নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

The vanishing- যে মুভিটি আপনাকে তাড়া করে বেড়াতে পারে আজীবন!

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৮


প্রায় সাত মাস কোনো সিনেমা দেখিনি বিভিন্ন কারণে। অপেক্ষা করছিলাম দারুণ কিছু দিয়ে শুরু করার। আকাঙ্ক্ষার ফলাফল যদি প্রত্যাশার চেয়ে অনেক গুণ বেশি হয়, তাহলে এক ধরনের বিহবল অবস্থা সৃষ্টি হয়। The vanishing দেখার পর সেই অপূর্ব বিহবলতায় সময় অতিক্রান্ত হচ্ছে। ভাবলাম এই বিহবলতা কাটার আগেই লিখে ফেলি। যদিও জানি এটা এত সহজে কাতছে না। কারণ… আচ্ছা, বিস্তারিত বলছি।

প্রথমেই একটি সতর্কতা দিয়ে রাখি। যারা নরম হৃদয়ের অধিকারী, এবং সহজেই ডিস্টার্বড হন, তারা এই সিনেমাটি ভুলেও দেখবেন না। এ কথা শুনে নিশ্চয়ই ভাবছেন যে সিনেমাটি সেক্স, ভায়োলেন্স এবং প্রোফেইনিটি দিয়ে ভরা! যেমনটা দেখেছেন Cannibal Holocaust অথবা I spit on your grave এ! ভুল, পুরোপুরি ভুল! সিনেমাটিতে অতি সামান্য পরিমাণে ভায়োলেন্স আছে। একজন লোক আরেকজনকে মাটিতে শুইয়ে কিছুক্ষণ ঘুষি-লাথি মারলো, খুবই দুর্বল মার, কোনো রক্তারক্তি হলো না। এই দৃশ্য তো একটা শিশুও দেখতে পারে, না কি বলেন? পুরো মুভিতে শিট শব্দটি মাত্র একবার ব্যবহৃত হয়েছে। কোনো এফ ওয়ার্ড নেই। যৌনতা- একেবারেই নেই। ড্রাগস- নেই। আপনি যদি টেনে টেনে দেখেন, মনে হতে পারে যে আপনাকে ব্লাফ দিয়ে সময় নষ্ট করার কুবুদ্ধি এঁটেছি। তাই আগে থেকেই বলে রাখি, সিনেমাটি কিছুটা স্লো। এটি আপনার পূর্ণ মনোযোগ দাবী করে। এর ডিটেইলস যত ভালোভাবে অবজার্ভ করবেন ততই এর শক ভ্যালু বাড়বে, এবং আপনাকে পেয়ে বসবে। পপকর্ণ নিয়ে দেখতে শুরু করে দেখা শেষে আপনার প্রয়োজন হতে পারে ঠান্ডা এক বোতল লেবুর শরবত স্নায়ু শীতল করার জন্যে। তাহলে রেডি তো? চলুন শুরু করা যাক।

সিনেমার শুরু একটি সিম্বলিক দৃশ্য দিয়ে। ক্লোজ-আপে একটি গাছ, তার পত্র-পল্লব। কিন্তু ক্যামেরাটি জুম আউট করার পর বোঝা যায় যাকে আপনি ডাল ভেবেছিলেন, সেটি আসলে একটি পোকা! এই যে আপনি-আমি সুন্দর জামা কাপড় পরে বউ-বাচ্চা-বান্ধবী নিয়ে বেড়াতে যাই, স্মার্টফোনে অনলাইন পেপারে খেলা এবং বিনোদনের খবর পড়ি, প্রিয়জনের কাছ থেকে জন্মদিনে উপহার পেয়ে আনন্দিত হই, আমাদের এই সুশোভিত বৃক্ষরূপের ভেতরে কি বিষাক্ত কীট লুকিয়ে নেই? আছে। কারো কম, কারো বেশি। এখানে আমরা তেমন এক মানুষের গল্প জানবো। নাম তার Raymonds. একজন মাঝবয়েসী ফরাসী ভদ্রলোক। দুই মেয়ে আর স্ত্রী নিয়ে তার সুখের সংসার। বাচ্চারা তাকে ভালোবাসে, স্ত্রীর বিশ্বাস কখনও ভাঙেন নি তিনি। তবে তার আগে পরিচিত হতে হবে রেক্স এবং সাসকিয়ার সাথে।

