকারখানা দেখলে মাঝে মাঝে অবাক না হয়ে পারিনা।
পাগল দেখলেই আমরা মজা নিতে পছন্দ করি। কিন্তু একবারও ভাবি না এই পাগল মানুষটিই এক সময় ভাল ছিল।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভাবি না, আমরাও একদিন 'পাগল' হতে পারি।
২৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮
নতুন নকিব বলেছেন:
''রক বেনন বলেছেন: এর থেকেও খারাপ ব্যাপার কি জানেন হাসান ভাই? রাস্তাঘাটের পাগলীদের প্রেগন্যান্ট করে দেয়া!!''
-জঘন্য! এগুলো মানুষ নামের অযোগ্য।
সকল মানুষের মঙ্গল হোক।
অনেক ভাল থাকবেন।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো থাকুক সবাই। পৃথিবী আরো মানবিক হোক।
২৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ছোট থাকতে অতকিছু বুঝতাম না, পাগল পেলে খুব করে জ্বালাতন করতাম। তবে বুদ্ধি বিবেক হওয়ার পর থেকে সেনসিটিভলি দেখে এই ব্যাপারটা।
এটুকু বলতে পারি, পুরো কমন সেন্স থাকলে মানুষ এটা করতো না।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি নিজে থেকে শুধরেছেন, এটা অনেক বড় ব্যাপার। সবাইকে সাহায্য করুন শোধরাতে।
২৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩
নেক্সাস বলেছেন: বিবেক জাগুক সবার বিবেক
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই আশাবাদই বুকে লালন করি।
২৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: হামা ভাই দুই দিনে আপনার পোষ্টখানি শেষ করলাম। আমার মনে হয় আজব জগতের আজব মানুষ আমরা আমরাই পাগল আর যারা পাবনায় বা এমন চিকিৎসাধিন বা বিনা চিকিৎসায় রাস্তা ঘাটে আছে ওরাতো অসুস্থ্য মাত্র। হয়তো কেহ সেরে উঠবেন হয়তো বা না। ওরা যে আমাদের চেয়ে কোন সময়ে ভাল ছিলেন তা আমরা ভুলে যাই। ওদের দেখে ট্রিট করি, পাথর ছুরি, কাপড় ছেড়ি এমন কত অকথ্য নির্যাতন। সবাই আমরা ওদের রোগি মনে করি আর সচেতন হই অামাদের মনে অসুখ সারাবার।
ধন্যবাদ এমন একটি পোষ্ট পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য হামা ভাই।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি সময় নিয়ে পড়েছেন, এবং সুন্দর মন্তব্য করেছেন, এটা খুব ভালো লাগলো আমার।
৩০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪
সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: বলতে দ্বিধা নেই, শিক্ষিত হয়েও নতুন করে আবার শিখলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: দ্বিধাহীন ভাবে নিজের ভুল স্বীকার করার জন্যে বড় ধন্যবাদটা আপনারই প্রাপ্য।
৩১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯
বেচারা বলেছেন: বহুদিন আগে একবার গিয়েছিলাম। মনে হয়েছে, মানুষগুলোকে চিড়িয়াখানার মতো কয়েদ করে রেখেছেই শুধু টিকিট কেটে মানুষকে বিনোদিত করার জন্য। মানব জনমের জন্য বিশুদ্ধ লজ্জার ঘটনা।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, এই সিস্টেমের গোড়া ধরে টান দিতে হবে।
৩২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০
রাজু আহমেদ তন্ময় বলেছেন: যদি কখনও আপনার অতি প্রিয় মানুষটি চলে যায়, অথবা চোখের সামনে যদি কোন ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে দেখেন, হয়তোবা তখন থেকে আপনি হাসবেন বিকারগ্রস্তের মত, কাঁদবেন অকারণে, ভাবতে গেলে মাথা আউলে যাবে, পড়ার নেশা উবে যাবে,
পাগল হইনি, কিন্তু চরমভাবে অনুধাবন করতে পারছি
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই অমূল্য অনুধাবন সবার জন্যে বিশাল এক প্রাপ্তি।
৩৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিকাচে।