রেক্স এবং সাসকিয়া দারুণ জুটি! একদম পারফেক্ট প্রেমিক-প্রেমিকা। থাকে নেদারল্যান্ডে। গাড়ি করে এক লম্বা ট্রিপে ঘুরতে বের হয় তারা। সাসকিয়া এক দারুণ প্রাণবন্ত আর সুন্দর তরুণী। রেক্স তো তার জন্যে জীবন উৎসর্গ করবেই! যাত্রা বিরতিতে সাসকিয়া একটি সুপার শপে যায় কোক আর বিয়ার কিনতে। তখন কি আর তারা জানতো যে এটাই তাদের শেষ দেখা?

হ্যাঁ, কিছুক্ষণ আশেপাশে ঘুরে গাড়িতে আসার পর রেক্স দেখে যে সাসকিয়া তখনও আসেনি। একে ওকে জিজ্ঞাসা করে কোনো হদিশ পেলো না। কোথায় গেলো সে? কী হলো তার? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে সে ৩ বছর ধরে। এই ৩ বছরে সে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে হ্যান্ডবিল ছাপিয়েছে, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছে, টিভিতে অনুনয় করেছে, সাসকিয়াকে ছিনিয়ে নিয়েছে, সে একবার একটু তার কাছে আসুক, বলুক কেন এই কাজ সে করেছে, তার আর কিছু চাওয়ার থাকবে না জীবনে।

ভালোবাসা হলে তো এমনই হওয়া উচিত, তাই না? রেক্সের এই আত্মনিবেদন আর প্যাশনের কারণেই সিনেমাটি এত ভয়ংকর রকম ট্রাজিক আর শকিং হয়েছে। আবারও বলছি, আপনি যদি সহজেই ডিপ্রেসড হন, তাহলে এখানেই থেমে যান, সিনেমাটি দেখার কথা ভুলেও ভাববেন না।

ভিলেনের নাম তো আগেই বলেছি, রেমন্ডস। আগেই বলে দিয়েছি বলে ভাববেন না যে স্পয়লার হয়ে গেছে। এটা ঠিক টুইস্ট নির্ভর মুভি না। রেমন্ডস একজন সোশিওপ্যাথ, ক্লাস্ট্রোফোবিক মানুষ। তার সমস্যার শুরু ছেলেবেলায়। একদিন বারান্দার রেলিংয়ে ভর দিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে তার অদ্ভুত এক চিন্তা মাথায় এলো। মানুষের জীবন কি নিয়তি নির্ধারিত? যদি তাই হয়, তাহলে তো বড় ভয়ংকর ব্যাপার! নিয়তির কাছে বাঁধা পড়ে থাকবে সে? এতই সীমাবদ্ধ মানুষের জীবন? সে এই অতি ক্ষুদ্র গণ্ডিকে অস্বীকার করতে চাইলো, নিয়তিকে অগ্রাহ্য করতে চাইলো। অসহ্য রকম ছটফটিয়ে সে মুক্তির উপায় খুঁজলো, চ্যালেঞ্জ করলো নিয়তিকে। কীভাবে মিলবে পরিত্রাণ, কীভাবে! হঠাৎ তার মাথায় সমাধান চলে এলো। সে কেন লাফ দিচ্ছে না! লাফ দিলেই তো সে ভাংতে পারে নিয়তির সংবিধান! এবং সে তাই করলো। কিন্তু নিয়তি কি এমন সহজ চিজ! হাত ভেঙে যাওয়া, আর দুটি আঙুল হারানো ছাড়া তার কোনো ক্ষতিই হলো না। কিন্তু তার ভেতরে জন্ম নিলো এক ভয়ংকর পিশাচ।

না, রেমন্ড অন্যান্য সাইকোদের মত কিশোরবেলা থেকে নিষ্ঠার সাথে কুকুর-বেড়ালকে খুঁচিয়ে মেরে, অথবা বাচ্চাদের দম বন্ধ করে আনন্দ পেতো না মোটেও। বরং ভায়োলেন্স তার অপছন্দ ছিলো। সে কাজ করতো অবসেশন নিয়ে, প্যাশন নিয়ে। রেক্সের মধ্যে সে ঠিক সেই জিনিসটাই খুঁজে পেয়েছিলো। সারাজীবন ধরে সে এটাই খুঁজে ফিরেছে। একটা পারফেক্ট ক্রাইম, একটা ভীষণ ইমপ্যাক্ট, যার কোনো তুলনা হয় না। তবে এতে করে কিন্তু তার স্বাভাবিক জীবনাচরণে কোনো সমস্যা হয় নি। বিয়ে করেছে, বেছে নিয়েছে ভালো একটি কাজ, দায়িত্বশীল পিতা হিসেবে তার প্রশংসা সবার মুখে মুখে। কিন্তু ছোটবেলায় যার মধ্যে প্রোথিত হয়েছে ভয়ানক ব্যাধি, তা থেকে নিস্কৃতি সে কোনোভাবেই পেতে চায় নি। সুযোগ খুঁজছিলো, একদিন মিলেও গেলো।

পরিবারের সাথে অবকাশযাপনের সময় একদিন এক ঘটনা ঘটলো। পাশেই লেকে একটা বাচ্চা মেয়ে পড়ে গেলো। মেয়েটি মারা যাচ্ছিলো। তখন সে ঝাঁপ দিয়ে তাকে রক্ষা করলো। তার বাচ্চাদের কাছে সে তখন হিরো। এমন অনুভূতি নিঃসন্দেহে যে কারো জীবনকে মহিমান্বিত করবে। কিন্তু রেমন্ডের ক্ষেত্রে হলো তার ঠিক উল্টো। তার কাছে মনে হলো, তার সন্তানরা যা ভাবছে তাকে তার থেকেও বড় হতে হবে। হিরোইজম দেখিয়ে হাততালি পাওয়া তার জীবনের লক্ষ্য নয়। এতে করে সে তৃপ্ত নয়। তার ব্যাপ্তিটা আরো বড়, আরো ব্যাপক। মানুষের জীবন রক্ষা করার মধ্যে যে অভিঘাত তৈরি হয়, তা খুবই ঠুনকো। কাউকে কারো জীবন থেকে কেড়ে নিতে পারলে বরং এর চেয়ে বেশি ইমপ্যাক্ট তৈরি হতে পারে। শুরু হলো সেই পুরোনো লড়াই নতুন করে। নিয়তির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সে লড়ে সস্তা হিরো থেকে হয়ে উঠবে এক মহান শয়তান!

এতক্ষণে নিশ্চয়ই আর বলে দিতে হবে না যে সেদিন সাসকিয়াকেকে অপহরণ করেছিলো? হ্যাঁ, রেমন্ড। শুধু অপহরণ করে ক্ষান্ত থাকেনি। পরবর্তী তিন বছর গভীর নিষ্ঠার সাথে পর্ববেক্ষণ করেছে রেক্সের জীবন, মন। যখন সে বুঝতে পেরেছে যে রেক্সের জীবনের লক্ষ্য শুধুমাত্র সাসকিয়ার অন্তর্ধান রহস্য আবিষ্কার করা ছাড়া আর কিছুই নয়, তখন সে সিদ্ধান্ত নেয় তার মুখোমুখি হবার, তাকে জানিয়ে দেবার, আসলে কী ঘটেছে, কেন ঘটেছে।

মুভিটি কেন এত হরিফায়িং? কারণ এর শীতল চরিত্র, রেমন্ডের অতি স্বাভাবিক জীবনযাপন, আর রেক্সের ভয়ানক প্যাশন। সবকিছু মিলে আমরা শেষে মুখোমুখি হবো এমন এক সমাপ্তির, যা আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াতে পারে বছরের পর বছর। একদিন সময় নিয়ে এক ফ্লাস্ক কফিসহ দেখতে বসুন, সময়টা বৃথা যাবে না।

শেষে আরো একটি সতর্কতা জানিয়ে দেই, এই সিনেমার একই নামের একটি আমেরিকান ভার্শন আছে ১৯৯৩ সালের। ভুলেও সেটা দেখবেন না। আমি যেটার কথা বললাম, সেটি ডাচ মুভি, ১৯৮৮ সালের। আর এর অরিজিনাল টাইটেল হলো- “Spoorloos”
প্রথম প্রকাশ- এগিয়ে চলো ডট কম

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: দ্য শশাঙ্ক রিডেম্পশন এর নাম শুনে দেখতে বসে পুরাই হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু রিভু গুলোর কারণে উঠতে ইচ্ছে হচ্ছিল না। ওদের ওপর আস্থাটা রেখে ওঠিনি!
মাঝের আগ থেকে ইন্টারেস্ট আসা শুরু করলো আর শেষ পর্যন্ত!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

পুরাই মাথা নষ্ট অবস্থা!!!!!!!