৩৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৪৪
টুশকি বলেছেন: এত স্পষ্ট করে বুঝিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ। এই লেখাটা আরো অনেক বেশি মানুষ পড়ুক। সব বাসাতেই এরকম মানুষ পাওয়া যাবে যারা সবকিছু "নরমাল" চায়। ছোটখাট মানসিক সমস্যাতেও সাপোর্টের চেয়ে ব্যাঙ্গ জুটে বেশী, যেটাতে সমস্যা আরো বাড়ে, কমেনা।
০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:১১
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর অনুধাবন টুশকি। আশা করি ভালো আছো।
৩৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১৭
সোহানী বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন: মানুষের বিবেক জাগ্রত হোক ।
হাসান ভাই, আপনার কি মনে হয় না আমরা কেমন যেন বোধশূন্য, অমানবিক, অমানুষে পরিনত হচ্ছি। হাঁ, আমি তাই মনে করি। তাই এ ধরনের মানুষের কাছ থেকে আপনি এর চেয়ে বেশী কি আশা করতে পারেন? এ কথাগুলো খুব বেশী করে উপলব্ধি করেছি দেশের বাইরে আশার পর। আমাদের বিবেক জাগ্রত হোক ।
০৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই আশাবাদ ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে। শুভেচ্ছা।
৩৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: বিবেক জাগ্রত হোক!
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: বিবেক জাগ্রত হোক!
৩৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩
দীপংকর চন্দ বলেছেন: বেদনাদায়ক বাস্তবতা।
বিশেষ শিশুদের নিয়ে আপনার একটা অনুবাদের কথা আমার দীর্ঘদিন মনে থাকবে। মনের গভীরে দাগ ফেলে যাওয়া লেখার সংস্পর্শে আসার সুযোগ খুব কমই হয় আমাদের।
শুভকামনা প্রিয় কথাসাহিত্যিক।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি। ভালো থাকবেন।
৩৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮
নীলপরি বলেছেন: শুভবুদ্ধির উদয় হোক ! জানিনা হবে কিনা ! লেখাটার জন্য ধন্যবাদ ।
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ নীলপরি।
৩৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১৪
আলাউদ্দিন সুজন বলেছেন: এত স্পষ্ট করে বুঝিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ। এই লেখাটা আরো অনেক বেশি মানুষ পড়ুক। ছোটখাট মানসিক সমস্যাতেও সাপোর্টের চেয়ে ব্যাঙ্গ জুটে বেশী, যেটাতে সমস্যা আরো বাড়ে, কমেনা।
খুবই লজ্জিত।
০৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনে এইখানে আয়া পড়ছেন!
স্বাগতম! স্বাগতম! স্বাগতম!
৪০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০০
ঢাকাবাসী বলেছেন: আমাদের এই সমাজে যারা পাগলকে নিয়ে নির্মম রসিকতা করতে পারে তাদের জন্য আমি লজ্জিত। আসলে পৃথিবীতে সবচাইতে নিকৃস্ট মানুষ বলতে বাঙালীকেই বুঝি।
০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা ঠিক না।
৪১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: শেষের লাইনটি প্রত্যাহার করছি।
০৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ!
৪২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫০
ভূমধ্য বলেছেন: সামাজিক নিষ্ঠুরতার একটি দিক খুব সাবলীল ভাষায় আপনার লেখায় ফুটে উঠেছে। ধন্যবাদ।
আমি ব্লগে নতুন। আমার ব্লগে আপনাকে নিমন্ত্রণ।
০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে। আপনার আমন্ত্রণ রক্ষা করছি এখনই!
৪৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩
মানবী বলেছেন: সত্যিই এভাবে কেউ জানতে চায়?