আপনার রিভিউ এর প্রথম কয়েক প্যারা পরে ডিসিশন নিলাম, এটা দেখব। :) আশা করি সে-রকম না হোক, ভাল কিছু আছেই!!

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: না, ওরকম মাথা নষ্ট করা টুইস্ট নাই। কিন্তু বেশ ডার্ক থিম।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪০

শায়মা বলেছেন: ৩ বছরে আর দেখাই হলো না!!!!!! B:-)

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: হু। কঠিন অবস্থা।

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪১

শায়মা বলেছেন: কিন্তু ছবিটা দেখে !!!!!!! আমার নিজের কথা মনে পড়ে গেলো!

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: কেন?

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:০৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: যদিও আমি এই ধরনের ব্যাপারগুলো থেকে দূরে থাকি ,কিন্তু আপনার রিভিউ উৎসাহিত করলো মুভি দেখায় ।

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধৈর্য্য নিয়ে দেখলে ভালো লাগবে আশা করি।

৫| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৯

সুমন কর বলেছেন: মুভিটি দেখা হয়নি। রিভিউ পড়ে ভালোই মনে হলো। দেখার ইচ্ছে থাকল.......

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ইচ্ছা পূরণ করে ফেলুন!

৬| ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৩

শূন্যনীড় বলেছেন: ছবিটি দেখিনি, তবে আপনার কাছে ধারণা পেয়ে দেখার সাধ জাগলো প্রচুর।

০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আশা করি ভালো লাগবে। শুভকামনা রইলো।

৭| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: রিভিউ ভাল লেগেছে।

০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো।

৮| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: গুড। দেখব।

০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখে জানায়েন।

৯| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: রিভিউ দারুন হয়েছে। আশা করি দ্রুতই দেখে ফেলব। কেমন আছেন, হাসান ভাই?

০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, ভালো আছি। আশা করি আপনিও ভালো আছেন।

১০| ০৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
`দারুন রিভিউ।

কিন্তু আমি মুভিটা দেখব না। :)

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: কেন?

১১| ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

সোহানী বলেছেন: এমনিতেই আপনার লিখা পড়ে তিনদিন ঘুমাতে পারি না তার উপ্রে এ মুভি দেখলেতো ঘরের বাইরেই যাওয়াই বন্ধ!!! আমি ভাই মুভি দেইখা সাহসী হতে চাই না................. তারপর রিভিউতে ++++++

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহাহা! এর পরে একটা হাসির লেখা দিমু। ওকে?

১২| ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কতদিন সিনেমা দেখি না!!!!!!!!!! :(

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও কতদিন পর দেখলাম!

১৩| ০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৩৫

ক্লে ডল বলেছেন: আমি দেখব না। তবে রিভিউ ভাল হয়েছে।

০৯ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ক্লে ডল। ভালো থাকবেন।

১৪| ০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

নীলপরি বলেছেন: ফিল্মটা দেখবো ভাবছি ।;)

শুভকামনা ।

১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুধু ভাবলে হবে না। দেখতে হবে!

অশুভ বাসনা।

১৫| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৫

জেন রসি বলেছেন: মুভি দেখিনাই। রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে দেখা যেতে পারে।

১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা আপনি না দেখলে কে দেখবে?

১৬| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

রিদওয়ান আহমাদ আল-আমীন বলেছেন: লিংক হপ্পে...?

১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: Click This Link

টরেন্ট লিংক।

১৭| ১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২৯

আলোরিকা বলেছেন: আপনার রিভিউ পড়ে বুঝলাম আমার হার্ট দুর্বল ;) তারপরও ট্রাই করতে ইচ্ছে হচ্ছে :)

১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: এখানে কিন্তু গ্রাফিক ভায়োলেন্স নেই একেবারেই। মেন্টাল ডিসটার্বনেস আছে। দেখতে পারেন কিন্তু।

১৮| ১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮

আলোরিকা বলেছেন: ডাউনলোড চলছে :)

১১ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: জানায়েন কেমন লাগলো।

১৯| ১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: কেন জানি পুরোনো প্রিয় ছবিগুলো বারবার দেখতে ভালো লাগে। হিটলিস্টে নতুন ছবি'র নাম লিখাতে ভয় হয়।

আপনার বর্ণনা চমৎকার, হাসান মাহবুব ভাই।

১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ শাইয়ান। শুভেচ্ছা রইলো।

২০| ১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০

লিওনাডাইস বলেছেন: দেখতে হবে।

১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অবশ্যই দেখতে হবে!

২১| ১৩ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০১

আলোরিকা বলেছেন: দেখলাম । রিভিউ পড়ে দেখা বলে হয়তো শক অতটা বেশি হয়নি । মোরাল অব দ্য মুভি ---- ১। কুসুমে কীট থাকতেও পারে ২। ভাগ্যের লিখন না যায় খণ্ডন ! বেচারা সাসকিয়া এন্ড রেক্স !!!

১৩ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার অনেক মন খারাপ হয়েছিলো দেখে।

২২| ১৩ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

নায়না নাসরিন বলেছেন: দেখতে হবে হাসান ভাইয়া । রিভিউ সুন্দর :)

১৩ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নায়লা। ভালো থাকবেন।

২৩| ১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:১২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর রিভিউ পড়ে দেখার আগ্রহ হচ্ছে।

১৪ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখে ফেলেন লিটন ভাই। ভালো লাগবে।

২৪| ১৪ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

রক বেনন বলেছেন: হাসান ভাই, VANTAGE POINT মুভি টা নিয়ে একটা রিভিউ দিয়েন!

১৪ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখি নাই। কেন রিভিউ দিবো? প্রলুদ্ধ করুন আমাকে।

২৫| ১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০

অচিন্ত্য বলেছেন: সামুকে ধন্যবাদ বকেয়া নিয়ে যাওয়ার নোটিশের জন্য; টাকার গন্ধে আবার হামা ভায়ার সাথে বাতচিত হচ্ছে।
দুঃখের কথা হল এই যে আমি মোটেই মুভি দেখি না। জীবনে যে কটি দেখেছি তা ফ্যামিলি, ভাই বেরাদর, বন্ধু বান্ধব দেখার সময় ঘটনাচক্রে আমি সামনে ছিলাম বলে। এই পদার্থটি কেন যে আমাকে টানে না।
যাক। লেখা সুখপাঠ্য হয়েছে। আর খুব হুমকিমূলক হয়েছে। ধন্যবাদ। সাথেই থাকুন।

১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: কী করো ইদানিং?

২৬| ১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪

নিমগ্ন বলেছেন: (নিচের কমেন্টে) স্পয়লার অ্যালার্ট!!

ছবিটা দেখলাম। একটা ভজঘট পাকিয়ে ফেলেছে কেমিক্যাল ল্যাব এর মধ্যে হুবহু ডায়ানে'র মতো কাউকে দেখিয়ে। তাই রাগ লাগছিল, কেন এভাবে ইল্যুশনে ফেলবার জন্য মিনিংলেস সিন দেখালো!!
ভেবেছিলাম, সে সবাইকে ধরে ধরে কোন কারখানায় হিপনোটাইজড করে রাখে। কিন্তু!!!!!!!!!

১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ডায়ান আবার কে? আপনি কি হলিউডি ভার্শন দেখেছেন? ইংরেজি? আমি যেটার কথা বলেছি সেটা হলো ডাচ। নাম sporolos.

২৭| ১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,




অভিনব !!!!!
এটাকে রিভিউ বলবো, না ; রিভিউয়ের গল্প বলবো ?