আমাদের দেশে মানসিক রোগকে খুব হেয় চোখে দেখা হয়! পাবনার হাসপাতালটাকেও বাংলায় পাগলাগারদই বলা হয়! মানসিক রোগাক্রান্তদের প্রতি এক ধরনের অবজ্ঞা আর উপহাস যেনো অবধারিত ব্যাপার।
আসলে কয়েক বছর পর পর নিয়ম করে আমরা একদল মনোবিকারগ্রস্থদের ক্ষমতায় নিয়ে আসি তাই মনে হয় যে নিরীহ মানুষেরা তীব্র মানসিক যান্ত্রণায় ভুগছে তাঁদের দূর্গতির কোন অবসান নেই। তাঁদের দূরাবস্থাটা পাবনার এই হাসপাতালে আরো বেড়ে যায় শুনেছি, কতোখানি সত্য জানা নেই! অবহেলা, অনিয়ম আর দুর্ব্যবহার টা অন্য সব হাসপাতালের চেয়ে ওখানে বেশি অথচ এই রুগীদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ভালোব্যবহার, সহানুভূতি আর সহমর্মিতা।
সচেতনতামুলক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ হাসান মাহবুব।
*এবার ঠিক পোস্টে হয়েছে। গতকাল যখন মন্তব্যটি পোস্ট সম্ভব হলোনা, কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্যা সম্পর্কে জানাতে এটাই বলেছিলাম, মন্তব্য লিখে পোস্ট করুন ক্লিক করে দেখি সাইন আউট!!! :-)*
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ একজন মানবিক মানবী!
৪৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:০১
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ফেবুতে পড়েছি আপনার এই লিখাটি। মনটাই খারাপ হয়ে যায় ভাই। একজন মানুষও যদি এই লিখাটি পড়ে পাল্টায় তাহলেই লিখাটি স্বার্থক।
১০ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: মনে হয় অনেকেই পাল্টেছে।
৪৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের উপর হৃদয়গ্রাহী আলোকপাত করেছেন, এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মানসিক আঘাত বাইরে থেকে দেখা যায় না। তাই বলে এর ভয়াবহতা কোন অংশেই কম নয় - একটা চরম সত্য কথা, যা খুব কম মানুষই হৃদয় দিয়ে বুঝতে পারে।
আমি ১৯৯৩ বা ৯৪ সালে পাবনা সফরে গিয়েছিলাম, তখন পাবনা মানসিক হাসপাতালে যাওয়ারও সুযোগ হয়েছিল। হাসপাতাল পরিদর্শনকালে একজন মধ্যবয়স্কা রোগী আমাকে খুব অনুরোধ করেছিলেন তার গাওয়া একটি গান শোনার জন্য। তিনি বলেছিলেন, এ গান তিনি সবাইকে শোনাতে চান, কিন্তু কেউ শোনে না। আমি গ্রীলের এ পাশে দাঁড়িয়ে খুব মন দিয়ে তার গানটি শুনেছিলাম। শুধু শুনেছিলামই না, তাকে পুনরায় আরেকবার গাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম এবং তিনি খুশী হয়ে সে অনুরোধ রেখেছিলেন। তিনি অত্যন্ত সুললিত কন্ঠে গেয়েছিলেন, "গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙা মাটির পথ"... । আমি আজও যখন এ গানটি শুনি, তার মুখটি আমার মনে ভেসে ওঠে। বিশেষ করে তার সেই অনন্য অভিব্যক্তি, যখন তিনি গেয়েছিলেন- "ও যে আমায় ঘরের বাহির করে,
পায়ে-পায়ে পায়ে ধরে, মরি হায় হায় রে।ও যে কেড়ে আমায় নিয়ে যায় রে; যায় রে কোন্ চুলায় রে..."। জানিনা কার কথা মনে করে সে অভাগিনী এমন হৃদয় দিয়ে গানটি গাইতেন আর চোখের জল ফেলতেন! কে যে তাকে কোন চুলায় এমনভাবে ফেলে রেখে গেল, হায় রে!
এর থেকেও খারাপ ব্যাপার কি জানেন হাসান ভাই? রাস্তাঘাটের পাগলীদের প্রেগন্যান্ট করে দেয়া!!-- রক বেনন এর এই মন্তব্যটির সাথে (২৪ নং) পুরোপুরি একমত। যতদূর মনে পড়ে, মাহমুদ ০০৭ এর একটি সুপাঠয় গল্পে এরকম একটি বিষয় সম্পর্কে পড়েছিলাম।
১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: গভীর অনুধাবন আপ্লুত করলো। ভালো থাকবেন।
৪৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫১
মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: মাহবুব ভাই,কোন এলাকা/থানা?? আমার তো গোপালপুর জেলখানার পেছনে!
১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: চকদুবলিয়া।
৪৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১০
বিষাদ সময় বলেছেন: আমরা বানর ( পশু) থেকে মানুষ হয়েছি।অনেকের লেজ খসে গেলেও পশুর স্বভাবটা খসে পড়েনি। তাই এই শ্রেনীর মানুষকে কখনও দেখবেন পাগলকে উত্যক্ত করে বিনোদন লাভ করতে, ধর্ষনের ঘটনা পড়ে বিনোদিত হতে অথবা ছিঁচকে চোরকে অমানুষিক প্রহার করে অপার আনন্দ লাভ করতে।
তাছাড়া আমাদের এই কুশিক্ষিত সমাজে মানসিক সমস্যা মানেই ঠাট্টা, তামাশার বিষয় বস্তু।
১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: কদর্য বাস্তবতা। চলুন বদলাই।
৪৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৫
মিঃ আতিক বলেছেন: পাবনা থেকে কত ভাগ মানুষ সুস্থ হয়ে ফিরে?
১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো প্রশ্ন। উত্তর জানা নেই।
৪৯| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯
কানিজ ফাতেমা বলেছেন: বলা হয়ে থাকে মানষিক রোগীদের মূল চিকিৎসা তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার, কমনীয়তা, আশ্বস্ততা ইত্যাদি কিন্তু এখনো অনেকে শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারেনি তাই তাদেরকে বিনোদনের উপাদান হিসেবে কেউ কেউ ট্রিট করে ।
ভাই, কবরে শোয়ানে অন্তিম মুহূর্তের ছবি, পোড়া দেহ, আইসিইউ পেসেন্টদের ছবি যত্রতত্র ক্যাপচারিং দেখে বোঝা যায় জাতি কতটা বিনোদিত হতে চায় ।
১৩ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, আমরা খুবই আমুদে জাতি!!
৫০| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৭
পুলক ঢালী বলেছেন: নিষ্ঠুর সত্য তুলে ধরেছেন আরো নিষ্ঠুর উদাহরন দিয়ে। এখানে মন্তব্যকারীদের মধ্যেও দেখলাম চেতনার উদয় হয়েছে মন্তব্যে মানবিক শিক্ষার অভাবের কথা এসেছে। খুব ভাল লাগলো।
যারা পিকনিক করতে চায় তারা নিঃসন্দেহে মানসিক ভাবে অসুস্থ্য, আসলে তাদেরকেও ওখানে ভর্তি করা দরকার। ভাল থাকুন হামা ভাই।
১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ পুলক। ভালো থাকুন।
৫১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: লেখাটা পড়ে কেমন জানি অপরাধী লাগছে নিজেকে।
১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: এই অনুধাবনের জন্যে অভিনন্দন!
৫২| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: মানুষ হতে এখনো অনেকটা পথ বাকি আমাদের
২১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক দিন পর আইছেন, একটা পোস্ট দিয়া ফালান। আপনেও তো পাবনাইয়া। পার্ট টু দেন।
৫৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮
ANIKAT KAMAL বলেছেন:
কতটুকু অশ্রু সাগর সৃষ্টি করলে স্রষ্টার কৃপা পাওয়া যায় ভাই!!!
০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২
হাসান মাহবুব বলেছেন: সৃষ্টির মধ্যেই স্রষ্টা লীন।
৫৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: মানসিক আঘাত বাইরে থেকে দেখা যায় না। তাই বলে এর ভয়াবহতা কোন অংশেই কম নয়।
বরাবরের মত খুব সুন্দর পোস্ট ।
আমাদের সকলের মানসিকতার উন্নতি হোক ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রাবেয়া, ভালো থাকবেন।
৫৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪
আবিদা সিদ্দিকী বলেছেন: মেজবোনের আগুনে ৬% পুড়ে গিয়েছিল, তাতেই আমাদের গোটা পরিবারকে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল। আমি বোনের বাচ্চা দুইটার দায়িত্ব নিয়েছিলাম, একবারও হসপিটালে যাইনি, বাসায় ফেরার পর ওর ড্রেসিং করতো আমার বড় বোন, আমি একদিনও পাশে থাকিনি। এতো সাহস আমার নেই। কয়েকদিন আগে অন্যমনস্কতার কারণে গোসলের গরম পানি পড়ে আমার পেটের ৩ ইঞ্চি জায়গা পুড়ে যায়। জামা-কাপড়ের উপর দিয়ে পড়েছিল পানি অথচ টানা দেড় ঘণ্টা আমার চোখ দিয়ে ক্রমাগত পানি ঝরেছে। মাত্র ৩ ইঞ্চি জায়গা, তাও গরম পানিতে, তাতেই এতো কষ্ট!