১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পে গল্পে রিভিউ বলতে পারেন :-B

২৮| ১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

অচিন্ত্য বলেছেন: মূলত ক্লান্তি যাপন করি। মাঝে সাঝে দাবার ওপর পড়াশোনা করি। বর্ত্তমান বাসাটা একটা অত্যন্ত নয়েজি প্লেসে। মন মেজাজ এত খারাপ থাকে যে গান নিয়ে বসার মানসিকতা হয়ে ওঠে না। আরো বেশ কিছুদিন এ অবস্থা থাকবে। আর হ্যাঁ, মাঝে সাঝে বৈষয়িক আলাপ, জমি টমি দেখা এসব করে দিন যায়।

১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: মইরা যাও।

২৯| ১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:৪৭

অচিন্ত্য বলেছেন: Artificially?

১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ।

৩০| ১৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:২৮

অচিন্ত্য বলেছেন: আত্মহত্যার প্ররোচনা। যাক। আপাতত এ ধরণের পরিকল্পনা নেই। তবে প্রস্তাবটি ভাবার মত। ভাবছি আমার পছন্দের কাজ না করনেওয়ালাদেরকে আত্মহননে উৎসাহিত করার জন্য শব্দ কৌশল নিয়ে কাজ শুরু করা যায় কিনা।

তবে যাই বলুন মশায়, মার্ক্স সাহেব খাসা কথা বলে গেছেন। আমাদের যাবতীয় কার্যক্রম উৎপাদন ও সম্পদের বিলি ব্যবস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দেখুন না, আপনার সঙ্গে এই মাঠে কতকাল পর দেখা; উসিলা অর্থ। আমার গান টান প্রায় বন্ধ (একেবারে বন্ধ না। ইউকেলেলে কিনেছি। শিখছি। মেন্ডোলিন কিনেছি। শিখছি। ছেলেকে গান শোনাই। ও তো " কান্টি রোড টেম্মি হোম টু দা পেস আই বিলন ওএব্বাসিনা মাইন্তে মামা " পর্যন্ত শিখেও ফেলেছে (কখন শিখল ধরতে পারিনি (শিশুদের মধ্যে শুনে শুনে ভাল লেগে অনুকরণ করে করে স্বতঃস্ফূর্ত শিখনের প্রবণতা রয়েছে বোধ করি (সাইড আলাপ বেশি হচ্ছে)))) বৈষয়িক চিন্তায়।

বৈষয়িক চিন্তা না করেও উপায় নাই। আমার উত্তরাধিকার সম্পদ প্রায় ০। আমি যেখান থেকে যাত্রা করেছি, আমার পুত্রকে তার চেয়ে একটা বেটার প্ল্যাটফর্ম দিয়ে যেতে চাই।

১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: বাসায় একদিন। গেঁজাই।

৩১| ১৬ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৬:০৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: +
কয়েকটা বিদেশী নাটক দেখি। একেকটা পর্বই যেন সিনেমা সিনেমা লাগে। showbox এ্যাপটা নামিয়ে দেখতে পারেন। যদিও তা গুগল স্টোরে নাই।

১৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: গুগল স্টোরে না থাকলে কেমনে দেখুম!

৩২| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে, দেখা উচিত। কিন্তু ২ ঘন্টা সময় বের করা বড়ই হুজ্জতের ব্যাপার । তবে দেখে কমেন্ট এ জানাবো কিন্তু...

১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ছবিটা কিন্তু বেশ স্লো। সময় নিয়ে দেখতে হবে।

৩৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৪

মিজান ঢাকা ব্লগ বলেছেন: ভয় পাবনাতো? ভয় পেতে ভয় হয়.।.।.।.। B:-)

২৫ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: না, ভয় পাবেন না। তবে অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। ডিপ্রেসড হতে পারেন।

৩৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬

রুপ।ই বলেছেন: দেখবো ভাবছি।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখার পরেও ভাবতে হবে।

৩৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৬

আবিদা সিদ্দিকী বলেছেন: রিভিউটা পড়তে পড়তে নিজেকেও খেয়াল করছিলাম, আমি সাধারণত নট নড়নচড়ন পজিশনে পড়ি, এটা পড়তে পড়তে কখনো মনিটরের দিকে ঝুকেছি, কখনো বামে , কখনো ডানে...

মাঝখানে ৭/৮ বছরের ব্যস্ততায় পড়া, দেখা, শোনা কিছুই ছিল না। সেই অর্থে নব্য পড়ুয়াই বলতে পারি নিজেকে। আপনার ব্লগ বাড়িতে এলে জড়তাহীন থাকি এর কারণটা আগে একবার বলেছি, আজ আবার বলি, আপনি সব পাঠককে গুরুত্ব/সম্মান করেন। যারা ফেসবুক ছেড়ে দিয়ে একবারও ফেসবুকের দিকে ফিরে তাকায়নি, এমনকি ফেসবুক লোগো দেখলেও বিতৃষ্ণা অনুভব করে আমি তাদের দলে। তিতা করোলার চেয়েও তিতা থাকি ভার্চুয়াল জগতে। দেশি সেলিব্রেটি বা আতেলদের দেখতে চাই না বলে টুইটার, ইনস্টাগ্রাম বেছে নিতে হয়েছে। তাই বুঝতেই পারছেন একজন সেলিব্রেটি মেধাবী ব্লগার যখন সাধারণ পাঠকের অতি সাধারণ কমেন্ট পড়ে তার উত্তর দেন, তার প্রতি কতোটা নতজানু শ্রদ্ধা (মমতা) হতে পারে!

এবং সেই অর্থে একজন নব্য মুভি দর্শকও বলতে পারি নিজেকে। সম্প্রতি সিনেমায় গিয়ে দেখেছি ভিক্টোরিয়া এন্ড আব্দুল করিম, ওয়ান্ডার, এর আগে পিসিতে ফিনিশ মুভি Black Ice এবং আমেরিকান The Girl On the Train। বলা যায় হাতের কাছে যা পেয়েছি সেখান থেকে যেটা মন টেনেছে সেটাই দেখছি এবং শেষের দুইটার নাম উল্লেখ করার কারণ এগুলো বেশ স্লো মুভি কিন্তু আমি পুরো মুভি পূর্ণ মনযোগে দেখেছি, কান্নাকাটিও করেছি এবং জেনেছিলাম আমি স্লো মুভি দেখতে পারি যদি সেটা মন টেনে নেয়। Two Brothers, Lion ইত্যাদি মুভি দেখে দেখে ইংরেজি মুভি দেখার সাহস হয়ে গিয়েছিল, সাবটাইটেল না হলে বুঝতে খুব কষ্ট হয়। কিছু মুভি সাবটাইটেল থাকলেও বুঝতে সমস্যা হয়। আবার কিছু মুভি সাবটাইটেল লাগে না, সংলাপ বোঝাও লাগে না, দেখতে কোনোই সমস্যা হয় না। মানুষ হওয়ার আনন্দই আলাদা! শেষ দেখলাম Forrest Gump. সিরিয়ালে আছে Pursuit of Happyness।

The vanishing ইতোমধ্যে ডাউনলোড করে রেখেছি। এতোদিন দেখেছি আমি আবেগী এবং হ্যাপি এন্ডিং টাইপ মুভি পছন্দ করি কিন্তু Eat Pray Love মুভির ফিনিশিং আমার ভুরু কুঁচকে দিয়েছিল। নিজেকে জানার বাকি আছে অনেক! মনস্তত্ত্ব আমার আগ্রহের জায়গা। The vanishing মুভিটার প্রতি টান কিছুটা সেই কারণেও।

খুব দুঃখিত এতো লম্বা মন্তব্য লিখে আপনার কিছুটা সময় নিয়ে নেওয়ার জন্য। লিখার সময় খেয়াল করিনি, এখন মুছে দিতে মায়া লাগছে। স্যরি প্লিজ!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আবিদা, ব্লগের প্রাণ হল মন্তব্য। সুন্দর মন্তব্য। শুধু ভালো লেখা প্রকাশিত হলো, কমেন্টের মিথস্ক্রিয়া থাকলো না, তাহলে সেই সাইটকে ব্লগ না বলে অন্য কিছু বলা যেতে পারে। আমি মনে প্রাণে একজন ব্লগার। এখন যদিও অনেক কম সময় দেয়া হয়, তবে আগে এমন কত দীর্ঘ মন্তব্য প্রতিমন্তব্যে রাত পার করেছি! আপনি আমার প্রতিউত্তরের সাবলীলতাকে পছন্দ করে নিয়মিত মন্তব্য করেন, তাহলে দীর্ঘ মন্তব্য করে দুঃখিত কেন বলবেন বলুন তো?
এমন দীর্ঘ মন্তব্য মাঝেমধ্যেই করবেন। চাইলে সবসময়।

ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.