আমার শ্বশুরবাড়ি পাবনা। কখনোই পাগলাগারদ যেতে চাইবো না। আমি ভীতু মানুষ, রাস্তায় পাগল দেখলেই চোখ সরিয়ে নেই, আর পাগলাগারদে এতোগুলো পাগল মানে এর পেছনে এতো এতো মর্মান্তিক, অবহেলা কিংবা দুর্ভাগ্যের কাহিনী...এতো সাহস কোনোদিন হবে না আমার।
অনার্সে আমাকে একটা গবেষণা কর্ম করতে হয়েছে যা ছিল মানসিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে (তখনো অটিস্টিক শব্দটা প্রচলিত হয়নি), পরবর্তীতে এমফিলেও একই বিষয়ে কাজ করতে চেয়েছিলাম, বিয়ের পর ঢাকায় জয়েন করার কারণে কমপ্লিট করতে পারিনি। আমি তখন হোমটাউনে। সেখানকার মানসিক প্রতিবন্ধি ইনস্টিটিউটের সাথে কাটানো লম্বা সময় আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপলব্ধিগুলোর একটি। কথা লম্বা করবো না। এজাজ নামের এক বাচ্চার বাসায় গিয়েছিলাম, বাসা খুঁজতে গিয়ে আমি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম কেননা সেই বাসাটা পাগলাইয়াদের বাড়ি নামে পরিচিত। এজাজদের বাড়ির বসার ঘরে বসে তার মায়ের সাথে কথা বললাম। সেই বাচ্চাটা ছিল মধ্যম মাত্রার প্রতিবন্ধি। মুখ থেকে ক্রমাগত লালা ঝরছে এবং হাসিমুখে স্টিলের প্লেটে চামচ দিয়ে শব্দ করে যাচ্ছে, উদ্দেশ্য মায়ের মনযোগ কিংবা মাকে বিরক্ত করা। ভদ্রমহিলা রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টারস করেছেন, সুতি শাড়ি পরনে, উল দিয়ে সোয়েটার বুনে যাচ্ছেন আর কথা বলছেন। আমার এই ৪০ বছরের জীবনে এরকম বিষণ্নমুখ আর দেখিনি। মানুষটার চেহারায় বিষাদ ছাড়া আর কিছু নেই, স্থির বসে আছেন, চোখ উল-কাটায়, শুধু আংগুল নড়ছে আর ঠোঁট নড়ছে। পরবর্তীতে ঢাকায়ও অসংখ্য অটিস্টিক বাচ্চার মায়ের সাথে দেখা হয়েছে কিন্তু এজাজের মায়ের মুখ আমি ভুলতে পারি না।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি নিজেও একসময় অনেক মেন্টাল হ্যাজার্ডের মাঝে গেছি। ট্রিটমেন্ট নিয়েছি। শুধুমাত্র মানসিক দৃঢ়তা দিয়ে সবসময় ওভারকাম করা যায় না। স্বজনের সাহায্য লাগে, প্রতিবেশীর সাহায্য লাগে, ঔষধ লাগে, কাউন্সেলিং লাগে। আমাদের ভেতরে যে কত অসুস্থতা আছে, সেগুলোর কোনো গুরুত্বই নেই কারো কাছে!
সহউপলব্ধি প্রেরণা যোগালো।
৫৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: মানসিক বিকারগ্রস্তদের নিয়ে যারা রসিকতা করে, তাদের দেখে আনন্দ পায়, তারা মানসিকভাবে কতটা সুস্থ?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাদের তৈরি করা মানদন্ডে তারা অত্যন্ত সুস্থ!
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩
নাগরিক কবি বলেছেন: লজ্জিত।